Tag: উপজেলা

  • লক্ষ্মীপুরে ৭ কমিটি অনুমোদনের ২ ঘন্টা পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা। 

    লক্ষ্মীপুরে ৭ কমিটি অনুমোদনের ২ ঘন্টা পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা। 

    লক্ষ্মীপুরে ৭ কমিটি অনুমোদনের ২ ঘন্টা পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক ও ৫ জন যুগ্ম আহবায়ক ৭টি শাখার নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। কিন্তু দুই ঘন্টা পরই বিলুপ্ত করা হয় সদর কমিটি। আবার নতুন কমিটিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় জেলা ছাত্রলীগ।

     

    এই দিকে ২০১৬ইং সালের ২১ জানুয়ারি ইবনে জিসাদ আল নাহিয়ানকে আহবায়ক ও ৪ জনকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ১ বছরের জন্য সদর উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয় সাবেক জেলা কমিটি। এরমধ্যে জেলা কমিটি বিলুপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল নতুন কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। বর্তমান জেলা কমিটিও এখন মেয়াদোত্তীর্ণ।

     

    এই ছাড়া জিসাদ বিবাহিত হওয়া শর্তেও প্রায় ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সন্তানও রয়েছে। তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বন্ধু হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি। এখন কি কারণে হঠাৎ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে ? এটি নিয়ে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
    বিলুপ্ত কমিটির নেতারা জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সদর উপজেলার ৫নং পার্বতীনগর, ১৬নং শাকচর, ২১নং টুমচর, ১৭নং ভবানীগঞ্জ, ১নং দক্ষিণ হামছাদী, ৪মং চররুহিতা ইউনিয়ন ও ৩নং দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটির দেওয়া হয়। জিসাদ ছাড়াও কমিটিতে স্বাক্ষর করেন যুগ্ম-আহবায়ক সোহাগ পাটওয়ারী, এবিএম গোফরান হোসেন বাবু, রুবেল হোসেন রাজু, রবিউল ইসলাম রবিন ভূঁইয়া ও তারেক হোসেন।

     

    জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সদর উপজেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এজন্য তাদের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন পূর্ণাঙ্গ (আংশিক) কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটির নেতারা হলেন সভাপতি তারেক হোসেন, সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন রাজু, আমিনুল ইসলাম রুবেল, আবদুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব পাটওয়ারী, ইয়াসিন আরাফাত শিশির, ইয়াছিন আরাফাত সৌরভ, তানজিদুল ইসলাম রকি। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান আগামি ১এক বছরের জন্য এই কমিটির অনুমোদন দেয়।

     

    বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক ইবনে জিসাদ আল নাহিয়ান বলেন, সদর কমিটি বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে করা হয়েছে। একইভাবে আমাদের অধীনে থাকা ৭সাত টি নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে অন্য কোন কারণ নেই।

     

    লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ বলেন, সদর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এজন্য বিলুপ্ত করা হয়েছে। সংগঠনকে গতিশীল করতে নতুন নেতৃত্ব দিয়ে ১এক বছরের জন্য কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সদরের ৭সাত টি শাখা কমিটি দেওয়া নিয়ে কোন সমস্যা নেই।

  • কাজিপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও পথসভা।

    কাজিপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও পথসভা।

    সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ  মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২০ই জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় উপজেলার তেকানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথ উদ্যেগে এ প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

    তেকানি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি পানাগাড়ি বাজার হয়ে আনোয়ার চেয়ারম্যানের বাজার পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয় । মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল কবির শিহাবের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী মাস্টার,সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম সিবন চাকলাদার,সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বিএসসি,শাহীন আকতার,স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মশিউর রহমান নয়ন, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান,উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামিদুল ইসলাম শাকিল,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াদ হক, ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান স্বপন সহ প্রমুখ।

    তেকানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম সিবন চাকলাদার বলেন,”গত ১৫ই জানুয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সারোয়ারের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজীকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে,তাঁরই প্রতিবাদে আজকের প্রতিবাদ সভা ও মিছিল”।

    তিনি আরও বলেন,কুচক্রী মহল অপপ্রচার বন্ধ না করলে কঠোর অবস্হানে যাবেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

  • রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা লোভী চিকিৎসক মোবারকের কাণ্ড।

    রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা লোভী চিকিৎসক মোবারকের কাণ্ড।

    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে বহিরাগত ডাক্তার এনে সিজার করাসহ নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

    রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে একজন প্রসূতির সঙ্গে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

    সেখানে গিয়ে দেখা যায়, রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোবারক হোসেন কারো অনুমতি না নিয়েই নিজের স্ত্রী (বহিরাগত ডাক্তার) ও বহিরাগত কামাল (সহযোগী) নামে দুই-তিনজনকে নিয়ে গর্ভবতী রোগীদের সিজার কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সেই ডাক্তারের নিকট জানতে চাইলে সে সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী বলে হুমকি প্রদানসহ ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওটির সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়।

    বিষয়টি নিয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বাহারুল আলম বলেন, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দেব। সংবাদ প্রচারের প্রয়োজন নেই।

  • নাগরপুর উপজেলা আ’লীগ থেকে আ’লীগ নেতা বহিষ্কার ও অব্যাহতি।

    নাগরপুর উপজেলা আ’লীগ থেকে আ’লীগ নেতা বহিষ্কার ও অব্যাহতি।

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাসহ কয়েক জনকে বহিস্কার করা হয়েছে।তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে এ বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

    সূত্রে জানা যায়, বহিস্কৃত আওয়মীলীগের সহ সভাপতি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা সহ ভিন্নমতের প্রার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। বর্তমান অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম,বহিষ্কার কৃত হলেন দপ্তিয়র ইউনিয়নের সহ সম্পাদক মোঃ শামীম আনসারী।

    এ কারনে দলীয় শৃখলা ভঙ্গ করায়, কেন্দ্রের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত ও গঠণতন্ত্রের ৪৭ (ঠ) ধারা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডে বহিস্কার সহ অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও সাধারন সম্পাদক মো, কুদরত আলী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে তাদেরকে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার ও অব্যাহতি প্রদান করেন।

    সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ও সাধারন সম্পাদক মো, কুদরত আলী জানান, আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে হতে যে সকল নেতৃবৃন্দের নাম তালিকা পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায়, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতবেক উপজেলা আওয়মীলীগ সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    এ বহিষ্কারাদেশ চলমান রয়েছে, অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যাচাই পূর্বক, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে দল হতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। দলের স্বার্থে দলের ব্যানারে কোন অপশক্তি বা বিরোধীদের দলে ঠাঁই নেই।

    উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ হতে মোট ৫৩ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • শিবগঞ্জের উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সন্মেলন।

    শিবগঞ্জের উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সন্মেলন।

    গোলাম রব্বানী শিপন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২২ ডিসেম্বর বুধবার বগুড়ার শিবগঞ্জের উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    টানা ১১ বছর পর এই সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।মুলত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার ২২ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টার সময় উপজেলার উথলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিবগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    সম্মেলনে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৭১ জন করে ৮৫২জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকবেন। তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য নেতা নির্বাচিত করবেন। পাশাপাশি শিবগঞ্জ পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ডের ৭১ জন করে ৬৩৯ জন কাউন্সিলর সম্মেলনে উপস্থিত থেকে তারা পৌর বিএনপির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য নেতা নির্বাচিত করবেন। উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলের জন্য ৬’শ ডেলিকেট ও পৌর বিএনপির কাউন্সিলের জন্য ৪’শ ডেলিকেট উপস্থিত থাকবেন। বিগত ২০১০ সালে শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক সভাপতিত্ব করবেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘স্থায়ী কমিটির’ একজন সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী গয়েশ্ব চন্দ্র রায়।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন,জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন,বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন,বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু,বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন এমপি ও জেলা বিএনপির সদস্য এম আর ইসলাম স্বাধীনসহ কেন্দ্রীয়,জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।

    শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম বলেন, বগুড়া জেলায় এই প্রথম শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতা উপস্থিত থাকছেন।

    সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি থাকবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ও তড়িৎ বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করা।

  • মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চত্বর। 

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চত্বর। 

    মইনুল হক মৃধা,রাজবাড়ীঃ রাত পোহালেই বিজয়ের রাঙা আভায় সাজবে বাংলাদেশ।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের ভবনগুলোতে শোভা পাচ্ছে রঙ্গিন আলোর ঝলকানি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এবার ৫০ তম বিজয় দিবস পূর্ণ হলো। আর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সাজতে শুরু করেছে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সরকারী অফিসসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা। ইতোমধ্যে সরকারী অফিস, বিভিন্ন সড়ক ও ভবনে শোভা পাচ্ছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
    সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই দেখা যায় মনমাতানো রং-বেরংয়ের আলোর খেলা। এমন চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় মুগ্ধ গোয়ালন্দ উপজেলাবাসী। সোমবার রাতে উপজেলা চত্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্মরণকালের সেরা আলোকসজ্জায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। যেন আলোয় আলোয় মেখে দিয়েছে সমস্ত কালো। উপজেলার সব সরকারী অফিস, স্থাপনাসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন আলোয় ঝলমলে। সর্বত্রই এ চাকচিক্য চোখে পরার মতো। সন্ধ্যার পর থেকেই এসব আলোর খেলা দেখতে ভীড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। ফলে এ বছর বিজয় দিবসের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
    সরেজমনি দেখা গেছে উপজেলা প্রশাসন গেট থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ ভবন, গোয়ালন্দ ঘাট থানা ভবন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়, এলজিইডি ভবন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ভবন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য ভবন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা ভবন, সমবায় ভবন, পরিসংখ্যান ভবন, যুব উন্নয়ন ভবন, মহিলা অধিদপ্তর ভবন, তথ্যসেবা কেন্দ্র, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, কৃষি অফিস ভবন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ভবন, আনসার ও ভিডিপি ভবন সহ সরকারী প্রায় সব অফিসগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
    করোনা সংক্রমনের কারনে গত দুবছর সীমিত আকারে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন করা হলেও এবার করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল ৷ তাপর বিজয়ের সূবর্নজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ৷ তাই এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্নাঢ্য আয়োজনে উদযাপন হচ্ছে বিজয় দিবস ৷
    গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় , মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কর্মসূচী ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্য গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা কোর্ট চত্বরে নির্মিত মুজিব স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে ৷
    এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে ৷
    এদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় দেশব্যাপী ‘বিজয়ের সূবর্নজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহন করতে অনুরোধ জানিয়েছেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিজুল হক খান মামুন ৷
  • মাটিরাঙ্গায় বিজয় দিবসের আলোয় ঝলমলে উপজেলা প্রশাসন চত্বর।

    মাটিরাঙ্গায় বিজয় দিবসের আলোয় ঝলমলে উপজেলা প্রশাসন চত্বর।

    ফারুক হোসেন,মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের ভবনগুলোতে শোভা পাচ্ছে রঙ্গিন আলোর ঝলকানি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এবার ৫০ তম বিজয় দিবস পূর্ণ হলো। আর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সাজতে শুরু করেছে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সরকারী অফিস, আওয়ামী লীগ কার্যালয় সহ ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা। ইতোমধ্যে সরকারী অফিস, বিভিন্ন সড়ক ও ভবনে শোভা পাচ্ছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
    বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই দেখা যায় মনমাতানো রং-বেরংয়ের আলোর খেলা। এমন চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় মুগ্ধ মাটিরাঙ্গা উপজেলাবাসী।  বুধবার রাতে উপজেলা চত্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্মরণকালের সেরা আলোকসজ্জায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। যেন আলোয় আলোয় মেখে দিয়েছে সমস্ত কালো। উপজেলার সব সরকারী অফিস, স্থাপনাসহ আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন আলোয় ঝলমলে। সর্বত্রই এ চাকচিক্য চোখে পরার মতো। সন্ধ্যার পর থেকেই এসব আলোর খেলা দেখতে ভীড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। ফলে এ বছর বিজয় দিবসের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
    সরেজমনি দেখা গেছে উপজেলা প্রশাসন গেট থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ ভবন, মাটিরাঙ্গা থানা ভবন, উপজেলা সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন, এলজিইডি, মৎস্য, পরিসংখ্যান, যুব উন্নয়ন সহ সরকারী প্রায় সব অফিসগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
    সন্ধ্যার পর পরই লাল সবুজের আলোতে ঝলমলিয়ে ওঠে পুরো উপজেলা পরিষদ জুড়ে। চোখ ধাঁধানো এ আলোকসজ্জার ঝলকানি মন কেড়েছে সবার। বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে লাল, সবুজ, নীল, হলুদ, সাদা, সোনালি, হরেক রঙের আলোর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিজয় দিবসের নানান কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব জানান, এ বছর বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষে উপজেলা পরিষদ’কে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল  বিজয় দিবসের দিনে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
  • মোংলায় উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত। 

