Tag: হত্যা

  • মাটিরাঙ্গায় বিধবা চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা,আসামির স্বীকারোক্তি।

    মাটিরাঙ্গায় বিধবা চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা,আসামির স্বীকারোক্তি।

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড পশ্চিম মুসলিমপাড়া এলাকায় চার সন্তানের জননী(৪৫)কে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
    খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে অত্র মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স ৭ দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার সংক্রান্তে  মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মোঃ আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালাম(৪৯)কে মাটিরাঙ্গা বাজারের হাসাপাতাল মোড়ের  ভাই ভাই হোটেল হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।  প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদে আসামী আবুল কালাম অত্র মামলার ভিকটিম জরিনা বেগমকে ধর্ষণ করতঃ হত্যা করেছে মর্মে স্বীকার করে।
    ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালাম(৪৯) মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আদর্শগ্রাম রমিজ কেরানীপাড়া এলাকার মৃত আবদুল ছাদেক’র ছেলে।
    শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
    পুলিশ সুপার জানান, আবুল কালাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক সেঁজুতি জান্নাত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
    পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আবুল কালাম বলেছে, আবুল কালাম ওরফে রদ্দা কালাম মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ের ভাই ভাই হোটেলে পরটা বানানোর কাজ করত এবং জরিনা বেগম ভাই ভাই হোটেলে ঝি এর কাজ করত। সেই সুবাদে দেড় বছর পূর্ব হইতে জরিনা বেগমের সাথে পরিচয়ের সুবাদে মোবাইল ফোনে কথা বার্তা হতো।
    এরই ধারাবাহিকতায় গত (১৫ ডিসেম্বর) জরিনা বেগম ও আবুল কালাম এর ফোন আলাপের এক পর্যায়ে আবুল কালামকে জরিনা বেগমের বাসায় আসতে বলে। ঐ দিনই আবুল কালাম রাত ৮ঘটিকার সময় জরিনার বসত ঘরে যায় সে। ভিকটিমকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
    খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ আরও জানান, পুলিশ ২২ ডিসেম্বর ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। একই দিন ভুক্তভোগীর বড় ছেলে বান্দরবান থেকে মাটিরাঙ্গায় এসে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
  • বেলকুচিতে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ।

    বেলকুচিতে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ।

    সবুজ সরকার,বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাফিয়া খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।রোববার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মাইঝাইল গ্রাম থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত গৃহবধূ সাফিয়া বেলকুচি উপজেলার মাইঝাইল গ্রামের শামীম তালুকদারের স্ত্রী ও জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের শফিউল বারীর মেয়ে।

    নিহত গৃহবধুর চাচা রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর আগে সাফিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শামীম তালুকদারের। বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য সাফিয়াকে প্রায় সময়ই মারপিট করতেন তার স্বামী। এরই জেরে গত শনিবার রাতে উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সাফিয়াকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

    বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

  • শাহজাদপুরে সাংবাদকি জহুরুলকে হত্যার হুমকি;থানায় সাধারন ডায়েরি। 

    শাহজাদপুরে সাংবাদকি জহুরুলকে হত্যার হুমকি;থানায় সাধারন ডায়েরি। 

    শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পত্রিকায় প্রতিবেদন করায় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলামকে প্রাণ নাশের হুমকি সহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে থানায় সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মী জহুরুল ইসলাম। তিনি দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার শাহজাদপুর প্রতিনিধি ও শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

    সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সুত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে “নৌকার নির্বাচনী সভায় কালো কাপড়ে মুখ ও মাথা বাধা বাহিনী, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক” শিরোনামে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে একটি প্রতিবেদন করার পর ফেসবুকে শেয়ার করেন জহুরুল ইসলাম।

    এরপর থেকে কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কতিপয় ব্যক্তি তার ফেসবুকে ও মুঠোফোনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

    এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান জানান, গণমাধ্যম কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • বাঁশখালীতে হাতি হত্যার অপরাধে আদালতের নির্দেশে দুজনকে কারাগারে।

    বাঁশখালীতে হাতি হত্যার অপরাধে আদালতের নির্দেশে দুজনকে কারাগারে।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর লটমনিতে হাতি হত্যার দায়ে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর২১) সকালে বাঁশখালী আমলি আদালতের বিচারক মো. মাইদনুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। দেশে প্রথম হাতি হত্যার দায়ে এ দুজনকে কারাগারে পাঠানো হলো। মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর বাঁশখালীতে লটমনিতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের মাধ্যমে হাতিটিকে হত্যা করা হয়।

    পরে আসামি কামাল ও নেজাম হাতিকে মাটিচাপা দেন। পরবর্তীতে বন বিভাগ বাদী হয়ে মামলা করলে বাঁশখালীতে আমলি আদালত প্রথম ও দ্বিতীয় আসামি বাবা কামাল ও ছেলে নেজামকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা দক্ষিণ সফিকুল ইসলাম জানান, বাবা-ছেলে মিলে হাতিটিকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। আদালতের রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। গত এক মাসে সাতকানিয়া, চকরিয়া, ঈদগাহ ও বাঁশখালীতে বিভিন্ন কারণে ৫টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। শুধু বাঁশখালীতেই ১৯ দিনের ব্যবধানে ২টি হাতির মৃত্যু হয়।

  • নাগরপুরে পিতাপুত্রকে হত্যার হুমকি ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ

    নাগরপুরে পিতাপুত্রকে হত্যার হুমকি ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ

    স্টফ রিপোর্টারঃ টাংগাইলের নাগরপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পিতাপুত্রকে হত্যার হুমকি ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের কোলকুষ্টিয়া গ্রামে।

    ভুক্তভোগী কোলকুষ্টিয়া গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে পান্নু মিয়া সাংবাদিকদের জানান,আমার ছেলে মোঃ বাবলু প্রায় বিশ বছর হলো সৌদি প্রবাসী। প্রতিপক্ষচামটা গ্রামের পরশ মিয়ার ছেলে নবিন মানসিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় সৌদিতে আমার ছেলের রুমে আশ্রয় নেয়।নবিন সৌদিতে আমার ছেলের রুমে কিছুদিন থাকার পর আমার ছেলে কোম্পানির ডিউটিতে গেলে গত ২৯/১১/২০২১ তারিখে আমার ছেলের রুমে গলায় ফাঁস নেয়।পরবর্তীতে লোকজন নবিন মিয়াকে সৌদির একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবিনকে মৃত ঘোষণা করে।

    এ ব্যাপারে সৌদি পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নবিনের ফাঁস নিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সৌদির একটি হাসপাতালের সার্টিফিকেট আমার ছেলে বাবলু আমাকে পাঠায়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বাড়িতে এসে পরশ আলী ও তার ছেলে রতন গত ১/১২/২০২১ তারিখে আমার ছেলে বাবলু নাকি নবিনকে হত্যা করেছে এই অসত্য, বানোয়াট অভিযোগ এনে আমার পুত্র তারা মিয়া ও আমাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে এবং আমার কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে।এছাড়া রতন গং আমার ছেলে তারা মিয়ার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং পুত্রবধু আছমা বেগমকে মারপিট করে।

    এখন আমার পরিবারসহ আমি নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি।আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে পান্নু মিয়া দশ জনকে আসামী করে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন

    এ ব্যাপারে সৌদি প্রবাসী বাবলুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,সৌদির একটি হাসপাতালে নবিনকে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবিন ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করে।এ ঘটনায় সৌদি পুলিশ আমি সহ আমার রুমমেটদের
    জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।আমার উপর পরশ গং যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ অসত্য বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক।

    এ বিষয়ে পরশ মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

  • উল্লাপাড়ায় বটির কোপে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক স্ত্রী পলাতক।

