Tag: গ্রেপ্তার
-
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ডাকাতি মামলার আসামী সহ গ্রেপ্তার-২।
স্টাফ রিপোর্টারফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পাঁচটি ডাকাতির মামলার আন্তঃজেলা ডাকাত ও ৬ কেজি গাজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা পুলিশ।শুক্রবার রাতে ভাঙ্গা পৌরসভার সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদের আটক করা হয়।আটককৃতরা হচ্ছে- আনিসুর রহমান ওরফে আনিচ(৪০) ডাকাত, সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ি গ্রামের মোফাজ্জেল মোল্লার ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ী ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বড়বাগ গ্রামের কবির শেখের ছেলে শেখ জনিপ ওরফে জনি।এ ঘটনায় ভাংগা থানা পুলিশ শনিবার দুপুর ১ টায় এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদক বিক্রির প্রস্তুতিকালে তাকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।অন্যদিকে গত মাসে মহাসড়কে পিকআপ থেকে গরুর গাড়ি থেকে গরু ডাকাতির অন্যতম আসামী আনিচ ডাকাতকে বোয়ালমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এ ঘটনায় ভাংগা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, গত মাসে মহাসড়কে ১২ টি গরু ডাকাতি হয় সেই আসামিদেরকে আমরা আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি তাদের স্বীকারোক্তিতে পালিয়ে যাওয়া ডাকাত আনিচকে বোয়ালমারি এলাকা থেকে আটক করা হয়। আনিসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি সহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। -
মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।
নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।বিচার প্রার্থী হওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে প্রাণে হত্যার সুযোগ খুঁজে। ঘটনার দিন গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে পান খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান একটি মোটরসাইকেলে এবং আসামি নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ অপর আরেকটি মোটরসাইকেল যোগে বাড্ডা বাজারে এসে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনের চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর নোমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান। -
মোরেলগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু গ্রেপ্তার-২।
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উর্মি সাহা(২৭) নামের এক গৃহবধূ উর্মি সাহার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর স্বামী শিব্বির তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে।
মোরেলগঞ্জ পৌর শহরের বয়রাতলা এলাকার শিব্বির তালুকদারের বাড়িতে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় বুধবার(২২ জানুয়ারি)সকাল ৭ টার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ গাছ থেকে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। নিহত উর্মি সাহা ভাইজোড়া গ্রামের সালেছ সাহার মেয়ে। তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে শিব্বিরের সাথে তার বিয়ে হয়। খালেদ নামে তার চার মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
উর্মির বাবার দাবি তার মেয়েকে হত্যার পর মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে। নিশ্চিত এটি হত্যাকাণ্ড আত্মহত্যা নয়।আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি জানান বুধবার(২২ জানুয়ারি) ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নিহত উর্মির মরদেহ গাছের সাথে ঝুলে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।পরে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ব্যপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। তবে, নিহতের বাবা ও তার পরিবারের মৌখিক অভিযোগের কারনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী শিব্বির তালুকদার ও তার ভাই শাহিন তালুকদারকে থানা নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শিব্বির জানান তার স্ত্রী উর্মি সাহা রাতে একসাথে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোররাতে স্ত্রীকে বিছানায় না পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি স্ত্রীর মরদেহ গাছের সাথে ঝুলে আছে। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেন।
-
