Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন চরাঞ্চলের মানুষ।

    লক্ষ্মীপুরে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন চরাঞ্চলের মানুষ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহরথবাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামে একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে।এ্যাপস এর মাধ্যমে এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা গ্রহণ করতে পারবে রামগতির চরবাদাম এলাকার বাসিন্দারা।

    জেলা প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এবং এলজিএসপি-৩ কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নবাসীর জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় এ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    জানা গেছে, এলজিএসপি-৩ কর্মসূচীর আওতায় ১১ লাখ, স্থানীয় এমপির আড়াই লাখ, জেলা প্রশাসকের এক লাখ এবং বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় এ্যাম্বুলেন্সটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা হয়েছে।

    চরবাদাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি জরুরী প্রয়োজনে এ্যাপস এর মাধ্যমে সীমিত খরচে এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
    সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    উপজেলার একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুর-এ আলম, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু, রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান, রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মুরাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ড.আশরাফ আলী চৌধুরী সারু।

    চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক,চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম দিদার,রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনু ও সাধারণ সম্পাদক আমানত উল্যাহ সোহেল হোসেন আরজেএফ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রমুখ।

  • লক্ষ্মীপুর জেলেদের অধিকার আদায়ে কোডেক’র মতবিনিময় সভা।

    লক্ষ্মীপুর জেলেদের অধিকার আদায়ে কোডেক’র মতবিনিময় সভা।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রামগতি-কমলনগরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে নানা বিড়ম্বনার জালে বন্দি জেলেদের জীবন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার সকালে কমলনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা উপজেলা মৎস্য অফিস,জলদস্যু, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের হাতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে জানান।

    মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠনের সহযোগীতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) জেলেদের অধিকার আদায়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

    কমলনগর প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোডেকের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোর্শেদা বেগম,মনিটরিং অফিসার দেব দুলাল হাওলাদার, ফিল্ড অফিসার মোকাম্মেল হোসেন, জেলে প্রতিনিধি, আব্দুল মতলব মাঝি, আবুল কালামসহ কয়েকজন জেলে-নদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলায় কর্মরত প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।

    এই সময় মেঘনা উপকূলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে জেলেরা জানান,একজন লোক জেলে হতে হলে প্রথমত তার জেলে কার্ড থাকতে হয়।এ জেলে কার্ড তৈরীর শুরুতেই বিড়ম্বনার শিকার হন তারা। প্রকৃত জেলে হলেও মৎস্য কর্মকর্তার নির্ধারিত কিছু দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলে কার্ড তৈরি করতে হয়। এর পর মেঘনায় বা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েও পড়েন বিভিন্ন সমস্যায়।

    এতে প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের কবলে পড়তে হয় তাদের। নদীতে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড জেলেদের নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত থাকলেও উল্টো তাদের হাতে আরো বেশি লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের। আবার নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কারেন্ট জালের অভিযানের নামে বিকাশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।

    এক শ্রেণির দালাল রয়েছে, তারা নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পক্ষে জেলেদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা না দিলে চলে অমানবিক নির্যাতন। আবার কখনো তাদের মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

    মা ইলিশ রক্ষা ও ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সময় জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তার নামে যে চাল দেওয়া হয়,তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়না। তাই তাদের দাবি এ খাদ্য সহায়তা না দিয়ে জেলেদের ঋনের ব্যবস্থা করলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।

    মেঘনা বা গভীর সমুদ্রে ইলিশ উৎপাদনে সরকার যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে; সে মোতাবেক জেলেদের তেমন কোন সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। তাই তাদের দাবি তাদের পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করে সরকার যেন তাদের দিকে নজর দেন। অন্যদিকে এসব জেলেরা দাদন ব্যবসায়ী মহাজনের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা।

  • রামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রাথী ছলিম উল্লাহ’র মতবিনিময়।

    রামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রাথী ছলিম উল্লাহ’র মতবিনিময়।

    সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুর রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গণসংযোগের অংশ হিসাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছলিম উল্লাহ’র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।

    নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকাবাব্যাপী ব্যাপক গনসংযোগ,সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের পাশাপাশি শুক্রবার সন্ধ্যায় রামগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মতবিনিময় করেন।

    রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মোস্তানের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো: কাউছার হোসেনের উপস্থাপনায় সাংবাদিক ছলিম উল্লাহ আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নিজেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

