Tag: উল্লাপাড়া

  • উল্লাপাড়ায় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৬ বছর পদার্পন উপলক্ষে কেককর্তন।

    উল্লাপাড়ায় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৬ বছর পদার্পন উপলক্ষে কেককর্তন।

    দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৬ বছর পদার্পন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কেককর্তন করে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম।

    বুধবার ৩০ জুন সকাল ১১ টার সময় ফুটপার্ক হোটেলে যায়যায়দিন পত্রিকার উল্লাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান লিটনের উদ্যোগে বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলাল হোসেন।

    সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার,পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক এ আর জাহাঙ্গীর, নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী,রাজু আহম্মেদ সাহান,রেজাউল করিম বাচ্চু,শিশির আলম,আল আমিন,ময়নুল হোসাইন,মাসুদ রানা প্রমূখ।

  • উল্লাপাড়ায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত।

    উল্লাপাড়ায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বুধবার (৩০ জুন) ১৪জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লাপাড়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ১ বছরে মধ্যে সর্বোচ্চ।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

    র‌্যাপিড টেস্টে পরীক্ষিত নমুনা অনুযায়ী ১৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।

    গত ১ বছরে মধ্যে আজকের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে যাদের শ্বাসকষ্ট নেই তাদেরকে স্বস্ব বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদেরকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় এক গৃহবধূর আত্মহত্যা।

    উল্লাপাড়ায় এক গৃহবধূর আত্মহত্যা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হামিদা বেগম(৪০) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।নিহত হামিদা বেগম উপজেলার সলপ ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের চাদঁ আলীর স্ত্রী।

    জানা যায় হামিদার ২০/২২ বছর পূর্বে কাশিনাথপুর গ্রামের চাঁদ আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে হামিদার বিয়ে হয়।ইতিমধ্যে সে তিন সন্তানের মা হয়েছেন। বিয়ের ক’বছর পরে স্বামীর দারিদ্রতার কারনে বাবার বাড়ি চলে আসে।এতেও তাদের অভাব অনটন শেষ হয় না। তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তির ছায়া নেমে আসে।ছেলে মেয়ে নিয়ে অভাব অনাটনের কারনে শুরু হয় কলহ ঝগড়া বিবাদ। অভাবের তারোনায় মনের কষ্ট ও দুঃখে মঙ্গলবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে।

    দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।আপতত থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।আগামীকাল বুধবার ৩০ জুন লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

  • উল্লাপাড়ায় ভাবির পরকীয়ায় দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তন।

    উল্লাপাড়ায় ভাবির পরকীয়ায় দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তন।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভাবির পরকীয়ায় দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। রতনদিয়ার এলাকায় দেবর আকরাম হোসেন (২২)এর পরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটিয়েছে বড় ভাবির মমতা বেগম(২৭)। মমতা খাতুন প্রেমিক আকরামের বড় ভাই নবিরের স্ত্রী।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রতনদিয়ার দিয়ারপাড়া গ্রামে আব্দুল কাদের বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ৭/৮ বছর পূর্বে আব্দুল কাদের তার ছেলে নবির হোসেনকে এরোংদহ গ্রামের মমতা খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করান।ইতিমধ্যে তাদের কোলে তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।

    পরিবারের অজান্তে আপন ছোট দেবর আকরামের সাথে বড় ভাবি মমতা খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে থেকে তাদের মধ্যে অনাবিল পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। হঠাৎ তাদের পারিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে রোববার(২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার সময় পরকীয়া প্রেমিক আকরামকে শারিরীক সম্পর্কের আলিঙ্গন করে বড় ভাবি মমতা খাতুন। রাতের অন্ধকারে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কৌশলে ভাবি তার পরকীয়া প্রেমিক আকরামের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে দেয়া। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন উঠে পরে এবং অবস্থা অবনতি দেখে রাতেই উল্লাপাড়া ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থার আরোও অবনতি দেখে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

