Tag: ইউপি

  • রামগঞ্জ দরবেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহন।

    রামগঞ্জ দরবেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহন।

    রামগঞ্জ দরবেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহন।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বুধবার দুপুরে ( ৯নয় ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং) আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এই দায়িত্ব গ্রহণকালে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি নুর হোসেনের সভাপতিত্বে ও মাহবুব খান ফাইমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা।

    প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট শফিক মাহমুদ পিন্টু, বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকম রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উল্যা, ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক মেয়র বেলাল আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু,
    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, আমির হোসেন,সামছুল ইসলাম সুমন,জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সৈকত মাহমুদ সামছু, যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল প্রমূখ।

  • তালম ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হলেন তৃতীয় লিঙ্গের কাজলী।

    তালম ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হলেন তৃতীয় লিঙ্গের কাজলী।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের কাজলী। উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মাত্র আট ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেন অপর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রণি।

    তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বুধবার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তালম ইউনিয়নের ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে কাজলী খাতুন নামের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে সগুনা ইউনিয়নে মাত্র ৮ ভোটে হেরেছেন রনি নামের তৃতীয় লিঙ্গের অপর জন।

    এ বিষয়ে কাজলী খাতুন আমারজমিনকে বলেন, আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা লিঙ্গ বিবেচনা করেননি। বরং তাদের মূল্যবান ভোটে আমাকে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসাবে আমাকে নির্বাচিত করেছেন এ জন্য আমি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    ভোটাররা আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তাতেই আমি খুশি সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন ভোটারদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফল ঘটাতে পাড়ি।

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় আমারজমিনকে বলেন,তালম ইউনিয়নে কাজলী খাতুন বকপাখি প্রতীকে বিপুল ভোটে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসাবপ নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে রনি তালগাছ প্রতীকে ৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

  • তাড়াশে ৪টি ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ-২,স্বতন্ত্র-২ জন চেয়ারম্যান বিজয়ী।

    তাড়াশে ৪টি ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ-২,স্বতন্ত্র-২ জন চেয়ারম্যান বিজয়ী।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নিবার্চনে ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ২টিতে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রার্থী ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ৩৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    উপজেলা নির্বাচন অফিসার উজ্জ্বল কুমার রায়  জানান , ১নং তালম ইউনিয়নে আব্দুল খালেক ও ৪নং মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নে মেহেদী হাসান ম্যাগনেট আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে এবং ৩নং সগুনা ইউনিয়নে জুলফিকার আলী ভুট্ট (আনারস) ও ৮নং দেশীগ্রাম ইউনিয়নে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক (আনারস) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।
    উল্লেখ্য, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি ও জুলফিকার আলী ভুট্ট সগুনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তারা বঞ্চিত হোন। পরবর্তীতে এ দুজন দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

    এছাড়া চারটি ইউনিয়ন পরিষদের এ নির্বাচনের মোট ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৯ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী এবং ১৪২ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি করেন।

  • লক্ষ্মীপুরে আনোয়ার হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড । 

    লক্ষ্মীপুরে আনোয়ার হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড । 

    লক্ষ্মীপুরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

    লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইলসহ ৭ জনের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এসময় তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন।

    লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় ৭সাত জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে ২দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন। এই ছাড়া মামলার আরও ১১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মো. ইসমাইল ও তার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ, ভাই মো. সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম হোসেন, মো. মানিক ও আবুল কাশেম।

    এরমধ্যে কাশেম ও ইসমাইল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়,আনোয়ার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান প্রয়াত নূর হোসেন শামিমের ভাই। ২০১১ইং সালের ৪ জুন রাতে আনোয়ার দত্তপাড়া বাজারে যান। এসময় আসামিরা তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

    পরদিন তার ভাই আশেক ই এলাহি বাবুল বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ইং সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৭সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভোটের মাঠ উত্তপ্ত !

    ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভোটের মাঠ উত্তপ্ত !

    আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ভোটের মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শেষ সময়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীরা মিছিল-মিটিং প্রচার প্রচারণা ব্যস্ত সময় পার করলেও অভিযোগের শেষ নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

    প্রচার-প্রচারণায় বাধা, তাদের কর্মীর ওপর হামলা, অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে । তবে পাল্টা অভিযোগ করে নৌকার প্রার্থীরা বলছেন নিজেরাই নির্বাচনী অফিসে অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুর ও পোষ্টার ছিঁড়ে তারা নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত করছে।

    এদিকে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, মোরটসাইকেল ভাঙচুর, দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও ছোট ছোট বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে বেড়ে চলছে সংঘাতের পরিমাণ। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছেই।
    ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

    জানা যায়, ২০টি ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৯৬০জন, তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২০৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    ২০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ২০ জন। বাকিরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

    এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করছেন।
    প্রতিনিয়ত রিটানিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আসছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে গত বুধবার সন্ধ্যায় মেহেদি (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র খুন হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা এটা নির্বাচনী সহিংসতা।

    সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নের বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্রসহ সবুর নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। আরেক ইউনিয়নে প্রায় ৪০টি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করতে পারেনি। এদিকে শুক্রবার বিকেলে সদরের সুখানপুখুরি ইউনিয়নে হামলার স্বীকার হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল হক প্রধানের সমর্থকরা। এসময় প্রচার মাইক ভেঙ্গে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওই প্রার্থীর।

    অন্যদিকে ২০নং রুহিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোষ্টারে আগুন, কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রাথীর বিরুদ্ধে।

    রাজাগাঁও ইউনিয়নে ভোটারদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে হুমকি দেয়া হচ্ছে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর।

    আকঁচা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ঘোড়া মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে তার কর্মী-সমর্থকদের প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশাহর।মোহাম্মদপুর, রায়পুর, ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়নেও একই চিত্র।

    গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে পীরগঞ্জ-বালিয়াডাঙ্গীর ১৮ ইউপি নির্বাচন হয়েছে। সেই আমেজ এখনও শেষ হয়নি। এখনো সেই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। পীরগঞ্জে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আবার গতকাল স্কুলছাত্র খুন ও বস্তাভর্তি অস্ত্র উদ্ধার সব মিলিয়ে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে যা আগামী ২৬ তারিখের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে এমনটাই মনে করছেন সুশীল সমাজ।

    ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আইন আইনের গতিতে চলবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    তবে নির্বাচনে কোনো প্রকার সহিংসতার সুযোগ দেয়া হবে না উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান জানান, নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিতি থাকবে। কোনো প্রকার সহিংসতার সুযোগ দেয়া হবে না। তাই সাধারণ ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০টি ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৮ জন আর নারী ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৫ জন।

  • মাধবপুরে ইউপি নির্বাচনে আচরণ বিধি অবহিতকরন ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা।

    মাধবপুরে ইউপি নির্বাচনে আচরণ বিধি অবহিতকরন ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে ষষ্ঠ ধাপে ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    এই নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে নির্বাচনী আচারন বিধি অবহিত করন ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও সঞ্চালনা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম।

    উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।এ সময় তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

    যদি কোন প্রার্থীদের হুমকি-ধামকি ভয়-ভীতি দেখানর খবর পাই তাহলে কঠিনভাবে তা দমন করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম,মাধবপুর-চুনারুঘাট সিনিয়র সহকারি (সারর্কেল) পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আরশাফ আলী,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান,উপজেলা প্রাণি সম্পত কর্মকর্তা,এলজিডি কর্মকর্তা শাহ আলম, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজারুল ইসলাম,সাংবাদিক সাব্বির হাসান,মিজানুর রহমান,নাহিদ মিয়া সহ প্রমুখ।

    সভায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • ইউপি নির্বাচন:ওসমানীনগরে আ’লীগে বিদ্রোহীর আশঙ্কা,কৌশলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    ইউপি নির্বাচন:ওসমানীনগরে আ’লীগে বিদ্রোহীর আশঙ্কা,কৌশলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    জিতু আহমদ,ওসমানীনগরঃ আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যা প্রার্থীরা। ভোটের মাঠ দখলে নিতে আগেবাগেই মাঠে নেমেছেন বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে,দলীয় প্রতিক পেতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা এখনো রয়েছেন কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে।

    জানা গেছে,উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে আ’লীগের তৃণমূলের ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের পর থেকে ভিতরগত দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। ফলে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর আশঙ্কায় রয়েছে।

    একই ইউনিয়ন থেকে একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ন পদদারী নেতারও বিদ্রোহী হওয়ার গুঞ্জুন শুনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীলরা ভূমিকা না নিলে বৃদ্ধি পেতে পারে দলীয় কোন্দল। এমনটিই মনে করছেন আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা।

    একটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী ছাড়া বাকি ৭ ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় সমঝতা না হওয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ভোট। তৃণমূলের ভোটের পর থেকে নানা অভিযোগ তুলে একাধিক প্রার্থীরা বিদ্রেহী হয়েও নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    এদিকে,দলীয় ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলেও কৌশলে বিএনপির একাধিক প্রার্থীরা সতন্ত্র হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে আগেবাগেই নেমে পরেছেন প্রচার প্রচারণায়। নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নির্বাচনী সভারও আয়োজন করছেন প্রার্থীরা। সভায় দিচ্ছেন নানা প্রতিস্রুতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে ওসমানীনগর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে। সাধারণ ভোটরদের মনেও দেখা দিয়েছে উচ্ছাস।

    ইতিমধ্যে প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে শুরু করছেন। তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামলীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূলের নির্বাচনে যারা এগিয়ে রয়েছেন মনোনয়ন নিশ্চত করতে এখন তারা হয়েছেন কেন্দ্রমুখী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন তৃণমূলে পিছিয়ে পরা একাধিক প্রার্থীও।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ৩ জানুয়ারি। বাছাই ৬ জানুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন হবে ৩১ জানুয়ারি।

  • ইউপি নির্বাচনে নৌকা পেতে কেন্দ্রমুখী ওসমানীনগরের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    ইউপি নির্বাচনে নৌকা পেতে কেন্দ্রমুখী ওসমানীনগরের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    জিতু আহমদ,ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছেন। দলীয় প্রতিক পেতে তফসিল ঘোষনার পর থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন দৌড়ঝাঁপ।

    দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে ইতিমধ্যে তৃণমূলের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে ওসমানীনগরে। তৃণমূলের নির্বাচনে যারা এগিয়ে রয়েছেন মনোনয়ন নিশ্চত করতে এখন তারা হয়েছেন কেন্দ্রমুখী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন তৃণমূলে পিছিয়ে পরা একাধিক প্রার্থীরাও। দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নের আবেদপত্র ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রধানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই দলীয় ফরম সংগ্রহ ও জমাদানে কেন্দ্রমুখী হয়েছেন তৃণমূলে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা। পিছিয়ে পরা প্রার্থীরাও মনোনয়ন নিশ্চত করতে ঢাকায় অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছেন জুর লবিং।

    জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেছেন। তফসিল ঘোষনার পর পরই একাধিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন পেতে কেন্দ্র মুখী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের একই ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রার্থী বাছাইয়েও হিমশিমে ছিলেন দায়িত্বশীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার একটি কমিউিনিটি সেন্টারে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের মতামত নিতে গোপন ভোটের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। একটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী ছাড়া বাকি ৭ ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় সমঝতা না হওয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ভোট।

    তৃণমূলের গোপন ভোটে এগিয়ে যারা: উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পীর মজনু মিয়া, তাজপুর ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের লন্ডন মহানগর যুবলীগের সধারণ সম্পাদক ফয়সল হোসেন সুমন, উমরপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুকিদ মিয়া, দয়ামীর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরণ মিয়া, সাদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলী, উসমানপুর ইউনিয়নে সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদ ওয়ালী উল্যাহ বদরুল, পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান এবং বুরুঙ্গা ইউনিয়নে ৪ প্রার্থীর মধ্যে ২জন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন তারা হলেন, আখলাকুর রহমান ও শানুর মিয়া।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু বলেন, উপজেলার প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নিজ নিজ ইউনিয়নের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়ে রায় প্রদান করেছেন। খুব দ্রুত প্রার্থীদের তালিকা জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকদের কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ড থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনিত করা হবে।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ৩ জানুয়ারি। বাছাই ৬ জানুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন হবে ৩১ জানুয়ারি।

  • মাটিরাঙ্গার ইউপিতে ২য় ধাপে নির্বাচিত মহিলা ও সাধারন সদস্যদের শপথ গ্রহণ। 

    মাটিরাঙ্গার ইউপিতে ২য় ধাপে নির্বাচিত মহিলা ও সাধারন সদস্যদের শপথ গ্রহণ। 

    মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত ,সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ আসনের সদস্যদের শপথ  গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২১শে ডিসেম্বর) সকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ১৮ জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের মহিলা সদস্য ও ৫৪ জন সাধারণ আসনের ইউপি সদস্যদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

    এসময় তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পেয়ার আহাম্মদ মজুমদার,গোমতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তফাজ্জল হোসেন, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গনি, বর্নাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইলিয়াস হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর উল্লেখিত ওই ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

  • কানাইঘাটে  ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে-ফয়সল কাদের।

    কানাইঘাটে  ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে-ফয়সল কাদের।

    মিজানুর রহমান (লাভলু) কানাইঘাট প্রতবনিধিঃ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন’কে সামনে রেখে সকল প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী আচরন বিধি প্রতিপালন পূর্বক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    প্রতীক বরাদ্দের দিনে আজ সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে উক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারন সদস্য,সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্যদের নিয়ে আচরন বিধি সংক্রান্ত এ সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের তার বক্তব্য বলেন, কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্টু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।সেই লক্ষ্যে ইতি মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।তিনি নির্বাচনী আচরন বিধি মেনে সকল প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর জন্য আহ্বান জানান। কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্গন করলে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন। সেই সাথে তিনি প্রতিদ্বন্ধী সকল প্রার্থীদের আশ্বাস্থ করে বলেন নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন এর কোন ব্যতয় ঘটবে না।

    সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের উদাহরন তোলে ধরে ফয়সল কাদের বলেন কানাইঘাটের ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন সে ভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করা হবে। কোন প্রার্থী বা তার সমর্থকরা নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট বা প্রভাব বিস্তার,ভোট কেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন,দাঙ্গাহাঙ্গামার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    ফয়সল কাদের নির্ভয়ে ভোটারদের আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শিলের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়া, পুলিশের কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম,কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম,ওসি(তদন্ত) জাহিদুল হক সহ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত রির্টানিং কর্মকর্তারা।

    নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি ও এএসপি আব্দুল করিম তাদের বক্তব্যে বলেন, কোন প্রার্থী এখন থেকে নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গ করলে শক্ত হাতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    কানাইঘাটের ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন একেবারে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে এজন্য প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে সেধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন এক্ষেত্রে প্রশাসন একেবারে নিরপেক্ষ থাকবে। কোন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রভাব বিস্তার,ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তারা প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরন বিধি মেনে সৌহার্দ পূর্ণ পরিবেশে প্রচার-প্রচারনা চালানোর জন্য সকল প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।