    এ সময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষীপুর শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বশির ও দৈনিক সোনালী খবরের স্টাফ রিপোর্টাও দ্বীন ইসলাম। সাংবাদিকদের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গির মোল্লা,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু,অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক মো: আবু তাহের,সাংবাদিক ওমর ফারুক পাটোয়ারী,পারভেজ হোসেন,রাজু আহমেদ,রাকিব হোসেন প্রমুখ।

    প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা সময় সাংবাদিক ছলিম উল্লাহ বলেন,এক সময়ে আলোচিত করপাড়া এখনো মানুষ অপরাধীদের কাছে অসহায়,আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হলে এলাকা মাদক নিমূল, সন্ত্রাস-চাদাঁবাজি বন্ধ এবং এলাকার মানুষদের নিরাপদে বসবাস করার পরিবেশ তৈরী করবো।

    এসময় তিনি আরো বলেন, প্রার্থী হওয়ায় এবং ভোট দেওয়ায় আমাদের নাগরিক অধিকার। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সরকার করপাড়াসহ সারা দেশের মানুষদের একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিলে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে। এতে করে ইউপির বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালিত হবে ।

  • লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে জনবল সংকট; ভোগান্তি জনসাধারণ।

    লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে জনবল সংকট; ভোগান্তি জনসাধারণ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফ্ফার বলেছেন,পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আশানুরুপ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

    ১০০ শয়্যার হাসপাতালে প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে, তাই ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও সকল রোগীকে পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।

    বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), লক্ষ্মীপুরের মধ্যে আয়োজিত অনলাইনভিত্তিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    করোনা সংকটে স্বাস্থ্য সেবার সার্বিক চিত্র, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়: প্রেক্ষিত লক্ষ্মীপুর সদরথ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ, বাস্তবায়ন এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সনাক, লক্ষ্মীপুরের সভাপতি প্রফেসর জেডএম ফারুকীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন।

    সিভিল সার্জন বলেন, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে যা খুব চ্যালেঞ্জিং। একাধিকবার লোকবলের চাহিদা দেওয়া স্বত্বেও পর্যাপ্ত লোকবল না পাওয়ায় সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    করোনার স্যাম্পল কালেকশনে একজন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টির আলোকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্য সিভিল সার্জনের মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে। সেখানে লোকজন অভিযোগ জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন সীমবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ রোগীর সেবা প্রদান করা হচ্ছে, যা চলমান রয়েছে। কোন সেবাপ্রার্থী সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে এবং তৎক্ষণাৎ তাকে অবহিত করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    টিআইবি চট্টগ্রামের ক্লাস্টার কোঅর্ডিনেটর মোঃ জসিম উদ্দিন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশংসা করে বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যেসকল ভালো উদ্যোগ রয়েছে, নিশ্চয়ই লক্ষ্মীপুর তার গর্বিত অংশীদার।

    সার্বিকভাবে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যদি আমরা আরেকটু আন্তরিক হই তাহলে নিশ্চয় কাংখিত মানের সেবা প্রদান করতে পারবো। তিনি লক্ষ্মীপুরের স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর জেডএম ফারুকী তার বক্তব্যে করোনাকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, হাসপাতালে সেবা নিতে এসে রোগীরা যাতে কোন হয়রানীর শিকার না হয় এবং সঠিকভাবে তাদের কাংখিত সেবা পেতে পারে সে বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম চোখে পড়ার মতো, যার কারণে সেবাপ্রার্থীরা বিড়ম্বনার স্বীকার হন। তিনি এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    টিআইবি, লক্ষ্মীপুরের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মোঃ বিল্লাল হোসেন এর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক ডাঃ মোঃ সালাহ উদ্দিন শরীফ এবং উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সনাক সহসভাপতি পারভীন হালিম, সনাক সদস্য ও সহকারি অধ্যাপক সুলতানা মাসুমা ও ইয়েস দলনেতা শান্ত চন্দ্র পাল।

  • লক্ষ্মীপুরে দিনে ছেলেকে হত্যার হুমকি, রাতে তার বাবাকে হত্যা;আটক-১।

    লক্ষ্মীপুরে দিনে ছেলেকে হত্যার হুমকি, রাতে তার বাবাকে হত্যা;আটক-১।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ সুপারী চুরির ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করাকে কেন্দ্র করে মো. দুলাল (৫০) নাম এক অটোরিকশা চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    হত্যাকারী মেহেদী হাসান (১৮) দিনভর নিহত দুলালের ছোট ছেলে মুরাদকে হত্যার হুমকি দেয়। রাতের দুলালকে হত্যা করে ঘাতক মেহেদী। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    দুলাল মোহাম্মদনগর গ্রামের রঞ্জন আলী হাজী বাড়ির মৃত অজি উল্যার ছেলে। তার ৪ পুত্র ও এক মেয়ে রয়েছে।

