Tag: নেতা

  • মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুই যুবদল নেতাকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বলেন, গত ০৩-১০-২৪ তারিখে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক মারামারি সংক্রান্ত মারপিটের ঘটনায় নরাইল জেলার সখিপুর উপজেলার রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় ১০৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি  মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২।
    উল্লেখিত মামলায় আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই যুবদলের ওয়ার্ডসহ সভাপতি হায়দার আলীকে ৭৬ ও ৭৭ নং আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দুই ভাই নিজ এলাকায় ব্যবসা ও কৃষি কাজ করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত, দলের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছি। এ ঘটনার আমরা কিছুই জানি না এবং বাদীকেও চিনি না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাভাবে কে বা কাহারা আমাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা হেও প্রতিপন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্তের শিকার হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আমারা সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর আল মামুন মিঠু, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনতাজ আলী মাস্টার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
  • লক্ষ্মীপুরে আ”লীগ নেতার অত্যাচারে ঘরবাড়ি ছাড়া আলী আকবর।

    লক্ষ্মীপুরে আ”লীগ নেতার অত্যাচারে ঘরবাড়ি ছাড়া আলী আকবর।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আলী আকবরের ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দা, চেনী নিয়ে জমির দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যায় খোরশেদ গং রা

    অভিযোগ ওঠেছে খোরশেদ, মোশারফ, জাকির বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪শে জানুয়ারি) রাত ১০টা সময় রসুনগঞ্জ বাজারের সাথে হায়দার আলী ভূঁইয়া বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

    ভোক্তভোগী আলী আকবর মৃত জহির আহমদ ভূঁইয়া ছেলে, ১৯৯৫ সালে ১৪ শতাংশ জমিন খোরশেদ মাধ্যমে, জহির আহমদ ভূঁইয়া ১২০০০, হাজার টাকা দিয়েছেন সেকান্ত ভূঁইয়ারে বাঁকী টাকা এক বছর পর দেবে

    স্থানীয় জাহের, আলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জোর জবরদস্তি করে অবৈধ দখলবাজ
    জাকির,মোশারফ, খোরশেদ গংরা একই বাড়ির অন্য লোকদের সম্পক্তিও জোর পূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

    অভিযোগকারী খোরশেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই

    জাকির ৪ চার আগস্ট মাদাম ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদাবাজি নারী কেলেঙ্কারি গাজা ইয়াবা ব্যবসা করতো থানাতে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে

    স্থানীয় আমিন মামুন চৌধুরী বলেন, পরিষদে চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন, জামাল উদ্দিন, মিজান চৌধুরী ও ১১ জন ইউপি সদস্য ছিলেন ওই সময় প্রমাণিত হয় জহির আহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ থাকাতে সুযোগ নিয়েছে খোরশেদ
    জালিয়াতে মাধ্যমে ১৮৯৮ দাগের জমিন রেজিস্টারী করে নিয়েছে ওই সময় খোরশেদ ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রিরী করে দিবে বলছে আজ ৩০ বছর হয়ে গেছে রেজিস্টারী দেয়নি

    লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ১৪ শতাংশ জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আলী আকবর অভিযোগ দিয়েছে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে

  • মাধবপুরে আ.লীগ নেতার ভাই রানার বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ।

    মাধবপুরে আ.লীগ নেতার ভাই রানার বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের
    ধর্মঘর পশ্চিম বাজার থেকে হাই স্কুলের মাঠ হয়ে দক্ষিণ দিকে মালঞ্চপুর-সন্তোষপুর এলাকায় যাওয়ার ডিসি রোড থেকে বড় বড় ৭ টি আকাশমণি গাছ কেঁটে নিয়ে যায় স্থানীয় আশরাফুল আলম রানা। সে ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলী’র পুত্র। স্থানীয় লোকজন জানায়, সে এর আগেও বিগত সরকারের আমলে এই রাস্তা থেকে বেশকিছু গাছ কেটে নিয়েছিলেন। তার দুই ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় তখন ভয়ে কেউ কিছু বলেননি। এব্যাপারে আশরাফুল আলম রানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। গাছ কাটার খবর পেয়ে মনতলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।তিনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সে রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কেটে নিয়েছে। এখন সে দাবি করছে এটা তার জায়গা। তবে আমরা সার্ভেয়ার এনে মেপে দেখেছি গাছগুলো রাস্তার জায়গায় পড়েছে। সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মুজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তহসিলদার ও সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। উনাদের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
  • মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
    জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
    ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।
    বিচার প্রার্থী হওয়ায়  আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে প্রাণে হত্যার সুযোগ খুঁজে। ঘটনার দিন গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে পান খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান একটি মোটরসাইকেলে এবং আসামি নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ অপর আরেকটি মোটরসাইকেল যোগে বাড্ডা বাজারে এসে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনের চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর নোমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
    বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নোমান নিহত।

    মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নোমান নিহত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নোমান আহমদ (৩৫) নামের যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
    নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস শহীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
    পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
    সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
    তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় তারা জানতে পেরেছেন।
    তারা হলেন সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।
    সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান আহমদ গং। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
    বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে, টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা এই ছুরিকাঘাতের হামলা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন। এখনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
  • লক্ষ্মীপুরে আ”লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম বাড়ি ঘর ভাংচুর অভিযোগ ।

    লক্ষ্মীপুরে আ”লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম বাড়ি ঘর ভাংচুর অভিযোগ ।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে জহির নামে এক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার ঘর ভাংচুর,পরিবারের লোকজনদের মারধর ও ঘরে আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা কাসেম কেরানি (প্রকাশ মাকসুদুর রহমান) জাবেদ, কামরুল, শাকিল, রতন।

    বুধবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ডের)কাঞ্চনী বাজারের সাথে এ ঘটনা ঘটে।

    ভোক্তভোগী জহিরুল মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে,ও চররুহিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর ও আ”লীগের সক্রিয় একজন কর্মী ছিলেন, বর্তমানে তিনি ঢাকাতে অবস্থান করার কারনে রক্ষা পান দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে, তবে রেহাই পাইনি উনার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা ও সন্তানরা,স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় প্রেরন করেন।

    অভিযোগ অস্বীকার করেন বিএনপি নেতা কাসেম কেরানি বলেন, আমার কেনা ১৫ শতাংশ জমি জহির জবর দখল করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে।

    জহির আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদাবাজি নারী কেলেঙ্কারি গাজা ইয়াবা ব্যবসা করতো থানাতে একাধিক মামলা রয়েছে তার হামলার বিষয় সমন্বয়ক ছাত্ররা হামলা করেছে।

    স্থানীয় সূত্র হতে জানা যায় ঘরে ডুকে কয়েকজন যুবক ঘর ভাংচুর করে পরে তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বাঁধা দিলে উনার উপর অতর্কিত হামলা চালায়,মায়ের চিৎকারে সন্তানরা এগিয়ে আসলে তারাও আহত হয়।

    লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও পুলিশ হত্যার কারনে পুলিশ প্রশাসন কর্মবিরতি দিয়েছে,থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে ভোক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • রামপালে বিএনপি নেতার অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    রামপালে বিএনপি নেতার অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাওলাদার মজিবুর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার(১১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বিগত দিনে আওয়ামী দুঃশাসন আমলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম’র নেতৃত্ব রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বিএনপি’র দুঃসময়ে মজিবর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের কোনদিন কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখি নাই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার দেশত্যাগের পরেই বাবুল ও তার সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও মৎস্য ঘের দখলসহ নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে তারা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে। তারেক রহমানের নির্দেশ, দলে কোন চাঁদাবাজকে স্থান দেয়া হবেনা। আমরা সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অবিলম্বে বাবুলসহ তার সহযোগীদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন আকাশী মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস, প্রকাশ বিশ্বাস, সমিৎ ঢালী, মনি মোহন মন্ডল, পিনাক মিস্ত্রী, শংকর ঢালী, নিখিল বিশ্বাস প্রমুখ।
  • স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে বাড়িতে থাকতে পাড়ি নাই মতবিনিময় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

