Tag: অভিযোগ

  • নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।

    নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।

    নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।


    বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গত সোমবার (২০শে জানুয়ারী) সমিতির অধিকাংশ সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সমিতির সভাপতি সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে পুকুর ডাকা, মিটিং রেজুলেশন নির্বাচন, সকল কার্যক্রম একাই পরিচালনা করছে। সমিতির কোন সদস্যদের সাথে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না। সমিতির সকল আয় ব্যয় একাই ভোগ দখল করছে। এসব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সভাপতি যদি কোন পুকুর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে থাকে তাহলে তা বাতিলের জন্য দাবীও জানানো হয়।

    অভিযোগের বিষয়ে বাদী সমিতির সাধারন সম্পাদক মোবারক আলী ও সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলী দীর্ঘ ৬ বছর যাবত সমিতির আয় ব্যয় সহ কোন কার্যক্রমে আমাদের সম্পৃক্ত করেনি। সমিতির বিষয়ে সভাপতির সাথে কথা বলতে গেলে সব সময় তাল বাহানা করত। তাই বাধ্য হয়ে সমিতির সাধারন সম্পাদক সহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট সমিতির আমরা ১৩ জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলীর মোবাইলে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

    উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে আবদুল মান্নান নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে তার বিধবা শ্বাশুড়ি শাহিদা বেগমের ঘর পেট্টোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় মান্নান ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শনিবার (১৮ জুন) সকালে ভুক্তভোগী শাহিদা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এই ঘটনায় ১৫ জুন শাহিদার বাবা আলী হোসেন কমলনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শাহিদা উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড লরেন্স গ্রামের ভক্তেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী দুলাল হোসেন মারা যাওয়ার পর থেকে ভক্তেরপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে একটি টিনসেট ঘরে বসবাস করেন তিনি।

    অভিযোগ সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল খালেকের ছেলে মান্নানের সঙ্গে শাহিদার মেয়ে নুপুর আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে প্রতিবন্ধী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় ৩ বছর আবুধাবিতে প্রবাস জীবন ছিল মান্নানের। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর অশ্লীল ছবি দেওয়ার জন্য তিনি বায়না ধরেন। কিন্তু তার স্ত্রী দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সংসার খরচ ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ছেলেকে নিয়ে নুপুর মায়ের বাড়িতে চলে আসে।

    একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি অশ্লিল ছবি স্বামীর কাছে পাঠায়। কিন্তু মান্নান ছবিগুলো ইমোতে স্ত্রীর স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তোলে। গত ৬ মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকে স্ত্রীকে ১এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। বিধবা মায়ের কাছে টাকা চাওয়া সম্ভব নয় বললে মান্নান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। মান্নান হুমকি দেয় নিজেরে ছেলেকে মেরে ফেলবে। ঘরে আগুন দিয়ে নুপুর ও তার মাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এতে ১৪ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে বিধবার ঘরে। পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় মান্নান ও তার সহযোগী বেলালের বিরুদ্ধে আলী হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

    শাহিদা বেগম জানান, ঘটনার দুইদিন আগেই মান্নান তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই ভয়ে নিজ ঘর ছেড়ে মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে তিনি বাবার ঘরে ঘুমাতে যান। মধ্যরাতেই পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তার ঘর পুড়ে ছাই করে ফেলেছে। মান্নানই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    শাহিদার বাবা আলী হোসেন বলেন, আমার ছেলেরা মান্নানকে বিদেশ নিয়েছিল। সেখান থেকে এসে সে নাতনিকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সে আমার মেয়ের ঘর পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। আমার মেয়ে, নাতনি ওই ঘরে থাকলে আগুনে পুড়ে মারা যেত। আমি মান্নানের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

    অপর অভিযুক্ত বেলালের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা নজির আহম্মদ বলেন, বেলাল ও মান্নানকে একসঙ্গে দেখেছি। বাজার থেকে পেট্টোল কিনে তারাই আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

    বক্তব্য জানতে আবদুল মান্নানকে ফোন দিলে তিনি দেখা করে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন। তার দেওয়া ঠিকানায় সাংবাদিকরা গিয়ে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    এই ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, কেউ তা দেখেনি। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার স্বামীর অত্যাচারে সর্বশান্তের অভিযোগ। 

    সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার স্বামীর অত্যাচারে সর্বশান্তের অভিযোগ। 

    সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার স্বামীর অত্যাচারে সর্বশান্তের অভিযোগ। 


    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার সহযোগী স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অত্যাচারে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছেন। সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা উপজেলার পৌর ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের মৃত মকবুল ফকিরের মেয়ে এবং রাজাপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুম।

    আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রাজপুর হলেও তিনি কাজল রেখার বাড়িতে জাগিড় থাকতেন। তারপর কাজল রেখাকে বিয়ে করে ক্ষিদ্রমাটিয়া তে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। সম্পদ বলতে ৯ শতাংশ জমি ছাড়া তাদের তেমন কোন সম্পদ ছিলো না। তার স্বামী পেশায় একজন ক্ষুদ্র হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবসায়ী। কিন্তু ঔষধ ব্যবসার আড়ালে কাজল রেখা ও আল মামুন এলাকার অসহায় সাধারণ মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে চড়া সুদে মানুষকে হয়রানী ও সর্বশান্ত করে আসছে। তাদের সুদের জালে জড়িয়ে এ পর্যন্ত ভিটে মাটি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন এলাকার অনেকেই। আবার সুদ আসল সহ টাকা পরিশোধের পরেও সুদ ব্যবসায়ীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকজন ঢাকা পাড়ি জমিয়ে মানবতর জীবন যাপন করছেন।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, পাঁচ-ছয় বছর আগেও উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে কাজল রেখার একটা টিন সেট ঘর ছাড়া অন্য কোনো ঘর ছিলো না। সুদের কারবার করে কাজল রেখা শূন্য থেকে এখন কোটিপতি। সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পথে বসিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের একটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তাতে নির্মাণ খরচ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে সুদের কারবার করে হঠাৎ করেই তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন। তাছাড়াও ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামে আরও ২ দুটি বাড়ি ও অসংখ্য জমিজমাও ক্রয় করেছেন।

    একাধিক সূত্র জানায়, হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে যারা টাকার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েন তাদেরকেই মূলত টার্গেট করেন। অর্থ সংকটে পড়া বিপদগ্রস্ত এসব মানুষজন তাৎক্ষণিক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর টিপ সই দিয়ে চড়া সুদে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক, জমির দলিলপত্র নিয়েও টাকা দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে নিয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের সুদ। প্রতি সপ্তাহে মূল ১ হাজার টাকায় সর্বনিম্ন ২০ টাকা হারে সুদ নেয় যা বছর শেষে সেটা শুধু লাভ দাড়ায় ১ হাজার ৪০ টাকা। এই সুদের টাকা দিতে না পারলে তার উপর চলে অত্যাচার আর নির্যাতন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন এলাকাবাসি বলেন, সময় মতো সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আগেই নিয়ে রাখা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকে তিনি তার ইচ্ছামতো টাকা বসিয়ে উকিল নোটিশ পাঠান।

    সুদের টাকা নিয়ে নিঃস্ব হওয়া উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে গোলাম মোল্লা বলেন, আমি বিপদে পরে সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখার কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম। সেই টাকা পরিশোধ ও দুই গুন লাভ দিয়েও ঋণের হাত থেকে রেহাই পাইনি। পরে সুদ শোধ করতে আমার ভাই জামিন নিয়ে আরো ১০ হাজার টাকা দিয়ে পরিশোধ করে।

    ক্ষিদ্রমাটিয়া উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত বক্কার শেখের ছেলে চাঁন শেখ বলেন, ২ বছর আগে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে ছিলাম। আসলসহ ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও বাড়ির জায়গাটুকু জোর করে লিখে নেই। ভিটে মাটি হাড়িয়ে এখন ঢাকায় থাকি।

    ক্ষিদ্রমাটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের তারা বানু জানান, এলাকার সুদখোর কাজল রেখার কাছ থেকে হাজারে ২০ টাকা লাভে সুদ নেই। চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ দিতে দিতে ভিটে মাটি হারানোর উপক্রম হচ্ছে।

    এ বিষয়ে সহযোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সুদের সাথে তিনি জড়িত না। তবে তার স্ত্রী কাজল রেখা বেশ কিছু দিন আগে সমিতির সাথে জড়িত ছিলো।

