Tag: শ্রমিক

  • তাড়াশে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে।

    তাড়াশে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে।

    তাড়াশে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অতি বৃষ্টির কারনে বোরো পাকা ধান পানির নীচে ডুবে যাচ্ছে। শ্রমিক সংকট থাকায় মিলছে না কৃষকের ধান কাটার নিশ্চয়তা। যদিও মিলছে প্রতি ঘন্টায় ২শ ৫০ টাকা করে শ্রমিকের মুজুরী দিতে হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারনে পানিতে ডুবে গেছে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান বৃষ্টিপাতে ডুবে যাওয়া মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। সারা বছরের স্বপ্ন পানিতে ডুবে যাওয়ায় ও যাওয়ার সম্ভবনা থাকায় রাতে ঘুমাতে পারছেন না এ দেশের প্রধান উপার্জন মুখি কৃষকগন।

    বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে কৃষক পাচ্ছেন না শ্রমিক । পারছেন না নিজেরাও ধান কাটতে। বৃষ্টি তো লেগেই আছে । এদিকে জমিতে পানি থাকায় ধান কেটে রাখতে পারছেন না ধানের আটি। এদিকে উপদ্রব বেড়েছে জোঁকের। পানিতে নামার সাথেই জোঁক ঝেকে ধরছে পায়ে। তারপরও সোনালী ফসল ঘরে তুলতে আপ্রান চেষ্টা করছে। চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল।

    উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান জানান, অবাধে খাল বন্ধ ও অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারনে পানি প্রবাহ করতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে। শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ধান কাটতে পারছিনা। ধানের শীষ পানিতে ডুবে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ১২ শ থেকে ১৫শ টাকা দিয়ে ৫/৬ ঘন্টা কাজ করছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
    পৌরসভার বাসিন্দা মহারম আলী বলেন, পানিতে ধান ডুবে যাওয়ায় শুধু ধানের আগা কেটে আনতে হচ্ছে। ঝড়ে ও পানিতে ধান ডুবে থাকায় অনেক ধান ঝড়ে গেছে। এদিকে খড়ও পাচ্ছিনা। প্রতি বছর বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার খড় বিক্রি করে পেতাম। গবাদি পশুকে খাওয়ানোর খড়ও পাব না। সব দিক থেকেই আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান কাটা হয়েছে। শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষক সমস্যায় পরেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সকলকেই মেনে নিতে হবে। তবে কৃত্রিম দুর্যোগ সৃষ্টিতে যে জলাবদ্ধতা হয়েছে তা দ্রæত সমাধান করা হবে।

  • নাগরপুরে শ্রমিকদের মাঝে সাংসদ টিটুর ঈদ উপহার বিতরণ।

    নাগরপুরে শ্রমিকদের মাঝে সাংসদ টিটুর ঈদ উপহার বিতরণ।

    নাগরপুরে শ্রমিকদের মাঝে সাংসদ টিটুর ঈদ উপহার বিতরণ।


    টাংগাইলের নাগরপুরে শ্রমিকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন টাংগাইল-৬( নাগরপুর – দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।

    রবিবার (১ মে) নাগরপুর উপজেলার নয়ানখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ৭০০ সিএনজি, রিক্সা ও অটোরিক্সা শ্রমিকের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

    নাগরপুর উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, টাংগাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আমিনুর রহমান খান ( আমিন), নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ উজ্জল হোসেন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বাবর আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন সহ অন্যান্যরা।

  • লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।


    লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে বিপ্লব(১৯) নামের এক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে রায়পুর থানা পুলিশের সদস্যরা।

    রোববার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশেই এই ঘটনা ঘটে।

    বিপ্লব রাখালিয়া গ্রামের এলাহি বক্স হাজী বাড়ির সবুজ মিয়ার ছেলে। সে সদর উপজেলার দালাল বাজারে একটি স্টিলের আলমিরা তৈরির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বিপ্লবের মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে জানান এলাকাবাসী ও স্বজনরা।এ সময় তারা জানান,নিহত বিপ্লবের গলায় পেঁচানো দড়ি একটি আম গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। পা দুটি ছিল মাটির সঙ্গে লাগানো। তার কানে লাগানো ছিল হেডফোন।

