Tag: জোরপূর্বক

  • বেলকুচিতে বাক প্রতিবন্ধীর জায়গার দখল প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    বেলকুচিতে বাক প্রতিবন্ধীর জায়গার দখল প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মনিরুল ইসলাম নামে এক বাক প্রতিবন্ধীর জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল ১১ টার দিকে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাক প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলামেরবড় ভাই মোজাম্মেল হক।
    সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, মুকুন্দগাতী গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের কাছে বেশ কিছুদিন আগে ১৮ শতক পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রিয় করা হয়।কিন্তু জুলহাস উদ্দিন বিভিন্ন সময় জোড়পূর্বকভাবে ২৩ শতক জায়গা দখলকরার পায়তারা করেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের গত ২৪ জানুয়ারী বিকাল ৪ টার সময় লোকবল ও বাশেঁর লাঠি,কাঠের বাটাম ও লোহার রড দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  ওই জমিতে জোড় পূর্বকভাবেপ্রবেশ করে।আমরা তাদের বাধাঁ দিলে তারা আমাদের উপর লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে এতে আমার হাতে লেগে মারাত্মাকভাবেজখম হয়। এছাড়াও তারা উপর্যপুরি এলোপাথারীভাবে মারপিট করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ভর্তি করেন।পরবর্তীতে এ বিষয়ে বেলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা জাকারিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, বেলকুচি পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুকুল হোসেনসহ ভুক্তোভোগী পরিবাররের সদস্যগন।

  • দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল মারপিটের অভিযোগ। 

    দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল মারপিটের অভিযোগ। 

    . ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের সেনিহারি এলাকায় দিন-দুপুরে দেশীয় অস্ত্র ও দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল ও মুজাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলাল গং ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। আহতদের  উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা।

    সোমবার (০৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মুজাহারুল ইসলাম এ ঘটনায় রুহিয়া থানায় অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগের পর থেকে জমি দখলকারীদের হামলার আতঙ্কে সময় পার করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

    মুজাহারুল ইসলাম জানান, বেলালের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে কারণে-অকারনে ঝগড়া করে আসছিলেন। বেলাল, রুস্তম প্রতিনিয়তই আমার পরিবারকে মারধর করে বসতভিটা সহ আবাদি জমি জবর-দখলের হুমকি দেয়। গত শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বেলাল গং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিশোঠা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার তফশীলকৃত আবাদি জমিতে আইল দিতে গেলে আমি বাঁধা প্রধান করলে তারা ৫/৭ মিলে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আমাকে আটক করলে আমি চিৎকার করলে আমাকে বাঁচাতে হালিমা বেগম এগিয়ে আসলে বেলাল লোহার রড দিয়ে তার মাথায় জোরে আঘাত করে।

    এর পর সাহেলা বেগম ও লুৎফা বেগম আসলে তাদের এলোপাথালী মারধর করতে থাকে তারা। এসময় বেলাল লোহার রড দিয়ে সাহেলার পায়ে আঘাত করলে তার দুই পা ভেঙ্গে যায় আর লুৎফার বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই সময় সাক্ষী সাম্মি আক্তার আমাদের রক্ষা করতে আসলে বেলালের লোকজন তার বুকের উপর উঠে এলোপাথালী মারধর ও তার পরনের কাপড়চোপড় চিড়ে শ্লীলতাহানী করেন এবং সাম্মির গলা ও হাতে স্বর্ণস্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। আমরা গুরুতর অবস্থায় ঘটস্থলে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমরা বাড়িতে কেউ না থাকায় বেলালের লোকজন বাড়িতে গিয়ে আমার ভাসতী বউমাকে একা পেয়ে চুলের মুঠি ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে রুহিয়া থানায় একটি মামলা করেছি। মামলা করার পর থেকেই আসামীরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি  দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সুষ্টু বিচার চাই।

    এদিকে অভিযুক্ত বেলাল গং এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

    রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহেল রানা  বলেন, এ বিষয়ে মুজাহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ,এ ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩।

    নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ,এ ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩।

    নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ,এ ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩।


    বগুড়ার নন্দীগ্রামে গণধর্ষণ মামলায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।

    থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাহাদত হোসেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে নন্দীগ্রামে নিয়ে আসে।এরপর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সে মহিলাকে নন্দীগ্রাম কলেজ পাড়া-রিধইল রাস্তা দিয়ে রিধইল গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে কলেজ পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনির হোসেন (২১),মকছেদ আলীর ছেলে বিজয় (২৪) ও আব্দুল আজিজের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২) তাদের পথরোধ করে। তারা ওই মহিলাকে ধানক্ষেতের আইলের উপর শুয়াইয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ওই রাতেই ঘটনায় জড়িতরাসহ কতিপয় মাতব্বর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে ওই মহিলা ঘটনার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।

    এরপর ওই মহিলা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ, ধর্ষণ এবং সহযোগিতার অপরাধে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।

    ওই মামলায় উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাহাদত হোসেন (৪৫), নন্দীগ্রাম কলেজপাড়ার আমির আলীর ছেলে হযরত আলী (৩৫) ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন আলী (২৫) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।

    নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম জানান, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সলপ ইউনিয়নের কৃষকগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে রাস্তা সংলগ্ন ৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে ১৪৪ ধারা মতে মামলা দায়ের করেছে।

    গত ২১শে মার্চ ২০২২ ইং আদালতের মামলার বিবরণে জানা যায়, সলপ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের মৃত হাবিব রহমানের ছেলে কে এম আবু সাঈদের নিজ নামীয় কৃষকগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে
    খতিয়ান নং এস,এ ৩৬১ আর,এস ৩১৬ দাগ নং সাবেক ৪৬৯ , হাল দাগ নং ৫২৪(ভিটা) ৪৫ শতক ভূমির কাতে দক্ষিণ ছাহামের রাস্তা সংলগ্ন হতে ৫ শতক জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে এলাকার প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ উক্ত ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মো, হেলাল আকন্দ গং।

    বাদী, কে এম আবু সাইদ গত ২১ মার্চ সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দায়েরের পরিপেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন নাহার, বিবাদী মো, হেলাল আকন্দ, রাশেদ আকন্দ, শাহেদ আকন্দ ও শাওন আকন্দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে অভিযোগ তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)উল্লাপাড়া ও অফিসার ইনচার্জ উল্লাপাড়া মডেল থানা কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদাণ করেছেন।

  • ওসমানীনগরে জোরপূর্বক প্রবাসীর বসতবাড়ি দখল চেষ্ঠার অভিযোগ।

    ওসমানীনগরে জোরপূর্বক প্রবাসীর বসতবাড়ি দখল চেষ্ঠার অভিযোগ।

    সিলেটের ওসমানীনগরে আমেরিকা প্রবাসী বসতবাড়ির জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও প্রভাবশালী চক্র প্রবাসীর বসতবাড়ির জায়াগা দখল করে নির্মান কাজ শুরুর চেষ্টা করলে এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তভোগী প্রবাসীর কেয়ারটেকার ও স্বজনরা।

    উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের খছরুপুর এলাকার আমেরিকা প্রবাসী আজিজুর রহমানের বসতবাড়ির জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ শুক্রবার বিকালে ওসমানীনগর অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী আজিজুর রহমানের বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল কাইয়ুম ও মামা ইউপি সদস্য এহশাম উদ্দিন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে,উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের খছরুপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের কাছ থেকে ২০০২ সালে খছরুপুর মৌজার জেএল নং ৪৪, ও ৮৮৪ খতিয়ানের ৩১৩,৩১০,৩১৪,৩১৫ দাগের পৃথক তিনটি দলিলমূলে ৬০ শতক ভূূমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মান করে পারিবারিকভাবে বসবাস করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আজিজুর রহমান।