রামপালে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ঃ মুল হোতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ’র রাইস মিল থেকে ২৫ রাউন্ড শটগান ও এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধারের ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ মাত্র দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। অন্য আসামিদের এখনও পুলিশ প্রশাসন আটক করতে সক্ষম না হওয়ায় জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় আবু সাঈদ (৬০)সহ ২১ জনকে আসামি করে বাঁশতলী এলাকায় এস কে আল মামুন(৩৯) নামের এক ব্যক্তি গত (১৮ জানুয়ারি) বাদি হয়ে রামপাল থানায় একটিমা মলা দায়ের করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলো- বাঁশতলী এলাকায় শেখ মোহাম্মদ আলী(৫৮), মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল(৪৬), শেখ নাজিম উদ্দিন(৫২), শেখ কুতুব উদ্দিন(৫৮), শেখ বায়েজীদ হোসেন(৫৫), শেখ মুজিবর(৫৫), মনি শেখ(৪২), শেখ মাতলুব হোসাইন শিহাব(২৯), শিকদার শরিফুল(৫৫), শিকদার জিয়া(৪৬), আল আমিন সরদার(৩৫), শেখ সরোয়ার হোসেন(৪৫), শেখ কামরান হোসেন(৩৮), শেখ সোহাগ(৪৩), শেখ রুবেল(৩৩), দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মোঃ ইকরামুল হক রাজিব(৩৯), সরদার মিকাইল(৪৩), শেখ মাকসুদুর রহমান(৫৫), হাওলাদার বুলু(৪৫) ও হাওলাদার মিঠুন(৪২)।
ঘটনার দিন রাতে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষনাৎ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ’র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাতলুব হোসাইন ও দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি রাজিবকে আটক করে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ ও বাকি আসামিরা হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা সবাই আত্নগোপনে চলে গেলেও গত ১৭ জানুয়ারি, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তারা এলাকায় প্রবেশ করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন আবু সাঈদের সোনালী রাইস মিলের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একত্রিত হতে থাকে। এ খবরে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও
সাধারণ লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এসময় আবু সাঈদ জনতার দিয়ে উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।এদিকে আত্মগোপনে থেকে আবু সাঈদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে এ
প্রতিবেদককে জানান যে, সরকারের সাথে চাউল সরবরাহের চুক্তি মোতাবেক কিভাবে চাউল সরবরাহ করবো-তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। আমি গোপন সূত্রে জানতে পারি এলাকার কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলার জন্য ও রাইস মিল লুটপাট করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে আমি মিলের প্রধান গেইট বন্ধ করে কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভেতরে অবস্থান করি। সন্ধ্যার পর আড়াই শতাধিক লোক মিলের প্রধান গেইট ভেঙে ভেতরে আসার চেষ্টা করে। তারা একনাগাড়ে ইট-পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করে। তাদের হামলায় মিলের পাশে গবাদি পশুর ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবু সাঈদ আরো জানান যে, আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল এ নাটক সাজিয়েছে এবং রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করছে।
অন্যদিকে সাংবাদিক রাজিবের স্ত্রী পারুল বেগম এ প্রতিবেদককে জানান যে, আমারস্বামী রাজিব এলাকায় একজন পরিচিত সাংবাদিক। সে জাতীয় দৈনিক অভয়নগরসহ কয়েকটি পত্রিকার সাথে যুক্ত। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি, বাগেরহাট রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ঘটনার কালীগঞ্জ বাজারে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আমার স্বামী রাজিব পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে উপস্থিত হয় এবং মুঠোফোনে পুলিশ প্রশাসনকে এলাকার পরিস্থিতি জানায়। এরপর পুলিশ আমার স্বামীকে বিষয়টি জানার জন্য থানায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তাকে মামলায় ১৭ নম্বর আসামি করে কোর্টে চালান দেয়। কি কারণে তাকে মামলায় দেয়া হলো-বিষয়টি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তিনি আরো বলেন যে, তাকে মামলায় আসামি করে কোর্টে চালান দেয়ার পর একটি পক্ষ আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায়, বাড়ির মালামাল লুটপাট করে এবং সেই সাথে ১ লক্ষ ৭ হাজার নগদ টাকাও লুটপাট করে নেয়। আমাদের এখন একটি পক্ষ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্ট চালাচ্ছে এবং আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা আমারজমিনকে জানান, পুলিশ বসে নেই, পুলিশের কাজ পুলিশ করছে। এ মামলার অন্য আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি অন্য আসামিদের আটক করতে সক্ষম হবো বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
-
তনয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আমতলীতে মানববন্ধন।
