Tag: হামলা

  • কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরে হামলা-নারীসহ আহত-৪।

    কানাইঘাটে পূর্ব শক্রতার জেরে হামলা-নারীসহ আহত-৪।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কানাইঘাট পৌরসভা এলাকার ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা করা হয়েছে।এ ঘটনায় একই পরিবারের নারী-পুরুষ সহ ৪ জন আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আহতের পরিবার কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, ফাটাহিজল গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র এখলাছ উদ্দিন, তার চাচাতো ভাই আছাব উদ্দিন, ফুফু জয়গুন নেছা, চাচাতো বোন ফাহফুজা বেগম। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে ফাটাহিজল গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে পরিবারের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোটা নিয়ে এখলাছ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা চালায়। এতে হামলাকারীদের হাতে ৪ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
    পরে এখলাছ উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল খালিক মটর ও তার ৩ ছেলে সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গ্রামের মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি আপোষ-নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে সময় নিলেও অভিযোগের বিবাদীরা স্থানীয় বিচার মানেনি।
    অভিযোগের বাদী এখলাছ উদ্দিন জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি।

  • নারিকেল পাড়ার কারন জানতে চাওয়ায় ভূমিদস্যুদের হামলা-নারীসহ আহত-৩।

    নারিকেল পাড়ার কারন জানতে চাওয়ায় ভূমিদস্যুদের হামলা-নারীসহ আহত-৩।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে নিজ বাড়ি থেকে নারিকেল পেড়ে নিয়ে যাওয়ার কারন জানতে গেলে ভূমিদস্যুদের হামলায় তানিয়া,স্বপ্না ও তাঁর ছোট ভাই প্রবাসী তোহা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

    শুক্রবার ২৫ শে অক্টেম্বর লাহারকান্দি ইউনিয়ন আঠিয়াতলীর কসাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলো, বিপ্লব, বাবুল, আরিফ, মানিক,রিনা, শিখা, রিমু সহ অজ্ঞতনামা আরও অনেকে।

    সরজমিনে গিয়ে ও মামলা সূত্রে জানাযায়,দীর্ঘদিন থেকে অভিযুক্তরা তানিয়া আক্তারে ক্রয়কৃত জমি থেকে নারিকেল, সুপারি পেড়ে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন তারা লোকজন নিয়ে প্রকাশ্যে নারিকেল পেড়ে লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভোক্তভোগি বাড়িতে গিয়ে নারিকেল পাড়ার বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে তানিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

    এ সময় তাঁর ছোট তোহা বাবী স্বপ্না এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে আসামিরা। এসময় আসামিরা তাদের কাছে থাকা ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের শোরচিৎকার শুনে দৌড়ে আসলে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যার। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত তানিয়া ও তাঁর ভাইকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অপর দিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবাসী পরিবারের লোকজনকে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভূমিখেকোরা।

    এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত জোর জবরদস্তি করে অবৈধ দখলবাজ নুরু আলম গংরা একই বাড়ির অন্য লোকদের সম্পক্তিও জোর পূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর মডেল থানার (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষই থানায় এজাহার দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালকের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর নারী সহ আহত-৩।

    লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালকের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর নারী সহ আহত-৩।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালক রুবেলের বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ঘরদুয়ার ভাঙচুর ও পেয়ারা বেগম সহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় নগদ টাকাসহ ৩০,০০০/ হাজার টাকার ও স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    আনোয়ার,আব্দুল গনি, আবুল কাশেম, শারমিন রুমি, মিতু  শুক্রবার (১১ই আক্টেম্বর ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলার ১৬নং শাকচর ইউনিয়নের

    খোসাল মিঝি বাড়িতে  অটো চালক রুবেলের বসত ঘরে একদল লোক এ ঘটনা ঘটায়। এটি ডাকাতি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

    আহতরা হলেন, রুবেল,সেলিনা, পেয়ারা বেগম। পুলিশ ও ভূক্তভোগীরা জানায়, ঘটনার সময় ৮-১০ জনের একদল ‘ডাকাত’ রুবেল বসত ঘরে ঢুকে পড়ে। ওই সময় সেলিনা আক্তার গলা-কান থেকে স্বর্ণের চেইন-দুল ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। এই সময় বাধা দিলে সেলিনা কাঠ দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।

    অভিযোগ অস্বীকার করে, আবুল কাশেম বলেন, আমার বাবার কেনা ৩৬ শতাংশ জমি রুবেল ও তার ভাই বোনেরা দখল করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারা হামলা করেছে তাদেরকেও আমি চিনি না। তারা নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব ছড়িয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা ঘটনা ঘটেছে। এটি ডাকাতি নয়। ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • প্রকাশ্যে ক্লাসরুমে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলা।