    বিপ্লবের মা বিলকিস বেগম বলেন, দালাল বাজারের একটি দোকানে কাজ করতো বিপ্লব। সেখানেই থাকতো সে,বাড়িতে আসতো না। ভোরে আশেপাশের লোকজন বাড়ির পাশের একটি গাছের সঙ্গে আমার ছেলে ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

    তিনি বলেন,শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বিপ্লবের খোঁজে মোটরসাইকেলে করে দুই অপরিচিত লোক আমাদের বাড়িতে আসে। আমার ছেলে নাকি তাদের দোকানে কাজ করতো। তারা তখন আমাকে জানান- তাদের আড়াই হাজার টাকা নিয়ে বিপ্লব কোথায় নাকি চলে গেছে। এ কথা শোনার পর আমি তাদের বলেছি- ছেলে বাড়িতে থাকে না, যেখানে কাজ করে সেখানে থাকে। কীভাবে বা কেন ছেলের মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারছি না।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান নিহত বিপ্লবের লাশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য ময়নাতদন্ত করতে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর রহস্য যানা যাবে।

  • লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।


    লক্ষ্মীপুরে বালু ড্রেজিংয়ে কাজ করতে গিয়ে আঘাত পেয়ে আবুল কালাম (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আঘাতের ঘটনা রহস্যজনক।

    শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনীমোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট এলাকার বালু মহাল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত আবুল কালাম উপজেলার চর আলী হাসান গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় এক জন শ্রমিক।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,আবুল কালাম মজচৌধুরীরহাটের বালু ব্যবসায়ী বাবুলের বালুমহালে ড্রেজার মেশিনে কাজ করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ মধ্যরাতে মাথায় ও পায়ে আঘাত লাগে। ধারণা করা হচ্ছে,ড্রেজিং মেশিনের সঙ্গেই তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। সকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এতে তাকে আর হাসপাতালে আনা হয়নি।

    চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, স্থানীয়রা ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। খবরটি পুলিশকে দেওয়া হয়।

    লক্ষ্মীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের মাথার পিছনে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • রাণীশংকৈল নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি আল আমিন সম্পাদক সুমন পাটোয়ারী।

    রাণীশংকৈল নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি আল আমিন সম্পাদক সুমন পাটোয়ারী।

    রাণীশংকৈল নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি আল আমিন সম্পাদক সুমন পাটোয়ারী।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ১১৮৯’র ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    শুক্রবার (৪ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলে। উৎসবমুখর পরিবেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকসহ স্থানীয় প্রশাসন ও সুধীজনরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।

    নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকসহ ৭ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৪টি পদে ভোট গ্রহন হয়। চারটি পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    নির্বাচনে আল আমিন ছাতা প্রতিকে ৮০২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচন হন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুবেল হোসেন চেয়ার প্রতিকে পেয়েছেন ৬৭০ ভোট।

    অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলম সর্দার মিকচার মেশিন প্রতিকে ৮২৭ ভোটে নির্বাচিত হন, প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুজ্জামান হাতুরি প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৫৪৩,প্রচার সম্পাদক পদে মোবারক হোসেন গোলাপ ফুল প্রতিকে ৭১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিরুল ইসলাম মাইক্রোবাস প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৬২৮ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আল আমিন দেওয়াল ঘড়ি প্রতিকে ৮৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, প্রতিদ্বন্দ্বী হেলাল বাদশা ক্রিকেট ব্যাট বল মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৮০।

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন সাধারণ সম্পাদক পদে সুমন পাটোয়ারী, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাজল, সহ-সভাপতি মনির হোসেন, সহ-সম্পাদক মুক্তার হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবুল হোসেন, কার্যকরী সদস্য নিরেন চন্দ্র রায় ও দপ্তর সম্পাদক মো. দুলু।

    ভোটগ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং অফিসার সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া ও সদস্য সচিব খুরশিদ আলম শাওন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

