Tag: শ্রীমঙ্গল

  • শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়া’য় উদযাপন হলো জপমালারাণী মা-মারীয়া তীর্থোৎসব।

    শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়া’য় উদযাপন হলো জপমালারাণী মা-মারীয়া তীর্থোৎসব।

    এলিসন সুঙ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :

    পাকা রাস্তা থেকে প্রায় সাত’শত ফুট উঁচু পাহাড়ি টিলা’য় অবস্থিত জপমালারানী মা মারীয়া  তীর্থ স্থানে, খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত, উদ্দেশ্য প্রার্থনা,পর্বের পর্বকর্তা,অনুতাপ প্রার্থনা,আরাধনা সংস্কার,কালভারীতে ক্রুশের পথসহ এক মাস ব্যাপী  জপমালা প্রার্থনা ও নভেনা প্রার্থনা  করা মধ্যদিয়ে উদযাপন হলো কাথলিক  খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।

    এবছর  জপমালা রানী মা মারীয়া  তীর্থের  প্রার্থনা মুলসুর হলো “ পবিত্র পরিবার ও খ্রীষ্টিয় সমাজ গঠনে পূণ্যময়ী মা মারীয়া “এই প্রার্থনা  মুলসুরকে সামনে রেখে  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অধীনে হরিণছড়া চা বাগান তীর্থ স্থানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শনিবার ও রবিবার দু’দিন উদযাপন হলো জপমালারানী মা মারীয়া   তীর্থ উৎসব।

    রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ফাদার  মৃণাল ম্রং সিএসসি’র পরিচালনায় একঝাক তরুণ-তরুণী নৃত্যশিল্পী পরিবেশন করেন ধর্মীয় গান ও নৃত্য। এরই মধ্যদিয়ে তীর্থের মহা খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়।মহা খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান  কাথলিক ধর্মপ্রদেশর  বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস  গমেজ।  এবং  খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল কাথলিক  মিশনের পালপুরোহিত ড.ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি, সহকারী যাজক  ফাদার রবার্ট নকরেক সিএসসি,সিলেট ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার চন্দন ব্রাইন রোজারিও,সুনামগঞ্জ রাজাই মিশনের পালপুরোহিত ফাদার জোসেফ তপ্ন,সিলেট খাদিমনগর মিশনের যাজক ফাদার  জোসেফ গমেজ ওএমআই, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফাদার প্রশান্ত নিকোলাস ক্রুশ সিএসসি ,কুলাউড়া লক্ষিপুর মিশনের   যাজক  ফাদার সাগর ওএমআই, ফাদার  সরোজ কস্তা ওএমআই ,ফাদার পিয়ুস প:ডুয়েং ওএমআই, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ সাব-মিশনের পরিচালক ফাদার বিপ্লব কুজুর’সহ আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের  বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ফাদার,ব্রাদার,সিস্টারসহ দু’হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত। এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী  খ্রিষ্টভক্তরা  জপমালা রানী মা-মারীয়া  কাছে  দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনা করে বিশেষ  প্রার্থনা করেন।

    খ্রিস্টযাগে বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস  গমেজ বলেন ঈশ্বর  কুমারী মারীয়াকে বেছে  নিয়েছে তার পুত্রের জননী হওয়া জন্যে, মা মারীয়া হলো উদ্বারকর্তা যিশু খ্রিষ্টের মা।জপমালা প্রার্থনা আমাদেরকে আধ্যাত্মিক ভাবে অনেক শক্তি ও সাহস দিয়ে থাকেন।  মা মারীয়াকে প্রেরিতগনের রানী বলা হয় কারণ মহান ঈশ্বর তাকে প্রভু যীশু খ্রিষ্টের মা হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এবং ঈশ্বর আদেশে কুমারী অবস্থায় গর্ভধারণ করে জন্মদান করেন মুক্তিদাতা যীশু খ্রিষ্টকে।মা মারীয়া প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করার জন্যে  প্রতি বছর অক্টোবর মাস জপমালা রানী মা মারীয়া মাস হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসে ক্যাথলিক  খ্রিস্টভক্তারা সারা মাসব্যাপী জপমালা প্রার্থনা  মাধ্যমে পারিবারিক প্রার্থনা, নভেনা প্রার্থনা করে থাকেন।

