Tag: পরিবেশ

  • মাধবপুরে শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণে পরিবেশ হুমকির মুখে, ল্যাব টেস্টে মিলেছে দুষণ।

    মাধবপুরে শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণে পরিবেশ হুমকির মুখে, ল্যাব টেস্টে মিলেছে দুষণ।

    মাধবপুরহবিগঞ্জপ্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের পরিবেশ ও বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত বর্জ্য খালের ছেড়ে দেওয়ায় দুষণ ছড়িয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়।
    স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হরিতলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি., পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি. ও নাহিদ টেক্সটাইল লি. নামে তিনটি বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি তাদের উৎপাদিত অপরিশোধিত বর্জ্য পাশ্ববর্তী খাল দিয়ে নিষ্কাশন করছে। স্থানীয়দের কাছে ওই খালটি ‘রাজখাল’ নামে পরিচিত।
    তারা জানান- এক সময় এই খালে মাছ শিকার করতেন এলাকার মানুষ। তখন বিভিন্ন ধরণের দেশীয় মাছের বিচরণ ছিল খালে। এখন সেই খালে মাছ থাকা দূরের কথা, খালের পানি পোড়া মবিলের মতো কুচকুচে কালো। দুর্গন্ধে আশপাশে টেকা মুশকিল।
    উপজেলার সাতপাড়িয়া, খতিয়ারপুর, পিয়াম ও সাকুসাইল গ্রামের মানুষরা সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার। এই খালের পানিতে নেমে মারা যাচ্ছে হাঁস-গোরগ, পানি পুকুরে প্রবেশ করে মারা যাচ্ছে চাষের মাছও। এমন কি গৃহপালিত পশু এই খালের পানি পান করে বিভিন্ন সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট ও চর্মসহ বিভিন্ন রোগে।
    সম্প্রতি খাল ও অভিযুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান তিনটি থেকে নির্গত পানির মান পরিক্ষা করেছে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়। যেখানে খালের পানি অতিরিক্ত মাত্রায় দুষণের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া একটি কারখানার পানিতেও অতিমাত্রায় দুষণ পাওয়া গেছে।
    পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী ভেতরস্থ পানির পৃষ্ঠর স্বাভাবিক মান ৬ থেকে ৯ পিএইচ হওয়ার কথা। কিন্তু রাজখালের পানি ল্যাব পরিক্ষায় ১০ দশমিক ৬৫ পাওয়া গেছে। সিওডি এর স্বাভাবিক মান প্রতি লিটারে ৫০ মিলিগ্রাম। সেখানে রয়েছে ১ হাজার ২০৮ মিলিগ্রাম এবং টিডিএস লিটারে ১০০০ মিলিগ্রামের স্বাভাবিক স্থলে রয়েছে ১ হাজার ৯৪৯ মিলিগ্রাম।
    আশপাশের অন্তত ৫টি হাওরের ফসলি জমিতে সেচের বড় উৎস এই রাজখাল। অথচ খালটি দুষণের কারণে ওই এলাকার অনেক জমি এখন অনাবাদি থাকছে। যেসব জমিতে ধান চাষ হচ্ছে সেগুলোতেও কমে গেছে উৎপাদন। সেই সাথে জমি প্রস্তুতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
    সাতপাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই খালে এক সময় আমরা মাছ ধরতাম। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত খালের মধ্যে। কিন্তু এখন মাছ পাওয়াতো দূরের কথা, দুর্গেন্ধের কারণে খালের আশপাশে যাওয়া যায় না। খালো নামলে কোমর পর্যন্ত ঢুকে যায়। পানি কুচকুচে খালো।’
    একই গ্রামের মোতাহের হুসাইন বলেন, ‘আমরা বাড়ির পাশ দিয়ে এই খাল বয়ে গেছে। কোম্পানীর পঁচা পানি ছাড়ার কারণে দুর্গেন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। হাঁস-মোরগ, গরু-ছাগল পানিতে নামলে মারা যায়, অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদেরও এই পানিতে পা-হাত লাগালে চুলকায়। কোম্পানীর পানির কারণে আমরা খুব কষ্টে আছি।’
    তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও আমার গ্রামের এক খামারির দুইশ’ হাঁস মারা গেছে। এছাড়া আমার চাচাতো ভাইয়েরও ৭-৮টি হাঁস মারা গেছে।