    সংগঠনের নির্বাচন কমিশনার রমজান আলী বলেন, মোট ১১ পদের মধ্যে ৭টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে প্রার্থীরা। বাকি চারটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু সুন্দর এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

  • করোনার মহামারিতেও রেকর্ড পরিমান জনশক্তি বিনিয়োগ।

    করোনার মহামারিতেও রেকর্ড পরিমান জনশক্তি বিনিয়োগ।

    করোনা মহামারির মধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩’শ ১৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিক বিভিন্ন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে চলে গেছেন। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এত বেশি জনশক্তি দেশের বাহিরে যায়নি। এর আগে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ১ লাখের কিছু বেশি দেশের শ্রমিক বিদেশে গিয়েছিলেন।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের জনশক্তি রফতানির প্রধান বাজার মধ্যপাচ্যের দেশগুলো। দুই বছরের মহামারির সংকট কাটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো এই দেশগুলোও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চাঙা হচ্ছে তাদের অর্থনীতি। এতে তাদের কাজের লোকের চাহিদা বেড়েছে। তাই বাড়ছে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি।

    আগামী দিনগুলোতে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করেন তারা। বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২১ সালে এ দেশ থেকে মোট ৬ লাখ ১৭ হাজার ২’শ ৯ জন কর্মী গেছেন বিভিন্ন দেশে।

    নতুন করে শ্রমবাজার না খুললেও পুরোনো বাজার থেকেই চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও। ইতিমধ্যে দুই দেশের সরকারের মধ্যে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে।

  • বাংলাদেশে প্রথম চালু হয়েছে মোংলা ইপিজেডে নারী শ্রমিকদের ডরমিটরি।

    বাংলাদেশে প্রথম চালু হয়েছে মোংলা ইপিজেডে নারী শ্রমিকদের ডরমিটরি।

    কর্মরত নারী শ্রমিকদের আবাসন দূরীকরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মোংলা ইপিজেডে ডরমিটরি আবাসিক হোটেল চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম আজাদ এই ডরমিটরি আবাসিক হোটেল উদ্ধোধন করেন।

    এসময় মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক, কমার্শিয়াল অপারেশনের পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল আলম, দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    অবস্থানগত কারণে মোংলা ইপিজেড দূরে অবস্থিত হওয়ায় ইপিজেড এলাকায় শ্রমিকদের বসবাসের জন্য কোন ব্যাবস্থা না থাকায় এটি চালু করা হয়েছে। ৭৪ হাজার ২৪৪ বর্গফুটের চারতলা বিশিষ্ট এই আবাসিক ডরমিটরিতে একসাথে ১০০৮ জন নারী শ্রমিক থাকতে পারবেন।

    বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, শ্রমিকদের আবাসান সমস্যার সমাধানে গত ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বেপজা গভর্নর বোর্ডের ৩৩ তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি চালু করা হয়েছে। দেশের আটটি ইপিজেডের মধ্যে মোংলায় এটিই প্রথম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    এই ইপিজেডের তিন দশমিক আট একর জমির উপর ২৬ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ডরমিটরি প্রথম পর্যায়ে ইপিজেডের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ভি আই পি এবং জিম লাইট তাদের শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ নিয়েছেন। এটিতে শ্রমিকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১২৬ টি কক্ষ রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা প্রহরীর পাশাপাশি সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে বলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ভি আই পির জিএম মিজানুর রহমান খাঁন জানান।

    আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে মোংলা ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত করেন। এই ইপিজেডে বাংলাদেশ, জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ও থাইল্যান্ডেরসহ মোট ৩৪ টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। এছাড়াও আরও আটটি উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে নারী শ্রমিকের কদর বাড়ছে। 

    রাণীশংকৈলে নারী শ্রমিকের কদর বাড়ছে। 

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ

    নারী শ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী এবং কম মজুরিতে তাঁদের পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁদের কদর বাড়ছে। তাঁরা মাঠে কাজ করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পান। শীত সামনে রেখে জমিতে রসুন বুনছেন নারী শ্রমিকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার  রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে গেলে এমন দৃশ্য দেখা পাওয়া যায়।

