Tag: উদ্ধার
-
নন্দীগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী আখের আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার।
নন্দীগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী আখের আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধানক্ষেত থেকে বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বালু ব্যবসায়ী আখের আলীর (২৮) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আখের আলী বগুড়া সদরের সাবগ্রাম চান্দপাড়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আপন বড় ভাই রাশেদ, যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যা মামলা, প্রস্তুতি ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরো ৭-৮টি মামলা রয়েছে।
সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার ওমরপুর কালিকাপুর এর মাঝামাঝি বগুড়া টু নাটোর মহাসড়কের পাশে ধানক্ষেত থেকে আখের আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাশের জঙ্গল থেকে একটি মোবাইল ফোন, ১৫০সিসি কালো রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেল (বগুড়া ল-১২-১৩৯৯) ও হেলমেড উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে কৃষকেরা ধান চাষাবাদি জমির কাদা-পানিতে মরদেহ পড়ে থাকা অবস্থায় দেখেন। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। হত্যার রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ হত্যাকান্ডের আলামত সংগ্রহ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিআইডির চৌকস টিম ও ক্রাইম ছিন সিরাজগঞ্জ।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তার ঘনিষ্ঠ কেউ ডেকে এনে গলাকেটে হত্যা করেছে। আখের আলীর নামে হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
-
বেলকুচিতে চুরি হওয়া ৩টি গরু উদ্ধার-মালিকের নিকট হস্তান্তর।
বেলকুচিতে চুরি হওয়া ৩টি গরু উদ্ধার-মালিকের নিকট হস্তান্তর।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উদ্ধার হওয়া চোরাই ৩ টি গরু প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর করা হয়েছে । বুধবার সকালে বেলকুচি থানা চত্বরে গরুর মালিক শাজাদপুর উপজেলার মাশিউর গ্রামের মৃত ইফার আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুর রউফের হাতে উদ্ধার হওয়া ৩ টি গরু তুলে দেন বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজমিলুর রহমান।
উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক আব্দুর রউফ জানান, ৬ আগস্ট রাতে গোয়াল ঘরে গরু রেখে ঘুমিয়ে যায়। সকালে উঠে দেখি গোয়াল ঘরে গরু নেই। পরে বিভিন্ন যায়গায় গরু গুলি খুজতে থাকি। এবং শাহাজাদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বেলকুচি থানা পুলিশ ৩ টি চোরাই গরু উদ্ধার করছে এমন নিউজ পত্রিকায় দেখতে পাই। পরে বেলকুচি থানায় এসে গরু গুলো সনাক্ত করি।
বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজমিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১১ আগস্ট সকালে উদ্ধার হওয়া গরু নিয়ে বেলকুচি থানায় প্রেস বিফিং করা হয়। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর আব্দুর রউফ জানতে পারে ৩ টি চোরাই গরু বেলকুচি থানা পুলিশ উদ্ধার করেছেন। পরে আব্দুর রউফ যোগাযোগ করলে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে গরু গুলো হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ১০ আগস্ট রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জামতৈল গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে পুলিশের অভিযানে গরু চোর চক্রের ১ সদস্য ও ৩ টি চোরাই গরু উদ্ধার করেন। পরে এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে গুচ্ছগ্রাম থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।
ঠাকুরগাঁওয়ে গুচ্ছগ্রাম থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়ায় ঘর থেকে বৃষ্টি (৩৯) নামে এক তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য নির্মিত ‘উত্তরণ আশ্রয়ণ’ গুচ্ছগ্রামের বৃষ্টির শয়ন ঘরের ছাউনির সরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি কামাল হোসেন বলেন, বুধবার বিকালে খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের বরাতে তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বৃষ্টির সঙ্গে তার এক বান্ধবীর বাকবিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে বৃষ্টিকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। এতে মন খারাপ করে হয়তো তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার অন্যান্য সদস্যরা। এমনিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও বৃষ্টির লাশ কাটা ছেঁড়া করা হলে মরদেহ তারা নেবে না বলে আপত্তি জানান তৃতীয় লিঙ্গের অন্যান্য সদস্যরা।
ওসি বলেন, বর্তমানে এটি নিয়ে ধারণামূলক কোনো মন্তব্য করছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের পরে সেখানকার তৃতীয় লিঙ্গেরা মরদেহ না নিয়ে গেলে আঞ্জুমান মফিদুলে লাশ দিয়ে দেওয়া হবে।
