Tag: ধর্ষণ

  • ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক-১।

    ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক-১।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ে ফারহিয়া নামের এক পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এঘটনায় সন্দেহভাজন সফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে।

    মঙ্গলবার ভালবাসা দিবসের দিনে (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শুখানপুকুরী ইউনিয়নে লাউথুতি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ফারহিয়া ওই গ্রামের ফজর আলীর তৃতীয় সন্তান। আর অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম (২০) একই এলাকার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ভূট্টা ক্ষেতে স্থানীয়রা ওই শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে ঘটনাটি আরো বিস্তারিত জানা যাবে। তবে শিশুটির মরদেহে বিভিন্ন আলামত দেখে আমাদের প্রাথমিক ধারনা তাকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে।এই ঘটনায় সন্দেহমূলক একজনকে আটক করেছি আমরা

    পরিবার ও স্বজনরা জানায়, সকালে শিশু কন্যাকে বাড়িতে রেখে মা-বাবা মাঠে কাজ করতে চলে যান। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পান বাড়ির পাশেই সালামের  ভুট্রা-ক্ষেত্রে মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
    পরে এলাকাবাসীরা শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন এসময়  পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। তবে স্বজনদের অভিযোগ সফিকুল নামে এক যুবক ফারিহাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।

    ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। আর সন্দেহভাজন হিসেবে সফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

  • নির্দোষ’ধর্ষণচেষ্টার আসামি ছেড়ে দিলেন রাণীশংকৈলের ওসি।

    নির্দোষ’ধর্ষণচেষ্টার আসামি ছেড়ে দিলেন রাণীশংকৈলের ওসি।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    গড়িমসির পর আদালতের নির্দেশে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নিলেও আসামিকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
    মামলার আসামি হলেন- উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পাটগাঁও গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে হারুন অর রশিদ।
    গত ২০ জানুয়ারি রাতের ঘটনায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ২৯ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জজ আদালতের মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আদালতের আদেশে ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা নথিভুক্ত করে রাণীশংকৈল থানা। পরদিন রাতে হারুনকে পৌর শহরের বন্দর থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
    মামলার বাদী ওই গৃহবধূ বলেন, ‘থানায় নেওয়ার দু-ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
    ঠাকুরগাঁও জজ আদালতের আইনজীবী আব্দুস সোবহান বলেন, ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামিকে হেফাজতে নিয়ে আদালতের আদেশ ছাড়া মুক্তি দিতে পারে না পুলিশ। পুলিশের কাজ মামলাটি তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা ও আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা।
    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, হারুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়। মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
    ‘মামলাটি আমার কাছে মিথ্যা মনে হয়েছে। নির্দোষ কোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না, তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
    মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২০ জানুয়ারি রাতে ওই গৃহবধূকে হারুন অর রশিদ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে হারুণকে আটক করে। পরের দিন সকালে হারুনের ভাই বুলবুলের নেতৃত্বে তাদের লোকজন গিয়ে ওই গৃহবধূর বাড়িতে হামলা চালিয়ে হারুনকে নিয়ে যায়।
    এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরে গত ২৯ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জজ আদালতের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলার আবেদন করে ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আদালত মামলাটি রাণীশংকৈল থানাকে রেকর্ডভুক্ত করে ঘটনা তদন্তসহ মামলাটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাণীশংকৈল থানায় মামলাটি গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রেকর্ডভুক্ত হয়।
    এ বিষয়ে হারনুর অর রশিদ বলেন, ‘মামলাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা ও সাজানো। তাই পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে।
  • ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার-৩।

    ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার-৩।

    ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার-৩।

    স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে এক গৃহবধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ।
    শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    শনিবার (২০ আগস্ট) হরিপুর থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
    এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রানীশংকৈল উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকা একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
    মামলা সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী গত শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার সাত বছর বয়সী ছেলে মাসুমকে নিয়ে তিনি হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটো স্ট্যান্ড হইতে ধর্ষিত (২৮)কে অটোযোগে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পুর্ব উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। বাগানে ভিতরে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জিম্মি করে তার মাকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে।
    মামলার আসামিরা হলেনঃ হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২২), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ (২১), একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২২) এবং রকিম ও লসকর নামে অজ্ঞাত দুজন।
    পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের মা। গত শুক্রবার বিকেলে হরিপুর উপজেলার রুহিয়া চাপধা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রানীশংকৈল হয়ে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে রানীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েক যুবক অটোচালকের যোগসাজশে ওই নারীকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়।
    পরে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকার একটি আমবাগানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাত বছরের ছেলের গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখায় ধর্ষকরা। এরপর রাত ১২টার সময় ওই যুবকরা ভুক্তভোগী ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
    এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
    পরে ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
    এ বিষয়ে হরিপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রাতে আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। আদালতের নির্দেশক্রমে তাদের কারাগারের পাঠানো হয়েছে।
    এছাড়া অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
  • লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার।

    লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার।

    লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার


    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে অপহরণ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। র‍্যাবের অভিযানে অপহরণকারী ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণকৃত দশম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী(১৭)কে ১৯ দিন আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় র‍্যাব-১১ অভিযান পরিচালনা করে মোঃআনাছ আলী সুমন (২৬) নামে এক যুবককে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১১ জুন) সকালে র‍্যাব-৬-এর সহযোগিতায় খুলনার রূপসা থানার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আনাছ আলী সুমন খুলনার রূপসা থানার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে।

    র‌্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামি সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি স্ত্রী পরিচয়ে আটক রেখে ভুক্তভোগীকে গত ১৯ দিনে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে।

    এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে রায়পুর থানায় মামলা রুজু করে আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর মা জানান, গত ২৩ মে (সোমবার) দুপুরের দিকে তার মেয়ে পার্শ্ববর্তী আব্বাস মেম্বারের বাড়ির সামনে হাঁটাহাটি করতে যায়। এসময় আসামি সুমন ও তার সহযোগীরা বিয়ের প্রলোভনে তাকে অপহরণ করে খুলনায় নিয়ে যায়

  • ওসমানীনগরে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ৫ জনকেই চেনে না বাদি।

    ওসমানীনগরে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ৫ জনকেই চেনে না বাদি।

    ওসমানীনগরে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ৫ জনকেই চেনে না বাদি


    সিলেটের ওসমানীনগরর থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকেই চেনে না মামলার বাদি নির্যাতিতা গৃহবুধু। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে ওই গৃহবধূ আদালতে এফিডেভিট প্রদান পূর্বক এজহারভুক্ত ৫ জনকে চেনে না এবং তাদেরকে তিনি মামলায় অভিযুক্ত করেন নাই বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি ও ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু।

    অভিযোগ উঠেছে, স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কতিপয় প্রভাশালীদের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে তাদের খপ্পরে পড়ে স্বামীসহ সাতজনের নামে দায়েরকৃত ধর্ষন মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর নেয় ওই প্রভাবশালীরা। মামলা থানায় নথিভুক্ত হওয়ার পর বাদি জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীরা নিজ স্বার্থ হাছিলের জন্য ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকেই হয়রানীর উদ্দেশ্যে মামলায় আসামী করা হয়েছে। যা তিনি পুলিশসহ আদালতে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। চাঞ্চলক্যর ঘটনাটি নিয়ে গোটা এলাকায় এখন তুলপার সৃষ্টি হয়েছে।

    প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ন্যাক্কারজনক ভাবে ধর্ষণ মামলায় পাঁচ জনকে আসামী করে হয়রানী করায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ফুঁেস উঠেছে এলাকাবাসীসহ স্থানীয়রা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তাজপুর ইউপির কাদিপুর গ্রামের ধন মিয়ার বাড়িতে কয়েক শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা করে এলাকাবাসী। ওই সভায় ভোক্তভোগী লোকজন ও নির্যাতিতা উপস্থিত হয়ে এলাকার চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

    মামলার বাদি নির্যাতিতা গৃহবধু বলেন, প্রায় ৯ মাস পূর্বে উপজেলার কাদিপুর গ্রামের চুনু মিয়ার ওকালতিতে বালাগঞ্জ উপজেলার বাবরকপুর গ্রামের নজির মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর স্বামী নজির আমাকে নিয়ে উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় উঠেন। এরপর থেকে স্বামীসহ চুনু মিয়া জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষনসহ নানা ভাবে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আমি ৬ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়লে তাদের কবল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমার হতদ্ররিদ্র মাসহ পরিবারের সবাইকে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিচারের আশায় উপজেলার তাজপুর ইউপির ৯ নং ওর্য়াডের সাবেক সদস্য কাদিপুর গ্রামের নেপুর আলী ও সজ্জাদ মিয়ার দ্বারস্থ হই। তাদের মাধ্যমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে ভর্তি হই। সেখান থেকে বের হওয়ার পর আমি অনেকটা মানুষিক ভারষাম্যহীন থাকা অবস্থায় মামলার লিখিত অভিযোগ পত্রে কৌশলে আমার স্বাক্ষর নিয়ে ওই অভিযোগ দিয়ে নেপুর আলী ও সজ্জাদ আলী আমাকে মামলা করার জন্য থানায় পাঠায়।