    তীর্থ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড.ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ  সিএসসি বলেন এবছর আমরা ৩৪তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থ পালন করছি।আজ নানান প্রতিকূলতা মাঝেও মা মারীয়া কাছে ভক্তি প্রদর্শন ও আশীর্বাদ পাবার জন্য এ তীর্থ স্থানে অনেক ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন।সকলের  উদ্বার সহযোগীতায় কারণে  জপমালা মা মারীয়া তীর্থ করতে পেরেছি,তাই সকলকে ধন্যবাদ  ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভক্ত বলেন
    জপমালা রাণী মা-মারীয়া তীর্থোৎসবে প্রতিবছর  অংশগ্রহণ করে থাকি, এবং জপমালারানী মা মারীয়া কাছে মানত করে  ব্যক্তিগত আমার উপকার হয়েছে। প্রাকৃতিক ঘেরা সৌন্দর্যময় অবস্থিত   হরিণছড়া জপমালারানী  মা মারীয়া তীর্থ স্হান,সত্যিই একটি পবিত্র স্থান।

     

  • শ্রীমঙ্গলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উদযাপিত হচ্ছে লক্ষ্মীপূজা।

    শ্রীমঙ্গলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উদযাপিত হচ্ছে লক্ষ্মীপূজা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে পূজিত হন দেবীলক্ষ্মী।
    শনিবার ২৮ অক্টোবর ২০২৩ইং, রাতে শুরু হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে দেবীলক্ষ্মীর আরাধনা। পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সকাল থেকেই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হবিগঞ্জ রোড আখরা মার্কেট প্রাঙ্গণে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা লক্ষ্মী প্রতিমা।
    শ্রীমঙ্গলের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীদেবীর পূজা করা হয়। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবীলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন বাংলার প্রতিটা সনাতনী পরিবার। এ উপলক্ষে তাদের বাসাবাড়িতে দেবীলক্ষ্মীর প্রতিমা বসিয়ে পূজা করা হয়।
    সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার প্রতিটি ছোট লক্ষ্মী প্রতিমা ২০০ টাকা, মাঝারি প্রতিমা ৩০০ টাকা ও বড় প্রতিমা ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
    প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, গত দু’দিন ধরে লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি করছি। এবার ভক্তরা প্রচুর প্রতিমা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
    প্রতিমা নিতে আসা শ্রীমঙ্গল উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ স্কাউটস শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি ও বেগম রাছুলজান আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমান বর্ধন তিনি বলেন, লক্ষ্মীদেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ে, সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা গ্রহণ করতে।
    সাধারণত ঘরোয়াভাবে লক্ষ্মীপূজা করা হয়, তবে মন্দিরেও হয় বড় পরিসরে হয় না জানিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ভূনবীর দশরথ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ঝলক কান্তি চক্রবর্তী তিনি বলেন, এদিন নারীরা সারাদিন উপবাস করেন। সন্ধ্যার পর পূর্ণিমা তিথিতে পূজা দেওয়ার পর প্রসাদ নিয়ে উপবাস শেষ করবেন। দেবীলক্ষ্মী দ্বিভুজা, প্যাঁচা বাহন এবং শস্যের ভাণ্ডার হাতে থাকে। মঙ্গলঘট ও ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়া দিয়ে আলপনায় দেবীলক্ষ্মীর ছাপ। লক্ষ্মীর পা আঁকা হয় বাড়ি ও ঘরের প্রবেশপথে। এর সঙ্গে ঘরের আঙ্গিনায় প্রদীপ শিখা জ্বালানো হবে বলে জানান তিনি।
  • শ্রীমঙ্গলে ভুড়ভুড়িয়া চা বাগান থেকে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার। 

    শ্রীমঙ্গলে ভুড়ভুড়িয়া চা বাগান থেকে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার। 