-
বাঘায় নিঁখোজের ৩ দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার।
বাঘায় নিঁখোজের ৩ দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব হোসেন (১৫) নামের কিশোর বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে বিভিন্নস্থানে অনেক খোঁজা খুঁজির পরেও পাওয়া যায়নি।
ওইদিন বোন চায়না খাতুন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। এই ডাইরী করার তিনদিন পর শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় কলিগ্রামের পদ্মা নদী থেকে রাজিব নামের স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।রাজিব হোসেনের পিতা আবদুর রাজ্জাক লেবারের কাজ ও মা আফরোজা বেগম ঢাকায় গার্মেন্সে চাকুরি করেন। রাজিব বাড়িতে নানির কাছে থেকে বাঘা ইসালামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপাড়া করে।এ বিষয়ে তার বোন চায়না বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই কিছুদনি আগে এনডোয়েড রেডমি ১০ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। এই ফোনের জন্য আমার ভাইকে খুন করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে তার নানি সুরাজান বেগম বলেন, বাড়িতে কেউ থাকেনা। আমি মেয়ের বাড়ি থাকি আর নাতি রাজিবকে দেখাশুনা করি। নাতি লেখাপড়াতে ভাল। কিন্তু কোন কোন সময়ে ফোন কিনার পর তার বন্ধুদের সাথে এখানে সেখানে বিকেল হলেই ঘুরতে যায়। অন্যদিনের মতো বুধবার দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বাড়ি থেকে বের হয়। আর ফিরে আসেনি।এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তার গলায় দঁড়ি ছিল এবং মুখের মধ্যে দঁড়ি ঢোকানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। -
নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।
নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।
নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই দিকে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।গত বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল এলাকায় শিশুটি তার দাদার সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে বিকাল শিশুটিকে উদ্ধারে নামে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। বুধবার সন্ধ্যা পযন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে।
নিখোঁজ শিশুর নাম ইয়াচিন আরাফাত (৭),উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ও ব্রহ্মপুর পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসী ও নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,বৃস্পতিবার দুপুর আড়াই টার পর উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বাড়ির সামনের ঘাট থেকে শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের জহুরুলের ছেলে ইয়াচিন আরাফাত তার দাদা জলিলের সাথে বাড়ির পাশে বারনই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।পরে অনেক খোজাঁখুজি করে না পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদের খবর দেয়।খবর পেযে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ডুবুরী দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
বুধবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।
-
উল্লাপাড়ায় প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার।
উল্লাপাড়ায় প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লাপাড়ার মডেল থানা পুলিশ উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের ধরইল গ্রাম থেকে শনিবার ১১ জুন দুপুরে প্রতিবন্ধী আকুল ইসলাম (১৯) এর ঝুলন্ত লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে।নিহত প্রতিবন্ধী একই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।সে ঢাকার বনানীর একটি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া করত।নিহতের পরিবার এই মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,শনিবার ১১ জুন দুপুরে স্থানীয়দের মারফত মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয় পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে এই মৃত্যুর রহস্য জানা যায়নি।তবে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে মৃতুর আসল রহস্য জানা যাবে।
-
সিলেট এম-সি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার।
সিলেট এম-সি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সিলেট এম-সি (মুরালি চাঁদ) কলেজের নতুন হোস্টেলে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে ।