     

    আমি লেখাপড়া না জানায় ওই কাগজে কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়েও আমি কিছুই জানিন না। মামলা দায়েরর পর জানতে পারি উপজেলার তাজপুর ইউপির কাদিপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, দুধাই মিয়া, কবির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন ও রিপন মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। যা আদৌও তারা আমার ঘটনায় জড়িত নয় এবং আমি তাদেরকে চিনিও না তাদের সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পর্কও নেই।

    কাদিপুর গ্রামের বাদিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য দরছ আলী বলেন, প্রতিহিংসাবসত হয়ে একজন নির্যাতিতা নারীকে ব্যবহার করে বিচারের নামে গ্রামের নির্দোষ ৫জন ব্যাক্তিকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের মান সম্মানহানী করেছেন নেপুর আলী ও সজ্জাদ মিয়া গংরা।

    মামলায় আসামি হয়ে হয়রানির শিকার মিজানুর রহমানের বড় ভাই লুৎফুর রহমান বলেন, প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে নেপুর আলী ও সজ্জাদ মিয়া আমার ভাই সহ গ্রামের অন্য আরো চার সম্মানী ব্যক্তিকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করে আমাদের মান-সম্মান বিনষ্ট করেছে। আমরা প্রশাসনের নিকট বিচার দাবী করছি।

    সাবেক ইউপি সদস্য নেপুর আলী বলেন,আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটানোসহ বিভিন্ন ভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
    ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাইন উদ্দিন বলেন,মামলাটি এখনও তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে কে জড়িত আছে,কে জড়িত নেই বের হয়ে আসবে।

  • কুয়াকাটায় ভাইকে বেঁধে বোনকে ধর্ষন-মামলা রুজু ।

    কুয়াকাটায় ভাইকে বেঁধে বোনকে ধর্ষন-মামলা রুজু ।

    কুয়াকাটায় ভাইকে বেঁধে বোনকে ধর্ষন-মামলা রুজু ।


    কুয়াকাটায় হাচান শরীফ (১৬) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুর মা মহিপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। হাচান কুয়াকাটা পৌর শহরের ইব্রাহিম শরীফের ছেলে। শুক্রবার দুপুরের দিকে শিশুটির অভিভাবক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট ধর্ষক ইব্রাহীমকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে গনমাধ্যমকে এ সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি সম্পর্কে অবহিত করেন।

    স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে পশ্চিম কুয়াকাটা এলাকার ওই শিশু তার বড় ভাইয়ের (৯) সাথে পাশ্ববর্তী একটি মাছের ঘেরে মৌ ফল খেতে যায়। এসময় হাচান ওই শিশুর ভাইকে আম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে। পরে পাশের ঝোপের মধ্যে নিয়ে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এঘটনায় ওই শিশুর প্রচুর রক্তক্ষরন হলে তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

    মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, শিশুটিকে পরিক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে , বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, অসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ,এ ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩।

    নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ,এ ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩।

    নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ,এ ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩।


    বগুড়ার নন্দীগ্রামে গণধর্ষণ মামলায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।

    থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাহাদত হোসেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে নন্দীগ্রামে নিয়ে আসে।এরপর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সে মহিলাকে নন্দীগ্রাম কলেজ পাড়া-রিধইল রাস্তা দিয়ে রিধইল গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে কলেজ পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনির হোসেন (২১),মকছেদ আলীর ছেলে বিজয় (২৪) ও আব্দুল আজিজের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২) তাদের পথরোধ করে। তারা ওই মহিলাকে ধানক্ষেতের আইলের উপর শুয়াইয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ওই রাতেই ঘটনায় জড়িতরাসহ কতিপয় মাতব্বর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে ওই মহিলা ঘটনার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।

    এরপর ওই মহিলা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ, ধর্ষণ এবং সহযোগিতার অপরাধে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।

    ওই মামলায় উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাহাদত হোসেন (৪৫), নন্দীগ্রাম কলেজপাড়ার আমির আলীর ছেলে হযরত আলী (৩৫) ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন আলী (২৫) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।

    নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম জানান, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • মাধবপুরে চাকুরী দেওয়ার নামে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেপ্তার। 

    মাধবপুরে চাকুরী দেওয়ার নামে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেপ্তার। 

    মাধবপুরে চাকুরী দেওয়ার নামে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেপ্তার। 

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরী দেয়ার নাম করে চট্রগ্রামের তরুণীকে নিয়ে এসে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯।

    বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে র‌্যাব-৯ এর লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও এএসপি আব্দুল্লাহ-আল-নোমানের নেতৃতে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হল মাধবপুর উপজেলার তাজপুর গ্রামের মৃত মধু মিয়ার পুত্র রফিক মিয়া (৩০) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বড়চর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মহিবুর রহমান ওরফে মামুন মিয়া (২৫)।
    বিকেল ৫ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কৃতকর্মের বিষয়টি র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তারা চট্রগ্রামের হাটহাজারী এলাকার ওই তরুণীকে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে মাধবপুরে নিয়ে আসে। পরে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
    নাহিদ হাসান আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অন্যান্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
    এর পুর্বে জীবিকার তাগিদে শাহপুর এলাকায় একটি কোম্পানিতে কাজের জন্য গত ২৫ মার্চ সন্ধায় সে উপজেলার দরগাহ গেইট এলাকায় পৌছায়। এসময় একটি সিএনজি অটোরিক্সা করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি বাসায় আটকে রেখে চালানো হয় গণধর্ষণ। টানা ধর্ষণের ফলে ওই তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে (২৭ মার্চ) রবিবার বিকেলে তাকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে মুখ বেঁধে ফেলে চলে যায় ধর্ষকেরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
    মাধবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, ভোক্তভূগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা দিয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
  • মাধবপুরে তরুণীকে সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ।

    মাধবপুরে তরুণীকে সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ।

    মাধবপুরে তরুণীকে সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ।


    জীবিকার সন্ধানে চট্টগ্রাম থেকে মাধবপুরে আসার পথে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে ২ দিন সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণী হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দরগা গেইট এলাকায় শাহপুর একটি কোম্পানিতে কাজে যাওয়ার পথে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।

    এ সময় সিএনজি অটোরিকশা যোগে আসা তিন যুবক তরুণীকে শাহপুর কোম্পানিতে নামিয়ে দেয়ার কথা বলে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে রিয়াজনগর গ্রামের একটি ঘরে নিয়ে দু’দিন আটকে রেখে সংবদ্ধ ধর্ষণ করে।

    পরে রোববার তরুণীকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর তরুণীকে পথচারীদের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এমন বিভৎস ঘটনাটি শোনার পর তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। তরুণীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সন্তানের সামনে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেফতার ‘তান্ত্রিক’ প্রকাশ ঝোল!

    সন্তানের সামনে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেফতার ‘তান্ত্রিক’ প্রকাশ ঝোল!

    সন্তানের সামনে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেফতার ‘তান্ত্রিক’ প্রকাশ ঝোল!


    ঠাকুরগাঁও সদর রুহিয়াতে সন্তানের সামনে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানা পরিদর্শক (ওসি) চিত্ত রঞ্জণ রায়।

    ওসি বলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে মামলার আসামিরা। পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েছে। এরই মধ্যে রোববার রাত ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢোলারহাট এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি কথিত তান্ত্রিক প্রকাশ বর্মনকে (ঝোল) গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ ঢোলারহাটের একটি সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তিন বছরের সন্তানসহ ভুক্তভোগী নারীকে রেল ক্রসিংয়ের কোয়ার্টারে নিয়ে যান ‘তান্ত্রিক’ প্রকাশ ঝোল। সেখানে তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে টাকা দিতে চান তারা।

    এক পর্যায়ে মামলা করতে চাওয়ায় নানা রকম ভয়ভীতি দেখানো হয় ভুক্তভোগীকে। ভয়ে কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন ওই নারী। পরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুকের আদালতে মামলা করেন।

    মামলার প্রধান আসামি করা হয় রেলের গেটকিপার শামিম ইসলামকে। অন্যান্য আসামিরা হলেন- মো. মেজর, মো. এনামুল হক, উজ্জ্বল দাস ও কথিত তান্ত্রিক প্রকাশ ঝোল।

    ওসি চিত্ত রঞ্জণ রায় বলেন, শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।