Tag: জমি

  • বেলকুচিতে বাক প্রতিবন্ধীর জায়গার দখল প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    বেলকুচিতে বাক প্রতিবন্ধীর জায়গার দখল প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মনিরুল ইসলাম নামে এক বাক প্রতিবন্ধীর জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল ১১ টার দিকে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাক প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলামেরবড় ভাই মোজাম্মেল হক।
    সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, মুকুন্দগাতী গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের কাছে বেশ কিছুদিন আগে ১৮ শতক পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রিয় করা হয়।কিন্তু জুলহাস উদ্দিন বিভিন্ন সময় জোড়পূর্বকভাবে ২৩ শতক জায়গা দখলকরার পায়তারা করেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের গত ২৪ জানুয়ারী বিকাল ৪ টার সময় লোকবল ও বাশেঁর লাঠি,কাঠের বাটাম ও লোহার রড দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  ওই জমিতে জোড় পূর্বকভাবেপ্রবেশ করে।আমরা তাদের বাধাঁ দিলে তারা আমাদের উপর লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে এতে আমার হাতে লেগে মারাত্মাকভাবেজখম হয়। এছাড়াও তারা উপর্যপুরি এলোপাথারীভাবে মারপিট করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ভর্তি করেন।পরবর্তীতে এ বিষয়ে বেলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা জাকারিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, বেলকুচি পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুকুল হোসেনসহ ভুক্তোভোগী পরিবাররের সদস্যগন।

  • কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা।

    কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় মধ্যপাড়া ইউনিয়নে সাকাশ্বর এলাকায় নুরুল ইসলামের নামে জোমেলা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা এবং জমি জবর দখল চেষ্টার  অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    অভিযোগকারী জোমেলা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন  খতিয়ান নং- এস.এ: ১৫৩ / আর.এস: ৩২, দাগ নং- এস.এ: ৩৯৫ / আর.এস: ৮১৬, জমির পরিমাণ ২৮ শতাংশ ইহার কাতে ১০ শতাংশ সম্পত্তি আমি সহ আমার তিন বোন পৈতৃক  সূত্রে মালিক হইয়া খাজনা খারিজ পরিশোধ করি। আমার জমিতে ঘর নির্মাণ বসবাস করে আসিতেছি। গত ১৯ জানুয়ারী রবিবার আনুমানিক সকাল ১১টার সময় মোঃ নুরুল ইসলাম, পিতা- মৃত: ইউনুস আলী  তার সন্ত্রাসী দলবল সহ আমার বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা করে, নুরুল ইসলাম ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার দুই বোনকে মারধর করে। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালায় ।
    জমেলা খাতুন বলেন, নুরুল  ইসলাম একজন মাদক কারবারি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ। সে আমার ১০ শতাংশ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আমরা আমাদের জমিতে প্রবেশ করতে চাইলে সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে দিয়ে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় । জোমেলা খাতুন আরও বলেন, আমি বাড়ি থেকে কিছুদিন বেড়াতে গেলে গত ০৭ আগস্ট ২০২৪ইং রাতের আঁধারে আমার জমিতে জোরপূর্বক একটি ঘর তুলেন।
    এ ব্যাপারে জোমেলা খাতুন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, তদন্ত করিয়া আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • হাকালুকি হাওড়ে পতিত জমিতে হলুদ জোয়ারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।