    এ বিষয়ে সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুদ ব্যবসায়ী বিষয়টা সমিতির উপর দিয়ে গড়িয়ে দেন।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, কাজল রেখা ও তার স্বামী যে সুদের ব্যবসার সাথে জড়িত এটা আমি অবগত। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে পারছি না। অভিযোগ পেলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনিসুর রহমান জানান, সুদের ব্যবসা করার কোন ধরনের সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।


    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সলিম উদ্দীনকে (৪৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মৃতের ছেলে বাবু রানা এ অভিযোগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    মৃত সলিম উদ্দীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বুনিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

    অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম একই এলাকার খেজু মোহাম্মদের ছেলে।

    জানা গেছে, গত চার বছর ধরে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সলিম উদ্দীনের স্ত্রী আকলিমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে একাধিকবার বিচার-সালিস করা হলেও সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। গত মঙ্গলবার সকালে সলিমের বাড়িতে গেলে রফিকুলকে আটকে রেখে স্থানীদের কাছে পুনরায় বিচার চান।

    মৃতের ছেলে বাবু রানা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসেন। এরপর বিকেলে বাবা বালিয়াডাঙ্গী বাজারে গেলে তাঁকে জোর করে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পরে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে রফিকুল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বাবাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।

    বাবু রানা আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাবার মরদেহ নিতে এসেছি। ময়নাতদন্ত শেষ মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরব। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামসহ জড়িত কয়েকজনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

    বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। এ ঘটনায় সলিম উদ্দীনের পরিবারের লোকজন বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বাঘায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগের পর ঠিকাদারের পাল্টা অভিযোগ।

    বাঘায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগের পর ঠিকাদারের পাল্টা অভিযোগ।

    বাঘায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগের পর ঠিকাদারের পাল্টা অভিযোগ।

    রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবদুল কুদ্দুস নামের এক ঠিকাদার এই হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক আখতার রহমান বাদি হয়ে রাতে থানায় অভিযোগ করেন। আখতার রহমান এশিয়ান টেলিভিশনের রাজশাহী স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    অপর দিকে ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুসের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে মর্মে, শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ করেন। আবদুল কুদ্দুস বাঘা পৌর আ.লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
    এ বিষয়ে সাংবাদিক আখতার রহমান জানান, উপজেলার হরিনা মাষ্টার পাড়া গ্রামে মহসিনের বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৩১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৯ টাকা মূল্যো রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুস। রাস্তার কাজ নিন্মমানের হচ্ছে মর্মে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ওই স্থানে তদন্ত করতে যায়।
    সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ফিরে উপজেলা সদরের সামনে পৌঁছলে বিকেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন ঠিকাদার। তবে আমার বিরদ্ধে আবদুল কুদ্দুস থানার করা অভিযোগে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় আমি চারঘাটের ভায়ালক্ষীপুর গ্রামে একটি সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলাম। তার করা অভিযোগটি ভিক্তিহীন দাবি করেন সাংবাদিক আখতার রহমান।
    এ বিষয়ে ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুস জানান, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আমার একটি সাইডে কাজ চলছে। যা আমি সিডিউল অনুসারে করছি। এক সাংবাদিক সেখানে গিয়ে ছবি তুলেন এবং শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ  করে। আমি ফোনে সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত তার সাথে কথা বলতে চাই। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর আডাই টার দিকে আমার পুরাতন বাড়িতে এসে ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তবে সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, সেটা বানোয়াট ও ভৃত্তিহীন।
    উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার জানান, সানফ্লাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশনের কাছে থেকে স্থানীয় ঠিকাদার আবদুল কুদ্দস ক্রয় করে রাস্তার কাজটি করছেন। নিম্মা মানের হওয়ায় কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুনেছি এক সাংবাদিকের সাথে ঠিকাদারের মতবিরোধ হয়েছে।
    বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাংবাদিক অভিযোগ দেওয়ার পরের দিন শুক্রবার রাতে ঠিকাদার অভিযোগ দিয়েছেন। দুটি অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • বালিয়াডাঙ্গীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে রোগী ফেলে দেয়ার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে রোগী ফেলে দেয়ার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে রোগী ফেলে দেয়ার অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মানারুল হক (৩৮) নামে এক রোগীকে হাসপাতালের দুই তলা ভবন থেকে নিচতলায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহেল রানা (২৬) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

