Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে রামগতির চরআলগী ইউনিয়নে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।

    লক্ষ্মীপুরে রামগতির চরআলগী ইউনিয়নে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।  আশির দশকে নির্মিত এই আঞ্চলিক কাঁচা সড়কটি পাকা হয়নি চল্লিশ বছরেও। আলোচিত আঞ্চলিক সড়কটি রামগতি উপজেলার  চরআলগী ইউনিয়নের আব্দুস সামাদ সড়ক।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বৃষ্টিতে দু’কিলোমিটার (মোহাম্মদ আলী মেম্বার এর দোকান থেকে আলাউদ্দীন এর দোকান পর্যন্ত) সড়কের পুরোটাই কর্মমাক্ত। খানাখন্দকে ভরা সড়ক দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এই সড়ক দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করছেন গ্রামের হাজারো মানুষ।

    এ সড়কটি দিয়েই চরসেকান্দর সফিক একাডেমি এবং কারামতিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত করে শতশত শিক্ষার্থী। যানবাহনতো দুরের কথা মানুষ চলাচলই এখন দায় হয়ে পড়েছে।

    স্থানীয় ভাবে জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিক বার এলাকাবাসী ধরনা দিলেও চলাচল উপযোগি করা হয়নি সড়ক। হয়নি পাকাও। দীর্ঘদিনেও সড়কটি সংষ্কার বা পাকা না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রুবেল জানিয়েছেন, সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং চলাচলের প্রধান সড়ক। শুকনো মৌসুমে থাকে খানা-খন্দক। আর বর্ষাকালেও তো কাদায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। দ্রুত সড়কটি পাঁকা করা প্রয়োজন।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, সময় সংবাদ কে জানান রাস্তাটি প্রকল্পের মাধ্যমে পাকা করার জন্য চেয়ারম্যানসহ তালিকা দেয়া হয়েছে। আশাকরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজটি হয়ে যাবে।

    এ ব্যাপারে কথা বলতে একাধিক বার ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরীথর মোবাইলে একাধিকবার কল (শুক্রবার ও শনিবার) দেয়া হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

  • লক্ষ্মীপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্থদন্ড।

    লক্ষ্মীপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্থদন্ড।

    লক্ষ্মীপুরে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন বাস্তবায়নে সদর উপজেলার জকসিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। লকডাউন উপেক্ষা করার অপরাধে ব্যক্তি ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দায়ের করে ১৭ হাজার টাকা অর্থদ করা হয়।

    শনিবার (৩১ জুলাই)সকাল ১১টার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুম।

    এ সময় দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনের দায়ে একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারের চালকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে উপস্থিত দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

    এ সময় মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তাররোধকল্পে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বিধিনিষেধ অমান্য করে বিভিন্ন লোকজন ও যানবাহন চলাচল করায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া জকসিন বাজারের ১৬ জন অসহায় প্রতিবন্ধী ও নিন্ম আয়ের মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল বিতরণ করেন। লকডাউন বাস্তবায়ন কল্পে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

     

