Tag: ক্ষতি

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি বাড়ি আগুনে পুরে ছাই;৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি বাড়ি আগুনে পুরে ছাই;৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি বাড়ি আগুনে পুরে ছাই;৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিন টি বাড়ি। উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ভাটপাড়া নামক গ্রামে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ৮ মার্চ বিকালে ভাটপাড়া গ্রামের মফিজুলের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের আরও দুইটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

    এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোরবান আলী। তার নগদ দুই লক্ষ টাকা সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান স্হানিয়রা ।মফিজুল ইসলামের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় ,আলমের প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, ঘরে থাকা নগদ টাকা, চাল-ডাল, খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। আগুনে সুখের সংসার তছনছ হয়ে গেল। এখন কী করবেন, কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

    ৭ নং রাতোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু শরৎচন্দ্র রায় বলেন,অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। তিনটি ঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং আরও কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নাসিম ইকবাল জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এতে তিন টি বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, আগুনে বাড়ি ঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি কালকে সকালে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পরিদর্শনে আসবেন বলে জানান তিনি।

  • তাড়াশে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই, ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই, ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই, ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিনের ব্যস্ততা শেষে ব্যবসায়ীরা যখন বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তখন রাতের আধারে দুর্বত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই গিয়েছে ৫টি দোকান ও মালামালসহ সব আসবাবপত্র। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

    বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধাপতেতুলিয়া বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বাজারে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো টিনের বেড়ার হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

    ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চাঁন আলী জানান, গ্রামের পুর্ব শত্রুতার জের ধরেই দুর্বত্তরা প্রতিপক্ষের দোকানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ও এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একই সময়ে ওই গ্রামের একটি ১২বিঘা জলাশয়ে দুবর্ৃত্তদের দেয়া কীটনাশকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মাছ মরে ভেসেঁ উঠেছে।

    ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম লাবু জানান, আমিসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা যখন দিন শেষে যে যার বাড়িতে ঘুমে আচ্ছন্ন তখন মধ্যরাতের আগুনে সব নিঃশেষ হয়ে গেছে। আগুন লাগার পরপরই মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমার মুদিখানার দোকান, আব্বাস আলীর মুদি দোকান, ইব্রাহিম আলী, খালেক মন্ডল ও ফরহাদ আলীর চায়ের দোকানসহ অন্তত ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দোকানে মালামালসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্থ  ব্যবসায়ী আব্বাস আলী, ইব্রাহিম আলী, খালেক মন্ডল ও ফরহাদ আলী জানান, আমাদের গ্রামের পুর্ব বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তাই ধারনা করছি তারাই হয়তো রাতের আধারে আমাদের দোকানঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

    এ বিষয়ে উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্রু জানান, তিনি ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করবেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, রবি শষ্যের ক্ষতির আশঙ্কা।

    ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, রবি শষ্যের ক্ষতির আশঙ্কা।

    ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, রবিশস্যর ক্ষতির আশঙ্কা।


     ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আলুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় কৃষক পরিবার। সোমবার ২১ (ফ্রেরুয়ারী) বিকেল সাড়ে চার’টার সময় এ অঞ্চলে হঠাৎ মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।

    জেলার রুহিয়া থানার রাজাগাঁও, সেনুয়া বড়গাঁওসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে আম গাছের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

    জানা গেছে, ফাল্গুন মাসে পিয়াজ, রসুন, আলু, সরিষা, গম ও আলু উত্তোলনের মৌসুম শুরু হয় সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। এ সময় পিয়াজ, রসুন, আলু, গম, সরিষা, শীম, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টাসহ নানান রবি শস্যে ডুবে থাকে চাষাবাদের জমি। বর্তমানে এসব ফসল ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। এমন সময় সোমবার বিকেলে হঠাৎ জেলার আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। শুরু হয় মেঘের গর্জন। এরপর মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে দীর্ঘ সময়।

    তবে জেলার রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়নি। রুহিয়া থানার কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি করেছে শিলাবৃষ্টি।  ফসল ঘরে তোলার এ মৌসুমে শিলাবৃষ্টিতে আলু, গম, সরিষা, মিষ্টিকুমড়া, শিম, ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা।

    ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া, ভুল্লি, ঢোলারহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে শিলা বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানান কৃষকেরা। এ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির আকার ও স্থায়ীত্ব ছিল তুলনামূলক দীর্ঘ।

    কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের রুহিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, ক্ষেত পরিদর্শন না করে ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ করা কষ্টকর। তবে ফাল্গুন মাসে শিলাবৃষ্টিতে আলু, সরিষা, গমসহ মাঠে থাকা নানান জাতের সবজির ক্ষতির আশংকা রয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সবজি, সরিষা আর গম ক্ষেত। আলু ক্ষেতে পানি জমে গেলে তা দ্রুত নিস্কাশনের পরামর্শ দেন তিনি

  • উল্লাপাড়ায় হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে সরিষার ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা।

