Tag: অধ্যক্ষ

  • রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ‘র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ।

    রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ‘র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন হেলালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা কলেজ চত্বরে এই কর্মসূচি করেন।

    শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসার পর বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। একদফা এক দাবি অধ্যক্ষের পদত্যাগ।’

    বিক্ষোভ মিছিলে এসে কলেজের পক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রভাষক কামাল উদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক শাহাজাহান আলী। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে সহকারী অধ্যাপক শাহাজাহান আলী বলেন, ‘তোমাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে দাও। দাবী নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, কলেজে বহিরাগতরা চলাফেরা করে, ছাত্রীদের বিরক্ত করে। বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। কলেজ চত্বরে মাদক সেবন হয়। পরীক্ষার ফি বেশি নেওয়া হয়। কলেজের কক্ষগুলো ঠিকমতো পরিস্কার করা হয় না। অধ্যক্ষ নিয়মিত অফিস করে না। তিনি কখনো শ্রেনি কক্ষগুলোতে পরির্দশনে যান না। এমন অনেক অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘তিনি একজন ব্যর্থ অধ্যক্ষ। তাঁকে দিয়ে এতবড় একটি কলেজ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছি।’

    শিক্ষার্থী হামিম রানা বলেন, ‘কলেজটি কে নিয়ন্ত্রন করছে। অধ্যক্ষ না অন্য কেউ, তা বুঝতে পারছি না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, বাইরে থেকে একজন ছেলে এসে তাঁকে বিরক্ত করেছেন। তিনি এ বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    কলেজের ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান আতিক বলেন, কলেজে আজ মিছিল হলো, মিছিল শেষে শিক্ষক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে একটি পত্র অধ্যক্ষকে দেওয়া হলো। এ দাবিগুলো পূরণে যদি কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। তাহলে আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

  • বেলকুচিতে সভাপতি-ব্যাংক ম্যানেজারের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা বন্ধ।

    বেলকুচিতে সভাপতি-ব্যাংক ম্যানেজারের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা বন্ধ।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

    গভর্নিং বডির সদস্য ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দন্দ্ব চলে আসছে। আর এই দন্দ্বে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে বেআইনী ভাবে অব্যহতি দিয়ে উপাধ্যক্ষ কে,এম খালেকুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

    পরে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা অব্যাহতি বেআইনী ঘোষনা চেয়ে বিজ্ঞ বেলকুচি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীত্বে উক্ত আদেশের ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন ৫০৬/২৩ নম্বর মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোট দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদের ব্যাপারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য গভর্নিং বডির সভাপতিকে আদেশ প্রদান করেন।

    এরপর থেকে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়। গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে কাটা ও ফ্লুইড রেজুলেশন তৈরি করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্বাক্ষরে তাদের অনুসারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। আর অধ্যক্ষ মাসুদ রানা, ল্যাব সহকারী শরিফুল ইসলাম, প্রদর্শক তন্ময় কুমার শীল ও প্রভাষক উম্মে রুমানের জুন মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন।

    এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা জানান, উচ্চ আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করে সভাপতি যে কাজ করছেন সেটা যেমন অমানবিক তেমনি আদালতের রায়ের স্পষ্ট লংঘন পাশাপাশি পেশী শক্তির চরম অপব্যবহার।

    পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, অধ্যক্ষ ও সভাপতির দন্দ্বের কারনে সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম চরমভাবে নষ্ট করেছেন এবং তারা এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।

    এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেল জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত কাগজে যাদের নাম ছিল তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি। তবে নির্দেশনাটা অস্পষ্ট। কলেজের রেজুলেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

    এবিষয়ে ঐ কলেজের উপাধ্যক্ষের নিকট অন্যান্য শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি বছর জুন মাসে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে হয়, তাই যারা অঙ্গীকারনামায় সাক্ষর করেনি তাদের বেতন হয়নি।

    এব্যাপারেগ ভর্নিং বডির সভাপতির সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

  • সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী গ্রেফতার।

    সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী গ্রেফতার।

    সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী গ্রেফতার।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান এবং মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন।
    এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার বিনা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতার করেছে। সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে যাওয়া ও নিজ এলাকা শুলকবহর ওয়ার্ডে পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়ানোই কি তার অপরাধ? নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেফতার-নির্যাতন করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা কি থামানো যাবে? মানুষের কল্যাণে কাজ করা কি বন্ধ করা যাবে? এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অবিরত জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র এবং সরকারী জুলুম-নির্যাতন বুকে ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের সকল তৎপরতা প্রকাশ্য ও নিয়মতান্ত্রিক। জামায়াত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার সরকারের একটি রুটিনওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।’
    নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার তার অপকর্মের কারণে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। সে কারণে তারা জামায়াতের ইসলামীর অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারছে না। দেশে এবং বিদেশে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তি সোচ্চার হচ্ছেন।
    অবিলম্বে অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীসহ সারাদেশে আটক সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
  • এক যুগের বেশি সময় রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

