Tag: হত্যা
-
মাধবপুরে সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল গ্রেপ্তার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে মাধবপুর থানার এসআই মো: মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে পতেঙ্গা থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। সে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর পুত্র। উল্লেখ্য পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১২ জানুয়ারী সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর বড় ছেলে ডা: সুভাষ পাল, শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত পালের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে সুভাষ পাল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সুবর্না পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর হবে। -
কুলাউড়ায় যমজ দুই শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা অভিযোগে মা গ্রেফতার।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরে চার বছর বয়সী যমজ দুই ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে।আজ রবিবার ২১ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকালে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত হওয়া যমজ দুই শিশু হলো উত্তরভাগ গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাদিয়ান আহমদ ও রাইয়ান আহমদ। এ ঘটনায় স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুদের মা রিমা বেগমকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। বাচ্চু মিয়া দুবাইপ্রবাসী। ছুটি পেয়ে প্রায় দেড় মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন।কুলাউড়া থানার পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বাচ্চু ও রিমা দম্পতির সাত বছর বয়সী তানিশা আক্তার নামের আরেক কন্যাসন্তান আছে। গতকাল শনিবার রাতে খাবার খেয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। আজ ভোর পাঁচটার দিকে বাচ্চু মিয়া ঘুম থেকে জেগে দেখেন, দুই ছেলে ও স্ত্রী পাশে নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পেছনে পুকুরঘাটে স্ত্রী রিমাকে ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শিশু রাদিয়ান ও রাইয়ান পুকুরে ভাসছিল। পরে স্বজনেরা দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম বেলা ১১টার সময় মুঠোফোনে বলেন, রিমা দুই সন্তানকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। স্বজনেরা বলেছেন, রিমা তিন-চার মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসাও চলছে। কয়েক দিন আগেও তিনি এক সন্তানকে পুকুরে ফেলার চেষ্টা করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত দুই শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলে এসআই আবদুল আলিম জানান।কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু মারমা বলেন, রিমাকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। দুই সন্তানকে হারিয়ে তিনি শুধু কান্নাকাটি করে যাচ্ছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য দুই শিশুর লাশ জেলা সদরে অবস্থিত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। -
হাকালুকি হাওরে চলছে পরিযায়ী পাখি হত্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে নাম না জানা অসংখ্য অতিথি পাখি শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দল বেঁধে আসতে শুরু করেছে। পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য ও পরিবেশের উপকারী বন্ধু। কিন্তু পাখি লোভী শিকারিদের হাতে সেই নিরীহ অতিথি পাখি শিকারে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে অনেক কমে গেছে হাওরে পাখিদের বিচরণ।মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরের জুড়ীর অংশে নাগুয়া ও চাতলার বিলে বিষটোপ-সহ পাশাপাশি প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছে তারা। তাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে হাকালুকি হাওর।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও শীত প্রধান বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাকালুকি হাওরে নানা প্রজাতির পাখি আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে- বালিহাঁস, ভুতিহাঁস, কালিম, সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি, গুটি ঈগল, কাস্তেচরা, কুড়া ঈগল, সরালি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের পাখি রয়েছে। আর এই সুযোগে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে নিরীহ অতিথি পাখি শিকার করছে পাখি লোভী অসাধু শিকারিরা।