Tag: অভিযোগ

  • দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল মারপিটের অভিযোগ। 

    দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল মারপিটের অভিযোগ। 

    . ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের সেনিহারি এলাকায় দিন-দুপুরে দেশীয় অস্ত্র ও দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল ও মুজাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলাল গং ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। আহতদের  উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা।

    সোমবার (০৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মুজাহারুল ইসলাম এ ঘটনায় রুহিয়া থানায় অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগের পর থেকে জমি দখলকারীদের হামলার আতঙ্কে সময় পার করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

    মুজাহারুল ইসলাম জানান, বেলালের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে কারণে-অকারনে ঝগড়া করে আসছিলেন। বেলাল, রুস্তম প্রতিনিয়তই আমার পরিবারকে মারধর করে বসতভিটা সহ আবাদি জমি জবর-দখলের হুমকি দেয়। গত শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বেলাল গং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিশোঠা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার তফশীলকৃত আবাদি জমিতে আইল দিতে গেলে আমি বাঁধা প্রধান করলে তারা ৫/৭ মিলে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আমাকে আটক করলে আমি চিৎকার করলে আমাকে বাঁচাতে হালিমা বেগম এগিয়ে আসলে বেলাল লোহার রড দিয়ে তার মাথায় জোরে আঘাত করে।

    এর পর সাহেলা বেগম ও লুৎফা বেগম আসলে তাদের এলোপাথালী মারধর করতে থাকে তারা। এসময় বেলাল লোহার রড দিয়ে সাহেলার পায়ে আঘাত করলে তার দুই পা ভেঙ্গে যায় আর লুৎফার বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই সময় সাক্ষী সাম্মি আক্তার আমাদের রক্ষা করতে আসলে বেলালের লোকজন তার বুকের উপর উঠে এলোপাথালী মারধর ও তার পরনের কাপড়চোপড় চিড়ে শ্লীলতাহানী করেন এবং সাম্মির গলা ও হাতে স্বর্ণস্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। আমরা গুরুতর অবস্থায় ঘটস্থলে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমরা বাড়িতে কেউ না থাকায় বেলালের লোকজন বাড়িতে গিয়ে আমার ভাসতী বউমাকে একা পেয়ে চুলের মুঠি ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে রুহিয়া থানায় একটি মামলা করেছি। মামলা করার পর থেকেই আসামীরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি  দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সুষ্টু বিচার চাই।

    এদিকে অভিযুক্ত বেলাল গং এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

    রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহেল রানা  বলেন, এ বিষয়ে মুজাহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির তথা নুনিয়াপাড়া জামে মসজিদ পুকুরটির মাছ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ভোর রাতে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম সুমন ও মোঃ মজিদের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয় ও রামগঞ্জ থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজের অজু করতে উঠে বাড়ির কিছু মুরুব্বী সুমন বিষের বোতল হাতে পুকুরে বিষ ঢালতেছে। এমন সময় বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে সে দ্রুত বিষ ডেলে বোতল হাতে নিয়ে পালিয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    মুক্তভুগী ফরিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শিহাব হোসেন, ইমারত হোসেন, মো:দুলাল মিজি, সিরাজ মিজি, হোসেন মিজি জানান, ১৪২৪ বাংলা শন হইতে ৩০ই চৈত্র ১৪২৮ পর্যন্ত পুকুরের ইজারার মেয়াদ ছিল। এর পুকুরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইজারাদার পানি নিষ্কাশন করে আমাদেরকে পুকুর বুঝিয়ে দেয়। এর গত বৈশাখের ২ তারিখে আমরা পুকুরে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে পোনা মাছ ছাড়ি। কিন্তু সাইফুল ইসলাম সুমন ও মজিব তাদেরকে পুনরায় পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য বাড়ির লোক ও মসজিদ কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করে। আমরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গতকয়েকদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি ও নানাধরনের মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আসছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার, ভোর রাতে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ মেরে ফেলে।

    এই ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমরা পুকুরের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। তাই আমার পুকুরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে।

    এই ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার (ওসি) এমদাদুল হক জানান, মাছ নিধরের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • বেলকুচিতে প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