  • লক্ষ্মীপুরের মরিয়ম ভিক্ষাপেশা ছেড়ে দিয়ে ছোট ছেলে মেয়ের বই বিক্রি।

    লক্ষ্মীপুরের মরিয়ম ভিক্ষাপেশা ছেড়ে দিয়ে ছোট ছেলে মেয়ের বই বিক্রি।

    লক্ষ্মীপুরের মরিয়ম ভিক্ষাপেশা ছেড়ে দিয়ে ছোট ছেলে মেয়েদের বই বিক্রি করে সংসার জীবনের হাল ধরেছে।লক্ষ্মীপুরে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে ১২ বছর বয়সের মরিয়ম জৈনিক লুঙ্গির পরিহিত এক ব্যক্তির কাছে শিশুদের বই বিক্রির সময় আমারজমিন প্রতিবেদককে বলেন আমি ক’দিন আগে ভিক্ষা পেশা ছেড়ে বই বিক্রির পেশা বেছে নিয়েছি। কৌতুহল হয়ে আমি একটা বই কিনতে চাইলাম।বইয়ের দাম করতেই বইয়ের দাম দ্বিগুণ দাম চাইল।
    আমি তাকে বললাম বইয়ের দাম এতো দাম চাও কেন? উত্তরে সে নরম কণ্ঠে সে বলল-কিনতেন না কিল্লাই-কন? চার দিন আগে ভিক্ষা করা ছাড়ি দি এহন বই বেইচতাছি। ধন্যবাদ দেন আর আমনে ১টা বই কিন্না নেন। তখন ৪০ টাকার বই ৭০ টাকায় কিনলে সে খুবই খুশি হয়।
    মঙ্গলবার দুপুরে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মরিয়মের সঙ্গে কথা হয় আমারজমিন পত্রিকার প্রতিবেদকের সে তার কষ্টের কথা বলে কেঁদে ফেলে বলে আমার চিকিৎসার জন্য ধনাঢ্য ব্যক্তি ও সরকারের কাছে সহযোগিতাও চেয়েছে।

    মরিয়ম জানায়, তার বাবার বাড়ি ফরিদপুর শহরে। আর আম্মার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার ফকির বাড়ি। তারা দুইটি বোন ও একটি ভাই রয়েছে। সে সবার বড়। মরিয়ম পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার খুব অসুখ (পায়ু পথে রক্ত ঝড়ে)। তার খুব কষ্ট হয়। তার মাকে কেউ সাহায্য দেয় না।মায়ে কইছে বাবার বংশে প্রথম ছেলে না হওয়ায় মাকে নানার বাড়িতে রাখি চলে গেছেন। আর ফিরে আসেন নাই। শুনেছি আব্বা আবার বিয়ে করেছেন। আমার মাও আরেক জনকে বিয়ে করেছেন। তিনি রিকশা চালান। ক’দিন আগে রিকশা চুরি হয়ে গেছে। এখন সবাই নানার বাড়িতে থাকেন। লকডাউনে স্কুল বন্ধ। ভিক্ষা করে যে টাকা পেতাম,তা দিয়ে ওষুধ কিনত আর ছোট দুই ভাই-বোনরে দিতাম।

    মরিয়ম আরও বলেন, শুক্কুরবার (চারদিন আগে) রায়পুর শহরের বড় মসজিদের সামনে দাঁড়াই আছিলাম। এক বেডা আহি আমার বলে, কিছু বই কিনি দেই। সেগুলো বেচি টাকা লই তোমার মারে দিও। ভিক্ষা করিও না। হেইদিন থাকি ভিক্ষা ছাড়ি দি এহন হাসপাতালের সামনে ও বাজারে হাঁটি হাঁটি বই বেচি। হত্তেকদিন ৭/৮ বই ৫’শ-৬’শ টেকা বেচি। ৩’শ-৪’শ টেকা লাভ হয়-হেই টেয়া মারে নিয়া দি। কিন্তু রাস্তার মইদ্দে বড্ডা হোলারা খারাফ কতা কয়। আর খুব ডর লাগে। কেও যদি আঁরে অসুখের টেয়া দিতো। তাড়াতাড়ি বালা অই যাইতাম। এ সময় এক ব্যক্তি মরিয়মকে কিছু টাকা দিয়ে ভাত খেতে বললে, সে টাকা নিয়ে চলে যায়।

    উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা গড়তে উপজেলা প্রশাসন ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিলেও কখনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

    এ বিষয়ে ইউএনও সাবরীন চৌধুরি বলেন, শিশু মরিয়মের আগ্রহের কথা শুনে ভালো লেগেছে। ভিক্ষা ছেড়ে দিয়ে শিশু বয়সে বই বিক্রি করছে। আমি হতবাক হলাম। তাকে সহযোগিতা দেয়া হবে।ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।

  • লক্ষ্মীপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ১৫ মামলা,২ লাখ টাকা জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ১৫ মামলা,২ লাখ টাকা জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুরে প্রতিটি পাঁকা সড়কের মোড়ে মোড়ে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে জেলা পুলিশ সদস্যরা। একই সাথে নিবন্ধনহীন যানবাহন ধরতে অভিযান পরিচালনা করেন তারা।

    শনিবার সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী এলাকায় ট্রাফিক বিভাগ, সদর থানা ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র না থাকায় সড়ক আইনের বিভিন্ন ধারায় ১৫টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

