Tag: ক্ষতি

  • কৃষিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পারভেজের বাগানে হামলা, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।

    কৃষিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পারভেজের বাগানে হামলা, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের রোড এলাকার সফল উদ্যোক্তা মাইনুল ইসলাম পারভেজ। ৬ বছরের অধিক সময় ধরে ফল চাষের সাথে জড়িত তিনি।
    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং এলাকার বু্ড়ি ব্যারেজ সংলগ্ন দুই একর জমি লীজ নিয়ে শুরু করেন পেয়ারা, কুল ও পেঁপে চাষাবাদ। ফল চাষে সফলতার পাশাপাশি এটিএন নিউজ থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ফলচাষী হিসেবে পুরস্কৃত হোন তিনি৷
    লিজের কাগজপত্র অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাগানে চাষাবাদ করতে পারবেন উদ্যোক্তা পারভেজ৷ তবে কোন ধরনের কারণ ছাড়াই গত ৩০ জানুয়ারি বাগানের সব ফল গাছ কেটে ফেলেছেন জমির মালিক আখতারুজ্জামান। এ ঘটনায় ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকার গাছ ও ফলের ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন উদ্যোক্তা পারভেজ৷
    উদ্যোক্তা মইনুল ইসলাম পারভেজ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে আমার লিজ নেওয়া ফল বাগানে জমির মালিকের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ২৭০টি আপেল কুল, ২০০টি মাল্টা, ১০০টি কমলা ও ১,৮০০টি পেয়ারা গাছ কেটে ফেলে। এমন কাজের মাধমে আমাকে সর্বশান্ত করে ফেলা হয়েছে। আমার আর উঠে দাড়ানোর কোন শক্তি রইলো না। পূর্ববর্তী চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে নতুন চুক্তি সম্পাদন করি। আবার ফল বাগানের পরিচর্যা শুরু করি।  গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী জমির লীজ মূল্য হিসেবে ৯৪ হাজার টাকা জমির মালিককে দেই। সেই সাথে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালে ৯৪ হাজার ও ২০২৬ সালে ৯৪ হাজার টাকা দিতে হবে। কোন কারন না জানিয়ে বাগানে ফলনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বাগানের অস্তিত্ব বিলীন করে দিয়েছেন তিনি। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি জমির মালিক আখতারুজ্জামান।
  • রামপালে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে  ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা।

    রামপালে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে  ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা একনাগাড়ে শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, বাসাবাড়ি, ফসলের মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে শিলা জমে রয়েছে।  তাছাড়াও অনেকের ঘরের টিনও ছিদ্র হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।
    স্থানীয় পথচারী আতিয়ার পারভেজ এ প্রতিবেদককে জানান,  সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল। বিকাল ৪ টার  পর থেকে আকাশ কালো হতে থাকে। ৫ টার দিক শিলাবৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই পরিবেশ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। শিলাবৃষ্টির কারণে অনেকের ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  বিশেষ করে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
    এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অলিউল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
  • লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাঁই-১১ কোটি টাকার ক্ষতি।

    লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাঁই-১১ কোটি টাকার ক্ষতি।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    জকসিন পূর্ব বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১১টি দোকান এতে করে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি

    বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-আব্দুল  মান্নান মটর পার্টস, রাকিব টায়ার,সৌরভ স্টোর, গ্যাস সিলিন্ডার,
    ইলেকট্রনিক্সসহ ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, বুধবার দুপুরে বাজারে হঠাৎ আগুনের লেলিহান দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১১টি দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়।

    মান্দারী চেয়ারম্যান রুবেল পাটোয়ারী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার বেশি মাননীয় এম পি গোলাম ফারুক পিংকু ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমান অতি শীঘ্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জন্য সরকারের কাছে দরখাস্ত করবেন।

    খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ এবং লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল মন্নান আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি চৌকস ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। শর্টসাকিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার বেশি

  • মাধবপুরে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে জমির ধরন্ত মরিচ গাছ উপড়ে-লাখ টাকার ক্ষতি।

