Tag: কুয়াশা

  • দিনাজপুরে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় মানুষ কাঁপছে।

    দিনাজপুরে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় মানুষ কাঁপছে।

    দিনাজপুর প্রতিনিধি

    দিনাজপুরে বইছে ঠান্ডা হিমেল বাতাস ও চারিপাশে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা রয়েছে বেশ।

    গেল কয়েকদিন থেকে দিনাজপুরে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬:০০ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬ টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩% এবং গত ২৪ ঘন্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার। চূড়ান্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯ টার পর জানানো হবে।

    সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা বইছে তীব্র হিমেল বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান। কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

    শৈত্যপ্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু সহ বৃদ্ধারা। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস  শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা  রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

  • শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। জেঁকে বসেছে শীত। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
    আজ সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সকাল ৯টার সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। কুয়াশা ভেদ করে ঝলমলে রোধ উঠায় শীত কম অনুভূত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
    এদিকে গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি ওঠানামা করছে। রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন শনিবার ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    শীতের দাপট বেড়েই চলছে এই জনপদে। এতে চা বাগানের চা শ্রমিক ও হাওর এলাকার দিন মজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বিপাকে। শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে। না হলে চুলায় আগুন জ্বলবে না তাই এমন শীতে জুবুথুবু হয়ে পেটের দায়ে পরিবারের খাবার  যোগাড় করতে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না বলে জানা যায়।
    ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ফলে শ্রীমঙ্গল শহরের সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। তাই শীতের কারণে রোজগার কম হচ্ছে ও শীতে বড় বেশি কষ্টে আছে বলে জানান ভ্যান গাড়ি চালক ও রিকশাচালক এবং এলাকার খেটে খাওয়া  দিন মজুর মানুষরা।
  • শীতের দাপটে কাবু ছিন্নমূল মানুষ,ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা সড়ক পথ বিপাকে যানবাহন চালক।

    শীতের দাপটে কাবু ছিন্নমূল মানুষ,ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা সড়ক পথ বিপাকে যানবাহন চালক।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
    গত কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। পড়েছে বৃষ্টির মত পড়ছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে মাঠ ঘাট, পথঘাট সব ঢাকা পড়েছে। বেলা বেড়েছে তবুও দেখা নেই সূর্যের।
    শুক্রবার রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
    সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার সকল এলাকা কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাফেরা করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। একদিকে কনকনে শীত অন্যদিকে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু মানুষই নয় এই শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষি ও প্রাণিজগতেও৷
    এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো, কাঠ খড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছ।
    ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা ঠাকুরগাওয়ের গ্রামাঞ্চল।
    এ বিষয়ে কথা হয় ভবান্দপুর এলাকার বাসিন্দা নাইম ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, কনকনে শীতের কারণে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
    অন্যদিকে হোটেল শ্রমিক নিতাই চন্দ্র বলেন, মানুষ শীতেই বাড়ি থেকে বের হয় না। এই শীতের কারণে আমরা তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। আমাদের আয় কমে গেছে। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না।
    নেকমরদ এলাকার জুতা ব্যবসায়ী  সেকেন্দার আলী বলেন, হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরে আবার দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। কুয়াশার কারণে কোনো দিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। শীত প্রতিবছরই আমাদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে।
    কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।
    রিকশাচালক বসির উদ্দীন বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
    এবিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) রকিবুল হাসান  বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও শীতের প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও আবেদন করেছি শীতবস্ত্রের জন্য আবারও। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি শীতার্ত মানুষ যেন শীত বস্ত্র পান এবার।
    এছাড়াও বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।
  • হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে সূর্যের দেখা নেই শীতে কাঁপছে চায়ের রাজধানী।

    হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে সূর্যের দেখা নেই শীতে কাঁপছে চায়ের রাজধানী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো প্রকৃতি। জেঁকে বসেছে শীত। সূর্যের দেখা মিলছে না। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে। পৌষের শেষার্ধে এমন অবস্থা বিরাজ করছে চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারে। ফলে সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
    শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, রাতে মৌলভীবাজারের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে থাকলেও আজ সকালে ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
    শীতের দাপট বেড়েই চলছে এই জনপদে। এতে চা বাগানের চা শ্রমিক ও হাওর এলাকার দিন মজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বিপাকে। শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে। না হলে চুলায় আগুন জ্বলবে না তাই এমন শীতে জুবুথুবু হয়ে পেটের দায়ে পরিবারের খাবার যোগাড় করতে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না বলে জানা যায়।
    তীব্র শীতের কারণে ফলে মৌলভীবাজার শহরের সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। তাই শীতের কারণে রোজগার কম হচ্ছে ও শীতে বড় বেশি কষ্টে আছে বলে জানান ভ্যান গাড়ি চালক ও রিকশাচালকরা।