Tag: অভিযোগ

  • তানোরে প্রভাবশালী প্রভাষক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ।

    তানোরে প্রভাবশালী প্রভাষক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ।

    রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার মানুষ গড়ার কারিগর প্রভাবশালী ও গাছ খেকো প্রভাষক খলিলুর রহমানে বিরুদ্ধে পীর স্থানের শত বছরের গাছসহ অন্তত ত্রিশটির বেশি গাছ গিলে খেয়ে ওই জায়গা দখল করে নিজ লোকদের কবর দিতে দিলেও অন্যদের দিতে দেন না বলেও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার । তানোর পৌর এলাকার ভদ্রখন্ড গ্রামে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে ।

    ১৭ জানুয়ারি সোমবার ভদ্রখন্ড গ্রামবাসী বাদি হয়ে কলেজ শিক্ষক খলিলুর রহমানকে বিবাদী করে তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও থানার অফিসার ইন্চার্জের কাছে লিখিত ও বন বিভাগ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রভাষক খলিলের এমন ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করলে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা।কিন্তু এবার খলিল কে আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মিলে অভিযোগ করেছেন

    জানা গেছে, তানোর পৌরসভার ভন্দ্র খন্ড মৌজার অন্তর্ভুক্ত আরএস ৬৪ খতিয়ানের ২৫০ নম্বর ৬৪ আরএস দাগে ১২ শতক জমি রয়েছে । আরএস খতিয়ানে সুনিদ্রিষ্টভাবে বলা হয়েছে এ ১২ শতক সম্পত্তি পীরস্হান যা কেবল মুসলিম জনসাধারণের ব্যবহার্য কোনো অবস্থথাতেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার যাবে না। কিন্ত্ত ভদ্রখন্ড গ্রামের মৃত আব্দুল মন্ডলের পুত্র ও কালীগঞ্জহাট ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক গাছ খেকো ভুমিদস্যু খলিলুর রহমান গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে জবরদখল ও সম্পত্তির উপর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রজাতির তাজা গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে।

    এঘটনায় গাছ খেকো খলিলের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিরাজ করছে উত্তেজনা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায় ভদ্রখন্ড গ্রামের ভিতরে লাটা পুকুর নামক জায়গাটি পিরস্হান হিসেবে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত।সেই জায়গাটিতে গাছ কাটা বিশাল বিশাল গর্ত দেখা গেছে।কয়েকজন ব্যক্তি এসে জানান এখানে প্রায় শত বছর বয়সী গাছও রক্ষা পায়নি।কিছু কবরও দেখা যায়, তারাই জানান সবার ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও প্রভাষক খলিলের আত্মীয় স্বজনদের কবর।তারা কাউকে ব্যবহার করতে দেয় না।একজন প্রভাষক এসব কাজ করলে সমাজ কোথায় দাড়াবে।

    সেখান থেকেই প্রভাষক খলিলুর রহমানে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কলেজে এখানে কাগজ নিয়ে আসিনি।পীরস্তানের জায়গার গাছ কিভাবে কাটলেন জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে কাগজ দেখানোর তালবাহানা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি অভিযোগ দেখিনি।দেখে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

  • ভোলা নৌ রুটে যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। 

    ভোলা নৌ রুটে যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। 

    ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে যাত্রীদের জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত দ্বিগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এই পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাতায়াত করে। কেউ প্রতিবাদ করলেই লঞ্চের কর্মচরীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। ফলে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।

    ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটের দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার। এই রুটে সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়া কিলোমিটারে ২ টাকা ৩০ পয়সা হারে ৫৯ টাকা ৩০ পয়সা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তিন গুণ। এর আগে, এ রুটের ভাড়া ছিল ১৫০ টাকা। নতুন করে তা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করেছে লঞ্চের মালিকপক্ষ। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় লঞ্চ মালিকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নৌপথে মোট ১০টি লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে রাকিন-২, আলমদিনা, জনতা, চন্দ্রদ্বীপ, উপকূল, উপবন, সঞ্চিতা, গ্রীনওয়াটার, সোহেলী ও মিলন এক্সপ্রেস। দোয়েল পাখি ও স্বর্ণদ্বীপ নামে আরো দুটি লঞ্চ অনত্র আছে।

