Tag: ডিমলা

  • ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি।

    ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি।

    ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    তথ্য চাওয়ায় বাংলাদেশ সমাচারের নীলফামারী জেলা বিশেষ প্রতিনিধির উপর চড়াও হন নীলফামারীর ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীরা। এ সময় তারা ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার (৫ই জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভিতরে সাব রেজিস্ট্রারের সামনেই এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক জামান মৃধা।

    এ বিষয়ে বাংলাদেশ সমাচারের জেলা বিশেষ প্রতিনিধি জামান মৃধা বলেন, ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার মনিষা সাহা অফিসের নির্ধারিত সময়ের পরেও তার খাস কামরার মুল দরজা বন্ধ করে দলিল রেজিস্ট্রি করছেন। এমন তথ্য আমার কাছে এলে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় জাল দলিল চক্র ও ঘুষের তথ্য সংগ্রহ করতে আমি এবং সাংবাদিক হাবিবুল হাসান হাবিব, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাই। অফিসে গিয়ে দেখি সাব-রেজিস্ট্রার তার খাস কামরায় বসে মূল দরজা বন্ধ করে দলিল রেজিস্ট্রি করছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি সটকে পড়েন। নকলনবীস মহিকুল ইসলাম, দলিল লেখক হবিবর রহমান,সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কেরানী ধনন্ঞ্জয় আমার দিকে তেরে আসেন। মহিকুল ও তার অনুগত কর্মচারীসহ আমাদের ধমকাতে থাকে। তারা বলেন, তাড়াতাড়ি এই জায়গা থেকে না গেলে বড় ধরনের বিপদ হবে। এ সময় অজ্ঞাতনামা একজন মারার উদ্দেশ্যে আমার হাত ধরে টান দেয়। আমি হাত ছুটিয়ে দ্রুত অফিসের বাইরে চলে আসি।

    দৈনিক জনবাণীর ডিমলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, জাল দলিল মামলায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকসহ কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। তাঁদের কাছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলের শতাধিক সরকারি স্ট্যাম্প ও দলিল জাল করার উপকরণসহ বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তা, সাব-রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জাল সই-সংবলিত ১৬৫ টি সিল জব্দ করা হয়ে ইতিপূর্বে। এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করি সাব রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলার জন্য। পরে আমি নিচে নেমে আসি। এ সময় জামান মৃধা সাব রেজিস্ট্রার অফিস হতে বের হওয়ার সময় তারা অফিসের বাইরেও তার ওপরে চড়াও হয়। পরে আমি দৌড়ে গিয়ে কিছু ভিডিও ধারণ করি। এ সময় তারা সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব রেজিস্টার মনিষা সাহা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইছুর রহমান জানান, সাংবাদিকদের লান্ঞ্চিতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ডিমলায় সীমান্ত এলাকা থেকে ৩ টি ভারতীয় গরু উদ্ধার।

    ডিমলায় সীমান্ত এলাকা থেকে ৩ টি ভারতীয় গরু উদ্ধার।

    ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারী ডিমলায় গভীর রাতে ডিমলা থানা পুলিশ ০৩ টি ভারতীয় গরু উদ্ধার করেছে। ডিমলা থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ রোস্তম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারি কয়েকজন চোরা-কারবারী সীমান্তবর্তী ভারত হইতে তিস্তা নদী হইয়া চোরাই পথে ভারতীয় গরু কালীগঞ্জ বাজারের দিকে নিয়ে আসে।

    বিষয়টি আমি মোবাইল ফোনে অফিসার ইনচার্জ সাহেবকে অবগত করিয়া তাহার নির্দেশে সঙ্গীয় অফিসার, ফোর্স লইয়া পশ্চিম ছাতনাই শিরিজ তলা কাঁচা রাস্তা হইয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাঁচা রাস্তার উপর ০৩ জানুয়ারী ভোর আনুমানিক ৫.১০ ঘটিকার সময় পৌঁছামাত্রই চোরাকারবারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারতীয় তিনটি আড়িয়া গরু রেখে পালিয়ে যায় । পালানোর সময় সঙ্গীয় অফিসার, ফোর্স চোরা-কারবারীদের আটক করার চেষ্টা করে।

