Tag: আমন ধান

  • ডিমলায় কৃষাণ-কৃষানীরা আমন ধান কাটতে ব্যস্ত।

    ডিমলায় কৃষাণ-কৃষানীরা আমন ধান কাটতে ব্যস্ত।

    হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী ডিমলায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙে পাঁকা আমন ধান। অগ্রহায়ণের শুরুতেই গ্রাম বাংলার কৃষকের মাঠ জুড়ে আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যায়।

    গ্রামের কৃষাণ-কৃষানীরা ব্যস্ত সময় কাটান এ সময়ে। প্রাচীনকাল থেকেই অগ্রহায়ণ মাস শুরু হলেই কৃষকের নতুন বার্তা নিয়ে আগমন ঘটে। শ্রমিক সংকটের ফলে বর্তমানে যান্ত্রিকতার ছোয়ায় গ্রামের কৃষাণ-কৃষানীদের দল বেঁধে ধান কাটা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। তুবুও গ্রামের কৃষাণ-কৃষানীরা পুরো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে যুগের পর যুগ ধরে।

    ১লা অগ্রহায়ণ( বুধবার) সকালে সরে জমিনে দেখা যায় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মত সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষাণ-কৃষানীরা দল বেঁধে মনের আনন্দে কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে, অনেকে আটি বেঁধে বাড়িতে নিয়ে মাড়াই কাজে ব্যস্ত। নতুন ধান ঘরে তোলার পর গ্রামেগঞ্জে শুরু হবে বিভিন্ন আয়োজন ও উৎসব। বাঙ্গালীর বারো মাসেতে পর্বণ এ যেন সত্যি একে অপরের হৃদয়ের বন্ধনকে গাড় করা উৎসব।

    নতুন ধান কাটার পর নবান্ন উৎসবে গ্রামেগঞ্জে আয়োজন করা হয় গ্রামীন মেলার । সেই মেলায় শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সব শ্রেনী পেশার মানুষের ঢল থাকে । তখন সকলের মাঝে থাকে এক অপূর্ব আনন্দ।

  • ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষক।

    ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষক।

    ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্থ্য স্থানীয় কৃষক।


    নীলফামারীর ডিমলায় আমন ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ১৮ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের সীমান্ত পাড়া (নওদাপাড়া) গ্রামের ১৮ জন কৃষকের প্রায় এক একর জমির আমন ধানের চারাগুলো হলুদ বিবর্ণ হয়ে খড়ের মত শুকিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় কৃষকদের নজরে আসলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ডিমলা থানার পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

    ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা হলেন সুশিল রায়, জগবন্ধু রায়, দিনাবন্ধু রায়, মধুসূদন রায়, ধুনিয়া রায়, বীরেন্দ্র নাথ রায়, ধনঞ্জয় রায়, সন্তোষ রায়, হরনাথ রায়, জগন্নাথ রায় সহ আরো অনেকে। কৃষক জগবন্ধু জানান, চলতি আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপনকে সামনে রেখে নিজের ২০ শতক জায়গায় ধানের চারা রোপন করেছি। জমি রোপনের জন্য প্রস্তুত করব কিন্তু রোপনের আগ মুহুর্তে ধানের চারাগুলো লালচে হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে।

    ভূক্তভোগী কুষক সন্তোষ রায় বলেন, আমাদের এলাকার অনেক কৃষকের বীজতলা রাতের অন্ধকারে বিষ ছিটিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বীজতলা নষ্ট করে দেওয়া এ কেমন ধরনের শত্রুতা ? কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা সাধারন কৃষক ধানের উপর নির্ভশীল ভরা মৌসুমে বীজতলা নষ্ট করে দেয়ায় অন্ধকার দেখছি। নতুন করে বীজতলা তৈরী করে চারা রোপন করা সম্ভব নহে। এই বীজতলা থেকে প্রায় ৩০ একর জমি রোপন করা যেত। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা গোলাম হোসেন জানান,ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে।

    সরে জমিনে দেখা যায় আগাছা দমনের ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষকের বীজতলা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা তৈরী করে উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারী সহায়তা এলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের সহায়তা করা হবে। ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায় বলেন, ঘটনা পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। ঘটনাটি খুবই দূঃখজনক ।

  • তাড়াশে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহের কর্মসূচি উদ্বোধন।

    তাড়াশে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহের কর্মসূচি উদ্বোধন।

    তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ ২০২১-২২ উদ্বোধন করা হয়েছে। ০২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা এল.এস.ডি চত্বরে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেজবাউল করিম।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা, ও.এল.এস.ডি কাউছার হোসেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোতালেব হোসেন মামুন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মহসীন আলী,সাংবাদিক এম ছানোয়ার হোসেন,সাইদুর রহমানসহ অনেকে। অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ ২০২১-২২ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও.এল.এস.ডি কাউছার হোসেন বলেন,এ অর্থ বছরে ৬শ ৫৭টন ধান সংগ্রহ করা হবে।

    সরকারী ভাবে ২৭ টাকা দরে ১হাজার ৮০টাকা মণ হিসেবে ধান ক্রয় করা হবে। গত বছরে ইরি ধান সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা টার্গেট পুরন করতে পারি নাই। ৩ হাজার ৭৪টন ধান সংগ্রহ করার টার্গেট থাকলেও সংগ্রহ হয়েছিল ১হাজার ৮শ ২৪টন। এবারও পারবো কিনা সন্দেহ আছে।

    সাধারণ জনগন (কৃষক) বাহিরের বাজারে সরকারী রেটের চাইতে বেশী মূল্য পাওয়ায় ধান দিতে ইচ্ছা পোষণ করছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি আমন ধান সংগ্রহ করতে। ৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখ পর্যন্ত  এ ধান সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে।

  • লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক।

    লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ গেল মৌসুমে আমন ধানে ভাল দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ফের আমন ধানে স্বপ্ন দেখছে লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। এবারও কৃষকরা জমিতে আমন ধান বপন করে বেশী লাভের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন।ব্যাস্ত সময় পার করছেন বপন করা আমন ধানের জমি পরিচর্যায়। এখন কেবল দেখার পালা কৃষকের স্বপ্নের আমনে কত বেশী সোনা ফলে।

    জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে ৮১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন।এ পরিসংখ্যান গতবছরের তুলনায় কিছুটা কম। তা সত্বেও কৃষকের স্বপ্ন কম নয় মোটেও।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গেল মৌসুমে জেলাতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮২৮ মেট্রিক টন।লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি.আর ১১, ২২, ২৩, ব্রি ৩০, ৩২, ৩৩, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৬, ৪৯, হরি, স্বর্ণা, বিনা, কালাজিরা, গিগজ জাতের ধান।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে জমিতে ধানের চারা লাগানো হয়ে গেছে। এ মুহুর্তে সার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন আমন চাষীরা। তবে এখনও অনেক জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

    যারা বর্ষার শুরু থেকে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন, তাদের প্রায় জমির ধানগাছ অনেকটা বড় হয়ে গেছে। তারা ধানের জমিতে জমিতে ফসল ভালো ফলনের জন্য ইউরিয়া সার ছিটাচ্ছেন।

    আবার প্রায় জমিতে পোকামাকড় মারতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। বাতাসে দোল খাচ্ছে সবুজ গাছগুলো আর সেই তার সাথে দুলছে যেন আমন চাষিদের স্বপ্ন। বপনের পর থেকে ৩ মাস ১০ দিনের মাথায় কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।

    সদর উপজেলার চর আলী হাসান গ্রামের কৃষক মোঃসফিক উল্যা জানান, তিনি চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে আমন ধানের চারা লাগিয়েছেন। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে ৫০ মনের অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ তার।

    একই এলাকার কৃষক মোঃশাহ আলম বলেন, তিনি প্রায় দেড় একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। জমিতে সার এবং ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। তার জমিতেও অধিক ধান উৎপাদনের প্রত্যাশা করেন তিনি।

    অন্যদিকে, মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকা রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদরের চররমনী মোহন এলাকায় জোয়ারের পানির তোড়ে কয়েক হাজার একর জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে হতভাগ্য কয়েক কৃষকের স্বপ্ন অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। যদিও স্থানীয় কৃষি বিভাগ এটাকে তেমন একটা ক্ষতি হিসেবে দেখছেনা।

    চররমনী মোহন ইউনিয়নের মাতবরহাট এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন বলেন, তার এলাকার বেড়িবাঁধের পাশ্চিম পাশে থাকা নদীর তীরবর্তী কয়েক একর জমির রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে। মেঘনার অতিরিক্ত জোয়ারের পানির তোড়ে ধানের চারা বিনষ্ট হয়েছে এবং ক্ষেতে নোনা পানি জমে থাকার কারণে ধানের চারা পঁচে গেছে।তবে প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের বিভিন্ন প্রনোদনা দেওয়ার কথা জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

    কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলাতে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৬শ জন ধান চাষী রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র দুই হাজার ৮শ জন কৃষককে সরকারীভাবে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আড়াই হাজার জনকে ৫ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ড্যাপ সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। আর বাকী তিনশ জনকে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ও ২০ কেজি ড্যাপ সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।