Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরের ৯টি উপজেলায় ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন।

    লক্ষ্মীপুরের ৯টি উপজেলায় ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন।

    লক্ষ্মীপুরের ৯টি উপজেলায় ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার ০৩/০৪/২২ইং বিকেলে দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কমিটিগুলো উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও সদস্য সচিব জাফর আহমেদ ভূঁইয়া অনুমোদন করেন।

    দলীয় সূত্র জানা যায়,উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের সভাপতি তারেক ইসলাম হিরো,সাধারণ সম্পাদক ইস্রাফিল হোসেন লিমন, সাহেবের হাট ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন,চর লরেন্স ইউনিয়নে সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত নিলয়, চরমার্টিন ইউনিয়নে সভাপতি ইব্রাহিম শামিম মারুফ, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাছান,চর ফলকন ইউনিয়নে সভাপতি জাহিদ হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম অভিজ,পাটারির হাট ইউনিয়নে সভাপতি নুরুল আলম রাজা,সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম সম্রাট, হাজিরহাট ইউনিয়নে সভাপতি জোবায়ের হোসেন,সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন টিপু,চরকাদিরা ইউনিয়নে সভাপতি নাছির মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ এবং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে সভাপতি আবু নাহিদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম ফরহাদ। কমিটিগুলোর ৫টি ৪১ সদস্য,৩টি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট,২৪ সদস্য বিশিষ্ট ১টি।

    এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি ছাত্রদলকে ভূমিকা রয়েছে। অবৈধ সরকার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে ছাত্রদলের সুসংগঠিত করা হচ্ছে। কমলনগরের ৯টি কমিটি পুরো জেলার ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ দেবে

  • লক্ষীপুরের মোটরসাইকেল চুরি করতে এসে চোর গণধোলাইয়ের শিকার।

    লক্ষীপুরের মোটরসাইকেল চুরি করতে এসে চোর গণধোলাইয়ের শিকার।

    লক্ষীপুরের মোটরসাইকেল চুরি করতে এসে চোর গণধোলাইয়ের শিকার।


    লক্ষীপুর রামগঞ্জ উপজেলার ৬নং লামচর ইউনিয়নের লামচর বাজার থেকে শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুরে আবদুর রহমান নামের এক মোটরসাইকেল চোরকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। এসময় তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়েছে।

    আবদুর রহমান ভাটরা ইউনিয়নের পাঁচরুখী নলচারা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে৷

    স্থানীয় সূত্রে জানায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় পেশাদার মোটর সাইকেল চোর আবদুর রহমান ও রাজন লামচর বাজার মেইন সড়কে জাহিদ গ্যারেজ মোটর সাইকেল চুরি করে। তারা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় পিছনে থাকা আব্দুর রহমান মোটরসাইকেলে বসার সময়ে পড়ে যায়।

    এ সময় স্থানীয়রা চিৎকার করলে সামনে থেকে লোকজন ব্যারিকেট দিলে মোটর সাইকেল চালক রাজন তা ফেলে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসি আব্দুর রহমানকে গণধোলাই দিয়ে মোহাম্মদীয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশে কাছে সোপর্দ করেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

  • লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকি’র মুখে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

    লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকি’র মুখে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।

    লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ,হুমকি’র মুখে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগরে সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা গড়ে তুলেছে মালিকরা। এসব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন ছাড়পত্র। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ বা কাঠের গুঁড়ি। এতে উজাড় হচ্ছে সবুজ বৃক্ষ।

    উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কিনে এসব অসাধু ভাটা মালিকরা জ্বালানী হিসেবে কাঠের ব্যবহার করছেন। কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী হিসেবে কাঠ বা কাঠের গুড়ি পোড়ানোর ফলে ভাটাগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি ও সামাজিক বনায়ন। বায়োদূষণের ফলে ফুসফুসের প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার সাধারণ মানুষ ।

    ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ)আইন ২০১৩ সালে বলা হয়,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা অর্থাৎ জিগজ্যাগ ক্লিন,হাইব্রিড হফম্যান ক্লিন,ভার্টিক্যাল শফট ক্লিন,টানেল ক্লিন বা অনুরোপ উন্নততর কোনো প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।

    তাছাড়া আবাসিক,জনবসতি,সংরক্ষিত এলাকার বনভূমি ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা করা যাবে না। এছাড়া সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে ২ দুই কিলোমিটার দূরত্বে করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র,জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা চালু করা যাবে না। আর এ আইন অমান্য করলে ১০দশ বছরের কারাদন্ড ও ১০ দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