    এছাড়াও ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান এর নির্দেশেই এ অ‌ভিযান প‌রিচা‌লিত হ‌চ্ছে ব‌লে সং‌ল্লিষ্ট সূ‌ত্রে জানা যায়।

    ট্রাফিক সার্জেন্ট মামুন রশিদ বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে এবং নিবন্ধনহীন যানবাহন ধরতে আমাদের এ অভিযান। ইতিমধ্যে হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র না থাকায় ১৫টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকার মামলা করা হয়েছে এবং ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

  • লক্ষ্মীপুরে ইয়াবা সেবনে এক বখাটের বিরুদ্ধে শিশু ও নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে ইয়াবা সেবনে এক বখাটের বিরুদ্ধে শিশু ও নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে রিয়াজ নামের এক বখাটের উৎপাত এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারীসহ পুরুষরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে গাঁজা ইয়াবা সেবন সহ রাত বিরাতে শিশু ও নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বখাটে রিয়াজের বিরুদ্ধে।শিশু ও নারী নির্যাতন করে কয়েকবার কারা ভোগ করার পরেও থামেনি বখাটে ওই যুবক। দিন দিন আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ঘটনাটি সদর উপজেলা চররুহিতা ইউনিয়নের সিএনজি চালক বাড়ির নিজামুদ্দিন প্রকাশ বুশার ছেলে বলে জানা গেছে।

    সিএনজি চালকের আড়ালে রিয়াজ ও একই বাড়ির মিলনের ছেলে মামুন সহ এলাকার গোপনে গাজার ব্যবসা করে আসছিল পরবর্তীতে ইয়াবা ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় সেই ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি বিক্রি করেও আসছে স্থানীয় উঠতি বয়সী ছেলেদের প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ইয়াবা সেবন করে নারীদের জড়িয়ে ধরা উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরীদের গায়ে হাত দেয়া সহ নারীদের ঘরে ঢুকে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে।

    স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলে মুচলেকা দিয়ে আবার বিভিন্ন বয়সের নারী কন্যা শিশু-কিশোরীদের খারাপ প্রস্তাব দিয়ে টাকা ছাদে রাতে বিভিন্ন প্রবাসী দিনমজুরের ঘরের সামনে উঠতে থাকে এতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে জোর করে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তাতে করে লোকলজ্জার ভয়ে মান সম্মানের কথা চিন্তা করে অনেকেই মুখ খুলছেন না।

    ভুক্তভোগী নারীদের মধ্যে মিজি বাড়ির প্রবাসী বেলাল হোসেনের স্ত্রী এক সন্তানের জননী রেনু আক্তার একই বাড়ির সিরাজের অবিবাহিত মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সিরাজের স্ত্রী লুৎফা বেগম প্রতিবন্ধী জামাল উদ্দিনের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ওর তাদের অবিবাহিত কন্যা নিপু আক্তার খোরশেদের স্ত্রী জোহরা বেগম সহ এলাকার বিভিন্ন বয়সী কিশোরী যুবতী ও মধ্যবয়সি নারীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে মাসুম পাটোয়ারী মিঠু পাটোয়ারী জন্য পাটোয়ারী নুরু পাটোয়ারী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওয়ার্ড মেম্বার এর মাধ্যমে কয়েকবার সালিশ বৈঠকে বসেও রিয়াজকে সংশোধন করতে পারেননি বলে জানান। তারা বলেন জিয়া আজ একটা বকাটে ছেলে সেই ইয়াবা সেবন করে বিভিন্ন নারীদের যৌন মিলন করে তাকে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয় কিছুদিন জেল খেটে সে আবারও নারীদের উত্ত্যক্ত করে।

    ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মামুন পাটোয়ারী বলেন রিয়াজের উৎপাতে এলাকায় নারীরা নিরাপত্তাহীন শিশুকন্যা কিশোরীরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না ইয়াবা সেবন করে এসে যাকে তাকে জড়িয়ে ধরেছেন আমরা বখাটের কাছ থেকে মা-বোন কন্যাদের নিরাপত্তা চাই প্রশাসনের কাছে।

