Tag: গ্রেফতার

  • চট্রগ্রামের বাকলিয়ায় দেশীয় অস্ত্রসহ পলাতক আসামী গ্রেফতার

    চট্রগ্রামের বাকলিয়ায় দেশীয় অস্ত্রসহ পলাতক আসামী গ্রেফতার

    আব্দুল করিম চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় তৈরি এলজিসহ আলী আকবর (৪২) নামের পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ দিন হলো সে পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।

    শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে সোয়া ৫ টার সময় হাটখোলা এলাকার আব্দুস সোবহান রোডের একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত আলী আকবর পূর্ব বাকলিয়ার আব্দুল লতিফ হাট এলাকার আব্দুস সোবহানের বাড়ী গ্রামের মৃত মোজাহারুল হকের ছেলে।

    বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাশেদুল হক জানান, গোপন সংবাদের  ভিত্তিতে মামলার পলাতক আসামি আলী আকবরকে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

  • সিরাজগঞ্জ বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জ বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ গ্রেফতার।

    আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী মালিক সমিতি’র সাবেক সভাপতি নূর কায়েম সবুজ কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ পৌরশহরের সয়াধানগড়া মহল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক সহ ৫টি মামলার ওয়ারেন্ট ছিলো বলে জানিয়েছেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম।

    ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম আরো জানান, নূর কায়েম সবুজের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরকসহ ৫টি মামলার ওয়ারেন্ট আছে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে শহরের সয়াধানগড়া মহল্লা থেকে আটক করা হয়েছে।বুধবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, নূর কায়েম সবুজকে যেসব মামলার ওয়ারেন্ট দেখিয়ে আটক করা হয়েছে এগুলো সব রাজনৈতিক মামলা। আমি তার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত তার নিশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

    এদিকে নূর কায়েম সবুজকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার নিশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি রুমানা মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক মুন্সী জাহেদ আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

  • নলডাঙ্গায় হেরোইনসহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    নলডাঙ্গায় হেরোইনসহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    নলডাঙ্গা(নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে ১.২ গ্রাম হেরোইনসহ সুমন আলী(২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা।

    সোমবার (৬সেপ্টেম্বর )সকাল ৯ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি নলডাঙ্গা পৌরসভার কুটোরিপাড়া গ্রামের হযরত আলী ছেলে সুমন আলী(২৯)।

    নলডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,আটককৃত সুমন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আগে থেকেই তার উপর পুলিশের নজরদারিতে ছিলো। সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে প্রায় ১২ হাজার টাকা মূল্যের হেরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুমন আলীকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • কাজিপুরে অপহরণ স্কুলছাত্রী উদ্ধার,অপহরণকারী গ্রেফতার।

    কাজিপুরে অপহরণ স্কুলছাত্রী উদ্ধার,অপহরণকারী গ্রেফতার।

    আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বেরিপোটল প্যাচানি পাড়া গ্রামের অপহরণ হওয়া স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তার মীম (১৪)কে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ সময় অপহরণকারী রনু তালুকদার (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।দীর্ঘ ২৭ দিন পর ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করার পর এলাকাবাসীর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

    কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)পঞ্চানন্দ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান গত ৭ আগষ্ট সকালে বিশেষ কৌশলে একই গ্রামের দুলাল তালুকদারের ছেলে রনু তালুকদার নবম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এই ঘটনার পর হতে পরিবারের লোকজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি।

    পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য কাজিপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন ভূক্তভোগীর পরিবার। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর)অপহরণ হওয়া স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হরিণা পিপুলবাড়ীয়া বাজার এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়।পরে অপহরণকারীকে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়।

    জানাগেছে, গ্রেফতার কৃত রনু তালুকদার ২টি বিবাহ করেছ। তার দু’টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। অপহরণ কারী রনু তালুকদারের এমন ঘটনা করায় এলাকাবাসী মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই অপহরণকারী রনু তালুকদার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

    শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ উদ্ধার হওয়া ওই স্কুলছাত্রীসহ অপহরণকারী রনু তালুকদারকে আদালতে সোপার্দ করলে আদালত স্কুলছাত্রীকে তার মায়ের জিম্বায় দেন এবং আসামী রনু তালুকদারকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

  • উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগজ্ঞ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি আব্দুল হাই (৫২),আরিফ সরকার (৩১)ও ফরিদুল ইসলাম (২০) কে গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।

