Tag: সম্মেলন

  • মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুই যুবদল নেতাকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বলেন, গত ০৩-১০-২৪ তারিখে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক মারামারি সংক্রান্ত মারপিটের ঘটনায় নরাইল জেলার সখিপুর উপজেলার রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় ১০৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি  মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২।
    উল্লেখিত মামলায় আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই যুবদলের ওয়ার্ডসহ সভাপতি হায়দার আলীকে ৭৬ ও ৭৭ নং আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দুই ভাই নিজ এলাকায় ব্যবসা ও কৃষি কাজ করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত, দলের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছি। এ ঘটনার আমরা কিছুই জানি না এবং বাদীকেও চিনি না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাভাবে কে বা কাহারা আমাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা হেও প্রতিপন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্তের শিকার হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আমারা সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর আল মামুন মিঠু, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনতাজ আলী মাস্টার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
  • বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে কিন্ডার গার্টেনের আদলে গড়ে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অভিভাবক।
    বুধবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাব হলরুমে দুওসুও ইউনিয়নের পেট্টোলপাম্প সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সারাদেশের ন্যায় বালিয়াডাঙ্গীতে ব্যাঙের ছাতার মত মানহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্ডার গার্টেনের আদলে গড়ে উঠার পর ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন নিয়ে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাতে হলে নির্ধারিত শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
    মকবুল হোসেনের অভিযোগ, কিন্ডার গার্টেনে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে এক প্রতিষ্ঠানে। জেএসসি ও এসএসসি পাবলিক পরীক্ষার নিবন্ধন নিকটস্থ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হচ্ছে। ফলাফলের সময় এক শিক্ষার্থীর ফলাফলকে দুই প্রতিষ্ঠান নিজেদের মত করে দাবি করছে, প্রচারণা চালিয়ে অভিভাবকদের প্রতারিত করছে। বছরঘুরে বই বিতরণের সময়ও এক শিক্ষার্থীর জন্য দুই সেট বই দুই প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে সরকারকে। এতে সরকারের অপচয় বাড়ছে। এসব বন্ধ করতেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
    এছাড়াও মকবুল হোসেন মনে করেন অনুমোদহীন এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে বাণিজ্য করছেন। প্রতি বছর এক ক্লাশ থেকে পাশ করে অন্য ক্লাশে ভর্তির নামে অতিরিক্ত সেশন ফি নিচ্ছে। সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। দীর্ঘদিন ধরে এসব চলে আসলেও প্রশাসন এসবে দেখেও চুপ আছেন। তাই তিনি বিষয়টি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গণমাধ্যমের দারস্থ হয়েছেন।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মকবুল হোসেন বলেন, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্থা বা ট্রাষ্টের নামে পরিচালনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতসহ সরকারকে কারফাঁকি অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষাবোর্ড থেকে নুন্যতম অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন মনে করছে না। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার মধ্যে আনার দাবি তুলেন তিনি।
    জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, মাঠ পর্যায়ে এসব চলছে, আমাদেরও নজরে রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণলায় যদি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা সেটা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে পারবো। তাছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।
    সংবাদ সম্মেলনে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনএম নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জীবন, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, দবিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
  • কালিয়াকৈর চন্দ্রা বিডি ক্লিন সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    কালিয়াকৈর চন্দ্রা বিডি ক্লিন সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলা চন্দ্রা সরকারি স্কুল মাঠে বিডি ক্লিন সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিডি ক্লিন যার মূল লক্ষ হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ।
    বাংলাদেশকে একটি পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘ ৮ বছর কাজ করে যাচ্ছে বিডি ক্লিন । বাংলাদেশ ৬৪ জেলা এবং ২০০ এর অধিক উপজেলা টিম রয়েছে। যার মাঝে বিডি ক্লিন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা টিম অন্যতম। বিডি ক্লিন কালিয়াকৈর উপজেলায় বর্তমানে ২০০ শতাধিক সদস্য নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। আজকের আমাদের সদস্য সম্মেলনে মূল লক্ষ হচ্ছে ২০২৫ সালে আমারা আমাদের কার্যক্রম কি ভাবে পরিচালনা করব তা নিয়ে আমারা আমাদের আলোচনা করে থাকি।
    আজকের আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কাওসার মাহমুদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কালিয়াকৈর।
    উক্ত প্রোগ্রামের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন ডা. বখতিয়ার উপদেষ্টা বিডি ক্লিন।
    ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা বদরুদোজ্জা মর্ডান হাসপাল।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহিদুল ইসলাম তালুকদার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কালিয়াকৈর পৌরসভা।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরো অনেকেই ছিলেন জেলা সমন্বয়ক বিডি ক্লিন গাজীপুর আরিফ হোসেন
    জেলা সহ-সমন্বয়ক বিডি ক্লিন গাজীপুর আনোয়ার উল্লাহ
    উপস্থিত ছিলেন উপ-সমন্বয়ক বিডি ক্লিন কালিয়াকৈর মনির ছালেকিন উপজেলা সমন্বয়ক সাগর আহমদ সহ উপজেলা বোর্ড প্যানেলের সকল সমন্বয়ক বিন্দু।

