সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২টি ইউনিয়ন তালম ও দেশীগ্রাম গুড়পীপুল ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী’র ঈদ উপহার ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে উপজেলার তালম ইউনিয়ন কার্যালয় চত্বরে ১ হাজার ৩শ ৭৫টি অসহায়,দুঃস্থ ও হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্বাস-উজ-জামান এবং অপরদিকে দেশীগ্রাম গুড়পীপুল ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকার ১ হাজার ৩শ ৪০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে তালম ইউনিয়নে উপস্থিত ছিলেন ট্র্যাগ অফিসার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান,ইউপি সচিব আলা উদ্দিন,ইউপি সদস্য ইসহাক হোসেন,আবু তালেব ,হাসিনা খাতুন, রহমত আলী,মোস্তফা হোসেন, হাবিবুর রহমার হিরন,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহেল রানাসহ অনেকে।
আবার দেশীগ্রাম গুড়পীপুল ইউনিয়নে উপস্থিত ছিলেন ট্র্যাগ অফিসার উপজেলা একটি বাড়ি একটি খামার কর্মকর্তা মোতাখখার রহমান,ইউপি সচিব ফরিদুল ইসলাম ,ইউপি সদস্য কনিকা রানী সহ সকল সদস্য বৃন্দ। এ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে তালম ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস-উজ-জামান ও দেশীগ্রাম গুড়পীপুল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন,করোনা কালীন সময়ে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে এ চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের উদ্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদান নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১৮ জুলাই রবিবার সকালে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন কার্যালয় চত্বরে হত দরিদ পরিবারের মাঝে ৫শ করে টাকা ৭শ ৫০জনকে বিতরণ করা হয়।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায়,দুঃস্থ, হত দরিদ্র,ভ্যান ও রিক্সা চালকদের মাঝে সরকারী বরাদ্দ থেকে এ টাকা বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্র্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান,ইউপি সচিব শরিফুল ইসলাম,ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন,আব্দুল মালেক,জয়নব খাতুন,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া,গ্রাম পুলিশ দফাদার রাজিব চন্দ্রসহ অনেকে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিটি ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ ভাল ভাবে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারেন তার জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ বারুহাস গরুর হাটে পুলিশকে মারার অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার সাপ্তাহিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনাবেচা বারুহাস হাটে সরকারের নিষেধ অমান্য করে গরুর হাট বসানো হয়। সরকারী নিয়ম অবমাননা করায় পুলিশ বাধা দিলে গেলে ওই সময় পুলিশকে মারধর করে। পরে রাতে হাটের ইজারাদারসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন, ১৬ জুলাই শুক্রবার তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও হাট ইজারাদার মাসুদ রানা, সরকারী নিষেধ অমান্য করে বারুহাস গ্রামে গরুর হাট বসায়।
থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই স্থানে গিয়ে হাট বন্ধ করার কথা বলেন। এ সময় মাসুদ রানা ও তার ৪ সহযোগী পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং মারধর করেন। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতেই ৫ জনকে গ্রেফতার করে আনা হয় ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মাসুদ রানা, ঝন্টু, রাসেল, আব্দুল হান্নান ও আবু হাসনাত বাবু। গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২টি ইউনিয়নের উদ্যোগে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন কার্যালয় চত্বরে অসহায়,দুঃস্থ ও হত দরিদ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায়,দুঃস্থ ও হত দরিদ্র ১হাজার ৪শ ৯৪টি পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্র্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান,ইউপি সচিব শরিফুল ইসলাম,ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন,আব্দুল মালেক,জয়নব খাতুন,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া,গ্রাম পুলিশ দফাদার রাজিব চন্দ্রসহ অনেকে।