    এঘটনা নিশ্চিত করে কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জানান মমতা খাতুন শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে দেবর আকরামের সাথে নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। মমতা ঘটনার ২ দিন আগে স্বামী নবিরের গোয়ালের তিনটি গরু পরিকল্পিত ভাবে বাপের বাড়িতে রেখে আসে। তিন মাস আগেও প্রতিবেশি নাঈমের সাথে পরকীয়ার পর একই কৌশলে পরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো মমতা। ঘটনার পরের দিন সোমবার সকালে মমতা উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর আব্দুল কাদেরও পুত্রবধূ মমতার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেছে । আকরাম হোসেন বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

     

  • উল্লাপাড়ায় ২৪ বছর পর পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়ায় ২৪ বছর পর পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার।

    পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী জয়নাল ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ভদ্রকোল গ্রামের মফিজ উদ্দীনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লাপাড়ার সান্যাল সলপ গ্রামের মৃত মুছা ফকিরের ছেলে জয়নাল ফকির প্রায় ২৪ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক হাবিব রহমান জানান, জয়নাল ফকির ১৯৯৭ সালে পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে তার নিজের ভাতিজা জামালকে চুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

    ২০২০ সালে সিরাজগঞ্জ জজ আদালত জয়নাল ফকিরকে তার অনুপস্থিতিতে এই হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। এরপর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল। শুক্রবার জয়নাল উক্ত ভদ্রকোল গ্রামে তার ফুফাতো ভাই মফিজ উদ্দীনের বাড়িতে এসেছিলেন। গোপন সূত্রের খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

  • বিলুপ্ত প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে উল্লাপাড়ার শহরে।

    বিলুপ্ত প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে উল্লাপাড়ার শহরে।

    সিরাজগঞ্জর উল্লাপাড়ায় বিলুপ্ত প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনসাধারনে ছুড়ে দেয়া বিভিন্ন ধরণের খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে।

    শনিবার সকালে উপজেলার পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে হনুমানটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।দীর্ঘ লেজ বিশিষ্ট এই হনুমানটির মুখ,হাত ও পা কুচকুচে কালো।

    উল্লাপাড়া পৌরশহরের স্থানীয়রা জানান শুক্রোবার সকালে বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামে এই বিপন্ন প্রজাতির হনুমানটির দেখে মেলে আজ শনিবার পৌরশহরে এসে গাছের ডালে ঘরের উপর বসে এবাড়ি সেবাড়ি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

    জনসাধারন নিজের ইচ্ছায় বিভিন্ন প্রকার খাবার হনুমানটিকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারছে।মুখপোড়া হনুমানটি তা কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাচ্ছে। হনুমানটিকে এক নজর দেখতে উৎসক জনতা ভিরা জমাচ্ছে।কেউবা সখেবসে ছুড়ে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল।তনমধ্যে বাদাম অন্যতম।

    রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, লেজ বড়, হাত-পা ও মুখ কালো এই হনুমানটিকে বাংলায় মুখপোড়া বা লালচে হনুমান বলা হয়।

    এটির ইংরেজি নাম capped langur evcapped Monkey ও বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus। এরা সাধারনত দলবদ্ধ প্রাণী।
    যে কোন কারণে দলছুট হয়ে হনুমানটি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এটিকে কোনভাবেই খাবারও দেওয়া যাবে না।লোকালয়ে পর্যাপ্ত খাবার পেলে সেই স্থান দিয়েই বেশি ঘুরঘুর করবে এবং নিজের দলের সন্ধানে যাবে না। খাবার না পেলে এক সময় ঘুরতে ঘুরতে নিজের দলে ফিরে যাবে।

  • উল্লাপাড়া পাটবন্দর-সলপ রেলওয়ে স্টেশন সড়কটি হাঁটু কাদা মাড়িয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা!

