রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেন।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বাউসা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেন ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে দিঘা ও অমরপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বাউসা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এনামুল হক, বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী বানু, এনামুল হক, রমজান আলী, বাদশা আলী, আলতাফ হোসেন, নাসির উদ্দীন, আবুল ফজল, ইয়ার উদ্দীন, আমির হামজা মধু প্রমুখ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান বলেন, আওমীলীগের লিফলেট বিতরণের কোন খোঁজ মেলেনি। তবে উপজেলার কয়েকটি স্থানে লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুই যুবদল নেতাকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বলেন, গত ০৩-১০-২৪ তারিখে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক মারামারি সংক্রান্ত মারপিটের ঘটনায় নরাইল জেলার সখিপুর উপজেলার রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় ১০৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২।
উল্লেখিত মামলায় আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই যুবদলের ওয়ার্ডসহ সভাপতি হায়দার আলীকে ৭৬ ও ৭৭ নং আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দুই ভাই নিজ এলাকায় ব্যবসা ও কৃষি কাজ করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত, দলের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছি। এ ঘটনার আমরা কিছুই জানি না এবং বাদীকেও চিনি না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাভাবে কে বা কাহারা আমাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা হেও প্রতিপন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্তের শিকার হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আমারা সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর আল মামুন মিঠু, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনতাজ আলী মাস্টার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাওলাদার মজিবুর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বিগত দিনে আওয়ামী দুঃশাসন আমলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম’র নেতৃত্ব রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বিএনপি’র দুঃসময়ে মজিবর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের কোনদিন কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখি নাই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার দেশত্যাগের পরেই বাবুল ও তার সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও মৎস্য ঘের দখলসহ নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে তারা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে। তারেক রহমানের নির্দেশ, দলে কোন চাঁদাবাজকে স্থান দেয়া হবেনা। আমরা সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অবিলম্বে বাবুলসহ তার সহযোগীদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আকাশী মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস, প্রকাশ বিশ্বাস, সমিৎ ঢালী, মনি মোহন মন্ডল, পিনাক মিস্ত্রী, শংকর ঢালী, নিখিল বিশ্বাস প্রমুখ।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অপবাদ দিয়ে অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাববুনিয়া এলাকার মোঃ ফিরোজ মল্লিক নামের এক ব্যক্তি।
শনিবার(১১ জানুয়ারি) দুপুর ১ টায় উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের হাতীরবেড় এলাকার প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৮ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা) সার্কেল বরাবর জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ দায়ের করেন ভাগা এলাকার মৃত নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের মেয়ে তিথি মজুমদার।
অভিযোগে আমিসহ স্থানীয় আকবর হোসেন আকো, নাছির সরদার, আকবর শেখ, হালিম শেখ, সেকেন্দার সরদার ও পরিতোষ মন্ডলের নাম উল্লেখ করেন।
এছাড়াও আমাদের ওপর অভিযোগ আনেন, আমরা তার মৎস্য ঘেরের অনেক টাকার মাছ ও কাঁকড়া আত্মসাৎ করতেছি। প্রকৃতপক্ষে আমরা কোন জমি জোরপূর্বক দখলই করি নাই। আমরা আমাদের জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি। অভিযোগ দায়ের পরে ‘সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল’ শিরোনামে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। একটি কুচক্রী মহলের পরামর্শে তিথি মজুমদার সমাজে আমাদের সম্মানহানির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি মিথ্যা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তিথি মজুমদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ফুটবল খেলায় প্রধান অতিথি না করায় বহিরাগতদের দিয়ে খেলোয়ার ও আয়োজকদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদী দেওয়ানপাড়া এলাকায় গ্রামবাসীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
অভিযুক্ত ওই নেতার নাম ডিজি রাব্বানী, তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে রয়েছেন বলে দাবী করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি ফুটবল খেলার আয়োজন করেন। ওই খেলা প্রচারে লিফলেট বিএনপির সভাপতি দাবী করা নেতা ডিজি রাব্বানীকে প্রধান অতিথি না করায় আগের দিন গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বহিরাগত লোকজন ভাড়া করে এনে স্টেজ ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে খেলার আয়োজক নাজমুল (৩৫) ও জাহিদ (২৮) কে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই এলাকা থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যারা কাজটা করেছে তারা ভালো করেনি। এটা আমদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে।
অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, অভিযোগের তদন্ত করতে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