    উল্লাপাড়ায় বটির কোপে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক স্ত্রী পলাতক।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম(শামিম) (৪৬) নামের এক ব্যাক্তিকে পারিবারিক কলহের জেরধরে দারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তৃতীয় স্ত্রী শিরিনা বেগম।

    শুক্রবার ১০ নভেম্বর সকাল সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাচলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটনা ঘটে।

    নিহত শরিফুল ইসলাম পাঁচিলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।ঘটনার পর থেকে শিরীন পলাতক রয়েছে।

    জানা যায়, শিরিনা বেগম নিহত শরিফের তৃতীয় স্ত্রী। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে স্ত্রী দারালো বটি দিয়ে স্বামী মাথায় বটি কোপ দেয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তার স্বামী।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সলঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আব্দুল কাদের জিলানী জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার পূর্বক ঘাতক স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ৫ জনের যাবতজীবন।

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ৫ জনের যাবতজীবন।

    অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

    বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাদের এজলাসে তোলা হয়। এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়।

    ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া জানান,বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছেন।এদিকে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন,ছেলে হত্যার রায় শুনতে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় এসেছি। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি।তিনি আরোও বলেন,আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে,সবার মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে সন্তুষ্ট।

    গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগের ধার্য দিনে রায় ঘোষণা না করার বিষয়ে বিচারক বলেন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তা বিশ্লেষণ করে রায় প্রস্তুত করা এখনো সম্ভব হয়নি। রায় প্রস্তুত করতে আরোও সময় লাগবে। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।

    ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

    নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

    ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

    অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহার-বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

    গ্রেফতার ২২ জন হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার-বহির্ভূত আসামি। ২৫ আসামির মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থী মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ পলাতক।

    ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

  • ছাতকে রাব্বি হত্যা মামলা আসামীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

    ছাতকে রাব্বি হত্যা মামলা আসামীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

    ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে মেহেদী হাসান রাব্বি হত্যা মামলা দ্রুত ন্যায় বিচারে নেওয়া ও আসামীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। আজ বুধবার ০৮/ডিসেম্বর ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকার নগর ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হত্যাকান্ডের শিকার মেহেদী হাসান রাব্বির হতদরিদ্র মা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রুপিয়া বেগম।

    লিখিত বক্তব্যে রুপিয়া বেগম বলেন, গত ২৩ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি কে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির ৪ নং এলাকার বাজার সংলগ্ন প্রকাশ্যে দিবালোকে সংঘবদ্ধভাবে চুরির আঘাতে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।

    এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় তারেক হোসেন, আতিকুর রহমান, মোক্তার আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, তাজিম হোসাইন, অপু মিয়া, লিয়াকত আলীসহ ১৭জনকে আসামী করে ছাতক থানায় মামলা নং ২০/২০১৯ দায়ের করা হয়। আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় কিছু আসামীরা হাইকোর্ট ও অন্যান্য আসামীরা সুনামগঞ্জ ভ্যাকেশনাল কোর্ট থেকে মুক্ত হয় জামিনে। এর পর দায়েরী মামলার প্রত্যাহারের জন্য ও মামলার স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করা হয়। আসামীরা হাইকোর্টে জামিন নিতে নিতে গেলে হাইকোর্টে যাওয়ার পথে সায়েদাবাদ এলাকায় রুপিয়া বেগমের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ৩১ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখে যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি নং-২১৭৫ দায়ের করা হয়।

    এখানেই আসামীরা থেমে নেই। ছাতক মেহতাজ শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবারো রুপিয়া বেগমকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসামীরা। এতেও তিনি ২৪ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে ছাতক থানায় একটি জিডি নং-১১০০ দায়ের করা হয়। গত ২১ জানুয়ারী ২০২১ ইং মামলার ধার্য্য তারিখে সুনামগঞ্জ কোর্টে যান রুপিয়া বেগম। সেখানেও মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামীরা রুপিয়া বেগমকে পুনরায় ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করা হয়। এমনকি রুপিয়া বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় আসামীরা।

