Tag: ঠাকুরগাঁও

  • ঠাকুরগাঁওয়ে বিদেশি পিস্তলসহ ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকর্তা আটক।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বিদেশি পিস্তলসহ ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকর্তা আটক।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে অবৈধ বিদেশি পিস্তলসহ সোহেল রানা (৩৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে ৩ টার পর পৌরশহরের গোবিন্দনগর বিসিক এলাকা থেকে অস্ত্রসহ যুবককে আটক করে সদর থানা পুলিশ।

    ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান।

    আটক সোহেল রানা ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার মৃত খোরশেদ আলীর (মংলু মেকার) ছেলে এবং সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ বাজারের ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং-এ কর্মরত রয়েছেন৷।

    পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ টিম সেই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। বাড়ি তল্লাশীর সময়ে তার শয়ন কক্ষে বিছানার নিচ থেকে বিদেশি পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা এই অস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সোহেল রানা তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রেখেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে তার বিছানার নিচ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ে গোরস্থান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর ভূল্লী বাঁধ গোরস্থান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
    বিষয়টি  নিশ্চিত করেন ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন।
    ওসি মো. দুলাল উদ্দীন জানান, দুপুরে ওই গোরস্থানে স্থানীয় কিছু লোক বাঁশ কাটা সময় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সিআইডি টিম যায়। তারা সেখানে কাজ করছেন।
    তিনি আরও জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির ধর থেকে মাথা আলাদা, ধর থেকে পা আলাদা পাওয়া গেছে। মাথাটি প্রায় কঙ্কাল হয়ে গেছে ও দেহে মাংস নেই বললেই চলে। ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রায় ৭-৮ মাস আগের মরদেহ হবে। তবে এটি কবর থেকে শেয়াল বা অন্য কোনো পশু তুলেছে কিনা বা এটি কোনো হত্যাকাণ্ড কিনা তা এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এবিষয়ে আমার তদন্ত করছি।
    লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
  • বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে আটক সেনাকর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টা পর ফেরত দিল বিএসএফ

    বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে আটক সেনাকর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টা পর ফেরত দিল বিএসএফ

