ফুলবাড়ি(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঝড়ের কবলে পড়া বিলুপ্ত প্রজাতির একটি পেঁচা উদ্ধার করা হয়ছে। বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামে পেঁচাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে,ঝড়বৃষ্টিতে কঁাটাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাটের বাড়ির উঠানে পড়ে, এরপর অসুস্থ পেঁচাটির ওপর এক ঝঁাক কাক আক্রমণ করে। সম্রাট খেতে পেয়ে পেঁচাটিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে,এসময় তিনিও কাকের আক্রমণের শিকার হন এবং পেঁচাটিকে উদ্ধার করেন।
পেঁচা উদ্ধারকারী ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট বলেন, কাকের চেচামেচি শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি একটি অসুস্থ পেঁচাকে আক্রমণ করেছে এক ঝঁাক কাক। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পেঁচাটি উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে। কাকেরা আমার ওপরেও হামলা করে। পরে পেঁচাটি উদ্ধার করে খঁাচায় রেখেছি।’
যোগাযোগ করা হলে সামাজিক বনবিভাগ মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘খাদ্য অভাবে হয়তো পেঁচাটি শহরে এসে ঝড়বৃষ্টির শিকার হয়েছে। তবে যিনি উদ্ধার করেছেন তিনি এখনো আমাদের কিছুই জানান’নি। বনবিভাগ থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে পেঁচাটি উদ্ধার করতে। পেঁচাটি উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং সুস্থ্য হলে অবমুক্ত করা হবে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঝড়ের কবলে পড়া বিলুপ্ত প্রজাতির একটি পেঁচা উদ্ধার করা হয়ছে। বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার কঁাটাবাড়ী গ্রামে পেঁচাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে,ঝড়বৃষ্টিতে কঁাটাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাটের বাড়ির উঠানে পড়ে, এরপর অসুস্থ পেঁচাটির ওপর এক ঝঁাক কাক আক্রমণ করে। সম্রাট খেতে পেয়ে পেঁচাটিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে,এসময় তিনিও কাকের আক্রমণের শিকার হন এবং পেঁচাটিকে উদ্ধার করেন।
পেঁচা উদ্ধারকারী ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট বলেন, কাকের চেচামেচি শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি একটি অসুস্থ পেঁচাকে আক্রমণ করেছে এক ঝঁাক কাক। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পেঁচাটি উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে। কাকেরা আমার ওপরেও হামলা করে। পরে পেঁচাটি উদ্ধার করে খঁাচায় রেখেছি।’
যোগাযোগ করা হলে সামাজিক বনবিভাগ মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘খাদ্য অভাবে হয়তো পেঁচাটি শহরে এসে ঝড়বৃষ্টির শিকার হয়েছে। তবে যিনি উদ্ধার করেছেন তিনি এখনো আমাদের কিছুই জানান’নি। বনবিভাগ থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে পেঁচাটি উদ্ধার করতে। পেঁচাটি উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং সুস্থ্য হলে অবমুক্ত করা হবে।
দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম পরিষদের সাথে চেম্বার অব কমার্স এর ফুলবাড়ী উপজেলার সদস্যদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় ফুলবাড়ী হোসেন কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন লাভলী ফুড অব ইন্ডষ্ট্রির চেয়ারম্যান,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো: খুরশিদ আলম মতি।
সভায় রাহবার কবির পিয়াল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট্র ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক মো: আতাউর রহমান মিল্টন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র লাভলী ফুড অব ইন্ডষ্ট্রির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য,বিশিষ্ট্র ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব মো: মাহমুদ আলম লিটন,আমিন আটো রাইস মিল এর সত্বাধীকারী, চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য,বিশিষ্ট্র ব্যাবসায়ী মো: রুহুল আমিন,গুপ্তা ফ্লাইউড এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য,বিশিষ্ট্র ব্যাবসায়ী রাজু প্রসাদ গুপ্ত,দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এর বর্তমান সভাপতি মো: সুজাউর রব-চৌধুরী, বর্তমান সহ-সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, দিনাজপুর জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সভাপতি মো: মোসাদ্দেক হোসেন, দিনাজপুর জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল লিডার মো: রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম,এফবিসিসি আই এর সদস্য মো: জার্জিস আনাম প্রমুখ।
