Tag: নদী

  • ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে উঠা বালুচড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি।

    ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে উঠা বালুচড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি।

     ডিমলা ( নীলফামারী) প্রতিনিধি:

    নীলফামারীর ডিমলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খর স্রোতা তিস্তা নদীর জেগে উঠা চড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি। সেখানে শুধু ধু-ধু বালুচর। কয়েকমাস আগে যে নদীর বুকে অথৈই পানি আর পানি। আর এখন সেখানে পানি শুকিয়ে চড় জেগে উঠায় নতুন স্বপ্ন বুনছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। তাদের বুকভরা আশা চরের বালু মাটিতে ফলবে সোনার ফসল। সোনার ফসল তো নয় এ যেন সোনার খনি। ঘুচবে তিস্তার ভাঙ্গনে নিঃস্ব হওয়া মানুষের ভাগ্যের চাকা। উন্নত হবে পারিবারিক জীবন যাপন। উচ্চ শিক্ষিত হবে চরাঞ্চলের অবহেলিত পরিবারের ছেলে-মেয়ে।

    তিস্তা নদী বেষ্টিত দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা ডিমলা। ডিমলা উপজেলাকে তিস্তা নদীর প্রবেশদ্বার বলা হয় । উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ছয়টির উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। বয়ে চলার খেয়ালিপনায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তিস্তা কখনো কখোনো আশীর্বাদ আবার কখনো কখোনো অভিশাপ হিসেবে আভির্ভূত হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় বন্যা আর তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে দূর্যোগ নেমে এসেছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা ও পরিবেশে। বর্ষায় টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রতি বছরই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয় উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ির একাংশ, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবারের। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেখা দেয় নতুন দূর্যোগ। আগ্রাসী রূপে হানা দেয় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গন। তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে ফসলি জমি এখন ধূ-ধূ বালুচর। জীবন জীবিকার তাগিদে টিকে থাকতে বালুচরে চাষাবাদ করে ফসল ফলানোর সংগ্রামে নেমেছেন চরাঞ্চলের কৃষক। ধু-ধু বালুচরেই চরাঞ্চলের মানুষের নতুন স্বপ্ন বুনা। সেখানে ভুট্টা, সরিষা, গম, পেঁয়াজ, রসুন, শীতকালীন শাক-সবজি, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের কৃষক।

    পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চর খড়িবাড়ি মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকেরা নদীর বুকে ধু-ধু বালুচরে ভুট্টা, সরিষা ও গম চাষাবাদ করছেন। চর খড়িবাড়ির কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, আমার সব ধানিজমি সর্বগ্রাসী তিস্তা নদীর পেটে চলে গেছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর নদীতে চড় জেগেছে। আমার আর কোন জমি নেই এখন নিরুপায় হয়ে বালু জমিতে ভুট্টা আবাদ করছি। একই এলাকার হযরত আলী বলেন, আমার পনেরো বিঘা জমির মধ্যে তেরো বিঘা জমি নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাত্র দুই বিঘা জমি রয়েছে। তা-ও বালুচর। তাতেই বীজ সার কিনে ভুট্টা চাষাবাদ করছি। খলিলুর রহমান নামের অপর এক কৃষক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার হাতে কোন টাকা পয়সা নেই। কৃষি অফিস থেকে সরকারি কৃষি প্রণোদনার ভুট্টার বীজ, সার পেয়েছি। তাই দিয়ে এবার চরের দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করছি।

    খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের বাইশ পুকুর ও কেল্লাপাড়া এলাকার কৃষক মোতালেব হোসেন ও দুলু শেখ জানান, এবারের বন্যায় আমাদের ২০-২৫ বিঘা জমিতে বালু পড়েছে। সেই জমিতে আমরা ভুট্টা চাষাবাদ করছি। জমিতে ভুট্টার বীজ বপনের প্রায় ২৫ দিন হয়েছে। আপাতত খেতের অবস্থা ভালোই দেখা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে। আশাকরি এবার ফলন ভালো হবে।