  • মৌলভীবাজারে কর্মী সম্মেলনের মাঠ পরিদর্শনে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

    মৌলভীবাজারে কর্মী সম্মেলনের মাঠ পরিদর্শনে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলায় ২১ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলন এ আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে মাঠ ও মঞ্চ প্রস্তুতির আয়োজন চলছে।
    আজ বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং সকাল দশটার সময় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পরিদর্শনে আসেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, নব জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামির আলী, জেলা এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ ও আজিজ আহমদ কিবরিয়া, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ তারেকুল হামিদ, পৌর আমীর হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদর আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম, ছাত্রশিবির শহর ও জেলা সভাপতি যথাক্রমে তারেক আজিজ ও হাফেজ আলম হোসাইন, পৌর সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মোর্শেদ, সদর সেক্রেটারি দেওয়ান আশিক আল রশিদ চৌধুরী-সহ অন্যান্য জামায়াত শিবিরের জেলা, উপজেলা, পৌর সভার স্থানীয় দায়িত্বশীলবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
    মাঠ পরিদর্শন শেষে সম্মেলনের সফলতা কামনা করে উপস্থিতি মিডিয়াকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, আগামী ২১ ডিসেম্বর শনিবার মৌলভীবাজার জেলার ঐতিহাসিক এই মাঠে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক  একটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ১০ সময় আরম্ভ হয়ে দুপুরে যোহরের নামাজের আগে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ। ঐতিহাসিক এ সম্মেলনে শহীদি কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর আমাদের এই জেলার কৃতি সন্তান মজলুম জননেতা ডা. শফিকুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক বক্তব্য পেশ করবেন। এছাড়াও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ, মৌলভীবাজার জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পেশাজীবী সংগঠন-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি সকলেই  উপস্থিত হয়ে নতুন বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে  গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
  • বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম”উদ্যোগে মৌলভীবাজার জেলা শাখার সন্মেলন।

    বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম”উদ্যোগে মৌলভীবাজার জেলা শাখার সন্মেলন।

    উৎসব মুখর ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রথমবার সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (২৯নভেম্বর) জেলা শহরের সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী অধিকার  নাগরিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট ডেডলি ডেরী প্রেন্টিস কবুতর  উড়িয়ে এই সন্মেলটি শুভ উদ্বোধণ করেন।পরে আদিবাসীরা ব্যানার নিয়ে জ
    জেলা শহরের  প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে এসে এ শোভাযাত্রা  শেষ হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রস্তুতি সভার  সদস্য সচিব  জনক দেববর্মা ও সদস্য মনিকা খংলা যৌথ সঞ্চালনায় এ সন্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রস্তুতি সভার আহবায়ক নারায়ণ কুর্মী।
    এই সন্মেলনে  অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম সহ-সভাপতি মি:টনি ম্যাথিউ  চিরান,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক  উজ্জ্বল আজিম,সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক হিরণ মিত্র  চাকমা,  বাংলাদেশ  কমিনিষ্ট পার্টি  নিলেমেষ ঘোষ বুলু, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক  সুশীল মাহাতো, মৌলভীবাজার জেলার বাসদ সভাপতি এডভোকেট মঈয়নুর রহমান মগনু,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক  সম্পাদক মি: এন্ড্রু সলোমার,বৃহত্তর সিলেট  আদিবাসী অধিকার  নাগরিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট ডেডলি ডেরী প্রেন্টিস। সন্মেলনে স্বাগত  বক্তব্য দেন  মিস ফ্লোরা বাবলী তালাং।

