Tag: গ্রেফতার
-
মাধবপুরে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ পাচারকারী গ্রেফতার-৭।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায়, মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁনের তত্বাবধানে পৃথক দুটি অভিযানে ভারতীয় ১৪০ বোতল মদ ও ১৪ কেজি গাঁজা পাচারে ব্যবহৃত একটি সিএনজি এবং একটি মোটরসাইকেলসহ সাতজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।থানা সূত্রে জানা গেছে,বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি চৌকস পুলিশের দল উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া আরিশপুর সাকিনস্থ ইটসোলিং রাস্তার মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১০ কেজি গাঁজাসহ ৬’জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন।এসময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত হলেন- মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে আজগর আলী (৪৫), মুস্তু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০), ডা.খলিলুর রহমানের ছেলে সিএনজি চালক আরিফুর রহমান (৩০), একই ইউনিয়নের আনন্দ গ্রামের মো.লোকমান মিয়ার ছেলে মোটরসাইকেল চালক মো. ইসমাইল মিয়া (২৫),এবং নোয়াখালীর আলেকজান্ডার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো,আরিফ (১৭), নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানার বিষ্ণুপুর এলাকার সুমন মিয়া ওরফে মহব্বত আলীর স্ত্রী মোছা.জোসনা বেগম (৩৫)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হতে উক্ত গাঁজা সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা আলাদা ভাবে ঢাকা- চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।অপর আরেকটি অভিযানে হরষপুর ( তেলিয়াপাড়া) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক চন্দ্র দেব এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১৪০ বোতল মদ ও ৪ কেজি গাঁজাসহ বহড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে কামরুল মিয়া (২৩)কে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের গেইটঘর শাহপুর বাজার হতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু করে আসামিদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান থাকবে। -
উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ সানজিদা খাতুন(৯) নামের এক শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।এ ঘটনায় শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমিতে পুতে রাখার ৫ দিন পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আমশড়া গ্রামের মোঃশাহিন আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অলিদহ গ্রামের মোঃনুরাল মিয়া ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ও হানিফ শেখের ছেলে হাসমত আলী।
সলঙ্গা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিন আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।ঘটনার দেড়মাস আগে জরিনা স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে।স্বামী শরিফুল তার স্ত্রী জরিনাকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমত আলীর দারস্থ হয়। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আন্তে তারা পরিকল্পিত ভাবে জরিনার মেয়ে সানজিদাকে অপহরন করে। ১০ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সানজিদাকে অপহরনের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘটনার এক পর্যায় চিৎকার করে। এ সময় মেয়েটির গলা চেপে ধরে হত্যা করে। পরে লাশটি পাশের জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।লাশ গুমের উদ্দেশ্যের ঐ রাতে পাশের ধানের জমিতে গর্ত করে পুতে রাখে।মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর সানজিদা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি।পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারী নানা জহুরুল ইসলাম সলঙ্গা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
তিনি আরোও জানান সাধারন ডায়েরি করার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করে।এ সময় সানজিদকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।তাদের তথ্যমতে ধানের জমিতে পুতে রাখা সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
-
রামপালে ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে জনতা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের শোলাকুড়া এলাকার আঙ্গারিয়া নামক স্থান থেকে তাদেরকে আটক কর হয়।রামপাল থানা সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সদরের বাসিন্দা আবির কর্মকার ও ফকিরহাটের শুভদিয়া গ্রামের রজিনা খাতুন ওই এলাকায় গোপনে মাদক বিক্রি করছিল।এসময় খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ১৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতেনাতে আটক করে। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকিরকে জানালে তিনি ঘটনাস্থানে এসে আটক আবির হোসেন ও রোজিনা খাতুনকে রামপাল থানা পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।এ বিষয়ে রামপাল থানার সাব-ইন্সপেক্টর লিটন কুমার বিশ্বাস জানান গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যে নাম পরিচয় পাওয়া গেছে তা যাচাই বাছায় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রামপাল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। -
মাটিরাঙ্গায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