    সরেজমিনে গিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ ২১ জেলার মানুষের সহজ যাতায়াতের মাধ্যম এই নৌপথ। এ পথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এই সুযোগে লঞ্চের মালিকপক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে।

    অথচ ইলিশা ঘাটের ১০০ গজের মধ্যেই একটি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি নৌ থানা রয়েছে। তাদের চোখের সামনেই নেয়া হয় অতিরিক্ত ভাড়া।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ মালিকরা দাপটের সাথে বেশি ভাড়া আদায় করছেন। এর আগে, এই নৌপথে ভাড়া নিত ১৫০ টাকা। একই রুটে ফেরিতে নেয় ৭০ টাকা। অবৈধ ট্রলার ও স্পিডবোটেও ভাড়া কয়েক গুণ বেশি। নভেম্বরে জ্বালানি তেলের মূল বৃদ্ধি পাওয়ার পরে জনপ্রতি ১৮০ টাকা নেয়া হচ্ছে।

    যাত্রীরা জানায়, লঞ্চের সিটে বসে, দাঁড়িয়ে, ওপরতলা, নিচতলা সবখানে ভাড়া ১৮০ টাকা করে নেয়া হয়। প্রতিবাদ করলে লঞ্চের কর্মচারীরা জানান, মালিকপক্ষের আদেশ, ভাড়া কম নেয়া যবে না।
    ঘাটে কমর্রত লঞ্চের কর্মচারীরা জানান, এই রুটের লঞ্চ ব্যবসা খুবই লাভজনক। এই ব্যবসা করে অনেকে দুই থেকে তিন বছরে একাধিক লঞ্চের মালিক হয়েছেন। অনেকে একাধিক পুরাতন লঞ্চ ভাড়ায় এনে এই রুটে ব্যবসা করছেন। তবে তাদের কাছে মালিকদের নাম-পরিচয় বা মোবাইল নম্বর চাইলে দিতে অস্বীকার করেন।
    জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের নভেম্বর মাসে লঞ্চ মালিকরা আন্দোলনে নামেন। বন্ধ করে দেয়া হয় লঞ্চ চলাচল।

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ (টিএ শাখা) লঞ্চ মালিকদের সাথে আলোচনা করে নতুন ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে। উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত সেই প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা করে বাড়ানো হয়। ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার ৩৫ শতাংশ এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার ৪৩ শতাংশ। পূর্বে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে লঞ্চ ভাড়া ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। এই ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা। এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ টাকা।

    চাঁদপুর নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, সর্বশেষ হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে অনুযায়ী মেঘনা নদীর ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটের নৌপথের দূরত্ব সর্বোচ্চ ২৫-২৬ কিলোমিটার। তবে এখনো লঞ্চ মালিক, ফেরি ও লঞ্চঘাটের ব্যবস্থাপক ও বন্দর কর্মকর্তাদের হাতে লিখিত আকারে নৌপথের দূরত্ব ও ভাড়ার তালিকা দেয়া হয়নি। ভোলা নদী বন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এই নৌপথের দূরত্ব তার জানা নেই। নতুন করে হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে রিপোর্ট তার কাছে আসেনি।

    ওই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নতুন ভাড়া নির্ধারণের এখতিয়ার মালিকদের নেই। পূর্বেই এই নৌপথে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।
    বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, লঞ্চের ভাড়ার চার্ট এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • চুরির অভিযোগে গরু মালিক নিজেই জেলহাজতে।

    চুরির অভিযোগে গরু মালিক নিজেই জেলহাজতে।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়নের তেওয়ারীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গোলাম হোসেন (৫৬) নিজ গরু চুরির অভিযোগে জেলহাজতে রয়েছেন। বড় ছেলের বিয়ের পরিকল্পনা করে বাড়িতে পালন করা দুটি গরু বিক্রি করেন স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী হাসেম আলীর (৪৬) কাছে। নিজ গরু বিক্রয় করে মালিক বনে গেলেন চোঁর এমন কথা এখন ওই গ্রামের মানুষের মুখে মুখে।