হাকালুকি হাওরের আশপাশ থেকে জানা যায়, হাকালুকি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও সিলেটের পাঁচটি উপজেলার ১৮১ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। এখানে ছোট-বড় ২৭৩ বিল, ১০ নদী ও অসংখ্য খাল রয়েছে। এই জলাভূমিতে পরিযায়ী পাখি শিকার সরকারের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি একে ১৯৯৯ সালে পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।এদিকে গত সপ্তাহে হাকালুকি হাওরের জুড়ীর অংশে নাগুয়া ও চাতলার বিলে পাখি দেখতে ও ছবি তোলার জন্য যান, মোঃ রিজওয়ানুল করিম, সৈয়দ আব্দুল, শাহানুল করিম চপল ও সুলতান আহমদ নামে ৪ জন আলোকচিত্রী। তারা হাকালুকির নাগুয়া বিলে ৩২টি পাখি মৃত পড়ে থাকতে দেখেন।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এ সময় মৃত পাখিগুলো মাটিচাপা দেন তারা। এ ঘটনা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট দেওয়ার পরই মুহূর্তে আলোড়ন তৈরি হয় প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে।স্থানীয় হাওরপাড়ে বসবাসকারীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, হাকালুকি হাওরে অসাধু শিকারিরা বিষটোপ আর প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করায় দিন দিন অতিথি পাখির আগমন কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে শীতে হাওরে অতিথি পাখি আসার সঙ্গে সঙ্গে পাখি শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠেন।তারা আরও বলেন, শিকারিরা দলবেঁধে বিষটোপ ও জাল দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করে। তারা সেসব পাখি গোপনে চড়া দামে বিক্রি করে। প্রতিজোড়া পাখি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলের সম্মানিত সিনিয়র সহসভাপতি ও দৈনিক জনসংগ্রাম পত্রিকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে। কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচাকেনা করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে বলে তিনি জানান।বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, পাখি শিকারিরা সব সময় তৎপর থাকলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে অন্ধকারে এমন দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরে কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে অবাধে চলছে পাখি শিকার। পাখি শিকার বন্ধে বন বিভাগ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় কোনভাবেই থামছে না পাখি শিকার।এ বিষয়ে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম ছারওয়ার বলেন, এ এলাকায় শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও পাখি শিকার বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। -
স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে পল্লিচিকিৎসক স্বামী গ্রেফতার।
হাবিবুল হাসান হাবিব,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় স্ত্রী হত্যার ঘটনায় স্বামী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার রসুলপুর বাগানবাড়ি এলাকা থেকে নীলফামারী র্যাব-১৩, সিপিসি-২ ও র্যাব-১১ নারায়নগঞ্জের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে। মাজহারুল ইসলাম ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের শালহাটি গ্রামের বাসিন্দা। সে পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর স্ত্রী লাভলী আক্তারকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে পিটিয়ে ও বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করে মাজহারুল। এসময় গুরুত্বর অসুস্থ্য লাভলীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও বিষ প্রয়োগে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটককৃত মাজহারুল।
-
ডিমলায় কুপিয়ে পিতা হত্যার অপরাধে ছেলেকে গ্রেফতার।
হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী ডিমলায় ঔরষজাত ছেলের কোদালের কোপে সত্তুর বছর বয়সী বৃদ্ধ পিতা আব্দুল আজিজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছেলে নুর ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশের সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় নুর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নুর ইসলাম উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখূলী মিলনপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) দেবাশীষ রায় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৃদ্ধ পিতাকে হত্যার প্রধান আসামী ছেলে নুর ইসলামকে জলঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত আব্দুল আজিজ তার ভোগদখলীয় জমি ঔরষজাত মেয়েদের নামে দলিল করে লিখে দেন। সেই জেড়ধরে ছেলে নুর ইসলাম তার বৃদ্ধ পিতাকে অমানবিক নির্যাতন করে আসছিল। নিহত আব্দুল আজিজ জমিতে ভুট্টার বীজ রোপন করতে গেলে পারিবারিক জমি জায়গার জেড়ধরেই নুর ইসলামের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে।
