Tag: উল্লাপাড়া

  • রিতা স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে উল্লাপাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে।

    রিতা স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে উল্লাপাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে।

    স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলে এসেছে মোছাঃ রিতা খাতুন(৩০)।সে নীলফামারীর ডোমার থানার পাঙ্গা চৌপাতি গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে। তার কোলে ৫ বছরের এক মেয়ে ও ৭ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

    রিতা জানান ৭/৮ বছর আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লার রবিউল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। এ সুবাদে আমার কোলে দু’টি সন্তানের জন্ম হয়।

    সে আরো জানান ৮/৯ বছর আগে আমার স্বামী রবিউল ইসলাম কাজের সন্ধানে নীলফামারীর ডোমার শহরে আসে। কিছু দিন জামাই পিঠার ব্যবসা করে পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে মিস্ত্রির কাজ করে। এ সুবাদে ৫০,০০০/= পঞ্চাশ হাজার টাকার দেনমোহর ধার্য্য করে কাজী অফিসে নিয়ে পিতামাতা আমাকে তার সাথে বিয়ে দেয়। ঐ সময় তার ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত ঠিকানা লেখাছিলো। বিয়ের পর বাবার বাড়ি এলাকায় ভাড়া করা বাসায় স্বামীস্ত্রী বসবাস শুরু করি। ২য় সন্তান গর্ভে রেখে প্রায় বছর খানেক আগে ঢাকা শহরে কাজ করার কথা বলে, সেই যে চলে গেল,এ পর্যন্ত স্ত্রী সন্তানের খবর নেয়নি।আমি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে,এতদিন হয়ে গেল ছেলে সন্তান নিয়ে কিভাবে খাইপরি তার খবর নিচ্ছে না।স্বামীর খোঁজ না পেয়ে নিরোপায় হয়ে উল্লেখিত ঠিকানায় চলে এসেছি।

    ঝিকিড়া মহল্লার একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে রবিউল ইসলামের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছি না।যার কাছে জানতে চাই সেই বলে এ নামের কাউকে চিনি না। মেয়েটি উপজেলা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় বসে নিরব নিবৃত্তি কণ্ঠে দু’চোখের পানি ছেড়ে চাপা কান্না করছে।সে তার স্বামীর সন্ধান চায়।
    স্ত্রী রিতাঃ০১৭৯৬০৮৯৪৩৭,স্বামী রবিউলঃ ০১৭৩৪৪২৪৩৩৯ ও ০১৩১৭৮৪৭৬৩১,

  • উল্লাপাড়ায় ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ করলেন-তানভীর ইমাম এমপি।

    উল্লাপাড়ায় ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ করলেন-তানভীর ইমাম এমপি।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ করলেন উল্লাপাড়ার জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম।

    ১৬ অগাস্ট সোমবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে অসহায় দুস্থ  হত দরিদ্র ৫০ পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যের সরকারী ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয় । এ সময় প্রতিটি পরিবারকে এক বান্ডিল ঢেউটিন ও ঘর নির্মান বাবদ তিন হাজার টাকার চেক দেওয়া হয় ।

    বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ভুইয়া,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়সাল কাদির রুমি,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

  • সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার(১৬ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইন শৃংখলা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি,জঙ্গীবাদ, ধর্ষণ, ইভটিজিং এ সকল ঘটনা যে কেউ ঘটালে,তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের সরকার এ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।শুধু প্রশাসনের ভরসায় বসে থাকলে চলবে না। আইন শৃংখলা বাহিনীকে সবার সহযোগীতা করতে হবে। তবেই দেশ থেকে উৎখাত হবে সকল ধরনের অপরাধ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিবলী ইসলাম কবিতা,উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস,সলপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান,পূর্ণিমাগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমীন সরকার,উদুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল প্রমূখ।

  • উল্লাপাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাসুদের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাসুদের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দীর্ঘ ১৫ দিন মহামারী করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন, সিংহ গাঁতী গ্রামের ডাঃ নুরুল ইসলামের ছোট ছেলে প্রকৌশালী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ(৪১)।