    আব্দুল কাদির নামে এক কৃষক বলেন, ‘খালের পানি দিয়ে সেচ দেওয়া যায় না। বর্ষায় এই পানি জমিতে ঢুকে জমির মধ্যে ক্যামিকেলের লেয়ার পড়ে থাকে। এগুলোর কারণে ফলন হয় না। আবার লেয়ার পরিস্কার করতে গেলে প্রতি বিঘায় ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে আমাদের।
    কৃষক রুক্কু মিয়া বলেন, ‘এই পানি যে জমিতে ঢুকে সেই জমিতে ধান হয় না। আমাদের এলাকায় অনেক জমি আছে সেগুলো অনাবাদি পড়ে থাকে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করার সাহস পাই না। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়।
    এলাকাবাসীর অভিযোগ- দুষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কারখানার নিয়োজিত দালালদের মাধ্যমে দেওয়া হয় হুমকি-ধামকি। প্রায় সময় মারপিট করার অভিযোগও করেন কেউ কেউ।
    প্রতিবেদন সংগ্রহের সময় ঘটনাস্থলে হঠাৎ উপস্থিত হন কারখানার নিয়োজিত তিন দালাল। তার মধ্যে একজন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা এনামুল হক এ্যানি। তার সাথে স্থানীয় দুই যুবক।
    এ সময় তারা কারখানার পক্ষে চাপাই গেয়ে উত্তেজিত হন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর। ছাত্রদল নেতা এ্যানি বলেন, ‘এই এলাকায় ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার কারণে এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। আপনারা এই উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চান। আমি মনে করি আপনারা ভারতের ‘র’ এর এজেন্ড হিসেবে কাজ করছেন।’এ সময় তারা দূষণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার হুমকিও দেন।
    এদিকে, সম্প্রতি রাজখাল ও এর আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করেছেন ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’র নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা জানান, দুষণ বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘মাধবপুরে দীর্ঘদিন ধরে শিল্পদূষণ হচ্ছে, যা স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আমরা চাই ইন্ডাস্ট্রি হোক, কর্মসংস্থান হোক। তবে ইন্ডাস্ট্রিগুলো তাদের বর্জ্য পরিশোধন নিশ্চিত করবে, সেটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা তা করছে না।’
    তিনি বলেন, ‘রাজ খালের দুষিত পানি বলভদ্র নদী হয়ে মেঘনা পর্যন্ত গিয়ে পড়ছে। যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা জানি, এই দূষণ মনিটরিংয়ের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। তবে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।
    শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে, এই এলাকায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে উন্নয়ন হতে পারে না। এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে। আমরা মামলা পর্যন্ত যওয়ার কথা ভাবতে পারি।
    সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘আমরা হাঁস মারা যাওয়ার পর রাজখাল থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করি। এছাড়া তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত পানির নমুনাও সংগ্রহ করি। তবে খালের পানিতে দেখা গেছে প্যারামিটার অনেক বাইরে। একইভাবে তিনটি গ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত পানির মানেও মাত্রাতিরিক্ত দুষণ পাওয়া গেছে। তবে প্রক্রিয়া চলমান থাকায় সেই প্রতিষ্ঠানের নাম এই মূহূর্তে প্রকাশ করতে চাই না। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট আইনে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
  • আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য: ডা. শফিকুর রহমান।

    আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য: ডা. শফিকুর রহমান।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই আন্দোলনের বীর সৈনিকদের, আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, যে সমস্ত তরুণ তরুণী ছাত্রসমাজ, বুক পেতে জালিমের বুলেট বুকে রূপে নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছিল ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’- তাদের ক্ষোভটা ছিল সাড়ে ১৫টা বছর।
    শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, দুপুরে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা’র আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি বলেন, প্যাসিস সরকার, জাতির ঘাড়ে, চেপে বসে, জাতির সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দেশটাকে শ্মশান কিংবা গোরস্তানে পরিণত করেছিল। ওরা মাঝে মাঝে বলতো- এই দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমি চিৎকার দিয়ে বলতাম হা শান্তি তোমার স্থাপন করেছ কবরস্থানে শান্তি, কারণ কবরস্থানে কোন মানুষ জীবিত থাকে না, এইজন্যে তাদের হাসি কান্না শোনা যায় না। বাংলাদেশ থেকে তোমরা সমস্ত অধিকার হরণ করে, মানুষের সমস্ত অধিকার হত্যা করে, এরকমই তোমরা গুরুস্তানে পরিণত করেছ, এইজন্য হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না।
    মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামির আলী, সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মোঃ ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিুবুর রহমান প্রমুখ।
    আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সাড়ে ১৫ বছর খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করেছিল, তার জানান দিয়েছিল ক্ষমতায় আসার আগে, দুই বছর আগে, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্পষ্ট দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তান্ডব চালিয়ে আদম সন্তানদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে, তাদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নাচানাচি ও ফালাফালি করেছিল। তখন তারা জাতিকে জানিয়ে দিয়েছিল আমরা ক্ষমতায় আসলে খুনের রাজনীতি করবো।
    তিনি বলেন, আমরা সেদিন আমাদের বুকের কান্না বাংলাদেশের জনগণের কাছে হয়ত বা পৌঁছাতে পারিনি। বহু কায়দা করে, পয়েন্ট মুখপেক একটি জঘন্য সরকারের হাত ধরে পিছনের দরজায় বোঝাপড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় বসে, সেই খুনের নেশা বাস্তবায়নের কর্মসূচি তারা হাতে নেয়।
    তিনি আরও বলেন, সর্বপ্রথম তারা খুন করে আমাদের ৫৭ জন কমিটেড দেশপ্রেমিক চৌকষ সেনা অফিসারকে, বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায়। ২৫ এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি। ক্ষমতায় আসলো ১০ জানুয়ারি, দুইটা মাস ও যেতে না যেতে।খুনের রাজত্ব তারা কায়েম করা শুরু করে দিল। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দিন। বিডিআরকে ধ্বংস করে। সেই বাহিনীর সাড়ে ১৭ হাজার সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করলো। সাড়ে ৮ হাজারকে সদস্যকে জেলে নিল। জেলের ভেতরে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩’শর অধিক মারাই গেল। আমাদের গর্বের বাহিনী ধ্বংস হলো। ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে তাদেরকে ব্যবহার করে চক্রান্ত করে তাদের ধ্বংস করে দিল। আমাদের গর্বিত এ বাহিনীর নাম বদলে বিজিবি রাখা হয়েছে। আগে ছিল আমাদের নামের সাথে বাংলাদেশের মিল, বাংলাদেশ রাইফেলস। আর এখন নাম দিয়েছে বর্ডারের চৌকিদার। লোগো বদলিয়েছে, ড্রেস বদলিয়েছে, নাম বদলিয়ে ফেলেছে। কারা এগুলা করলো, কারা হত্যাকারী ছিল, জাতিকে জানতে দেওয়া হলো না। লুকোচুরি করা হলো। রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে দিয়ে, অন্ধকার করে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হলো। একটা বিশেষ দেশের প্লেন কেন এসেছিল ঢাকায়? এরপর হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল কীভাবে? তার জবাব স্বৈরাচারী সরকারা না দিলেও একদিন তাদেরকে দিতে হবে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
    ডা. শফিকুর রহমান, বলেন, এরপর শুরু হলো তাদের তাণ্ডব। তাদের প্রথম লক্ষ্যবস্তু করলো জামায়াতে ইসলামীকে, যারা পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক। যারা তাদের সততায় দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। দায়িত্বের পরতে পরতে সেই সমস্ত নেতাদের ঠান্ডা মাথায়, মিথ্যা অভিযোগ এনে, সাজানো কোর্ট, পাতানো সাক্ষী দিয়ে এবং ব্রাসেলস থেকে রায় এনে সেই সমস্ত নেতাদেরকে খুন করা হলো, ফাঁসি দেওয়া হলো, কাউকে কাউকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। তারা জেলের ভিতর ইন্তেকাল করলেন। আল্লাহ তাআ’লা তাদের সকলকে মর্যাদাবান শহীদি হিসেবে কবুল করুন।
