Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুর মাতৃমঙ্গল থেকে প্রসূতিকে বাহিরে,রাস্তায় সন্তান প্রসব, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল।

    লক্ষ্মীপুর মাতৃমঙ্গল থেকে প্রসূতিকে বাহিরে,রাস্তায় সন্তান প্রসব, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল।

    লক্ষ্মীপুর মাতৃমঙ্গল থেকে প্রসূতিকে বাহিরে,রাস্তায় সন্তান প্রসব, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল


    লক্ষ্মীপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের (মাতৃমঙ্গল) সামনের রাস্তায় প্রসূতি শিল্পি আক্তারের সন্তান প্রসবের ঘটনায় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রতিবেদনে কি প্রমাণিত বা উল্লেখ করা হয়েছে, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
    এই দিকে সোমবার (২৩ মে) সকালে সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ডেকে নিয়ে ভূক্তভোগীর প্রসূতির মা নুরজাহান বেগম ও ভাবি রেশমা আক্তারের বক্তব্য শোনেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রসূতির মামাতো বোন রুনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগ সূত্র জানায়, ১৮ মে রাতেই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমটির অন্যরা ছিলেন সদর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও কমলনগর উপজেলার কর্মকর্তা সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন।
    শিল্পির মামাতো বোন রুনা আক্তার জানান, সোমবার সকালে সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে শিল্পির মা ও ভাবিকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তারা পুরো ঘটনাটি বলে। এরপর চিকিৎসক আক্তার হোসেনসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
    তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. আক্তার হোসেন বলেন, তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

    লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করা হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
    উল্লেখ্য, ১৮ মে সন্ধ্যায় সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে প্রসূতি শিল্পি আক্তারকে বের দেওয়ার অভিযোগ উঠে। অনুনয় বিনয় করলেও ওই কেন্দ্রের আয়া শারমিন আক্তার প্রসূতিকে রাখতে রাজি হয়নি। এতে কেন্দ্রের সামনের রাস্তাতেই প্রসূতি একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শিল্পি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সমসেরাবাদের জোড়দিঘিরপাড় এলাকার ফল দোকানের শ্রমিক আজগর হোসেনের স্ত্রী।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-আহত ৪।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-আহত ৪।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা- আহত ৪।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাছ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সুমন ও তার স্ত্রীসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

    শুক্রবার (১৩ মে) সকালে ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই দিকে হামলায় আহত সুমন ও তার স্ত্রী শান্তা ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত মন্তাজ উদ্দিন ও আমেনা বেগমকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নুনিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

    অভিযোগে বলা হয়, ইউপি সদস্য ফারুকের সঙ্গে সুমনদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় জোর করে জমি দখল করতে ফারুক ছয়-সাতজন লোক নিয়ে সুমনদের ওপর হামলা করে। এই সময় সুমনসহ পরিবারের চার সদস্যকে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে সুমনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

    চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ফারুক লোকজন নিয়ে আমার ঘরসহ জমি দখল করতে এসেছিল। বাধা দেওয়ায় আমাদের পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় আমরা বিচার চাই।
    এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তার ভাই-বোনদের সঙ্গে সুমনের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুর সয়াবিন তেল মজুত রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকান মালিককে জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুর সয়াবিন তেল মজুত রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকান মালিককে জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুর সয়াবিন তেল মজুত রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকান মালিককে জরিমানা


    লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন তেল মজুত রাখার দায়ে ৪ ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ভক্তের গলির নুর আলম স্টোর, রুপা স্টোর, রাজ্জাক স্টোর ও খান স্টোরে অভিযান চালায়। সয়াবিন তেল মজুত রাখার দায়ে এ ৪ দোকানির ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তাদের কাছে সংরক্ষিত তেল জনগণের কাছে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দোকানিরা বিপুল পরিমাণ তেল মজুত রেখেছে। অভিযানে পেয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তেল মজুত রেখে যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান ও জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার মনির হোসেন।

  • লক্ষ্মীপুরে ব্যাংক কর্মকতার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা।

    লক্ষ্মীপুরে ব্যাংক কর্মকতার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা।

    লক্ষ্মীপুরে ব্যাংক কর্মকতার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা।


    লক্ষ্মীপুরে জায়গা জমি সংক্রান্ত্র বিরোধের জের ধরে নজিব উল্ল্যাহ নামে এক ব্যাংক কর্মকতার বাসায় সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে মানিক মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।

    ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ০৬ নং ওয়ার্ড বাঞ্চাননগর এলাকার তমিজ উদ্দিন ব্যাপারি বাড়িতে।অভিযুক্ত মানিক মিয়া একই বাড়ির মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে।

    ঘটনার পর ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী বিবি মরিয়ম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মানিক মিয়া,তার ছেলে মোঃ ইউসুফ,ফয়সালকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    স্থানীয় সূত্র হতে জানা যায় যে, পৌরসভার বাঞ্চাননগর এলাকার তমিজ উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা নজিব উল্ল্যাহ ও একই বাড়ির মানিক মিয়ার দীর্ঘদিন থেকে জমির সীমানা নির্ধারন সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।যার পরিপেক্ষিতে আদালতে ১৪৪ ধারা জারিকৃত মামলা চলমান রয়েছে।আদালত কর্তৃক নির্মান কাজ বন্ধ থাকার নিষেধাজ্ঞা থাকাসত্ত্বেও মানিক মিয়া জোরপূর্বক নির্মান কাজ করলে নজিব উল্ল্যার পরিবার বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ এবং ক্ষিপ্ত হয়ে বাসায় ইটপাটকেল ছুড়ে হামলায় চালায়। ব্যাংক কর্মকতার বাসার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলছে, এবং বিভিন্ন ভাবে মারধরে
    হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী।

    ব্যাংক কর্মকর্তা নজিব উল্ল্যা অভিযোগ করে বলেন,দীর্ঘদিন থেকে মানিক মিয়ার সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে,জোর পূর্বক বিল্ডিং নির্মান কাজ করতেছে,আইন আদালতের ধারস্ত হলে এরা গতকাল ক্ষিপ্ত হয়ে এসে ইটপাটকেল ছুড়ে আমার বিল্ডিং এর থাই গ্লাস ভাংচুর করে,বিভিন্ন হুমকি প্রদান করিতেছে,বর্তমানে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে বলে জানান এই ব্যাংক কর্মকর্তা।

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত মানিক মিয়া বলেন,আমি আমার জমিতে বিল্ডিং নির্মান করতেছি,নজিব উল্ল্যাহ আদালতে মামলা করে আমার বিল্ডিং এর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে,বাসায় হামলার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন,আমার পরিবারের কেউ হামলা করে নি, আমার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য ব্যাংক কর্মকতা নিজে করেছে।
    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এস আই নুরুল করিম চৌধুরী বলেন,জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করার কারনে একজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে, পরবর্তীতে ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় হামলার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ’র মৃত্যু,গ্রেপ্তার-১।

    লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ’র মৃত্যু,গ্রেপ্তার-১।

    লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ’র মৃত্যু,আটক-১


    লক্ষ্মীপুরে নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষিতে চাঁদ মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এই ঘটনায় সুজন হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চন্দ্রপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
    চাঁদ মিয়া ১১নং হাজিরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চন্দ্রপুর গ্রামের সন্দিশ বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে। আটক সুজন ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আবদুল আওয়ালের ছেলে।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চাঁদ মিয়ার নাতি ইমরান হোসেন এবং পাশের দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সুজন হোসেন ও মো. বাপ্পী তারা একজন আরেকজনকে তুই বলে সম্বোধন করে। তারা সময়বয়সী। কিন্তু তুই সম্বোধন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাপ্পী ও সুজন আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে ইমরানকে মারধর করে। এই সময় নাতিকে বাঁচাতে গেলে চাঁদ মিয়াকেও কিল-ঘুষি মারা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

    চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে৷ বাকিদের আটক করতে চেষ্টা চলছে।

  • লক্ষ্মীপুর ভ্রাম্যমাণ আদালতের সড়কে ১৩৮জন তরুণকে আটক, ৯জন জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুর ভ্রাম্যমাণ আদালতের সড়কে ১৩৮জন তরুণকে আটক, ৯জন জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুর ভ্রাম্যমাণ আদালতের সড়কে ১৩৮জন তরুণকে আটক, ৯জন জরিমানা


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ঈদ আনন্দে মেতে উঠা ৯নয় পিকআপ ভ্যানভর্তি তরুণদের আটক করা হয়েছে। এই সময় সড়ক পরিবহন আইন অমান্য করায় পিকআপ চালকদের ২১ হাজার ৫০০/ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মৌখিকভাবে সতর্ক করে পিকআপে থাকা ১৩৮ জন তরুণকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    বুধবার (৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা ওই চালকদের জরিমানা করেন।

    উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে পিকআপ ভ্যানে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে একদল তরুণ আনন্দে মেতে উঠে। এটি সড়ক পরিবহন আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। দিনব্যাপী উপজেলার রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে পিকআপ ও তরুণদের আটক করা হয়। পিকআপগুলো উপজেলার মতিরহাট ও রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পরে পিকআপের ৯ চালকের কাছ থেকে ২১ হাজার ৫০০/ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক আইন অমান্য করায় চালকদের জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

  • লক্ষ্মীপুরে সরকারি ভূমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে সরকারি ভূমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে সরকারি ভূমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। 


    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার তহশিলদার ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে মেয়র মেজু দাবি করছেন, এটি তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি। রোববার (১ মে) বিকেলে রামগতি পৌর ভূমি কার্যালয়ের তহশিলদার মীর জিয়াউদ্দিন কাজ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মেয়র মেজু জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।

    ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি ৮ শতক জমি দখল করে মেয়র মেজবাহ উদ্দিন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছিলেন। ১৮ এপ্রিল স্থানীয় ৩ জন বাসিন্দা লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সরকারি ৭টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের নির্দেশে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়র বিভিন্নভাবে ফের কাজ শুরুর পাঁয়তারা করছেন।

    স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকা নির্মাণ কাজ শুরু করতে শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মেয়র প্রয়োজনীয় ইট-বালুসহ সরঞ্জামাদি এনেছেন। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে তিনি ভবন নির্মাণ করে দখল করতে পাঁয়তারা করছেন।

    অভিযোগ সূত্র জানায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মেয়র মেজুর বাবা এম ওয়াজি উল্যা মিয়া সরকারি জমি দখল করে একটি টিনশেট ঘর নির্মাণ করেন। সম্প্রতি আগুনে পুড়ে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে মেজু ওই জমিটি পুনরায় দখল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাবেক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুচিত্র রঞ্জন দাস ও উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বাঁধায় তিনি জমিটি দখল করতে পারেননি। কিন্তু বর্তমান সহকারী কমিশনার ও পৌর তহশিলদারের তদারকির অভাবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মেয়র সেখানে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

    তহশিলদার মীর জিয়াউদ্দিন বলেন, জমিটি সরকারের। মেয়র নিজের জমি দাবি করলেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা কাজ বন্ধ রাখার জন্য বারবার তাকে বলছি। কাজ চলাকালীন বাঁধাও দিয়েছি। এখন আবার কাজ শুরু করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে শুনেছি।

    রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু বলেন, সরকারি নয়, পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করছি। ৫০ বছর ধরে জমিটি আমাদের দখলে রয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি মিথ্যা।

    এই ব্যাপারে রামগতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, ঈদের ছুটিকে পুঁজি করে মেয়র ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার পাঁয়তারা করছেন, বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থল লোক পাঠানো হচ্ছে। কাজ যেন না করতে পারে- এজন্য আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে স্ত্রী রুবিনা আক্তারকে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. লিটনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

     

    তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লিটন গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। পরবর্তীতের ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে এটি শ্বাসরোধে হত্যা বলে প্রমাণিত হয়। এতে লিটন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
    দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের উত্তর চরকাদিরা গ্রামের চৌধুরী মাঝির ছেলে।

    আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ইং সালের ১৩ এপ্রিল উত্তর চরকাদিরা গ্রামের একটি আম গাছ থেকে রবিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বলে প্রচার করে হয়। এতে আত্মহত্যা বলেই তার শ্বশুর চৌধুরী মাঝি কমলনগর থানায় লিখিতভাবে সংবাদটি জানায়। থানার তখনকার ওসি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়। ঘটনাস্থল গিয়ে মোশাররফ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি পাননি। চৌধুরী মাঝির ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন সুরতহাল প্রস্তুতকালে তিনি দেখতে পান রুবিনার মরদেহের ঠোঁটসহ মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কানের নিচে ও গাঁঢ়ের পেছনে রশির দাগ ছিল।

     

    পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। একই বছর ২৯ মে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে আসে। এতে প্রমাণিত হয় মাথায় আঘাতের পর রুবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এতে এসআই মোশারফ বাদী হয়ে লিটনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি এসআই অনিমেষ মন্ডলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