এ সময় রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম প্যানেলের সকল সদস্যসহ ফুলবাড়ীর বিশিষ্ট্র ব্যাবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতেই দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম প্যানেলের সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম প্যানেলের সদস্যগণ আসন্ন চেম্বার অব কমার্স এর নির্বাচনে উপস্থিত সদস্যদের কাছে সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনলাইনে ভুমি উন্নয়ন কর ও রেজিষ্টেশন বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুৃষ্ঠিত হয়েছে।
সরকার ভূমি উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অনলাইনে ভুমি মালিকদের রেজিষ্টেশন কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা ভূমি অফিস। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা হল রুমে সাংবাদিকদের নিয়ে এই অবহিত করণ সভা অনুৃষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন এর সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আতাউর রহমান মিল্টন,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা: কানিজ আফরোজ। এসময় উপজেলার প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক গণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা: কানিজ আফরোজ বলেন, সরকার আনলাইনে রেজিষ্টশনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে করে করে ভূমি মালিকগণ ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে না গিয়েই, অর্থাৎ ঘরে বসে র্স্মাট ফোন অথবা কম্পিউটার/ ল্যাপটপে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে সেখান থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করে দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে করে ভুমি মালিকগণের জমির উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা দিতে সহজ হবে।
এ লক্ষ্যে উপজেলার সব ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার মৌজাওয়ারী ভূমি মালিকের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রত্যেক ভুমি মালিকগণকে তার মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র,পূর্ববর্তী দাখিলার কপি এবং প্রয়োজনে খতিয়ানের কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জমি মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা: কানিজ আফরোজ। আগামী ৩০ জুন থেকে পুর্বের প্রচলিত পদ্ধতিতে আর ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে না বলেও জানিয়েছেন উপজেলা তিনি।
তিনি সকল ভুমি মালিকগণকে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশনে অংশ গ্রহন করতে আহব্বান জানিয়েছেন।এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ভূমি মালিকগণ পৌর ভূমি অফিসসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ভূমি অফিসে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেছেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফুলবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে। ৫ জুন থেকে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত ১৪দিন এই ক্যাম্পেইন পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৫ জুন)দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে আয়োজিত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মনিক রতন, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক আবু শহীদ,সাধারণ সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান উজ্জ্বলসহ স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিনের ১ হাজার ৫’শ শিশু এবং ১ থেকে ৫ বছরের ১২ হাজার শিশু।
এর আগে ফুলবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে সকাল ৯টায় স্থানীয় ঢাকা মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী লুৎফুল হুদা চৌধুরী লিমন, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মুরাদ হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারী কহিনুর বেগম, টিকাদান সুপারভাইজার শেখ সোহরব আলী হিরা প্রমুখ।
পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, পৌরএলাকায় ২৬টি টিকাদান কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী ৭’শ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন।
এতে ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. নেয়ামত আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আহসান হাবীব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নীরু শামসুন্নাহার, ইউপি চেয়ারম্যান মনিক রতন, ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লব, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি প্রভাষক আজিজুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি জাকারিয়া ইসলাম, ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল মন্ডল, খামারী মতিবুল ইসলাম প্রমুখ।