    তিনি বলেন, আমরা তখন আমাদের সমস্ত বন্ধু রাজনৈতিক সংগঠনকে বলেছিলাম, এটি জামায়াতের ওপর আঘাত নয়। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের এই বিশাল দেওয়াল ভেঙ্গে দিলে বাকিরা সবাই ভেসে যাবেন, কেউ টিকতে পারবেন না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। ফ্যাসিজমকে সম্মিলিতভাবে আমরা মোকাবিলা করি। আফসোস আমরা কথাগুলো বোঝাইতে পারিনাই। সবাই মিলে একসঙ্গে সেই যুদ্ধটা করতে পারলাম না। তার পরের ইতিহাস আপনাদের সামনে পরিষ্কার। তারা আর কাউকে ছাড়লো না। এক এক করে সবাইকে ধরলো। বিএনপিকে ধরলো, হেফাজতকে ধরলো, আলেম ওলামাকে ধরলো, অন্যান্য দলকে ধরলো। কাউকে তারা ছাড় দিল না। এমনকি এই যে, সাংবাদিক বন্ধুরা আজকে এসেছেন নিউজ কাভার করতে, তাদেরকেও ধরলো। তাদেরকে খুন করলো, তাদেরকে আমাদের সঙ্গে গুম করলো। তাদের আয়না ঘরে পাঠালো, কাউকে কাউকে ভারতের ওপারে বর্ডারে নিয়ে ফেলে দিল। এভাবে তারা সারাটা দেশকে নরকে পরিণত করেছিল।
    এসময় তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দফায় দফায় অনেক আন্দোলন সংগ্রাম আমরা করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি আমরা ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, ওদেরকে বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানেরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদেরকে ভালোবাসা উপহার দিচ্ছি, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদেরকে স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ তাআলার সাহায্যে একটা অসাধ্যকে তারা সাধন করেছে। এরকম সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতেই তুলে দেব ইনশাআল্লাহ।
    প্রিয় মৌলভীবাজার বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক- বীমা- সেক্টর- কর্পোরেশণ- সবকিছু লুটেপুটে শেষ করে দিয়ে, এই দেশের মানুষের কষ্টের অর্জিত বঞ্চিত আমানত সবকিছু গিলে ফেলে, তারা নিজেরা পালানোর আগে সবকিছু বিদেশে পাচার করেছে।
    সবাইকে তিনি প্রশ্ন করেন, পালায় কারা। গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা। যে দেশকে ভালোবাসে জনগণকে ভালোবাসে সে কখনো পালায় না। হা গাল বড়া বুড়ি দিয়েছিলেন, সেই চোর ডাকাতের লিডার। আমি অমুকের মেয়ে আমি পালাবো না। এইযে সব যুবকরা বলিতেছে আমাদের ভোট সে চুরি করেছিল। তিনটা নির্বাচন আজ যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর হয়েছে তারা একটা ভোটও দিতে পারেনি। তাদের সমস্ত ভোটকে জেনুসাইড করেছিল, গণহত্যা করেছিল। ভোটের গণহত্যা। এদের নৈতিক সাহস ছিল না দেশে থাকার। এ জন্য দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আর পালাতে গিয়ে কারও কারও অবস্থা এমন হয়েছিল যে, রসিক সিলেটবাসী তাদের কলাপাতায় শুয়ে দিয়েছিল। আপনারা রসিক না বেরসিক বুজতে পড়েনি। তাকে জিজ্ঞেস করেছে আপনি কেগো। বলে আমি শামসুদ্দিন চৌধুরী। কয় স্যার আপনি কি কালো মানিক। জিজি আমি কালো মানিক। আপনি কোথায় আছেন। সম্ভবত ভারতে আছি। কয় নাগো যাদু, আপনি যেতে পারেন নাই আটকা পড়ে গেছে। কি দুর্ভাগ্য  সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। তিনি এতটাই দলবাস ছিলেন, বিচারকের চেয়ারে বসে রাজনীতির হুংকারী দিতেন। আল্লাহ তাআ’লা ন্যায় বিচারক। আসল বিচার তো হবে হাশরের দিন। কিন্তু দুনিয়াও আল্লাহ তাআ’লা কিছু করেন। নাইলে দুনিয়ার ভারসাম্য রক্ষা হয়না। তাই সামান্য একটু আমরা দেখেছি মাত্র। আসল টা আল্লাহ তাআ’লা জিম্মায় রয়ে গেছে। এই সমস্ত খুনি সন্ত্রাসী সকল অপরাধী। এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্ভিদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। প্রত্যেকটা অন্যায় অপরাধের বিচার করতে হবে। প্রিয় ভাইয়েরা, জাতিকে এরা ৫৩ বছর কায়দা কৌশলে ফ্যাসিজমের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, মেজরিটি শক্তি, মাইনরেটি শক্তি, কতভাবে যে এরা ভাগ করেছে এ জাতিকে। কারণ একটা জাতিকে যখন টুকরা টুকরা করা যায়। তখন তাদেরকে গোলাম বানানো সহজ হয়। এরা ধরে নিয়েছিল তারা দেশের মালিক। আর আমরা সবাই ভাড়াটিয়া। হা মালিকরাই দেশে আছে, ভাড়াটিয়া রাই পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা ৫ তারিখের এই বিশাল নেয়ামত আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহ উপহার এই জাতিকে। সাথে সাথে জাতিকে ও আমাদের সহকর্মীকে আহবান জানিয়েছিল। আমরা দেশকে ভালবাসি এদেশের মানুষকে ভালোবাসি। অতএব আমাদেরকে দায়িত্বশীলের পরিচয়।
    তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিদেশী দেশকে বলতে চাই- আপনারা শান্তিতে থাকেন। আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেন। আপনাদের পাক ঘরে কী পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না। আমাদের পাক ঘরে উঁকি মারার চেষ্টা করবেন না। নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখুন। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না।
    জামায়াতে ইসলামীর আমির উল্লেখ করেন, যেখানে আমাদের শীর্ষ ১১ নেতাকে খুন করা হয়েছে, সবগুলো অফিস তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, আমাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বেদিশা হয়ে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ পর্যন্ত করা হয়েছে। এত যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বলেছি- আমরা দেশকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।
    নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাইলে আমরা কিছু কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতাম। কিছু দখল নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। প্রিয় বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আরও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দিতে পারবেন ধৈর্যের পরিচয়? এসময় সবাই হাত তুলে সায় দেন।
    জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠাবো। আমরা মেধার স্বীকৃতি প্রদান করবো, পলিটক্রেসি নয়। মেরিটক্রেসির ভিত্তিতে জাতি গঠন করবো। যুবকদেরকে শিক্ষা দিয়ে বেকারের হাত বাড়াবো না, যুবকদের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করবো।
    তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অ্যাগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয় নেই। কেন? মৌলভীবাজার কী অপরাধ করেছে? সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, এই জেলার কৃতি সন্তান একজন কৃতি অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সারাদেশকে সমান চোখে দেখতেন। আগামীবার একনেকে যেন মৌলভীবাজারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ দিয়ে অন্য কোনো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই দাবি জানান।
    তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৌলভীবাজারে সবচেয়ে বেশি চা বাগান। রাষ্ট্রীয় যথাযথ পর্যবেক্ষণ না থাকায় চা শিল্প ধ্বংস হওয়ার পথে। মালিক পক্ষ চায়ের যথাযথ মূল্য পান না। শ্রমিকরাও পারিশ্রমিক পান না।
    তিনি নেতাকর্মীদের চারটি বিষয় তুলে ধরেন- এর মধ্যে নিয়ত সহিহ করে জ্ঞানের রাজ্যে এগিয়ে গিয়ে সাহসী হয়ে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। সব শেষে তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
    উক্ত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ জেলা আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব ও মোঃ আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ফয়জুল কবির ময়ুন, খেলাফত মজলিস নেতা অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, মৌলভীবাজার জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরিফ মাহমুদ, পল্টন থানা জামায়তের আমির শাহীন আহমদ খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইন, জেলা শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, বড়লেখা উপজেলার সাবেক আমির মোঃ কমর উদ্দিন, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির মো; ফখরুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলার আমির মোঃ এমদাদুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলার আমির আবুর রাইয়ান শাহীন, কুলাউড়া উপজেলার আমির অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিম, জুড়ী উপজেলার আমির আব্দুল হাই হেলাল, শ্রীমঙ্গল উপজেলার আমির মাওলানা ইসমাঈল হোসেন ও কমলগঞ্জ উপজেলা আমির মোঃ মাসুক মিয়া। সমাবেশ শেষে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার বিশিষ্টজন, সুধী ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
  • রামপালে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে,৫ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড।