    শুক্রবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই অভিযুক্ত সোহেল রানা হাসপাতাল ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

    আহত মানারুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী জুগিহার গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা বিআরডিবি কার্যালয়ের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সোহেল রানা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বাগানবাড়ী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।

    দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা জানিয়েছে, নিচতলায় পড়ে রোগী মানারুল ইসলামের কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে, মাথায় ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩য় তলায় ১০নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    মানারুল ইসলামের শ্বশুড় রবিউল আলম জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় আমার জামাইয়ের বাড়িতে বসতভিটার জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে আমার জামাই মানারুল ইসলামহ তার পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় তলায় থাকা সোহেলসহ তাদের লোকজন দোতলায় পুনরায় মারধর শুরু করে। সোহেল রানা আমার জামাই মানারুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দিয়ে দোতলা থেকে নিচতলার সিঁড়িতে ফেলে দেয়। এতে জামাইয়ের কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে, মাথায় ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, জামাই ও মেয়ে চিকিৎসার কাজে দিনাজপুরে থাকার কারণে আমি বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় শুক্রবার রাতে সোহেলসহ আরও ৯ জনকে আসামি করে এজাহার জমা দিয়েছি। সরকারি হাসপাতাল একটি নিরাপদ জায়গা, সেখানেও হামলার শিকার আমার জামাই। আমি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার চাই।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মিঠুন দেবনাথ মুঠোফোনে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত মারপিটের আহত রোগীদের মধ্যে গলোযোগ শুরু হলে মানারুল ইসলামকে দোতলা থেকে ফেলে দেয় সোহেল ও তার লোকজন। আমি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই সোহেল ও তার লোকজন হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমাস মুঠোফোনে বলেন, ছুটির দিন থাকায় আমি ছিলাম না। ঘটনাটি শুনেছি। রোগীর অবস্থা বেশি ভালো না, দিনাজপুর মেডিকেলে রেফার্ড হয়েছে। হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনার জন্য আমরাও আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

    এদিকে, অভিযোগ উঠা সোহেল রানাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই জয়নাল আবেদিন শনিবার রাতে মুঠোফোনে জানান, একটা ঘটনা হাসপাতালে ঘটেছে। আপনি যতটা বলছেন ততটা না। সোহেলের সাথে যোগাযোগের জন্য নম্বর চাইলে সোহেল ওই ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না, তার মোবাইলটিও তার কাছে নেই বলে জানান তিনি।

    বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, সকালে হাসপাতাল থেকে গন্ডগোলের কথা জানালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল ঘটনাস্থলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত রোগী কিংবা তাদের স্বজনরো কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

  • তাড়াশে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ,গাছে বেধে ছোট ভাইকে নির্যাতন থানায় অভিযোগ।

    তাড়াশে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ,গাছে বেধে ছোট ভাইকে নির্যাতন থানায় অভিযোগ।

    তাড়াশে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ,গাছে বেধে ছোট ভাইকে নির্যাতন থানায় অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইকে গাছে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ বড়ভাই ও ভাবির বিরুদ্ধে উঠেছে। শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ছোট ভাই পোল্ট্রিফিড ব্যবসায়ী মো: ভুট্রু আলী বাদী হয়ে আপন বড়ভাই আবু সাইদ ও ভাবির বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    নির্যাতনের স্বীকার মো: ভুট্রু আলীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দোবিলা গ্রামের মৃত.তজির উদ্দিনের ছেলে অভিযোগ কারি মো: ভুট্রু আলীর আপন বড় ভাই মো. আবু সাঈদের মধ্যে বাড়ির জায়গা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল অনেক দিন ধরে। ঘটনার দিন শুক্রবার বিকালে বড় ভাই আবু সাইদ জমির ধান বিবাদমান জায়গা রাখতে গেলে ছোই ভাই নিষেধ করে বাজারে যায়। পরে সন্ধার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে আটকিয়ে বড়ভাই আবু সাইদ ও তার স্ত্রী দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে এবং কাছে থাকা মুরগী বিক্রীর ১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