    এলিসন সিঙ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া চা-বাগানের ছড়া থেকে এক চা শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

    শনিবার (১৪ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮নং কালীঘাট ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া চা-বাগানের ছড়ার ডুমনিয়া ঘাট নামক স্থান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

    শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকের মাধ্যমে  খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলের ভুরভুরিয়া ছড়া চা বাগান থেকে এক চা শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যাক্তির নাম রাম রতন রবি দাশ (৩৫)। তার বাড়ি জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর চা বাগানে। সে ওই বাগানের গুল্লিমারা টিলার শংকর রবি দাশের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, সে শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিল। সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবারের কাছ থেকে জেনেছেন।
    শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তার শরীরের বেশ কিছু অংশ নীল হয়ে গেছে।

    তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ওই এলাকায় একটি বড় সাপ দেখেছেন। তাদের ধারনা তাকে সাপে কামড় দিতে পারে। তবে লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

  • বেসরকারী শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় করনের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে শিক্ষকদের আলোচনা সভা ও মানববন্ধন।

    বেসরকারী শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় করনের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে শিক্ষকদের আলোচনা সভা ও মানববন্ধন।

    মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে দেশের চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার ১৭ জুলাই ২০২৩ ইং, শ্রীমঙ্গল শহরের শাহ্ মোস্তফা জে. আই উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে শুরু করে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাতীয়করণের বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, পরে এই বিদ্যালয়ের সামন থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে এসে মানববন্ধন করেন।
    এ সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, ভূনবীর দশরথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ঝলক কান্তি চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন এর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ মজুমদার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আবদুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালিদ মোঃ আব্দুল বাছিত, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী, হুগলিয়া হাজী মনসব উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল হাসান, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ দত্ত, প্রধান শিক্ষক সমিতি শ্রীমঙ্গলের সভাপতি ও কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম শ্রীমঙ্গলের সভাপতি ও বেগম রাসুলজান আ: বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমান বর্ধন, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন রক্ষিত, মনাই উন্না আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্র দাশ, ধোবার হাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃপেশ দেব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নূরুল হক-সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ প্রমুখ।
    শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নেতারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পার হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজের বঞ্চনা আর বৈষম্যের অবসান হয়নি। সকল বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই। যদিও শিক্ষক সংগঠনগুলোর মতানৈক্যের কারণে শিক্ষক সমাজে হতাশা বিরাজ করছিল। জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে সকল শিক্ষক সংগঠন এক ছায়াতলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
    শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাসের কাজে নিয়োজিত থেকেও
    আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড় সমান বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বিগত কয়েক বছর যাবত অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। জাতীয়করণ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে অব্যাহত রাখারও হুশিয়ারি দেন।
    প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে আমাদের দাবী মেনে নিন।
    তারা আরো বলেন, আমাদের এক দফা এবং দাবি একটিই আমাদের জাতীয়করণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন রাজপথেই আন্দোলন চালিয়ে যাব। এমনকি যতদিন পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়া না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
  • শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক(একাংশ)বর্তমান কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

    শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক(একাংশ)বর্তমান কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

    শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের একাংশ বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন করারও দাবি জানান।

    রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে চা শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চা শ্রমিক নেত্রী গীতা কানু।এ সময় উপস্থিত ছিলেন চা শ্রমিক বিশ্বজিৎ রিকমন, কাজল বাকতি, শংকর ভূমিজ, সুমন সাঁওতাল, পরিমল সিং বাড়াইক, লচমন রানী রাজভর, রামদয়াল গোয়ালা, মনুজ সিং বাড়াইক, মধুসূদন মুন্ডা।সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে মেয়াদ শেষ হওয়া পর যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এমন সদস্যদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান কমিটি গড়িমসি করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আরও প্রায় এক মেয়াদ কাটায়। এখন আবারও ক্ষমতায় থাকতে নিজের মতো করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। গঠনতন্ত্র পুনঃসংশোধন না করে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র দিয়ে নির্বাচন না করতে সিলেট শ্রম আদালতে মামলাও হয়েছে।
    এ সময় বক্তারা বলেন, একই সাথে এই নির্বাচনের জন্য সাধারণ শ্রমিকের শ্রম ও ঘামের উপার্জিত অর্থ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা কর্তন করা হবে। যা তারা লুটেপুটে খাবে। তাই তারা গঠনতন্ত্র পুন সংশোধন না করে ও সমন্বিত নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করার দাবি জানান।
  • শ্রীমঙ্গলে নবগঠিত পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা।