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম পাটোয়ারী বলেন রিয়াদ একটা খারাপ চরিত্রহীন ছেলে তার মা কুকি বেগমের চরিত্র হীন কয়েকবার সালিশ বৈঠকের পরও সে সোজা হয়নি আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।

    সাবেক জেলা ছাত্র নেতা আব্দুল জব্বার লাভলু বলেন স্থানীয় বখাটে হলেও আমরা তাকে সংশোধনের চেষ্টা করছি যদি সে সংশোধন না হয় তাহলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরের ২ নারী ইউএনও ঈদ আনন্দে আশ্রয় কেন্দ্র ভ্রমণ।

    লক্ষ্মীপুরের ২ নারী ইউএনও ঈদ আনন্দে আশ্রয় কেন্দ্র ভ্রমণ।

    লক্ষ্মীপুরের দুইজন নারী ইউএনও’র মধ্যে একজন রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী, অন্যজন রামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি চাকমা। এ দুই জন আজ বুধবার সকালে পরিবার পরিজন রেখে ঈদ উদযাপন করেছেন আশ্রয় কেন্দ্রের অসহায় বাসিন্দাদের সাথে। সকালেই দুই উপজেলার দুটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়ে নিজেদের আনন্দ উপভোগ করেন।

    উপজেলার এ দুই মমতাময়ী নারী কর্মকর্তাদের কাছে পেয়ে ঈদের আনন্দ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে আশ্রয়ের বাসিন্দাদের। নিজেদের হাতে কুরবানির গোশত বিলি করেছেন আশ্রয়ণের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে।

    আনন্দ থেকে বাদ পড়েনি শিশুরাও। রায়পুর ইউএনওথর দেওয়া ঈদ সেলামী পেয়ে উচ্ছসিত ‘সুখ আলয়থ নামক আশ্রয় কেন্দ্রের শিশুরা।

    দুইজনেই আনন্দময় মুহুর্তের ছবি ধারণ করে পোস্ট করেছেন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। লোকজনও পোস্টের মধ্যে তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন।

    ইউএনও রায়পুর লক্ষ্মীপুরথ নামক ফেসবুক পেজে ইউএনওথর ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখা পোস্ট থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য দেওয়া প্রধামমন্ত্রীর উপহারের নির্মিত ‘সুখ আলয়থ নামক আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ উদযাপন করেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী।
    তাঁর উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে বাসিন্দাদের জন্য উপহার স্বরূপ দেওয়া একটি গরু কুরবানী দেওয়া হয়।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ঈদের উপহার নতুন শাড়ি পড়ে আনন্দে বিমোহিত উপকারভোগী সকলে একযোগে কোরবানির মাংস কাটাকাটি করে এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারসহ তাদের মধ্যে মাংস বন্টন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী।

    এছাড়া আশ্রয়ণের ছোট ছোট শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি তাদের মাঝে ঈদের সেলামি (ঈদি) বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় উপকারভোগীদের হাতের রান্না (সেমাই) খেয়েই ঈদ যাত্রা শুরু হয়।
    এদিকে সকালে ঈদ উদযাপন করতে নিজের শিশুপুত্রকে নিয়ে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে যান রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা।

    উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন ও ভূমিহীন দের জন্য নির্মিত ‘স্বপ্নের ঠিকানাথ বাসীর জন্য দেয়া উপহার খাসি জবাই পূর্বক ২০ টি পরিবারের মাঝে সমহারে মাংস বন্টন করেন তিনি।এসময় তিনি স্বপ্নের ঠিকানার ছোট ছোট শিশু

  • লক্ষ্মীপুর তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হালচাল।

    লক্ষ্মীপুর তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হালচাল।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন তেয়ারীগঞ্জ। তেয়ারীগঞ্জকে বলা হয় সদর উপজেলার পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এলাকা। করোনার দুর্যোগ কেটে গেলে ২০২২ইং সালে ঘোষণা হবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফশিল।