    হাকালুকি হাওড়ে পতিত জমিতে হলুদ জোয়ারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড় মৌলভীবাজারের হাকালুকি পাড়ের পতিত অনাবাদি জমিতে সরিষার চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ বছর প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওড় পাড়ের চাষিরা সরিষা চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
    প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়ের পানি সরে গেলে হাওড় পাড়ের উর্বর জমি এমনিতেই অনাবাদি পড়ে থাকে। এসব জমিতে বছরের পর বছর কোন রকম চাষাবাদ হয় না। তবে গত কয়েক বছরে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার ফলে হাওড় পাড়ের পতিত জমি সরিষা চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতি বছর সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    এতে বদলে গেছে মৌলভীবাজার হাওড় পাড়ের জনপথ। হাকালুকির বুক জুড়ে এখন শুধুই হলুদ সরিষার আবাদ। সরেজমিন হাওড় পাড়ে গেলে দেখা যায়, শীত শুষ্কতার এ মৌসুমে গাঢ় হলুদের মাখামাখি বিস্তৃত প্রান্তর। তা দেখে যে কারোরই মন ভরে যাবে মুগ্ধতায়।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় মৌলভীবাজারে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধু হাকালুকি হাওড় পাড়ের বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলায় এ বছর ৪ হাজার ৩১৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়ে চাষীরা উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি- ১৪, ১৫ ও ১৭ জাতের সরিষা চাষ করেন। এতে সরিষার খুবই ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
    এ বছর প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৪২ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে, বড়লেখার উপজেলার সোজানগর, তালিমপুর ও বর্ণি ইউনিয়ন। গত বছরের চেয়ে এ বছর হাওড়ে ৬১৩ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বাড়ানো হয়েছে।
    কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষের এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পতিত হাকালুকির হাওড়ের পুরো জমি এক সময় চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেলের ঘাটতি মেটানো সহজ হবে। এছাড়া এ বছর জেলার সাত উপজেলায় এক হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত সরিষা চাষ হয়েছে।
    হল্লা গ্রামের সরিষা চাষি রুহেল আহমদ, সেলিম হোসেন, মাসুক আহমদ, ফয়জুর রহমান ও আব্দুস ছালাম-সহ কথা হয় একাধিক চাষিদের সঙ্গে। তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তারা সরিষা চাষ করছেন হাওড়ের এসব পতিত জমিতে। ভালো লাভবান হওয়াতে দিনকে দিন সরিষার চাষ বদ্ধি পাচ্ছে। চাষিরা বাড়তি আয় রোজগারের পাশাপাশি ভোজ্য তেল নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে পারছেন।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত ২ হাজার হেক্টর পতিত জমি সরিষা চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ৬ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হলেও, উৎপাদন ধরা হয়েছে- ৭ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন বলে জানান তিনি।
  • রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টাঃ চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার।

    রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টাঃ চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
    বাগেরহাটের রামপালে স্থানীয় বিএনপি নেতা আকবর হোসেন আকো ওরফে আকো মেম্বর ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে অসহায় হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।
    এ বিষয়ে গত (৮ ই জানুয়ারি) ভুক্তভোগী নারী উপজেলার ভাগা এলাকার মৃত নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের মেয়ে তিথি মজুমদার সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) বরাবর প্রভাবশালী বিএনপি নেতা আকবর হোসেন আকো এবং তার অনুসারী ফিরোজ মল্লিক, নাসির সরদার, আকবর শেখ, হালিম শেখ, সেকেন্দার সরদার ও পরিতোষ মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।
    সহকারী পুলিশ সুপার (রামপাল-মোংলা সার্কেল) বরাবর দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার পৈতৃক ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত উপজেলার সুলতানিয়া মৌজায় ২.৭৫ একর সম্পত্তি রয়েছে- যা তারা বিগত শতবছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছে। জমির কিছু অংশে অন্য শরীকদের ৪ টি বসতবাড়ী এবং তার দখলীয় জমিতে পৃথক মৎস্য ঘের অবস্থিত। জমিতে বিবাদী পক্ষ বা তৎপক্ষে অন্য কারো সত্ব দখল অধিকার নেই। কিন্তু বিবাদী আকো মেম্বরসহ আরও কয়েকজন হঠাৎ করে গত ইং (১৬-১২-২০২৪) তারিখে জমিতে বাঁশ খুটি দ্বারা ঘেরের বাসাঘর তৈরির উদ্যোগ নেয়। তখন সে  তৎক্ষনাৎ বিষয়টি বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে রামপাল থানা হতে পুলিশ প্রেরণ করেন। পুলিশ আসার পূর্বেই বিবাদী পক্ষ ঘরের অবকাঠামো তৈরি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত (১৭-১২-২০২৪) তারিখে দিবাগত রাত ৩ টার দিকে টিন দ্বারা ঘরের ছাউনী দেয়। ওই মৎস্য ঘেরে তার অনেক টাকার মাছ এবং কাকড়া আছে- যা বিবাদী পক্ষ আত্মসাৎ করেছে। তিনি লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন যে, সে এক অসহায় নারী, পক্ষান্তরে বিবাদী পক্ষ ধনে জনে প্রভাবশালী। এ কারণে তিনি স্থানীয়ভাবে নালিশ জানাইয়া কোনরূপ প্রতিকার পায় নাই।
    তুলি মন্ডল নামে আরেক সংখ্যালঘু নারী সাংবাদিকদের জানান যে, ❝আকো বাহিনী জোর করে তাদের মৎস্য ঘেরের মাছ মেরে নিয়ে গেছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কারণে সন্ত্রাসী আকো বাহিনী তাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং পথ-ঘাটে তার পিতা ও পরিবারের সদস্যদের ভঁয়-ভীতি দিচ্ছে। এমনকি তাদের বাড়ী থেকে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।❞
    স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আবেদা বেগম সাংবাদিকদের জানান যে, ❝তার ও এখানে তিন বিঘার একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। তিনি বলেন যে ,আকো ও তার সংগীয় লোকজন তার স্বামীকে মারতে ধরতে গেছে এবং পাঁচ দিনের মধ্যে তার মৎস্য ঘের ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়েছে। আকো বাহিনী জোর করে তাদের মৎস্য ঘেরে বাসা বেধেছে এবং নানা ধরনের ভঁয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি আকো ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।❞
    এ বিষয়ে  আকবর হোসেন আকো জানান, ❝তিনি সেখানে ঘর বেঁধেছেন। ওই ঘেরে তার বৈধ জমি রয়েছে এবং জমির বৈধ কাগজপত্রও রয়েছে।❞
    এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রামপাল-মোংলা সার্কেল) মুশফিকুর রহমান তুষার সাংবাদিকদের জানান যে, ❝উপরোক্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে জমির সঠিক কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক জমির মালিককে জমি বুঝিয়ে দেয়া হবে।❞
  • লক্ষ্মীপুরে ইসমাইলের বিরুদ্ধে জমি দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে ইসমাইলের বিরুদ্ধে জমি দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ।