    মাধবপুরে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে জমির ধরন্ত মরিচ গাছ উপড়ে-লাখ টাকার ক্ষতি।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে একদল দুর্বৃত্ত রাতের আঁধারে ৩০ শতক জমির মরিচ ক্ষেতের ধরন্ত মরিচ গাছ উপড়ে দিয়েছে মর্মে ওই কৃষকের লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে।সোমবার ভোররাতে খড়কী গ্রামের ফুরুকের জমিতে এমন ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা জগদীশপুর ইউনিয়নের খড়কী গ্রামের ফুরুক মিয়ার ৩০ শতাংশ মরিচ ক্ষেত চারা উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
    কৃষক ফুরুক মিয়া জানান, সোমবার সকালে আমার পাশের জমির এক কৃষক মোবাইল করে জানায় আমার মরিচ ক্ষেতের গাছ গুলা কাটা অবস্থা দেখে। তারপর আমি দৌড়িয়ে গিয়ে দেখি ক্ষেতে অধিকাংশ মরিচ গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে এই মরিচ ক্ষেত উপড়ে ফেলার ফলে প্রায় লাখ টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে, তিনি আরও জানান, কয়েক মাস আগে আমার ঘর থেকে ৩ টা গরু চুরি হয় পরে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করলে আমার গ্রাম থেকে বিল্লাল মিয়া,আল আমিন মিয়া,আমিন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল কারাগারে পাঠায়। পরে আসামিরা জেল থেকে বের হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং আমি মনে করি আমার ঘর থেকে যে লোকগুলো গরু চুরির সাথে জড়িত এই লোকগুলো আমার মরিচ ক্ষেত কেটে দিতে পারে বলে অভিযোগ ফুরুক মিয়ার।জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, আমরা কৃষি অফিসে থেকে খোঁজ খবর নিয়ে কৃষকের মরিচ ক্ষেতের কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জেনে ওই কৃষককে সর্বোচ্চ সহযোগী করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন।
  • রামপালে আগুনে পুড়ে দোকান ভস্মীভূতঃ ৫০/৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।

    রামপালে আগুনে পুড়ে দোকান ভস্মীভূতঃ ৫০/৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।

    রামপাল(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দ্বারা সৃষ্ট আগুন থেকে দুইটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

    বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮.০০  টার দিকে উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সন্ন্যাসী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
    এ অগ্নিকাণ্ডে মাদারদিয়া গ্রামের ইসহাক হাওলাদারের ছেলে মো. আলম হাওলাদারের হার্ডওয়ারের দুইটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
    এ বিষয়ে আলম হাওলাদার জানান, সকালে দোকান খোলার কিছুক্ষণের মধ্যে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দ্বারা সৃষ্ট আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্নিকান্ডে আমার ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  আমার শেষ সম্বল দোকান হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আমি সরকারের সহায়তা কামনা করি।
    রামপাল ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান,  সকালে আমরা ভুক্তভোগীর ফোন কল পেয়েই রওনা দেই। সেখানে গিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দ্বারা সৃষ্ট আগুনে দোকান দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি
  • ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মাধবপুরে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা।

    ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মাধবপুরে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শতাধিক হেক্টর আমন ধানের জমি। উপজেলার ইটাখোলা বিএডিসি‍‍`র বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে আমন ধান ও আলু চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
    গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর শেষ রাত পর্যন্ত অব্যাহত ভারি বর্ষণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমন ধান ও আলু চাষে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।
    জানা গেছে ,ঘূর্ণিঝড় “মিধিলি”র কারণে মাধবপুর ইটাখোলা বিএডিসি সহ উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতির আশঙ্কা।
    বিএডিসি, ইটাখোলা-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৭.৯৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান ও আলু চাষ করা হয় তার মধ্যে  ০৭ হেক্টর জমিতে আমন বীজ ফসলের ধান গাছ ও ০২ হেক্টর আলু চাষকৃত জমি বৃষ্টিপাতে পানিতে ডুবে যায়।
    উপজেলার মোক্তার হোসেন নামে এক কৃষকের সাথে কথা বললে জানান, তার প্রায় ১৫ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষয় ক্ষতি হয়।
    দিলীপ নামের অপর কৃষকের ২০ হেক্টর জমির ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি পানিতে আমন ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা।
    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কিছু নিচু আমন ধানের জমি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাছাড়া পানি নিষ্করনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে আলু জমির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। মনে করছেন তিনি।
  • পুকুরে বিষ দিয়ে ৫০ মণ মাছ নিধন-ক্ষতি ৫ লাখ টাকা।