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

    হাটে, বাজারে, চায়ের দোকানে, মাঠে-ঘাটে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেই সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও এলাকার প্রতিটি গ্রামগঞ্জে গণসংযোগ, মটর সাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রাসহ শো-ডাউন করতে চেয়েও করোনা পরিস্থিতির জন্য পারছেন না। যদিও দেশের করোনা দুর্যোগ কালীন মুহূর্তে লকডাউন বা শাটডাউন চলছে তবুও ভোটারদের মাঝে প্রার্থীদের বিষয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

    এলাকার মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সাথে নিজের অবস্থান ও জানান দিচ্ছেন কেউ কেউ । অনেকেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় লবিং শুরু করেছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশা করে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন ।

    তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন, বিএনপি’র ২ জন। মামলার জটে পলাতক থাকায় সদর উপজেলার জামায়াতের দায়িত্বশীল কারোর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন জুড়ে জামায়াতের রয়েছে বড় অংকের ভোট ব্যাংক। জামায়াত অংশ না নিলেও তাদের ভোট জয় পরাজয় নির্ধারণ করতে পারে বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

    আওয়ামীলীগ থেকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ওমর ইবনে হুছাইন ভুলু। মাঠে রয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের সদস্য ও তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ আফজাল হোসেন হাওলাদার, সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মানিক।

    তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি,সাধারন সম্পাদক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে (গত এক সপ্তাহ ধরে জরিপ চালিয়ে প্রাপ্ত তথ্য মতে) এসব জানা গেছে।

    বিএনপির প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ। অপর আরেক নেতা নুর হোসেন নুরু মিয়া।

    তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা গিয়াছে , যতই দিন যাচ্ছে ততই ভোটের আমেজ ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রার্থীদের মাঝে চঞ্চলতা কাজ করছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও ইতোমধ্যে তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ সকল প্রার্থীরা অগ্রিম ব্যানার ফেস্টুন ও প্যানা বোর্ড ঝুলিয়েছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।

    বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ইবনে হুছাইন ভুলু বলেন, দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ২০১৬ইং সালে সাধারণ জনগণের বিপুল ভোটের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করেছে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি জন-সাধারনের পাশে থাকার। চেষ্টা করে চলেছি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ করার। আগামী নির্বাচনে পুনরায় দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। মনোনয়ন পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওবো।

    উপজেলার আওয়ামীলীগের সদস্য প্রবীণ নির্যাতিত আওয়ামীলীগ নেতা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, সহায় সম্বল হারিয়েছি এমনকি আমার ছেলে হারিয়েছি। তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নকে মাদক, দুর্নীতি, দারিদ্রমুক্ত ও জবাবদিহিতা মূলক ইউনিয়নে পরিণত করতে হবে। সেই লক্ষে সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে আমি কাজ করে চলেছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো এবং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ইউনিয়নে পরিণত করবো ইনশাআল্লাহ।

    সদর জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত। বিগত দিনে তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন উন্নয়নে আমি নানা রকম কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ জনগণ  আমার পাশে রয়েছে। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দল আমার উপর আস্থা রাখবে বলে আমি মনে করি। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে পরিণত করবোও ইনশাআল্লাহ।

    নৌকা প্রতীকের প্রাথী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কার ভুমিকা থাকবে এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের আহবায়ক মোঃ হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃণমুল নেতৃবৃন্দের ভোটাভুটির মাধ্যমে বাছাই করা হবে। উপজেলার এবং জেলার ৬ জনের বোর্ড যে সকল নেতৃবৃন্দ তৃণমুল পর্যায়ে ভালো অবস্থানে থাকবে তাদের মধ্যে থেকে ৩ জনকে তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্র  বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তথ্য নিয়ে গ্রহন যোগ্য ব্যক্তিকে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন দিবেন, তিনিই প্রার্থী হবে বলে জানান।

    করোনা দুর্যোগ কালীন সময়ে বিধিনিষেধ মেনে তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন জনপদে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড, মিটিং, গণসংযোগ, ব্যানার, ফেষ্টুন, লিফলেট এর মাধ্যমে তাদের প্রচার প্ররোচনা শুরু করেছে।

    বিএনপি’র প্রার্থীর বিষয়ে জেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সেন্ট্রাল কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবুকে একাধিকবার মটু ফোনে করেও মতামত নেয়া যায়নি।

    তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ড জনমত জরিপ করে জানা গেছে বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ইবনে হুছাইন ভুলু ২৫%, আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী ২৭%,আফজাল হোসেন হাওলাদার ২৩%, মো:জহির উদ্দিন মানিক। ৯%, ভোটার সাপোর্ট করেন ।

     

  • লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে ইজাড়াদারের বিরুদ্ধে কুচক্র মহলের অপপ্রচার! 

    লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে ইজাড়াদারের বিরুদ্ধে কুচক্র মহলের অপপ্রচার! 

    লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ও বাজার ইজাড়াদার মোঃ বেলালের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।

    জানা গেছে, বাজারের দীর্ঘ দিনের পুরনো ব্যবসায়ী মোঃ বেলাল সম্প্রতি বাজার ইজাড়া নিয়ে সরকার প্রদত্ত টোল আদায় করছিলেন। ১৪২৮ বাংলা সনের ১ বছরের জন্য ৬০ লাখ ১০ হাজার টাকা, সাথে সরকারের ১২ পার্সেন্ট  রাজস্ব ও ২৫ পার্সেন্ট ব্যাংক ড্রাফটসহ মোট ৭২ লাখ টাকায় ইজাড়া নেন। সরকার প্রদত্ত নির্ধারিত গরু-মহিষে ১২২ টাকা, ছাগল ও ভেড়ায় ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    ইজাড়াদার এর নিকট কিছুদিন ধরে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা বাস্তবের সাথে কোন সাদৃশ্যতা নেই।

    এ বিষয়ে মোঃ বেলাল হোসেন বলেন-‘অবৈধ সুবিধা দাবি করি না পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রচার করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানাই।’

    শাহ আলম নামের অপর এক ইজাড়াদার বলেন-‘প্রতি বাজারে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাদের কাছে অবৈধভাবে অর্থ দাবি করে। না দেয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামসর্বস্ব পত্রিকা ও ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপূর্ণ খবর প্রচার করে। যা মোটেও সত্যি নয়।

    এমন অপপ্রচারের তোরাবগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

     

  • সরকারী দলের পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির উৎসব। 

    সরকারী দলের পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির উৎসব। 

    লক্ষীপুর সরকারী দলের পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির মহা উৎসব শুরু করেছে। রাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। নগদ টাকার আশায় জমির মালিকরা মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে জমিগুলো অনুর্বর হয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক ঝুঁকি বাড়ছে। এরপরও মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে চলেছে প্রশাসন।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর অংশ কেটে ট্রাক-ট্রলি করে মাটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

    এসব মাটি যাচ্ছে প্রায় ২০টির ও বেশি ইটভাটায়। তাছাড়া বসতভিটা ও পুকুর ভরাট কাজেও মাটির ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাটি কাটার গভীরতার পরিমাণ ২ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

    অথচ ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইন ৫(১) ধারাই বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হইতে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করিয়া ইটের কাঁচামাল হিসাবে উহা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।

    কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় যে কোনো ফলনযোগ্য জমির উৎপাদন শক্তি জমা থাকে মাটির ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি গভীরতায়। মাটির এই অংশেই যে কোনো ফসল বেড়ে উঠার গুণাগুণ সুরক্ষিত থাকে। বীজ রোপণের পর এই অংশ থেকেই ফসলটি প্রয়োজনীয় উপাদান গ্রহণ করে। এই অংশটি একবার কেটে নিলে সে জমির আর প্রাণ থাকে না। এমনকি ওই জমিতে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে কোনো ফসল বেড়ে উঠবে না। এতে জমিটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

    জানা যায়, কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ার কারণে ফসলের প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন জৈব উপাদানের ব্যাপক ঘাটতি হচ্ছে।

    অন্যদিকে, চলাচলে নিষেধ থাকলেও মাটি ভর্তি ভারি ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

    ইটভাটার এক তত্ত্বাবধায়ক জানান, মাটি ব্যবসায়ীরা তাদের ইটভাটার মাটি সরবরাহ করে থাকে। ভাটা মালিকরা কেউ টপ সয়েল কাটায় সরাসরি জড়িত নয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা এসব জমির মাটি সরবরাহ করছেন ইটভাটায়।