    একসময় ঘরসংসার সামাল দেওয়াই ছিল তাঁদের একমাত্র কাজ। উপার্জনের বিষয়টি দেখতেন বাড়ির পুরুষ কর্তা। এই একক আয়ে অভাব,অনাটন ছিল নিত্যসঙ্গী। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নানা সামাজিক দুর্যোগ ।ফলে বাধ্য হয়ে ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে তাঁদের আসতে হয় ফসলের মাঠে। পরিচয় দাঁড়ায় নারী কৃষিশ্রমিক হিসেবে।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার এখন এক পরিচিত দৃশ্য নারীদের মাঠে কাজ করা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নারী শ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী এবং কম মজুরিতে তাঁদের পাওয়া যায়। এ কারণে দিন দিন তাঁদের কদর বাড়ছে।

    উপজেলার কাশিপুর রাতোর নন্দুয়ার নেকমরদ হোসেনগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকায়  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে অনেকেই স্বামীর সঙ্গে তাঁরাও কৃষিশ্রমিকের পেশা বেছে নিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন শস্যের বীজ বপন ও ফসল সংগ্রহসহ সব ধরনের কৃষিকাজ করেন।

    বৃহস্পতিবার সকালে যাওয়া হয় ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া গ্রামে। সেখানে বসতবাড়ি আর গাছপালার ফাঁক দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ে দিগন্তজুড়ে কৃষি খেত। এসব খেতে কাজ করছিলেন নারীরা। পরিবারের অভাব কিছুটা দূর করতে তাঁরা দল বেঁধে প্রতিদিন এই কাজ করেন।

    কয়েকজন নারীকে দিয়ে জমিতে রসুন আর  ভুট্টা বোনার কাজ করাচ্ছিলেন মন্ডলপারা গ্রামেম কৃষক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, এসব নারী কৃষিশ্রমিক হিসেবে পরিচিত। রোজ সকালে তাঁরা রান্নাবান্না সেরে সন্তানদের খাইয়ে দলবেঁধে কাজে বেরিয়ে পড়েন। পাঁচ থেকে ১০ জনের প্রতিটি দলে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে দুই থেকে তিনজন পুরুষ শ্রমিক থাকেন। সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলে তাঁদের শ্রম দেওয়া।

    জোতপাড়া গ্রামের ছাহেরা বেগম (৪৬) বলেন, ‘১০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর সংসারে উপার্জন না থাকায় অভাব অনাটন নেমে আসে। তখন থেকে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। মাঠে কাজ করে দৈনিক ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পাই। সেই টাকায় সংসার চলে।’

    রাতোর গ্রামের মিনতী রানী (৪০) জানান,  আটজনের পরিবার তাঁর। স্বামীর একার উপার্জন দিয়ে সংসার চলে না। মিনতীকে তাই অভাবী সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে এই কৃষিশ্রমিকের পেশা বেছে নিতে হয়েছে।

    মরিয়ম নামে আরেক নারী বলেন, ‘যত দিন মাঠে ফসল থাকে, আমাদের কাজ তত দিন থাকে। ধান কাটা ও মাড়াই, আলু, বাদাম, পেঁয়াজ ও রসুনের বীজ বপন, নিড়ানি দেওয়া সব ধরনের কৃষি কাজ করি। স্বামীর পাশাপাশি এই কাজ করে সংসার চালাচ্ছি, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছি, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করছি। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছি, এটাই আনন্দের।’

    দারিদ্র্য আর ভাগ্য এই পেশায় নিয়ে এসেছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন অরিদ্র বালা। এই শ্রমিক বলেন, ‘আমরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকের ফসলের কাজ করি। দলবেঁধে গল্পগুজব করে কাজ করি। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে আবার রাতে রান্না করে খেয়ে ঘুমাই।’

    রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, নারী কৃষিশ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী। এ ছাড়া তাঁদের তুলনামূলক কম মজুরিতে পাওয়া যায়। এ কারণে কৃষকদের কাছে নারী শ্রমিকদের কদর বেশি।