    উল্লাপাড়া পাটবন্দর-সলপ রেলওয়ে স্টেশন সড়কটি হাঁটু কাদা মাড়িয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা!

    উল্লাপাড়া পাটবন্দর-সলপ রেলওয়ে স্টেশন সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উল্লাপাড়া অফিসের কাছে আবেদন জানালেও এখন পর্যন্ত পাকা হয়নি এই রাস্তাটি।

    পাকাকরণের অভাবে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন ও উল্লাপাড়া পৌরসভার প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ দুভোর্গ পোহাচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে পুরো অংশ জুড়ে কাদায় পরিপূর্ণ থাকে এই রাস্তা।

    ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা সড়কে এক হাঁটু কাদা মারিয়ে চলতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে এই পথে চলাচল এখন দূরহ হয়ে পড়েছে। এলাকার লোকজনকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে চলতে হচ্ছে এই পথে। বিশেষ করে এই রাস্তায় চলাচল করতে বেশি কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে।

    স্থানীয় বেতবাড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফ, এনামুল হক দুলাল, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মাস্টার ও পূর্ব সাতবাড়িয়ার গ্রামের আনোয়ার হোসেন, এই পথে চলা শিক্ষার্থী বিজলী খাতুন, আব্দুল আলিম ও জেরিন জানান,

    এই কাঁচা সড়কে প্রতিদিন বেতবাড়ী, পূর্ব সাতবাড়িয়া, রামকান্তপুর, চর সাতবাড়িয়া, বেতকান্দি, বড় লক্ষীপুর, ছোট লক্ষীপুর, উল্লাপাড়া পৌরসভাসহ প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন।

    এসব গ্রামের দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এই সড়ক হয়ে প্রতিদিন উল্লাপাড়া পৌরশহরে অবস্থিত সরকারি আকবর আলী কলেজ, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, এইচ. টি. ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুল ও উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে থাকে।

    বর্ষা বৃষ্টির দিনে এক হাঁটু কাদা জমে থাকে। রাস্তার মাঝে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়।

    এ অবস্থায় এই রাস্তায় যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের দুভোর্গ তখন চরমে ওঠে। বেশির ভাগ দিনে অনেক শিক্ষার্থী রাস্তার কাদার মধ্যে পড়ে গিয়ে জামা কাপড় খাতা বই সবই ভিজিয়ে ফেলে।

     উল্লিখিত গ্রামগুলোর উৎপাদিত কৃষি পণ্য উল্লাপাড়া বাজার, বন্যাকান্দি হাট ও সলপ রেলওয়ে স্টেশন বাজারে পরিবহনের জন্য উল্লাপাড়া পাটবন্দর-সলপ স্টেশন রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়।

    তারা আরো জানান, গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে সেখানে এ্যাম্বুলেন্স নেবার মত কোন অবস্থা নেই। অনেক সময় রোগীদেরকে হাসপাতালে নিতে বিলম্ব হলে রাস্তাতেই তাদের মৃত্যু হয়। আর এসব কারণে রাস্তাটি পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে এলেও তা কোন কাজে আসছে না।

    এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পাটবন্দর-সলপ রেলওয়ে স্টেশন কাঁচা সড়কে এলাকাবাসীর চলাচলের দুভোর্গের কথা স্বীকার করেন।

    চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে তিনি রাস্তাটিকে দু’টি অংশে ভাগ করে পাকাকরণের প্রকল্প প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন। অনুমোদিত হলে কাজ শুরু করবেন।

    এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উল্লাপাড়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে তিনি উক্ত সড়কের দুরাবস্থার কথা শুনেছেন। দ্রুত তদন্ত করে রাস্তাটি পর্যায়ক্রমে পাকাকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন এই প্রকৌশলী।

