. ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নুর হোসেন নামে এক কোচিং শিক্ষক হত্যার আসামীদের গ্রেফতার করার দাবীতে। এবং সন্দেহজনক ৭জন আসামীকে গ্রেফতার করে। তিন দিন থানায় রেখে আবার ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে, ভরনিয়া সম্পদবাড়ী এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিশেষে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’ সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়ক দিয়ে থানা চত্বর যায় সেখানে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করে। উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে দাড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন,সহকারী শিক্ষক মোকসেদ আলী, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও নিহত শিক্ষকের মা হোসনা খাতুন ।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক রমজান আলী,পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমিটাম দিয়ে বলেন, যদি আল্টিমেটামের সময়ের মধ্যে আসামী ধরতে গড়িমসি করেন। তাহলে ধর্মগড়,কাশিপুরবাসীসহ রাণীশংকৈল আ’লীগ যুবলীগ মিলে রাণীশংকৈল উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে। হরতাল দেওয়া হবে। অতত্রব কোন গড়িমসি না করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করুন।
নিহত শিক্ষকের মা হোসনা বলেন, কারা হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের নাম পুলিশকে বলেছি। তারপরেও তারা আসামী ধরে ছেড়ে দিচ্ছে কেন? তাহলে কি টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলে হত্যার বিচার কি তাহলে আমরা পাবো না। তিনি অবিলম্বে ছেলে হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া রাস্তা সংলগ্ন ধান খেতে একই ইউনিয়নের ভরনিয়া চেংমারী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে হোসাইন আলীর ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় নিহতের পরিবার দাবী করেন এটি পরিকল্পিত হত্যা।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্মারকলিপি পেয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, স্মারক লিপি পেয়েছি। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।