    বেলকুচিতে প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

    বেলকুচিতে প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নাবিন মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে প্রধান আসামিসহ চারজনকে বাদ দিয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে বেলকুচি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মামলায় প্রধান আসামী ঢাকার মন্ডল গ্রুপের জিএম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ও বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদসহ চারজনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিতে অবশেষে আদালত বরাবর সুপারিশ পাঠিয়েছে পুলিশ। শাহাদত হোসেন মুন্না, ইয়াসিন আলী, সবুজ, হয়রত আলী, মাসুদ, সৌরভ, আলমাছ, আসাদুল ও সোলেয়মানসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে গত ৩০ জুন আদালতে চার্জশীট জমা দেয় পুলিশ। জমা প্রদানের পর থেকে চার্জশীট সুকৌশলে নজরবন্দী রাখায় দেখা সম্ভব হয়নি। ঈদের ছুটি শেষে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোস্তফা কামাল রোববার অফিসে আসেন। অতপর দুপুরে তা দেখার সুযোগ মেলে। মুল চার আসামীই বাদ দেবার বিষয়টিও নিশ্চিত হন মামলার বাদী।

    বাদী নাবিন মন্ডল বলেন,গত ১০ জুন সন্ধ্যায় আমাকে মারপীটের ঘটনার পর রাতে আমার বাবা যখন বেলকুচি থানায় যান তখনই ওসি সাহেব ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ, সজিব আহম্মেদ ও হাকিম মন্ডলের নাম বাদ দেবার জন্য পিড়াপিড়ি করেন। বাবা রাজি না হওয়ায় মামলা নিতে গড়িমশি করে পুলিশ। ঘটনার চারদিন পর মামলা হলেও জখমের গ্রীভিয়াস সনদ আদালতে পৌঁছাতেও পুলিশের গড়িমশিতে ওই চারজন বাদে সকল আসামীই জামিন পান। তদন্তে এসে স্বাক্ষীর বক্তব্য ও আলামত গ্রহনেও নানা কৌশল ও টালবাহানা করে পুলিশ। পুলিশ শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামসহ মুল চারজনকে বাদ দিবে, তা আগে থেকেই আমরা আশঙ্কা করেছিলাম। আগামী ২৪ জুলাই এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। আইনজীবির মাধ্যমে আমি নারাজি দেবার প্রক্রিয়া করবো।’

    বাদীর বাবা দৌলত মন্ডল বলেন,বেলকুচি থানা পুলিশ যে শুধু আমার ছেলের বেলায় এ ধরনের রহস্যজনক আচরণ করেছে তা নয়। আলহাজ সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী মাসুদ এবং ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ভুঁইয়া ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযুক্ত হলেও একই ধরনের নাটকীয়তার আশ্রয় নেন পুলিশ। আমার ছেলেকে মারপীটের এজাহারে স্বাক্ষী জামাল উদ্দিন বাপ্পী, রিপন চক্রবর্তী, রুবেল তালুকদার, অলিফ সরকার, মোখলেছুর রহমান রতন এবং চেয়ারম্যান মির্জা সোলেয়মান পত্নী স্বীকৃতি বেগমের নাম রয়েছে। তারা গত ৩০ জুন সুস্পষ্টভাবে সকলের উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য দিলেও রহস্যজনক ভাবে ওই সকল আসামিদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। বেলকুচি থানা পুলিশের এসব অনৈতিক ও গড়িমশির বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের আইজিপি মহোদয়ের কমপ্লেইন শাখায় অভিযোগ দেবার কথাও ভাবছি।

    বেলকুচি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিয়ামুল কথা বলতে রাজি না হলেও। অন্যদিকে (ওসি) গোলাম মোস্তফা দাবি করেন,তদন্ত ও স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় চার জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া,নয়জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদনও আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আমলে নিতে পারেন, চুড়ান্তই সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন।

    কোর্ট ইন্সপেক্টার মোস্তফা কামাল বলেন, সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে বাদীর না-রাজি দেবারও উপযুক্ত বিধান রয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম নামক প্রত্যন্ত চলনবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রকৌশলী’র দুই সহোদর ও এক ভাগিনা সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় জিডি মামলা করা হয়েছে।

    অভিযোগকারী প্রকৌশলীর স্ত্রী নার্গিস ফাতেমা জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম থেকে ডিঙি নৌকা যোগে তার প্রকৌশলী স্বামী মোঃ রেজাউল করিম ও তিনি থানা শহর উল্লাপাড়ায় আসছিলেন। পথিমধ্যে তার স্বামীর বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাবলু, দেবর মিজানুর রহমান ও ভাগিনা জেলহক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ডিঙ্গি নৌকার গতি রোধ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করে প্রকৌশলী দম্পতির কাছে। নইলে মারপিট করিয়া ডিঙি নৌকা ডুবাইয়া দিয়া হত্যা করবে বলে হুমকি ও গালিগালাজ করতে থাকে হামলাকারীরা।

    এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন নৌকা নিয়ে এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে ভুক্তভুগিদের উদ্ধার করে।

    প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা সন্ত্রাসী কায়দার অতর্কিত হামলার স্বীকার হলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন দিলে তারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মাসুদ রানা জানান,এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।

    ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।

    ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।


    সিলেটের ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পশ্চিম রোকনপুরের একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে হত্যাকারী জুবেদ মিয়া(২০) কে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকরী জুবেদ মিয়া বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিহত লেবু মিয়া(৫০)উপজেলার পশ্চিম রোকনপুর গ্রামের মৃত আসিফ আলীর পুত্র। গ্রেফতারকৃত জুবেদ মিয়া একই গ্রামের লেবু মিয়ার পুত্র।

    জানা গেছে, উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের লেবু মিয়া একই গ্রামের বকফুল নেছাকে বিয়ে করেন। ১০ বছর আগে পারিবারিক কলহে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তিন ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ঘর ত্যাগ করেন বকফুল। সম্প্রতি বন্যায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেন লেবু মিয়ার বোন আয়তুন নেছা। গত ২জুলাই তার ৮ বছরের মেয়ে সায়মা আক্তার চাঁদনীকে(৮) বন্যার পানিতে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দেয় জুবেদ মিয়া।

    বিষয়টি জেনে পরদিন লেবু মিয়া জুবেদকে শাসন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুবেদ ৪ জুলাই দুপুরে লেবু মিয়ার বাড়িতে তাকে একা পেয়ে কোড়ালের হাতল দিয়ে এলাপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।

    এক পর্যায়ে লেবু মিয়াকে বাড়ির উঠানে বন্যার পানিত ফেলে চলে যায় সে। খবর পেয়ে লেবু মিয়ার ছোট বোন আলাতুন নেছা আহত অবস্থায় লেবু মিয়াকে উদ্ধার করলে জুবেদের মা বকফুল নেছা ও খালা মিলন বেগম সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনগত রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেবু মিয়ার মৃত্য হয়। পুলিশের কাছ থেকে লেবু মিয়ার মৃতু্যর বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

    এই বিষয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগর থানায় জাবেদ মিয়াকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন লেবু মিয়ার ছোট বোন আয়াতুন নেছা। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই জাবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস আই সবিনয় বৈদ্য বলেন, লেবু মিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার পুত্র জুবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি জুবেদ বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি। আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার।

    চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার।

    চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার।


    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় এমরান হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৩ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শনিবার (২ জুলাই) রাত ১ টার দিকে তাকে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তার এমরান রামগঞ্জ পৌরসভার কাজীরখীল গ্রামের আখন্দ বাড়ির বেলাল হোসেনের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, গত ৩ জুন চাটখিল থেকে নোয়াখালী পরিবর্তে এক গৃহবধূ ভুলে রামগঞ্জগামী জননী পরিবহণে উঠেন। রামগঞ্জ বাসটার্মিনালে আসলে তিনি বাসের সুপার ভাইজারকে বিষয়টি বলেন। পরে সুপারভাইজার তাকে চট্টগ্রামগামী নীলাচল বাসে বসতে বলেন। এ সুযোগে বাসের সহকারীর আজাদ হোসেন ও এমরান হোসেনসহ ৩ জন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই সময় তার চিৎকারে বাজারের নৈশপ্রহরী মো. শাহজাহান ছুটে আসলে আজাদ ছাড়া অন্য দুইজন পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসে। হঠাৎ নৈশপ্রহরী শাহজাহানের বুকে ব্যাথা উঠলে হাসপাতাল নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাস সহকারী আজাদকে আটক করে। পরে গৃহবধূ বাদী হয়ে আজাদ ও এমরানসহ ৩ জনের নামে রামগঞ্জ থানায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন আজাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

    এই দিকে প্রায় ১ এক মাস পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিবাকর রায়সহ পুলিশ সদস্যারা চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানা এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে এমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, আসামি এমরান দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে

  • শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে মসজিদের মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার।

    শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে মসজিদের মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার।

    শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে মসজিদের মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার।