  • উল্লাপাড়ায় আ’লীগের গৌরবময় ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    উল্লাপাড়ায় আ’লীগের গৌরবময় ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ন্যায় আওয়ামিলীগের গৌরবময় ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৩ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য মধ্য দিয়ে কর্মসুচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ তানভীর ইমাম।পরে এইচটি ইমাম পৌর মুক্ত মঞ্চে প্রতিষ্ঠান বার্ষিকীর কেক কর্তন করা হয়।

    উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়সাল কাদের রুমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাংসদ তানভীর ইমাম।

    অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক এস এম আমিরুল ইসলাম আরজু,ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না প্রমূখ।

  • উল্লাপাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলায় শিক্ষক স্বামী ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলায় শিক্ষক স্বামী ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর প্রতি নিযার্তনের মামলায় উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ ইকবাল হোসেন শাহ (৪০) নামের এক স্কুল শিক্ষক ও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনাকে গ্রেপ্তার করেছে।

    অভিযুক্ত ইকবাল উপজেলার পূর্ব বংকিরাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে এবং দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এদেরকে মঙ্গলবার রাতে ইকবালের উল্লাপাড়ার পৌরশহরের শ্যামলীপাড়া পুকুরপাড় বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    তার দ্বিতীয় স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা (৩০) মঙ্গলবার ইকবাল ও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনার বিরুদ্ধে নারী নিযার্তনের এই মামলাটি করেন।

    উল্লাপাড়ার বেতকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে পাপিয়া সুলতানা জানান, ইকবাল হোসেনের সঙ্গে ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে পাপিয়ার বিয়ে হয়। এর আগে একই গ্রামের সোনিয়া পারভীন মিনার (৩০) সঙ্গে ইকবালের বিয়ে হয়েছিল।

    কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রথম স্ত্রী মিনার সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় দফায় পাপিয়ার সঙ্গে বিয়ের সময় ইকবালকে যৌতুক হিসেবে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও ইকবাল পাপিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে। এতে অসম্মতি জানালে পাপিয়াকে ইকবাল প্রায়শই মারধর করতেন।

    কিন্তু কয়েকদিন আগে প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনাকে ইকবাল তার শ্যামলীপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর পাপিয়ার সংসারে চরম বিপত্তির সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার ইকবাল পাপিয়ার কাছে আবারো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

    পাপিয়া অপারগতা প্রকাশ করলে ইকবাল এবং তার প্রথম স্ত্রী মিনা দুজনে মিলে পাপিয়াকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে পাপিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে পাপিয়া মঙ্গলবার স্বামী ইকবাল ও প্রথম স্ত্রী মিনার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় যৌতুক ও নারী নিযার্তনের মামলা দায়ের করেন।

    এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ইকবাল ও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবার তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে।

  • উল্লাপাড়ার করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধিঃনৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রীরা।

    উল্লাপাড়ার করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধিঃনৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রীরা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।সাথে যোগ হয়েছে টানা কয়েকদিনের হালকা থেকে ভারী বর্ষণ।আগাম বর্ষার আশঙ্কা ভেবে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার বেশকিছু অঞ্চল।ক্রমশঃ নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পুরাতন নৌকা মেরামতসহ নতুন নৌকা বানানোর কাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করার পরও চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খাচ্ছে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের অলিপুর ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চন্দ্রগাঁতী গয়হাট্রা গ্রামের কাঠ মিস্তিরিরা।কারখানাগুলোতে দিনরাত হাতুড়িতে কাঠ পিটুনির খটখট শব্দে এখন মুখোরিত পুরো মিস্ত্রিপাড়া।

    উল্লাপাড়ার পশ্চিমাঞ্চলের মোহনপুর, উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী ও বাঙ্গালা ইউনিয়ন চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা।এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা। এজন্য ধনীগরিব প্রায় সকলের ঘাটে দেখা মেলে ছোট বড় ও মাঝারি ধরনের ডিঙ্গি ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা।