ফারুক হোসেন,মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ মোঃ সাইফুল ইসলাম(২৪) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তাধর।সাইফুল ইসলাম মাটিরাঙ্গা পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ড আদর্শ গ্রামের নুরুল ইসলাম (পিসি)’র ছেলে।
এ সময় তিনি আরোও জানান,শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা পৌর শহরের কোয়ার্টার পাড়া এলাকায় এ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে ৩৩ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
-
মাধবপুরে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারতীয় ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ৬ কেজি গাঁজা’সহ কাজল মিয়া (২২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী চৌমুহনী ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামের মৃত জিতু আহমেদ মিয়ার ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার সময় গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ গোলাম মোস্তুফা নেতৃত্ব উপপরিদর্শক মোঃ আব্দুল কাদের সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলার চেঙ্গার-বাজারের উত্তরে হবিবপুর গ্রামের মোঃ কাজল মিয়া বসতঘরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১২০ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও ৬ কেজি গাঁজা সহ কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করেন।এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম খাঁন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। -
জমি ও সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে নিহত-১,ইউ/পি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৩।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত এবং সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে আহত পাভেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা’র একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। সে মধ্য বেজড়া গ্রামের মাতব্বর মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন, বেজুড়া গ্রামে খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়-উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন দক্ষিন বেজুড়া গ্রামের মৃত কিফত আলীর ওয়ারিশ হাজী আসকর আলী ও দুলাল মিয়া গংদের কাছ থেকে ৭/৮ মাস আগে একটি জমি ক্রয় করেন। অপর দিকে ওই জমি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মিয়ার সন্তানেরা নিজেদের দাবি করে ভোগ-দখল করে আসছে।
শনিবার সকাল ৯ টার সময় মাসুদ খানের লোকজন ওই জমিতে ধান রোপন করতে গেলে মৃত বারেক মিয়ার ওয়ারিশগণ ধান রোপণে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধঁলে মহিলা সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪),আব্দুল হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০),পায়েল মিয়া (৩০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া ( ২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮),জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০),শাহজাহান মিয়া (২৫),মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০),ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮),সামসুউদ্দিন (৩০), সাইফুল (২৯)কে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর,হবিগঞ্জ,ঢাকা ও সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় কয়েকটি বাড়ীতে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনার্চাজ(ওসি)মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গভীর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে গুরুত্বর আহত পাভেল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন,বেজুড়া গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (২৫) কে মাধবপুর থানা পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন জানান বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামী করে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০/৭০জনের বিরুদ্ধে নিহত পাবেলের চাচাতো ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
-
বালিয়াডাঙ্গীতে আমগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:জমি বিরোধে শত্রুতার জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একটি আমবাগানের ১৩৬টি আমগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী রমজান কাজীকে গ্রেপ্তার করেছে শনিবার বিকালে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।শুক্রবার রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নুনতোর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে আমবাগান মালিক ইলিত চন্দ্র সিংহ অরফে রাতিয়া ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের দায়ের করেন।গ্রেপ্তার হওয়া রমজান কাজী রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নুনতোর গ্রামের গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।জানা গেছে, ভানোর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের ইলিত চন্দ্র সিংহ অরফে রাতিয়ার সাথে প্রতিবেশী রাণীশংকৈল উপজেলার নুরতোর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রমজান কাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি।গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন না রাতিয়া। এই সুযোগ রমজান কাজী তার লোকজন দিয়ে ৬১ শতাংশ জমিতে লাগানো আম বাগানের ১৩৬টি আমগাছ কেটে ফেলেছে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে রাতিয়া ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেন রাতিয়া।গ্রেপ্তর হওয়ার আগে রমজান কাজী দাবি করেছিলেন, দুই বছর আগে জমির মালিক মাইকেলের কাছ থেকে জমি কিনেছেন তিনি। ওই বাগানের জমির মালিক তিনি। এখন জমি দখল দিতে হবে, তাই নিজেরাই গাছ কেটে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বসা মীমাংসাগুলোতে তার পক্ষে রায় পেয়েছিলেন।বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, বাগানের আমগাছ কাটার ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ আসামী রমজান কাজীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। -