    শ্রীমঙ্গলে নবগঠিত পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা।

    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নবগঠিত পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি প্রথম সভা ও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ ইং, বিকেল ০৩টা থেকে শুরু করে ০৬টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোড মহসিন অডিটোরিয়ামের পাশে একটি হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    পরিচিতি সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বর্তানে নবগঠিত পৌর বিএনপির সম্মানিত সদস্য এবং শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ৪র্থবারের বর্তমান পৌর মেয়র মোঃ মহসিন মিয়া মধু।
    শ্রীমঙ্গল নবগঠিত পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মীর এম এ সালাম এর সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান (লাল হাজী), শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক ৪বারের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোঃ আতিকুর রহমান জরিফ, বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন মকবুল-সহ প্রমুখ।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইয়াকুব আলী তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন- সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবগঠিত পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলকাস মিয়া, সদস্য সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, সম্মানিত সদস্য মিরাশদার মিলাদ হোসেন, সদস্য আব্দুল জব্বার আজাদ, মোঃ আব্দুস শহিদ, নজরুল ইসলাম জাহান, মকবুল মিয়া, টিটু দাস, সাইফুল ইসলাম টমাস, মইনুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ নুহেল, মোঃ মোবারক হোসেন, শেলী খান, শিরিন আখতার ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মহিলাদল ও পৌর মহিলাদলের পরিচিতি প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এছাড়াও এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ-সহ দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় মৌলভীবাজারে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রাম সফল করার লক্ষ্যে একমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, এতে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণে এই মত বিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল নবগঠিত পৌর বিএনপি সদস্যরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • শ্রীমঙ্গলে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রুত বেড়েছে-কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম গ্রহনের পরামর্শ।

    শ্রীমঙ্গলে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রুত বেড়েছে-কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম গ্রহনের পরামর্শ।