  • লক্ষ্মীপুরের বেচু সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন।

    লক্ষ্মীপুরের বেচু সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন।

    লক্ষ্মীপুরের বেচু সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন।


    লক্ষ্মীপুরের নতুন করে আবির্ভূত হয়েছে নুরআলম বেচু সন্ত্রাসী বাহিনী। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। নারী কেলেঙ্কারি, ভূমি জবর দখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে এখন আলোচনায় রয়েছে বেচু ও তার বাহিনী। সদর উপজেলার ১১নং হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ত্রাস হিসেবে খ্যাত এ সন্ত্রাসের রাজত্ব বাহিনীর সদস্য সংখ্যা এখন ৬০-৭০ জন।

    মঙ্গলবার ০৫/০৪/২২ইং দুপুরে সদর উপজেলার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে একাধিক ভুক্তভোগী এসব অভিযোগ করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় নবী তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে নুরআলম বেচু নিজেকে বাহিনী প্রধান পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি নারী কেলেঙ্কারি, জমি জবর
    দখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি ও চাঁদাবাজি, অশালীন আচরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। তার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী।

    ভুক্তভোগিরা জানায়, তার ভয়ে স্থানীয় শফি কাজী ও তার পরিবার, সখিনা বেগম, আব্দুর রব ড্রাইভারের পরিবারসহ অসংখ্য মানুষ এলাকাছাড়া হয়েছেন। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ২০০১ইং সালে বেচু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুস্থ্য হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সোমবার দিবাগত রাতে বিবি কুলসুম ও তার যুবতী কন্যার উপর নির্যাতন (মারধর) চালায় বেচু ও তার বাহিনীর সদস্যরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

    সম্প্রতি তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে অখ্যাত সবুজ জমিনের নিউজ মিথ্যা ও অপপ্রচার করা হয় এরা হলো হলুদ সাংবাদিক একটি অনলাইন মিডিয়ায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উল্টো অপপ্রচার চালায় বলে জানান তারা। এমন পরিস্থিতিতে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকরা।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন- ১১ং হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, ভুক্তভোগী চন্দ্রগঞ্জ থানা সেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক সালাহ উদ্দিন টিটু, ইউপি সদস্য মিঠু, কাজী আনোয়ার হোসেন, বণিক সমিতির সম্পাদক মো. ইস্রাফিল, বিবি কুলসুম প্রমুখ।

    এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরআলম বেচু বলেন- তার কোনো বাহিনী নেই। পরিকল্পিতভাবে সুবিধাভোগীরা তাকে এলাকা ছাড়ার পাঁয়তারা
    করছে বলেও পাল্টা অভিযোগ করেন বেচু

  • লক্ষ্মীপুরের সনদ জালিয়াতির প্রতারণায় যুবকের কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরের সনদ জালিয়াতির প্রতারণায় যুবকের কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরের সনদ জালিয়াতির প্রতারণায় যুবকের কারাদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৯নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত রুহুল আমিন ছেলে নূর হোসেন অনুদানের জন্য চিকিৎসা সনদ জালিয়াতি করার ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরি) মো. নুর হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার ০৪/০৪/২২ইং বিকেলে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ড দেন।
    দণ্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেন উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি ও একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।
    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিডনী, লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনুদান দেয় সরকার। এই অনুদান পাওয়ার জন্য নুর হোসেন তার স্ত্রী হাছিনা বেগম ও বড়ভাই মো. মঞ্জুর আবেদন ফরম নেন। ওই ফরমে সই নেওয়ার জন্য তিনি (নুর হোসেন) সোমবার ০৪/০৪/২২ইং দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবিরের সঙ্গে দেখা করেন।

    এসময় ডাক্তারি কাগজপত্র সন্দেহ হলে সিভিল সার্জন নোয়াখালী সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। সেখান থেকে নিশ্চিত করা হয়, ওই ক্রমিকের ডাক্তারি কাগজপত্রগুলো শাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির।

    পরে প্রতারণার বিষয়টি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীকে জানানো হয়। এতে জালিয়াতি প্রমাণ পাওয়ায় নুর হোসেনকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

    খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে যায়। এসময় অপরাধ স্বীকার করায় নুর হোসেনকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    পুলিশ হেফাজতে নুর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বাবা গতবছর ১২/০৩/২১ইং সালে ক্যান্সার আক্রান্ত মারা গেছেন তার বৃদ্ধ মা অসুস্থ ও তার স্ত্রী অসুস্থ। ভাইও ডাব পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরে রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চালাতে অনুদান পেতে মেডিকেল রিপোর্ট নকল করা হয়। এতে তাঁর ভুল হয়েছে।

    এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবির বলেন, শাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মেডিকেল রিপোর্টের নাম পাল্টিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টে যাচাই-বাচাই করে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়েছে।