Tag: উদ্ধার

  • নলডাঙ্গায় সুঁতি জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।

    নলডাঙ্গায় সুঁতি জাল উদ্ধারের পর পুড়িয়ে ধ্বংস।

    নাটোরের নলডাঙ্গার বারনই নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকারের প্রায় ২০ হাজার টাকা মূল্যের সাড়ে ৫শ মিটার সুঁতি জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে,উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

    বুধবার(২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বারনই নদী থেকে এসব জাল জব্দ করে ধ্বংস করে।

    নলডাঙ্গা মৎস্য বিভাগের ক্ষেত্র সহকারি মোঃ সাফিউর রহমান জানান,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে,ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের সামনে অবৈধ সুঁতিজাল দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ শিকার করছিলো,তাৎক্ষনিক আমরা খবর পেয়ে এখানে এসে সুঁতি জাল ও অবৈধ স্থাপনা জনসম্মুখে ধ্বংস করি।

    নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার সরকার বলেন,সুঁতি,খরা,কারেন্ট,চায়না দুয়ারী জালের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে অভিযান অব্যহত থাকবে। মৎস্য অধিদপ্তর এক্ষেত্রে-সর্বদা সজাগ থাকবে।

  • তাড়াশে স্বামী নিখোঁজ শুনে স্ত্রীর মৃত্যু অত:পর স্বামীর লাশ উদ্ধার।

    তাড়াশে স্বামী নিখোঁজ শুনে স্ত্রীর মৃত্যু অত:পর স্বামীর লাশ উদ্ধার।

    তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৮)’র মৃত্যুর পর স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    গত ১৯ তারিখে স্বামী বাচ্চু শেখ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার কথা শুনে শোক সামাল দিতে না পেরে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। স্ত্রী দাফন কাফনের পরের দিন স্বামীর লাশ উদ্ধার করে উপজেলার পৌরসভা এলাকার উলিপুর দীঘি থেকে।

    জানা যায়, জাহাঙ্গীরগাঁতী গ্রামের বাচ্চু শেখ ওই পুকুরে মাছ চাষের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য মাসিক চুক্তিতে দায়িত্ব নেন। নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছিল।

    প্রতিদিনের ন্যায় ১৭ ডিসেম্বর রাতে পুকুরে পাহারা দিতে যান ওই ব্যক্তি। পরে সেখান থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোজাখুজি করেও তার কোন খোজ পাওয়া যায় নি। এদিকে স্বামীর কোন সন্ধান না পাওয়ায় স্ত্রী মর্জিনা খাতুন শোকে হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পরের দিন স্বামীর লাশের সন্ধ্যান পাওয়া যায়।

    এক দিকে মা হারানো বেদনায় আবার একইভাবে বাবার মৃত দেহ পাওয়ায় সন্তানদের হাহাজারিতে এলাকাবাসী চোখে পানি ধরে রাখতে পারছেন না।

    তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক জানিয়েছেন, নিখোজঁ ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে জনগন ফোন দিলে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে কারো  কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

  • মাধবপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার।

    মাধবপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার।

    মাধবপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

    নাহিদ মিয়া, মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের চেঙ্গার বাজারের ইউসুব শাহ এর দোকানের পিছনে বাজারের পশ্চিম উত্তর দিকে কবর স্থানের আকাশি করছ গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে,মৃত ব্যক্তি মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের তিনগাঁও গ্রামের পিতা মৃত তালেব আলীর পুত্র মোঃ সোনাব আলী (৫৫)।এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান যে,ঘটনা স্থলে কাশিমনগড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই দেবাশীষ তালুকদার সহ আমাদের টিম কে পাঠানো হয়েছে।মৃত্যু কারণ জিজ্ঞেসাবাদ এবং তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।

  • ঠাকুরগাঁও এ দেশীয় অস্ত্র রামদা উদ্ধার জনমনে আতঙ্ক,পুলিশ মালিক খুঁজছে।

    ঠাকুরগাঁও এ দেশীয় অস্ত্র রামদা উদ্ধার জনমনে আতঙ্ক,পুলিশ মালিক খুঁজছে।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান বাজারে ৪০টি রামদা উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা। রামদাগুলো নতুন তৈরি। তবে এখনও এগুলোর প্রকৃত মালিকের সন্ধান পায়নি পুলিশ।

    সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ভেলাজান বাজারে একটি দোকানের সামনে থেকে রামদাগুলো উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

    প্রত্যক্ষদর্শী সালম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে চা খেতে এসেছিলাম। হঠাৎ কিছু মানুষের শোরগোল দেখে এগিয়ে যাই। একটি বন্ধ দোকানের পাশে কাপড়ে মোড়ানো কিছু রামদা পড়ে ছিল। একজন গুনে দেখেন ৪০টি রামদা। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।’

    ভেলাজান বাজারের দোকানদার সোহেল রানার ধারণা, নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবহারের জন্য কেউ হয়তো এগুলো তৈরি করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যে বাজারে রামদাগুলো পাওয়া গেছে তার সীমানা চিলারং হলেও এটা রায়পুর ইউনিয়নেরও প্রবেশমুখ। তাই কোন ইউনিয়নে ব্যবহারের জন্য এগুলো আনা হয়েছে তা বলা মুশকিল।’