    চলতি বর্ষার মৌসুমে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ও বনাঞ্চলে সাপের উপদ্রুত বেড়েছে।
    প্রায়ই পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা সাপের কামড়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাপের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
    শুক্রবার ০৭ জুলাই ২০২৩ ইং, দুপুরে শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে গত দুই দিনে বিষাক্ত সাপের কামড়ে আহত হয়ে ৩জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে আহত হয়েছেন উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের মোঃ সালেক মিয়া (৩৭) এবং ভূনবীর ইউনিয়নের ভূনবীর গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামান (২৬)।এর আগে গত বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের তেলিআব্দা গ্রামের ইলিয়াস মিয়া (৪৬)।
    আরও জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান মোঃ কামরুজ্জামান। তিনি লাইনম্যানের কাজের জন্য আলিয়াছড়া পুঞ্জিতে দায়িত্ব পালনকালে বিষাক্ত সাপের কামড়ের শিকার হন। গুরুতর আহত কামরুজ্জামানকে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে, রোগীকে এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন প্রদান করেন, ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সম্রাট কিশোর পোদ্দারসহ চিকিৎসকের একটি টিম।
    শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্ষাকালের অতিবৃষ্টির কারনের পাহাড়ি অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সাপের কামড়ের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুইদিনে ৩ জন সাপের কামড়ের রোগী জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সাপে কাটা কামরুজ্জামান নামের এক রোগীর অবস্থা গুরুতর খারাপ হওয়ায় তাকে চিকিৎসকদের একটি টিম সফলভাবে এন্টিভেনম ইঞ্জিকেশন প্রদান করেন। এন্টিভেনম দেওয়ার পর রোগী ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে আসে। পরবর্তীতে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য এ রোগীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া সালেক ও ইলিয়াস মিয়া নামের আরও দুইজন রোগী সাপে কাটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বিষাক্ত সাপের কামড় না হওয়ায় এই দুইজনকে ২৪ ঘন্টা হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রোগী রাখা হয়, পরে রোগী সুস্থ থাকায় ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
    বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বহু সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি প্রচুর পরিমাণে সাপ শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি এলাকায়, বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের দোকান, বাড়ি, বাজার ও গাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে।
    বছর দশেক আগের এক গবেষণায় ৫২ প্রজাতির সরীসৃপের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা উল্লেখ করে জানান শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, তিনি বলেন, এসব সাপের মধ্যে লাউয়াছড়া বনে অজগর, কিং কোবরা, দাড়াশ, আইড ক্যাট স্নেক, সবুজ বোড়া, লাউডগা, কালনাগিনী, দুধরাজ, ধোড়া, হিমালয়ান ধোড়াসহ ৩৯ প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সাপের সংখ্যা বেড়েছে। বনকর্মীরা টহলে গিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন প্রজাতির সাপ দেখতে পায়।
    আরও বলেন, বাংলাদেশে ২৭টি বিষধর সাপসহ ৭৯ প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেগুলোর বেশিভাগের অস্তিত্ব লাউয়াছড়া বনসহ শ্রীমঙ্গলে রয়েছে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষাক্ত সাপের কামড়ে কেউ আহত হলে তাকে যেনো দ্রুত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাপের কামড়ের এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিষধর সাপ কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম নেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেন তিনি।
  • এনটিভি ২১বছর পদার্পণে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে বৃক্ষরোপণ ও অসহায় শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ।

    এনটিভি ২১বছর পদার্পণে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে বৃক্ষরোপণ ও অসহায় শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ।

    সময়ের সাথে আগামীর পথে এই শ্লোগানে এনটিভি ২১ বছরে পদার্পণে মৌলভীবাজারেরর কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এক অন্যতম ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধনে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ এবং অসহায় শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী (টি শার্ট বস্ত্র) বিতরণ করা হয়েছে।

    ৩ জুলাই সোমবার বিকেল ৪ টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সম্মুখে এনটিভি প্রতিনিধি পিন্টু দেবনাথ এর সঞ্চালনায় অসহায় শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শ্রী ভানুলাল রায়। অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। শুভ কামনা করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মামুন আহমদ ও সাংবাদিক এস কে দাস সুমন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন সমরু, সমাজসেবক নকুল দেবনাথসহ আরো অনেকে।
    অন্যদিকে বিকেল ৫ টায় কমলগঞ্জ উপজেলায় এনটিভি ২১ বছরে পদার্পণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও অসহায় শিশুদের বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান।
    এ সময় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রইছ আল রেজুয়ান, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী, রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল এস পলাশ, পাহাড় রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটি সভাপতি মো. মোনায়েম খানসহ আরো অনেকে।
    পরে অসহায় শিশুদের মাঝে উপহার হিসাবে টি শার্ট বিতরণ করা হয়। এসময় বক্তারা এনটিভির সফলতা কামনা করেন।
  • রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের,প্রেসিডেন্ট সুব্রত দাস ও সেক্রেটারি মশিউর রহমান।

    রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের,প্রেসিডেন্ট সুব্রত দাস ও সেক্রেটারি মশিউর রহমান।

    রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের প্রেসিডেন্ট কলার হ্যান্ড ওভার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।শনিবার(১জুলাই)রাতে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ রোটারি ভবনে রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লিটন পালের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটার মো:মশিউর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবাগত প্রেসিডেন্ট সুব্রত দাস,প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট শাহ আরিফ আলী নাসিম,পিপি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,পিপি সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী,পিপি,মিঠুন পাল,পিপি অবিনাশ আচার্য,ক্লাব ট্রেজারার বানমালী রায়,ডা:বিনেন্দু ভৌমিক, সুকান্ত দেবনাথ,বাচ্চু মিয়া প্র