    নাম না প্রকাশে এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, আগে আমার জমিতে যা ধান  উৎপন্ন হত তা দিয়ে আমার পরিবারের সারা বছরের আয় হয়ে যেত। পাশের জমির মাটি কাটার ফলে আমার জমি ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমার জমির ও মাটি কেটে ফেলি। এখন আমার জমিতে ৬ মাস ফসল উৎপাদন হয় যা আগের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ।

    বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত ইটভাটা গড়ে উঠার কারণে চরম ভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ায় ফলমূল ও ফসলের উপর বিরূপ প্রভাব দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

    কৃষি জমির মূল্যবান এই মাটি ‘টপ সয়েলথ কেটে নিয়ে গেলেও উপজেলা কৃষি প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে চলেছে। ফসলি জমির টপ সয়েল বিনাশের কারনে ফসলি জমির ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংগাখাঁ  ইউনিয়নের প্রায় সকল এলাকায় জমি থেকে প্রায় ২-১০ ফুট গভীর কূপ খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাছাড়া এই মাটি গ্রামীণ সড়কের উপর দিয়ে পরিবহণ করার ফলে সড়কে মাটি স্তর জমার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কগুলো মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে।

     

  • লক্ষ্মীপুরে এডিবি’র বরাদ্ধে নিয়ে দীঘির বালু লুট বাজার সেট নির্মান বন্ধে মামলা।

    লক্ষ্মীপুরে এডিবি’র বরাদ্ধে নিয়ে দীঘির বালু লুট বাজার সেট নির্মান বন্ধে মামলা।

    লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে বকুলতলা বাজার সেট নির্মান করতে এডিবি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধ নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যক্তি মালিকানা দীঘির বালু লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভুগি আলমগীর হোসেন স্থানীয় ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে লক্ষীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( রামগঞ্জ) আদালতে মিছ মামলা দায়ের করেছে।

    মামলার এজাহার সুত্রে জানায়,উপজেলার ৫২ নং চন্ডিপুর মৌজার আর.এস ৩০৯১ ও ১০০০নং খতিয়ান এবং ৯৫৬ দলিল মুলে ব্যক্তি মালিকানা দীঘির ১.৫৪ একর ভুমির মালিক আলমগীর হোসেন গং। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দীঘ্র কয়েক মাস যাবত দীঘির বালু লুট করার পায়তানা করে। মামলার বাদি আলমগীর হোসেন বলেন,অধিকাংশ মালিকদের ম্যানেজ করতে না পেয়ে প্রবাসী জাকির হোসেন ও তার ভাই মনির হোসেনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে কয়েক দিন যাবত রাত-দিন বালু উত্তোলন করে।

    এতে বাধা দিলে প্রাননাশের হুমকি-ধমকি প্রদান করে প্রভাবশালী মহল। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন,আমার স্বামী বিদেশ রয়েছে। স্থানীয় ফয়েজ ও ফারুক সহ কয়েকজন ব্যক্তি বকুলতলা বাজারে সেট নিমার্নের উদ্যোগ নেয়।

    গ্রামে ভালো মানের কোন বাজার না থাকায় আমার স্বামীর নামে লিজ থাকায় সম্পত্তি ও দীঘির বালু উত্তোলন করতে দেয়। চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এসে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে জানিয়ে গেছে।

    স্থানীয় ফয়েজ আহমেদ বলেন,বাজার সেট নির্মান কিংবা বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন,দীঘির পাড়ে বসবাড়ি এবং সরকারী পাকা সড়ক রয়েছে। ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলনে সড়ক ক্ষতি হতে পারে।

    তাছাড়া বালু উত্তোলন সংক্রান্ত আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন,বকুলতলা বাজারে সেট নির্মানে উপজেলা পরিষদ থেকে এডিবি ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে।

    বাজার কমিটি সম্পত্তি দিলে সেট নির্মান হবে। দীঘির বালু উত্তোলন কে বা কারা করছে তা জানি না।