    লিখিতি বক্তব্যে রুপিয়া বেগম আরো বলেন, আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মালিক, আমার শাশুড় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তোফায়েল হোসেন খাঁন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছি। হত্যাকান্ডের ঘটনায় হুকুমদায়ী ও মামলার আসামী লিয়াকত আলী হাইকোর্ট থেকে মুক্ত ছিল জামিনে। এর পর ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে হাইকোর্ট তার জামিন রিজেক্ট করেন। কিন্ত আসামী লিয়াকত আলী হাইকোর্টে একটি মিস কেইস নং-২৫২১৬/২০২০ দায়ের করেন। চলচাতুরির মাধ্যমে মিস কেইসের কথা বলে নিম্ন আদালত থেকেও জামিন নেয় লিয়াকত আলী। হাইকোর্ট মিস কেইসের শুনানী শেষে আসামী লিয়াকত আলীকে ২৯ নভেম্ভর ২০২১ ইং তারিখের মধ্যে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ প্রদান করেন। ২৮ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে আসামী লিয়াকত আলী সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্ত অন্য সব আসামীরা মুক্ত রয়েছেন জামিনে।

    লিখিত বক্তব্যে রুপিয়া বেগম আরো বলেন, দায়েরী মামলাটি দ্রুত ন্যায় বিচারে নেওয়ার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, আই জি পি, পুলিশ হেড কোয়াটার, ডিআইজি অব পুলিশ, সিলেট রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।

    মামলার আসামীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। অর্থ ও পেশি শক্তি প্রয়োগে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করার সকল অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্তায় ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংষ্কা দেখা দিয়েছে। একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি কে হারিয়ে অসহায় ও নি:স্ব হয়েছি। রুপিয়া বেগমের দাবী মামলাটি দ্রুত ন্যায় বিচারে নেওয়া হোক। আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হোক। আমার মত আর কোন মায়ের কুল যেনো খালি না হয় সে জন্যই মেহেদী হাসান রাব্বি হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশনেন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় আইন মন্ত্রী ও মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করেন রুফিয়া বেগম।

  • নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে হত্যা ও ক্রসফায়ারের হুমকি।

    নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে হত্যা ও ক্রসফায়ারের হুমকি।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ ছবিতে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুন রাব্বি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনির কর্মী রিয়াজ উদ্দিন মিজিকে ক্রসফায়ারসহ হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। ভবানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক বাদলের ভাতিজা আবদুল্লাহ আল মামুন রাব্বি মোবাইলফোনে কল করে তাকে হুমকি দেয়।

    ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের কল রেকর্ডিংটি শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে রিয়াজের মোবাইলফোনে রাব্বি কল দেয়। তবে ওই কল রেকর্ডিং এ প্রতিটি কথার আগে ও পরে রাব্বি খারাপ ভাষায় রিয়াজকে গালামন্দ করেছে এবং রিয়াজকে হুমকি দিতেও শোনা যায়,এই মিজি নিরে। মিজি, যদি আর একটা নৌকার বিরুদ্ধে  স্ট্যাটাস দেস তাহলে তোরে বাড়িত তন (বাড়ি থেকে) ধরি আনি (এনে) ক্রসফায়ার করিয়াম (করব)। নৌকার বিরুদ্ধে কোন স্ট্যাটাস দিলে ডাইরেক্ট আঁকি হালাইয়াম (ফেলবো) তুই যিয়ানেই (যেখানেই) থাস (থাকিস)। তুই বাড়িত নি হেডা (সেটা) ক (বল)। তুই নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিবিতো, তুই মহানগর যুবলীগ করসতো, যুবলীগের নাম বেচস কেন? তুই বিএনপির লগে লিয়াজু করে আওয়ামী লীগের পেস্টুন ভাঙস, এগিন মাইনসে জানে না। বিএনপির লগে লিয়াজু করে যুবলীগের নাম বেচস (বিক্রি করিস)। মারি (মেরে) হালাইয়াম, ডাইরেক্ট মারি হালাইয়াম। তোর বাবা হালিম মাস্টারকে হবে ওয়াপদা অফিসে নাম ধরি কইছি’।

    রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজি বলেন, কল পেয়ে আমি রাব্বিকে সালাম দিয়েছি। কিন্তু রাব্বি শুরু থেকেই আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলে। প্রতিটি বাক্যে তিনি আমাকে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছে। আমাকে ক্রসফায়ার দেবে, মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। নিজের জীবনের নিরাপত্তায় আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমি নৌকার বিরুদ্ধেও কোন স্ট্যাটাস দিইনি।

    এ অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল্লাহ আল মামুন রাব্বি বলেন, হুমকিতো দূরের কথা আমি কাউকে কল দিই নাই। আর কেনইবা হুমকি দেবো। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কল রেকর্ডিং আমার না। আমার মোবাইল থেকে অন্য কেউও রিয়াজকে কল দেয়নি। রিয়াজ মামলা করুক, সমস্যা নেই।

    এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। এখনো কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সাভার উলাইল ময়লার মোড়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ।

    সাভার উলাইল ময়লার মোড়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ।

    স্মৃতি রানি,স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ ঢাকা সাভার উলাইল নামাগেন্ডায় ময়লার মোড়ে ভোরের আলো স্কুলে এন্ড কলেজের ষষ্ঠ তলা ভবনের মোঃ আনিছুর রহমান সেলিমের ৬০২ নং রুমে ভাড়া থাকত সামিকে নিয়ে।

    মৃত সিমা আক্তার সাইদুল ইসলামের মেয়ে জাফলং গোয়াইনঘাট সিলেটের। মৃতের সামি আরিফুল ইসলাম চয়ন ( ২৫ ) পিতা মোকলেছ উদ্দিন এর ছেলে ইন্দারকান্দি ময়মনসিংহ।

    মৃত সিমা আক্তার স্বামী আরিফুল ইসলাম সাভার আল মুসলিম গার্মেন্টসে নাইট ডিউটিতে ২৮/১১/২১ তারিখে রাত ৭:৩০ মিনিটে যায়। মৃত সিমা বাসায় একা থাকে। আরিফুল ইসলাম সকাল ৮:৩০ মিনিটে বাসায় এসে দেখে রুমের দরজা খুলা এবং দরজার সামনে খালি গায়ে মৃত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে তার স্ত্রী সীমা। আরিফুল ইসলামের চিৎকারের শব্দে পাশের রুমের সবাই ছুটে আসে।ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ লাইনে ফোন করে সাভার মডেল থানায় জানানো হয়।

    পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃত সিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানায় নিয়ে যায়।
    পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবারে খবর দেয়া হয়।

    অনুসন্ধানে জানা যায় যে- মৃত মোসা: সিমা আক্তার নামের যুবতি বয়স আনুমানিক ( ২২ ) কে পূর্ব পরিকল্পনা করে হত‍্যা করা হয়।

    স্থানীয়রা বলেন এ হত‍্যাকান্ডের সাথে বাড়িওয়ালা আনিছুর রহমান সেলিম জোগ সাজেশে হতে পারে প্রাথমিক ধারণা। তানাহলে বাড়ির মালিক হত্যাকান্ডের খবর পেয়েও ঘটনাস্থলে কেন উপস্থিত হয়নি।

    ভুক্তভোগীর পরিবার ৩০ /১১/২১ সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করে।

    সাভার মডেল থানার ( এস আই ) আব্দুল হক জানান মৃত সিমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে দ্রুত তদন্তের মাঝে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

    এছাড়াও মৃত সিমা আক্তার সামি ও শ্বাশুরি এবং সেই বাড়ির দারোয়ানকে প্রাথমিক জিঙ্গাসার জন্য আটক করা হয়।

    ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।