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে  অনুপ্রবেশের দায়ে আটকের ২৪ ঘন্টা পর সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আলিমুর রহমান (৪৫)কে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
    বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘন্টা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসফের মধ্যকার পতাকা বৈঠক শেষে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহমেদ।
    পতাকা বৈঠকে ঠাকুরগাঁও ৫০  বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানজিম আহমেদ এবং বিএসএফ সিও কমান্ড্যান্ড জি পামেই উপস্থিত ছিলেন।
    সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আলিমুর রহমান খুলনা জেলার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম ডা. রহমান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ কোর্সের লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
    এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্তের ৩৮০ মেইন পিলার থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করলে বড়বিল্লা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভারতের গোয়ালপুকুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
    বেউরঝাড়ী বিওপি ক্যাম্প থেকে জানানো হয়েছে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আলিমুর রহমান শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বিজিবি’র তত্বাবধায়নে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে ৬ কোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে ৬ কোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে তলিয়ে গেছে ব্রিজের এক পাশের সংযোগ সড়কের দেয়াল। গত তিন মাস ধরে ব্রিজটি পড়ে আছে অকেজো অবস্থায়। ফলে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। উল্টো ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্থানীয় জনগণ।
    সংযোগ সড়কের বেহাল দশা নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার এলজিইডিকে অবগত করলেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। রাজাগাঁও, আসান নগর ও খড়িবাড়ি এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষক।
    ২০১৯ সালে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসান নগরের খড়িবাড়ি এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের জন্য টাঙ্গন নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২৫০০.০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পিএসসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণ করেন। সাড়ে ৬ কোটি টাকার ব্যয়ে কাজটি পান স্থানীয় মো. জামাল হোসেন নামে এক ঠিকাদার। গত বছরের ২রা মার্চ ব্রিজটি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ সেন।
    ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার সড়কের দেয়াল ও ব্লকসহ নদীতে ধসে যায়। স্থানীয়রা তৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে ধস ঠেকায়। কিন্তু এবারের বর্ষা শুরু হওয়া মাত্রই আবারো ব্রিজটির পশ্চিম তীরের সড়কের একটি অংশ ব্লক সহ নদীতে তলিয়ে যায়। এতে সড়ক ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এভাবে কয়দিন থাকার পর স্থানীয়রা বালুর বস্তা ও বাঁশ দিয়ে সংস্কার করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। তবে মানুষ ছাড়া বড় ধরণের কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না এই ব্রিজ দিয়ে।
    এলাকাবাসীরা জানায়, এ ব্রিজ পার হয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। এলাকার কৃষিপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক মাহিন্দ্রা-পাওয়ার ট্রিলার গাড়ি চলাচল করে। তিন মাস আগে ব্রিজটির এক পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে ধসে যায়। এরপর থেকে ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি।
    গাড়ি চালক হেলাল বলেন, গত তিন মাস ধরেই একটু একটু করে সড়কের দেয়াল পানির নিচে ধসে যাচ্ছিল। কয়েক দিন আগে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম সড়কের অর্ধকে অংশই ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে গাড়ি পার করেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারবো না।
    স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান আলী বলেন, কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য এক বছর আগে খড়িবাড়ি স্কুলের পশ্চিমে টাঙ্গন নদীর ওপর সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে সরকার। কিন্তু কাজটিতে ভয়ঙ্করভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় নির্মাণের বছর পার হতে না হতেই সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। গত ৩ মাস ধরে ভাঙা সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করছে কিন্তু এলজিইডির কেউ এনিয়ে কথা বলে না বা শুনে না।
    স্থানীয় কৃষক মাহিদুল ও আবুল হোসেন বলেন, ব্রিজ হওয়ার পর মাথায় করে নিয়ে বাজারে ফসল বিক্রি করতে হয়নি। ভ্যান, নসিমন ও গাড়িতে করে কৃষিপণ্য বাজারজাত করেছি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ব্রিজের এক পাশের সড়ক ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বর্তমানে ফসল মাথায় করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। কোটি টাকার  ব্রিজটি এখন আমাদের কোনো কাজে লাগছে না। আমরা ব্রিজের এক পাশের সংযোগ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস বলেন, ব্রিজটির এক পাশের সংযোগ সড়ক সংস্কার জরুরি। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সংস্কার করার জন্য। ইতোমধ্যে সংস্কারের জন্য ঢাকায় এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে।
  • ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামের  রিমান্ড-জামিন নামঞ্জুর।

    ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামের  রিমান্ড-জামিন নামঞ্জুর।

    চাঁদাবাজি, ভুমিদখল, হত্যা চেস্টা মামলার আসামী ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সাত বারের এমপি দবিরুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালতের বিচারক।
    বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে এ রায় দেন বিচারক রাজীব কুমার রায়।
    মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেশ কয়েকজনের কাছে প্রায় ৭১ একর জমি ক্রয় করে হাবিবুল ইসলাম বাবলু নামে এক ব্যবসায়ী। পরে ওই জমিতে পতিষ্ঠানের কাজ করতে গেলে সাবেক এমপির নেতৃত্বে তার লোকজন বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে ৫০ একরের বেশি জমি দখল করে নেয় আসামিরা। পরবর্তিতে জমি উদ্ধারে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় ওই ব্যবসায়ীর কাছে। টাকা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় সাবেক এমপি দবিরুলসহ তার লোকজন।
    এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরে ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন হাবিবুল ইসলাম বাবলু। পরে আদালতের নির্দেশে বালিয়াডাঙ্গী থানায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি রুজু করা হয়।
    এ মামলায় বুধবার সকালে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে রিমান্ড ও জামিন বাতিল করে জেল গেটে জিঙ্গাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক।
    মামলার বাদি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, রিমান্ড নিলেই সব স্বীকার করতেন। যেহেতু রিমান্ড মঞজুর হয়নি। তাই ন্যায় বিচারের জন্য প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।
    এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন জানান, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামকে তোলা হয় আদালতে। আজ রিমান্ডের শুনানি ছিল। রিমান্ড ও জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ দেন
    গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতের বিচারিক রহিমা খাতুনের মুখোমুখি করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
    বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন দবিরুল ইসলাম। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হিসেবে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। সিপিবি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে লড়ে জয়ী হন তিনি।
  • ঠাকুরগাঁও বুড়ির বাঁধে মাছ ধরা উৎসব।