    চোরা-কারবারীদের আটক করা সম্ভব হয় নাই। থানা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ রোস্তম আলী, এসআই (নিরস্ত্র) প্রদীপ কুমার রায়, এসআই (নিরস্ত্র) জাহিদ হাসান, এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি ভারতীয় গরু উদ্ধার করেছে।

    পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু রেখে চোরা-কারবারীরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে উদ্ধার করা ৩টি গরু ডিমলা থানা হেফাজতে আছে। ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লাইছুর রহমান সংবাদকর্মীদের বলেন, ৩টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়েছে।

    নিয়মানুযায়ী উদ্ধারকৃত গরু জব্দ তালিকা করে আদালতের নির্দেশনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সীমান্তে চোরা-চালান রোধে বর্ডারগার্ডের (বিজিবি) সদস্যদের সর্বদা সর্তক থাকার আহবান জানান।

  • ডিমলায় বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা।

    ডিমলায় বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় গত শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর) বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জলঢাকা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ৭৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে পুরো এলাকা ।

    সরেজমিনে দেখা যায়, মামলার কথা শুনে বাড়ি ছেড়েছে অনেকে। গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যেই সময় পার করছেন তারা । আর এই অজ্ঞাতনামা মামলার কথা শুনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কুঠিরডাঙ্গা সহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। কুঠির ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মনসুরা বেগম বলেন, আমরা শুনেছি যে মামলা হয়ছে। তাও আবার পাঁচশো, ছয়শো মানুষের নামে। যেহেতু নাম উল্লেখ্য করে মামলা হয় নাই, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে সময় পার করছি আমদের গ্রামের সবাই। আরেক বাসিন্দা সুরাইয়া আক্তার বলেন, আমরা বিক্ষিপ্ত ঘটনার দিন ছিলাম না। পারিবারিক কাজে সবাই রংপুরে ছিলাম। এখন মামলা হয়েছে অনেক জনের নামে।

    এ নিয়ে আমরা অনেকে ভয়ের মধ্যে আছি। কাকে কখন তুলে নিয়ে যায় বলা যায় না। আমরা এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই। উল্লেখ্য, ৬৪ টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় (ক্যাট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত) ডিমলা উপজেলার বুড়িতিস্তা (পচারহাট) এলাকায় পাউবো নীলফামারী ও স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সীমানা নির্ধারণ এবং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেন।

    মাঠ জরিপ কাজ শুরুর এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই আকস্মিক সংঘর্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি এস্কেভেটর (ভেকু), তিনটি সিক্স সিলিন্ডার মেশিন, দুইটি থ্রি সিলিন্ডার মেশিন ও একটি মোটরসাইকেলে বিক্ষুব্ধ জনগণ আগুন ধরিয়ে দেন।

    এছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি দুই চালা টিনের সেট ঘর ভাংচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিসের ডিমলা ডিফেন্সের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। সেদিনের সেই ঘটনায় জলঢাকা পওর উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো একরামুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শত জনের নাম মামলা করা হয়েছে।

    মামলার বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লাইছুর রহমান বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বাদী হয়ে গত বুধবার (২০শে ডিসেম্বর) একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শতাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আর আমি বলে দিয়েছি কোন সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হবে না। অতএব কেউ ভয় পাবেন না। শুধুমাত্র দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

  • ডিমলায় বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরনের শুভ উদ্ভোধন।

    ডিমলায় বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরনের শুভ উদ্ভোধন।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় বিনামুল্যে কৃষকদের মাঝে বোরো হাইব্রীড ও উফশী জাতের ধানের উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার বিতরনের শুভ উদ্ভোধন করা হয়।

    সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় ডিমলা উপজেলা কৃষি সমম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মোঃ নাজমুল হক এর সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-১ ( ডোমার- ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী, ভাইচ চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শাহিনুর ইসলাম, মোঃ আঃ খালেক, মোঃ ফরিদ হোসেন, মোঃ গোলাম ফারুক ও মোঃ মমিনুর রহমান।

    এ সময় বক্তারা বলেন কৃষিই আমাদের প্রাণ তাই কৃষকদের এগিয়ে নিতে সরকারী ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিনামুল্যে সার, বীজ, কম খরচে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৫০% ভূতুর্কীতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। দশটি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় বোরো হাইব্রীড ও উফশী জাতের ধানের উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ২ কেজি হাইব্রীড ধান বীজ, ৫ কেজি উচ্চ ফলনশীল উফশী ধান বীজ , বিএডিসির ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি পটাশ (এমওপি) সার ও বীজ বিতরন করা হয় । ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা রবি মৌসুমে প্রণোদনার বিনামুল্যে বীজ ও সার পেয়ে অত্যন্ত খুশি।

    এসময় বালাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান উপজেলা কৃষি সমম্প্রসারন অধিদপ্তররের সহযোগিতায় কৃষকরা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান গত বছর বোরো ধানের ফলন আশানুরূপ ভালো ও ন্যার্য মুল্য পাওয়ায় এবারে বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। রবি মৌসুমে চাষাবাদের বিষয়ে আমরা কৃষকদের দোড় গোড়ায় পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে ও যেকোনো পরামর্শের জন্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন নিরলস ভাবে কাজ করছে।

  • ডিমলায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন।

    ডিমলায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :

    ১১ই ডিসেম্বর ১৭৭১ সাল। আজ এই দিনে ডিমলা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে ডিমলাকে পাক হানাদার মুক্ত করে। এ উপলক্ষ্যে আজ ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় ডিমলা বিজয় চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত চেতনায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছেন ডিমলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জনতা। এ সময় একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী শহর প্রদক্ষিন শেষে বিজয় চত্বরে একটি আলোচনা সভা করে।

    আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ এর সভাপতি আসাদুজ্জামান কবির জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী -১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সামছুল হক, আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টুু, জেলা পরিষদ সদস্য ফেরদৌস পারভেজ, ডিমলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার, ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ রংপুর বিভাগের সভাপতি মোঃ সফিয়ার রহমান সহ স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ। এসময় বক্তরা বলেন- ডিমলার উত্তর অঞ্চলটি ছিল বর্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান । হানাদার বাহিনীরা ক্যাম্প তৈরী করায় মুক্তিযোদ্ধারা ডিমলাকে ৬টি কোম্পানী অঞ্চলে ভাগ করে নেন।

    ১০ অক্টোবর-১৯৭১ সালে ডিমলায় প্রথম যুদ্ধ শুরু হওয়ায় দীর্ঘ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে মুক্ত হয় ডিমলা উপজেলা। ১১ ডিসেম্বর এই দিনটি হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করার সময় ৭১ এর চেতনা সকলকে ধারন করার আহবান জানান।

  • ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে উঠা বালুচড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি।

    ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে উঠা বালুচড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি।

     ডিমলা ( নীলফামারী) প্রতিনিধি:

    নীলফামারীর ডিমলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খর স্রোতা তিস্তা নদীর জেগে উঠা চড় কৃষকের কাছে এখন সোনার খনি। সেখানে শুধু ধু-ধু বালুচর। কয়েকমাস আগে যে নদীর বুকে অথৈই পানি আর পানি। আর এখন সেখানে পানি শুকিয়ে চড় জেগে উঠায় নতুন স্বপ্ন বুনছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। তাদের বুকভরা আশা চরের বালু মাটিতে ফলবে সোনার ফসল। সোনার ফসল তো নয় এ যেন সোনার খনি। ঘুচবে তিস্তার ভাঙ্গনে নিঃস্ব হওয়া মানুষের ভাগ্যের চাকা। উন্নত হবে পারিবারিক জীবন যাপন। উচ্চ শিক্ষিত হবে চরাঞ্চলের অবহেলিত পরিবারের ছেলে-মেয়ে।