    প্রকাশ্যে ক্লাসরুমে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলা।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় শ্রেণিকক্ষে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ০২ অক্টোবর ২০২৪ ইং, দুপুরে বড়লেখা পৌর শহরের বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
    মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষে বসে মাদরাসার চার শিক্ষার্থীর ধূমপানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটি চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মাদরাসায় যান। একপর্যায়ে মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মাদরাসায় ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    হামলাকারী বহিরাগতরা হলেন- আরিফুল ইসলাম, শাহরিয়ার ফাহিম, আব্দুল কাদির পলাশ, সাকিব আফনান, সামিদ, আজাদ, জালাল প্রমুখ।
    মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদির বলেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য কিছু ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। সেই ঘটনায় কিছু লোক মাদরাসায় আসেন। তারা আসলে আমরা বলি অধ্যক্ষ জেলা শহরে গেছেন, তিনি আসলে বুঝা যাবে। এ ঘটনায় তারা মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কে কোন রাজনীতি করেন আমরা তো তাদের চিনি না।
    বড়লেখা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েছি এখানে ছাত্রশিবির অবস্থান করে ফরম কাটাচ্ছে এবং কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা এসেছিলাম। আসার পর তারা আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরা পাল্টা হামলা করি।
    বড়লেখা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাজু আহমদ বলেন, ধূমপান করায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগে ৪ জনকে বহিষ্কার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বিষয়টি নিয়ে মাদরাসায় এসে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ছাত্র সংসদের ভিপি আব্দুর রহমান এবাদ এটার প্রতিবাদ করলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তারা ভাংচুর চালায়। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে ছাত্রদলের নেতারা পালিয়ে যায়। এখানে ছাত্রশিবিরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
    বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ বলেন, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতরা মাদরাসায় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। ঘটনাটি শুনে আমরা মাদরাসায় যাই। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছিল। বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা বিষয়টির উপযুক্ত সমাধান করে দেবেন। এরপর আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করি। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যাদের বহিষ্কার করেছে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল কাদির পলাশ।
    দক্ষিণবাগ (উত্তর) ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা ঘটনা শুনে সেখানে যাই। সেখানে ছাত্রদল আর ছাত্রশিবিরের ছেলেরা ছিল। সেখানে গিয়ে শুনেছি ধূমপানের বিষয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রদল আর শিবিরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে দুই পক্ষ অবস্থান নিলে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করি। সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছিল। ফয়ছল ভাই আর আমি মিলে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেই।
    তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা বসে দুই পক্ষের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে সেটা সমাধান করে দেব। সেখানে অধ্যক্ষ ও প্রশাসন থাকবে।
    বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আলিম উদ্দিন বলেন, যে ছাত্রগুলোকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা আগে থেকেই সমস্যা তৈরি করে আসছিল। তারা ক্লাসে বসে ধূমপান, ছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেছিল। এজন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়। আজ আমি ডিসি অফিসে ছিলাম। পরে শুনেছি ওই শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে বহিরাগতরা মাদরাসায় একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ তৈরি করে। দুই পক্ষের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
    এবিষয়ে বড়লেখা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফোর্স পাঠাই। সেনা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি সবার উপস্থিতিতে বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ ও বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার সামাধান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় বহিরাগতদের পক্ষে ছিলেন আব্দুল কাদির পলাশ। বর্তমানে এখানে কোনো ঝামেলা নেই। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
  • ওয়াজ মাহফিলে জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা করতেন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।