    এ সময় বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন,বাংলাদেশ একটি জাতিবৈচিত্র্যের দেশ। এদেশে বাঙালী ছাড়াও বহু আদিবাসী জনগোষ্ঠী  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করছে। মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলায় প্রায় ২৫টির মত আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী বসবাস করছে। সুদীর্ঘকাল ধরে তাদের স্বকীয় সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যতা নিয়ে বসবাস করে আসছে যা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও গৌরবান্বিত করেছে।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য অবদানকারী এসব আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীরা স্বাধীনতার ৫৩ বছরের পরেও তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা নানাভাবে মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছেন। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এখনও আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। তারা আজ অস্তিত্বের হুমকীর সম্মুখীন। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আদিবাসীদের ভূমির মালিকানাসহ বিভিন্ন সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে সমাধান হচ্ছে না। বনবিভাগ ও চাবাগান কর্তৃপক্ষ খাসিদের ঐতিহ্য ও প্রথাগত পান জুমের গাছ কর্তনের পাঁয়তারা সবসময় করে চলেছে। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী সূর্যগুরা পান গাছ কর্তন ও চুরি করছে। বনবিভাগ ও চা বাগান কর্তৃপক্ষ খাসি ও গারোদের মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে চলেছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্টের নামে ত্রিপুরাদের প্রথাগত ভূমি দখলের পাঁয়তারা ক্রমাগত চলমান রয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরী ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত যা তাদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে।

    ইদানিং এসটিসির ১৮ টি চা বাগানে চা শ্রমিকদের তিন মাস ধরে মজুরী বন্ধ। ফলে চা শ্রমিকরা না খেয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে। বা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মস্পর্শী। ১৭ মাস ধরে শ্রমিকদের পিএফ এর প্রদানকৃত টাকা বাগান কর্তৃপক্ষ পিএফ অফিসে জমা দিচ্ছেনা।


    এ সম্মেলনে বক্তরা সরকার কাছে দাবি জানিয়ে আরও বলেন, আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রনালয় গঠন করতে হবে, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দ্রুত ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, চা জনগোষ্ঠীর ন্যায্য মজুরী ও ভূমি অধিকার দিতে হবে, সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের প্রথাগত ভূমি জোরপূর্বক দখল ও উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে, ঝিমাই পুঞ্জির প্রাকৃতিক গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, মুরইছড়া ইকো-পার্ক প্রকল্প বাতিল করতে হবে, খাসিয়া পুঞ্জির পানগাছ কাটা ও চুরি বন্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।

    পরে কাউন্সিল মধ্যদিয়ে ৩১সদস্য বিশিষ্ট একটি জেলা শাখা কমিটি গঠন করা হয়।এই সন্মেলনে উপস্থিত আদিবাসী জনতা কাছে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক  উজ্জ্বল আজিম ও নবগঠিত কমিটি সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করে শপথ করান বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক  সুশীল মাহাতো প্রমুখ।

    এই সন্মেলনে মৌলভীবাজার জেলার অধীনে সাত টি উপজেলা থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী  আদিবাসীরা প্রায় ৫’শত জনের অধিক অংশগ্রহণ করেন।

  • অসহায় পরিবারের গবাদি পশু সন্ত্রাসীদের কব্জায়-ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন।

    অসহায় পরিবারের গবাদি পশু সন্ত্রাসীদের কব্জায়-ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাশিপুর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের গবাদিপশু সন্ত্রাসীদের কব্জায় নেয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে অসহায় পরিবার তাদের গরু-ছাগল ফেরত পেতে ও মারধরের বিচার পেতে ‘রামপাল প্রেসক্লাব’ এ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কাশিপুর এলাকায় মৃত এসকেন্দার হাওলাদার’র স্ত্রী পারভীন বেগম(৪৩)। এছাড়াও তিনি রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, একই এলাকার মোল্যা কামরুজ্জামান বাবু(৪৮), লাবনী বেগম(৩৭), ফকির তারেক(৩৫) ও ফকির দিদার(৪৭) পরসম্পদলোভী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, আওয়ামীলীগের দোসর ও আইন অমান্যকারী ব্যক্তি।

    গত ০৬-১১-২০২৪ তারিখ লাবনী বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলে আল আমিন (১৭)কে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের গালিগালাজ করে এবং আমার ছেলেকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। আমি তাদের কথামতো তাদের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে হাজির হলে কামরুজ্জামান ও তার সাথের লোকজন আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারধর করে। এসময় তারা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। মারধরের পরে তারা আমার ছেলেকে একটি ছাগল দিয়ে শোলাকুড়া এলাকায় বিক্রি করে এনে দিতে বলে। তাদের সাজানো লোক দিয়ে আমার ছেলেকে আবারো মারধর করে এবং তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে কামরুজ্জামান’র স্ত্রী লাবনী বেগম কয়েকজন মহিলাকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বড় আকৃতির একটি গরু ও তিনটি ছাগল জোরপূর্বক নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।