    গত ১ আগস্ট প্রকৌশালী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও তার সহধর্মিণী নুশরাত জাহান করোনায় আক্রান্ত হয়ে এনায়েত খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু সেখানে তার সহধর্মিণীর চিকিৎসায় উন্নতি হলেও আব্দুল্লাহ আল মাসুদের অবনতি দেখা দিলে গত ৪ আগস্ট জরুরী ভাবে ঢাকার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

    দীর্ঘ ১১ দিন আইসিইউ লাইফ সাপোর্ট চিকিৎসার পর ১৫ আগস্ট ১.২০ মিনিটে করোনা যুদ্ধে হেরে গিয়ে মৃত্যু বরন করেন। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া…রাজি উইন। মৃত্যুকালে রেখে গেছেন তার পিতা-মাতা স্ত্রী সন্তানসহ আত্নীয়স্বজ।

    প্রকৌশালী আব্দুল্লাহ আল মাসুদের জানাজার নামাজ শেষে ১৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে সিংহ গাঁতী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।পরিবারের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফেরাত কামনা সকল মানুষের নিকট দোয়া চেয়েছেন।

  • জাতীয় শোক দিবসে উল্লাপাড়া মোহনপুর ইউনিয়ন আ’লীগের আলোচনা সভা।

    জাতীয় শোক দিবসে উল্লাপাড়া মোহনপুর ইউনিয়ন আ’লীগের আলোচনা সভা।

    সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার স্থপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

    ১৫ আগস্ট রবিবার বিকেল ৩ টার সময় মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।উক্ত আলোচনা সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (মক্কা’র) সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান (পান্না) ৭৫’র সেই ভয়াল রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার স্ব-পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যার আত্ম কাহিনি উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। সেদিন শিশু সন্তান শেখ রাসেল পর্যন্ত ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।শেষ সময়ে এক গ্লাস পানি পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ বড়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তথ্য সম্পাদক জেড,এম জলিল,ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার, সাংগঠনিক সসম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও আতোয়ার রহমান মুন্না প্রমূখ।

    আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার নিহত পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নুর মোহাম্মদ। দোয়া ও মিলাদ শেষে বিপুল সংখ্যক মানুষের মাঝে তাবারোক বিতরন করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় নারীসহ শীর্ষ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    উল্লাপাড়ায় নারীসহ শীর্ষ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নারীসহ শীর্ষ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বড়পাঙ্গাসী গ্রামের মৃত সাবের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুস সামাদ(৪২), দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের কাইয়ুম হোসেনের স্ত্রী নূপুর আক্তার(১৮) ও একই এলাকার মৃত আজাদ হোসেনের ছেলে সজিব আহম্মেদ(২৫)।

    র‍্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে শুক্রবার রাত ৯ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানির একটি অভিযানিক দল উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন রাধানগর গ্রামের মা বাবার দোয়া রেস্টুরেন্টের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এ সময় তাদের নিকট থেকে ১০৯ বোতল ফেন্সিডিল ও নগদ ৫ হাজার টাকা,২ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

    দীর্ঘদিন যাবত হলো পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

     

  • উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত।

    উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দীপক কুমাড় ভৌমিক(২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দীপক সলঙ্গা অনার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের ভরমোহনী গ্রামের শ্রী কেষ্ট ভৌমিকের ছেলে।

    ১১ আগস্ট বুধবার সকাল পৌনে ৭ টার সময় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের গোজা ২ নম্বর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

    হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান নিহত দীপক অতিমাত্রায় ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে রাতে ঘুম হয়নি বলে সকাল পৌনে ৭ টার সময় মহাসড়ক দিয়ে হাটাছিলো।এ সময় ঢাকাগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।এতে গুরুতর আহত অবস্থায় সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
    এ ঘটনা আমরা সকাল ১০ টার পরে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পরবর্তিতে বাড়িতে গিয়ে নিহতের লাশ মন্দিরে সৎকারের কাজ করা অবস্থায় পেয়েছি।

  • উল্লাপাড়ায় বিনোদনের অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে ফুলজোর নদীর পাড়

    উল্লাপাড়ায় বিনোদনের অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে ফুলজোর নদীর পাড়