শেষে প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া খামারীদের মাঝ থেকে তিনজন বিজয়ীর হাতে চেক ও সনদপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিদ্বয়। প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২টি খামারী তাদের গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশুপাখি প্রদর্শনে স্টলে অংশে নেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের সমশেরনগর, পাঠকপাড়া, লক্ষ্মণপুর বেলডাঙা ও আলুরডাঙা আদিবাসী পাড়া গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ওই গ্রামবাসীরা।
গতকাল রবিবার ফুলবাড়ী-বিরামপুর সড়কের জয়নগরস্থ দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানবববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন,দীর্ঘ দুইবছর আগে শিবনগর ইউনিয়নের সমশেরনগর, পাঠকপাড়া, লক্ষ্মণপুর বেলডাঙা ও আলুরডাঙা আদিবাসী পাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য কাঠামো গঠন করা হলেও অজানা কারণে আজো ওই গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ পেঁৗছেনি। পল্লী বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্রামগুলোতে নেসকোর (পিডিবি) সংযোগ থাকায় এই জঠিলতা তৈরি হয়েছে। মুজিববর্ষে শহর থেকে গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও আমরা আজো বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত। অসহনীয় গরমে দুর্ভিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
এবিষয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জেনারেল ম্যানেজোর (প্রশাসন-জিএম) মো: গোলাম আজম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওই এলাকায় পিডিবি কতৃক বিদুৎ সরবারাহ করা হয়েছে, সে কারনে তাদের এরিয়ার মধ্যে পল্লী বিদুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ী বিদুৎ সরবারহ (পিডিবি) কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে তাদের জানানো হয়েছে এবং যারা না বুঝে আন্দোলন করেছেন তাদেরকেও বিষয়টি বুঝিয়ে সেখানে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, পিডিবি কতৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিদুৎ সংযোগ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে ফুলবাড়ী বিদুৎ সরবারাহ আবাসিক প্রকৌশলী মো: উজ্জ্বল আলী জানান বিদুতের পোল স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে,আগামী এক সপ্তাহর মধ্যে ওই এলাকায় বিদুৎ সংযোগ দেয়া হবে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার অদূরে বাসুদেবপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন তার নিজের প্রচেষ্টায় দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিকের সুবিধার জন্য একের পর এক সময় সাশ্রয়ী বিভিন্ন কৃষি কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন । এর ফলশ্রুতিতে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
আনোয়ার হোসেন এবার তৈরি করেছেন ধান কাটার হারভেষ্টার মেশিনের সহযোগী মেশিন। এই মেশিন দিয়ে কৃষকরা হারভেষ্টার মেশিন থেকে স্বল্প খরচে ধান পরিবহণ ও বস্তাজাত করতে পারছেন।
জানা গেছে, ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়। তাই কৃষকদের কাটা মাড়াই সুবিদার্থে কৃষি দপ্তরের অধিনে ভুর্তকি মূলে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য অত্যাধনিক হারভেষ্টার মেশিন সরবরাহ করেন। ওই হারভেষ্টার দিয়ে কৃষকরা দ্রুত সময়ে জমির ধান কাটা ও মাড়াই কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। কিন্তু হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ের সময় একটি মেশিনে ধান সংগ্রহের ধারণ ক্ষমতা থাকে ২৫ মন। কাটা মাড়াইর পর জমি থেকে কৃষকের সুবিধা জনক স্থানে ওই ধান আনলোড কিংবা বস্তাজাত করতে গেলে সময়ের প্রয়োজন এবং হারভেষ্টারের জ্বালনী খরচ ও রক্ষণা বেক্ষণ খরচ অনেক বেশী।
আবার জমি থেকে কৃষক ওই ধান বস্তা জাত করতে লেবার ব্যবহার করলে তার খরচও অনেক বেশী। এই চিন্তা ধারা থেকে কৃষক আনোয়ার উদ্ভাবন করেছেন হারভেষ্টা সহযোগী একটি পরিবহণ যন্ত্র। যা দিয়ে এক একর জমির ধান হারভেষ্টার থেকে কৃষকের সুবিধাজনক স্থানে পরিবহণ করতে সময় লাগে কম এবং খরচ হয় মাত্র ৬ থেকে ৭ শত টাকা। অথচ একই পরিমাণ জমি ধান শ্রমিক দিয়ে পরিবহণ করতে খরচ হয় ৩ হাজার টাকা।
উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন জানান, তিনি চলতি বছর সাড়ে ৭ একর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছে। ধান কাটা মাড়ার আধুনিক যন্ত্র হারভেষ্টার দিয়ে ভাড়ায় ধান কাটা মাড়াই সম্ভব হলেও জমি থেকে ধান পরিবহণের সমস্যা। তাই তিনি আনোয়ারের উদ্ভাবিত হারভেষ্টার সহযোগী যান দিয়ে ধান পরিবহণ করছেন। তাতে তার সময় কম লাগছে এবং খরচ কম হচ্ছে।
উপজেলার হরগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত দেখতে এসেছেন ধান কাটা মাড়াই ও পরিবহণ ব্যবস্থার। তিনি জানান এভাবে ধান কাটা মাড়াই ও পরিবণ করলে আমাদের খরচ সাশ্রয়ী হবে।
বাসুদেবপুর গ্রামের ২টি হারভেষ্টারের মালিক মো. গোলাম মোস্তফা লিখন জানান, তিনি সরকারের ভুর্তকিতে দু’টি হারভেষ্টার নিয়েছেন। কিন্তু হারভেষ্টা দিয়ে ধান কাটা মাড়াই দ্রুত হয়। তবে পরিবহনের ক্ষেত্রে হারভেষ্টারের রক্ষণা বেক্ষণ ও জ্বালানী খরচ অনেক বেশী। সব মিলে কৃষকের কাছে হারভেষ্টরের ভাড়া বেশী চাইলে কৃষকেরও সমস্যা। তাই আনোয়ারে তৈরি হারভেষ্টর সহযোগী যান ব্যবহার করলে কৃষক উপকৃত হবে। আরো ভালো হয় সরকার হারভেষ্টরের সাথে এই সহযোগী যানও যদি ভুর্তকিতে কৃষকদের সরবরাহ করতে পারেন।
উদ্ভাবক আনোয়ার হোসেন জানান, সরকার কৃষকের লাভের কথা চিন্তা করে বিদেশ থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে ধান কাটার কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন কিনছে। কিন্তু এ হার্ভেস্টার মেশিনের ধান সংগ্রহের ভান্ডারটি তুলনা মূলক ছোট হওয়ায় ১০/১৫ মিনিট পর পর ধান আনলোড করতে হয়। এতে যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়। একইসাথে ধান আনলোড করতে রাস্তায় কিংবা শুকনো উঁচু জমিতে যাতায়াত করতে হার্ভেস্টার মেশিনের তেল খরচ ও রক্ষণা-বেক্ষণ খরচ অনেক বেশি হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ধানের জমি থেকেই ধান সংগ্রহের বিকল্প হিসেবে এই সহযোগী মেশিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, হার্ভেস্টার সহযোগী মেশিনটি ধান পরিবহন ছাড়া, জমি চাষ করা, হার্ভেস্টার মেশিনকে পরিবহন করা, ধানের বস্তা পরিবহন ইত্যাদি কাজেও ব্যবহার করা যায়।
আনোয়ার হোসেন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সরকারিভাবে আমাকে সহযোগিতা করলে আমি এই সহযোগি যন্ত্রটি কৃষকের ঘরে ঘরে পেঁৗছে দিতে পারব। এতে কৃষক কম খরচেই স্বল্প সময়ে জমি থেকে ধান ঘরে তুলতে পারবে। অন্য সময় ওই যন্ত্রের মাধ্যমে জমি চাষ করতে পারবে এবং হারভেষ্টার পরিবণ করতেও পারবে। যন্ত্রটির মূল্য সম্র্পকে তিনি বলেন প্যাকেজ হিসেবে এর মূল্য সাড়ে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা মাত্র।
প্রসঙ্গত আনোয়ার হোসেন ২০১৪ সালে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্বাইড হারভেষ্টার মেশিন তৈরি করে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। তার তৈরী কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনের মূল্য মাত্র আট লাখ টাকা। অথচ বিদেশ থেকে এই মেশিন আমদানি করতে খরচ হয় অনেক বেশী।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে খায়েরবাড়ী ও দৌলতপুর ইউনিয়নের দির্ঘ দিনের তিন হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধাতা নিরোশনে বারাইপাড়া গ্রামে খননকৃত খালটি সংস্করনের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় পানি নিস্কাশনের খালটি পাকা ও সংস্করন কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রায়হানুল ইসলাম, খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের মন্ডল, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডল, সংস্কার কাজের ঠিকাদার আবুল হাছান মোল্ল্যা ও আতিয়ার রহমান মিন্টুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্য্যলয় সুত্রে জানা গেছে স্থানীয় সরকার উন্নায়ন প্রকপ্ল (ইউজিডিপি) এর আওতায় ৪২ লাখ টাকা ব্যায়ে খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর ইউনিয়নের তিন হাজার বিঘা জমির সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরোশনে খননকৃত খালটি পাকা ও সংস্করনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের পুর্ব নারায়নপুর, মহদিপুর, মহেষপুর ও দৌলতপুর ইউনিয়নের গড়পিংলাই, বারাইপাড়া গ্রামের প্রায় তিন হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারনে দির্ঘদিন ধরে অনাবাদি হয়ে পড়লে, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর তৎকালিন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম এর উদ্যোগে ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টনের সার্বিক সহযোগীতায় বারাইপাড়া গ্রামে পানি নিশস্কাশনের খাল খনন করে তিন হাজার বিঘা জলাবদ্ধতা নিরোশন করা হয়। এরপর থেকে ওই জমি গুলোতে আবারো চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এই পানি নিস্কাশনের খালটি দির্ঘস্থায়ী করতে খননকৃত খালটি সংস্কার ও পাকা করণ করা হচ্ছে।