এ সময় নুর ইসলামের হাতে থাকা কোদাল দিয়ে স্বজরে তার বৃদ্ধ পিতা আব্দুল আজিজের মাথায় চোট দেয়। সেই চোটে আব্দুল আজিজ রক্তাক্ত গুরুতর হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বৃদ্ধ পিতার মৃত্যু হয় । এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
-
উল্লাপাড়ায় স্ত্রী দাঁ দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে হত্যা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্ত্রী নাসিমা খাতুন দাঁ দিয়ে কুপিয়ে স্বামী সাইফুল মন্ডল(৫০)কোন হত্যা করেছে। নিহত সাইফুল মন্ডল মন্ডলজানি গ্রামের মোঃ আতাহার আলীর ছেলে ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ভাই।
১০ নভেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মন্ডলজানি গ্রামে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে।
কয়ড়া গ্রামে নাসিমা ও সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়।তাদের ঘরে ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে।মেয়েদের বিয়েসাদী হয়ে গেছে। পরকীয় প্রেমের সম্পর্কের জেরে ৬/৭ দিন আগে দরিপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আমিরুলের মেয়ে আয়শা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় নিহত ফাইফুল ইসলামের। আয়শা খাতুনের আগেও অন্য আরেক জনের সাথে বিয়ে হয়েছিলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঘটনার আগের দিন সাইফুল ইসলাম ৬ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করেন। স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বসবাস করলে তার ঘরে সন্তানাদি জন্ম নিবে।তখন স্বামীর সম্পত্তির ওরিশ হবে।এ নিয়ে স্বামীস্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো।ঘটনার আগের দিন সাইফুল ইসলাম ৬ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করেন। প্রথম স্ত্রী মনে সন্দেহ হয় ধান বিক্রির টাকা দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে জমা দিবে।তখনই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালেক জানান সাইফুল ইসলাম ৬/৭ দিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে প্রথম স্ত্রীর সাথে সাইফুল ইসলামের ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়।তাদের সংসারে নেমে আসে অশান্তি।
শুক্রবার রাতে সাইফুল ইসলাম ঘুমিয়ে পড়েন।আকস্মিক মনের রাগে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে সাইফুল ইসলামকে গুরুতর আহত করে।স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ নভেম্বর শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছে।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেন উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানান প্রথমে নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দায়ের করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী নাসিমা খাতুন ও তার মেয়ে স্বপ্নকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাদে নাসিমা হত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মাকে বাঁচানোর জন্য মেয়ে স্বপ্না ঘটনার তথ্য গোপন করে।এ জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অজ্ঞাত দুই জনসহ পরিবারের লোকজনকে আসামী করে নিহতের ভাই মকবুল হোসেন উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।গ্রেফতারকৃতদের ১২ নভেম্বর রবিবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। -
যাত্রী সেজে অটোচালক রিফাতকে হত্যা,মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৭।