  • তাড়াশে নৃ- গোষ্ঠী শ্রমিকরা কিনতে পারছেন না নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি।

    তাড়াশে নৃ- গোষ্ঠী শ্রমিকরা কিনতে পারছেন না নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি।

    তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নৃ-গোষ্ঠী শ্রমিকদের দিন হাজিরা ৩শ টাকা হওয়ায় পারছেন না কিনতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি। অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।

    উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের মাঠে আমন ধান কাটার সময় ক্ষোভ করে সাংবাদিককে বলেন কর্মরত শ্রমিকগন ।বলাটাই তো স্বাভাবিক। কেন না বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির দাম যে ভাবে বাড়তে আছে তা যদি চলতে থাকে তাহলে শ্রমিক শ্রেনীর জনগনের অবস্থা হবে আরো কষ্টদায়ক। পণ্য বাজারের  চাহিদা মিটাতে এসব পেশার মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    বাজারে গেলেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম শুনে এসব শ্রেনীর মানুষজন মাথায় হাত দিয়ে চাহিদার অপ্রতুল্য রেখে বাজার করে সংসার চালাচ্ছেন।

    সরেজমিনে ১৪ নভেম্বর রবিবার  দুপুরের দিকে  ধান কাটার ছবি সংগ্রহ করতে গেলে দেখি ওই মাঠে দুলাল চন্দ্র রায়ের জমিতে আমন ধান কাটছে ৮/১০জন নৃ-গোষ্ঠীর শ্রমিক জনগন। সাংবাদিকদের দেখে তারা ক্ষোভে নিজেদের দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে থাকে। বলে ভাই কি হবে ছবি তুলে আমাদের দুঃখ কে দেখবে?

    নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের শ্রমিক মিনতি রানী জানান, সারাদিন কাজ করে শ্রমিকের মূল্য যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পরেছে। দিন অন্তে ৩শ টাকা পেয়ে চাল,ডাল,তরি তরকারী কিনতে গেলে টাকা আরোও ঘাটতি পরে। তার পরেও বাঁচতে হলে তো খেতে হবে। তাই কষ্ট হলেও কোন রকম চাহিদা পুরন করে সংসারের অন্যান্য সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে এই দিন মুজুরের টাকা আয় করছি।

    এ বিষয়ে ওই জমির মালিক দুলাল চন্দ্র রায় জানান,আমি নিজে ও আমার স্ত্রী এই ধান কাটার কাজ করছি। ধান কাটা ও বহন বাবদ প্রতিদিন ৩শ টাকা করে দেই। আমি নিজেও শ্রমিক। আমরা দিন হাজিরা দিয়ে যে টাকা পাই তা দেিয়ে আমাদের চাহিদা মিটে না। তবে যারা চুক্তিতে ধান কাটছে তারা বিঘা প্রতি ১ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার টাকাতে কাটছে। আর ধান বহন মালিকের দায়িত্বে।

    এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজাহার আলী বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার হওয়ায় শ্রমিকের মূল্য কমে গেছে।

    আর শ্রমিকের মূল্য কমে যাওয়ায় ও বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিক পেশার মানুষদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • মাধবপুরে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।

    মাধবপুরে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাদশা কোম্পানির(পাওনিয়ার ডেনিম) নির্মান কাজের স্টিলের কাজ করার সময় উপর থেকে পড়ে গিয়ে সোহেল মিয়া (২৮) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

    নিহত সোহেল মিয়া নেত্রকোনা জেলার বড়ধলা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুস সামোদ এর ছেলে।নিহত সোহেল মিয়ার ভাই খাইরুল মিয়া জানান,(০৯ অক্টোবর)শনিবার দুপুরে বাদশা কোম্পানিতে স্টিলের কাজ করার সময় আনুমানিক ৪০ ফুট উপর থেকে হঠাৎ পা পিছলিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় রক্ত জখম হয়।পরে তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অদিতি রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    তিনি বলেন মাথায় আঘাত পেয়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন হয়ে মৃত্যু হয়েছে।এ বিষয় মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক তিনি জানান হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে।