Tag: আহত

  • উল্লাপাড়ায় শ্রমিক অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১।

    উল্লাপাড়ায় শ্রমিক অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শ্রমিক অফিস দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক শ্রমিক নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। পরে উভয় পক্ষ পাল্টা পাল্টি মহড়া দিয়েছে। দেশীয় অস্ত্রের ঝংকারে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে শহরের অলিগলি।

    এ ঘটনার আগে উভয় পক্ষের মধ্যে শ্রমিক অফিস দখল করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং দুই পক্ষকে নিয়ম অনুযায়ী কাগজ পত্র তৈরী করতে বলেন।

    শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের ছোট ভাই রাশেদের নেতৃত্বে ১০/ ১৫ জন থানার সামনে দিয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও এসএস পাইপ হাতে নিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে গুলিস্তানে গিয়ে শ্রমিক অফিসে হামলা করে ভাংচুর ও শ্রমিকদের মারপিট করে।এ ঘটনায় এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পরলে শ্রমিক গ্রুপের আরেক পক্ষের নেতা মিজানুর রহমান বাবুর লোকজন এসে রাশেদের লোকজনকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।

    এসময় পুরো শহরের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ভয়ে দোকান মালিকগণ মার্কেটের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। সপ্তাহে শুক্রবার উল্লাপাড়া বড় হাটবার। এই দিন গ্রামাঞ্চালের মানুষ হাট করতে আসে। অস্ত্র ঝংকারের মহড়ায় মানুষ ভয়ে এদিকসেদিক ছুটে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে।
    ঘটনার একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)
    মো.রাকিবুল হাসান জানান,এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • হবিগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬, বসতবাড়ি লুট।

    হবিগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬, বসতবাড়ি লুট।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।,
    বুধবার সকালে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।,
    আহতরা হলেন কমলানগর গ্রামের নাজিম উদ্দিন শাহ (৬০), একই গ্রামের আব্বাছ উদ্দিন শিমুল (২৬), শাহেনা বেগম (৪০), পারভীন আক্তার (৪০), মাসুক মিয়া ৩৭), সাবিনা বেগম (৩৬)।
    পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলানগর গ্রামে নাজিম উদ্দিন শাহ ও জহুর আলীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উল্লেখিতরা আহত হন। সংঘর্ষের পর কমলানগর আসাদ আলীর বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনা ও ভাঙচুর হয়েছে।,
    এ বিষয়ে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ দেয়নি।
  • কালিয়াকৈরে ট্রাক ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত-৩, আহত-১।

    কালিয়াকৈরে ট্রাক ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত-৩, আহত-১।

    কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় ট্রাক ও অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রিপন মিয়া নামে আরেক যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, উপজেলার নয়ানগর এলাকার গোপাল চন্দ্র রায়ের ছেলে অয়ন রায়, সুত্রাপুর এলাকার মৃত বাসুদেব দাসের ছেলে সুদেব সুদেব দাস, বড়গোবিন্দপুর এলাকার অটোচালক করিম মিয়া।
    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানয়, জৈনা বাজার থেকে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা অপরিক্সাটি মেদি কাঞ্চনপুর এলাকায় পৌঁছালে ইট বোঝা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে অটো রিক্সা যাত্রী অয়ন রায় ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং গুরুতর অবস্থায় বাকি তিনজনকে টাঙ্গাইল মির্জাপুর কুমুদিনী হসপিটালে নেওয়ার কর্তব্যরত ডাক্তার অটোচালক করিম মিয়া ও সুদেব রায়কে মৃত ঘোষণা করেন ও রিপন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় ফজিলাতুন্নেসা হসপিটালে রেফার করা হয়।
    কালিয়াকৈর থানার এস আই মোঃ জাহিদ হাসান বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে একটি লাশ উদ্ধার করি এবং জানতে পারি হসপিটালে নেওয়ার পর আরো দুইজন মারা গেছে ও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হসপিটালে ভর্তি আছে। তবে ঘাতক ট্রাক আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  • বাঘায় স্কুল কমিটির সভাপতি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮।

    বাঘায় স্কুল কমিটির সভাপতি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় স্কুল কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দ্বন্দ্বে মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    জানা গেছে, উপজেলা আড়পাড়া হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদের জন্য লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমানের কাছে আবেদন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ গ্রুপের প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল।

    অপর দিকে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জল গ্রুপের আবেদন করেন বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রভাষক আনোয়ার হোসেন পলাশ। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল।
    এরমধ্যে রোববার জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ গ্রুপের বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী ৫০-৬০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া স্কুলে যায়। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন তেথুলিয়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে জাফর হোসেন (৪০), আড়পাড়া গ্রামের গাজিউর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮), মানিক হোসেনের ছেলে রোহান হোসেন (২৩), মুনসাদ আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৪৫), মকবুল হোসেনের ছেলে লিখন হোসেন (২২), হেদাতিপাড়া গ্রামের তফের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮), আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল হক (৩৬), মাঝপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রানা হোসেন (১৮)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে রফিকুল ইসলাম ও মানিক হোসেনের অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সভাপতি প্রার্থী প্রভাষক আনোয়ার হোসেন পলাশ ও প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

    এ বিষয়ে আড়পাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, উভয়ের বাড়ি আড়পাড়া গ্রামে। তারা দুইজন এক দল করেন। তারা শিক্ষকতকা করে দুই প্রতিষ্টানে। তারা সভাপতি পদের জন্য আমার কাছে আবেদন করেছেন। যাছাই-বাছাই করে যাকে দিয়ে প্রতিষ্টান ভালভাবে পরিচালিত হবে তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে। এর আগে তারা মারামারি করলো, কী করবো ভেবে পাচ্ছিনা।

    বাঘা থানার ওসি আফম আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মাধবপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত-২১।

    মাধবপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত-২১।

    মাধবপুর প্রতিনিধি 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে ক্রিকেট খেলে নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নারীসহ ২১ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর গ্রামের মসজিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফিরোজ সর্দারের গোষ্ঠী ও মাহফুজ মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই কিশোরের ঝগড়ার জেরে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ ২১ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, কাদির মিয়া (৭৫), নাছির মিয়া (৪০), আঃ জলিল (৩৫), মাসুক মিয়া (৪৩), আবু ছালেক (৩২), গফুর মিয়া (৫৫), সুমন মিয়া (২২),
    ফিরোজ মিয়া (৮৫), আশরাফুল (১৬), মাহিন (১৭), খসরু (৫০), মাহমুদা বেগম (৪৫), আলফু (৭৫), মেমরাজ (২৫),আরিফ মিয়া (২৫), আফিয়া বেগম (৭০), আরাফাত (১৬),শরীফ মিয়া (২০), সাইফুল মিয়া (১৪),সজীব মিয়া (১৫), রাসেল মিয়া (৩২)। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত সুমন মিয়া (২২) ও ফিরোজ মিয়া (৯৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • লক্ষ্মীপুরে ভূমিদস্যু’র হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত।

    লক্ষ্মীপুরে ভূমিদস্যু’র হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।

    লক্ষ্মীপুরে ভূমিদস্যু ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ওসমানগণি গংদের হামলায় তিন জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর)দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের আনিস মোহাম্মদের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে অভিযুক্তরা খোকনের বাবা টুকা মিয়া খরিদকৃত জমির ওপর ঘর নির্মাণ করতে গেলে অভিযুক্তরা খবর পেয়ে রায়পুর থেকে আওয়ামী লীগের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় খোকনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
    এ সময় খোকনের ছেলে সোহেল ও তার স্ত্রী  এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট গামছা পেচিয় গলা আটকিয়ে সার্বরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ (২৭০০০/ হাজার) টাকা,নাকফুল ও টেকনো ব্রান্ডের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    পরে এলাকাবাসী তাদের শোরচিৎকারে দৌড়ে আসা মাত্র অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন

    অভিযোগ করে খোকন জানান,জমি আমার, দলিল আমার, খতিয়ান আমার,তারা শালিশি বৈঠকে বসতে রাজি নাই,গায়ের জোরে বার বার আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে।সোহেল স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন আমাদের বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় আ’লীগের সন্ত্রাসীসহ ভূমিদস্যুরা দলবদ্ধ হয়ে আমাদের জায়গা দখল করেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এই কুচক্র মহলটি বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে।
    দীর্ঘ ১০ দশ বছর যাবত জোর জবরদস্তি করে অবৈধ দখলবাজ ওসমান গনি গংরা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সোহেলের পরিবারের সম্পক্তি জোর পূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার বিষয় জানতে অভিযুক্ত রেহেনা আক্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সাংবাদিকদের আমার কিছুই বলার নাই।
    লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মুন্নাফ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • বাহুবলে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে ৪ গ্রামের সংঘর্ষে-পুলিশসহ শতাধিক আহত।

    বাহুবলে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে ৪ গ্রামের সংঘর্ষে-পুলিশসহ শতাধিক আহত।

    অনলাইন ডেস্কঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে ৫ টাকা টমটম অটোরিকশার ভাড়াকে কেন্দ্র করে চার গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বাড়ি-ঘর দোকানপাঠে হামলা ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    জানা গেছে, উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে টমটম অটোরিকশার ৫ টাকা ভাড়া দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কবিরপুরের এক ব্যক্তির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিষয়টি উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কবিরপুর গ্রামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ভেড়াখাল গ্রাম ও সাতপাড়িয়া গ্রামের পক্ষে অবস্থান নেয় বহরুয়া গ্রাম। ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়।