রামপালে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার কাশিপুর এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
প্রতিবাদ সভায় জানানো হয়,গত ১ অক্টোবর,
রামপালের কাশিপুর ফকিরপাড়া মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষকে হুমকি’ শিরোনামে আঞ্চলিক ও কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এতে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদার ফকির অভিযোগ করেন ‘একই এলাকার আওয়াল শেখের ছেলে শিমুল শেখ মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোল্যা মুজিবর রহমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগী ছিলেন শিমুল। গত ১৭ বছর ধরে হয়রানি করে আসছে মানুষকে। সে আব্দুল্লাহ ফকিরের ডানহাত ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে এখন খোলস পাল্টে দলে ভীড়তে চাইছে।
এ সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
‘ইলিয়াস আহমেদ শিমুল জানান, আমি বাইনতলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছি। উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে আমাকে সামাজিক ও দলীয়ভাবে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য দিদার ফকির মিথ্যা সংবাদ সাংবাদিকদের দিয়ে প্রচার করায়। আমি কাউকে কোন হুমকি ধামকি দেয়নি। আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
‘বাইনতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহফুজুর রহমান চিক জানান, শিমুল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছে। সে দলীয় সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিল। বাইরে থেকেও দলীয় সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। যারা তার নামে আওয়ামী লীগ কর্মীর ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করছে এবং মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে সেসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
‘বিএনপি নেতা লুকমান শেখ জানান, শিমুল বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকারের সহ্য করেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর রেখেছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
‘বিএনপি নেতা আবু বকার জানান, শিমুল বাইনতলা ইউনিয়ন বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। বিগত সরকারের আমলে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে। তাকে কিছু লোক আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুলের কাছে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কানিহাটি চা বাগানে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কারের চাপায় কুঞ্জ বালা মৃর্ধা (৫০) নামে এক নারী চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ ইং, বিকাল ৫টার সময় উপজেলার শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়কের ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কুঞ্জ বালা মৃধা বাগানের অফিস লাইনের বাসিন্দা ও রতন মৃধার স্ত্রী।
দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে প্রতিবাদে কানিহাটি চা বাগানের সাধারণ চা শ্রমিকরা শমসেরনগর-চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। রাত ৯টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা।
রাত ৯টার পরে কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম-সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ সময় শ্রমিকরা বলেন, ওই এলাকায় দ্রুত কয়েকটি স্পিড ব্রেকার নির্মাণ ও দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানিহাটি চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক কুঞ্জ বালা মৃর্ধা সেকশনে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকাল পৌনে ৫টার সময় ক্যামেলিয়া হাসপাতালের সামনের পাকা রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে বাগানের ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাগানের চা শ্রমিকরা দ্রুত বিচার দাবি করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছে। পরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী শ্রমিক নিহত ও রাস্তা অবরোধের খবর জানার পর কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম-সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তিনি আরও বলেন, গাড়িসহ গাড়ি চালক পলাতক। পলাতক চালককে দ্রুত আটকের চেষ্টায় মাঠে রয়েছে পুলিশ।
এ সময় প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জগৎপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক নির্যাতনে শিকার হয়ে ঐ মাদ্রাসার এক দাখিল পরীক্ষার্থী ছাত্রী গত ১৬ জানুয়ারি বিষ পান করে আত্নহত্যার চেষ্টার করে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মুমূর্ষ ভিকটিম তার নিকট আত্নীয়ের নিকট জবানবন্দি প্রদান করে ও তার পিতার অভিযোগের ভিক্তিতে ১৯ জানুয়ারি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জগৎপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এই হয়রানী মুলক মামলার সুষ্ট তদন্ত ও ছাত্রী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেন মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় ডেইলী নিউনেশন পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ মছব্বির আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও গণমুক্তি পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি চিনু রঞ্জন তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা সাংরাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ডেইলী বাংলাদেশ টুডে ও আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি এ,কে,অলক, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক দৈনিক আমাদের কন্ঠের পত্রিকার প্রতিনিধি মশাহিদ আহমদ, রাজনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আউয়াল কালাম বেগ, রাজনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আক্তার