    উপজেলায় তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বললে অধিকাংশ কৃষক সংবাদকর্মীকে জানান, প্রতিবছর বন্যা ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে জীবন-জীবিকায় টিকে থাকতে কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের। তিস্তার করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে তিস্তা নদীর মহা-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চান নদী পাড়ের হাজারো পরিবার।

    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান গত বছর ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এবার উপজেলায় ১৩ হাজার ৪ শত ৫৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ১২০ হেক্টর জমিতে নয়শত কৃষকের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। রবি মৌসুমে চাষাবাদের বিষয়ে আমরা কৃষকদের দোড় গোড়ায় পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে ও যেকোনো পরামর্শের জন্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

  • নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

    নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

    নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।


    নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই দিকে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।গত বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল এলাকায় শিশুটি তার দাদার সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।

    খবর পেয়ে বিকাল শিশুটিকে উদ্ধারে নামে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। বুধবার সন্ধ্যা পযন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে।

    নিখোঁজ শিশুর নাম ইয়াচিন আরাফাত (৭),উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ও ব্রহ্মপুর পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

    এলাকাবাসী ও নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,বৃস্পতিবার দুপুর আড়াই টার পর উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বাড়ির সামনের ঘাট থেকে শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

    উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের জহুরুলের ছেলে ইয়াচিন আরাফাত তার দাদা জলিলের সাথে বাড়ির পাশে বারনই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।পরে অনেক খোজাঁখুজি করে না পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদের খবর দেয়।খবর পেযে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ডুবুরী দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

    বুধবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।

  • দেওয়ানগঞ্জে নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    দেওয়ানগঞ্জে নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    দেওয়ানগঞ্জে নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।


    আজ শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ইং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসি’র আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ বাবুলের মেয়ে সুরাইয়া (৮) নামে শিশুটি নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আনুমানিক দুপুর ১২টার সময় বাড়ির পুর্ব পাশে জিঞ্জিরাম নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল করতেই পানিতে ডুবে যায়। আনুমানিক ২টার সময় খোঁজ করে নদীতে যায় পরিবারের লোকজন। এসময় পানির নিচ থেকে মৃত শিশুর লাশ তুলে আনা হয়। সুরাইয়া সানন্দবাড়ী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী।

  • রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু।

    রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু।

    রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু।


    ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাস্টার বলেন, শবেবরাত এর ছুটিতে ঢাকা থেকে দাদির সঙ্গে গ্রামে বেড়াতে আসে দুই বোন।

    নিহতরা হলেন- সানজিদা আক্তার (১০) ও সুমনা আক্তার (৬)। নিহতরা রানীশংকৈল উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে শাহজাহান আলী মেয়ে। শাহাজান আলী ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্য শিশুদের সঙ্গে তারা কুলিক নদী দেখতে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায় ছোটবোন। এসময় বড়বোন তাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও নদীতে ডুবে যায়। সঙ্গে থাকা শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে নিহতদের চাচা তাদের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেন।

    এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এম এস জাহিদ ইকবাল বলেন খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পোঁছেছি। পরে মরদেহ উদ্ধার করে মৃত দুই বোনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    ওসি আরও জানান পারিবারিক ভাবে কোন অভিযোগ না থাকা মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

  • ছাতকে নদীর পানিতে ডুবে স্কুল পড়ুয়া দুই ছাত্রীর মৃত্যু।

    ছাতকে নদীর পানিতে ডুবে স্কুল পড়ুয়া দুই ছাত্রীর মৃত্যু।

    ছাতকে নদীর পানিতে ডুবে স্কুল পড়ুয়া দুই ছাত্রীর মৃত্যু।


    সুনামগঞ্জের ছাতকে বটের খাল (নদীর) পানিতে নেমে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে স্কুল পড়ুয়া দুই ছাত্রীর মর্মান্তি মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ৭ মার্চ দুপুরে উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির কৃষ্ণনগর গ্রামের নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু নাহিদা বেগম ও সুমাইয়া বেগম কৃষ্ণনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।

