Tag: অভিযোগ

  • প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে উদ্যাক্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা।

    প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে উদ্যাক্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা।

    প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে উদ্যাক্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা।

    প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১০ নং ছাতিয়াইন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন রামেশ্বর গ্রামের ভুক্তভোগী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাজল সরকার।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাধবপুর থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে,ছাতিয়াইন ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামের হতদরিদ্র নিতিন্দ্র সরকারের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পুত্র কাজল সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে মঞ্জুরীকৃত প্রতিবন্ধী ভাতা (আইডি নং ২০০০৩৬১৭১৪৩১০৪২০৮-০৪) উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধরের পরিচালনাধীন ব্যাংক এশিয়ার ছাতিয়াইন বাজারস্থ আউটলেটে একটি একাউন্ট খুলেন।
    নির্ধারিত সময়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কাজল সরকারের ১০৮৩৪৩৬০৬৪১৯৭ নম্বর একাউন্টে ১১ হাজার ২৮৭ টাকা জমা হয়। টাকা জমা সংক্রান্ত মোবাইল ম্যাসেজ অনুযায়ী পরদিন টাকা উত্তোলণ করতে গেলে উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধর কাজল সরকারের ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে একাউন্ট চেক করে কোনো টাকা জমা হয়নি বলে জানান।
    পরের দিন নিজের মোবাইলে ব্যাংক এশিয়া থেকে প্রাপ্ত মেসেজ মারফত জানতে পারেন তার একাউন্টে ১১ হাজার ২৮৭ টাকার জায়গায় ১৮৭ টাকা জমা রয়েছে। তখন তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে প্রাণতোষের সাথে টাকার জন্য যোগাযোগ করলে প্রাণতোষ তার সাথে দূর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন।
    এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও কোনো সুরাহা না পেয়ে হতদরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী কাজল সরকার আইনী প্রতিকারের আশায় প্রাণতোষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে(কগ-৬) মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মাধবপুর থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
    এদিকে দাসপাড়া গ্রামের আল আমীনের স্ত্রী রিখা আক্তারের মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দাসপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিন মনির নামে এক ব্যক্তি প্রাণতোষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার স্থাণীয় সরকার শাখার উপপরিচালক (ডিডিএলজি)বরাবরে পৃথক অভিযোগ করেছেন।
    অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে বলে তদন্তসংস্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলা এবং অভিযোগের বিষয়ে উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান,একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
  • মোংলায় ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে মাটির রাস্তা,প্রকল্পের টাকা আত্মাৎ এর অভিযোগ।

    মোংলায় ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে মাটির রাস্তা,প্রকল্পের টাকা আত্মাৎ এর অভিযোগ।

    মোংলায় ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে মাটির রাস্তা,প্রকল্পের টাকা আত্মাৎ এর অভিযোগ।


    জনগনের ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে ওই রাস্তার উপরই মাটির রাস্তার করার অভিযোগ উঠেছে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর তুষার পোদ্দারের বিরুদ্ধে। মিঠাখালী ইউনিয়নের নিতাখালী গ্রামে কাবিখা প্রকল্পের(কাজের বিনিময়ে খাদ্য) আওতায় হচ্ছে এই কাজ।

    তবে এই অনিয়মের কথা স্বীকার করে মেম্বর তুষার পোদ্দার বলেন তার চেয়রম্যান উৎপল কুমার মন্ডল যেভাবে বলেছেন সেভাবেই কাজ হচ্ছে।

    এদিকে ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে মাটির রাস্তা করে কাবিখার বরাদ্দ সাত টন চাল আত্নসাতের অভিয়োগ উঠেছে চেয়ারম্যান উৎপলের বিরুদ্ধে। নিতাখালী গ্রামের রেজাউল হাওলাদার, মোঃ এমদাদুল, মিজান ফকির, মুখন্ধ হালদার ও নিতাই হালদার এই অভিযোগ করে বলেন,নতুন চেয়ারম্যান হয়ে উৎপল কুমার মন্ডল নানা অনিয়ম
    শুরু করেছেন। তারা বলছেন,ইটের সলিং রাস্তা কেটে এখানে মাটির রাস্তা করায় প্রমান হয় তিনি দূর্ণীতি করেছেন।