    প্রত্যক্ষদর্শী দোবিলা গ্রামের সরদার মো: সাইফুল ইসলাম ও শামসুল আলম বলেন, ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে আমরা দেখি আবু সাইদ ও তার স্ত্রী মিলে ছোটভাই পোল্ট্রিফিড ব্যবসায়ী মো. ভুট্রু আলীকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে রেখেছে। পরে আমরা সকলে মিলে তাকে উদ্ধার করি।

    অভিযুক্ত বড়ভাই আবু সাইদ বলেন, আমার বাড়ির জায়গা আমার স্ত্রীর নামে বিগত ২০০৫ সালে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি। কিন্ত সেই জায়গা আমার ছোটভাই কাগজপত্র খাজনা ও খারিজ করে নিয়ে তার বলে দাবী করছে। তাকে মারধর করা হয়নি।

    মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ রকিবুজ্জামান আলফিন জানান, তাদের দুইভাইয়ের দ্বন্দ দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ নিরসনে চেয়ারম্যানসহ গ্রামবাসীকে নিয়ে সমাধান করা চেষ্টা করবো।

    এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: জিন্নাত আলী বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বাঘায় অতিরিক্ত দামে পেট্রল বিক্রির অভিযোগ। 

    বাঘায় অতিরিক্ত দামে পেট্রল বিক্রির অভিযোগ। 

    বাঘায় অতিরিক্ত দামে পেট্রল বিক্রির অভিযোগ। 

    রাজশাহীর বাঘায় অতিরিক্ত দামে পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে। চাহিদার চেয়ে আমদানি কম থাকায় দোকানদাররা নিজে নিজেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দেখার কেউ নেই।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি বাজারে খুরচা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে পেট্রল বিক্রি করছেন। কোন কোন দোকানদার ৫-১০ টাকা প্রতি লিটারে বেশি নিচ্ছেন। পেট্রল ব্যবহারকারীদের অভিযোগ দোকানদাররা পেট্রল লুকিয়ে রেখে নিজে নিজে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে পেট্রল ব্যবহারকারীরা পড়েছেন বেকায়দায়।
    এ বিষয়ে বাঘার স্থানীয় মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী লাল মোহাম্মদ লালন নামের এক ব্যক্তি জানান, রোববার সকালে একটি দোকানে গিয়ে এক লিটার পেট্রল নিয়ে ১০০ টাকার নোট দিলাম। দোকানদার ৫ টাকা ফেরত দিলেন। কিছু না বলে চলে আসি। আমি পরিচিত বলে ৫ টাকা ফেরত দিলেন। আমার জানা মতে অন্যদের কাছে থেকে প্রতি লিটারে আরো টাকা বেশি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
    স্থানীয় পেট্রল ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, আমরা যেখানে থেকে পেট্রল ক্রয় করি, সেখানে দাম বেশি নিচ্ছেন। তবে বেশি দামের কোন শ্লিপ দিচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী পেট্রল কিনে বিক্রি করি। আমার দোকানে কোন পেট্রল সংরক্ষিত নেই।
    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, পেট্রলের কোন সংকট নেই। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কোন দোকানদার অতিরিক্ত দাম নিলে ব্যবস্থা নিব।
  • মাধবপুরে চিকিৎসার অবহেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ।

    মাধবপুরে চিকিৎসার অবহেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ।

    মাধবপুরে চিকিৎসার অবহেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ।

    মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার অবহেলায় কিষান বুনার্জী (১১) নামের ৫ম শ্রেণির চাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চা বাগানের শ্রমিকরা ফুসে উঠেছে। শ্রমিকরা শুক্রবার কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। সন্ধ্যায় বাগান ব্যবস্থাপক, পঞ্চায়েত কমিটি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ করা হয়।