    রামপালে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে,৫ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড।

    বাগেরহাটের রামপালে  নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও (বিএসটিআই) এর লাইসেন্স ছাড়া খাবার পানি প্রক্রিয়াজাত করার অপরাধে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 
     
    সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে রামপাল উপজেলার ফয়লা ও ভাগা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসব প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৮ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান  করেন।
     
     
    এসময় দন্ডের অর্থ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেছেন। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় এই ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
     
     
    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে নোংরা পরিবেশে খাবার দ্রব্য তৈরি এবং বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়া খাবার পানি প্রক্রিয়ার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর  ৪৩ ধারায়  প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে মোট ২৮,০০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান  করা হয়েছে। 
     
     
    তিনি বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য/ঔষধ বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারী করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভিযানে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি টিম সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
  • পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের বিকল্প নাই-পরিবেশমন্ত্রী।

    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের বিকল্প নাই-পরিবেশমন্ত্রী।

    মৌলভীবাজারের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের বিকল্প নাই। ছাদ কৃষি ও সামাজিক বনায়নয়ের মাধ্যমে দেশের মোট বনায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মৌলভীবাজারে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
    মন্ত্রী আরও বলেন, জলাবায়ু ও উঞ্চতা নিয়ত্রনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাড়ে ২০ কোটি গাছ লাগানো হবে, এতে করে বৃষ্টি হবে ও উঞ্চতা কমবে। এছাড়াও পলিথিন বন্ধে নানা প্রদক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন, উপক’ল অঞ্চলের ৮টি জেলার ৪০টি উপজেলায় পলিথিন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে করা হবে। এসময় পৌরসভার পলিথিন ক্রয় এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা একটা মডেল, এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে, পলিথিন থেকে তেল তৈরীর ব্যবস্থাও নেয়া হবে। এসময় তিনি বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এসডিজি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও গাছই কাটা যাবেনা, এটা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ২০২৩ইং, সকাল সাড়ে ১০ টার সময় পৌরসভার পুকুরে পোনা মাছ উন্মোক্ত করেন। পরে সরকারী স্কুল মাঠে ফিতাকেটে ও বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন। আবার পৌরসভা থেকে একটি বন্যাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পরে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার রাজনগর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ, সৈয়দা জহুরা আলা উদ্দিন এম পি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন-সহ প্রমুখ।
    এছাড়াও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বৃক্ষমেলায় সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে ২২টি স্টল অংশ গ্রহন করেছে। মেলাস্থলে মন্ত্রী, এমপি ও জেলাপ্রশাসক ৩টি গাছের চারা রোপন করেন।
  • ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন।

    ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন।

    ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়েছে।এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    “প্লাস্টিকের দূষণের সমাধানে সামিল হই সকলে” এই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি শ্লোগানে সারা দেশের সাথে নীলফামারীর ডিমলায় “বিশ্ব পরিবেশ দিবস”-২০২৩ পালন উপলক্ষে র‍্যালী, আলোচনা সভা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (৫ই জুন) সকালে ডিমলা উপজেলা পল্লীশ্রী’র পরিবেশ প্রকল্পের আয়োজনে, বিএমজেড ও নেট্জ এর সহযোগিতায় দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি র‍্যালী বেরিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করার পর উপজেলা পরিষদের হলরুমে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

    পল্লীশ্রী পরিবেশ প্রকল্পের খগাখড়িবাড়ী কমিউনিটি সি,এস,ও লিডার দুলালী বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।

    প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে নিজ দ্বায়িত্বে কাজ করে যেতে হবে, তানা হলে যেহারে চারিদিকে পরিবেশ ও শব্দ দূষণ হচ্ছে এতে খুব অধিকাংশ মানুষজন বধির হয়ে জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই আসুন জটিল-কঠিন ও বধিরত্বের হাত থেকে বাঁচতে, পরিবেশ দূষণে স্বেচ্চার হই সেই সাথে বেশি বেশি গাছ লাগাই।

    অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য দেন পল্লীশ্রী পরিবেশ প্রকল্পের উপজেলা উপজেলা সমন্বয়কারী নূর নাহার বেগম।

    প্রকল্পটির এ্যাসিসটেন্ট সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা সমন্বয়কারী এম,এ মকিম চৌধুরী।নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি সভায় প্রকল্পের প্রোগ্রাম ফেসিলেটেটর শাইনুল ইসলাম পরিবেশ বিষয়ক বক্তব্যে পলিথিন উপাদান, বিক্রয়, প্রদর্শন, আমদানি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করনের দাবী জানিয়েছেন।

    আলোচনা সভা শেষে পল্লীশ্রী পরিবেশ প্রকল্পের কমিউনিটি সি,এস,ও লিডার এবং সদস্যদের মাঝে ১০০টি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে একটি বকুল ফুলের গাছ রোপণ করা হয়। এছাড়াও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মাঠে পরে থাকা ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন পরিস্কার করে বস্তাবন্দি করে।

  • পৃথিবীতে পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নাই-শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি।

    পৃথিবীতে পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নাই-শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি।

    পৃথিবীতে পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নাই-শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি।


    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সুরক্ষার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশকে সবুজায়ন করতে আমরা ১ দিনে দেশে ৩৫ লক্ষ গাছের চারা লাগিয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব পুরস্কার পেয়েছেন। তাই দেশকে সবুজায়ন করতে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনসহ দেশের সকল জনগণকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। পৃথিবীকে সবুজায়ন করতে হলে শিক্ষার্থীদের ছোটকাল থেকে গাছের যত্ন নিতে শেখাতে হবে। সারা পৃথিবীর পরিবেশ বিনষ্ট করে আমরা কোথায় নিয়ে গেছি। বিনষ্ট পৃথিবীকে সুন্দর করতে হলে বৃক্ষ রোপন দরকার।

    তিনি বলেন, ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সা¤প্রতিক বন্যার ভেসে যায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের বইখাতাসহ শিক্ষা সরঞ্জাম। বইপত্র হারিয়ে সবচেয়ে বিপাকে পরে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।
    সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীরস্থ একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারিটি সংগঠন ন্যাশনওয়াইড এসোসিয়েশন ফর ইনট্রিগ্রেটেড ডেভলাপমেন্ট (নেইড) ইউকে আয়োজিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ ও একটি রিমোট মেডিকেল সেন্টার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
    নেইড এর চেয়ারম্যান আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যের অঙ্গরাজ্য ওয়েলস এর প্রধান বিচারপতি ও ফিনল্যান্ডের অনারারী কনসাল মি: জুলিয়ান এফ. ডবিøউ. ফিলিপ্স, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,সিলেট জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, ওসমানীনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক,ওসমানীনগর সার্কেল অফিসার রফিকুল ইসলাম,ওসমানীনগর থানার এস আই সুবিনয়।