    উল্লাপাড়ায় হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে সরিষার ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সারাদিন হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে সরিষার ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে এক টানা সারাদিন ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষি বিভাগ ধারণা করছে। বৃষ্টিতে প্রায় ২ হাজার ৪০ হেক্টর জমির পাকা সরিষা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা আজমল হোসেন জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার এবার বাম্পায়ার ফলন হতো। মাঠে মাঠে সরিষা পাকা ও আধাপাকা অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই জমি থেকে পাকা সরিষা উঠানো শুরু করেছে কৃষক। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই জমি থেকে সরিষা তোলা শেষ হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। অসময়ে এই বৃষ্টিপাতের কারণে জমি থেকে সরিষা কৃষক সুষ্ঠু ভাবে ঘরে তুলতে পারবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

    কৃষক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, এই বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে জমিতে রবি শষ্য সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তিনি জানান। প্রায় ৪০ ভাগ জমিতে সরিষা পেকে জমিতে রয়েছে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ে ঝড় ও বৃষ্টিতে ফলসের ব্যাপক ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ে ঝড় ও বৃষ্টিতে ফলসের ব্যাপক ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে রাতে মাঝারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ফসলসহ বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রাণীকূলেও।

    শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি)জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও  ইউনিয়নে ফসলের মাঠের খবর নিয়ে জানা যায় আগাম গমের ক্ষেত ঝড়ো বাতাসের কারণে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। আলু ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমেছে। মাঠে কাজ করতে দেখা যায়নি কোন শ্রমিককে। এছাড়াও সরিষা,ভূট্টাসহ সব ফসলই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    আরও দেখা যায়, দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে দরিদ্র মানুষের টিনে  ছাউনির বসতি ঘর । সেগুলো মেরামত করছেন মানুষজন

    ধর্মগড় ইউনিয়নের কৃষক সোলেমান আলী জানান, এবারে ২ বিঘা জমিতে আগাম গমের আবাদ করেছেন তিনি। তার গম দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কিন্তু গত মধ্যরাতের মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে তার গমের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। গম মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।

    স্থানীয় আলুচাষি সুমন মিয়া বলেন, ৭ বিঘা মাটিতে আলু উৎপাদন করেছি। আজ আলু উত্তোলনের কথা ছিলো। এখন বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে।

    দিনমজুর রহিম মিয়া বলেন, আলুর কাজে এসেছিলাম। দেখি আলু ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। তাই কাজ বন্ধ। তাই ফিরে যাচ্ছি।

    স্থানীয় মানিকের ঘরও দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে, তিনি ঘর মেরামত করছেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এনজিও থেকে লোন নিয়ে টিনের ঘরটি বানিয়েছি। বাতাসে টিন উড়ে গেছে। সেগুলো আবার কুড়িয়ে এনে ঘর মেরামত করছি।

    রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রাতে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সাথে দমকা বাতাস। এতে আগাম গমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে এবং কৃষিকাজ ব্যহত হয়েছে। কৃষকরা এখন আলু ক্ষেতে পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকবে, সেই সাথে সার কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ রাখবে। এখন সবচেয়ে জরুরি জমাট পানি ক্ষেত থেকে বের করার ব্যবস্থা করা।

    উল্লেখ্য যে, আজ (শুক্রবার) পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করছে ঠাকুরগাঁও জেলায়। দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা। এমন অবস্থায় কর্মহীন হয়ে আজ ঘরবন্দী মানুষ। গবাদি পশুসহ প্রাণীকূলেও এর চরম প্রভাব পড়েছে।

  • শৃংঙ্খলা বিনষ্ট করে ক্ষতি ডেকে আনবেন নাঃ বিজিবি দিবস উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী।

    শৃংঙ্খলা বিনষ্ট করে ক্ষতি ডেকে আনবেন নাঃ বিজিবি দিবস উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী।

    অনলাইন ডেস্কঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, আপনারা দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি হবে।

    রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ‘বিজিবি দিবস-২০২১ উদযাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর পিলখানা বিডিআর সদরদপ্তরে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মনে রাখবেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড আপনাদের বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্য নৈতিক দায়িত্ব।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমার বিশ্বাস,জাতির পিতার প্রত্যাশিত আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্ত্রপ্রহরী হিসেবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।

    প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এসময় একটি সুসজ্জিত দল তাকে অভিবাদন জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিজিবি সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো, সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবি সদর দপ্তরে ‘বিজিবি সম্মেলন কেন্দ্রেথর উদ্বোধন করেন।

    সূত্রঃ তরঙ্গ নিউজ
    তারিখঃ ১৯/১২/২১

  • জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ টাওয়ার অপসারণের দাবী।

    জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ টাওয়ার অপসারণের দাবী।

    জহুরুল ইসলাম,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার রূপপুর নতুনপাড়া মহল্লায় বৃটিশ শাষণামলে নির্মিত টেলিগ্রামের পরিত্যাক্ত টাওয়ারটি এলাকাবাসীর জন্য বর্তমানে তীব্র ঝুঁকি বহন করছে।