    ঠাকুরগাঁও বুড়ির বাঁধে মাছ ধরা উৎসব।

    জাল, পলো এবং ছোট ছোট ছিপ নিয়ে উৎসবের আমেজে মাছ ধরতে এসেছে শত শত মানুষ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে থেকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ায় এ উৎসবে মেতেছেন সবাই।
    বুড়ির বাঁধে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে উৎসবে মাতেন। প্রশাসন এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়ে থাকে।
    বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রাখার পর প্রতিবছর শীতের শুরুতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের গেট খুলে দিলে এভাবে মাছ ধরা চলে।
    এ জলকপাটে আটকে থাকা পানিতে প্রতিবছর জেলা মৎস্য অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকে। আর বছর ঘুরে পানি ছেড়ে দিলে দূর দূরান্ত থেকে মাছ ধরতে ছুটে আসেন জেলেসহ স্থানীয়রা।
    উম্মুক্তভাবে মাছ শিকারের পর পাশের সড়কে তা বিক্রি করে। দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় নানা জাতের মাছ কিনতে ও বিক্রি করতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। আর মাছ উৎসবকে ঘিরে বাঁধের আশপাশ এলাকায় প্রসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা।
    মাছ ধরতে ও কিনতে আসা মানুষেরা জানান, প্রতিবছর প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও এবার মাছ কম। তাই মাছের দামও বেশি। তবুও দেশি প্রজাতির রুই, কাতলা, টেংনা, পুঠিসহ নানা জাতের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে এ এক উৎসবে পরিনত হয়েছে।
    ১৯৮২ সালে শুকনো মৌসুমে এই এলাকার জমি চাষাবাদের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আচকা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর উপড় বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি আটকে রাখা হয় ওই এলাকার উঁচু জমি চাষাবাদ করার জন্য। আর সেই আটকে রাখা পানিতে ছেড়ে দেয়া হয় প্রতি বছরের এমন সময়ে।
    এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, প্রতিবছর এ সময়ে গেটটি খুলে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে উৎসবে মাতেন। প্রশাসন এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়ে থাকে। কোনো রকম যেন বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য নজরদারি রাখা হয়।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে আট মামলার আসামি আড়াই হাজার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে আট মামলার আসামি আড়াই হাজার।

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল ও সাধারণ জনতাকে হামলা-মামলায় জর্জরিত করে রাখা হতো। তবে পট পরিবর্তনেই সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে একের পর এক মামলা।

    সারাদেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সরকার পতনের দুই মাসে বিদায়ী সরকারের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আন্দোলনে নিহত-আহত ও বোমা হামলার ঘটনায় ৮টি মামলা রুজু হয়েছে। এরমধ্যে ভাঙচুর ও আন্দোলনে হত্যার চেষ্টা ও হাসিনা পতনের দিন অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন নিহতের ঘটনায় মামলাও হয়েছে।

    তবে এখন পর্যন্ত তিন সাবেক সংসদ সদদ্য ও পৌসসভার মেয়রকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চলছে পুলিশের অভিযান। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