    লক্ষীপুর প্রতিনিধি।

    লক্ষ্মীপুরে শাহা আলম ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দা, চেনী নিয়ে জমির দখল করে গাছ কেটে নিয়ে যায় অভিযোগ উঠেছে
    ইসমাইলের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০২২ইং সালে শাহা আলম কে মারধোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন অভিযুক্ত ইসমেলেরা।

    শাহা আলম স্ত্রী খোদেজা বেগম জানিয়েছেন, বল খেলা কে কেন্দ্র করে ইসমাইলের ছেলেরা ইয়াসিন হাসান এর উপরে হামলা চালায়

    গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ জানুয়ারি আব্দুল খালেক নেতৃত্ব ১০-১৫ জনের একটি দল মিলে ৩৯০ দাগে জোর পূর্বক সোয়া দুই শতাংশ জমিতে গাছ কেটে নিয়ে যায় ইসমাইল গংরা।

    এঘটনা ঘটে শাহাব উদ্দিন হাজী বাড়ী শিবপুর ৮নং ওয়ার্ডের ১১নং হাজির পাড়া ইউনিয়ন ৩৯০ দাগের সোয়া দুই শতাংশ জমিন দখল করে আব্দুল খালেকেরা জমির মালিক শাহা আলম পরিবার ইসমাইলের বাহিনীর ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছেন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছেন যে কোন মুহূর্তে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা করতে পারে এমন দাবি এ বাড়ির বসতে জমি নিয়ে দুই পক্ষ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

    চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) কায়সার হামেদ চৌধুরী বলেন, ছোট শিশু বল খেলা কে কেন্দ্র করে ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • কালিয়াকৈরে স্কুলের জমি জবর দখলের অভিযোগ।

    কালিয়াকৈরে স্কুলের জমি জবর দখলের অভিযোগ।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় আটাবহ ইউনিয়নের গোসাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠে বাঁশের বেড়া দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের খেলাধূলায় প্রতিনিয়ত বিঘ্ন ঘটছে। খেলা ধূলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুই শতাধিক শিক্ষাথী। বিদ্যালয়ের জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর ও জমি জবর দখল করে বিদ্যালয়ের মাঠে বাঁশের বেড়া ও চারা রোপন করার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক শওকত হাসান খান ও মহসিন আলী খানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মোঃ মহসিন আলী খান বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবী তিনি যে জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন তা অন্য দাগের জমি। তাই স্কুলের খেলার মাঠ দখলের প্রশ্নই উঠে না। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন

    শনিবার দুপুরে দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোসাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেটসহ তিনটি ভবন রয়েছে। ছাদ পেটানো স্কুলের মাঠের পূর্বপাশের ভবনের দক্ষিণ পাশ ঘেষে আশা ইকো পার্কের জন্য যাতায়াত সড়ক ও গেইট তৈরি করা হয়েছে। এই পার্কের গেইট দিয়ে যাতায়াতের জন্য স্কুল মাঠের দক্ষিণে একটি বহুতল বাড়ী রয়েছে। সেই বাড়ীর মালিক মোঃ মহসিন আলী খান ও শওকত হাসান খান স্কুল মাঠের অধিকাংশ এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের মিশ্র প্রতিকৃয়া দেখা দেয়। এঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছালমা বেগম স্কুলের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন।
    গ্রামবাসীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ১৯৩৯ সালে ওই গ্রামের সালে আফসার উদ্দিন দেওয়ান নামের এক গ্রামবাসী স্কুলের নামে গোসাত্রা মৌজায় এসএ দাগের ৬১১ দাগের ২৯ শতাংশ, ৬১১ দাগে ৪ শতাংশ মরিয়ম আক্তার নামের আরেক নারী দশমিক ২৫শতাংশ এবং অভিযুক্ত মহসিন আলী খান ৪ শতাংশ জমি লিখে দেন। স্কুলের নামে ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি থাকলেও মুলত স্কুলের দখলে ২৫ শতাংশের কম রয়েছে। এতে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি বেহাদ হয়ে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। স্কুলের জমি ঘেষে স্কুলের সাবেক সভাপতি মোঃ মহসিন আলী খান ও শওকত হাসান খান বহুতল ভবন তৈরি করে বাড়ীর সীমানায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেন। এতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের টনক নড়লে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি সুরহা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কাছে একটি আবেদন দেন।
    শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের স্কুলের পাশে একটি পার্ক ও খেলার মাঠে বাঁশের বেড়া দেওয়াতে খেলাধুলা করতে পারছে না। অভিলম্বে বাঁশের বেড়া সরিয়ে খেলার মাঠটি অবমুক্ত করার দাবী জানায়।
    প্রধান শিক্ষক ছালমা বেগম জানান, আফসার উদ্দিন দেওয়ান স্কুলে জমি লিখে দিলেও নানা জটিলতায় জমিটি স্থানীয় ডা. জলিলুর রহমানের নামে আরএস রেকর্ড হয়ে যায়। ওই সময় হয়তো স্কুলে যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারা রের্কডের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গত এক সাপ্তাহে স্থানীয় মহসিন আলী খান ও তার ভাই শতকত আলী খান স্কুল মাঠে বাঁশের বেড়া দিয়ে কিছু গাছের চারা লাগিয়েছেন। স্কুলের দেওয়াল ঘেষে কিছু অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণও করেছেন। ফলে স্কুলের সীমানা নির্ধারণ না করে বাঁশের বেড়া দেওয়াতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই স্কুলের জমি মাপা ও সীমানা নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি আবেদন দিয়েছি।
    অভিযুক্ত মহসিন আলী খান বলেন, গোসাত্রা মৌজায় ৬১০ ও ৬১১ দাগে আফছার উদ্দিন দেওয়ান ভুয়া দলিল বানিয়ে স্কুলকে জমি লিখে দেওয়ায় স্কুলের জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমি নিজেও স্কুলকে চার শতাংশ জমি লিখে দিয়েছি। আরো ২৫ শতাংশ আমরা ভাইবোন মিলে স্কুলের নামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে যে দাগে বাঁশের বেড়া দিয়েছি সেই দাগ হলো ৬১০ দাগে ২৮ শতাংশ জমি রয়েছে। যা ২৮ শতাংশ জমিই আমাদের নামে এসএ ও আর এস রের্কড রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি, বিষয়টি দ্রুত সীমাংসা করার জন্য অনুরোধ করেছি। তবে আমি স্কুলের জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করিনি। আমার বের্কডী জমিতে বাঁশের বেড়াতে অনেকেই ভুল বুঝতে শুরু করেছেন।
    উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে লিখিত আবেদন পেয়েছি। শীঘ্রই বিদ্যালয়ের জমি মেপে সীমানা নির্ধারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, গোসাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি মেপে সীমানা নির্ধারনের আবেদন পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি কেউ দখল করে নিয়ে আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নেই। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না-স্থানীয় জনগোষ্ঠি।

    কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না-স্থানীয় জনগোষ্ঠি।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প খননের উদ্দোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিন ফসলি কৃষিজমি নষ্ট করে বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের জলাধার খননের উদ্দোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুঁসে ফেঁপে উঠেছে উপজেলা কুঠির ডাঙ্গা এলাকার স্থায়ী জনগোষ্ঠি । তাদের দাবী তাদের বৈধ কৃষিজমি দখল করে জলাধার খনন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কুঠিরডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচারহাট, চিড়াভিজা ও খারিজা গোলনা মৌজার কৃষকদের তিন ফসলি ১২১৭ একর আবাদী জমিসহ আধা পাঁকা ও কাঁচা ঘরবাড়ী, মসজিদ ও স্কুল গুলো বিনষ্ট হবে। এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহন সংক্রান্ত কোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। জমির মালিক জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, স্বপন ইসলাম, আল-আমীন, বীরেন্দ্র নাথ সিংহ রায়, অবিলাস চন্দ্র রায়, জনগোষ্ঠির নেতা শহিদুল ইসলাম মাস্টার বলেন, আমাদের পৈত্রিক মালিকানা সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জোর পূর্বক জলাধার খননের নামে তারা ইতিপূর্বে ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা করে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিসহ হয়রানী করে আসছে। আবারও তারা বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খনন করবে “কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না”। সারা দেশে যে ভাবে নদী খনন হচ্ছে সেই নিয়মে নদী খনন হোক আমাদের কোন আপত্তি নেই। প্রকৃত জমির মালিকগন বলেন, আমাদের না জানিয়ে বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জমিগুলোর মালিকানা দাবী করে ৪৯২ দশমিক ৭১ হেক্টর ব্যক্তি মালিকানা জমি মের্সাস তুষকা লিমিটেডকে ইজারা দেন। তুষকা লিমিটেড এই জমিতে কার্যক্রম শুরু করলে স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা বাধা দেয়। জমি রক্ষায় প্রকৃত মালিকরা উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হলে এক আদেশে তাদের কার্যক্রম স্থগিত হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, মালিকানা সুত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা পাঁকা ঘরবাড়ী নির্মান করে ধান, ভুট্টা, কপি, আলু, মরিচ, রসুন, পিয়াজ, বেগুন ও অন্যান্য কৃষিফসল চাষাবাদ আসছেন এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে। এসব জমির ফসল স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা চাষাবাদ করে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য উপজেলারও চাহিদা মিটিয়ে আসছেন। বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খনন করলে এসব জমিতে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন  হ্রাস পাবে ।

  • জাল দলিলে জমি দখল,সাজা দিলেন এসিল্যান্ড।

    জাল দলিলে জমি দখল,সাজা দিলেন এসিল্যান্ড।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জাল দলিল বানিয়ে জমি দখলের সাথে জড়িতে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন এ রায় দেন।
    দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের নাগেশ্বরবাড়ী গ্রামের দিনেশ চন্দ্র সিংহের ছেলে নিরঞ্জন চন্দ্র সিংহ (৪৮) এবং একই গ্রামের হরসুন্দর সিংহের ছেলে যতিশ চন্দ্র সিংহ (৪৫)। তারা দুজনেই জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন জানান, জাল দলিল তৈরি করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধনতলা ইউনিয়নের সাগর চন্দ্র শীলের ৫ শতক জমি দখল নেয় চক্রটি। ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ জানালে তদন্তভার উপজেলা ভূমি অফিস কে প্রদান করে। তদন্তের সময় দেখা গেছে, জাল দলিলটির  সম্পূর্ণ তথ্য বানোয়াট। দলিলে উল্লেখিত জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য এবং রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা অন্য দলিল নম্বরের সাথে এই দলিলের কোন মিল পাওয়া যায়নি। এমনকি বাংলা তারিখের সাথে ইংরেজি তারিখের মিল নেই।
    ‌’এসব যাচাই বাছাইয়ের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করলে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ অসৎ পথ অবলম্বন করলে কঠোর শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে বলে সচেতন করেন তিনি।’
    জমির মালিক সাগর চন্দ্র শীল জানান, জমিটি দখল নেওয়ার সময় আমরা কাগজপত্র যাচাই করার জন্য ১ মাসের সময় চেয়েছিলাম। চক্রটি আমাদের কোন কথা শুনেনি। উল্টো মামলায় ফাসানোর জন্য নারীদের উলঙ্গ করে রেখে জমি দখল করেছে। অল্প সময়ে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই এ্যাসিল্যান্ড অফিসে জমি বিরোধের সমাধান পেয়ে বেশ খুশি তিনি।
    বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা-হত্যাকারী গ্রেফতার।

    কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা-হত্যাকারী গ্রেফতার।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী ছেলের সামনে পিতাকে কোপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাও গ্রামে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক এলাকার বহু অপকর্মের হুতা সুলতান আহমদ (৫০) কে গ্রেফতার করেছে। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র ফয়জুল হোসন (৬৮) কে আপন চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সুলতান আহমদ বসত বাড়িতে নৃশংস ভাবে ধারালো রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জবাই করে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর ঘাতক সুলতান আহমদ সে তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের সামনে বিরদর্পে স্বীকার করে।
    স্থানীয়রা জানান, ফয়জুল হোসেন এর সাথে সুলতান আহমদ এর বসত বাড়ির জমি  সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত কয়েকদিন থেকে ধারালো দা নিয়ে সুলতান আহমদ চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যখন ফয়জুল হোসন তার প্রবাসী ছেলে আলী রাজাকে নিয়ে নিজ বসত ঘরে ছিলেন। তখন ধারালো রাম দা নিয়ে সুলতান আহমদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফয়জুল হোসেন ও তার প্রবাসী ছেলের দিকে দা নিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। তখন প্রবাসী আলী রাজা প্রাণ রক্ষার্থে সরে গেলে সুলতান আহমদ রাম দা দিয়ে ফয়জুল হোসনের মাথা ও গলায় এলোপাতাড়ি কোপিয়ে জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সুলতান আহমদকে তার বসত ঘরে ঘেরাও করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান আহমদকে নিজ বসত ঘর থেকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা রাম দা জব্দ করে।
    এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাতার প্রবাসী আলী রাজা বাদী হয়ে থানায় সুলতান আহমদ সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
    থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুলতান আহমদ তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে কোপিয়ে হত্যা করেছে এবং সে নিজেও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
    স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আপন চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনের হত্যাকারী সুলতান আহমদ এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে সব-সময় এলাকায় দা নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। তার ভয়ে আপন ভাই ও চাচাতো অপর ভাইয়েরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে সিলেট শহরে বসবাস করছে বলে জানান।

  • মামলা চলমান অবস্থায় জোড় পূর্বক রাতের অন্ধকারে জমি দখলের অভিযোগ।

    মামলা চলমান অবস্থায় জোড় পূর্বক রাতের অন্ধকারে জমি দখলের অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মোজাম্মেলের ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দা,চেনী নিয়ে জমির দখল করে চলাচলের রাস্তার নিমার্ণের অভিযোগ ওঠেছে নুর হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০২২ইং সালে মোজাম্মেল হোসেনের বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে মারধোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন অভিযুক্ত নুর হোসেন।
    মোজাম্মেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানিয়েছেন, রাস্তা জমি নিয়ে নুর হোসেন গংরা আদালতে মিছ মামলা করলে তা খারিজ করে দেয় এডিএম কোট।
    গত রবিবার দিবাগত রাত ২৭ অক্টোবর নুর হোসেন খোকনের নেতৃত্ব ৫-৬ জনের একটি দল মিলে ২৯০ দাগে জোর পূর্বক সোয়া এক শতাংশ জমিতে নতুন রাস্তা নিমাণ করেন খোকন গংরা।
    এঘটনা ঘটে বশিকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ২৯০ দাগের সোয়া এক শতাংশ জমিন দখল করে রাস্তা নিমাণ করেন নুর হোসেন।
    তপসিলকৃত ভূমি প্রায় ৫৪ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন আবুল হোসেন গংরা।  নুর হোসেনের কাছে রাস্তা জন্য কোন জমি বিক্রি করা হয়নি। তারাও ক্রয় করেনি। বেদখল জমি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং স্বত্ব ঘোষণা মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং ৪৮৯/২১।
    এদিকে নুর হোসেনের নেতৃত্বে  নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে মোজাম্মেল হোসেন ও তার বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে খোঁজাখুজি করছেন জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে  স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। জমির মালিক মোজাম্মেল হোসেনের পরিবার নূর হোসেনের বাহিনীর ও দলবলের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছেন এবং তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছেন যে কোন মুহূর্তে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা করতে পারে এমন দাবি এ রাস্তা জমি নিয়ে দুই পক্ষ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
    নূর হোসেন খোকন জানান বাদী পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।অভিযোকারীর সাথে পরামর্শ করে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়। হিংসা ও মানঅভিমান করে এখন রাস্তা দিতে অস্বীকার করছেন। জায়গা ব্যক্তিগত ভাবে ভোগ করার জন্য নেয়নি।জনসাধারন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে।
    চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) কায়সার হামেদ চৌধুরী জানিয়েছেন জমি দখলের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনার স্থানে পুলিশ প্রেরন করেন নিমাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। পুলিশের আদেশ অমান্য করে তারা রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ শেষ করে।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।