    এদিকে এই অনিয়মের খবর শুনে শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় সাংসদ ও জলবায়ু,বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ও ইউএনও কমলেশ মজুমদার সেখানে যান। অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে ইউনও কমলেশ মজুমদার বলেন, উপমন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্টদের রাস্তা আরও দুই ফুট উঁচু করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর যারা অনিয়ম করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ জাফর রানা বলেন,বৃহস্পতিবারই (১৭ ফেব্রুয়ারী) অনিয়মের খবর পেয়ে সেখানে যাই এবং কাজ বন্ধ করে দেই। কাবিখা প্রকল্পের কাজে কোনও অনিয়ম হলে বরাদ্দের চাল ছাড় হবেনা
    বলেও জানান তিনি।

    জানতে চাইলে এবিষয়ে মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে একটা গ্রুপ লেগেছে, তারা আমাকে কোন কাজ করতে দিচ্ছে না। আর অনিয়মের বিষয়ে তিনি সামনে এসে কথা বলবেন বলে এই প্রতিবেদকে জানান।

    প্রসঙ্গত,এর আগে চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজ না করে টাকা আত্সাতৎ এবং শ্রমিকের তালিকায় নিজের ভাইয়ের নাম দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন।

  • নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য স্বামীকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ।

    নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য স্বামীকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ।

    নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য স্বামীকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ।


    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার শ্যামলী আবাসিক এলাকার রেজওয়ানা চৌধুরী নিরমা।নির্যাতন থেকে বাঁচতে স্বামীকে তিন কোটি টাকা দিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন স্ত্রী নিরমা। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় এক সাংবাদ সম্মেলন করেন নিরমা।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী নিরমা জানান, তিনি তার পিতার একমাত্র কন্যা। তার পিতার সম্পত্তির প্রতি তার স্বামীর লোভ হওয়ার কারনে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়, সেই সাথে তার স্বামী শফিউল্লাহ উরফে উজ্জ্বল তাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে ।

    তিনি জানান, তার মায়ের নামে থাকা ব্যাংক এফডিআর ও নিজের নামে থাকা ব্যাংক এফ ডি আর ভেঙ্গে বিভিন্ন সময়ে তার স্বামীকে প্রায় তিন কোটি টাকা দিয়েছেন। এখন সে আরো টাকার জন্য চাপসৃষ্টি করতে থাকে এবং নানাবিধ শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বামীর হাত থেকে বাঁচার জন্য ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশ এনে তিনি তার হাত থেকে প্রাণে বাঁচেন। এবং স্বামীকে ডিভোর্স দেন।

    এ ঘটনায় তার ডির্ভোসী স্বামী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার বৃ-দেবস্থান  গ্রামের শফিউল্লাহ অরফে উজ্জ্বল এর উপর মামলা করেন। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

    তিনি বলেন, মামলার পর তার বাবার বাড়ির পরিচিত এক ব্যাক্তি শ্রীমঙ্গল নুরফুডস এর ম্যানেজার মো: সাইফুল ইসলামকে জড়িয়ে ঢাকা ভাটারা থানায় গাড়ি চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার  করা হয়। গাড়ি তার মায়ের বাসায় রেখে যায় মামলার বাদীর ভাই তার সদ্য তালাক দেয়া স্বামী শফিউল্লাহ উরফে উজ্জ্বল।

    যার সিসিটিভির ফুটেজ শ্রীমঙ্গল শহরের একাধিক জায়গায় সংরক্ষিত আছে। মামলার বাদী গাড়ির মালিকও নয়। তাছাড়া যাকে মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে সে এ বিষয়ে কোন কিছুই জানে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে সময়ে ঢাকা থেকে গাড়ি চুরি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে সে সময়ে সে শ্রীমঙ্গলে নুরফুডসের ক্যাশে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিল।