    টেলিগ্রামের এ টাওয়ারটি নির্মানের সময় এর উপরাংশে ৮টি মোটা তারের টানা টানিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু কালের আবর্তে সময়ের পরিধিতে ৮টির মধ্যে ৪টি তার ছিঁড়ে টাওয়ারটি হেলে পড়েছে ও এর বিভিন্ন জয়েন্ট পয়েন্টের নাট-বল্টু, লোহালক্করে মরিচা ধরে ক্ষয়ে বর্তমানে টাওয়ারটি এলাকাবাসীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    প্রায় দেড়’শ বছর পূর্বে নির্মিত ৮০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এ টাওয়ারটি যে কোন সময় ভেঙ্গে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে মর্মে আশংকা প্রকাশ করে অবিলম্বে টাওয়ারটি অপসারণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

    সোমবার ( ২২ নভেম্বর ) সরেজমিন শাহজাদপুরের রূপপুর নতুন পাড়া মহল্লা পরিদর্শনকালে ওই মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হায়দার আলীসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাষনামলে বিভিন্ন স্থানে তারবার্তা প্রেরণের জন্য সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রূপপুর নতুন পাড়া মহল্লাসহ (বর্তমানে মনোরঞ্জন ও ধীরেন বাবুর বাড়ি ও তাঁত কারখানা) এতদ অঞ্চলের নানা স্থানে ৮০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এ ধরণের অসংখ্য টাওয়ার নির্মাণ করেছিলো বৃট্রিশরা যা কালের আবর্তে ভেঙ্গে পড়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বহু আগেই।

    সর্বশেষ, এ টাওয়ারের সাথে সংযুক্ত করতোয়া নদীর পূর্বপার নগরডালার অপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ টাওয়ার গত কয়েক বছর পূর্বে ঝড়ের কবলে ভেঙ্গে বাড়িঘরের ওপর পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

    বৃটিশ শাষনামলে এ অঞ্চলে নির্মিত টেলিগ্রামের টাওয়ারগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেলেও আজও রূপপুর নতুন পাড়া মহল্লার মনোরঞ্জন বাবুর তাঁত কারখানার উপরে কালের স্বাক্ষী হয়ে কোনমতে দাঁড়িয়ে রয়েছে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ এ টাওয়ারটি।

    এছাড়া, ৪টি তারের টানা ছিঁড়ে নি¤œভাগের তুলনায় টাওয়ারটির উপরিভাগও পূর্বদিকে হেলে পড়ায় যে কোন সময় একটি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অনাকাঙ্খিত বিপর্যয় ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত এ টাওয়ারটি দ্রæত অপসারণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

  • দেওয়ানগঞ্জে কৃষকের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই;লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি। 

    দেওয়ানগঞ্জে কৃষকের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই;লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি। 

    ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ শনিবার ২০ নভেম্বর দুপুরের দিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী পাঠাধোয়া পাড়া গ্রামের মোঃ ইকবাল হোসেন নামের এক কৃষকের বাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।এ ঘটনায় ওই কৃষকের লক্ষাধীক টাকার নগদ অর্থসহ কৃষি পণ্য ক্ষতি হয়েছে।
    জানা যায়, আজ ২০ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে তালাবদ্ধ ঘরে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত আগুন লাগার উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এতে নগদ অর্থ সহ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ীটি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করার ব্যবস্থা করা হবে।
  • মাটিরাঙ্গায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ ব্যবসায়ীর পাশে উপজেলা প্রশাসন।

    মাটিরাঙ্গায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ ব্যবসায়ীর পাশে উপজেলা প্রশাসন।

    ফারুক হোসেন,মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে নিজেদের শেষ সম্বল হারিয়ে হতবাকের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালো মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।
    সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত সাত ব্যবসায়ীকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান ৬ হাজার করে ৪২ হাজার  টাকার (চেক) ও ২বান করে ১৪বান ঢেউটিন প্রদান করেন ইউএনও মোঃ হেদায়েত উল্লাহ্।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা আদর্শ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল প্রমুখ।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃদাঃ) মোঃ হেদায়েত উল্লাহ্ বলেন, বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ ব্যবসায়ীদের মাঝে ছয় হাজার করে ৪২ হাজার টাকার চেক প্রদান ও  দুই বান করে ১৪ বান ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে।
    উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃদাঃ) মোঃ হেদায়েত উল্লাহ্ ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।
  • তাড়াশে আগুনে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে আগুনে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।

    শাহিনুর রহমান,তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আগুনে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।এ ঘটনা ঘটে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম সাহেব বাজারে।  ৯ অক্টোবর  রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে  আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার খবর পেয়ে  ফায়ার  সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে দেখে আগুন সাধারণ জনগন নিয়ন্ত্রনে এনেছে । এতে ওই বাজারের এনামুল হকের কাপড়ের দোকান , নাইস হোসেন  ও আব্দুল  হাকিমের মুদিখানার দোকান পুড়ে গেছে। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালম ইউপি সদস্য আবু তালেব।

    তাড়াশ ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার রেজাউল করিম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সাধারণ জনগন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। ৩টি দোকান পুড়েছে । এতে প্রায়  ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।