Tag: উপহার

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঈদ উপহার পেয়ে পঙ্গু খালেকের চোখে আনন্দে অশ্রু।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঈদ উপহার পেয়ে পঙ্গু খালেকের চোখে আনন্দে অশ্রু।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঈদ উপহার পেয়ে পঙ্গু খালেকের চোখে আনন্দে অশ্রু।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার পেয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে পঙ্গু খালেক মিয়ার চোখে আনন্দে অশ্রু। মাধবপুরে খালেক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন। নেই ভিটে মাটি, মাথা গোঁজার ঠাঁই।

    অন্যের বাড়িতে পরিবার নিয়ে তার সংগ্রামী জীবন যাপন চরম কষ্টের। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ -২ প্রকল্প তার সুখের হাতছানি দিয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, বিদ্যুৎ সংযোগসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা পেয়ে খালেক মিয়ার আনন্দে অশ্রু ঝরছিল।
    এখন তার আর পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হবে না। আগে যার নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর চিন্তায় অস্থির থাকতো, আজ সে সুন্দর পরিপাটি ঘরে বাস করার সুযোগ পেয়েছে। এ আনন্দে তার দুচোখ গড়িয়ে পানি পড়ছিল।
    গত ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের হাত থেকে ঘরের ও জায়গার দলিল ও কাগজপত্র হাতে পেয়েই দুহাত তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করলেন।
    গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্তও যার কোন জমি ছিল না। জমিহীন, গৃহহীন খালেক মিয়ার কপালে চিন্তার ভাজ পড়তো, তার দুটি শিশু সন্তানের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। মানুষের সাহায্য সহযোগীতায় খালেক মিয়ার পরিবার পরিজন নিয়ে চলত টানাপোড়নের জীবন।
    জমি ক্রয় ও ঘর বানানো তার জন্য ছিল দুঃস্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের দলিল পেয়ে তার সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ পেল। ঘরের দলিল হাতে পাওয়ার পর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের পুরাইকলা গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে খালেক মিয়া সাংবাদিকদের জানান,এখন তার কোন দুঃখ নেই। সারাদিন ঘুরে যা পাই তা নিয়ে অন্তত রাতের বেলায় একটু নিশ্চিন্তে বউ পোলাপান নিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে ঘুমাতে পারব।
  • ডিমলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর।

    ডিমলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর।

    ডিমলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সমূহের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে জমির দলিলসহ একক গৃহের মালিকানা হস্তান্তরের কার্যক্রম সারা দেশে উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৯.৩০ টায় ডিমলা উপজেলা পরিষদ হলরুম থেকে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি সুভ সুচনা হয় এবং ডিমলা উপজেলায় ৩২৩ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতক জমির দলিলসহ একক মালিকানার গৃহ হস্তান্তরের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ ইয়াসির আরেফিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনুল আবেদীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আহম্মেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সায়েম সরকার, ৯নং টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ময়নুল হকসহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী আধা-সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, উপকারভোগী এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের এই ঈদ উপহার উপকারভোগীদের মাঝে এক টুকরো মাথা গোঁজার ঠাঁই এবং ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। উপকারভোগীদের মাঝে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই তবু তাদের চোখে আছে শুধু চিকচিক করা আনন্দঅশ্রু ।
  • ব্র্যাক এনজিও পক্ষ থেকে ১ লাখ মাস্ক উপহার পেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 

    ব্র্যাক এনজিও পক্ষ থেকে ১ লাখ মাস্ক উপহার পেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 

    ব্র্যাক এনজিও পক্ষ থেকে ১ লাখ মাস্ক উপহার পেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 

    রাজশাহীর বাঘায় ব্র্যাক এনজিও‘র পক্ষ থেকে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপিকে ১ লাখ মাস্ক উপহার দেওয়া হয়েছে। উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে এই মাস্ক গ্রহণ করেন উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, সিনিয়র সদস্য মাসুদ রানা তিল, ব্র্যাকের রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক মহসিন আলী, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচীর চারঘাট এরিয়া ম্যানেজার রেহেনা পারভীন , ব্র্যাক বাঘা শাখার ম্যানেজার সুরঞ্জিত পাল, নাজমুল ইসলাম ব্র্যাক প্রগতি কর্মসূচীর সংগঠক রিক্তা খাতুন প্রমুখ।
  • বাঘায় আশ্রয়হীন বিধবা ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়ে ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