    উপস্থিত ছিলেন, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তী, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবেল আহমদ সেকেল, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল প্রমুখ।

  • “কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটে”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন।

    “কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটে”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন।

    কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটে”র বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন।


    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় “কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটে”র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন। “একটাই পৃথিবী: প্রকৃতির ঐক্যতানে টেকসই জীবন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কলাপাড়ায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করেছে কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোট।

    রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের চিংগুড়িয়া জ্বীন খালের পাড়ের উপর বিভিন্ন প্রকারের বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তারা।

    এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান,কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম,সাধারণ সম্পাদক গৌতম হাওলাদার, সহ-সভাপতি ফয়েজ আহম্মেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, অর্থ সম্পাদক সুমন মল্লিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, জীবন ধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপপূর্ণ মৌলিক চাহিদা হল অক্সিজেন। যা আমাদের যোগান দেয় উদ্ভিদ। জীবন ও পরিবেশের জন্য বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। তাই পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে ২০০টি বৃক্ষরোপণ করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

    পরে কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটের সদস্যরা মঙ্গলসুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদ চলাচল ও দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুলের সামনে দুটি স্পিড ব্রেকারে নতুন করে জেব্রা ক্রসিং রং প্রলেপন করে দেয়া হয়। পর্যাক্রমে পৌর শহরের সকল স্পিড ব্রেকারে জেব্রা ক্রসিং রং প্রলেপন করে দেয়া হবে।

  • ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত।

    ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত।

    ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত


    নীলফামারীর ডিমলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে। একটাই পৃথিবী  প্রকৃতির ঐকটানে টেকসই জীবন, পরিবেশ দূষন বন্ধ করি, বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার (৫ মে) সকালে ডিমলা উপজেলা পরিবেশ সংরক্ষন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এসোসিয়েশন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পল্লীশ্রী রি-কল ২০২১ প্রকল্পের আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলেক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡র থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় একই স্থানে এসে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নিরেন্দ্র নাথ রায়, পল্লীশ্রী রি-কল প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী পুরান চন্দ্র বর্মন, গয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সামছুল হক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নুরুন নাহার, ডিমলা উপজেলা পরিবেশ সংরক্ষন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এসোসিয়েশন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ইউনুস আলী মোল্লা (সাংবাদিক), সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদসহ সংগঠনটির সকল সদস্যবৃন্দ।

  • লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকি’র মুখে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

    লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকি’র মুখে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

    লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকি’র মুখে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগরে সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা গড়ে তুলেছে মালিকরা। এসব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন ছাড়পত্র। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ বা কাঠের গুঁড়ি। এতে উজাড় হচ্ছে সবুজ বৃক্ষ।

    উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কিনে এসব অসাধু ভাটা মালিকরা জ্বালানী হিসেবে কাঠের ব্যবহার করছেন। কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী হিসেবে কাঠ বা কাঠের গুড়ি পোড়ানোর ফলে ভাটাগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি ও সামাজিক বনায়ন। বায়োদূষণের ফলে ফুসফুসের প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার সাধারণ মানুষ ।

    ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ)আইন ২০১৩ সালে বলা হয়,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজ্যাগ ক্লিন,হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন,ভার্টিক্যাল শফট ক্লিন,টানেল ক্লিন বা অনুরোপ উন্নততর কোনো প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।

    তাছাড়া আবাসিক,জনবসতি,সংরক্ষিত এলাকার বনভূমি ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা করা যাবে না। এছাড়া সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে ২ দুই কিলোমিটার দূরত্বে করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র,জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা চালু করা যাবে না। আর এ আইন অমান্য করলে ১০দশ বছরের কারাদন্ড ও ১০ দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

    আর এসব ইটভাটা তদারকি করার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন বিভাগ, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে কমলনগরের অধিকাংশ ইটভাটা মালিক এসব আইনের তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের অবৈধ কার্যক্রম। ফলে আশপাশ এলাকার আবাদি জমির উর্বরতা হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রজাতিয় ফলদ, বনজ গাছপালাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, তাদের অফিসের তালিকাভুক্ত ১৩টি ইটভাটা রয়েছে। এদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স আছে ৯টি। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের তালিকার বাহিরে আরও ৭-৮টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করার মত একটিরও কোন বৈধ কাগজপত্র নেই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