    যার সিসিটিভির ফুটেজেও সংরক্ষিত আছে। কিন্ত পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এই ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে একজন নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    তিনি আদালতের প্রতি অনুরোধ করেন এই মিথ্যা মামলা থেকে একজন নিরপরাদ মানুষকে জামিন প্রদান করে এ ঘটনায় প্রকৃত চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে রেজয়ানা চৌধুরীর মা ফরিদা এফ এ চৌধুরী বলেন,  আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।

    এই স্বাধীন দেশের পুলিশ তদন্ত না করে কাউকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করবে এটা ভাবতেও পারিনি। তিনি বলেন, মেয়ে ও নাতির দিকে তাকিয়ে একজন মাদকাসিক্তকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছি। আমরাকি এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারিনা।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রেজওয়ানা চৌধুরীর ছেলে শেখ মোহাম্মদ সাদমান সালেহিন জিয়ন বলেন, এই গাড়িটি চড়ে তার বাবা মা সহ ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল এসেছে। বাবাই গাড়িটি তার নানুর বাসায় রেখে গেছে। তাহলে অন্য একজন গাড়িটি কিভাবে চুরি করলো এটা মিথ্যা ঘটনা। এ সময় জিয়ন আরো বলে নেশা করে তার বাবা তার মাকে মারধর করে টাকা চায়। এটা তার ভালো লাগেনা।

    এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার এস আই আসাদ জানান, এ ব্যাপারে রেজওয়ানা চৌধুরীর দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলার আসামীকে ধরতে তারা ঢাকায়ও অভিযান করে এসেছেন কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার আসামী আগেই পালিয়ে যায়।

    গাড়িটির ব্যাপারে তিনি বলেন এটা ঢাকা ভাটারা থানার মামলা। ওরা আমাদের কাছে কোন তথ্য চাইলে আমরা গাড়িটির অবস্থানের বিষয়ে সত্যতা বলতে পারবো।

    এ ব্যাপারে ঢাকা ভাটারা থানার এস আই হাফিজ জানান,ভাটারা থানায় একটি গাড়ি চুরির মামলা হয়েছে এ মামলায় শ্রীমঙ্গল রেজওয়ানা চৌধুরীর মায়ের বাসার সামনে থেকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে নিয়ে চুরির অভিযোগকৃত গাড়িটি উদ্ধার করেন।

    এ ঘটনায় মামলার এজহার নামীয় একজন আসামীকেও আটক করা হয়। তবে শ্রীগ্রই ন্যায় বিচার প্রাপ্তির স্বার্থে তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

  • মাধবপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে”পরিবারকে অবরুদ্ধের” অভিযোগ।

    মাধবপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে”পরিবারকে অবরুদ্ধের” অভিযোগ।

    মাধবপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে”পরিবারকে অবরুদ্ধের” অভিযোগ।

    জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খিলগাও গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন চলাচলের রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে একটি পরিবারকে কার্যত অবরুদ্ধ ও গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী সাংবাদিক শ্রীবাস সরকার জানান, তাদের নিজ গ্রাম আদাঐর ইউনিয়নের খিলগাঁওয়ে পূর্ব থেকেই মনিন্দ্র সরকারের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
    বিরোধের জেরে শুক্রবার (১১ফেব্রুয়ারি) সকালে মনিন্দ্র সরকারের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় মাটি ভরাটের মাধ্যমে ঘর নির্মান কাজ শুরু করে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করায় শ্রীবাস সরকারের পরিবারের লোকজন কার্যত অবরুদ্ধ ও গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।ঘটনার সময় বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ আক্রমণে উদ্যত হলে আশেপাশের লোকজন এসে নিবৃত্ত করে।
    দৈনিক দেশসেবা ও দৈনিক সরেজমিনবার্তার মাধবপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক শ্রীবাস সরকার জানান, প্রতিপক্ষ যে কোনো অঘটন ঘটিয়ে তাদেকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে।বর্তমানে শ্রীবাস সরকার তার পরিবার পরিজনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন।
    মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এইআইকে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত নেহেরলাল সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • ওসমানীনগরে জোরপূর্বক প্রবাসীর বসতবাড়ি দখল চেষ্ঠার অভিযোগ।