    সোমবার (৩ জানুয়ারি) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলাধীন মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ বাজারে গরুর মালিক গোলাম হোসেনসহ গরু ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ছেলের বিয়ে দেওয়ার জন্য চার হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে বাকি এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় তার বাড়িতে পালন করা দুইটি গরু বিক্রি করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী হাসেম আলীসহ ৪ জনকে দেয়। ব্যবসায়ীরা গরু দুটি গত সোমবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যান। বিক্রি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা গরু দুটি চুরি করে এনেছে একথা শুনে বাজারে ছুটে যান গরুর মালিক গোলাম হোসেন। কিন্তু পুলিশ কোন তদন্ত না করে গরুর মালিক গোলাম হোসেনসহ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নিয়ে যান।

    প্রতিবেশীরা জানান, গোলাম হোসেন ৪/৫ মাস আগে গড়েয়া হাট থেকে গরুটি ক্রয় করেন। অনেক কষ্ট করে তিনি গরুটি লালন-পালন করেন। নতুন ঘর দিবেন বলে তিনি গরু বিক্রি করেছেন। কিন্তু আজকে তিনি নিজের গরু বিক্রি করতে গিয়ে চোর হয়ে গেল। এটা কেমন অত্যাচার?

    রফিকুল নামে এক প্রতিবেশী বলেন, উনারা আর আমরা একসাথে গরু কিনছি গড়েয়া বাজার থেকে। আমরা গরীব লোক বলে কোন বিচার নাই? গরু পালতে গিয়ে কি আমরা চোর হয়ে গেলাম?

    গোলাম হোসেনের স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন, খেয়ে না খেয়ে ঋণ করে পাঁচ মাস আগে গড়েয়া বাজার থেকে দুটি গরু কিনেছিলাম। এখনো সেই ঋণ শোধ হয়নি। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। ছেলের বিয়ে দিবো বলে নতুন ঘর তৈরী করার জন্য আমরা গরু দুটো বিক্রি করি। বিক্রি করতে গিয়ে আজকে আমার বৃদ্ধ স্বামী চোর হয়ে জেলখানায়।

    এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, আমি নির্বাচন চলাকালীন সময়েও গোলাম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখি তিনি গরু গুলো লালন-পালন করেন। আমি এর আগেও পাঁচ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালে গোলাম হোসেনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাইনি। তিনি অত্যন্ত সৎ, সরল মানুষ। তিনি কোন ধরনের খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত না। তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, গত ২ জানুয়ারী বাদি আতাবুর রহমানের বাসা হতে ৫ টি গরু চুড়ি হয়। সেই মর্মে বাদি থানায় এজাহার দাখিল করলে মামলা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খবর পায় বাদি গোলাপগঞ্জ বাজারে একটি গরু শনাক্ত করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে গরু সহ ৫ জনকে ধরে নিয়ে এসে আদালতে সোপর্দ করে।

  • আমতলীতে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা!

    আমতলীতে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর মামলা!

    আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৭৩) প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তার ইতালি প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শোভন শাহরিয়ার মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির উপর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    গত বুধবারে আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে,আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৭৩) প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খান কলাপাড়া পৌর শহরের মাদ্রাসা সড়কে তার পিতা মাতার সাথে বসবাস করেন। তার স্বামী রত্তন পাহলান একই পৌরসভার চিংগুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সালের প্রথম দিকে ইটালী থেকে বাড়ি ফিরে এসে শিক্ষিকা সানজিদাকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন। ওই বছরের শেষ ভাগে কর্মের উদ্দেশ্যে পুনঃরায় ইতালীতে ফিরে যান।

    স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে ইতালি থেকে প্রতি মাসে (নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত) ৮ বছর রেমিট্যান্সের মাধ্যমে স্ত্রী ও শ্বশুরের ব্যাংক একাউন্টে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা পাঠায় স্বামী রত্তন পাহলান। যা তার স্ত্রী ও শ্বশুর রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।

    চলতি বছরের ২২ শে অক্টোবর স্বামী রত্তন পাহলান ইতালি থেকে দেশে ফিরে আসার পর প্রবাসী স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অমনোযোগী থাকার বিষয়টি স্বামী গোচরীভূত হয়। এরপর টাকার হিসেব চাইতে গেলে স্ত্রী হিসাব না দিয়ে নানাবিধ তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রীর কাছে স্বামীর পাঠানো সমুদয় টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।

    এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিণ্যের এক পর্যায়ে প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার স্ত্রী,শ্বশুর ও শ্বাশুরীর বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ইতালী প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান বলেন, স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ইতালী থেকে স্ত্রীর এবং শ্বশুরের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা পাঠিয়েছি। যা তার স্ত্রী ও শ্বশুর রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেছেন।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী সানজিদা খানের সঙ্গে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া মেলেনি।

  • লক্ষ্মীপুরে চেক আটকের মাধ্যমে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে চেক আটকের মাধ্যমে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে বাজারের আবাবিল কো অপারেটিভ সোসাইটি লি: এর বিরুদ্ধে চেক আটক করে প্রতারণার মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ১৯ ডিসেম্বর (রোববার) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তেওয়ারীগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এই অভিযোগ করেন।

    তিনি বলেন, গত ৪/৫ বছর পূর্বে আবাবিল কো অপারেটিভ সোসাইটি লি: থেকে ঋণ গ্রহণ করি এবং তা সময় মতো পরিশোধ করি। এসময় আমার কাছ থেকে স্বাক্ষরিত ১৫০ টাকার দুটি অলিখিত স্ট্যাম্প ও অগ্রনী ব্যাংকের ১৭নং ভবানীগঞ্জ শাখার একটি সাদা চেক জামানত হিসেবে নেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার পরও সোসাইটি লোকজন স্ট্যাম্প ও চেক ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন এই বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে অবগত করেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদের ভাই নুরুল আমিনের সাথে সোসাইটির ম্যানেজার দিদার হোসেন ও পরিচালক মো. টিপু, আনোয়ার হোসেন ফটিক এবং বাজারের একটি দোকান ভিটিকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দেয়।

    এই বিরোধের জের ধরে মো. দিদার হোসেন এবং টিপু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আবুল কালাম আজাদের জমাকৃত চেকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা লিখে ব্যাংকে জমা দেন। পরে চেকটি ডিজওনার করে আইনজীবির ম্যাধ্যমে নোটিশ করে ব্যবসায়ী আজাদ কে। পরে এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ওমর হুসাইন ইবনে ভুলু চেকটি ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় আবুল কালাম আজাদ ওই তিনজনেক আসামী করে গত ১৪ ডিসেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

    অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ওমর হোছাইন ইবনে ভুলু বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি সমাধান করার চেষ্টা করেছি সম্ভব হয়নি।

  • বেলকুচিতে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ।

    বেলকুচিতে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ।

    সবুজ সরকার,বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাফিয়া খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।রোববার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মাইঝাইল গ্রাম থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত গৃহবধূ সাফিয়া বেলকুচি উপজেলার মাইঝাইল গ্রামের শামীম তালুকদারের স্ত্রী ও জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের শফিউল বারীর মেয়ে।

    নিহত গৃহবধুর চাচা রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর আগে সাফিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শামীম তালুকদারের। বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য সাফিয়াকে প্রায় সময়ই মারপিট করতেন তার স্বামী। এরই জেরে গত শনিবার রাতে উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সাফিয়াকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

    বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

  • বরগুনায় বাবার বন্ধু কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ।

    বরগুনায় বাবার বন্ধু কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ।

    অপু মিয়া,বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার সদর উপজেলায় দাদাবাড়ি যাওয়ার সময় বাবার বন্ধু(রিপন মিয়া) কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বরগুনা পৌরসভার চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা।

    ১৮ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৬ টার সময় বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রিপন মিয়া (৩৫) একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

    ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফুলতলা গ্রামে দাদাবাড়ি যাওয়ার জন্য পৌরসভার মাছ বাজার সংলগ্ন রিকশা স্টান্ডে যায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও তার বাবা। এসময় তার বাবার বন্ধু রিপনের সাথে দেখা হয়।

    স্কুলছাত্রীর বাবা রিপনের সাথে একই রিক্সায় উঠিয়ে দেয় ওই স্কুলছাত্রীকে। এরপর ফুলতলা স্কুলের সামনে খোলা যায়গায় রিক্সা থামিয়ে স্কুলছাত্রীর শরীরের গোপন জায়গায় স্পর্শ করে এবং জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এসময় স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীরা এসে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে রিপনকে গনধোলাই দেয়।

    এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার কাজ ছিলো তাই আমি রিপনের সাথে আমার মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম।কিন্তু রিপন আমার নাবাল্লক মেয়ের উপর বর্বরতা করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে রিপনের মত এ রকম নরপশু আর এ ধরনের অপরাধ ও জঘন্যতম কাজ করতে সাহস না পায়।

    বরগুনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কে,এম তারিকুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত রিপন গণধোলাইয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল স্কুলছাত্রীর মেডিকেল টেস্ট করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরের হামছাদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের হামছাদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলা হামছাদী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি ও তার প্রচা- প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এমরান হোসেন নান্নু ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রার্থী তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

    মো: নজরুল ইসলাম বলেন,নৌকার প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে আনারস প্রতীকের কর্মীদের ও তাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এই ছাড়া প্রচার-প্রচারণায় বাধাসহ নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জীবনের নিরাপত্তহীনতায় শঙ্কিত রয়েছেন জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকার দাবি করেন। অভিযোগ শেষে এলাকার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ১৩টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী সহ ১৫টি ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সব ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্রসহ ৭৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • বরগুনায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ঘুমন্ত অবস্থায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ।

    বরগুনায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ঘুমন্ত অবস্থায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ।

    অপু মিয়া,বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনা সদর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে ঘুমান্ত অবস্থায় কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত ইউপি সদস্য শাহজাহান কবির (৪২) কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
    বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যেরাত আড়াইটার দিকে কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ইউপি সদস্য শাহজাহান একই গ্রামের মৃত মজিদ হাওলাদাদের ছেলে।
    স্বজনরা জানান, রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন মেম্বর শাহজাহান। মধ্যরাত আড়াইটার দিকে ৫/৭ জনের একটি দল প্রথমে ঘরে ঢুকে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এরপর মেম্বর শাহজাহানের মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় শাহজাহান জীবন বাঁচাতে পাশের ধানক্ষেতে লুকিয়ে পরে। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
    শাহজাহানের স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন, আমরা রাতের খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এরপর লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে বাতি জ্বালাতে গেলে দেখি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। এর কিছুক্ষণ পরেই কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার স্বামীকে কোপাতে থাকে। এরপর আমরা পাশের ধানক্ষেতে লুকাই।
    তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী ইউনিয়ন রাজনীতির সাথে জড়িত। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই হামলা চালাতে পারে বলে আমাদের ধারণা।
    এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
  • ফুলবাড়ীতে জালিয়াতির অভিযোগে মাদ্রাসার সহ-সুপার ও সভাপতি গ্রেপ্তার।

    ফুলবাড়ীতে জালিয়াতির অভিযোগে মাদ্রাসার সহ-সুপার ও সভাপতি গ্রেপ্তার।

    নাসিরুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ সোমবার কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলাধীন বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শাহনুর আলম ও ভুয়া সভাপতি আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আনিত জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট সুমন আলী।
    ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই ২০১৫ সালে দাসিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এটি সরকারি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী বৈধ নিয়োগে কর্মরত আছেন বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে থেকে শাহনুরর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে সভাপতি দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া ও সভাপতি আব্দুর রহমান মিয়ার অজান্তে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহমান মিয়া চলতি বছরের জুন মাসে শাহনুর আলম ও আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি অভিযোগ এনে মামলা করেন।
    আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হওয়ার পর সোমবার অভিযুক্ত সহকারী সুপার শাহনুর আলম ও ‘ভুয়া সভাপতি’ আব্দুল খালেক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
    বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া জানান, শাহনুর আলম সহকারী সুপার হলেও নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে যোগসাজসে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে সেসব কাগজ পত্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ.রহমান মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। জালিয়াতি সাথে যুক্ত থাকায় আদালত তাদেরকে সোমবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
    মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আমি সুপার পদে এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আ. রহমান নিজে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেও সহকারী সুপার শাহনুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে ভুয়া সিল বানিয়ে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। যা অবৈধ এবং প্রতারণার শামিল।
    এ প্রসঙ্গে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।