    মোংলায় উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত। 

    এম এইচ শান্ত,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করতে করণীয় সাংগঠনিক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলা দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে মোংলা উপজেলা,পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোল্লা আব্দুর রউফ, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক (নজু), সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন, দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায়, উপ-দপ্তর সম্পাদক রতন নন্দি।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে ও পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম’র পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন,মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল,মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন্নাহার হাই, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার,সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস,এম,কবির হোসেন,চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ ইমরান বিশ্বাস,সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার তারিকুল ইসলাম,পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান অন্তর,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিকদার ইয়াছিন আরাফাতসহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।

  • বজরা ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করলে উপজেলা চেয়ারম্যান।

    বজরা ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করলে উপজেলা চেয়ারম্যান।

    রোকন মিয়া(উলিপুর কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নকে প্রাথমিকভাবে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করেন উলিপুর উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম হোসেন মন্টু ।
    বুধবার  (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে  উপজেলার এল কে আমীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে বজরা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন ও বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস (বিবিএফজি, আরডিআরএস) সহযোগিতায় বজরা ইউনিয়নকে প্রাথমিকভাবে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
    অনুষ্ঠানে বজরা ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব
    মোঃ রেজাউল করিম আমীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উলিপুর উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম হোসেন মন্টু ।
    এসময় উলিপুর  উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সরকার, আরডিআরএস বাংলাদেশ এর উপজেলা সমন্বয়কারী এস এম আরিফ উজ-জামান, মনিটরিং এন্ড ইভাল্যুয়েশন অফিসার মোঃ আহদুজ্জামান, ইউনিয়ন ফেসিলিটেটর মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ আনিছুর রহমান, জীবন চন্দ্র বমন, জুলিয়া খানম জ্যোতি, নাসরিন  পারভীন, পারুল চক্রবতী,  আলিফা  বেগম,  লাকী বেগম  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • জুড়ী উপজেলায় আদিবাসীদেরকে নিয়ে করোনা প্রতিরোধ ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ।

    জুড়ী উপজেলায় আদিবাসীদেরকে নিয়ে করোনা প্রতিরোধ ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ।

    এলিসন সুঙ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি)’র উদ্যোগে হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম (এইচআরপি) এর আওতায় মৌলভীবাজারের জুড়ীতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
    মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর কুচাই থল (শিলুয়া)  পুঞ্জিতে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণটি।  এই প্রশিক্ষণে ৫০জন আদিবাসী  নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

    উত্তর কুচাই থল পুঞ্জির প্রধান (মান্ত্রী) এসপারলেস পঃলং এর সভাপতিত্বে সভায় প্রশিক্ষক হিসেবে আলোচনা করেন, মানবাধিকার সংস্থা অভিযান এনজিও’র প্রোগ্রাম অফিসার ও ইউএনডিপির যুব নেত্রী মানবাধিকার কর্মী তামলিমন বারেঃ প্রমুখ ।

    এর আগে এই বিষয় নিয়ে উপজেলার ফুলতলা চা বাগানে ২৭জন চা জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।

    সভায় প্রশিক্ষক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেকের চাকরি হারিয়েছে। অভাবে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেঁচে নিয়েছেন। স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েরা বাল্য বিবাহ করেছে৷ কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা গ্রামে নেটওয়ার্কের সুবিধা না থাকায় পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

    এ সময় প্রশিক্ষকগণ করোনা প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার,২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস,করোনার টিকা গ্রহণের বিষয়ে পরামর্শ দেন। আলোচনা সভা শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।