    ওসমানীনগরে জোরপূর্বক প্রবাসীর বসতবাড়ি দখল চেষ্ঠার অভিযোগ।

    সিলেটের ওসমানীনগরে আমেরিকা প্রবাসী বসতবাড়ির জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও প্রভাবশালী চক্র প্রবাসীর বসতবাড়ির জায়াগা দখল করে নির্মান কাজ শুরুর চেষ্টা করলে এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তভোগী প্রবাসীর কেয়ারটেকার ও স্বজনরা।

    উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের খছরুপুর এলাকার আমেরিকা প্রবাসী আজিজুর রহমানের বসতবাড়ির জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ শুক্রবার বিকালে ওসমানীনগর অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী আজিজুর রহমানের বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল কাইয়ুম ও মামা ইউপি সদস্য এহশাম উদ্দিন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে,উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের খছরুপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের কাছ থেকে ২০০২ সালে খছরুপুর মৌজার জেএল নং ৪৪, ও ৮৮৪ খতিয়ানের ৩১৩,৩১০,৩১৪,৩১৫ দাগের পৃথক তিনটি দলিলমূলে ৬০ শতক ভূূমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মান করে পারিবারিকভাবে বসবাস করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আজিজুর রহমান।

    এদিকে আজিজুর রহমান বসতবাড়ি নির্মানের পর একই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমকে কেয়ার টেকারের দ্বায়িত্ব দিয়ে আমেরিকা চলে যাওয়ার পর মৃত সফিক উল্যার পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী হানিফ উল্যা ও রইছ উল্যাসহ তাদের সহযোগিরা প্রবাসী আজিজুর রহমানের বসতবাড়ির দখলের পায়তারায় মরিয়া হয়ে নানা সড়যন্ত্রে মেতে উঠে।

    এ বিষয়ে আজিজুর রহমানের কেয়ারটেকার আব্দুল কাইয়ুমসহ দেশে অবস্থানরত অনান্য স্বজনদের নানাভাবে হয়রানী ও প্রবাসী আজিজুর রহমানকে নানাভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হানিফ উল্যা ও তাঁর সহযোগিরা। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী আজিজুর রহমানের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা চলমান থাকার পর প্রভাবশালী হানিফ উল্যা ও তাদের সহযোগিরা আরও বেপরোয়া হয়ে বসতবাড়ি দখলসহ নানা ভবে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় তাদের ভয়ে দেশে আসতে সাহস পাচ্ছেন না প্রবাসী আজিজুর রহমান।

    এরই জের ধরে প্রবাসী হানিফ উল্যা ও খছরুপুর এলাকার মাছুম আহমদ নেতৃত্বে তাদের সহযোগিদের নিয়ে শুক্রবার সকালে প্রবাসী আজিজুর রহমানের বসতবাড়ি দখল করে পাকা দেয়াল নির্মানের চেষ্টা চালায়। এসময় আজিজুর রহমানের কেয়ারটেকার আব্দুল কাইয়ুম ও তাদের অনান্য স্বজনরা বাধা দিলে তারা মারমুখি অবস্থান নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর বসতবাড়ি রক্ষাসহ প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

    সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,আব্দুল আলী, এমজাদ আলী,ইউপি সদস্য এহসাম উদ্দিন ও আব্দুল কাইয়ূম। ইউপি সদস্য এহশাম উদ্দিন অভিযোগ কওে বলেন,আমার ভাগ্নে আজিজুর রহমানের খরিদকৃত জায়গায় নির্মিত বসতবাড়ির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রভাবশালী হানিফ উল্যাসহ তাদের সহযোগিরা। বিষয়টি নিয়ে তারা আমাদের নানাভাবে হয়রানীসহ ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তাদের ভয়ে আজিজুর রহমান দেশে আসতেও সাহস পাচ্ছেন না।

    এ ব্যাপারে প্রবাসী হানিফ উল্যার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
    ঘটনাস্থল পরিদর্শন কারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই এয়াকুব জানান,অভিযোগের ভিত্তিত্বে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জায়গা সংক্রন্ত হওয়ায় উভয় পক্ষে কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ৭ বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিয়োগে জামাল হোসেন মৃধা গ্রেপ্তার।