রামপালে র্যাবের অভিযানে দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে র্যাব-৬ এর অভিযানে মোঃ সোলাইমান মোল্লা(৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে দেশীয় ওয়ান শুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের চিত্রা গ্রামের মোঃ দাউদ মোল্লার ছেলে।শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ভাগা বাজার সংলগ্ন মেসার্স কামাল ফিলিং এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে র্যাব-৬ এর চৌকস একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।রামপাল থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর একটি দল জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি অস্ত্র কেনা-বেচার উদ্দেশ্যে ভাগা বাজার সংলগ্ন মেসার্স কামাল ফিলিং স্টেশনের সামনে অবস্থান করছে। এ সংবাদ পেয়ে উপ-পরিদর্শক সুবীর সাহার নেতৃত্বে র্যাব-৬ এর একটি দল ঐ স্থানে পৌঁছালে এক সোলাইমান মোল্লা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাকে গ্রেফতার করে এবং তার দেহ তল্লাশী করে কোমর থেকে হলুদ কাপড়ে জড়ানো একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান উদ্ধার করে। এছাড়া ঐসময়ে তার কাছ থেকে Vivo Y22 মডেলের একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ০১৯২৮-৭৩৭০৪৮ নম্বরের একটি সিমকার্ড, Maximus M243m মডেলের একটি বাটন মোবাইল ফোন, ০১৯৪২-৯৩৭৬৬০ নম্বরের একটি সিমকার্ড উদ্ধার করে। ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে বলে সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে স্বীকার করে।এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান যে, শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব-৬ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোলাইমান মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে র্যাব একটি মামলা দায়ের করেছে এবং আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। -
রামপালে পুলিশের অভিযানে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় গ্রেফতার।
মল্লিক জামান,রামপাল (বাগেরহাট)প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে থানা পুলিশের মাদক নির্মূল অভিযানে মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ সুব্রত রায় (৪৫) নামের এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের কাঠামারী গ্রামের মৃত নিরোধ বিহারী রায়ের ছেলে।সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রামপাল থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঠামারী গ্রামের চায়ের দোকানে গাঁজা কেনা-বেচা করছে সুব্রত রায়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক দীনেষ ঘোষের নেতৃত্বে রামপাল থানা পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল চায়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে। এসয় পুলিশ ১’শ ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম গাঁজাসহ সুব্রত রায়কে গ্রেফতার করে।এ তথ্য রামপাল থানার অফিসার ইন-চার্জ সোমেন দাস নিশ্চিত করেন।এ সময় আমারজমিন পত্রিকার প্রতিবেদককে জানান, গতরাতে থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে হুড়কা ইউনিয়নের কাঠামারী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী সুব্রত রায় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু পূর্বক আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও জানান,মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। রামপাল থানার এরিয়ায় কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবন কারীকে থাকতে দেওয়া হবেনা। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবিদের আইনের আওতায় আনতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। -
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আ.লীগ নেতা আল মুনসুর ইয়াবাসহ গ্রেফতার
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃআবারও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হলেন ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আল মনসুর। সোমবার (২৯জানুয়ারি) উপজেলা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।ইয়াবাসহ আটক আল মনসুর উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার গোলাম রব্বানীর মাস্টারের ছেলে।এর আগে গত বছরের মে মাসে দেড় হাজার ইয়াবাসহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যান আল মনসুর। পরে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ বলেন, ‘বিশ্বস্ত সংবাদের ভিত্তিতে সকালে আমরা তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় তার ঘরে ৫০ ইয়াবা উদ্ধার করি। উপস্থিত লোকজনের সামনে আ.লীগের ওই নেতা মাদক রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’ এ ঘটনায় আল মনসুরকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।