    তিনি আরো জানান, বিগত দিনে তারা বাইনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন অসহায় নারী আমি আমার গরু-ছাগল ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তারা যেকোনো সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বাবু উল্লেখিত সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কারো গরু-ছাগল আনি নাই, সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেলিম রেজা জানান, পারভীন বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে এবং অভিযোগ সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ডিমলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    ডিমলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    হাবিবুল হাসান হাবিব,ডিমলা (নীলফামারী)প্রতিনিধি : 
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডিমলা উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ডিমলা ইসলামীয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে এই আয়োজন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডিমলা উপজেলা শাখা ।  দীর্ঘ কয়েক বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উম্মুক্ত ভাবে এমন আয়োজন এর আগে কখনো হয়নি। কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ,আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সম্মেলনকে সফল ও সাফল্য মন্ডিত করেছে।
    কর্মী সম্মেলনে ডিমলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারী রোকনুজ্জামান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও টিম সদস্য রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, টিম সদস্য রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চল ও জেলা আমীর নীলফামারীর মুহম্মদ আব্দুর রশীদ, জেলা নায়েবে আমীর ডক্টর খায়রুল আনাম, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল সাত্তার,জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম সহ প্রমুখ।
    সম্মেলনে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের জামায়াতের সভাপতি- সেক্রেটারী সহ কয়েক হাজার জামায়াতের কর্মী, ইসলামী ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ এবং সনাতন ধর্মের নেতৃবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
     এসময় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার।
    সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গনঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ নতুন ভাবে স্বাধীন হয়। এই আন্দোলন বাংলার বুকে কেউ নির্মূল করতে পারবে না।  ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও নির্মম জুলুম করেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দমানো সম্ভব হয়নি, আর কখনো সম্ভব হবে না ইনশাআল্লাহ।  এই দেশে জামায়াতের মত নির্যাতিত দল আর কোন দল হয়নি। সংগঠনের শীর্ষ নেতাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারপরও শুধু দ্বীনি দায়িত্ব পালনে পিছপা না হওয়ায় আজ জামায়াতে ইসলামি দলটি ঠিকই আছে বরং যত বেশি নির্যাতন করা হয়েছে জামায়াত ও শিবির তারা ততো বেশি শক্তিশালী হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন ১৭ বছর আগে নীলফামারী জেলায় জামায়াতের কর্মী ছিল কয়েক’শ আর এখন হয়েছে কয়েকগুন । এতেই প্রমাণিত হয়েছে জামায়াতকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না।  আমাদের হাতিয়ার হলো আল কুরআন আর রাসুল (সাঃ) এর দেখানো নীতিমালা।  জামায়াতের সম্ভাবনা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্ঞানে ও চরিত্রে আরো উন্নত হতে হবে ।  ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাস্তবায়ন ছাড়া বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। এটা এই দেশের মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে।
  • রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি-শিল্পী সম্পাদক-হুমায়ূন কবির নির্বাচিত।

    রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি-শিল্পী সম্পাদক-হুমায়ূন কবির নির্বাচিত।

    ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাব (পুরাতন)’র ২ বছর মেয়াদী নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
    শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
    দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার রাণীশংকৈল প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী ৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ দৈনিক বায়ান্নর আলোর প্রতিনিধি ৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
    এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির ৭-৩ ভোটের ব্যবধানে তার প্রতিদ্বন্দ্বি রফিকুল ইসলাম সুজন দৈনিক দাবানল পত্রিকার প্রতিনিধিকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
    নির্বাচনে ১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়া অন্যপদে কোন  নির্বাচন করা হয়নি ।
    প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রহিম। তাকে সহযোগিতা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কুশমত আলী ও যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম।
    নির্বাচনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান,  থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম সবুজ,পৌর বিএনপির সম্পাদক মহসিন আলীসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
    সভাপতি সফিকুল ইসলাম শিল্পী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নির্বাচিত প্রেসক্লাবের উন্নয়নসহ সকল সাংবাদিকদের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
    নির্বাচিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন  রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, খুরশিদ আলম শাওনসহ উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
  • রামপালে আসামি গ্রেফতার না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপালে আসামি গ্রেফতার না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