    নাটোরের নলডাঙ্গায় ৫ বছরের এক শিশুকে বলৎকারের অভিযোগে মসজিদের এক মোয়াজ্জেম কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শনিবার বিকালে উপজেলার শাখাঁড়ীপাড়া ফসলি মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম নাম আব্দুস সালাম (৫০),তিনি উপজেলার শাখাঁড়ীপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা।

    নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাখাঁড়ীপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম আব্দুস সালাম একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শিশু সন্তান কে বেশ কয়েক দিন ধরে মোবাইলে গেম খেলার লোভ দেখিয়ে ঘরে বলৎকার করে আসছিল।

    ২ জুন শনিবার সকালে ওই শিশু সন্তান কে আবারও বলৎকার করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানতে পেরেছে। শিশুটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ বিকালে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেন।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোয়াজ্জেম আব্দুস সালাম মসজিদ থেকে পালিয়ে পাশের ফসলি ক্ষেতে আত্মগোপন করে।সেখান থেকে পুলিশ খুজে বের করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় শিশু সন্তানের পিতা বাদী হয়ে ওই মসজিদের মোয়াজ্জেম আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

  • ওসমানীনগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ।

    ওসমানীনগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ।

    ওসমানীনগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ। 


    সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উমরপুর ইউনিয়ন এলাকায় ঘটনা না ঘটে। বানবাসী কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে ভুইফুড় অনলাইন মিডিয়াকে ডেকে নিয়ে চার শতাধিক লোকজনকে আশ্রয় দিয়েছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে জড়িয়ে বিএনপি নেতার অপপ্রচার নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    জানা গেছে,অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ওসমানীনগরের উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজন বন্যাক্রান্ত হয়ে পড়লে উপজেলা বিএনপি নেতা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দী হিজলশা গ্রামের আব্দুল হেকিম তাঁর নিজ বাড়ির ২য় তলায় কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে নিজ উদ্যোগে রান্না করা খাবারের আয়োজন করেন।

    এ বিষয়ে একাধিক নামধারী সাংবাদিকরা তাদের ভূইভুড় ফেইসবুক পেইজের লাইভে এসে আব্দুল হেকিমকে উমরপুর ইউনিয়নের জনতার চেয়ারম্যান আখ্যা দিয়ে হেকিমসহ তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেয়া একাধিক ব্যাক্তিদের সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। ওই সাক্ষাতকারে দাবি করা হয় আব্দুল হেকিম চেয়ারম্যান না হয়ে তাঁর বাড়িতে চারশতাধিক লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে তাদের খাবারসহ সার্বিক ব্যায় বহন করছেন অন্যদিকে বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বানবাসী লোকজনকে ত্রানতো দূরের কথা পানিবন্দিদের ইউনিয়নের ভিতরে আশ্রয় দিতেও রাজি হচ্ছেন না। আশ্রয় নেয়ার জন্য কয়েকটি পরিবার ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ইউনিয়নের চৌকিদার তাদের বের করে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেইন গেইট তালাবদ্ধ করে রেখেছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের পাশ্ববর্তী আব্দুল হেকিমের বাড়িতে বন্যার্তরা আশ্রয় নেয়ার পর থেকে তিনি আশ্রয়দাতা হিসাবে আশ্রিতদের যাবতীয় ব্যায়ভার তিনি বহন করছেন।

    বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পর খোঁজ-খবর নিয়ে অনেকেই জানতে পারেন, আব্দুল হেকিমের বাড়িতে চার শতাধিক লোজনকে আশ্রয় দেয়া হয়নি। তার অনুগত কয়েকটি পরিবারকে জায়গা দিয়ে নিজের জনবান্ধবতা বাড়াতে ফেইসবুক পেইজের লাইভে এসে উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়েছেন।

    খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সড়েজমিনে গিয়ে দেখতে পান চারশতাধিক নয়, ১৫/২০টি পরিবারের ৪০/৫০জন লোক আব্দুল হাকিমের বাড়ির ২য় তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। এবং আশ্রয়ের পর থেকে আব্দুল হেকিম নিজ অর্থায়নে তাদের খাবারের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় ব্যায়বার বহন করছেন বলে আশ্রিতারা নিশ্চিত করেন। উমরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ফখরম্নল ইসলাম খান ও যুবলীগ নেতা লিমন মিয়াসহ অনেকেই জানান, বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিম সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি নিজেকে জনবান্ধব সাজাতে নিজের অনুগত ৩০/৪০জন লোকজনকে জড়ো করে ইউনিয়নের টানা দুইবারের সুনামধন্য চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ বলে অপপ্রচার চালিয়েছেন।বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে বিএনপি নেতার এমন অপপ্রচারে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    বিষয়টির সুষ্ট তদন্ত্মপূর্বক ফেইসবুক পেইজের লাইভকারীসহ জড়িতদের বিরম্নদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সংশিস্নষ্টদের আহব্বান জানান তারা। উমরপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক আখলুসহ একাধিক সদস্য বলেন,বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার সার্বিক দিক নিদের্শনায় বন্যার শুরম্ন থেকে ইউনিয়ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে সবরখমের সহযোগিতা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যাদের গৃহ পানিতে নিম্নজ্জিত হয়েছে তাদেরকে নিরাপদে আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রেরনসহ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার প্রদান করা হচ্ছে।

    ইউনিয়ন এলাকায় সরকারীভাবে কয়েকটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে ব্যবস্থা করারপরও একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে সস্ত্মা জনপ্রিয়তা খুঁরাতে পরিকল্পিতভাবে লোকজনকে জড়ো করে আশ্রয়ের নামে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষগুলোতে লোকজনের থাকার জায়গা দেয়ার অনৈতিক দাবি তুলে। এসময় সরকার কর্তৃক বিধি-নিষেধ থাকায় দ্বায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ তাদের ইউনিয়নের অফিস কক্ষগুলোতে লোকজনকে জায়গা না দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

    পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিমের বাড়িতে জড়ো করে লাইভে এসে জনপ্রতিনিধিসহ ইউনিয়ন পরিষদে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হয়। যা খুবই দুঃখ জনক। তবে এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিম বলেন,কারো প্রতি আমার কোনো প্রতিহিংসা নেই। ইউনিয়নে সাধারণ জনগনের ভালবাসায় প্রবল বন্যায় ইউনিয়নের লোকজন যাতে ক্ষতির সম্মুখিন না হন এবং তাই মহান আলস্নাহ সানিধ্‌ধ্য লাভে নিজের প্রবাসের যাওয়ার ঠিকেট কেন্সেল করে ৪০/৪৫টি পরিবারকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্ঠা করছি।

    আমি প্রচারবিমুখ মানুষ সাংবাদিকের দিয়ে এসব প্রচার করাতেও চাইনি এরপরও স্থানীয় অনলাইন মিডিয়া এখানে এসে লাইভ করেছে। সেখানে আমি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে জড়িয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি। কারন চেয়ারম্যান মেম্বাররা উনাদের জায়গা থেকে ইউনিয়নের বানবাসী মানুষের জন্য যা পারেন করতেছেন। আমিও আমার অবস্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের পাশে থাকার চেষ্ঠা করছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো: গোলাম কিবরিয়া বলেন,আমি ব্যাক্তিগত কাজে সল্প সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেছিলাম।

    বন্যার পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যগনের মাধ্যমে আমি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসে তাদের খাবারের ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে তড়িগড়ি করে দেশে চলে এসেছি। কারন উমরপুর ইউনিয়নের সকল শ্রেনী পেশার লোকজনই আমার আপনজন,তাদের কল্যানই আমার মঙ্গল। কিন্তু একটি চক্র প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে আমার বিরম্নদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে যা খুবই কষ্টকর। তারপরও এসব বিষয়ে কারো প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ বা হিংসা নেই। আসুন সকলে মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মেলিতভাবে ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের পাশে দাঁড়াই। ইউনিয়নের বানবাসী মানুষের ক্ষুতি পুষিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামানা করেন।

  • নন্দীগ্রামে রনবাঘা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ।

    নন্দীগ্রামে রনবাঘা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ।

    নন্দীগ্রামে রনবাঘা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ।


    বগুড়ার নন্দীগ্রামের বৃহত্তম রনবাঘা হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাধারন জনগনের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি।

    অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নের রনবাঘা হাটে সাধারন ক্রেতাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

    হাট কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গরু হতে ৭০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল হতে ৩০০ টাকা হারে খাজনা আদায় করছে যা সরকারী খাজনা আদায়ের তালিকা হতে দ্বিগুন। হাট কর্তৃপক্ষ যে রশিদ মূলে গরু/ছাগলের খাজনা আদায় করছে সেই রশিদে কোন খাজনার টাকার পরিমান লেখা হচ্ছে না।