    স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে বাড়িতে থাকতে পাড়ি নাই মতবিনিময় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বৈরাচারী হাসিনার ষোল বছর শ্বাসনালী আমলে চার-পাঁচ দিন বাড়িতে থাকতে পারিনি মতবিনিময় সভায় বলে কাঁদে ফেললেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব)। তিনি বলেন, হুমকি ধমকির কারণে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারিনি। পারিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের খোঁজ খবর নিতে। এখন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সাংবাদিকসহ সকলের সাথে যোগাযোগে চেষ্টা হচ্ছে। দলীয় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তিনি শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ইং, বিকেলে পৌর এলাকার খুশালপুরস্থ হাজী মুজিবের নিজ বাসভবনে প্রিন্ট ও ইলেষ্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ও এর আগে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেষ্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
    মতবিনিময় সভায় আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) আরও বলেন, গত ১৬ বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি আব্দুস শহীদে দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়েছি। মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ইফতার পার্টির মঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িতে এসে ঈদ করতে পারিনি। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার পরিচালিত স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
    তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশ তথা জনকল্যাণমুখী কাজে বিএনপি সোচ্চার রয়েছে। যে কোন অন্যায়-অবিচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বিএনপি ও ছাত্র-জনতা।
    শ্রীমঙ্গলে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজু উদ্দিন তাজু, কমলগঞ্জ বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ দুরুদ আহমদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন জারু, সাবেক পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ মোচ্ছাবির আলী মুন্না-সহ প্রমুখ।
    সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাজী মুজিব আরও বলেন, বিদায়ী স্বৈরাচারী শাসক ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের স্বাধীন মত প্রকাশে কণ্ঠরোধ করেছিল। নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকরা দেশ ও জনকল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন এই প্রত্যাশা করছি। তিনি আগামীতে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত ও আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরের জন্য সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
    কমলগঞ্জে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি নেতা দুরুদ আহমদ, মোঃ আবুল হোসেন, সাবেক মেয়র আবু ইব্রাহীম জমশেদ, পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান, উপজেলা যুবদল আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, বিএনপি’র নেতা সোয়েব আহমদ, প্রত্যুষ ধর-সহ প্রমুখ।
  • চাঁদাবাজ দখলদারদের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    চাঁদাবাজ দখলদারদের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সহকারী কমিশনার(ভূমি)’র কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাঁদাবাজদের উপস্থিতির কারণে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণঅধিকার পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
    মঙ্গলবার দুপুরে রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।
    সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, গত ২০/১০/২০২৪ ইং তারিখে আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাণীশংকৈল এর কার্যালয়ে একটি বিষয়ে মিটিংয়ের জন্য গেলে উক্ত অফিসের বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তি  আমাকে ধমকাইতে থাকে ও চেয়ার হতে উঠে যেতে বলে এবং আমার সাথে অসুলভ আচরণ করে। এঅবস্থায় আমি বিষয়টি এসিল্যান্ডকে অবগত করলে নিরশন হয়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের কিছু লোক নিয়ে এসে আমাকে মারার হুমকি দেই। এবং কতিপয় ব্যক্তিরা  বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে আমার কাছে ৮০,০০০ টাকা দাবী করে। এতে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেই।
    তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে চাঁদাবাজ দখলদারদের বিরুদ্ধে কাজ করলে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে তারা। এরই পরিপেক্ষিতে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রইছে এ মর্মে তাদের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি।
    এসময় ঠাকুরগাঁও গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব প্রফেসর আবদুস সোবহান, রাণীশংকৈল উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ সমন্বয়ক সোমবার হোসেন, হরিপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক সুমন সরকারসহ গনঅধিকার পরিষদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক,দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জিএম সুফি নিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মার্জিনা আক্তার ঝতু, রয়েল বড়ুয়া এবং ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক শ্রী দেবদাস ঘনাসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহাবুব হোসেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মাহাবুব হোসেন ভুল্লী থানার দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনে ছেলে। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বলরামপুর বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

    মামলার এজাহারে ৮৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০জনকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারা তৎসহ ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৯/৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/ ৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় আসামি করে মামলাটি করা হয় বলে জানা গেছে।

    তবে মামলার বাদীর আইনজীবী কে তা বাদী নিজেই জানেন না। আর কিভাবে এজাহারে ৮৫ জনের নাম এলো তাও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকেই চেনেন না বাদী।

    বাদীর ভাষ্যমতে, অচেনা কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নাম দেখিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কিভাবে ৮৫ জনের নাম এলো খোদ তিনি নিজেই জানেন না। এমনকি স্থানীয় যুবদলের ওয়ার্ড প্রচার সম্পাদকের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।