    বাগেরহাটের রামপালে মামলা দায়েরের পরেও আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি করে মামলার বাদি আবু তালহা শেখ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামপাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি আবু তালহা শেখ অভিযোগ করে জানান, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলার সদস্য ছিলাম। গত ১৩ আগস্ট, সকালে আমি হুড়কা ইউনিয়নে ছিদামখালী এলাকায় আমাদের মালিকানাধীন মৎস্য ঘেরে কাজের জন্য যাই। এসময় একই এলাকার আঃ আজিজ শেখ আমার ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর গরু চরাইতে থাকে। আমি তাকে বেড়িবাঁধের ওপর গরু চরাইতে নিষেধ করি। সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে আমার মা জেসমীনা বেগম, বাবা সফরুল শেখ ও ভাই আবু সাঈদ তাকে তার গরু নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
    সে আমাদের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আজিজ শেখ তার আত্মীয় রফিকুল ইসলাম, আবু বকার রুমি, নুরুল শেখ, মুছা শেখ ও হারুন শেখ ঘটনাস্থলে এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে।
    তিনি আরো জানান, তারা আমার মাকে খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়া মায়ের মাথার তালুতে আঘাত করে। তারা আমার পিতাকে খুন করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারালো দাঁ দিয়া পিতার মাথায় কোপ দিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার ভাইয়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করে এবং আমাকে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
    আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার মায়ের শরীরে অনেক জখম হওয়ার কারণে তাকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
    এরপর আমি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমার মামার সহযোগিতায় গত ১৯ আগস্ট, রামপাল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের অনেকদিন পার হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামি ধরতে সক্ষম হয়নি। বাদি লিখিত অভিযোগে আরো জানান যে, আাসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া আসামিদের সহযোগী ছিদামখালী এলাকার রুহুল আমিন, মোঃ রাজু শেখ, মাসুম মল্লিক আমাদের নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা আমাদের বাড়ির সামনে এসে বলতেছে মামলা উঠিয়ে ফেলো। তা নাহলে হলে তোদের জীবনে শেষ করে দিব। এছাড়া তারা আমাদেরকে ও আমার পরিবারের লোকদের বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকদের জমি দেওয়ার কথা বলে কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করতেছে। তারা স্বাক্ষর দিয়া আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পায়তারা করছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা আসামিদের আটক করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস জানান, পুলিশ আসামি ধরছে না এ কথাটি সম্পুর্ন ভুল। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি আসামিদের আটক করার জন্য। আইন সবার জন্য সমান, আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের ধরতে সক্ষম হবো বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
  • রামপালে সরকারি জমিতে নির্মিত ঘর অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপালে সরকারি জমিতে নির্মিত ঘর অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    বাগেরহাটের রামপালে একটি ইউনিয়নে সরকারি জমিতে ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মাণ করা ঘর অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘রামপাল প্রেসক্লাবে’ উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ আলম মুন্সি নামের এক ব্যবসায়ী।
    তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বুজবুনিয়া বাজারে গত ১০-০৮-২০২৪ ইংরেজি তারিখে চিত্রা এলাকার মৃত আজম মুন্সীর ছেলে মোঃ টিপু মুন্সী ও মোঃ রুবেল মুন্সী অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে একটি ঘর নির্মাণ করে। গত ১৩-০৮-২০২৪ তারিখে ইউনিয়ন তহশিলদারকে বিষয়টি জানায় বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তিনি মৌখিকভাবে ঘর অপসারনের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে।
    পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবগত করেন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত ইং ২৯-০৮-২০২৪ তারিখে নিজে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তাদের অবৈধ ঘর ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারনের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র আদেশ অমান্য করে। পরবর্তীতে তারা নতুন করে ঘরের কাজ শুরু করেছে।
    তিনি আরো জানান, তারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করেছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। তারা যদি তাদের ঘর সরিয়ে সরকারি জমি উন্মুক্ত না করে দেয় স্থানীয় পর্যায়ে যেকোনো সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে।
    এ জমি দখলের বিষয়ে টিপু মুন্সি’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নাই।
    এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফতাব আহমেদ’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি জমিতে কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা তৈরি করে রাখতে পারবে না। সরকারি জমি সরকারের আয়ত্তে থাকবে। আমরা ঘটনাস্থলে যাবো এবং কেউ যদি সরকারি জমি দখল করে তা উচ্ছেদ করা হবে।