    এদিকে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপর সংঘর্ষ চলায় সড়কের দু’পাশে আটক পড়ে শত শত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ চলায় দীর্ঘ হতে থাকে যানবাহনের সাড়ি। পরে বাহুবল থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    এ বিষয়ে বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, টমটম অটোরিকশার ভাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকেই আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

     

  • সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএমএফের গুলিতে রোহিঙ্গা নারী ও শিশু আহত

    সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএমএফের গুলিতে রোহিঙ্গা নারী ও শিশু আহত

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বটুলী সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এর গুলিতে এক রোহিঙ্গা নারী ও শিশু আহত হয়েছে। রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ইং, ভোররাতে ভারত থেকে মৌলভীবাজারের বটুলী সীমান্ত দিয়ে ৭ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- দিলারা বেগম (২৮) ও সোহানা (৮)।
    জানা যায়, ভারত থেকে অবৈধপথে নাজিম উদ্দিন (৩৫) ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম পাঁচ শিশুসন্তান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ। এ সময় দিলারা বেগম ও তার কোলে থাকা শিশু সোহানা গুলিবিদ্ধ হয়।
    গুলিবিদ্ধ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারীর স্বামী নাজিম উদ্দিন বলেন, বিএসএফের এক সৈনিক এক রাউন্ড গুলি করে। ওই গুলি তার স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে লাগে। পরে আরও গুলি করতে চাইলে বিএসএফের অস্ত্র থেকে গুলি আটকে যায়। পরে তারা দ্রুত বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে পড়েন। প্রায় ২ বছর আগে শাশুড়িকে দেখার জন্য তারা ভারতে যান। দালালের মাধ্যমে ফেরার পথে সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হন তার স্ত্রী ও সন্তান। পরে রবিবার সকাল ৭টার দিকে তারা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতাল পাঠান।
    মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে রবিবার বিকেলে শিশু ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    এ বিষয়ে কথা বলতে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
    মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সকালে তারা জুড়ী থেকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরে চিকিৎসক তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
  • কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরে হামলা-নারীসহ আহত-৪।

    কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরে হামলা-নারীসহ আহত-৪।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কানাইঘাট পৌরসভা এলাকার ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা করা হয়েছে।এ ঘটনায় একই পরিবারের নারী-পুরুষ সহ ৪ জন আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আহতের পরিবার কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, ফাটাহিজল গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র এখলাছ উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই আছাব উদ্দিন, ফুফু জয়গুন নেছা, চাচাতো বোন ফাহফুজা বেগম। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে পরিবারের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোটা নিয়ে এখলাছ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা চালায়। এতে হামলাকারীদের হাতে ৪ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
    পরে এখলাছ উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গ্রামের মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি আপোষ-নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে সময় নিলেও অভিযোগের বিবাদীরা স্থানীয় বিচার মানেনি।
    অভিযোগের বাদী এখলাছ উদ্দিন জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি।

  • মাইকিং করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত-১০।

    মাইকিং করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত-১০।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির মাইকিং করাকে কেন্দ্র করে রেদো সাহা এবং আলম শাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন এবং দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে এদিন রাতে মো. নুর আলম সাহার ছেলে মো. সোহেল এবং তমিজ উদ উদ্দিনের ছেলে বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ৯টায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে রেদো সাহা ও আলম শাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    এতে রেদো সাহা গ্রুপের লেলিনের ছেলে উৎপল গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য আহতরা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে তারেক রহমান নামে একটি ক্লাব আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মাইকিং বের করা হয় যার নেতৃত্ব দেন আখতারুল। তিনি গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম গ্রুপের সদস্য। আখতারুল নিজেকে তারেক রহমান ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন।

    পরবর্তীতে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রেদো সাহা বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন পাঠিয়ে সেই মাইকিংয়ের মেমোরি কার্ড নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও আক্তারুলের লোকজন মাইকিং বের করে। পরে রেদো সাহার লোকজন আবার এলে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আখতারুল গ্রুপের শ্রাবণ, রেদো সাহা গ্রুপের উৎপলের বুকে খুর মারেন। এতে উৎপল গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে উৎপল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হন রেদো শাহা গ্রুপের, হাসান, নুর মোহাম্মদ, বাপ্পি ও মিলটন এবং আলম শাহ গ্রুপের রাশেদ অন্তর।

    এ ঘটনায় উৎপলের মা করুনা রানী বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে এদিন রাতে সোহেল ও বুলবুলকে আটক করে পুলিশ।

    গড়েয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সাহকে রাতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে তবে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে এখনই আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আগামীকাল (শনিবার) আপনার সঙ্গে দেখা করে বলবো।

    এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি রেদো সাহা বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত্রে গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উৎপলের মা বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় একটি মামলা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এদিন রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করি।