    আর এসব ইটভাটা তদারকি করার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন বিভাগ, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাদের রহস্যজনক নীরবতার কারণে কমলনগরের অধিকাংশ ইটভাটা মালিক এসব আইনের তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের অবৈধ কার্যক্রম। ফলে আশপাশ এলাকার আবাদি জমির উর্বরতা হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রজাতিয় ফলদ, বনজ গাছপালাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, তাদের অফিসের তালিকাভুক্ত ১৩টি ইটভাটা রয়েছে। এদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স আছে ৯টি। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের তালিকার বাহিরে আরও ৭-৮টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করার মত একটিরও কোন বৈধ কাগজপত্র নেই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

    সরেজমিনে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের লতিফ ব্রিকফিল্ড, চরপাগলা এলাকার মদিনা ব্রিকফিল্ড,হাজিরহাট ইউনিয়নের মা ফাতেমা ব্রিকফিল্ডসহ কয়েকটি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায় লাইসেন্সবিহীন এসব ইটভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে লাকড়ি পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচন্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

    কাঠপোড়ানোর বিষয়ে লতিফ ব্রিকফিল্ডের স্বত্বাধিকারী মো. বাহার মোল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাভাটা দিয়ে ব্রিকফিল্ড শুরু করতে হয়। এই মুহূর্তে কাঠ পোড়ানো ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। সোহাগ ব্রিকস ও মদিনা ব্রিকফিল্ডের মালিক আবুল কাশেম ও আরিফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন,জেলা প্রশাসক বরাবর আমাদের আবেদন করা আছে কিন্তু তারাতো লাইসেন্স দিচ্ছে না। এই বিষয়ে আমাদের হাইকোর্টে মামলা আছে। এ ছাড়াও এই উপজেলায় ২০বিশ টি ইটভাটা রয়েছে। খোঁজ-খবর নিলে সবগুলোর নেন।

    কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের বলেন‘ ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে বায়োদূষণ হয়। এ বায়োদূষণের ফলে ফুসফুসের প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষতি হয় বেশি।

    পরিবেশ অধিদপ্তর (নোয়াখালী,ফেনী ও লক্ষ্মীপুর) সহকারি পরিচালক তানজির তারেক ইবনে সিদ্দিক বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন,অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে পলাশ ভূঁইয়া।

    লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে পলাশ ভূঁইয়া।

    লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে পলাশ ভূঁইয়া।


    বাংলাদেশ কৃষক লীগ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার মেয়াদ শেষান্তে কমিটি বিলুপ্ত করার পর নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ। সে মোতাবেক জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩-২০১৪ইং সালে লক্ষ্মীপুর সদর থানা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৪-২০১৬ইং সালে লক্ষ্মীপুর সদর থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোঃ নাদিম-উন-নবী (পলাশ ভূঁইয়া) জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি।

    অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য পলাশ ভূঁইয়া পারিবারিকভাবেও আওয়ামী রাজনীতির প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত। তার পিতামহ (দাদা) হামিদ উল্যা ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পলাশ ভূঁইয়ার মাতামহ (নানা) বীর মুক্তিযোদ্ধা নছির আহম্মদ ভূঁইয়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে মজলুম জননেতা হিসেবে পরিচিতিও ছিলো।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর এই তৃণমূলের জননেতা নছির আহম্মদ ভূঁইয়া ১৯৪৮ইং সালে লক্ষ্মীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সততা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করায় মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ১৯৮০ইং সালে লক্ষ্মীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কোনো পদের লোভ না করে এক পদেই আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করা নছির আহম্মদ ভূঁইয়া বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর প্রশাসনিক মর্যাদা পাওয়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতাও। পলাশ ভূঁইয়ার শ্বশুর বদরুল করিম ফারুক লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।

    শতভাগ আওয়ামী পরিবারের সন্তান মোঃ নাদিম-উন-নবী (পলাশ ভূঁইয়া) রাজনীতির পাশাপাশি অলাভজনক সামাজিক সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। লক্ষ্মীপুর পৌরসভাস্থ নছির আহম্মদ ভূঁইয়া স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব ও লাহারকান্দিস্থ হামিদ উল্যা ভূঁইয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