    গত বুধবার রাতে গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা( ওসি) দীকপ কুমার (দাস পিপিএম) একদল চৌকশ পুলিশ নিয়ে রাজশাহী চারঘাট থানার নন্দনগাছী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাই কে গ্রেফতার করে এবং গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরিফ সরকার (৩১)ও ফরিদুল ইসলাম (২২)কে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসাস ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস (পিপিএম) জানান, উল্লাপাড়া থানাধীন সলপ বাজার এলাকা থেকে গত ২২ আগষ্ট সন্ধ্যায় এক চায়ের দোকান থেকে (৩২) বছর বয়সী এক গৃহবধুকে বেতকান্দি গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে বকুল (৩৩) ও একই গ্রামের চৈতন্য খা’র ছেলে আমিরুল খাঁ নামের দুই ব্যক্তি তুলে নিয়ে বেতকান্দি গ্রামের তাল বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় ওই দুই ব্যক্তিসহ ভদ্রকোল গ্রামের ময়েন আকন্দের ছেলে আব্দুল হাই (৫২), বেতকান্দি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ফরিদুল (২২) ও মাটিকোড়া গ্রামের দুলাল (৩৫) নামের ৫ জন পালাক্রমে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ২য় ধাপে আমিরুল খাঁ মেয়েটিকে জোরপূর্বক তুলে পাশ্ববর্তী আমবাগানে নিয়ে গিয়ে আবারও অপর সঙ্গীদের সঙ্গে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    ধর্ষিতার মামাতো বোনের সঙ্গে কথা হলে এব্যাপারে তিনি জানান, ধর্ষনের স্বীকার ওই নারী এখনও মানষিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • উল্লাপাড়ার বহুল আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ার বহুল আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বহুল আলোচিত গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি আব্দুল হাই (৫২) কে গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। গত বুধবার রাতে গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা( ওসি) দীকপ কুমার (দাস পিপিএম) একদল চৌকশ পুলিশ নিয়ে রাজশাহী চারঘাট থানার নন্দনগাছী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাই (৫৫)কে গ্রেফতার করেছে।

    অপর দিকে অন্য আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে এবং ধর্ষিতা ধর্ষণের পর থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন রোগী হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসাস ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস (পিপিএম) জানান, উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে সলপ রেলস্টেশন থেকে গত ২২ আগষ্ট সন্ধ্যায় এক চায়ের দোকান থেকে (৩২) বছর বয়সী এক গৃহবধুকে বেতকান্দি গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে বকুল (৩৩) ও একই গ্রামের চৈতন খা’র ছেলে আমিরুল খাঁ নামের দুই ব্যক্তি তুলে নিয়ে বেতকান্দি গ্রামের আম বাগানে নিয়ে যায়।

    এ সময় ওই দুই ব্যক্তিসহ ভদ্রকোল পূর্ব পাড়া গ্রামের ময়েন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল হাই (৫২), বেতকান্দি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ফরিদুল (২২) ও মাটিকোড়া গ্রামের দুলাল (৩৫) নামের ৫ জন পালাক্রমে গৃহবধূকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ২য় ধাপে আমিরুল খাঁ মেয়েটিকে জোরপূর্বক তুলে পাশ্ববর্তী আমবাগানে নিয়ে গিয়ে আবারও অপর সঙ্গীদের সঙ্গে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    ধর্ষিতার মামাতো বোনের সঙ্গে কথা হলে এব্যাপারে তিনি জানান, ধর্ষনের স্বীকার ওই নারী এখনও মানষিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার।

  • সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মতিন হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মতিন হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চাঞ্চল্যকর মতিন হত্যার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    রোববার ২৯ আগস্ট সকাল ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

    আটককৃতরা হলেন উপজেলার গুল্টা গ্রামের মৃত বাবুলাল তির্কীর ছেলে নিরঞ্জন তির্কী (৪৭),খোকা তপ্যর ছেলে রাজকুমার তপ্য(৩০) ও মৃত সুধীর এক্কার ছেলে লালন এক্কা (২৪), তালম গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩১)।

    ২০২১ সালের ১৬ জুন বুধবার সকালে গুল্টাবাজার দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একদল কিশোর ফুটবল খেলছিলেন। খেলার ছলে হঠাৎ ফুটবলটি বিদ্যালয়ের নলকূপ ও পায়খানার প্রাচীরের ভিতর চলে যায়।ফুটবল খেলোয়ার বল খুজতে প্রাচিরের ভিতরে ঢুকতেই লাশ দেখেই চিৎকার করে উঠে।পরে স্থানীয়রা এসে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।তাড়াশ থানা পুলিশের সদস্যরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।নিহত মতিনের ভাই মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।আদালত ১৬৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

    আটককৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আলোচিত মতিন হত্যার বর্ননা করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন নিহত মতিনের দোকানের পাশেই ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন আরিফুল ইসলাম। মতিনের ব্যবসার উন্নতি দেখে ঈশ্বানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে আরিফ।

    এ সময় তিনি আরো জানান,৩/৪ মাস আগে একটি ইসলামি জলসার এক বক্তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আরিফ সাথে মতিনের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৬ জুন ২০২১ রাত এক টার সময় দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার সময় মতিনের গতিরোধ করে নিরঞ্জন, নিরঞ্জনের স্ত্রী পদ্মা, নিরঞ্জনের ছেলে মিঠুন ও আরিফ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিরঞ্জন ও আরিফের সঙ্গে মতিনের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় নিরঞ্জনের সহায়তায় আরিফ মতিনের ঘাড় মটকে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে মতিন।

    ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রথমে নিহত মতিনের লাশ ১৫ মিনিটের মতো নিরঞ্জনের বাড়িতে রাখা হয়। তার মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থল থেকে ২ /৩ কিলোমিটার দূরে ডোবার মধ্যে রেখে আসা হয়। এরপর গুল্টা হাইস্কুল মাঠের পাশে টয়লেটের ছাদে উঠে মতিনের লাশ নিচে ফেলে দেওয়া হয়।

  • নন্দীগ্রামে হেরোইনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    নন্দীগ্রামে হেরোইনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃবগুড়ার নন্দীগ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানে হেরোইন সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার ভাটগ্রাম গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে আজিজার রহমান (৫৮) ও পৌর ঢাকুইর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আজিজুল প্রামানিক (৩৩)।

    থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৭শে আগস্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আবুল কালাম আজাদের দিকনির্দেশনায় উপ-পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম,সহকারী উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ও সদরুল হাসান সহ সঙ্গীয় ফোর্স বিকেল সারে ৩ টার সময় উপজেলার কুন্দারহাট টু ভাটগ্রাম পাকা রাস্তায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২ (দুই) গ্রাম হেরোইন সহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে।
    গ্রেফতারকৃত আজিজার রহমানের বিরুদ্ধে পূর্বে ৮ টি মাদক মামলার তথ্য নথিপত্র রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কলাম আজাদ।

  • সভারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক।

    সভারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক।

    সাভার আশুলিয়ায় থানায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় কিশোর গ্যাং এর ২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।ওই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা আহত ব্যবসায়ীর নিকট লক্ষাধিক টাকা চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ ঘটনায় দুই কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ- পরিদর্শক (এস আই) সামিউল ইসলাম। এর আগে সোমবার রাতে আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

    এলাকাবাসী জানায়- দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার আকিজ কোম্পানির প্লাস্টিক ডিলারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন রাসেল খান নামের ( ৩৫ ) এক ব্যবসায়ী। পরে ব্যবসা করতে হলে প্রকাশ্যে তার কাছে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এক পর্যায়ে ২৬ আগস্ট রাতে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে কিশোর গ্যাং সদস্য আফজাল, শাহেদ মীর ও সিমি শিমুলতলা এলাকায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ( আই সিইউ ) ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসা সেবা চলছে।

    এঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর বাবা আবু দায়েন খান কিশোর গ্যাং সদস্য সদস্য আফজালকে প্রধান আসামি করে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
    পুলিশ প্রধান আসামি কিশোর গ্যাং সদস্য আফজাল ও শাহেদ মীরকে আটক করতে পারলে ও তৃতীয় ব্যক্তি সিমিকে আটক করতে পারেনি এখনো। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার কিশোর গ্যাং সদস্যদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তিন নম্বর আসামিকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

  • সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    ঘটনা সূত্রে জানা যায় নলছিয়া গ্রামের মাসুদ রানা তার ছেলে অলিউল্লাহকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী মাদ্রাসায় ভর্তি করেন।

    শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে গত এক বছর যাবত পড়া লেখা করে আসছিল। গত ১১ আগস্ট রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক আবু রায়হান শিক্ষার্থী অলিউল্লাহকে তার কাছে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরদ্ধে বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ করলে শিক্ষক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

    এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রটিকে বলাৎকার করে। কয়েক দিন পর আবার কু-কর্মকরার প্রস্তাব দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ তার প্রস্তাবে রাজি না হলে পর দিন সকালে তাকে মারধর করে। মারধরের ঘটনার পর শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ ছুটি চায় শিক্ষক ছুটি না দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ গোপনে ১৯ আগস্ট নিজ বাড়ি চলে যায়।

    শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ বাড়ি গিয়ে শিক্ষক আবু রায়হানের কু-কর্মের কথা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে এবং জোড়পূর্বক ভাবে একাধিকবার বলাৎকার করার ঘটনাও খুলে বলে।

    পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয় টি জানালে কমিটির লোকজন উচিৎ বিচারের আশ্বাস দেয়। কিন্তুু আসামী আবু রায়হান আত্ম গোপন করে। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় জনগনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

    পরবর্তীতে শিক্ষার্থী’র পরিবার সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে এবং র‍্যাব-১২ এর কাছে আসামীকে গ্রেফতারের আকুতি জানায়। র‍্যাব-১২ র‍্যাব-১২ বিষয়টি আমলে নিয়ে র‍্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানীর সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানার নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্ম গোপনকারী আসামী আবু রায়হানকে ঢাকার ভাটারা থানার বাড্ডা এলাকা থেকে ২৭ আগস্ট শুক্রবার ভোর সোয়া ৫ টার সময় গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আবু রায়হান (২৪), সলঙ্গা থানার খোলাপাড়া গ্রামের মোঃ হাসেন আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
    গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামীকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।