    উল্লাপাড়া উপজেলা পদ্মা, যমুনা এবং এদের উপনদী দ্বারা বাহিত। এ উপজেলা ২৪ অক্ষাংচ ১২’ উত্তর সিরাজগঞ্জ অক্ষাংশ থেকে ২৪ অক্ষাংশ ২৬’ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৯ অক্ষাংশ ২৫’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯ অক্ষাংশ ৩৫’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। এ উপজেলার উপর দিয়ে করতোয়া, ফুলজোর, জপজাপিয়া‌ ইত্যাদি নদী প্রবাহিত হচ্ছে।

    এই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র উল্লাপাড়া মডেল থানার পেছনে অবস্থিত ফুলজোর নদী। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিনোদনের অন্যতম স্থান। বর্ষায় বেড়েছে নদীর পানি। এখন এই নদীর পাড়ে গেলে চোখে পড়বে বন্ধু বা পরিবার–পরিজন নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে এসেছেন অনেকে। নতুন রূপের এই নদী হয়ে উঠেছে নগরবাসীর বিনোদনের অন্যতম স্থান। উল্লাপাড়া শহরে নির্মল পরিবেশে প্রশান্তির নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা তেমনটা নেই। ঘন বসতির এই শহরে মুক্ত জায়গায় নিশ্বাস নেওয়ার মতো কোনো স্থান নেই বলে এখানে আসেন অনেক মানুষ। কর্মব্যস্ততা ভুলে নিজেদের মতো করে একটু সময় কাটানোর জন্য। নৌকাভ্রমণে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন অনেকে। কেউ আসছে পরিবার–স্বজন নিয়ে। কেউবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে। নদীর মনোরম পরিবেশে অবসর সময় কাটানোর স্থান হয়ে উঠেছে এই ফুলজোর নদীর পাড়। গতকাল বিকেলে আকাশ ছিল মেঘলা, সঙ্গে মৃদু বাতাস। বৃষ্টিতে পানি বেড়েছে । নতুন পানিতে ফুলজোর নদী টইটম্বুর। দর্শনার্থীরা সেই পানিতে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে দল বেঁধে গোসল করছে নদীতে নেমেছে। অনেকে দল বেঁধে পাড়ে বসে গল্প করছেন, অনেকে হাঁটছেন। নদীর এই রূপ দেখে খুশি স্থানীয়রা ও নদীপাড়ে ঘুরতে আসা মানুষেরা। সকালের সময় নদী পাড়ে মানুষ কিছুটা কম থাকলেও বিকেল গড়াতে বাড়ে মানুষের ভিড়।

    নদীর এই রূপ দেখতে দর্শনার্থীদের দেখে হাসি ফুটেছে মাঝিদের। কারণ দর্শনার্থীদের অধিকাংশই নৌকায় নদী ভ্রমণ করতে আগ্রহী। নৌকায় ওঠার জন্য মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। থানা মোড়ের পিছন থেকেই  নৌকাঘাট থেকে দর্শনার্থীরা ঘণ্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরে বেড়ান নদীর বুকে। ঘণ্টার ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে বিকেলে ভাড়া কিছুটা বেশি দাবি করেন মাঝিরা।
    নদীর এই রূপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই এই স্থানটিকে জিরো পয়েন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। খানিকটা প্রশান্তির পরশ পেতে এ স্থানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঘুরতে আসেন সময়ে-অসময়ে।

    শুধু প্রেমিক যুগলরাই এখানে আসেন না, এখানে মধ্য বয়সী, শিশু, বৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষ প্রশান্তির পরশ বুলাতে ভিড় করেন। দোকানিরাও বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশনে দোকান সাজিয়ে বসেন। দোকানিদের বেচা বিক্রিও বেশ ভালো হয় মানুষের পদচারণায়। ভালোলাগার কারণে সন্ধ্যা হয়ে আসলেও এখানে সময় কাটাতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। পরিবার নিয়ে একদিনের স্বাস্থ্যকর সফরে বিভোর হওয়ার নাম এই ফুলজোর নদীর জিরো পয়েন্ট। কৃত্রিম ও অকৃত্রিম দৃশ্যে অভিনব। নদী নদী করে নেচে ওঠা মন নদী তীরে পায়চারি করে পুলকিত হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত ঘোরার পরিবেশ নেই বলে পর্যটকরা সন্ধ্যা রাতেই ঘরে ফেরেন। খুব শিগগিরই এই জিরো পয়েন্ট কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা ভ্রমণ পিপাসুদের।

