বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রিয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর র্যাবের সদর দপ্তর তাকে আটক করেছে।এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীরের রাজধানীর গুলশানের বাসায় চার ঘন্টা ব্যাপি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল মাদক,হরিণের চামরা,ছুরি ও বিদেশী ডলার উদ্ধার করেছে র্যাব।
তবে তাকে মাদকের অভিযোগে আটক দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে র্যাব সদর দফতরে। র্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের ৫ নম্বর সড়কের ৩৬ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযান এখনও শেষে আটক করা হয়েছে। বাসাটি ঘিরে র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছিলো।
এর আগে কেন্দ্রীয় মহিলা সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।চাকুরীজীবি লীগ নামে সংগঠ তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার অভিযোগ এনে দলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।তিনি দলের বহির্ভূত গিয়ে সংগঠন তৈরি করে সভাপতির পদ দখল করে।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১২’র সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় ২৭ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২, সদর দপ্তর সিরাজগঞ্জ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২’শ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জন র্শীষ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাহার নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ৩ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২১৫২(দ্ইু হাজার একশত বায়ান্ন) টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি থানার ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত আসাদুল ইসলামের মেয়ে আইভি খাতুন ময়না(৩১) ও রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শেকেরচক গ্রামের মৃত হারুন আর রশিদের মেয়ে সোমা খাতুন(৩০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ এর(১) সারণীর ৮(গ)/৪১ ধারার মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায়ের সময় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আফগান প্রেসিডেন্টের বাসভবন রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে কমান্ডারসহ তালেবানের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
আফগানিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে পুলিশ রাজধানীর কাবুলে অভিযান পরিচালনা করে ওই চার তালেবান নেতাদের আটক করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মীরওয়াইস স্তানিকজাই এক অডিও বার্তায় জানান কমান্ডার মোমিন সহ তালেবান ৪ নেতাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি ওই অডিও রেকর্ডে আরোও জানান তালেবান কমান্ডার মোমিন রকেট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। আটক হওয়া অন্য সদস্যরাও ওই রকেট হামলা ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো।
ঈদুল আযহা’র দিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৮ টার সময় আফগান প্রেসিডেন্টের বাসভবনের পাশে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। ওই রকেট হামলার সময় আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ঈদের নামাজ আদায় করছিলেন বলে একটি টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে।
ঢাকা আশুলিয়ায় ২৭ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইনসহ খাদিজা বেগম (৪০) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব – ৪। এসময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল এবং মাদক বিক্রির নগদ তিন হাজার নয়’শ পয়ষট্টি (৩৯৬৫) টাকা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২২ জুলাই ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব – ৪। এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আসামী মোছাঃ খাদিজা বেগম ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
র্যাব – ৪ জানান – বুধবার সকালে গোপন ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছে লুকানো (২৬৪) গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় – আসামী দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন সংগ্রহ করে ঢাকা জেলার আশুলিয়া ও ধামরাইসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। আটক নারীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ জুলাই ভোর রাত সাড়ে ৪ টার সময় র্যাব-১২’র অভিযানে ১৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। র্যাব ১২’র স্পেশাল কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্টে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ রানা মন্ডল ও সাজেদুল ইসলাম নামের শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক বহনকারী পিকআপ ভ্যান,নগদ ২ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঢাকার পল্লবী থানার মিরপুর মাদানি নগরের মৃত কাদির মন্ডলের ছেলে রানা মন্ডল(৪৮) ও গাইবান্ধা সাদুল্ল্যাপুরের ইউসুবপুর গ্রামের গোলজার ব্যাপারির ছেলে সাজিদুল ইসলাম(৪০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনীর ১৩(গ) ধারায় মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁর কোরবানির পশুর হাট উপলক্ষে ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ২২ ইজারারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র্যাব-১২’র সদস্যরা।
জানা যায় হাট ইজারাদারা হাট ইজারা নিয়ে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার(১৫ জুলাই) নওগাঁ গরুর হাটে গরু বিক্রয়দাতার নিকট থেকে ৫’শ ও বাঁধার জন্য ৩’শ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে ১ হাজার টাকা গরু প্রতি ১ হাজার ৮’শ টাকা খাজনা আদায় করার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এর আগে হাট ইজারাদারগণ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীদের। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১২’ র এক অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ওই ২২ ইজারাদারকে আটক করেন।