ঠাকুরগাঁওয়ের অটোচালক রিফাত ইসলাম হত্যার মূলহোতাসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (০৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, পিবিআই টিম মামলাটির ছায়া তদন্তের একপর্যায়ে গত ১৯ অক্টোবর মামলাটি স্ব-উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে মোবাইলের তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে গত ৬ ও ৭ নভেম্বর গভীর রাতে পিবিআই এর তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.রবিউল ইসলামসহ একটি চৌকস টিমের সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতার ও আলামত জব্দ করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন- পঞ্চগড় সদর থানার জিয়াবাড়ি সদ্দারপাড়া গ্রামের হালিম উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (১৬), ভুতমারী গ্রামের মৃত আশরাফ চৌধুরীর ছেলে মো. কামরুল হাসান (২৪), আটোয়ারী ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত চৈতনের ছেলে এরাজ ওরফে এরাজ উদ্দিন (৬২) তার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২), মো. আলমগীর হোসেন (২৫), একই উপজেলার দেলুয়াড়ার খৌর গ্রামের মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. নাছির উদ্দিন (৩৫) এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ঘনিমহেষপুর গ্রামের কাশি বর্ম্মণ এর ছেলে অতুল বর্ম্মণ (৩২)।পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আসামী রবিউল ও কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোরব সকাল ১০ টার দিকে ঠাকুরগাঁও আর্ট গ্যালারী হতে মীরগড় ব্রীজ দেখতে যাওয়ার জন্য ৬০০ টাকায় রিফাত এর অটো চার্জার ভাড়া করেন। পরবর্তীতে সারাদিন ঘুরাঘুরি করার পর আরও একটু সময় ঘুরাঘুরি করার জন্য ৪০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দেয় তারা। রাত ৯ টার দিকে ঘুরনগাছা কুজিশহর গ্রামের চার পুকুরি হতে মন্ডলাদামগামী কাচা রাস্তার পার্শ্বে অটোতে বসে থাকা অবস্থায় অটোচালক রিফাতের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে কামরুল এবং অটো চার্জার নিয়ে এরাজ উদ্দিনের নিকট বিক্রয় করেন।পরবর্তীতে আসামী রবিউল, কামরুল হাসান, অতুল বর্ম্মণ, নাছির উদ্দিন নিজেদেরকে ঘটনার সাথে জড়িত করে স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলে জানান তিনি।তাদের কাছে রিফাতরে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটো চার্জার এর চাকা, ডিফেন্সিয়াল মোটর, হেডলাইট, হ্যান্ডেলসহ মিটার, সকাপজা সেট, বসার সিট জব্দ করে পিবিআই।উল্লেখ্য- গত ১৭ অক্টোবর সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার ঘুরনগাছ এলাকায় একটি বাঁশঝাড় থেকে রিফাত ইসলামের গলাকাট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিফাত ইসলাম ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে। -
স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি থানায় এসে জানালে তার দেওয়া তথ্যমতে বাড়ি থেকে তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্ত্রী রাবেয়াকে ছুড়ি দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করে স্বামী নাজমুল ।
রাণীশংকৈণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরেই স্ত্রীকে নাজমুল হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে হচ্ছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর থেকে স্ত্রী রাবেয়া ও তার স্বামী নাজমুলের মধ্যে ঝগড়ার শব্দ শুনতে পান তারা। নাজমুল স্ত্রীকে মারধর করেন এবং ছুড়ি দিয়ে বুকে পরপর আঘাত করেন। এতে রাবেয়া অচেতন হয়ে পড়লে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তৎক্ষণাৎ তারা আবার মরদেহ নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন হাসপাতাল থেকে।
নিহতের ভাই জামালউদ্দীন বলেন, ‘৬ বছর হল বিয়ে করেন তারা। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে।তিনি দাবি করেন, ‘তার ভগ্নিপতি নাজমুল বিভিন্ন সময় তার বোন রাবেয়া খাতুনকে মারধোর করতেন। আজোও কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।’
রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া এলাকায় ৮ অক্টোবর বুধবার সকালে এ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া স্বামীর নাম নাজমুল ইসলাম (৪৮)। তিনি পদমপুর হাজীপাড়া এলাকার ফজলু মাষ্টারের ছেলে।
আর স্ত্রীর নাম রাবেয়া খাতুন (৩৫)। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তিনি রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট এলাকার রিয়াজুদ্দিন ও রহিমা দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার সকালে স্বামী তার স্ত্রীকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বাড়িতে রেখে দিয়ে ওই দিন সকাল ৯ টার পর স্বামী নাজমুল ইসলাম রাণীশংকৈল থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পায়। মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।
রাণীশংকৈণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, পারিবারিক কলহের জেরেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে ।
-