    জানতে চাইলে চিলারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, এই অস্ত্রের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে রামদাগুলো এনেছিল, তা খতিয়ে দেখা উচিত।

    নৌকার প্রার্থী ও রায়পুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ শুরু থেকেই নির্বাচনের পরিবেশ অস্থির করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। অস্ত্রগুলো সেই আনতে পারে।’

    চিলারং ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে সামনে নির্বাচন। এমন সময় এরকম দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশ আতংকে রয়েছে। এ ঘটনায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কমে যাবে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছি। অস্ত্রগুলো কার সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা অস্ত্রের মালিককে খুঁজছি।

  • উল্লাপাড়ায় করতোয়ায় নিখোঁজ গৃহবধূর ভাসমান লাশ দু’দিন পর উদ্ধার।

    উল্লাপাড়ায় করতোয়ায় নিখোঁজ গৃহবধূর ভাসমান লাশ দু’দিন পর উদ্ধার।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করতোয়া নদীতে গোসল করতে নেমে বেলা ওরফে মরিয়ম খাতুন(৬৫) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর নদীর দেড় কিলোমিটার ভাটি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনেরা । দু’দিনে দু’ ধাপে ১২ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বেলা ওরফে মরিয়ম খাতুন কে খুজে পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল । শেষে শুক্রবার বেলা ১ টার দিকে উদ্ধার কাজ স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ।

    শুক্রবার রাতে ঘটনার স্থান থেকে দেড় কিলোমিটার ভাটিতে করতোয়া নদীর উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা সড়ক সেতুর নীচে বেলার লাশ ভেসে উঠে । স্থানীয়রা দেখে তার স্বজনদের খবর দিলে তারা মৃতদেহ শনাক্ত করে লাশ উদ্ধার করে। পরে রাতেই তার নিজ গ্রামের কবর স্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয় ।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার নতুন নেওয়ারগাছা গ্রামের করতোয়া নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় বেলা । সে নতুন নেওয়ারগাছা গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর স্ত্রী ।

  • চট্টগ্রামে আলোচিত নিখোঁজ শিশু কামালের মরদেহ উদ্ধার।

    চট্টগ্রামে আলোচিত নিখোঁজ শিশু কামালের মরদেহ উদ্ধার।

    চট্টগ্রামে আলোচিত নিখোঁজ শিশু কামালের মরদেহ উদ্ধার
    আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের ষোলশহর চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ শিশু মো. কামালের মরদেহ তিনদিন পর উদ্ধার করা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
    আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ষোলশহর এলাকার মির্জা খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দীন।
  • শত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি পুকুর উদ্ধার মাধবপরে।

    শত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি পুকুর উদ্ধার মাধবপরে।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর বাজারে ওয়াকওয়েসহ দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণের জন্য প্রায় শত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি পুকুর অবৈধ দখলদার থেকে উদ্ধার করেছে মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন।
    জানা যায়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নির্দেশে পুকুর উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে
    শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে কয়েক দফা উচ্ছে অভিযান চালানো হয়। সরকারি খাস জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ও সম্প্রসারিত ৪০টিরও বেশি বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ এ অভিযানের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক যোগদানের পরপরই পুকুরটি পরিদর্শন করেন। অবৈধ দখলদার থেকে পুকুরটি উদ্ধারের পরপরই ৬০ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এতে বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণ, পুকুর খননসহ চারপাশে নির্মাণ করা হবে সীমানা প্রাচীর।
    স্থানীয়রা জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য মাধবপুর বাজার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কাটিয়ারা মৌজার ১০২৭ দাগে ১ একর ৩১ দশমিক ৮৭ শতাংশ ভূমির ওপর একটি পুকুর খনন করা হয়। পরবর্তীতে পুকুরে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ করে পুকুরের চারপাশের মালিকরা জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ইমারত ও দোকান ঘর নির্মাণ করে। এছাড়া দীর্ঘদিন ব্যাপী এ জায়গাটি তাদের ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে পুকুরটি জনসাধারণের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
    মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, ইতোমধ্যে আমরা ৯৭-৯৮ ভাগ জায়গা অবৈধ দখল হতে মুক্ত করেছি। ভবনগুলোর অবশিষ্ট অবৈধ অংশ অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ভবন মালিকেরা নিজ উদ্যোগেও অবৈধ অংশ অপসারণ করছেন। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমরা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
    এ বছর পুকুর খনন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করব। মাননীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এ প্রকল্পে আরও বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বরাদ্দের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত স্থানে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের একটি পার্ক আমরা মাধবপুরবাসীকে উপহার দিতে পারব বলে আশা করি।
  • বাঁশখালীতে পাহাড়ে মাটি চাপা থেকে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার।

    বাঁশখালীতে পাহাড়ে মাটি চাপা থেকে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার।

    আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পাহাড়ে মাটি চাপা থেকে একটি মৃত বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বাঁশখালী উপজেলা বনবিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ টিম। বুধবার বিকালে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের লটমনী পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে স্থানীয় পাহাড়ি শ্রমিকরা ক্ষেতে কাজ করতে যাওয়ার সময় চলাচলের রাস্তার পাশের্ব একটি বড় ভরাট কবর দেখতে পায়। শ্রমিকরা কবরের পাশে গেলে হাতির পা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা উপজেলা বনবিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে খবর দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়ার নেতৃত্বে চাপারিপার্ক,রামু ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ৪ জন ডাক্তারের যৌথ একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিটি উদ্ধার করে। এসময় তারা বন্য হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন।
    এ ব্যাপারে জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন,স্থানীয়দের দেওয়া খবরেরভিত্তিতে আমাদের যৌথ একটি টিম উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের লটমনী পাহাড় এলাকা থেকে বন্য হাতিটি উদ্ধার করে। কে বা কারা হাতিটি মাটি চাপা দিয়েছে,তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

    ইতোমধ্যে হাতিটির ময়নাতদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

    বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, বন বিভাগের দেওয়া তথ্যেরভিত্তিতে আমরা ৪ সদস্যের একটি টিম ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। সম্ভবত হাতিটি ৩ থেকে ৪ দিন আগে দুর্বৃত্তরা মাটি চাপা দিয়েছে। মৃত হাতিটি পুরুষ হাতি ছিল। হাতির মরদেহে পচন ধরেছে এবং গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার লটমনী পাহাড়ে বন্য হাতির মরদেহ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে সেই খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন সেখানে যায়। মাটি খুঁড়ে হাতির মৃতদেহটি তোলা হয়। হাতিটির শরীরের আঘাতে চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর বিষয়টি গোপন করার জন্য মাটিতে পুতে ফেলা হচ্ছিল।

    তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আলামত রেখে মৃতদেহটি মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কাজ করছে। বর্তমানে উপজেলা সাধনপুর বিট কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এই ঘটনায় বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই আমরা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেব।

  • নলডাঙ্গায় কড়ি কাইট্রা উদ্ধার নদীতে অবমুক্ত।

    নলডাঙ্গায় কড়ি কাইট্রা উদ্ধার নদীতে অবমুক্ত।

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে ২টি কড়ি কাইট্রা উদ্ধার করেছে,নলডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও বিবিসিএফ এর একটি টিম।

    বুধবার( ১লা ডিসেম্বর) দুপুরে উপজলার মাধনগরের বাঁশিলা মধ্যপাড়ার মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ তানসিল আহম্মেদ(১৮) বাড়ি থেকে কড়ি কাইট্রা গুলো উদ্ধার করা হয়। অপরাধ স্বীকার করায় ও ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে মর্মে তানসিল আহম্মেদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে উদ্ধারকৃত কড়ি কাইট্রা গুলো বারনই নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

    বিবিসিএফ এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান করা হয়। পরর্বতীতে বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হবে। বন্যপ্রানী সংরক্ষনে দেশব্যাপী কাজ করছে,বিবিসিএফ এর সদস্যরা।

    নলডাঙ্গা উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুখময় সরকার বলেন,বন্যপ্রানী নিয়ে অবৈধ কার্যকম বন্ধে এমন অভিযান অব্যহত থাকবে।
    এসময় উপস্থিত জনসাধারনের উদ্দেশ্যে বন্যপ্রাণীর ইতিবাচক দিক ও বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

  • নলডাঙ্গায় মেছোবিড়ালের তিনটি বাচ্চা উদ্ধার করে বন বিভাগে হস্তান্তর।

    নলডাঙ্গায় মেছোবিড়ালের তিনটি বাচ্চা উদ্ধার করে বন বিভাগে হস্তান্তর।

    নলডাঙ্গা(নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে(২৬ নভেম্বর) ৩টি মেছোবিড়ালের বাচ্চা উদ্ধার করেছে,নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও বিবিসিএফ সদস্য সংগঠন সবুজ বাংলার সদস্যরা।

    স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে বিষয়টি জানালে,শুক্রবার সকালে উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়ার চৌধুরীপাড়ার মোঃ তৈয়ব আলীর বাড়ি থেকে,নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও বিবিসিএফ সদস্য সংগঠন সবুজ বাংলার সদস্যরা প্রাণীগুলো উদ্ধার করে ও দুপুরে রাজশাহীর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

    বিবিসিএফ এর দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন,বন্যপ্রানী সংরক্ষনে দেশব্যাপী কাজ করছে,বিবিসিএফ এর সদস্যরা। এসময় উপস্থিত জনসাধারনের উদ্দেশ্যে বন্যপ্রাণীর ইতিবাচক দিক ও বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

    মেছোবিড়াল উদ্ধার ও হস্তান্তরে উপস্থিত ছিলেন,নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম,এস,আই আক্কাস আলী,এ,এস,আই জসিম উদ্দিন,রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের এফ জি লালন,বিবিসিএফ এর দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বী,সাহিনুর ইসলাম নয়ন,রবিউল ইসলাম,হুমাউন রশিদ প্রমূখ।