Tag: হত্যা
-
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে ভাই হয়ে ভাইকে পিঠিয়ে হত্যা।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাইদের হাতে অপর ভাই নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।জানা যায়, জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল হামিদ কালা মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকা বস্থায় নিজের নামে বাড়ীর অদূরে জায়গা ক্রয় করেন। দেশে এসে এসব জায়গা নিয়ে ভাইদের সাথে ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে মত বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠকে মিমাংসা না হলে কোর্টে মামলা হয়।মঙ্গলবার ২৭ জুন সকালে আব্দুল হামিদ কালা মিয়া তার জমিতে চাষ করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করলে তার ভাই আব্দুল জলিল, আরেক ভাই ফারুক মিয়া ও চাচাতো ভাই আব্দুল খালিক বাধাঁ দেয়। বাধাঁ না মানায় এ সময় তাকে জমিতেই পিঠিয়ে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বড়লেখা উপজেলার সুজানগর সিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর দুইজন সৌদি প্রবাসী।নিহতের ছেলে আপ্তাব মিয়া বলেন, আমার বাবা অসুস্থ মানুষ। আমার চাচাদের আপত্তিতে আব্বা অনেকদিন থেকে কাজ স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।সকাল আব্বা জমিতে গেলে চাচারা সেখানেই আব্বাকে হত্যা করে। আমার বাবা হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের এজাহার অনুযায়ী মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ পোস্ট মর্ডেমের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। -
সাংবাদিক নাদিম হত্যার বিচারের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নিপীড়ন বন্ধ ও সাংবাদিক সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি ও বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছ।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গলের দীঘিপাড় উপজেলা প্রেসক্লাবের সংলগ্নে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ’টি অনুষ্ঠিত।শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক যায়যায়দিন পত্রিকা’র শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি রুম্মন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ করেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এইমানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দে, সিনিয়র সাংবাদিক সুমন বৈদ্য, প্রথম আলো শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি শিমুল তরফদার, প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সাখাওয়াত লিমন, সাংবাদিক অর্জুন দাশ প্রমুখ। -
সাংবাদিক নাদিমের খুনীদের ফাঁসির দাবিতে দেওয়ানগঞ্জ প্রেসক্লাবে মানববন্ধন।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের হত্যাকারীদের ফাঁসীর দাবীতে মনববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ১১ ঘটিকায় দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।দেওয়ানগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি সাংবাদিক মদন মোহন ঘোষ এর সঞ্চালনা সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি সাংবাদিক রেজাউল করিম এলান।সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি এবং একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী অপু, জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ হারুন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আসলাম হোসেন, মেলান্দহ রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহজামাল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ,নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালের কন্ঠ, বাংলা টিভির প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি উসমান হারুনী, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও আজকের জামালপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক রশীদুল আলম শিকদার সহ মেলান্দহ মাদারগঞ্জ থেকে আগত সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ। এসময় বক্তারা নিহত সাংবাদিক নাদিমের আত্বার মাগফেরাত কামনা, তার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান, সেই সাথে খুনী বাবু চেয়ারম্যানকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সেল্টার দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানানো হয়। সেই সাথে দেশে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবী জানানো হয়।মানববন্ধনে পৌর কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম খোকা এবং মহিলা কাউন্সিলর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে একাত্মতা প্রকাশ করেন। -
রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
বাগেরহাটের রামপালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রকাশ্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁন কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ মে মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ টায় রামপাল সদরের কৃষি ব্যাংক চত্ত্বর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। এতে অংশ নেয়া দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে স্লোগান দেন। মিছিল শেষে রামপাল থানা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, হাওলাদার হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হামীম নূরী, বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল(ভিপি সোহেল)।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. চয়ন মন্ডল, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকের সহ্য হচ্ছে না। যারা দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চান, তারাই বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালান। শেখ হাসিনার কিছু হলে দেশের ১৭ কোটি মানুষ বসে থাকবে না বলেও বিএনপিকে হুঁশিয়ার করেন।
-
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি-প্রতিবাদে রামপালে মিছিল ও সমাবেশ।
বাগেরহাটের রামপালে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁন কর্তৃক প্রকাশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকাল ৪.০০ টায় উপজেলার রামপাল সদরে রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেন’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) মোতাহার রহমান,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন,উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ মান্নান,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি,হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ নূরুল আমিন,বজলুর রহমান,আলহাজ্ব গাজী গিয়াস উদ্দিন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁন’র এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তার ফাঁসি দাবী জানানো হয়। -
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় মিছিল সমাবেশ।
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় মিছিল সমাবেশ।
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে বিএনপি’র জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে দেশব্যাপি আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে ২২ মে সোমবার উল্লাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে।