বাঘায় ১’শ টাকার জন্য খাকছার আলী হত্যা, ১৯ দিন পর আসামী গ্রেপ্তার।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় দিন-দুপুরে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে বাইসাইকেল মেকানিক (মেরামতকারী) খাকছার আলীকে (৪০) হত্যার ১৯ দিন পর আবির হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবির হোসেন (২৫) উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিঘা গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে আবির হোসেন (২৫) নেশার টাকার জন্য তার মাকে নির্যাতন করার এক পর্যায় হাসুয়া নিয়ে খুন করতে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা বাধা প্রদান করে। ঠিক এমন সময় ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিল বাঘা থানা পরিদর্শক ( তদন্ত)সবুজ রানা ও উপ-পরিদর্শক নুর আফসার। এমন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তারা । এরপর সন্দেহমূলক “খাকছারকে’’ কেনো মেরেছিস কেন প্রশ্ন করলে ? আবির জানায়, আমি নেশা করার জন্য ওর কাছে একশ টাকা চেয়ে ছিলাম। সে টাকা না দেওয়ায় আমি তাকে মেরেছি। এরপর হত্যার আলামত ধারালো সেই হাসুয়াসহ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।
এ বিষয়ে বাঘা থানার পরিদর্শক(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, বাইসাইকেল মেকানিক খাকছার আলী হত্যাকারী আবির হোসেনের সম্পর্কে প্রতিবেশি দাদা। দাদার কাছে মাত্র ১০০ টাকা চাই। এই টাকা দিতে না চাওয়ায় ক্ষোভে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে। স্থানীয় লোকজন মুখ না খোলা এবং সিসি ফুটেজ না থাকায় কোনভাবেই খুনিকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাৎক্ষণকিভাবে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে চিহৃত করতে না পারলেও ১৯ দিন পর আসামী চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আবির হোসেন শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ১৬৪ ধারায় রাজশাহীর আমলী আদালতে নেওয়া হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ হত্যার কথা শিকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, আসামী আরিব হোসেন একজন মাদকাসাক্ত। সে বাড়িতে, প্রতিবেশি ও নিকট আতœীয়দের কাছে মাঝে মধ্যে টাকা চাই। টাকা দিতে না পারলে গালমন্দ করত।
এ বিষয়ে খাকছার আলীর বড় ভাই কাউসার আলী বলেন, নিহত খাকছার আলী প্রায় ১৫ বছর যাবত দিঘা বাজারে বাইসাইকলে মেকানিক (মেরামতের) কাজ করে। আমার জানা মতে ছোট ভাইয়ের কোন শত্রæ ছিলনা। ভাইকে এভাবে হত্যা করেছে, আমি তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম বলেন, আমার এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। সাইকেল মেরামতের টাকায় চলতো ৫ সদস্যরে সংসার। সংসারে উর্পাজনের একমাত্র মানুষ আমার স্বামীকে হত্যাকারি আবির হোসেনের ফাঁসি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর একটা দিকে বাঘা উপজলোর বাউসা ইউনিয়নের দিঘা বাজারে দিন-দুপুরে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত খাকছার আলী (৪০) বাঘা উপজলোর বাউসা ইউনয়িনরে হিন্দুপাড়া গ্রামরে মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। -
বেকারি ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার।
বাগেরহাটের রামপালে পেড়িখালী ইউনিয়নের পেড়িখালী বাজারে বেকারি ব্যবসায়ী বিধান সাহাকে হত্যার চেষ্টাকারী যুবক মোঃ ইসমাইল ইজারাদার(১৯)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত ওই যুবক উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের পেড়িখালী গ্রামের জাফর ইজারাদারের ছেলে।জানা যায়,গত ২৩ জুন রাত ১১ টার সময় বিধান সাহা তার বেকারি ফ্যাক্টরিতে বসে ব্যবসার হিসাব নিকাশ করছিলেন। সে মূহুর্তে হঠাৎ করে তার কর্মচারী ইসমাইল ইজারাদার কাঠের চলা দিয়ে বিধান সাহার মাথায় সজোরে আঘাত করে। বিধান সাহা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।৩ জুলাই সোমবার বিধান সাহা বাদী হয়ে রামপাল থানায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করা হয়েছিল এমন অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ রাতে অভিযান পরিচালনা করে ইসমাইলকে গ্রেফতার করেন।এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আশরাফুল আলম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেড়িখালী ইউনিয়নের বেকারি ব্যবসায়ী বিধান সাহাকে হত্যার চেষ্টাকারী যুবক ইসমাইল ইজারাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে। ইসমাইলের নামে বিধান সাহা বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেছেন।আসামীকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।