    বাঘায় আশ্রয়হীন বিধবা ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়ে ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

    বাঘায় আশ্রয়হীন বিধবা ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়ে ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

     রাজশাহীর বাঘায় আশ্রয়হীন এক বয়স্ক বিধবা ভিক্ষুক রাবিয়া বেগম (৬০) দায়িত্ব নিয়ে একটি ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে  তাঁর নাতীর বাড়ির পাশে একটি নতুন ঘর তৈরী করে  রাবিয়া বেগমকে উপহার সেই ঘরের চাবি তুলে নেওয়া হয় । বিধাব রাবিয়া বেগম উপজেলার আমোদপুর গ্রামের প্রয়াত আলীমুদ্দিনের স্ত্রী ।
    জানা যায়, আশ্রয়হীন বয়স্ক বিধবা ভিক্ষুক রাবিয়া বেগমের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানার পরে তিনি রাবিয়া বেগমের সাথে দেখা করেন। তিনি দেখা করে জানতে পারেন আর্থিক অসচ্ছলতায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি। তাঁর মাথা গুজার কোন ঠাঁই নেই। তাঁর একমাত্র নাতী লালন উদ্দিনের বারান্দায় ঘুমান। তাঁর আয়ের উৎস বলতে ভিক্ষাবৃত্তি ও বয়স্ক ভাতার সামান্য টাকা।
    পরে কৃষি কর্মকর্তা তাঁর নাতী লালন উদ্দিনের সাথে কথা বলে তাঁর বাড়ির পাশে  সামান্য একটু জায়গা নিয়ে একটি ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন । একই সাথে তাঁর নাতীকে প্রতিমাসে তাঁর নানীর খাবারসহ  প্রয়োজনীয় খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাফিজ শরিফ ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা  মিলন কুমার দাস।
    এদিকে কৃষি কর্মকর্তা এমন মহানুভবতায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সমস্যা নিরসনের আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন রাবিয়া বেগম । তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন এবং আগামীতে আর ভিক্ষাবৃত্তি করবে না জানান তিনি।
    বাজবাঘা ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আমাদের সমাজে অনেক বৃত্তশালী মানুষ রয়েছেন। যদি শফিউল্লাহ সুলতান সাহেবের মত  গরীব দুখীদের প্রতি এমনটি সাহায্যের হাত বাড়াতেন, তাহলে এই সামাজে অসচ্ছল মানুষগুলোর দুর্দশা লাঘব হতো।
    উপজেলা কৃষি কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, মানবসেবা হলো সবচেয়ে বড় সেবা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে আশ্রয়হীন কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পূর্নবাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। আমি তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে একজন ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র ।
  • লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    লক্ষ্মীপুর জেলাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৫পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে শীতার্তের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। পরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় করোনা রোধে সকলকে মাস্ক পরিধানসহ সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হায়দার ভূঁইয়া মাসুম কম্বলগুলো শীতার্তদের গায়ে জড়িয়ে দেন। করোনামুক্ত হয়েই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার কম্বল নিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেন।

    লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না,জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভুলু,পৌর কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন ও আবুল কালাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষগুলো শীতের তীব্রতায় ভুগছেন। তাদের শীত নিবারণে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী অসহায় মানুষের ভরসা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে হাটছে।

  • শীতের কম্বল চাইতে গিয়ে পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।

    শীতের কম্বল চাইতে গিয়ে পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।

    ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্য শ্যামলী রানীর হাতে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি তুলে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান।

    আম্বিয়া খাতুনের বয়স ৬০ বছর পেরিয়েছে। মানুষের সহায়তায় চলে তাঁর জীবন। সরকারি জায়গায় একটি ছাপরা আছে তাঁর, সেটাও জরাজীর্ণ। বৃষ্টি এলেই চাল চুইয়ে ঘরের মেঝে ভিজে যায়। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। শীতের কারণে গত বুধবার তিনি একটি কম্বলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে এসেছিলেন।
    জেলা প্রশাসক তাঁর কষ্টের কথা শুনে মুজিব জন্মশতবর্ষের একটি ঘর উপহার দিলেন। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের।

    আজ শুক্রবার (২৪ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার কান্দর পাড়ায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে আম্বিয়া খাতুনকে ওই ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান।

    জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অভাব, অভিযোগ, আবেদন, নিবেদন শোনেন। গত বুধবার গণশুনানিতে শতাধিক মানুষ তাঁদের কথা জেলা প্রশাসককে শোনান। সে সময় কেউ কেউ চাকরি, কেউ চিকিৎসার খরচ, কম্বল ও আর্থিক সহায়তার আবেদন করেন। অনেকে পরের জমিতে বসবাস করার কষ্টের কথা জানান।

    এ সময় আম্বিয়া খাতুনও তাঁর কষ্টের কথা বলেন। জেলা প্রশাসক অসহায়দের ঘর ও জমি দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে তিনি সদর উপজেলা ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে সেই সব অসহায় মানুষকে মুজিব শতবর্ষের ঘরে থাকতে প্রস্তাব দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ২৫ জন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি তুলে জেলা প্রশাসক।

    তাঁদের মধ্যে অসহায় ও ভূমিহীন আম্বিয়া খাতুনও আছেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান প্রমুখ।

    ঘর পেয়ে আম্বিয়া খাতুন বলেন, ‘পরের জায়গায়ত কষ্ট করি আছু। বৃষ্টির দিনত কষ্ট আরও বাড়ি যায়। এলা কঠিন শীত করচে। তাই ডিসি স্যারের কাছে একখান কম্বলের তানে গেছিনু। স্যার মোর কথা শুনিয়া এখান ঘর দিবা চাহিল। মুই সেলা (তখন) বিশ্বাস করিবা পারুনি। এইঠে আসিয়া দেখিনু মোরতানে একখান ঘর রেডি করে রাখিছে। মুই আর কী কহিম। গেছিনু কম্বল চাহিবা, পানু একখান পাকা ঘর।’

    আম্বিয়ার মতো ঘর পেয়েছেন শ্যামলী রানী (৫৫)। তিনি বলেন, ‘আমি মরার আগে বিল্ডিং ঘরে শুইয়া যাইতে পারমু, জীবনেও ভাবি নাই। যারা আমাকে ঘর দিল, ভগবান যেন তাদের ভালো করে।’

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,কেউ গৃহহীন থাকবেন না,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা সেটা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। গণশুনানিতে আসা অনেকের মুখে যখন শুনলাম,তাঁদের থাকার মতো নিজস্ব ঘর নেই। তখন প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার কথা মনে পড়ে গেল। এসব অসহায় মানুষগুলো মুজিব শতবর্ষের ঘর পাওয়ার সুযোগ থাকায়, আজ নিজেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তাঁদের বুঝিয়ে দিলাম।’

  • বড়লেখায় নিসচা’র চেয়ারম্যানের জন্মদিনের উপহার টিউবওয়েল হস্তান্তর।

    বড়লেখায় নিসচা’র চেয়ারম্যানের জন্মদিনের উপহার টিউবওয়েল হস্তান্তর।

    সড়ক আন্দোলনের বিশ্বের রোলমডেল জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সমাজসেবায় একুশে পদক প্রাপ্ত গণমানুষের মাহনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ৬৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপহার স্বরূপ টিউবওয়েল হস্তান্তর করা হয়েছে।

    আজ শুক্রবার(২৪ ডিসেম্বর)বিকাল ৩ টার সময় একটি স্বল্প আয়ের পরিবারকে জন্মদিনের উপহার স্বরূপ টিউবওয়েল হস্তান্তর করা হয়।

    নিসচা বড়লেখা উপজেলা সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিসচা উপদেষ্টা মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বড়লেখার সভাপতি প্রভাষক বদরুল ইসলাম মনু, বড়লেখা পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির আহমদ, বড়লেখা সদর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ফয়েজ আহমদ, নিসচা পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ হানিফ পারভেজ, নিসচা সহ সভাপতি মার্জানুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নোমান,অর্থ সম্পাদক মাওলানা মাছুম আহমদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার খালেদ আহমদ,আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী সহকারী গোলাম কিবরিয়া,প্রচার সম্পাদক নূরে আলম মোহন,প্রকাশনা সম্পাদক মারুফ হোসাইন সুমন,দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস,সাংস্কৃতিক সম্পাদক অপুজিত দাস,কার্যকরী নির্বাহী সদস্য এনাম উদ্দিন,হাফিজুর রহমান জিল্লুর,শুভাকাঙ্ক্ষী মজুর রহমান,সুমন আহমদ সহ প্রমুখ।