এ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন,করোনা কালীন সময়ে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে একই জায়গায় জনতার ভীড় না করে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে চাল বিতরণ করার জন্য ওয়ার্ডের মেম্বরদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অপরাদিকে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের উদ্যোগে বিনোদপুর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা আইডিয়াল সরকারী কলেজ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোক্তার হোসেন মুক্তার সভাপতিত্বে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সরকারী বরাদ্দ থেকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায়,দুঃস্থ ও হত দরিদ্র ১হাজার ৫শ ৬৫ টি পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক উত্তম কুমার সরকার,ইউপি সচিব হেলাল আহম্মেদ,ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, আব্দুল ফরিদ,শফিকুল ইসলাম,সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদসহ অনেকে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌর সভার উদ্যোগে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পৌর সভার অস্থায়ী কার্যালয় চত্বরে দায়িত্ব প্রাপ্ত পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে এ চাল বিতরণ করা হয়।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায়,দুঃস্থ ও হত দরিদ্র ৩শ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ ৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি,ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান,প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক, পৌর সচিব আশরাফুল আলম ভুইয়া, জাতীয় চার নেতা পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম,পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিকসহ পৌর সভার সকল কাউন্সিলর বৃন্দ।
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁর কোরবানির পশুর হাট উপলক্ষে ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ২২ ইজারারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র্যাব-১২’র সদস্যরা।
জানা যায় হাট ইজারাদারা হাট ইজারা নিয়ে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার(১৫ জুলাই) নওগাঁ গরুর হাটে গরু বিক্রয়দাতার নিকট থেকে ৫’শ ও বাঁধার জন্য ৩’শ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে ১ হাজার টাকা গরু প্রতি ১ হাজার ৮’শ টাকা খাজনা আদায় করার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এর আগে হাট ইজারাদারগণ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীদের। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১২’ র এক অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ওই ২২ ইজারাদারকে আটক করেন।
হাটে একাধিক ক্রেতা বিক্রেতা জানান চলতি বছরের শুরু থেকে সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে খাজনা আদায় করে আসছে।কোরবানির হাট উপলক্ষ্যে ব্যপরোয়া ভাবে আটককৃতরা গরু প্রতি ১৮’শ টাকা করে খাজনা আদায় করছে। এমন অভিযোগে র্যাব-১২’র সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।এলাকাবাসী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অধিদফতরের উদ্দ্যোগে ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে রাজস্ব বাজেট থেকে এ পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়। ১৪ জুলাই বুধবার বিকালে উপজেলার বৃ-পাচান গ্রামের চত্রার বিলে এলাকার সুফল ভোগীদের একটি পুকুরে ২ লাখ রেনু পোনা অবমুক্তকরেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহেদ আলী ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবি , সুফল ভোগী ও ওই দপ্তরের কর্মচারী বৃন্দ।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিদিন অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে দুপুরের ফুল পেট খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। মহামারী করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বের মানুষ যখন দিশেহারা। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা যখন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।
ঠিক এমন মুহুর্তে ১৪ জুলাই বুধবার দুপুরে অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে দুপুরের ফুল পেট খাবার তুলে দিচ্ছেন তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি। উপজেলার হাসপাতাল গেটে অবস্থিত সিয়াম এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর সিয়াম, সিফাত ও সাঈফ মানবতা ভোজনালয় ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রতিদিন এ খাবার বিতরণ করছেন।
এ আয়োজনের উদ্যোক্তা আব্দুস সালাম বিএসসি বলেন, আমি ৯ জুলাই শুক্রবার থেকে অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আল্লাহ আমাকে যতদিন সামর্থ দেন আমি এ কাজ করে যাব। আল্লাহ আমাকে তিনবার মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এনেছেন। তাই আল্লাহকে সন্তুষ্টি রাখার জন্য আমি আমার সাধ্যমত প্রতিদিন দুপুরে অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিবো।
এ খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবির লিমন,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ গোলাম রাব্বারী ,সহ সভাপতি মহসীন আলী ও সাংবাদিক এম ছানোয়ার হোসেন সাজু।
জানা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি এনামুল হক যথা নিয়মে ক্লিনিকে গিয়ে অফিস খুলতেই এই সন্ত্রাসী দল তাকে ঔষধ দেওয়ার জন্য বলে। তিনি তাদের কে বলেন অফিসের কাগজ পত্র গুলি ঠিক করে ঔষধ দিচ্ছি। তখনই সন্ত্রাসী দল তাকে গালি গালাজ করতে থাকে। অবস্থা খারাপ দেখে সে তাড়াতাড়ী করে ঔষধ দিয়ে বিদায় করেন। পরে তিনি অফিসের কাজ সেরে রোগীদের ঔষধ দিতে থাকেন।
প্রায় ৩০মিনিট পর ওই সন্ত্রাসী দল আবারোও ক্লিনিকে প্রবেশ করে আমাকে ঘিরে ফেলে।তার পর গালি গালাজ করতে থাকে ও আমাকে হুমকি দামকি দিতে থাকে। আমি তাদের বলি সরকারী অফিসের মধ্যে আপনাদের এটা করা ঠিক হচ্ছে না। এ কথা বলতেই তারা আামকে এলোপাথারী ভাবে মারতে থাকে। রোগীরা আমাকে রক্ষা করে। পরে দেখী অফিসের মধ্যে সরকারী সম্পদ অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জামাল মিয়া শোভন জানান, তাড়াশে স্বাস্থ্য সেবায় জড়িতদের উপর কেন বার বার সন্ত্রাসী হামলা করছে তা ভেবে দেখা দরকার। সরকারী দফতরে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা করায় আমরা এর শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন,অভিযোগটি পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের পল্লীতে বাঁশের শিল্প বিলুপ্তর পথে কদর ফেরাতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে কারিগররা। বাঁশে তৈরী সামগ্রীর কদর না থাকায় কারিগরদের জীবন চলছে দুর্বিসহ যন্ত্রনায়। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে ধীরে ধীরে এই শিল্পের ঐতিহ্য কমতে শুরু করেছে। কেন না বাঁশের তৈরি হস্ত শিল্পের পরিবর্তে মেশিনে তৈরি প্লাস্টিক সামগ্রীর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে গৃহিনীদের। তাই জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ শিল্প।
ঠিক এমনটাই দেখা গেছে উপজেলার বিনসাড়া, গুণ্টা,বস্তুলসহ কয়েকটি গ্রামে।পুর্বে থেকেই আধুনিক মেশিনে তৈরী প্লাস্টিক সামগ্রী ও বর্তমানে‘ কোভিড ১৯’ করোনা ভাইরাসের কারনে এই শিল্পের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় কারিগরদের জীবন সংসার চালাতে হচ্ছে অনেক কষ্টে।
বাজারে এই পণ্য গুলোর কদর না থাকায় এই শিল্পের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠির লোকজন জীবন যাপন করছেন দুর্বিসহ যন্ত্রনায়। তাই অনেকেই বাপ-দাদার আমলের পেশা ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য পেশায়। বাঁশ শিল্প আমাদের দেশীয় লোক সংস্কৃতি ও কারু শিল্পের ঐতিহ্য বহন করে। তাই দাবি সরকারী সহায়তা পেলে হয়ত ঘুরে দাড়াতে পারে এ শিল্পের সাথে জড়িত থাকা এই উপজেলার কারিগররা।
উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাঁশের পণ্য সামগ্রী বানানো চলছে। গ্রামীণ একটি পরিবারের বিভিন্ন বয়সী লোক এ কাজ করছেন। এই উপজেলায় বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে অন্তত ৮০ থেকে ১শ টি হিন্দু ও মুসলিম পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। চালনা, কুলা, ডালি, টোপা,পাখা, ঝুঁড়ি ,ঝাড়–,সহ চাঁই, টেটা, বৃত্তি ,খারি প্রভৃতি সামগ্রী তৈরী করছে বিক্রি করার জন্য।
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত থাকা বিনসাড়া গ্রামের মৃত কোরবান আলীর স্ত্রী শিউলী খাতুন জানায়, আমরা এ পেশা করেই আমাদের সংসার চালাই। এই পরিবার গুলোর দরিদ্রতা আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। সব সময় অভাবে থাকি। বাঁশ শিল্প বদলাতে পারেনি আমাদের ভাগ্য। আমাদের অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। গত কয়েক বছরে বাঁশের দাম অনেক বৃদ্ধি পয়েছে।
যেখানে একটা বাঁশ ১শত থেকে ১শত ৫০ টাকায় কেনা হত এখন তা ২ শত থেকে ২শ ৫০ টাকায় কিনতে হয়। ১টি বাঁশ দিয়ে ৩-৪ টি ঝুঁড়ি তৈরি করা যায়। বাঁশের সামগ্রী বানানোর জন্য মুলিবঁাশ, তল্লাবাঁশ ও বইরা বাঁশ প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বাঁশের উৎপাদন কমে গেছে। বাঁশ সংগ্রহ করে কাজ করা এখন বেশ কঠিন।
সারা বছরই বাঁশের তৈরি বিভিন্ন প্রকারের পণ্য হাট বাজারে বিক্রি করা হয়। এগুলো বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে আমাদের সংসার।
শওকত আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন বলেন, কাঠ ও বেতের পাশাপাশি আগে থেকেই বাঁশের জিনিস ব্যবহার করার অভ্যাস ছিলো বাঙালিদের। বাঁশ শিল্পের পন্য ব্যবহার করতো এই এলাকার মানুষজন । গ্রাম ও শহরে বাঁশের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা ছিলো। বাঁশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ও সৌখিন বিভিন্ন জিনিস বানানো হয়। কিন্তু বর্তমানে প্লাষ্টিক সামগ্রী থাকায় আমাদের এই জিনিস গুলোর কদর কমে গেছে। বর্তমানে আমাদের জিনিস গুলো বাজারে কম বিক্রি হওয়ায় আমরা অভাবে দিন কাটাচ্ছি।
ওই গ্রামের আরোও একজন বুলবুল আহম্মেদ বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে ২জন মানুষ ১০টা ডালি তেরী করতে পারি। ১টা ডালি ১শ টাকায় বিক্রি করি। ১০টা ডালি বিক্রি করে ১ হাজার টাকা পাই তার মধ্যে ৫শ থেকে ৬শ টাকা খরচ হয়। বর্তমানে এলাকায় মাটি কাটার মেশিন ভেকু থাকায় এই ডালি বিক্রি হচ্ছেনা। আবার করোনা ভাইরাসের কারনে আমরা এই কাজ কর্ম করছি না। তাই আমাদের সংসার চালানো খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা এই কাজের সাথে জড়িত থাকা লোকজনের জীবন চলছে ধুকে ধুকে।
এই ব্যাপারে বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোক্তার হোসেন বলেন, এই ইউনিয়নের হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের মধ্যে হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের তৈরী করা জিনিসপত্র গুলো ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু এই সমস্ত হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পগুলি পৃষ্ঠ পোশকতার অভাবেই আজ বিলুপ্তি হতে চলেছে। তাই এই হস্ত শিল্প ও কুটির শিল্পের শিল্পীদের দাবী- যদি সরকারী ভাবে তাদেরকে সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে তারা তাদের ঐহিত্যবাহী নানা বৈচিত্রের সামগ্রী তৈরীতে আবারও মনোযোহী হয়ে উঠবে। সরকারী সহযোগীতা পেলে হয়তো এ শিল্পের সাথে জড়িত লোকদের টিকিয়ে রাখা সম্ভব। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে পারলে দেশের চাহিদা মেটনোর পর বাঁশের তৈরি সৌখিন পণ্য সামগ্রী বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। এতে একদিকে যেমন বিলুপ্ত শিল্পের প্রাণ ফিরে পাবে, তেমনি বহু বেকার পরিবারের কর্মসংস্থানের পথ উন্মেুাক্ত হবে।