  • উল্লাপাড়ায় বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৪ দোকান মালিকের জরিমানা

    উল্লাপাড়ায় বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৪ দোকান মালিকের জরিমানা

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিধিনিষেধ অমান্য করে কেনাবেচার অপরাধে ৪ দোকান মালিককে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান।

    উল্লাপাড়া পৌরশহরের মার্কেটগুলোতে রোববার ৮ আগস্ট সকালে অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে দোকানের অর্ধেক ধাপার খুলে ক্রেতাদের ভিতরে নিয়ে কেনাবেচা করার সময় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক ৪ দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করে ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

    এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)ইসরাত জাহান জানান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন,সবাই মাস্ক পড়ুন,নিজে সচেতন হোন,অন্যকে সচেতন করুন,টিকা নিন। এ সময় উল্লাপাড়া মডেল থানার পুলিশের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ২০ বছর এমপিও বঞ্চিত ১৮ শিক্ষককর্মচারী; মানবেতর জীবনযাপন

    ২০ বছর এমপিও বঞ্চিত ১৮ শিক্ষককর্মচারী; মানবেতর জীবনযাপন

    টানা ২০ বছর ধরে বিনাবেতনে চাকুরীর পরও এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে চলেছে  ১৮ জন শিক্ষককর্মচারী। তাদের ভবিষ্যৎ এখন বিপন্নের পথে। সংসার জীবনেও নেমে এসেছে অভাবের বাস্তবতা। করুন এ চিত্রটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মোহনপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত সাতবিলা দাখিল মাদ্রাসার।

    উপজেলার সাতবিলা, ভাটবেড়া, মাহমুদপুরসহ প্রতিবেশি আরও কতিপয় গ্রামের কিছু শিক্ষিত যুবক সমন্বিতভাবে সরকারি সকল নিয়মনীতি মেনে ১৯৯৮ সালে এ মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন। সরকারের নিয়ম অনুসারে ২০০১ সালে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠানটিকে পাঠদানের অনুমোদন দেন।এর আগে সরকারের জনবল কাঠামোনুযায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষককর্চারী নিয়োগ দেওয়া হয়। যথানিয়মে ২০০৫ সালে একাডেমিক স্বীকৃতিও লাভ করে।

    কাঙ্খিত শিক্ষার্থী ও ফলাফল তথা সরকারি বিজ্ঞপ্তির সকল নিয়ম অনুসরন করে একাধিকবার এমপিও এর জন্য আবেদন করেও এমপিও ভুক্ত হতে পারেননি ওই প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শিক্ষককর্মচারীরা।এতে তাদের মনে এখন হতাশার দীর্ঘশ্বাস বইছে।

    এভাবে ২০ বছর ধরে বিনাবেতনে চাকুরী করে দুর্বিসহ মানবেতর জীবনযাপন করে সরকারের নিয়মনীতি মেনে প্রতিষ্ঠানের সকল কাজ সম্পন্ন করে জীবনের শেষ বেলাতে হলেও এমপিও ভুক্ত হওয়ার আশায় তারা আজ চাতক পাখি। বুক বেঁধে বসে আছে সরকার প্রধানের মুখপানে চেয়ে।

    এ বিষয়ে সাতবিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান ২০১৯ সালের আগে সরকারি নিয়মনীতির সকল কার্য্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করে একাধিকবার এমপিও ভূক্তর জন্য আবেদন করেও বঞ্চিত হয়ে আছি।এতগুলো পরিবার সদস্যের ভবিষৎ জীবন নিয়েও অনিশ্চিত হয়ে পরেছি।আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

    উল্লেখ্য ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরিক্ষায় ২০ শিক্ষার্থী পাস করেছে এবং ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরিক্ষায় ২১ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহন করবে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান।

    উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম শামচুল হক জানান সর্বশেষ ২০১৯ সালে উপজেলার ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হয়েছে। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটিও হয়তো এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারে।কিন্তু সরকারি নীতিমালার মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠান পরে নাই বিধয় এমপিও ভুক্ত হয়নি।