হোসেন সাগর, সাংবাদিক মমশাদ আহমদ, এনটিভি ইউরোপ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমন, দৈনিক ভোরের ডাক মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা মোঃ জালাল উদ্দিন, দৈনিক ভোরের সময় নিজস্ব প্রতিনিধ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান, সাংবাদিক এম এ সামাদ, প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলতে ছেলে হত্যার বিচার ও প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে কবর থেকে লাশের কঙ্কাল তুলে তিন ঘণ্টা বাজার প্রদক্ষিণ করেছেন দিনমজুর পিতা মনির হোসেন। পরে ইউএনওর নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য কঙ্কালকে পুনরায় কবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার সময় ৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকা মেঘনার পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকালে নিহত রাসেলের পিতা মনিরকে মারধর করে তার সহোদর ভাই বাবুল বেপারি। এই সময় মনির চিৎকার করে বলেন, বাবুলই তার ছেলেকে হত্যা করেছে। রাহুল নামের একজনকে ফাঁসিয়ে বাবুল ও একই ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল টাকা ও জমি আত্মসাৎ করেছেন। ওই সময়ে জমি ও ১২ লাখ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নজরুলের সহযোগিতায় বাবুল বেপারি এক নং আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুলসহ অন্য আসামিদের উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাইয়ে দেন।
তারা আরও বলেন, জমি ও টাকা না পেয়েই হয়তো এ কাণ্ড করতে পারেন মনির। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছেলে হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনও করেছিলেন নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম ও পিতা মনির হোসেনসহ স্বজনরা।
৮নং চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকা মেঘনার পাড়ে মূল খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকা মেঘনার পাড়ে মূল খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল
তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ও বাবুল বেপারি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন বলেন, নিহত কিশোর রাসেলের লাশের কঙ্কাল কবর থেকে তুলে একটি টুকরিতে করে মাথায় নিয়ে ছেলে হত্যার বিচার ও মূল হত্যাকারী বাবুলকে আটকের দাবিতে মিয়ারহাট বাজার ঘুরে বেড়ান দিনমজুর মনির হোসেন ভুট্টু বেপারি। খবর পেয়ে ইউএনওকে জানিয়ে চেয়ারম্যানসহ আমরা মনিরকে বুঝিয়ে আবার কঙ্কালগুলো কবর দিয়েছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার, মাছঘাট দখল ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে শাহজালাল রাহুল ও নজরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছরের গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে চরবংশীর মিয়ারহাটের রাহুল মাছঘাটে পাশের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই বাবুল বেপারির সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুলের মাছঘাটের ম্যানেজার ফারুক কারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও কথা-কাটাকাটি হয়।
ইউএনওর নির্দেশে কঙ্কালকে পুনরায় কবর দেওয়া হয়
ইউএনওর নির্দেশে কঙ্কালকে পুনরায় কবর দেওয়া হয়
একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় রাসেল হোসেন ছুরিকাঘাতে নিহত হয় এবং ১০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় রায়পুর থানায় নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে শাহজালাল রাহুলসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় শাহজালাল রাহুলসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে রায়পুরের হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে মনির হোসেনকে বুঝিয়ে লাশের কঙ্কাল কবর দেওয়া হয়। কিশোর ছেলে হত্যা মামলায় বাবুল বেপারির নাম নেই। তারপরও যদি মনির বেপারি লিখিত অভিযোগ দেন তার ছোট ভাই বাবুল বেপারির বিরুদ্ধে, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
রাজধানীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সহিংসতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলায় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছে। এসময় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আহত পাঁচ সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবলিম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।
সেখানে বক্তারা বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা, নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে তা সাংবাদিকতা পেশার জন্য বড় ধরনের হুমকি ও উদ্বেগজনক।
সাংবাদিকরা জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজের অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরে।
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের খবর প্রকাশ করার সময় তারা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেন এবং হামলা চালায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান বক্তারা।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানোর পাশাপাশি এটি করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
তারা আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মারপিট ও নির্যাতন ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার ও আহতদের সরকারী ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।এরুপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তুলবে সাংবাদিক সমাজ।
সংবাদকর্মী রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদ সমাবেশে আসা সাংবাদিকরা
রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক আলী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. বিপ্লব
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশসহ অন্যান্য সদস্যরা, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।