বুধবার ২৫ মে ২০২২ইং, সকালে হোস্টেলের চার তলার একটি কক্ষ থেকে স্মৃতি নামের ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। স্মৃতি ছিল এমসি কলেজের ইংরেজি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।এমসি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ তৌফিক এজদানী চৌধুরী জানান, স্মৃতি নামের ওই ছাত্রী নতুন ছাত্রী হোস্টেলের চার তলায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতেই আত্মহত্যা করেছে স্মৃতি। সকালে অন্যান্য শিক্ষার্থী তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।পরে বিষয়টি জানানো হয় এসএমপি শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশকে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। সকাল দশটার দিকে শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। খতিয়ে দেখার পর জানা যাবে। -
সলঙ্গায় বাঁশ বাগানে স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার।
সলঙ্গায় বাঁশ বাগানে স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা থেকে রাশিদুল ইসলাম(১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রাশিদুল রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ও ধামাইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার ১৯ মে সকালে জীবিকার তাগিদে অটোভ্যান নিয়ে বের হয়।আর বাড়ি ফেরেনি। সেই থেকে নিখোঁজ হয় সে।
মঙ্গলবার ২৪ মে সন্ধা ৬ টার দিকে ভূইয়াগাঁতী এলাকার দিঘর গ্রামে অচিন্ত তালুকদারের বাশঁ বাগানের একটি গাছের সাথে হাত পা বাঁধা ও মাথা কলো রঙ্গের কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সলঙ্গা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী।
স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশে খবর দিলে সলঙ্গা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পর রায়গঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
নিহতের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৯মে) সকাল ৭ টায় রাশিদুল বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে বড় ভাইয়ের অটোভ্যান নিয়ে বের হয় । রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পরদিন শুক্রবার (২০মে) রায়গঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান রহমান জানান, স্থানীয়রা খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
-
উল্লাপাড়ায় অপহৃত মনিরুলকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার,গ্রেফতার-১।
উল্লাপাড়ায় অপহৃত মনিরুলকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার,গ্রেফতার-১।
উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় শনিবার(২১ মে) গভীর রাতে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের পূর্বসাতবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার ব্রীজের নীচ থেকে অপহরণ হওয়া মনিরুল ইসলাম (২৩)কে উদ্ধার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের কাজিপাড়া (বাগানপাড়া)গ্রামের মোঃআব্দুর রহিমের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায় গত শুক্রোবার (২০ মে)সন্ধায় একই ইউনিয়নের বেতকান্দি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল রানা তার সহযোগীদে সহায়তায় মোবাইলে গেম খেলা অবস্থায় বাড়ির পাশ থেকে মনিরুল ইসলামকে অপহরন করে মোটরসাইকেলে নিয়ে যায়। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ অপহরণের পরিকল্পনাকারী রাসেল রানাকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মনিরুলের বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
আব্দুর রহিম জানান, রাসেল রানা ও তার সহযোগীরা মনিরুলকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির পাশ থেকে জোড়পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা প্রথমে মনিরুলকে হাত-পা বেঁধে সলপ রেলওয়ে স্টেশন এলাকার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে যায়।পরে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মনিরুলের বাবার নিকট ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ওখান থেকে শাহজাহানপুর গ্রামের ফসলী মাঠে নিয়ে মারপিট করে।
এরপর শনিবার রাতে মনিরুলকে নিয়ে যাওয়া হয় পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া-বেতকান্দি আঞ্চলিক সড়কের পূর্বসাতবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থান এলাকার ব্রীজের নিচে। এখানে মনিরুলকে আরেক দফা মারপিটের পর মুঠো ফোনে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পূর্বসাতবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থানের পাশে ব্রীজের নিচে আসতে বলে।
আব্দুর রহিম বিষয়টি উল্লাপাড়া মডেল থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ অপহৃত মনিরুলের বাবাকে সাথে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার রাত ২ টার দিকে মনিরুলকে উল্লেখিত স্থান থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে এবং অপহরনকারীর প্রধান মোঃ রাসেল রানাকে গ্রেপ্তার করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুজ্জাতুল ইসলাম জানান, অপহরণের পরিকল্পনাকারী ও দলনেতা মোঃ রাসেল রানাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির জানান মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য অপর আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।