    আগস্টে পুলিশি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এই মামলাগুলো হয়েছে। এসব মামলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নিহতের ঘটনায় আগস্টে ৩টি, সেপ্টেম্বরে ৩টি এবং অক্টোম্বরে ২টি। ২টা মামলায় আবার বিএনপি কয়েকজন নেতাকর্মী কেউ আসামি করা হয়েছেন। যদিও মামলার বাদীরা বলছেন ভুল করে অনেকের নাম মামলায় দেওয়া হয়েছে। আর কেউ কেউ বলছেন আসামিদের তারা চেনেই না।
    কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, গুরুত্বর জখম, ভয়ভীতি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মামলাগুলোর মধ্যে বিদায়ী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার এমপি রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যানসহ জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মামলার প্রধান আসামি রমেশ চন্দ্র সেন, অরুনাংশ দত্ত টিটো, আব্দুল মজিদ আপেল ও দেবাশীষ দত্ত সমীরকে আসামি করা হয়েছে।

    এদিকে ঢালাও মামলায় শুধু আওয়ামী দলীয় লোকজনই নয়, মামলাগুলোর কয়েকটিতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই এমন ব্যক্তিবর্গ, বিএনপি সমর্থক ও ব্যবসায়ীর নাম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

    এদিকে বাদী মাহাবুব হোসেন নিজেই জানেন না তার মামলার আইনজীবী কে। আর কীভাবে এজাহারে ৮৫ জনের নাম এলো, তাও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকেই চেনেন না বাদী। বাদীর ভাষ্যমতে, অচেনা কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নাম দেখিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কীভাবে ৮৫ জনের নাম এলো, তিনি নিজেই জানেন না। এমনকি স্থানীয় যুবদলের ওয়ার্ড প্রচার সম্পাদকের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।

    আরেক বাদী শামীম ইসলাম (সিফান) জানান, অনেকের নাম ভুল করে মামলায় দেয়া হয়েছে। পরে আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু যাদের নামগুলো দিয়েছি, তাদের আমি চিনি না। তা সংশোধন করা হবে।

    এখন পর্যন্ত রুজু হওয়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, আমি সদ্য জয়েন করেছি থানায়। আমাদের নিয়মিত সকল পুলিশিং কার্যক্রম চালু রয়েছে। আশা করছি আর অল্প সময়ের মধ্যেই সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারবো।

    হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতি শীঘ্রই আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযানে নামবো। সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

  • রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়,জনগণের কাজ করতে চাই-জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।

    রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়,জনগণের কাজ করতে চাই-জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।

    কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, জনগণের হয়ে কাজ করতে চান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।
    মঙ্গলবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
    তিনি জানান, যেহেতু জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় আমার বেতন হয়, চাকরিজীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের হয়ে কাজ করতে চাই। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর যে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, এ নতুন বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ।
    মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিক ও সুধীজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক আর বলেন, অতীতকে ভুলে গিয়ে নতুন করে ঠাকুরগাঁও জেলাকে ঢেলে সাজানো হবে। জেলাটির যানজট সমস্যা, বাজার সিন্ডিকেট, মুখ থুবড়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে আগের অবস্থায় ফেরানো, মাদক নির্মুল সহ সব ধরনের সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে চায় জেলা প্রশাসন। এজন্য সর্বস্তরের মানুষকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
    এ সময় স্কুল-কলেজ চলাকালীন সময়ে কঠিন বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন জেলা প্রশাসক।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ এর সভাপতিতে এতে বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল, উপজেলা সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ, আলম, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ডক্টর টিএম মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, কালমেঘ রমজান আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহহিল বাকী, সাংবাদিক হারুন ওর রশিদ প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন।
    এ সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    একদিন বিকালে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা চারুল ইউনিয়নের লাহিড়ী বাজারের একটি পূজা মন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন।
  • বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক,দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জিএম সুফি নিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মার্জিনা আক্তার ঝতু, রয়েল বড়ুয়া এবং ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক শ্রী দেবদাস ঘনাসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহাবুব হোসেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মাহাবুব হোসেন ভুল্লী থানার দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনে ছেলে। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বলরামপুর বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