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে ব্যবসায়ী নিয়াজ মোরশেদ তনয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, নিয়াজ মোরশেদ তয়নকে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় একজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায় ছয় বছর আগে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নান্নু মোল্লার ছেলে নিয়াজ মোশের্বদ তনয়ের সঙ্গে আরেক ব্যবসায়ী চাওড়া চলাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক গাজীর মেয়ে ফারিয়া জান্নাতি মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর স্বামী তনয় জানতে পারে তার স্ত্রী মীমের আগে আরো একটি বিয়ে হয়েছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্ধ চলছিলো। এর মধ্যে ওই দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম তারেক হাসান বাহাদুর নামের এক ছেলের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। পরকিয়া প্রেমিক নিয়ে তিনি (মীম) বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে এবং টিকটক ভিডিও তৈরি করে সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করছে। এতে ক্ষুব্দ হয়ে তনয় স্ত্রী মীমকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তালাক দেয়। তালাক নোটিশ পেয়ে ১৭ অক্টোবর মীম তার স্বামী নিয়াজ মোশের্বদ তনয়ের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন, ওই দিনই পুলিশ তনয়কে গ্রেপ্তার করেন। এ মামলায় তনয় ১১ দিন জেল হাজতে ছিল। স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা স্বামী তনয়কে বিভিন্ন ভাবে বুলিং ও হয়রানী করতো। এতে নিয়াম মোশের্বদ তনয় মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েৎফলে সে আত্মহত্যার সিধান্ত নেয়। স্ত্রীর পরকিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের বুলিং ও হয়রানীর এমন কর্মকান্ড সইতে না পেরে গত ২৯ নভেম্বর ভোররাতে তনয় স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ীর ও তার স্বজনদের নির্যাতনের বর্ননা স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষপান করেন। মুহুর্তের মধ্যে তার স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় গত ৫ ডিসেম্বর আমতলী থানায় তনয়ের বড় বোন অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে তনয়ের স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীমকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতেই পুলিশ মীমের বড়ভাই আসামী খালিদ গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তনয়ের আত্মহত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতের আইনজীবি মোঃ আরিফ উল হাসান আরিফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তনয়ের বাবা আলহাজ্ব মোঃ নান্নু মোল্লা ও বড় বোন মামলার বাদী আইনজীবি তানিয়া আক্তার। মানবন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহন করেছেন।
মামলার বাদী আইনজীবি তানিয়া আক্তারের অভিযোগ আসামীরা মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিচ্ছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি।
-
কলেজ ছাত্র স্বপন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী গ্রেপ্তার।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কলেজ ছাত্র মোঃ স্বপন হোসেন (২০) হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মোঃ পান্না আলীকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। পান্না শাহীকোলা গ্রামের মৃত বেলাত প্রামানিকের ছেলে। পলাতক এই আসামীকে ২৮ এপ্রিল রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার সৈয়দপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত স্বপন উপজেলার শাহীকোলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি রাতে পান্না ও রাকিব পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে স্বপনকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রামের পাশের ফসলী মাঠে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
উল্লাপাড়া পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর মঙ্গলবার বিকেলে উল্লাপাড়া মডেল থানায় এক প্রেস বিফিংএ গ্রেপ্তার পান্নার স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গ্রামে জমিজমা নিয়ে পান্নার সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই হাফিজুল ও হামিদুলের গোলযোগ ছিল। এতে নিহত স্বপন প্রতিপক্ষ হাফিজুল ও হামিদুলের দলে যোগ দেওয়ায় এবং পান্নার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় স্বপনের সঙ্গে পান্নার শত্রæতার সৃষ্টি হয়। এই শত্রæতার জের ধরেই পান্না তার সহযোগী রাকিবকে নিয়ে স্বপনকে হত্যা করে। ঘটনার রাতে হ্যামার দিয়ে স্বপনের মাথায় আঘাত করা হয়। স্বপনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘাতক পান্না তার শরীরেও হ্যামার দিয়ে কয়েক দফা আঘাত করে। এর আগে এই মামলার অপর আসামী রাকিবকে পুলিশ ঘটনার পর দিন গ্রেপ্তার করে। তবে বর্তমানে সে জামিনে আছে। পুলিশ রাকিবের জামিন বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবেন বলে উল্লেখ করেন সহকারী পুলিশ সুপার।
-
গুইমারায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির গুইমারায় মাদক মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আকাশকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে টিম গুইমারা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আকাশ(১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন।