    এই অঞ্চলের স্কুল ও কলেজ চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ার কারনে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য নৌকার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘ সময় বর্ষার পানি থাকায় জনসাধারনের চলাচল ব্যবস্থা ও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেলে সম্প্রদায়ের মাছ শিকারের জন্য নৌকাই এখানকার একমাত্র মাধ্যম।কৃষক তাদের কৃষিপণ্য বিপনণের জন্য এ মৌসুমে নৌকাই ব্যবহার করে আসছে।

    সরজমিনে দেখা যায় নৌকা তৈরিতে কাঠমিস্ত্রীদের ব্যস্ততার বাস্তব চিত্র।অলিপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আকাশ কুমার,সাগর কুমার ও সম্ভু চন্দ্র গণমাধ্যমকে জানান আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে এই কাজ করে আসছে। আমরা তাদের পেশাকে জীবন জীবিকার জন্য বেছে নিয়েছি। আগের দিনে বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও কলাগাছের ভেলাই ছিলো একমাত্র যানবাহন। তখনকার সময় নৌকা তৈরির কাজে এতই ব্যস্ত থাকতাম যে খাওয়া ও ঘুমানোর সুযোগ পেতাম না। আমরা ছোট,বড় ও মাঝারি তিন ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকি।তবে ছোট ও মাঝারি ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা বেশি। দিনে চার জন মিস্ত্রি ২ হাজার টাকা মুজুরি নিয়ে একটি নৌকা তৈরি করতে পারি।মহাজনেরা একেকটি ডিঙ্গি ৫৫০০-৭৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন।

    কারখানা মালিক মনিরুল ইসলাম জানান প্রায় ২০ বছর যাবৎ বর্ষা মৌসুমে নৌকা তৈরির কাজ করে আসছি। প্রতি বছর সব ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকি। কোন ধরনের নৌকা বেশি পরিমানে তৈরি করব সেটা নির্বভর করে গ্রাহকের চাহিদার উপর।পূর্ব অভিজ্ঞতায় বলা যায় ছোট ও মাঝারি ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা বেশি। বন্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে নৌকার চাহিদা দ্বিগুন পরিমানে বেড়ে যায়। প্রতিটি নৌকা ৫৫০০-৭৫০০ টাকা করে বিক্রি করে থাকি।চাহিদার উপর দাম কমবেশি হয়ে থাকে।

    ইউকালেক্টার,কড়ই,আম,জাম,শিশু,সোনাই ও শিমুল গাছের কাঠ দ্বারা নৌকা তৈরি করি। এ মৌসুমে নৌকা বিক্রি করে কছুটা লাভবান হয়ে থাকি।এবারও আশা করছি। এ বছর ৫’শ নৌকা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ৩ লাখ টাকার কাঠ ক্রয় করে চেরাই করেছি। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন নৌকা তৈরি করে নিবে মর্মে অগ্রিম বায়না দিয়ে রেখেছে।

    কারখানা মালিক মনিরুল ইসলাম আরও জানান আমরা সরকারি সহযোগিতা ও স্বল্প লাভে ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে নিজ উপজেলার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলায়ও নৌকা বিক্রি করতে পারতাম।

    বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান(নান্নু)জানান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন অলিপুর গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ার কাঠমিস্ত্রীরা। উপজেলার নিচু এলাকার মানুষ শাস্ত্রয়ে এখান থেকে নৌকা কিনে নিয়ে যায়।তাছাড়াও গয়হাট্রা, নওগাঁ, মোহনপুর ও কয়ড়া বাজারে নৌকা পাওয়া যায়। কারখানা মালিকদের সরকার স্বল্প লাভে ঋণের ব্যবস্থা করতো তাহলে তারা বেশি পুঁজি খাটিয়ে নিজ উপজেলার নৌকার চাহিদা পূরণ কর অন্যান্য উপজেলায় নৌকা বিক্রি করে বেশি লাভবান ও শিল্পটি ব্যাপক বিস্তার লাভ করতো।