    ৭ বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিয়োগে জামাল হোসেন মৃধা গ্রেপ্তার।

    নাটোরের নলডাঙ্গায় সাত বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে রাতেই ওই ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তির নাম জামাল হোসেন মৃধা ,তিনি উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মৃধার ছেলে।

    নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,দুই সপ্তাহ আগে উপজেলার পূর্ব মাধনগর ফসলি মাঠে শাক তুলতে যায় ৭ বছরের ওই শিশু।এ সময় জামাল হোসেন একা পেয়ে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে বিভিন্ন গোপাঙ্গে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।এ ঘটনার সময় ওই নির্যাতিত শিশুর দুই বান্ধবী ছুটে এসে প্রতিবাদ করলে তাদের পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।পরে বিযয়টি পরিবার কে জানালেও সঠিক ভাবে চিনতে না পারায় নাম বলতে পারেনি।

    এ ঘটনার কয়েকদিন পরে নির্যাতনকারী ওই ব্যাক্তি তার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে চিনতে পেরে পরিবারের লোকজন কে জানায় শিশুটি।বিযয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আপোস মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করে প্রভাবশালীরা।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশু শাক তুলতে গেলে জামাল হোসেন নামের ওই ব্যাক্তি পিছন থেকে ঝাপটে ধরে যৌন নিপীড়ন করে।এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করলে বুধবার রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বৃস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার কৃত জামাল হোসেন কে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

  • লক্ষ্মীপুরে ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার দাবিতে মানববন্ধন। 

    লক্ষ্মীপুরে ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার দাবিতে মানববন্ধন। 

    লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩তিন ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সামনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘন্টাব্যাপী এই আয়োজন করে। একই দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপিও দেয় শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে রায়পুর আব্দুর রহমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের ধারা অনেক ছাত্রী যৌন নিপিড়নের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি নবম ও দশম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে তিনি মোবাইলে ও ফেসবুকের মাধ্যমে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। যার স্ক্রীন শট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষকের যৌন নিপিড়নের সুষ্ঠু বিচার, বহিষ্কার ও শাস্তি দাবী জানান তারা।

    বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিমের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান বলেন, যৌন নিপিড়নের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কেউ শিক্ষার্থী নয়। কোন ছাত্রী অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম সাইফুল হক বলেন, মানববন্ধন ও অভিযোগের বিষয়টি আমরা জেনেছি। এই ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এই ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • এমপিকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার।

    এমপিকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জ -৪ উল্লাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমামকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আলম খান (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বুধবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের কানসোনা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা আলম খান কানসোনা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

    উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জলের থানার মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম সম্পর্কে দুর্নীতিবাজ, অগণতান্ত্রিক, নেতা-কর্মী নিযার্তনকারী ও বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলম খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করিয়া প্রচার ও প্রকাশ করে। উক্ত পোস্টের আলোকে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯(১), ৩১(২) ও ৩৫(২) ধারায় মানহানি কর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে এলাকায় বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টার অপরাধে আলম খানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেন।

    উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জলের মামলার প্রেক্ষিতে আলম খানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান জানান, আলাম খান সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।

  • পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবর-দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবর-দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে লামচর ইউনিয়নের মোহাম্মদীয়া বাজারে কালিকাপুর মৌজায় স্থানীয় মোঃ রুহুল আমিন ৩১ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত ভোগ-দখল করে আসছে।

    সম্প্রতি টঙ্গী পশ্চিম থানায় কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম সুমন ঐ সম্পত্তির পাশে ৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঐ অসহায় পরিবারের সম্পত্তি জবর-দখল চেষ্টা করে আসছে। সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগী মোঃরুহুল আমিন জানায়,১৯৯৪ সালে পাশ্ববর্তী পাটোয়ারী বাড়ির আবুল কাসেম গং হইতে মোহাম্মদীয়া বাজার সংলগ্ন ৭৫ নং কালিকাপুর মৌজার ১৮৪২ দাগে ৪৫ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত দাগের পশ্চিমাংশ ভোগ-দখল করছে ।