হাটে একাধিক ক্রেতা বিক্রেতা জানান চলতি বছরের শুরু থেকে সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে খাজনা আদায় করে আসছে।কোরবানির হাট উপলক্ষ্যে ব্যপরোয়া ভাবে আটককৃতরা গরু প্রতি ১৮’শ টাকা করে খাজনা আদায় করছে। এমন অভিযোগে র্যাব-১২’র সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।এলাকাবাসী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। ধর্ষিতা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কুরমা চা বাগানের কালিটিলায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার মীরা র্যালীর ২৪ বছর বয়সী যুবতী কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা চা বাগানের কালীবিল এলাকায় বোনের জামাই মুন্না র্যালীর বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কালীবিল এলাকার পূর্ব পরিচিত ভুট্রো কুর্মীর ছেলে সঞ্জয় কুর্মি (২৫) এর সাথে দেখা হলে সে বেড়ানোর ছলে বাড়ীর পাশে একটি পরিত্যক্ত স্কুল ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে সঞ্জয় কুর্মী ও তার বন্ধু একই এলাকার বানু নায়েকের ছেলে বিকাশ নায়েক (২৮) মিলে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার বোন জামাই মুন্না র্যালী ও এলাকাবাসী পরিত্যক্ত স্কুল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করে তাকে কমলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মেয়েটির বোন জামাই মুন্না র্যালীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে এএসআই আনিছুর রহমান, এএসআই সবুজ সহ পুলিশের একটি দল বুধবার সন্ধ্যায় কুরমা চা বাগানের শ্রমিক পাড়া থেকে ধর্ষণের অভিযোগে সঞ্জয় ও বিকাশ নামে দুই যুবককে আটক করেন।
চট্টগ্রামে ঘটক ও পাত্রী সেজে অসংখ্য মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার অভিযোগে দুই নারীপুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (২৪ জুন) ভোর রাতে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম’র নেতৃত্বে জেলার রাউজান উপজেলাধীন গচ্ছি নয়া হাট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাউজান উপজেলার গচ্ছি নিবাসী মৃত মাওলানা মোঃ হারুন-এর পুত্র ওকার উদ্দিন ওরফে আরিফ (৩৬) এবং তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ওরফে শিরিন আক্তার ওরফে শেলি (৩২)সহ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে টার্গেট করে সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। একজন প্রবাসী ভিক্টিম এই চক্রের কাছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হারানোর পর গত ১৬ জুন এ বিষয়ে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সে অনুযায়ী আজ ভোরে অভিযুক্ত চক্রের মূল হোতা স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মধ্যরাত হতে ভোর পর্যন্ত টানা এ পুলিশি অভিযানে মোবাইল ডিভাইসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের বিপুল প্রতারণার তথ্যপ্রমাণও সংগ্রহ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এসআই শাহাদাত এবং এসআই অনুপমসহ রাউজান থানা পুলিশের একটি টিম।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই নিজেদের প্রতারণার কথা স্বীকার করে নেয়। এসময় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের প্রতারণার অভিনব কৌশলের কথাও প্রকাশ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে স্বামী ওকার উদ্দিন তার এক সহযোগীকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেঘুরে ডিভোর্সড বা স্ত্রী মারা গেছে এমন বিত্তশালী মানুষ, বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ও ধনাঢ্য মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের টার্গেট করতেন।
তারপর কৌশলে তাদের সাথে পরিচিত হয়ে ঘনিষ্টতার একপর্যায়ে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে জানাতেন যে, তাদের হাতে সুন্দরী ও বড়লোক বাবার মেয়ে পাত্রীর সন্ধান রয়েছে এবং চাইলে তারা পাত্রী দেখানো এবং বিয়ের উদ্যোগ নিতে পারেন। টার্গেট রাজি হলে প্রতারকেরা তাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বেশকিছু পাত্রী দেখাতেন এবং কৌশলে জেনে নিতেন কোন পাত্রীকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যেই টার্গেটের মোবাইলে সেই পছন্দকৃত পাত্রীর পরিচয় দিয়ে কল করতেন প্রতারক চক্রের সদস্য সেলিনা (ওকার উদ্দিনের স্ত্রী)। দুয়েকদিন অন্তরঙ্গ কথা চালিয়ে যাওয়ার পর বলতেন, তিনি তার মায়ের মোবাইল থেকে কথা বলেন, তাই সবসময় কথা বলা সম্ভব হয় না এবং জরুরিভিত্তিতে তার একটি মোবাইল ফোন কেনা প্রয়োজন। কয়েকদিন পর বলতেন যে, তিনি অসুস্থ, ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, বিভিন্ন ব্যয়বহুল টেস্ট করতে হবে, টাকা দরকার। এভাবে বিভিন্ন অজুহাতে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দুজনের অন্তরঙ্গ আলাপ রেকর্ডও করে রাখা হতো। অনেকবার এভাবে টাকা দেওয়ার পর ভিকটিমরা যখন বুঝতে পারতো যে সে প্রতারিত হয়েছে, তখন তাদেরকে হুমকি দেওয়া হত যে, যদি তারা এই বিষয়ে পুলিশ কিংবা অন্য কাউকে কিছু বলে, তাহলে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে রেকর্ডকৃত অন্তরঙ্গ কথোপকথন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তারা মোবাইল কলের বদলে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে যাবতীয় যোগাযোগ ও আলাপচারিতা সম্পন্ন করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা ওকার উদ্দিন নিজেও ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দিন দুবাই প্রবাসী ছিলেন। কিন্তু তাতেও ভাগ্য ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৪ তে দেশে ফিরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালির মেয়ে সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী এবং অন্য কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন অভিনব এই প্রতারণার ফাঁদ।
এ প্রসঙ্গে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই চক্রটির গতিবিধি মনিটর করে আসছিলাম। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি মামলা হওয়ার পর গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে আমরা অভিযুক্ত স্বামীস্ত্রীকে গ্রেপ্তার করি। এই চক্রে জড়িত অন্যান্যদেরকেও অতি শীঘ্র আইনের আওতায় আনা হবে।
সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ বিশেষ অভিযানে ২৪ জুন
বৃহপতিবার দুপুর ১১.৫০ ঘটিকায় সময় র্যাব-১২ এর এ্যাডজুটেন্ট ও অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃতে র্যাব-১২ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানাধীন পাটগাড়ী গ্রামস্থ সিরাজগঞ্জ টু-পাবনা মহাসড়কের পশ্চিম পাশের্ব ৮ নং পাটগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪৯২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এসময় তাহার নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ০১ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার পাটগাড়ি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব রিয়াজ উদ্দিন ফকির এর ছেলে জাকাত ফকির (৩৭)
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবŤ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনীর ১০(ক) ধারার মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।