    জানা যায়, কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনীর নাহিদা বেগম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বেগম। তারা আপন দুই বোন। বিদ্যালয় ছটির পর দুই বোন বাড়িতে ফিরে আসে। বই খাতা ঘরে রেখেই গোসল করতে নদীর পানিতে দৌড়ে যায় তারা। দুই বোন সাঁতার কাটতে না জানায় একজন অপরজনকে জড়িয়ে ধরে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।

    নদীর ওপর থেকে আশে পাশের লোকজন এসে নদীর পানিতে ডুবিয়ে যাওয়া দুই বোনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার পর দুজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

    এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান নাহিদা বেগম ও সুমাইয়া বেগমের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • সিরাজগঞ্জ যমুনানদীতে অবৈধ জাল আড়াআড়ি বাঁধ উচ্ছেদ ও জালপুড়িয়ে ধ্বংস ।

    সিরাজগঞ্জ যমুনানদীতে অবৈধ জাল আড়াআড়ি বাঁধ উচ্ছেদ ও জালপুড়িয়ে ধ্বংস ।

    সিরাজগঞ্জ সদরের কাওয়াকোলা ইউনিয়নের যমুনানদীর এক শাখা অংশে নদীতে অবৈধভাবে জাল আড়ালআড়ি বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার করে আসছিলো দখলকারী এক কুচক্রীমহল।

    মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইনবাস্তবায়নে – সোমবার (১৭ জানুয়ারি২০২২) দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে – সিরাজগঞ্জ সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে যমুনানদীতে – এক অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা (জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাধ) উচ্ছেদ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

    এসময় নৌ-পুলিশ সিরাজগঞ্জ এর অফিসার ইন চার্জ সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, মৎস্য দপ্তর, সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারীদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।

  • দেওয়ানগঞ্জের জিঞ্জিরাম নদীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার ধব্বংস।

    দেওয়ানগঞ্জের জিঞ্জিরাম নদীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার ধব্বংস।

    ফরিদুল ইসলাম ফরিদ,দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ি ও সানন্দবাড়ি বাজার রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ৫ টি ড্রেজার মেশিন ও অসংখ্য প্লাস্টিকের পাইপ আগুনে পুড়ে ধব্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    ২১ নভেম্বর রবিবার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জিন্নাত এর নেতৃত্বে অভিযানে অংশগ্রহণ করেন সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান,এএসআই সোহেল রানা সহ পুলিশ টিম।

    জানা যায়, চলমান অভিযানকে তোয়াক্কা না করেই সানন্দবাড়ী বাজার রক্ষা বাঁধের পূর্বপাশে বাঁশের পাইলিংয়ের কাছে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে ব্যাপকভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো চরআমখাওয়া ইউ সদস্য সাহার আলী ও সানন্দবাড়ী পাটাধোয়া পাড়ার আঃ লতিফ। অভিযানে সাহার মেম্বারের ২টি ড্রেজার মেশিন ও আঃ লতিফের ৩টি ড্রেজার মেশিন এবং অসংখ্য পাইপ আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    চলমান অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল। আবারও যেনো ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে বালু উত্তোলন করতে না পারে দাবী এলাকাবাসীর। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জিন্নাত বলেন- রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • উল্লাপাড়ার করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধিঃনৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রীরা।

    উল্লাপাড়ার করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধিঃনৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রীরা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।সাথে যোগ হয়েছে টানা কয়েকদিনের হালকা থেকে ভারী বর্ষণ।আগাম বর্ষার আশঙ্কা ভেবে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার বেশকিছু অঞ্চল।ক্রমশঃ নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পুরাতন নৌকা মেরামতসহ নতুন নৌকা বানানোর কাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করার পরও চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খাচ্ছে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের অলিপুর ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চন্দ্রগাঁতী গয়হাট্রা গ্রামের কাঠ মিস্তিরিরা।কারখানাগুলোতে দিনরাত হাতুড়িতে কাঠ পিটুনির খটখট শব্দে এখন মুখোরিত পুরো মিস্ত্রিপাড়া।

    উল্লাপাড়ার পশ্চিমাঞ্চলের মোহনপুর, উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী ও বাঙ্গালা ইউনিয়ন চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা।এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা। এজন্য ধনীগরিব প্রায় সকলের ঘাটে দেখা মেলে ছোট বড় ও মাঝারি ধরনের ডিঙ্গি ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা।