    মামলার এজাহারে ৮৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০জনকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারা তৎসহ ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৯/৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/ ৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় আসামি করে মামলাটি করা হয় বলে জানা গেছে।

    তবে মামলার বাদীর আইনজীবী কে তা বাদী নিজেই জানেন না। আর কিভাবে এজাহারে ৮৫ জনের নাম এলো তাও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকেই চেনেন না বাদী।

    বাদীর ভাষ্যমতে, অচেনা কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নাম দেখিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কিভাবে ৮৫ জনের নাম এলো খোদ তিনি নিজেই জানেন না। এমনকি স্থানীয় যুবদলের ওয়ার্ড প্রচার সম্পাদকের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।

    বাদী জানান, মামলা করে আমি নিজেই বিপদে পড়েছি। মামলায় ভুল করে অনেকের নাম দেওয়া হয়েছে। পরে আমি তা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু যাদের নামগুলো দিয়েছি, তাদের আমি চিনি না। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও কোনো ব্যবস্থা নেই আমার। নানা চাপে আছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান বাদী মাহাবুব হোসেন।

    মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম, ওসমান গণি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহান, নিউমুন, শাওন সাব্বির, আশ্রমপাড়ার জ্যোতি, টিকাপাড়ার মো. প্রিন্স, মনিরুল ইসলাম মনির, বাহাদুরপাড়ার বিশাল, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সফি আলম, ঘোষপাড়ার মো. সুরকাব, শাহাপাড়ার মো. লিমন, আর্ট গ্যালারি এলাকার ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, বরুনাগাঁও এলাকার নাজমুল হুদা, গোয়ালপাড়ার সাব্বির হোসেন হৃদয় টুকু একই এলাকার হোসেন সাদ্দাম, সরকারপাড়ার সৌরভ চন্দ্র রায় , আরিফ হোসেন দানেশ আরিফ, রুহিয়ার অনিক চক্রবর্তী, টিকাপাড়া রুস্তম আলী, মুক্তা, ভুল্লীর হামিদুর রহমান, মকবুল হোসেন মিঠু, বাঙ্গালীপাড়ার আব্দুর রশিদ, জগন্নাথপুরের দাউদ, আসিফ হক আদর, বরুনাগাঁওর আনোয়ার, আশ্রমপাড়ার অমৃত মদক, সরকারপাড়ার সিফাত, কলেজপাড়ার বাবুল, বসিরপাড়ার রিফাত ককটেল, গোয়ালপাড়ার ইসা, গড়েয়ার রায়হান উদ্দিন, রোড এলাকার শাহের আলী, পূর্ব গোয়ালপাড়ার মাহাবুব হোসেন, রাসেল ইসলাম রিসাদ, শিবগঞ্জের মিলন, কলেজপাড়ার সাহেব আলী, ভেলাজান নবীনপাড়ার রমজান আলী, আকচা কাটুপাড়ার শম্ভু বর্মন, গড়েয়ার মাসুদ রানা, যুবলীগনেতা গুলজার হোসেন, বড় বালিয়ার বাহার সরকার, কৃষ্ণপুর এলাকার রুহুল, যুবলীগনেতা আলমগীর, ভুল্লীর ষ্টিফান দাস, ভুল্লী শোল্টহরীর ফজলে করিম মন্টু, বড়বাড়ী গোবিন্দনগরের ফজলুর রহমান, গোবিন্দনগর উত্তর পাড়ার শাহিন, মারুফ আলী শান্ত, আবুল মালেক, পিয়া, আব্দুল, আনিছুর রহমান নেন্দ, গোবিন্দনগর মুন্সিরহাটের আলমগীর, হাজিপাড়ার মশিউর রহমান, রহিমানপুরের রাজু, তানজিমুল, সরকারপাড়ার মমতাজুল (মক্কা), ভুল্লী থানার ইয়ামুল বিএসসি, মিজানুর রহামান, ইয়াসিন আলী, হারুন, রাসেল, বাবুল হোসেন, মাসুদ মেম্বার, মশিয়ার রহমান, যমিনুল ইসলাম মুন, রবিউল ইসলাম রবি, মোশারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, জগদীশ বর্মন, পেয়ার আলী, রেহান রহমান হরিক, মানিক, বেলাল, নুরে আলম, মনোরঞ্জন দেবনাথ মনি ও ময়নুল ইসলাম।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৮৫জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাস্থ আর্ট গ্যালারি মোড়ের পাকা রাস্তার উপর বাদী সহ অন্যান্যরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আসামিরা ধারালো ছুরি, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, বোমা-বারুদ, লোহার রড, চাপাতি, ডেগার, রাম-দা, হকি, চাইনিস কুড়াল, ইট, পাথর সহ মারাত্মক অস্ত্রে-সস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।