    নোয়াপাড়া চা বাগানের ঋতু বুনার্জীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কিষান বুনার্জী কয়েকদিন ধরে কানের ব্যাথায় ভুগছিলেন। তখন ওই শিক্ষার্থীকে বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম তাকে নাম মাত্র কিছু ঔষধ দেয়। এতে তার অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি ঘটে। শুক্রবার সকালে কিষানের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে বাগানের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কম্পাউন্ডার কিষানকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
    এই ঘটনা বাগানে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোর সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করে। সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল , বাগান ব্যবস্থাপক , পঞ্চায়েত সভাপতি বসে কিষান এর পরিবার কে ৬৫ হাজার টাকা দেয়ার রায় দিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।
    নোয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিক সন্তোষ রেলির দাবি, একমাত্র চিকিৎসার অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাকে আগেই রেফার করলে উন্নত চিকিৎসা করা হলে ওই শিশুটির মৃত্যু হত না।
    বাগানের নারী শ্রমিক সুকুন্তলা গোয়ালা বলেন, বাগানের হাসপাতালে কোন চিকিৎসক নেই। কম্পাউন্ডার চিকিৎসা করেন। তার কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে কয়েকটা ট্যাবলেট ধরিয়ে দেয়।
    বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই শিশুর যে রকম সমস্যা ছিল, সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রেফার করা হয়। হবিগঞ্জ নিয়ে গেলে শিশুটি মারা যায়। এখানে চিকিৎসার কোন অবহেলা হয়নি।
    এ ব্যাপারে নোয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ফকরুল ইসলাম ফরিদি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষয়টি শেষ করা হয়েছে। ৬৫ হাজার টাকা ওই পরিবারকে দেওয়া হবে।
    নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে বাগানের গিয়েছি। বাগান পঞ্চায়েত, শ্রমিক, বাগান কৃতপক্ষ বসে সমাধান করেছে। ওই পরিবার কে ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে তাছাড়া ওই পরিবারের একজনকে বাগানে স্থায়ীভাবে চাকুরি দেওয়া হবে।
  • সিংড়ায় কৃষকের পাঁকা ধান কাটায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ।

    সিংড়ায় কৃষকের পাঁকা ধান কাটায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ।

    সিংড়ায় কৃষকের পাঁকা ধান কাটায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ।


    নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বোয়ালীয়া বেলগারি গ্রামের সংখ্যালঘু কৃষক সুশেন কুমার ও ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্রের মধ্যে দন্দশূক চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্রের ধারনা নির্বাচনে তাকে সুশেন ভোট দেয়নি।সেই থেকে তাদের মধ্যে চলছে চরম দন্দশূক। সুশেনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে দুলাল চন্দ্র অভিযোগ সুশেনের।

    এ সুবাদে সুশেন চন্দ্রের জমির পাঁকা ধান কাটতে দুলাল চন্দ্র বাধাঁ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে।বৃষ্টি বাদলের জমিতে পাঁকা ধান নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন জমির ধান ঘরে তুলতে না পাড়লে অভাব অনাটনের মধ্যে দিনযাপন করতে হবে।

    তিনি জানান অভিযোগ এখানেই শেষ নয় তারা দলবদ্ধ হয়ে মরিচের জমিতে পানি দিতে বাঁধা দেওয়াতে ১০ কাঠা জমির মরিচ নষ্ট হয়েছে।

    এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্র জানান ধান কাটতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে ও মরিচ নষ্টের অভিযোগটি সঠিক নয়। সুশেন চন্দ্রের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে চার মাস আগে গ্রামের জনসাধারন মিলে তাকে একঘরে করে রাখার কারনে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

    বেলগাড়ী গ্রামে শ্রমিক বিমান ও অতুল জানান গ্রামের প্রধানবর্গের নিষেধের কারনে সুশেনের জমিতে কেউ ধান কাটে না। এ কারনে তার জমিতে পাঁকা ধান পড়ে আছে এবং ধান পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া পানির অভাবে তার চাষ করা মরিচও নষ্ট হয়েছে।

    ভুক্তভোগী কৃষক সুশেন কুমার অভিযোগ করে বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফ্যান মার্কার কাজ না করে মোরগ মার্কার কাজ করায় সমাজের মধ্যে একঘরে করে চলাফেরার বাঁধার সৃষ্টি করে তার মান সন্মান নষ্ট করেছে এবং ফসলি জমির ফসল নষ্ট করেছে।আমি পুলিশ প্রসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সবিনয় অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।

    এবিষয়ে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা ছিলো না। তবে কাউকে একঘরে করে রাখা বা ধান কাটতে শ্রমিকদের নিষেধ করা আইনগত ভাবে অপরাধ, তাছাড়া বিষয়টি উদ্বেগের। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।