    গত ৫/৬ মাস পূর্বে পাশ্ববর্তী হাসন্দী গ্রামের মৃত শামসুল ইসলাম ছেলে নজরুল ইসলাম সুমন টঙ্গী পশ্চিম থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক উক্ত দাগের পূর্বাংশ থেকে অপর ওয়ারিশের কাছ থেকে ৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে। সে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ অফিসার হওয়ায় পুলিশি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উক্ত দাগের পশ্চিমাংশের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ।

    ভুক্তভোগী রুহুল আমিনের ছেলে রায়হান আলী জানান,গত ২৯ জানুয়ারি এলাকায় সালিসি বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর সুমনকে পূর্বাংশ হইতে তাহার ৩ শতাংশ সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন আমরা পশ্চিম অংশে দেওয়াল নির্মানের কাজ শুরু করিলে সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে ৩১শে জানুয়ারি রাতে কাজে বাঁধা দেওয়ার উদ্দেশ্য আমাদের দেওয়াল নির্মানে স্থলে কয়েক গাড়ি ইট- বালি রেখে কাজ বন্ধ করে দেয়।

    এই ব্যাপারে মোহাম্মদীয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন,কোষধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাসেম সহ অনেকেই বলেন,দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত আমাদের জানামতে এই সম্পত্তি রুহুল আমিন ভোগ-দখল করে আসছে এখন হঠাৎ করে নজরুল ইসলাম সুমন পূর্ব পাশে নালে ৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে পুলিশ অফিসার হওয়ায় ক্ষমতা প্রভাবে পশ্চিমে রুহুল আমিনের মূল্যবান সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা করছে।

    সম্পত্তির আগের মালিক আবুল কাসেম পাটোয়ারী বলেন, বহু বছর পূর্বেই আমাদের ৪৮ শতাংশ সম্পত্তি হইতে পশ্চিম অংশে ৪৫ শতাংশ সম্পত্তি রুহুল আমিনের কাছে বিক্রি করি বাকী ৩ শতাংশ আমাদের ওয়ারিশেরা নজরুলে ইসলামের কাছে বিক্রি করে।

    এই বিষয় অভিযুক্ত টঙ্গি থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম সুমন জানান,সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়ে পূর্ব পাশে দখলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে রুহুল আমিনের ভাগিনী বাধা দেয়। তাছাড়া রুহুল আমিন ১৭শতাংশ সম্পত্তি সম্পত্তি ক্রয় করে ৪৮শতাংশ সম্পত্তি দখল করে রেখেছে কী ভাবে?

  • আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ।

    আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দাশেরহাট পুলিশ ফাঁড়ি সাথে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ী বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

    এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃআব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন পূর্ব সৈয়দ পুরের সুলতান মেম্বার বাড়ির, মৃত সৈয়দ আহমদ এর ছেলে, মুহাম্মদ (৪০) জামাল হোসেন (৪৫) রহিম (৪২) ওয়াকিল (৩২) ও মৃত সুলতান আহমদ এর ছেলে জবি উল্যা (৪৮) ও বাতেন (৩৪)।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ২০১নং পূর্ব সৈয়দপুর মৌজার আরএস খতিয়ান নং- ৯৯/৮১২ভূক্ত হাল দাগ ২৫৫১/২৫৫২দাগের অন্দরে ১৫শতাংশ জমির মালিক মামলার বাদী মো. আব্দুস সাত্তার। দীর্ঘ ৪০, চল্লিশ বছর যাবত ওয়ারিশ সূত্রে ও ক্রয় সূত্রে ভোগদখল করে আসছি। বিবাদীগন হঠাৎ করে রাতের আধাঁরে আমার জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছে। ইতিপূর্বে একাধিক বার তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ সালিশ বৈঠক করা হয়েছে। থানায় ও পুলিশ সুপার এর কাছেও অভিযোগ করেছি। বিবাদীগন কারো বিচার সালিশ মানছেন না। আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করেছি। আদাতল কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    এই বিষয়ে বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

    এই বিষয়ে চন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক বলেন, আমি আদালতের নির্দেশে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছি বিবাদী আইন অমান্য করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।