    সরেজমিনে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের লতিফ ব্রিকফিল্ড, চরপাগলা এলাকার মদিনা ব্রিকফিল্ড,হাজিরহাট ইউনিয়নের মা ফাতেমা ব্রিকফিল্ডসহ কয়েকটি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায় লাইসেন্সবিহীন এসব ইটভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে লাকড়ি পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচন্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

    কাঠপোড়ানোর বিষয়ে লতিফ ব্রিকফিল্ডের স্বত্বাধিকারী মো. বাহার মোল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাভাটা দিয়ে ব্রিকফিল্ড শুরু করতে হয়। এই মুহূর্তে কাঠ পোড়ানো ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। সোহাগ ব্রিকস ও মদিনা ব্রিকফিল্ডের মালিক আবুল কাশেম ও আরিফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন,জেলা প্রশাসক বরাবর আমাদের আবেদন করা আছে কিন্তু তারাতো লাইসেন্স দিচ্ছে না। এই বিষয়ে আমাদের হাইকোর্টে মামলা আছে। এ ছাড়াও এই উপজেলায় ২০বিশ টি ইটভাটা রয়েছে। খোঁজ-খবর নিলে সবগুলোর নেন।

    কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের বলেন‘ ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে বায়োদূষণ হয়। এ বায়োদূষণের ফলে ফুসফুসের প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষতি হয় বেশি।

    পরিবেশ অধিদপ্তর (নোয়াখালী,ফেনী ও লক্ষ্মীপুর) সহকারি পরিচালক তানজির তারেক ইবনে সিদ্দিক বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন,অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • প্রশাসনের নাকের ডগায় ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ; হুমকির মুখে পরিবেশ !

    প্রশাসনের নাকের ডগায় ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ; হুমকির মুখে পরিবেশ !

    প্রশাসনের নাকের ডগায় ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ; হুমকির মুখে পরিবেশ !


    নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় ইটভাটার মালিকরা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের্ব ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে লাইসেন্সবিহীন বেশ কিছু ইট ভাটা গড়ে তুলেছেন।

    এসব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। হঠাৎ কয়লার দাম বাড়তি হওয়াই স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারছে লাকড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। এছাড়া দেশের সকল বনভুমি উজার করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

    ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩তে বলা হয়েছে, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজ্যাগ ক্লিন, হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন, ভার্টিক্যাল শফট ক্লিন, টানেল ক্লিন বা অনুরোপ উন্নততর কোনো প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।

    পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা চালু করা যাবে না। আর এ আইন অমান্য করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আর এসব ইটভাটা তদারকি করার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন বিভাগ, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে সাপাহারের অধিকাংশ ইটভাটা মালিক এসব আইনের তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে দেদারছে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

    ভাটা মালিকরা ভাটার আশাপাশে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে ফসলী জমির টপসয়েল শেষ করে ফেলেছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় মাটি কিনে সেসব মাটি এক্র-কেভেটর (ভ্যাকু) দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে ভাটায় এনে ইট তৈরি করছেন। ফলে এলাকার রাস্তাঘাট হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

    সরেজমিনে সাপাহার উপজেলার মেসার্স হক ব্রিকস্ (প্রোঃ নাঈমুল হক মনিরুল) ও মেসার্স সততা ব্রিকসে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুল ডাঙ্গা রাস্তার পাশের্ব ২টি ইটভাটা রয়েছে । নামে মাত্র (হাওয়া ভাটা) ভেতরে চলছে খড়ি পোঁড়ানোর মহোৎসব।

    লাইসেন্সবিহীন তাদের এসব ইটভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে হাজার মন লাকড়ি। ভাটাতে লাকড়ি পোড়ানোর ফলে ইটের চিমনি ও ড্রাম চিমনি দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়ায় আশপাশের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

    কীভাবে চলে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও বন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

    সারা বাংলাদেশে যেভাবে চলছে এখানেও সবদিক ম্যানেজ করেই বরাবর যেভাবে চালানো হয়ে থাকে, এ বছরও সেভাবেই ভাটাগুলো পারিচালিত হয়ে আসছে।

    সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ২০২২ সালে এ পর্যন্ত সাপাহারে কোনো ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে অভিযানের মাধ্যমে এসব ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এবিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী (পিএএ) জানান, খোঁজ খবর নিয়ে অভিযানের মাধ্যমে এসব ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।