    নাদিম-উন-নবী (পলাশ ভূঁইয়া)আমারজমিনকে বলেন,বাংলাদেশ কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ,সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি এবং লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিজবুল বাহার রানার নেতৃত্বে সারা দেশে কৃষকলীগে সৎ ও যোগ্যদের পদায়ন করা হচ্ছে। আমার বিগত দিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড মূল্যায়নপূর্বক আমাকে কৃষকলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি হিজবুল বাহার রানা মহোদয়ের কর্মী হিসেবে বিগত সময়ে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষকলীগের চলমান সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।

  • লক্ষ্মীপুর আদালতের স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুর আদালতের স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুর আদালতের স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আরজু বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী কামাল উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    আজ বুধবার ৩০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী এ রায় দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আইনজীবী আবুল বাশার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যায় আদালতে কামাল দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। এতে আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড় বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বাদী জগলুর রহমান দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দ।

    আদালত সূত্রে জানা যায় ২০০৯ইং সালের ২ জানুয়ারি আরজু বেগমকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগে তার বড় ভাই জগলুর রহমান বাদী হয়ে কামালের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আদালতে কামালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

  • লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক আজাদের বাবার দাফন সম্পন্ন।

    লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক আজাদের বাবার দাফন সম্পন্ন।

    লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক আজাদের বাবার দাফন সম্পন্ন।


    যুগান্তর-এনটিভির লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ ও যুগান্তরের রামগতি কমলনগরের প্রতিনিধি সাজ্জাদুর রহমানের বাবা হাজী আলী আহম্মদের (৯৩) বাবার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

    সোমবার ২৮ মার্চ বিকেল সোয়া ৫ টার সময় নামাজের জানাযা শেষে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের চরফলকন গ্রামে আলী হাজী বাড়িতে পারবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

    জানাযার নামাজ পরিচালনা করেন হাজিরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী,হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহম্মেদ রতন,হাজিরহাট উপকূল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেব, কমলনগর উপজলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসেন আহম্মদ,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন,হাজিরহাট হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল,সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন,জাহাঙ্গীর আলম লিটন,কাজল কায়েস,কাজী মাকছুদুল হক,সানা উল্লাহ সানু, নাজিম উদ্দিন রানা,রুবেল হোসেন ও সোহেল রানাসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানায়,হাজী আলী আহম্মদ কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের চরফলকন গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

    গত ৯ দিন তিনি জেলা শহরের ওয়েলকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,৭ মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

  • লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।


    লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে বিপ্লব(১৯) নামের এক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে রায়পুর থানা পুলিশের সদস্যরা।

    রোববার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশেই এই ঘটনা ঘটে।

    বিপ্লব রাখালিয়া গ্রামের এলাহি বক্স হাজী বাড়ির সবুজ মিয়ার ছেলে। সে সদর উপজেলার দালাল বাজারে একটি স্টিলের আলমিরা তৈরির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বিপ্লবের মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে জানান এলাকাবাসী ও স্বজনরা।এ সময় তারা জানান,নিহত বিপ্লবের গলায় পেঁচানো দড়ি একটি আম গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। পা দুটি ছিল মাটির সঙ্গে লাগানো। তার কানে লাগানো ছিল হেডফোন।

    বিপ্লবের মা বিলকিস বেগম বলেন, দালাল বাজারের একটি দোকানে কাজ করতো বিপ্লব। সেখানেই থাকতো সে,বাড়িতে আসতো না। ভোরে আশেপাশের লোকজন বাড়ির পাশের একটি গাছের সঙ্গে আমার ছেলে ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

    তিনি বলেন,শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বিপ্লবের খোঁজে মোটরসাইকেলে করে দুই অপরিচিত লোক আমাদের বাড়িতে আসে। আমার ছেলে নাকি তাদের দোকানে কাজ করতো। তারা তখন আমাকে জানান- তাদের আড়াই হাজার টাকা নিয়ে বিপ্লব কোথায় নাকি চলে গেছে। এ কথা শোনার পর আমি তাদের বলেছি- ছেলে বাড়িতে থাকে না, যেখানে কাজ করে সেখানে থাকে। কীভাবে বা কেন ছেলের মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারছি না।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান নিহত বিপ্লবের লাশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য ময়নাতদন্ত করতে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর রহস্য যানা যাবে।

  • লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত।

    লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত।

    লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত।


    লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান।

    শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    কমিটি বিলুপ্তি পত্র ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ ইং সালের ২৫ এপ্রিল শরীফকে সভাপতি ও নিশানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একই সঙ্গে আগামি ৭ কার্য দিবসের মধ্যে নতুন কমিটির জন্য সভাপতি-সম্পাদক পদপ্রত্যাশিদের জীবন বৃত্তান্ত আহবান করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নাজমুল হক সিদ্দিকি নাজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান ও সহ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম নোমান জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করবেন। বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান বলেন, কমিটি বিলুপ্তির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আমরা ফেসবুকে দেখছি। ভিন্নভাবে আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে কোন কিছুই জানানো হয়নি

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রকাশ্যে সাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাসদস্য বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনির হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী বাহিনীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সময় রসুলগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

    আহত মনির মেম্বার কে ইউপি চেয়ারম্যান উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে মনির মেম্বার বলেন,৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাব্বি ও রাকিব,ভূলু,সাইফুল,নবী সহ ২০/৩০ জন উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ও বিভিন্ন সময় রাব্বি বাবা গাঁজা সেবন করে পরিষদের সামনে প্রকাশ্যে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

    এই সময় তিনি আরো বলেন হামলাকারীরা সবাই ইয়াবা ও গাঁজা সেবন কারি থাকে তারা মাতাল অবস্থায় প্রাই সময় মানুষের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় কিছু না পেলে খারাপ আচরণ করে থাকে। তারা এলাকায় মোটরসাইকেল ৮০ কিঃ মিঃ স্প্রিডে চালাচ্ছে।

    বিভিন্ন সময় স্কুলছাত্রী ও মাদ্রাসার ছাত্রদের ইভটিজিং ও খারাপ আচরণ করে থাকে এই সব গাঁজা সেবন কারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    তাই আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের সবাইকে বাঁধা দিলে তারা মঙ্গলবার আমার উপর সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে হামলা চালিয়েছে। আজ সকাল ১১.০০ টার সময় ইউনিয়ন পরিষদ সামনে প্রকাশ্যে ২০/৩০ জন উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী বাহিনীরা জিয়াই পাইব দিয়ে আমাকে পিটায়। এই সময় আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির পাটোয়ারী ও স্থানীয়দের সহযোগিতা আমাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান কবির পাটোয়ারী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মনির মেম্বার উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীরা ও এলাকার চিহ্নিত গাঁজা খোর খারাপ প্রকৃতির লোক। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়,জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়,সদর থানা অফিসার ইনচার্জ ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে লিখিত ভাবে অবগত করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বশির মিস্ত্রিকে (৬০) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার ২৩ মার্চ বেলা ১১ টার সময় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় প্রদান করেন।

    জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যার ঘটনা আদালতে বশিরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    দণ্ডপ্রাপ্ত বশির রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। রায় ঘোষণার পর বশিরের চোখে মুখে চাপা আতঙ্ক দেখা গেছে। ঘোমড়া মুখেই পুলিশের সঙ্গে কিছু একটা বলছিল। যেন তার আকাশ জুড়ে আঁধার নেমে এসেছে। রায়ের সময় তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে আদালতে দেখা যায়নি।

    মামলার এজাহার সূত্র জানায় ২০০৬ সালে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বশির বিয়ে করে। এটি বশিরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম সংসারে তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।

    বশির ও মমতাজ বেগমের সংসারে হোসেন আহম্মদ ও আপন নামে দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মমতাজকে বশির মারধর করতো। ঘটনাগুলো স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য একাধিবার সালিসি বৈঠকও করা হয়।

    এরপরও মমতাজ বেগমের উপর নির্যাতন ও মারধর বন্ধ করা হয়নি। বিভিন্ন সময় মমতাজ বেগম তার বাবার বাড়ির লোকজনকে ফোন দিয়ে কান্না কাটি করতো। বশিরের আগের সংসারের ছেলে মেয়েরা মমতাজ বেগমকে ভালো চোখে দেখতো না।

    এ দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে বশির ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মমতাজের গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজির নাটক রচনা করে।

    নিজেই রেখে আসা সয়াবিন ক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করেন এবং প্রচার শুরু করে কে বা কারা আমার স্ত্রী মমতাজকে হত্যা করে লাশ সয়াবিন ক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে।

    কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। পরে নিহত মমতাজ বেগমের ভাই মোঃ জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা পুলিশ আদালতে বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানির পর ও ৮ আট জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেয়।