    এসময় তাদের হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর কপালে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। প্রকাশ্য দিবালোক বাদীকে হত্যা করার জন্য আসামিরা রামদা দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে এবং এলোপাথারি মারপিট, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বোমা নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করেন। এতে অনেকেই আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ৪ঠা আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাদীসহ অন্যান্যরা। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।

  • চোখের পানি ও আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঠাকুরগাঁওয়ের ইজতেমা।

    চোখের পানি ও আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঠাকুরগাঁওয়ের ইজতেমা।

    ঘড়ির কাটায় বেলা সাড়ে ১১টা। সম্মিলিত কণ্ঠে আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ইজতেমা মাঠ। সর্বস্তরের মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহ তা’আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। মোনাজাতে নিজেদের হৃদয়ের আবেগ-অনুভূতি আল্লাহর কাছে তুলে ধরেছেন। আমিন, আমিন ধ্বনি আর চোখের পানিতে বুক ভাসিয়েছেন মুসল্লিরা। আর থেমে থেমে কান্নার আওয়াজে ছিল মুসলিম জাহানের সুখ, শান্তি সমৃদ্ধিসহ আল্লাহ তা’আলার রহমত ও পাপাচার থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আকুতি জানান।

    শনিবার মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে চোখের জলে নিজেদের পাপমুক্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর রুহিয়া রোডের পাশে লাল মেম্বারের ইটভাটা মাঠে জেলা তাবলীগ জামাতের সূরাহ সদস্যদের আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ইজতেমা। এতে অংশ নেয় হাজারো মুসল্লি।

    মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ। এর আগে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ান শুরু হয়। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ও ইন্দোনেশিয়ার আট জন এবং ঢাকার কাকরাইল থেকে মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ পরিচালনায় ১২জন প্রতিনিধি ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এ ছাড়া ভোর থেকে পিকআপ ভ্যান, থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, কার-মাইক্রোবাসা, মোটরসাইকেলে যে যেভাবে পারেন ছোটেন ইজতেমাস্থলের দিকে। ইজতেমা মাঠের জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও।

    ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডসহ সদর উপজেলার ২২ ইউনিয়ন ও ৫টি উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীসহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে অংশ নেন। মোনাজাতের সময় অনেককে মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভবনের ছাদে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়া নিরাপদ করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

    ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, বিশ্ব ইজতেমার ওপর চাপ কমাতে জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হলো এ ইজতেমা। গত বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম। কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আল্লাহ ও নবী-রাসুলের হুকুম-আহকাম মেনে চলার মধ্যেই ইহকাল ও পরকালে সুখ-শান্তি রয়েছে এমন আলোচনা করা হয়।

    তারা আরও জানান, ইজতেমায় রাজধানী ঢাকা ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার তাবলিগের জামাতের বিদেশি মেহমান ও মুরব্বিরা অংশ নেন। তাঁরা তিন দিনের এই ইজতেমায় ইমান-আমলের বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করেন।

    এদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইজতেমা আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছিল। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা, বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। সবার সহযোগিতায় সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হয়েছে। সন্তুষ্টি লাভের আশায় হাজারো মানুষ আল্লাহর কাছে আর্জি জানান। অনেকে কেঁদে কেঁদে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করেন।