    উল্লেখ্য,প্রতি বছর নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখা দোয়া মাহফিল,দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ,শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সহ অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে সড়ক আন্দোলনের বিশ্বের রোলমডেল নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত গণমানুষের মাহনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্মদিন উদযাপন করে।

  • মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনা,উপহার সামগ্রী বিতরণ।

    মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনা,উপহার সামগ্রী বিতরণ।

    মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনা, উপহার সামগ্রী বিতরণ

    নাহিদ মিয়া মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার প্রশাসনের কৃর্তৃক আয়োজিত মহান বিজয় দিবস ২০২১ এর উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ১ ঘটিকার সময় উপজেলা পাইলট উচ্চ বিদ‍্যালয়ে মাঠে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক ইসলাম।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সহকারি কমিশন (ভূমি) মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছিদ্দিক রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনাম খাঁ সহ প্রমূখ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ৪৫০ জনের হাতে উপহার শাড়ী লুঙ্গি ও খাবার সামগ্রী তুলে দেন।

  • রামপালের সকল মন্দিরে এম.পি তন্ময়’র শুভেচ্ছা উপহার প্রদান।

    রামপালের সকল মন্দিরে এম.পি তন্ময়’র শুভেচ্ছা উপহার প্রদান।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গোৎসবে বাগেরহাট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, তারুন্যের অহংকার শেখ সারহান নাসের তন্ময় বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেছেন। ১৩ই অক্টোবর বুধবার (এম.পি) তন্ময়’র পক্ষ থেকে রামপাল উপজেলার ৩৯টি পূজা মন্ডপে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার এ শুভেচ্ছা উপহার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

    জানা যায়,শারদীয় দূর্গোৎসবে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাগেরহাট -২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ব্যাক্তিগত ভাবে এ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী আহ্বায়ক এবং বাঁশতলী ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (ভিপি সোহেল) এম.পি তন্ময়’র পক্ষে প্রতিটি পূজা মন্ডপে এ শুভেচ্ছা উপহার পৌঁছে দেন।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী, বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শেখ নাজিম উদ্দিন, উজলকুড় ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য বাগেরহাট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় করোনার দূর্যোগকালীন রামপালে ১ হাজার ৫’শ মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান, অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান ও স্বেচ্ছাসেবী টিমের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন সেবা প্রদান সহ নানামুখী জন কল্যান কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েছেন।

  • ফুলবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পরিদর্শনে জেলা পরিদর্শন কমিটি।

    ফুলবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পরিদর্শনে জেলা পরিদর্শন কমিটি।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের ঘর পরিদর্শন ও উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেছেন জেলা মনিটরিং কমিটি। ৩১ জুলাই শনিবার দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা।

    পরিদর্শনে নেতৃত্ব দেন জেলা মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সদস্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মুরাদ হোসেন,সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: শরিফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আতাউর রহমান মিল্টন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজ, জেলা পরিষদ সদস্য মো: কামরুজ্জামান,উপজেলা প্রকৌশলী রায়হানুর রহমান,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম, খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: এনামুল হকসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ।
    দিকে উপজেলার খয়েরবাড়ী বালুপাড়া ও দৌলতপুর তেলিপাড়া গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া ঘরের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নেন মনিটরিং কমিটির সদস্যরা। পরে তারা দৌলতপুর ইউনিয়নের পানি নিস্কাশন ক্যানেল পরিদর্শন করেন।
    পরিদর্শনকালে কমিটির সদস্যরা উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন। এসময় উপকারভোগীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে শিঘ্রই সমস্যা গুলো সমাধানের আশ্বাস দেন তারা।

    এসময় জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুমিহীনদের জন্য এই ঘর নির্মান করেছেন। এই ঘর নির্মানে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এছাড়াও প্রকৃত ভুমিহীনরা যেন এই ঘর বরাদ্দ পান সে ব্যাপারে জেলা মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। উপকারভোগীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। যাদের অভিজ্ঞতার উপর বিবেচনা করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো আমরা।

    এছাড়াও আগামীতে আমাদের মনিটরিংয়ের কার্যক্রম চলমান থাকতে। উল্যেখ: ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দুস্থ্য অসহায় গৃহহীনদের মাঝে মোট এক হাজার ১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।