    এদিকে আজিজুর রহমান বসতবাড়ি নির্মানের পর একই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমকে কেয়ার টেকারের দ্বায়িত্ব দিয়ে আমেরিকা চলে যাওয়ার পর মৃত সফিক উল্যার পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী হানিফ উল্যা ও রইছ উল্যাসহ তাদের সহযোগিরা প্রবাসী আজিজুর রহমানের বসতবাড়ির দখলের পায়তারায় মরিয়া হয়ে নানা সড়যন্ত্রে মেতে উঠে।

    এ বিষয়ে আজিজুর রহমানের কেয়ারটেকার আব্দুল কাইয়ুমসহ দেশে অবস্থানরত অনান্য স্বজনদের নানাভাবে হয়রানী ও প্রবাসী আজিজুর রহমানকে নানাভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হানিফ উল্যা ও তাঁর সহযোগিরা। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী আজিজুর রহমানের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা চলমান থাকার পর প্রভাবশালী হানিফ উল্যা ও তাদের সহযোগিরা আরও বেপরোয়া হয়ে বসতবাড়ি দখলসহ নানা ভবে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় তাদের ভয়ে দেশে আসতে সাহস পাচ্ছেন না প্রবাসী আজিজুর রহমান।

    এরই জের ধরে প্রবাসী হানিফ উল্যা ও খছরুপুর এলাকার মাছুম আহমদ নেতৃত্বে তাদের সহযোগিদের নিয়ে শুক্রবার সকালে প্রবাসী আজিজুর রহমানের বসতবাড়ি দখল করে পাকা দেয়াল নির্মানের চেষ্টা চালায়। এসময় আজিজুর রহমানের কেয়ারটেকার আব্দুল কাইয়ুম ও তাদের অনান্য স্বজনরা বাধা দিলে তারা মারমুখি অবস্থান নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর বসতবাড়ি রক্ষাসহ প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

    সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,আব্দুল আলী, এমজাদ আলী,ইউপি সদস্য এহসাম উদ্দিন ও আব্দুল কাইয়ূম। ইউপি সদস্য এহশাম উদ্দিন অভিযোগ কওে বলেন,আমার ভাগ্নে আজিজুর রহমানের খরিদকৃত জায়গায় নির্মিত বসতবাড়ির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রভাবশালী হানিফ উল্যাসহ তাদের সহযোগিরা। বিষয়টি নিয়ে তারা আমাদের নানাভাবে হয়রানীসহ ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তাদের ভয়ে আজিজুর রহমান দেশে আসতেও সাহস পাচ্ছেন না।

    এ ব্যাপারে প্রবাসী হানিফ উল্যার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
    ঘটনাস্থল পরিদর্শন কারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই এয়াকুব জানান,অভিযোগের ভিত্তিত্বে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জায়গা সংক্রন্ত হওয়ায় উভয় পক্ষে কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • তানোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক ভুমিগ্রাসীর ধান রোপণ।

    তানোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক ভুমিগ্রাসীর ধান রোপণ।

    তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ছাঐড় গ্রামের ভুমিগ্রাসী চক্রের দৌরাত্ম্য জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

    স্থানীয়রা জানান, ছাঐড় গ্রামের মৃত গাইন উদ্দিনের পুত্র ফজলুর রহমান, মৃত ওকির পুত্র সিরাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী পুর গ্রামের মৃত মুংলার পুত্র আহম্মদ আলী সিন্ডিকেট করে নিরহ কৃষকের জমি জবরদখল এবং বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করে। এদিকে ২২ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাতে ছাঐড় মাঠে নিরহ কৃষক ওয়াসিম আকরামের দেড় বিঘা জমি জবরদখল করে ধান রোপণ করেছে। অথচ ওই জমির উপরে আদালতের ১৪৪ ধারা বলবদ রয়েছে। স্থানীয়রা এসব ভুমিগ্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ফজলু, সিরাজুল ও আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া জমি জবরদখল করে ধান রোপণ করেছে। এঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, এবিষয়ে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে ওয়াসিম আকরাম বলেন, তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জি হয়ে ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি জবরদখল করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ফজলু, সিরাজুল ও আহম্মদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি দখলের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।