গ্রেফতারকৃত মো: আকাশ গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাতে টিম গুইমারা থানা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা মোড় হতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ০২ (দুই) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ও ছিনতাই সহ একাধিক মামলার আসামি মো: আকাশ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মোঃ আরিফুল আমিন বলেন, আসামী আকাশ কে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে শীর্ষ ৭ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার সহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।মাদকসহ গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন: সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চোঙ্গাখাতা গ্রামের কামাল উদ্দীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), একই এলাকার আব্দুল কাদের ছেলে রতন আলী (৩০), পৌর শহরের বরুনাগাঁও এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আয়নাল হক (৪৫),আউলিয়াপুর ইউনিয়নের আব্দুল খালেকের ছেলে জামাল উদ্দিন (৫০), রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের কেষরু ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম (৪৩) ও পীরগঞ্জ উপজেলার শ্রী চঞ্চল চন্দ্র বর্মন (২৬)।পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, জেলা শহর সহ বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল, ২০০ গ্রাম শুকনো গাঁজা এবং ৩০ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট উদ্ধারসহ মোট ০৭ জন গ্রেপ্তার করা হয়।এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানা- ৯টি, রাণীশংকৈল থানা- ১টি, বালিয়াডাঙ্গী থানা- ২টি, রুহিয়া থানা- ১ টি এবং হরিপুর থানা- ১ টিসহ সর্বমোট ১৪ টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি করা হয়।ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলমান থাকবে। -
মাটিরাঙ্গায় পৌর মেয়রের উপর অতর্কিত হামলা-৩ যুবক গ্রেপ্তার।
মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃশামসুল হক’কে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ’ সহ তাঁর দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে মাটিরাঙ্গা থানার পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে মেয়র মোঃ শামসুল হক পৌর ৭নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় গেলে দখলদার আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর দুই ভাই মামুন, রনি মিলে পৌর মেয়রের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এবং মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পাড়া দিয়ে শ্বাসরুদ্ব করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজাদ সহ তাঁর দুই ভাইকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ ফরাজি বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেইসাথে ঐ সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।মেয়র মোঃ শামসুল হক বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে মেয়র পৌর ৭নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে দখলদার ইসমাইল এর নির্দেশে তার ছেলে আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর দুই ভাই মামুন, রনি মিলে আমার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে আমার শরীরে আঘাত করে।মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের আটক করা হয়েছে অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এদিকে পৌর মেয়রকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। -
ঈশ্বরগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার।
ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি থেকে ওয়াসিম আকরাম খান নামের এক ছিনতাইকারীকে দেশীয় অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা।
এসময় পুলিশ ছিনতাইকারীর বাড়ি তল্লাশি করে একটি বিদেশী পিস্তল,পাঁচ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন, ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
১৩ মার্চ বুধবার দুপুরে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,কেন্দুয়া উপজেলার মরিচপুর এলাকার গণ্ডা গ্রামের তোফায়েল আহমেদের অটোরিকশা ভাড়া করে ৩ জন যাত্রী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের গাবরকালিয়ানে নিয়ে আসে।ওই যাত্রীরা ছিলো ছিনতাইকারী,অটোরিকশা থেকে নেমে চালকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।পরে অটোরিকশা চালকের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে আঠারবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ আরাফাত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে গাবরকালিয়ান গ্রামের ওমর ফারুকের বাড়ির পেছনের বাশঁঝাড় থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। এসময় ছিনতাইকারী ওয়াসিম আকরামকে পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ছিনতাইকারী ওয়াসিম আকরাম নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় খুন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য সহযোগী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।