    হাট কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে গিয়ে তারা সাধারন ক্রেতাদের সাথে সব সময় খারাপ আচরন সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করছে। এই ভাবে অবৈধ খাজনা আদায় করা হলে এই ঐতিহ্যবাহী রনবাঘার হাট এক সময় নষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে রনবাঘা হাট ম্যানেজার মোঃ মিজানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারি নিয়মেই খাজনা আদায় করা হয়,অতিরিক্ত খাজনা নেয়া হয়না।

    এ বিষয়ে অভিযোগকারী আঃ রাজ্জাকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রনবাঘা হাট লুটের রাজ্যে পরিনত হয়েছে, হাটের খাজনা আদায়ের নামে সাধারন ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে হাট কর্তৃপক্ষ। তাই সাধারন জনগনের পক্ষে হাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

    অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

    বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

    বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।


    নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান মোঃ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে জেলা প্রাশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    তিনি ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই তিনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজ করেন।

    চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন,আমি মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাবাসী আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করে বলেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল কেন্দ্রের নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা সরকারী নিয়ম-নীতি কে তোয়াক্কা না করে জন্ম নিবন্ধনের ফি ২০০-৩০০ শত টাকা করে নেন।

    আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সর্তক করি যাতে বেশী টাকা না নেওয়া হয়।এরপর ও আমার কথা না মেনে অতিরিক্ত টাকা নিতে থাকলে আমি ঘোষনা দেই জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং আবেদন ফি ৩০ টাকা যা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং রুমে আবেদন করতে পারবেন। এরপর থেকে সাধারণ জনগণ নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানার কাছে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য যায় না তখন থেকেই নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।নারী উদ্দোক্তা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট। আমি ভিলেজ পলিটিক্সের শ্বিকার।

    তিনি আরও জানান ঐ মহিলার কাছে আমি ২লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছি তা অবাস্তব।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যাক্তি বলেন আমরা জন্ম সনদ নিতে গেলে জাকিয়া সুলতানা অতিরিক্ত টাকা নিতো এবং আমরা হয়রানি শিকার হতে হয়েছে।

    ইউপি সদস্য পরিমল চন্দ্র বলেন,আমি দূর্ঘ্য ২৫ বছর থেকে ইউপি সদস্য আছি গত চেয়ারম্যান আমলে আমার এলাকার জনগণের কাছ থেকে নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা অতিরিক্ত টাকা নিলে আমি তাকে নিষেধ করি এবং গত চেয়ারম্যানের কাছে তার কথা বলেছি চেয়ারম্যান কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।কিন্তুু বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানা দায়িত্ব পাবার পর জনগণ নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা এবং হয়রানির কথা মৌখিক অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান প্রথমে নিষেধ করে।কিন্তু সে কোন কথা শোনেনি তাই চেয়ারম্যান জনগণের কথা ভেবে জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং আবেদন ফি ৩০ টাকা ঘোষণা দেন।এর পর থেকেই ঐ নারী উদ্দোক্তা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।নারী উদ্দোক্তা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট বলে আমি মনে করি।মথুরাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউলের অভিন্ন বক্তব্য দেন৷

    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রায় একই চিত্র এবং ওয়ালে দেখা যায় পোস্টার যেখানে লেখা আছে জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০টাকা ও আবেদন ফি ৩০ টাকা যা ২ নং রুমে যোগাযোগ করুন।

    ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মুদিদোকান মোঃ বাচ্চু হোসেন বলেন ঐ উদোক্তা টাকা ছাড়া কিছু্ই বোঝেন না ৷আরো কয়েকজন এলাকাবাসী একই অভিযোগ করেন ঐ নারী উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে৷

    মথুরাপুর ইউনিয়ের বাসিন্দা শিক্ষক সামসুল একবাক্যেই বলেন ঐ মহিলা বহুরূপী আর মাসুদ চেয়ারম্যান একজন সৎ শিক্ষিত ও বিনয়ী মানুষ ৷তার বিরুদ্ধে এগুলো অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয় ৷

    এ বিষয়ে জাকিয়া সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন কিছু বলতে পারবোনা আমি বিভিন্ন দপ্তর বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছি দেখি সে গুলোতে ব্যবস্থা কি হয়।