মিছিলটি উল্লাপাড়া পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে শেষ হয়। এখানে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল ও মনিরুজ্জামান পান্না, মোবারক হোসেন, আশিকুর রহমান, আল মাহমুদ সরকার প্রমুখ।
-
কানাইঘাটে জামিনপ্রাপ্ত আসামীর হামলায় একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত।
কানাইঘাট পৌরসভার রায়গড় গ্রামে হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামীর হাতে একই পরিবারের মহিলা সহ ৪ জনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর এবং কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে মাথা ফাঁটিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় হামলাকারী রায়গড় গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র একই বাড়ির আব্দুল মতিনের হত্যাকারী জামিনপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল মান্নান (৪৫) এর বিরুদ্ধে মিনারা বেগম রুবি নামে এক মহিলা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে একটি পরিত্যাক্ত কুড়ি থেকে মাছ ধরার সময় আব্দুল মান্নান তার প্রতিবেশি রায়গড় গ্রামের সেলিম আহমদের স্ত্রী মিনারা বেগম রুবি ও তার কলেজ পড়–য়া মেয়ে ফাহমি বেগম (১৫), মাইশা বেগম (১১) ও ছেলে সজিব আহমদ (৬) কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আব্দুল মান্নান ফাহমি বেগমকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এ সময় তার মা মিনারা বেগম রুবি এগিয়ে আসলে তাকে সহ তার অপর মেয়ে মাইশা ও ছেলে সজিবকেও মারধর করে আব্দুল মান্নান। তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীর কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। জখম গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ কলেজ পড়–য়া ফাহমি বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঘটনার পর খবর পেয়ে থানার এস.আই দেবাশীষ শম্র্মা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ নানা ঘটনায় পূর্বে কয়েকটি মামলা হয়েছিল। বছর খানেক পূর্বে একই বাড়ির চাচাতো ভাই প্রবাস ফেরত আব্দুল মতিনকে হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ঐ মামলায় কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসে আব্দুল মান্নান এলাকায় নানা ধরনের অপরাধে লিপ্ত রয়েছে সে।
-
হত্যার মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি।
সবুজ সরকার,বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাতলাঠি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে চাঁন মিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পাশা পাশি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে ও নিহতের আত্মীয় স্বজনকে ভয় ভীতি দেখানো ও চাপ দেয়া হচ্ছে৷ মামলার প্রধান আসামি হলেন ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন। হুমকি দেয়ার কারনে গত ৭ এপ্রিল দুপুরে বেলকুচি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত চাঁন মিয়ার বড় ভাই আব্দুস শুকুর আকন্দ।
জিডির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুস শুকুরের সহদর ছোট ভাই চাঁন মিয়া আকন্দকে হত্যা করা হয়। পরে বাদী হয়ে আব্দুর করিম হত্যার মামলা দায়ের করেন। হত্যা কান্ডে জড়িত থাকায় সাতলাঠি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামচুল ও জুব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেনসহ অনেকেক আসামি করা হয়। জামিনে বের হয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন সময় হুমকী দামকি দিচ্ছেন। গত ১৭ মার্চে সকালে মামলার বাদী আব্দুর করিমের বাড়িতে গিয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এ ছাড়াও গত ৪ এপ্রিলে সন্ধ্যায় নিহতের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও পরিবারের লোকজনের উপর প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আব্দুস শুকুর আকন্দ বলেন, আসিরা শুধু মামলার বাদীকে নয়, চাঁন মিয়ার আত্মীয় স্বজনকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছেন৷ এ ঘটনার পর থেকে পরিবার ও স্বজন নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ মূল আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে আছেন৷
এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলবে এটাই স্বাভাবিক। মামলা তুলে নেয়ার হুমকির জিডির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে একই গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী গিয়ে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
-
সাংবাদিক শিমুল হত্যার ৬ বছর : শুরু হয়নি বিচারকার্য।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলকে হত্যার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্বব্যাপী আলোচিত এ হত্যাকান্ডের বিচার পায়নি তার পরিবার। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা জানান, শিমুল হত্যাকান্ডের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতা এবং কূটকৌশলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া তো দূরের কথা বিচারকার্যই শুরুই হয়নি।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি শাহজাদপুরের মণিরামপুরে মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে সংঘষের্র ছবি তুলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সাংবাদিক শিমুল। পরদিন ৩ ফেব্রæয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সেসময় শাহজাদপুরসহ দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ জানায় ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে। সেইসাথে দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সাংবাদিক সমাজ। বিশ্যব্যাপী আলোচিত হয়ে ওঠে এ ঘটনা। তখন থেকেই শাহজাদপুরের সাংবাদিকরা ধারাবাহিক ভাবে খুনিদের বিচার দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজাদপুরের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও শিমুলের পরিবারের সদস্যরা।
এদিন সকালে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় আব্দুল হাকিম শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর শাহজাদপুর প্রেসক্লাব থেকে শাহজাদপুরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, সংস্কৃতিকর্মী এবং নিহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্বজনদের নিয়ে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেস ক্লাব চত্বরে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুন্ডুর সভাপতিতে এবং সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক সবুজ ইউনুস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান পিন্টু, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি এমএ জাফর লিটন, বিআরডিবি চেয়ারম্যান ভিপি লুৎফর রহমান, সাংবাদিক শফিউল হাসান চৌধুরী লাইফ, আতিকুল ইসলাম, কল্যাণ ভৌমিক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক শিমুল হত্যাকান্ডের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতা এবং কূটকৌশলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া তো দূরের কথা বিচারকার্যই শুরু হয়নি। এ হত্যা মামলার সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে অবিলম্বে রাজশাহী দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা, শাহজাদপুর সমকাল প্রতিনিধি কোরবান আলী লাবলু, সাংবাদিক মুমীদুজ্জামান জাহান, এম এ জাফর লিটন, ওমর ফারুক, শামছুর রহমান শিশির, জহুরুল ইসলাম, জাকারিয়া মাহমুদ, জেলহক হোসাইন, আব্দুল কদ্দুস, শাফিকুল ইসলাম পলাশ, নয়ন আলী, আরিফুল ইসলাম, মিলন মাহফুজ, জাহিদ হাসান, মীর্জা হুমায়ন প্রমুখ।