    কলার হেন্ড ওভার অনুষ্ঠানের শুরুতেই ক্লাব সেক্রেটারি  মো: মশিউর রহমান রিপন শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে  বিগত ২০২২-২৩ রোটারি অর্থবছরের আয় ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন। যা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
    রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের সদ্য বিদায় প্রেসিডেন্ট  লিটন পাল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সুব্রত দাস এবং পুনরায় নির্বাচিত সেক্রেটারি  মো: মশিউর রহমান  রিপন এবং ট্রেজারার বানমালী রায় কে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
    পরে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নবাগত প্রেসিডেন্ট সুব্রত দাস কে প্রেসিডেন্ট কলার পরিয়ে দেন। নবাগত প্রেসিডেন্ট  বিদায়ী প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে তার দায়িত্ব বুঝে নেন এবং উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তার দায়িত্বকালীন মেয়াদের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা শেয়ার করেন।
    এ সময় পরিকল্পিত সকল প্রজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রার্থনা করে রোটারি  ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের পুন: নির্বাচিত  সেক্রেটারি  মশিউর রহমান রিপন বলেন, তৃতীয় মেয়াদে  তাকে সেক্রেটারি হিসাবে  মনোনীত করায় তাঁর দায়িত্ব আরো বেড়েছে। আগামী এক বছর সবাইকে নিয়ে নোটারি ক্লাবের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি সচেষ্টা থাকবেন।
  • শ্রীমঙ্গলে লজ্জাবতী বানর-বনবিড়াল উদ্ধার।

    শ্রীমঙ্গলে লজ্জাবতী বানর-বনবিড়াল উদ্ধার।

    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের হরিণ ছড়া চা বাগান এলাকা থেকে একটি লজ্জাবতী বানর ও শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের উত্তর ভাড়াউড়া এলাকা থেকে একটি বনবিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ ইং, সকাল ১১টার সময় হরিণছড়া চা বাগানের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বানরটিকে আটক করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ও বন বিভাগের সদস্যরা হরিণছড়া চা বাগানে গিয়ে লজ্জাবতী বানরটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
    বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব স্বজল বলেন, আজ সকালে হরিণছড়া চা বাগানে একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আমাকে খবর দিলে আমি সেখানে গিয়ে লজ্জাবতী বানরটিকে উদ্ধার করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও এফ জি সুব্রত সরকার।  বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ ইং, বিকেলে লজ্জাবতী বানরটিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে।
    এদিকে সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ ইং, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের ব্রয়লার মুরগির খামার থেকে এলাকাবাসি একটি বনবিড়াল আটক করেন।
    এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের মোরগের খামারে বনবিড়ালটি প্রবেশ করে অর্ধশতাধিক মোরগ মেরে ফেলে।
    এ সময় এলাকাবাসির সহযোগিতায় খামারের মালিক ফাঁদ পেতে বনবিড়ালটিকে আটক করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দেন।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব স্বজল বলেন, গতকাল সকালে উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের ব্রয়লার মুরগির খামার থেকে একটি বনবিড়াল আটক করেন এলাকাবাসি। পরে খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে বনবিড়ালটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগে হস্তান্তর করি।
    তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন অনেকটা সচেতন, প্রানী দেখে এখন আর আগের মতো মারার জন্য লাটিসোটা নিয়ে দৌড়ায়না। নিরাপদে ধরে বন বিভাগ অথবা বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দেয়, এটা একটা ভালো লক্ষণ। এরপরও কিছু এলাকায় সাপসহ অনন্যান্য প্রাণীদের মেরে ফেলার খবর পাওয়া যায়। লোকালয়ে ছুটে আসা বন্যপ্রাণী না মারতে আমরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
    বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বনবিড়ালটিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে গতকাল দুপুরেই।