    তিস্তা নদী বেষ্টিত দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা ডিমলা। ডিমলা উপজেলাকে তিস্তা নদীর প্রবেশদ্বার বলা হয় । উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ছয়টির উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। বয়ে চলার খেয়ালিপনায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তিস্তা কখনো কখোনো আশীর্বাদ আবার কখনো কখোনো অভিশাপ হিসেবে আভির্ভূত হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় বন্যা আর তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে দূর্যোগ নেমে এসেছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা ও পরিবেশে। বর্ষায় টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রতি বছরই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয় উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ির একাংশ, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবারের। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেখা দেয় নতুন দূর্যোগ। আগ্রাসী রূপে হানা দেয় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গন। তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে ফসলি জমি এখন ধূ-ধূ বালুচর। জীবন জীবিকার তাগিদে টিকে থাকতে বালুচরে চাষাবাদ করে ফসল ফলানোর সংগ্রামে নেমেছেন চরাঞ্চলের কৃষক। ধু-ধু বালুচরেই চরাঞ্চলের মানুষের নতুন স্বপ্ন বুনা। সেখানে ভুট্টা, সরিষা, গম, পেঁয়াজ, রসুন, শীতকালীন শাক-সবজি, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের কৃষক।

    পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চর খড়িবাড়ি মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকেরা নদীর বুকে ধু-ধু বালুচরে ভুট্টা, সরিষা ও গম চাষাবাদ করছেন। চর খড়িবাড়ির কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, আমার সব ধানিজমি সর্বগ্রাসী তিস্তা নদীর পেটে চলে গেছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর নদীতে চড় জেগেছে। আমার আর কোন জমি নেই এখন নিরুপায় হয়ে বালু জমিতে ভুট্টা আবাদ করছি। একই এলাকার হযরত আলী বলেন, আমার পনেরো বিঘা জমির মধ্যে তেরো বিঘা জমি নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাত্র দুই বিঘা জমি রয়েছে। তা-ও বালুচর। তাতেই বীজ সার কিনে ভুট্টা চাষাবাদ করছি। খলিলুর রহমান নামের অপর এক কৃষক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার হাতে কোন টাকা পয়সা নেই। কৃষি অফিস থেকে সরকারি কৃষি প্রণোদনার ভুট্টার বীজ, সার পেয়েছি। তাই দিয়ে এবার চরের দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করছি।

    খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের বাইশ পুকুর ও কেল্লাপাড়া এলাকার কৃষক মোতালেব হোসেন ও দুলু শেখ জানান, এবারের বন্যায় আমাদের ২০-২৫ বিঘা জমিতে বালু পড়েছে। সেই জমিতে আমরা ভুট্টা চাষাবাদ করছি। জমিতে ভুট্টার বীজ বপনের প্রায় ২৫ দিন হয়েছে। আপাতত খেতের অবস্থা ভালোই দেখা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে। আশাকরি এবার ফলন ভালো হবে।

    উপজেলায় তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বললে অধিকাংশ কৃষক সংবাদকর্মীকে জানান, প্রতিবছর বন্যা ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে জীবন-জীবিকায় টিকে থাকতে কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের। তিস্তার করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে তিস্তা নদীর মহা-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চান নদী পাড়ের হাজারো পরিবার।

    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান গত বছর ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এবার উপজেলায় ১৩ হাজার ৪ শত ৫৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ১২০ হেক্টর জমিতে নয়শত কৃষকের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। রবি মৌসুমে চাষাবাদের বিষয়ে আমরা কৃষকদের দোড় গোড়ায় পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে ও যেকোনো পরামর্শের জন্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

  • ডিমলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক।

    ডিমলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক।

    ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় নবান্নের উৎসব কাটতে না কাটতেই উপজেলার স্থানীয় কৃষকেরা ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের কৃষকেরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর হাইব্রীড ও দেশীয় উদ্ভাবনী বিভিন্ন জাতের ধানবীজ ক্রয় করে বীজ বপনের জন্য বীজতলা তৈরী করছে। আবার অনেকে বীজ জমিতে ফেলে পরিচর্যা শুরু করছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) উপজেলার মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, শ্রমিক, সার ও ডিজেলের দাম বেশী ।

    স্থানীয় কৃষক ওয়াজেদ আলী জানান, আগামী বোরো মৌসুমে জমিতে হালচাষ করে সময়মত ধান রোপন, সার ও কীটনাশক দিতে পারলে এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে ইরি-বোরো ধানের আবাদ ভালো হবে। প্রতি বিঘায় এবারে বোরো ধান চাষে হালচাষ, রোপন, নিড়ানী, সার, কীটনাশক, সেচমুল্য সহ ধান কাটার জন্য বাড়তি খরচ গুনতে হবে। বর্তমানে শ্রমিকের দাম বেশি। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় বোরো ধানের বীজতলায় রোগ বালাই কম হবে। তবে কৃষকদের নিজ নিজ বীজতলা সঠিক ভাবে পরির্চযা নিতে পরামর্শ দেন।

  • ডিমলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত।

    ডিমলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী হেলিপ্যাড মাঠে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ২৯ শে নভেম্বর বিকালে চেয়ারম্যান, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের আয়োজনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী,যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সার্কেল আলী আহম্মেদ মর্তুজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথনপরিষদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুধীসমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুলের তোরা দিয়ে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

  • ডিমলায় থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত।

    ডিমলায় থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে ডিমলা থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায়। এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী -১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু ও মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, কমিউনিটি পুলিশিং নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এসময় নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সর্বসাধারনের উদ্দেশ্যে বলেন পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন। পুলিশ জনগনের সেবক হয়ে সব সময় পাশে থেকে কাজ করবে। মাদক, জুয়া, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজী, জাল জালিয়াতি ও জঙ্গিবিরোধী সমাজ গড়তে সর্বসাধারনের প্রতি আহবান জানান। পুলিশ জনগনের শত্রæ নয় বন্ধু । পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে সঠিক সেবা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

  • ডিমলা বিসিআইসি-ডিএডিসির সার আটক।

    ডিমলা বিসিআইসি-ডিএডিসির সার আটক।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় অবৈধ ভাবে পাচারকৃত সার আটক করেছেন ডিমলা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বুধবার (১৬ই নভেম্বর) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া তালতলা নামক স্থানে ডিমলা উপজেলার নামে বরাদ্দকৃত বিসিআইসি/ডিএডিসির ২৬৬ বস্তা রাসায়নিক সার ১২টি ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান গাড়িতে লালমনিরহাট জেলায় পাচারকালে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী এর উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন।

    এসব আটককৃত সারের পরিমাণ ডিএপি ১২৬ বস্তা , এমপিও ৪৫ বস্তা ও ইউরিয়া ৯৫ বস্তা। এলাকাবাসিরা জানান, ভুট্টার ভরা মৌসুম এবং শীতকালীন শাক-সবজির পরিচর্যা ও আগাম আলু চাষের জন্য রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সংকট চলছে। ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা চাহিদামত রাসায়নিক সার না পেয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া মূল্যে সার ক্রয় করছেন।

    এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে ১২ টি ভ্যানে ২৬৬ বস্তা সার জব্দ করি। অভিযানের সময় অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্ট খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায়, ডিমলা উপজেলার কিছু অসাধু ডিলার অধিক মুনাফার লোভে স্থানীয় কৃষকদেরকে চাহিদামত সার না দিয়ে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় সার পাচারের সহযোগীতা করছিলেন।