    ওয়াজ মাহফিলে জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা করতেন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি)’র মোল্যা লুৎফর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় রামপাল উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা রামপাল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায়।
    মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও ও গুলির হুমকি, আওয়ামী পুলিশ লীগ হয়ে নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপর হামলা-মামলা, নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাৎসহ মসজিদের সভাপতি থাকাকালীন মক্তবের প্রস্তাবিত এবং বায়নাকৃত সম্পত্তি নিজ নামে আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
    একাধিকবার স্থানীয় মসজিদে বাৎসরিক মাহফিলে জোরপূর্বক সভাপতি হয়ে মাহফিল চলাকালীন সময়ে “জয় বাংলা ” স্লোগান দিয়ে মাহফিলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন তিনি।
    ‘কাশিপুর এলাকার ভুক্তভোগী সরদার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি গরীব মানুষ, আমি বিএনপিকে ভালোবাসি। ২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে নিজের ব্যাটারি চালিত ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করে  বিএনপির সমাবেশে যাই। মালিবাগ মোড়ে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দালাল মোল্লা লুৎফর আমাকে দেখে চড়াও হয়। সে বলে তোরা নাস্তিক, তোরা সরকার পতন করাতে এখানে এসেছিস। তোরা যদি এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে না যাস, তাহলে তোদের গুলি করবো।’
    ‘ভুক্তভোগী মোঃ সুমন জানান, আমরা জীবন বাঁজি রেখে বিএনপির সমাবেশে গেছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের দালাল হয়ে লুৎফর আমাদের বলে তোরা যদি এখন এখান থেকে চলে না যাস তোদের গুলি করে মেরে ফেলবো। আমরা প্রাণভয়ে স্থান ত্যাগ করি। পরবর্তীতে লুৎফর ছুটিতে বাড়ি এসে আমাদের নানান হুমকি ধামকি দেয়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা রামপাল মোংলার নির্যাতিত জনগণ তার ফাঁসির দাবি জানাই।’
    আরেক ভুক্তভোগী শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইলিয়াস আহমেদ বলেন, পুলিশ লুৎফর কাশিপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি। সে মসজিদের পাশে মক্তবের বায়নাকৃত সম্পত্তি সে গোপনে দলিল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সে পুলিশ লীগ হয়ে এলাকায় অনেক অপকর্ম করেছে। সে একজন নারী লোভী। এতদিন সাধারণ মানুষ জেল খাটার ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। আমরা মোল্যা লুৎফর রহমানের ফাঁসি চাই।
    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সরদার মাহফুজুর রহমান চিক, শেখ আসাবুর রহমান, সরদার বিদার হোসেন, শেখ সাইফুল ইসলাম, শেখ মাছুদ পারভেজ প্রমুখ।মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁসি ফাঁসি চাই, লুৎফর মোল্লার ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেন।
    এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দিয়েছেন।
  • মাধবপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় পুলিশের ওপর হামলা আহত ৩।

    মাধবপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় পুলিশের ওপর হামলা আহত ৩।

    মাধবপুর হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আলমগীর চৌধুরীকে ধরতে গিয়ে এক এএসআই সহ ৩ পুলিশ আহত হয়েছেন। উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দপেুর গ্রামে রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন এ এসআই নূরুল ইসলাম, কনষ্টেবল আরিফ শেখ, কনষ্টেবল সোহাগ মিয়া। মাধবপুর থানার এসআই দ্বীন মোহাম্মদ জানান, উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের হাসান চৌধুরীর ছেলে আলমগীর চৌধুরী চেক ডিজঅনার মামলায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে ৪ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে আলমগীর চৌধুরী পলাতক ছিল।
    রোববার মধ্যরাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আলমগীর চৌধুরী গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করার পর আলমগীর চৌধুরীর হুকুম দেয় পুলিশের ওপর আক্রমন চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিতে। তার হুকুম পেয়ে তার বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে একটি গাড়িতে তুলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তার বাড়ির সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আলমগীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে।
    পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আলমগীর চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
  • রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা-পুলিশের অভিযানে আটক ১১।

    রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা-পুলিশের অভিযানে আটক ১১।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
    বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় এক আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
    হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আশাবুল গাজী (২০) নামে এক ডাকাতকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।
    আনসার ব্যাটারিয়ন-৩ এর পরিচালক মোল্লা আবু সাইদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
    বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আনসার সদস্য ও গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে খুলনা ও চার নিরাপরাপত্তা কর্মীকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
    তিনি জানান আরও জানান, বুধবার রাতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেটারিয়াল ইয়ার্ড এর ৩ নম্বর টাওয়ারের পাশ থেকে ৩০-৪০ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। তাদের প্রবেশের পথে নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা চোরদের ধাওয়া করে। এসময় চক্রের সদস্যরা আনসারদের উপর হামলা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এ সময় ওই চক্রের আশাবুল গাজী নামে এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হলে চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। চক্রটির হামলায় সেন্ট্রি সিকিউরিটি সুপারভাইজার আকরাম, সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মন্ডল ও আনসার সদস্য কামাল পাশা আহত হন। আহতদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাময় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
    এ হামলার ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১১ জনকে আটক করছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা এগারোটায় বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান।
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয়। চক্রের সদস্যরা মূলত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল চুরি করতে এসেছিল। ঘটনার পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • লক্ষ্মীপুরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া এনজিও কর্মীর হামলার শিকার নারী গ্রাহক।

    লক্ষ্মীপুরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া এনজিও কর্মীর হামলার শিকার নারী গ্রাহক।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরে প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও’র এক কর্মীর বিরুদ্ধে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় এক নারী গ্রাহকে মা’রদোর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর সাহাপুর ডাক্তার বাড়িতে (ভাড়াবাসায়) এ ঘটনা ঘটে।

    অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও থেকে রেখা আক্তার ৬০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে নন্দনপুরে জাহাঙ্গীর কে দিয়েছে। জাহাঙ্গীর ও সঠিক সময়ে পরিশোধ না করাতে এনজিও কর্মী সোহাগ সাহাপুর এলাকার মমিনের স্ত্রী রেখা আক্তারের ভাড়া বাসায় এসে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে এতে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করলে এনজিও কর্মী সোহাগ রেখা আক্তার কে এলোপাথাড়ি মা’র দর শুরু করে। রেখা আক্তার শোরচিক্কারেৎ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সোহাগ পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রেখা আক্তার কে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    রেখা আক্তার বলেন , আমি একা বাসায় থাকার সুযোগে এনজিও কর্মী সোহাগ বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাবে দেয় রাজি না হওয়া সে। খারাপ আচরণ করতে নিষেধ করায় সোহাগ আমাকে এলোপাথাড়ি মা’র দর শুরু করে। আমার একটি মোবাইল ফোন ও একটি কানের ঝুমকা সোহাগ নিয়ে যায়।

    রাত দশটার সময় প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও অফিস থেকে কয়েক টা মোটরসাইকেল আরো কয়েকজন এনজিও কর্মী এসে বিভিন্ন হুমকি দেন এই বিষয়ে যেন আর কাউকে কিছু না বলতে ।

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মী দের কে হুমকি দিয়ে বলেন, আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি রেখা আক্তার আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আমার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে গেছে। আপনার সঠিক নিউজ করবেন না হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রত্যাশি ব্যাক দালাল বাজার শাখার ফিল্ড অফিসার মোঃ আবুল বাশার বলেন,একজন নারী গ্রাহকের গায়ে হাত দেওয়া সোহাগের ভূল হয়েছে। আমি চুটিতে আছি আপনি পরে আমার অফিসে আসলে এই বিষয়ে কথা হবে।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) মোঃ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, রেখার আক্তার এনজিও কর্মীর হাতে হামলার শিকার হয়েছে এ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে আলমগীর মাঝির নৌকার উপর হামলা-ভাঙচুর ও টাকা লুটের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে আলমগীর মাঝির নৌকার উপর হামলা-ভাঙচুর ও টাকা লুটের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    আলমগীর মাঝির নৌকাটির উপরে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর সময় ১০ হাজার টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
    সোমবার (২৫ মার্চ ) সকালে রায়পুর উপজেলার ৮নং চর লক্ষী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আখন বাজারের আলমগীর মাঝির নিজ বসতঘরের সাথে ডাকাতিয়া নদীতে ডিঙ্গি নৌকাটির উপরে হামলার ঘটনা ঘটায়। এটি ডাকাতি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

    এদিকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন জসিম, খোকন, পিরোজ, রপিক শিপন,ঘটনার স্থলে এসে দেখতে পান ৮-১০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন এনে ডেঙ্গি নৌকার টির উপর হামলা করেছে টিটু চৌধুরী

    ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজী জানান: আলমগীর মাঝির ৪০, হাজার টাকা নৌকা দফায় দফায় করেন টিটু চৌধুরী এই বিষয় নিয়ে টিটু শশুর নূরনবী চেয়ারম্যানের সাথে আমি আলোচনা করেছি রমজানের পরে বসে সমাধান করে দেব।

    অভিযোগ অস্বীকার করে টিটু চৌধুরী বলেন পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব ছড়িয়েছে।

    হাজী মারা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আজাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ড্রেজারে বালু তোলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নৌকাটির উপরে হামলা ঘটনা ঘটেছে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • মাটিরাঙ্গায় পৌর মেয়রের উপর অতর্কিত হামলা-৩ যুবক গ্রেপ্তার।

    মাটিরাঙ্গায় পৌর মেয়রের উপর অতর্কিত হামলা-৩ যুবক গ্রেপ্তার।

    মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ 
    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃশামসুল হক’কে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ’ সহ তাঁর দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে মাটিরাঙ্গা থানার পুলিশ।
    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে মেয়র মোঃ শামসুল হক পৌর ৭নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় গেলে দখলদার আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর দুই ভাই মামুন, রনি মিলে পৌর মেয়রের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এবং মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পাড়া দিয়ে শ্বাসরুদ্ব করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজাদ সহ তাঁর দুই ভাইকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
    পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ ফরাজি বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেইসাথে ঐ সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
    মেয়র মোঃ শামসুল হক বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে মেয়র পৌর ৭নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে দখলদার ইসমাইল এর নির্দেশে তার ছেলে আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর দুই ভাই মামুন, রনি মিলে আমার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে আমার শরীরে আঘাত করে।
    মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের আটক করা হয়েছে অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
    এদিকে পৌর মেয়রকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।