    এই অঞ্চলের স্কুল ও কলেজ চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ার কারনে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য নৌকার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘ সময় বর্ষার পানি থাকায় জনসাধারনের চলাচল ব্যবস্থা ও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেলে সম্প্রদায়ের মাছ শিকারের জন্য নৌকাই এখানকার একমাত্র মাধ্যম।কৃষক তাদের কৃষিপণ্য বিপনণের জন্য এ মৌসুমে নৌকাই ব্যবহার করে আসছে।

    সরজমিনে দেখা যায় নৌকা তৈরিতে কাঠমিস্ত্রীদের ব্যস্ততার বাস্তব চিত্র।অলিপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আকাশ কুমার,সাগর কুমার ও সম্ভু চন্দ্র গণমাধ্যমকে জানান আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে এই কাজ করে আসছে। আমরা তাদের পেশাকে জীবন জীবিকার জন্য বেছে নিয়েছি। আগের দিনে বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও কলাগাছের ভেলাই ছিলো একমাত্র যানবাহন। তখনকার সময় নৌকা তৈরির কাজে এতই ব্যস্ত থাকতাম যে খাওয়া ও ঘুমানোর সুযোগ পেতাম না। আমরা ছোট,বড় ও মাঝারি তিন ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকি।তবে ছোট ও মাঝারি ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা বেশি। দিনে চার জন মিস্ত্রি ২ হাজার টাকা মুজুরি নিয়ে একটি নৌকা তৈরি করতে পারি।মহাজনেরা একেকটি ডিঙ্গি ৫৫০০-৭৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন।

    কারখানা মালিক মনিরুল ইসলাম জানান প্রায় ২০ বছর যাবৎ বর্ষা মৌসুমে নৌকা তৈরির কাজ করে আসছি। প্রতি বছর সব ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকি। কোন ধরনের নৌকা বেশি পরিমানে তৈরি করব সেটা নির্বভর করে গ্রাহকের চাহিদার উপর।পূর্ব অভিজ্ঞতায় বলা যায় ছোট ও মাঝারি ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা বেশি। বন্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে নৌকার চাহিদা দ্বিগুন পরিমানে বেড়ে যায়। প্রতিটি নৌকা ৫৫০০-৭৫০০ টাকা করে বিক্রি করে থাকি।চাহিদার উপর দাম কমবেশি হয়ে থাকে।

    ইউকালেক্টার,কড়ই,আম,জাম,শিশু,সোনাই ও শিমুল গাছের কাঠ দ্বারা নৌকা তৈরি করি। এ মৌসুমে নৌকা বিক্রি করে কছুটা লাভবান হয়ে থাকি।এবারও আশা করছি। এ বছর ৫’শ নৌকা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ৩ লাখ টাকার কাঠ ক্রয় করে চেরাই করেছি। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন নৌকা তৈরি করে নিবে মর্মে অগ্রিম বায়না দিয়ে রেখেছে।

    কারখানা মালিক মনিরুল ইসলাম আরও জানান আমরা সরকারি সহযোগিতা ও স্বল্প লাভে ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে নিজ উপজেলার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলায়ও নৌকা বিক্রি করতে পারতাম।

    বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান(নান্নু)জানান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন অলিপুর গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ার কাঠমিস্ত্রীরা। উপজেলার নিচু এলাকার মানুষ শাস্ত্রয়ে এখান থেকে নৌকা কিনে নিয়ে যায়।তাছাড়াও গয়হাট্রা, নওগাঁ, মোহনপুর ও কয়ড়া বাজারে নৌকা পাওয়া যায়। কারখানা মালিকদের সরকার স্বল্প লাভে ঋণের ব্যবস্থা করতো তাহলে তারা বেশি পুঁজি খাটিয়ে নিজ উপজেলার নৌকার চাহিদা পূরণ কর অন্যান্য উপজেলায় নৌকা বিক্রি করে বেশি লাভবান ও শিল্পটি ব্যাপক বিস্তার লাভ করতো।