    বাদী জানান, মামলা করে আমি নিজেই বিপদে পড়েছি। মামলায় ভুল করে অনেকের নাম দেওয়া হয়েছে। পরে আমি তা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু যাদের নামগুলো দিয়েছি, তাদের আমি চিনি না। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও কোনো ব্যবস্থা নেই আমার। নানা চাপে আছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান বাদী মাহাবুব হোসেন।

    মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম, ওসমান গণি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহান, নিউমুন, শাওন সাব্বির, আশ্রমপাড়ার জ্যোতি, টিকাপাড়ার মো. প্রিন্স, মনিরুল ইসলাম মনির, বাহাদুরপাড়ার বিশাল, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সফি আলম, ঘোষপাড়ার মো. সুরকাব, শাহাপাড়ার মো. লিমন, আর্ট গ্যালারি এলাকার ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, বরুনাগাঁও এলাকার নাজমুল হুদা, গোয়ালপাড়ার সাব্বির হোসেন হৃদয় টুকু একই এলাকার হোসেন সাদ্দাম, সরকারপাড়ার সৌরভ চন্দ্র রায় , আরিফ হোসেন দানেশ আরিফ, রুহিয়ার অনিক চক্রবর্তী, টিকাপাড়া রুস্তম আলী, মুক্তা, ভুল্লীর হামিদুর রহমান, মকবুল হোসেন মিঠু, বাঙ্গালীপাড়ার আব্দুর রশিদ, জগন্নাথপুরের দাউদ, আসিফ হক আদর, বরুনাগাঁওর আনোয়ার, আশ্রমপাড়ার অমৃত মদক, সরকারপাড়ার সিফাত, কলেজপাড়ার বাবুল, বসিরপাড়ার রিফাত ককটেল, গোয়ালপাড়ার ইসা, গড়েয়ার রায়হান উদ্দিন, রোড এলাকার শাহের আলী, পূর্ব গোয়ালপাড়ার মাহাবুব হোসেন, রাসেল ইসলাম রিসাদ, শিবগঞ্জের মিলন, কলেজপাড়ার সাহেব আলী, ভেলাজান নবীনপাড়ার রমজান আলী, আকচা কাটুপাড়ার শম্ভু বর্মন, গড়েয়ার মাসুদ রানা, যুবলীগনেতা গুলজার হোসেন, বড় বালিয়ার বাহার সরকার, কৃষ্ণপুর এলাকার রুহুল, যুবলীগনেতা আলমগীর, ভুল্লীর ষ্টিফান দাস, ভুল্লী শোল্টহরীর ফজলে করিম মন্টু, বড়বাড়ী গোবিন্দনগরের ফজলুর রহমান, গোবিন্দনগর উত্তর পাড়ার শাহিন, মারুফ আলী শান্ত, আবুল মালেক, পিয়া, আব্দুল, আনিছুর রহমান নেন্দ, গোবিন্দনগর মুন্সিরহাটের আলমগীর, হাজিপাড়ার মশিউর রহমান, রহিমানপুরের রাজু, তানজিমুল, সরকারপাড়ার মমতাজুল (মক্কা), ভুল্লী থানার ইয়ামুল বিএসসি, মিজানুর রহামান, ইয়াসিন আলী, হারুন, রাসেল, বাবুল হোসেন, মাসুদ মেম্বার, মশিয়ার রহমান, যমিনুল ইসলাম মুন, রবিউল ইসলাম রবি, মোশারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, জগদীশ বর্মন, পেয়ার আলী, রেহান রহমান হরিক, মানিক, বেলাল, নুরে আলম, মনোরঞ্জন দেবনাথ মনি ও ময়নুল ইসলাম।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৮৫জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাস্থ আর্ট গ্যালারি মোড়ের পাকা রাস্তার উপর বাদী সহ অন্যান্যরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আসামিরা ধারালো ছুরি, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, বোমা-বারুদ, লোহার রড, চাপাতি, ডেগার, রাম-দা, হকি, চাইনিস কুড়াল, ইট, পাথর সহ মারাত্মক অস্ত্রে-সস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।

    এসময় তাদের হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর কপালে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। প্রকাশ্য দিবালোক বাদীকে হত্যা করার জন্য আসামিরা রামদা দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে এবং এলোপাথারি মারপিট, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বোমা নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করেন। এতে অনেকেই আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ৪ঠা আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাদীসহ অন্যান্যরা। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।