    পুকুরে বিষ দিয়ে ৫০ মণ মাছ নিধন-ক্ষতি ৫ লাখ টাকা।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিষ দিয়ে দুইটি পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে কে কাহারা উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কালমেঘ হাটপুকুর নামক দুটি পুকুরে বিষয় প্রয়োগ করে। এতে দুটি পুকুরের প্রায় ৫০ মণ মাছ মারা গেছে।
    সোমবার ভোরবেলা মরা মাছগুলো ভেসে উঠলে পুকুরটির ইজারাদার মোতালেব হোসেন বিয়ষটি বুঝতে পারেন। সোমবারের দুপুরের মধ্যে পুকুরের পানিতে থাকা সব মাছ মারা গেছে।
    কালমেঘ হাটপুকুরের ইজারাদার মোতালেব হোসেন জাননা, গেল ৫ বছরের বেশি সময় ধরে আমি পুকুর দুটো ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। গত বছর ছোট পুকুরটিতে কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করেছিল। গতরাতে বড় পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। ভোরবেলা মাছগুলো ভেসে উঠতে থাকলে আমি টের পায়। পরে কিছু মাছ সামান্য দামে বাজারে বিক্রি করেছি। বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে আমার।
    স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকার এমনিতেই মাছের ঘাটতি রয়েছে। যদি এভাবে বিষ প্রয়োগ করে দুবৃত্তরা মাছ নিধন করতে থাকে। তাহলে আরও মাছের সংকট পড়বে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
    বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের পাট ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি টাকা।

    গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের পাট ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি টাকা।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সোমবার গভীর রাতে উল্লাপাড়া পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লায় পাট বন্দরে আগুন লেগে ৬টি গুদাম পুড়ে গেছে। সেই সাথে এসব গুদামে রাখা প্রায় ১৫ হাজার মন পাট ও ৬০ হাজার পাটের বস্তা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকা হবে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকেরা।

    অগ্নিকান্ডের খবর শুনে সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও পাবনা ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অগ্নিকান্ড স্থানে কাজ করছেন। তবে অগ্নিকান্ডের কোন কারন এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পাট ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামের পাট গুদাম থেকে রাত ২ টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়।

    ক্ষতিগ্রস্থ গুদাম মালিক ও পাট ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন বাসুদেব সাহা, আসাদুল ইসলাম, সোহেল, রজব আলী সরকার, ডাবলু, আইয়ুব আলী, ইউনুস আলী, রিপন সাহা, সঞ্জয় সাহা, রাশেদা খানম পাতা, তারাপদ কুন্ডু ও শহিদুল ইসলাম। ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন হাট থেকে পাট কিনে দেশের বিভিন্ন পাট মিলে বিক্রি করে থাকেন। এখন এখন পর্যন্ত মিলগুলো পাট ক্রয় শুরু না করায় ব্যবসায়ীরা তাদের পাট আগুনে পুড়ে যাওয়া গুদামে মজুদ করেছিলেন। কিন্তু অগ্নিকান্ডের ফলে পাট পুড়ে গিয়ে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এই ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানান তারা।

    পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সারফুল ইসলাম ভুইয়া জানান, রাতেই তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা গেলেও এখন পর্যন্ত গুদামগুলোতে পুড়ে যাওয়া পাটগুলোর মধ্যে থেকে ধুয়া বের হচ্ছে। তবে অগ্নিকান্ডের কোন কারন এখন পর্যন্ত তারা জানতে পারেননি। সহকারী পরিচালক আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকেও অগ্নিকান্ডের কারণ তদন্ত করে দেখা হবে।

    ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহা ও আসাদুল ইসলাম জানান, তাদের নিজস্ব গুদামে নিজেদের প্রায় ৬ হাজার মন পাট ছিলো। কোন ভাবেই এসব পাট তারা বাঁচাতে পারেননি। তিনি আরো জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাট মিল বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যায় না।

    উল্লাপাড়া পাটবন্দর বনিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আরজু জানান, অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ এখন জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই অগ্নিকান্ডের ফলে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলেন।

    উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি এ সময় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের শান্তনা জানান।

    উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে এই মুহুর্তে তারা কিছুই বলতে পারবেন না। তবে এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    স্থানীয় সাংসদ তানভীর ইমাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ইতিমধ্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী এবং গুদাম মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর শফিকুল ইসলাম শফি,পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলামও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

  • তাড়াশে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আগুনে ১টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মোটর সাইকেল মেকারের। বুধবার শেষ রাতে উপজেলার বারম্নহাস ইউনিয়নের বস্তুল বাজারে আবু হানিফের দোকান ঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের পাশের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ভোরে জনগনের চিৎকার শুনে বাজারে এসে দেখি আগুন ধরে দোকান ঘর পুড়ছে। আগুনের বিষয়টি ফোনে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের জানাই। প্রথমদিকে বাজারের ব্যবসায়ী ও আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে তাড়াশ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    তাড়াশ দমকল বাহিনীর সাব অফিসার রেজাউল করিম বলেন, ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে আমার সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেছি। আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে পুড়ে ওই দোকানের প্রায় ২ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

  • আকস্মিক বন্যায় গুদামের ধান-চাল ভিজে নষ্ট-কোটি টাকার ক্ষতি। 

    আকস্মিক বন্যায় গুদামের ধান-চাল ভিজে নষ্ট-কোটি টাকার ক্ষতি। 

    আকস্মিক বন্যায় গুদামের ধান-চাল ভিজে নষ্ট-কোটি টাকার ক্ষতি। 

    আকস্মিক বন্যার কারণে গুদামে রাখা ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়ে কোটি টাকার লোকসানে মিল মালিক ও আড়তদাররা, এবারের বন্যায় সিলেটে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব জানে না জেলা প্রশাসন।

    তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারেন সেই লক্ষ্যেকে কাজ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
    সিলেটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জানার কারণ হিসেবে সিলেট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যার্ত মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয় পান এবং তাদের খাদ্য, চিকিৎসা যাতে সঠিকভাবে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। বন্যা প্লাবিত সকল উপজেলা একযোগে এ কাজ চলছে। যার কারণে সরকারি, ব্যসরকারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে এখনও কাজ শুরু করা হয়নি বলেন তারা।
    রবিবার ২২ মে ২০২২ ইং, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করিনি। তাই এর পরিমাণ সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। বন্যায় যে সিলেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
    তিনি আরও বলেন, এবারের বন্যায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে সিলেটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের। বন্যার পানিতে সিলেট নগরের সুরমা নদী তীরবর্তী ধান-চালের মিল ও আড়তে গুদামজাত করে রাখা কোটি কোটি টাকার ধান-চাল নষ্ট হয়েছে। খামারিরাও পালিত গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন ব্যাপক বিপাকে।
    সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ধান-চালের মিল মালিক ও আড়তদাররা জানান, এবারের বন্যায় বেশিরভাগ গুদামেই ছিল কোমর পানি। গুদামে রাখা ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে আড়তদাররা ধান-চালের বস্তা সরানোর সময় পাননি। ফলে কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন তারা।
    সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় মোট ৩৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবার ও ওষুধপত্র ঠিক মতো পৌঁছানো হচ্ছে কি না তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যায় প্লাবিত প্রত্যেকটি উপজেলায়ই এ নিয়ে কাজ চলছে।
    আরো বলেন, মনিটরিং সূত্রে কোন যায়গা অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা আমরা কখনোই ছাড় দিব না।