    এক যুগের বেশি সময় রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

    এক যুগের বেশি সময় রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনার এক যুগ (১২ বছর) পূর্তি হলেও এখন পযর্ন্ত পূর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়নি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমেই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক,স্নাতক, অর্নাসের অর্ধ শতাধিক শিক্ষকসহ বেশ কিছু কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্যর অভিযোগ রয়েছে উপজেলার সচেতনমহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে।

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নীতিমালায় বলা রয়েছে, কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হইলে,অধ্যক্ষের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে উপাধ্যক্ষ, জেষ্ঠ্যতম ০৫ (পাঁচ) জন শিক্ষকের মধ্য হইতে যেকোন একজনকে দায়িত্ব প্রদান করিতে হইবে এবং সেই সঙ্গে পরবর্তী ০৬(ছয়) মাসের মধ্যে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে হইবে।

    যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের এক বৎসরের মধ্যে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ দান করিতে ব্যর্থ হইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্র ও কার্য্যবিবরনী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত অথবা গৃহীত হইবেনা বলে বিধান রয়েছে।

    অথচ  রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে এ যাবত সিনিয়র কয়েকজন অধ্যাপক চাকুরী থেকেই অবসরে চলে গেছেন।

    সর্বশেষ ২০২০ সালের ২ নভেম্বর রাস্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষেরও গত সোমবার (৩০মে) চাকুরীর শেষ কর্মদিবস বলে নিশ্চিত করেছেন উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন।

    তবুও ভারপ্রাপ্ত থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগের তেমন কোন উদ্যোগ নেইনি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।

    কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন বিবরণী বোর্ড ঘেটে দেখা যায়, গত ১৯৭৯ সাল থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের চাকরীর মেয়াদ গত ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়ে তিনি বিদায় নেন তিনি। তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ওবায়দুল হককে গত ২০১০ সালের ১ নভেম্বরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়ায়দুল হকের চাকুরীও গত ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর শেষ হয়ে গেলে তিনিও প্রায় ২ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বরত অবস্থায় চাকুরী থেকে বিদায় নেন।

    পরবর্তীতে আবারো কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্বান্ত মোতাবেক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তাজুল ইসলামকে গত ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনিও প্রায় ৮ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের পর গত ২০২০ সালের ০১নভেম্বর চাকুরী থেকে অবসর গিয়ে বিদায় নেন।

    সর্বশেষ রাষ্ট বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হক’কে গত ২০২০ সালের ২নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয় কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তার চাকুরীর মেয়াদ চলতি বছরের ৩০মে পযর্ন্ত ছিলো।

    নিয়মনুযায়ী গত সোমবার শেষ কর্মদিবস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের। তবে তার অবসর হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন কোন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার কোন প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়নি।

    কলেজের উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, অবসরে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আপাতত দুই বছর তাকেই দায়িত্ব রাখার সিদ্বান্ত নিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।

    স্থানীয়দের প্রশ্ন সরকারী বিধিমালাকে উপেক্ষা করে ৬ মাস মেয়াদী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে ১ যুগ কলেজ পরিচালনা করা হলো। আর কতদিন এভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হবে?

    অভিযোগ রয়েছে যেদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হচ্ছে সেদিন থেকে কলেজে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য সহ অর্থনৈতিক অনিয়ম শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ নেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম করা হচ্ছে।

    রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন মুঠোফোনে জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের নিয়মিত চাকুরীর শেষ কর্ম দিবস গত সোমবার ছিলো। তবে কলেজ পরিচালনার জন্য তাকেই আবারো দুই বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।

    রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের সভাপতি পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের চাকুরী শেষ হলেও গর্ভনিং বোর্ডের সিদ্বান্ত অনুযায়ী তাকে আবারো দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • অধ্যক্ষ নুরুল আমীন’সাথে ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ চরফ্যাসন শাখার শুভেচ্ছা।

    অধ্যক্ষ নুরুল আমীন’সাথে ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ চরফ্যাসন শাখার শুভেচ্ছা।

    মামুন হোসাইন,ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ চরফ্যাসন উপজেলা শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন চরফ্যাসন কারামাতিয়া কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা বই উপহার দেয়া হয়েছে৷

    সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ চরফ্যাসন উপজেলা শাখার আয়োজনে এই শুভেচ্ছা বিনিময় ও বই উপহার দেয়া হয়৷

    এ-সময় ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা অধ্যাপক কামরুজ্জামান, মঞ্জুরুল আলম সায়েম, সভাপতি মনির আসলামি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ জসিম মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সালাউদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক,মাহবুব আলম আপন ও মো.মামুন হোসাইন,ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তরিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷

  • রাজধানীর আশুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর আশুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর সাভার আশুলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রী(১১)কে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা তৌহিদ বিন আজহারকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে বুধবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

    গ্রেফতার মাওলানা তৌহিদ বিন আজহার নাটোর জেলা থানার গুরদাসপুরের মৃত মো. আজাহারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

    পুলিশ জানায় যে, কয়েক দিন আগে মাওলানা তৌহিদ বিন আজহারের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। সেই সুযোগে চা বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া বিষয়টি অন্য কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়। পরে বুধবার দুপুরে মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালীন কৌশলে পালিয় যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা লিখিত অভিযোগ করলে মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার পরপর আত্মগোপনে চলে যায় অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকার মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী শিশুকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আসামিকে আগামীকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।