  • কলমনগরে স্বামীর পরিচয়ে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ। 

    কলমনগরে স্বামীর পরিচয়ে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ। 

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্বামীর পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক গৃহবধূকে চোখ-মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

    বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয়রা ধান ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত-অর্ধবিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তিনি দুই সন্তানের জননী ।
    দুপুরে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ জানায়, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে একটি অপরিচত মোবাইলফোন নম্বর থেকে গৃহবধূকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ চেপে চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলা হয়।

    পরে তাকে বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে নিয়ে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়। বুধবার সকালে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত ও অর্ধ-বিবস্ত্র অবস্থায় ধানক্ষেতে দেখতে পেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার স্বামী পেশায় জেলে। ঘটনার সময় তার স্বামী মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে ছিলেন। ঘটনার সময় ২-৩ জন ছিলেন বলে গৃহবধূ জানিয়েছেন।

    সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভূক্তভোগীর সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

  • মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

    মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা রাজস্মৃতি সার্বজনীন মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে আয়নুল হক নামে এক মুসলিম পরিবারের ক্রয় কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে।

    কাগজপত্র থেকে জানা যায় যে, ১৯৪০ সালের সিএস মোতাবেক উল্লেখিগ জমির মালিক কুসুমকুমারী দেববা। তিনি ওই জমি ১৯৫৪ সালে খোরকান আলী ওরফে কোরবান আলীর নিকট ২৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৪ শতাংশ জমি মন্দিরের জন্য দান করে অবশিষ্ট ২৪ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। ক্রয়সুত্রে উক্ত জমি ১৯৬২ সালে ২৭ শতাংশ জমি খোরকান আলী কোরবান আলীর নামে এস এ রেকর্ড ভুক্ত হয়।

    কোরবান আলী উক্ত জমি ১৯৭৪ সনে এস এ রেকর্ড মূলে ফজলুল হক ও আইনুল হক এর নিকট বিক্রয় করলে ১৯৯০ সনের বিএস রেকর্ড এ ফজলুল হক ও আমিনুল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭৪ সন হতে ২০১৮ সন পর্যন্ত উক্ত ক্রয় কৃত ২৭ শতাংস সম্পত্তি ভোগ দখল ও আজ না পরিশোধ করে আসছিলেন ফজলুল হক ও আইনুল হক এ দু;ভাই।

    সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০আগস্ট দেখা যায় যে, মন্দির কমিটির পক্ষে লোকজন বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ চলমান রেখেছেন।

    এ সময় তাদের নিকট মন্দির কমিটির লোকজনের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে উপস্থিত লোকজন তা দিতে অস্বীকার করেন। ফলে মন্দির কমিটির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এ বিষয়ে জমির মূল মালিক ফজলুল হক বলেন, জমিটি আমরা ভোগ দখল করে আসছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে উক্ত জমিটি রাতের আধারে মন্দির কমিটির লোকজন জবরদখল করে ফেলে এবং মন্দিরের জমি বলে দাবি করেন।

    এ বিষয়ে মন্দির কমিটি লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন উল্লেখিত জমি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

    এ বিষয়ে আমি গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার এসআই নাজমুল হক সরোজমিনে ঘটনা পরিদর্শন করে মন্দির কমিটিকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন। মন্দির কমিটির লোকজন নিষেধ অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছেন।

    এই বিষয়ে কাকিনা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু অশ্বিনী কুমার পাল পাল এর সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কি সত্য মন্দির কমিটির লোকজন জায়গাটি দাবি করেছেন এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে বিষয়টি দ্রুত খবর নিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

    অপরদিকে গত ১১ আগস্ট ( বুধবার) জমির মূল মালিক ফজলুল হক ও আইনুল হক কোন উপায় না পেয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ফলে উক্ত জমির উপর আদালত ১৪৪ ধারা নির্দেশনা জারি করেছেন।

    এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নির্দেশনার কথা স্বীকার করে বলেন,, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।