    ঘাতক মেহেদী হাসান একই বাড়ির হাফিজের পুত্র।
    এ ঘটনায় নিহতের মেঝ ছেলে মো. রাশেদ হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত চার জনের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘাতক মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে।

    নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় নাজিম ও আসিফ নামে দুই বখাটে যুবক ইউপি সদস্য মাসুদের সুপারী বাগান থেকে সুপারী চুরি করে। বিষয়টি নিহত দুলালের ছোট ছোট ছেলে মুরাদের বন্ধুরা মোবাইল ফোনে ধারণ করে।

    ভিডিওটি মুরাদ তার মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখে। এ নিয়ে চুরির সাথে জড়িতরা মুরাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুরাদের বাড়ির বখাটে মেহেদী হাসানকে ভাড়া করে।

    নিহত দুলালের বড় বোন জীবনের নেহার ভাই হত্যার বিচার চেয়ে জানান, গতকাল দুপুর থেকেই মেহেদী তার ভাই ও তাদের ছেলেদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। কয়েকবার লম্বা একটি চুরি হাতে করে তেড়ে আসে মেহেদী।

    বিকেলে এ নিয়ে ঝগড়াও হয়। রাতে বাড়ির পাশের সফির দোকানের সামনে ঘাতক মেহেদীর পিতা হাফিজ ও তার মা সবুরা মিলে অটোরিকশা চালক দুলালের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

    নিহতের মেঝো ছেলে রাশেদ হোসেন জানান, মেহেদীর মা সবুরা তার ছোট ভাই মুরাদকে মারধর করে। এতে তার পিতা বাধা দেওয়ায় অতর্কিতভাবে ছুরি দিয়ে পর পর কয়েকবার আঘাত করে মেহেদী। এতে ঘটনাস্থলে তার পিতা লুাটিয়ে পড়লে তিনি পিতাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    তিনি জানান, এলাকাবাসী ঘাতক মেহেদীকে আটক রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এ ঘটনায় রাতেই রাশেদ চন্দ্রগঞ্জ থানায় চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ঘাতক মেহেদীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলেন সুপারী চুরির সাথে সম্পৃক্ত নাজিম উদ্দিন, মেহেদীর পিতা হাফিজ ও তার মা সবুরা।

    চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম ফজলুল হক জানান, ঘাতক মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে নিজ অর্থে গভীর নলকূপ বিতরণ করলেন-এমপি নয়ন।

    লক্ষ্মীপুরে নিজ অর্থে গভীর নলকূপ বিতরণ করলেন-এমপি নয়ন।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ যে কোন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মানুষের বিরূপ মন্তব্য পরিলক্ষিত হয় সচরাচর।জনপ্রতিনিধি মানেই যেনো কথার বরখেলাপ কারি।

    কিন্তু লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এর ক্ষেত্রে তা বিপরীত দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি উপ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তার ব্যাতিক্রমী এক সেবায় ওই নির্বাচনী এলাকার জনগণ ব্যাপক মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
    এমপি হিসেবে নিজের নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রথমবারের মতো বরাদ্দপ্রাপ্তির ১১৭টি গভীর নলকূপ বিতরণে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

    নিয়ম অনুযায়ী ১১৭ জন উপকারভোগীর প্রত্যেকে ৭ হাজার টাকা করে নামমাত্র সরকারি ফি জমা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। এর বিপরীতে তিনি ৭ হাজার টাকা করে ১১৭ জনের মোট হিসেবে ৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যাক্তিগত এ্যাকাউন্ট থেকে সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করেছেন।

    গভীর নলকূপ স্থাপনের স্থানীয় বাস্তবায়ন সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর- লক্ষ্মীপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুকূলে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এমপি নয়ন ব্যাক্তিগত এ্যাকাউন্টের চেকের মাধ্যমে তা জমা দেন।

    এইদিনই জমাকৃত চেকের একটি ফটোগ্রাফি তিনি নিজের ফেসবুক পেজে বর্ণনাসহ পোস্ট করলে শুভার্থীদের ইতিবাচক অসংখ্য মতামত সমেত এটি ভাইরাল হয়ে যায়।

    তানভির হায়দার রিংকু নামের একজন কমেন্টে বলেন, জনগণকে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখলেন এমপি নয়ন। জনসেবায় তিনি নব দিগন্তের সূচনা করলেন। নাজমুল সুমন নামের আরেকজন এমপিকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন, ডেডিকেটেড ফর মাচ পিপল, স্যালুট..।

    কামরুল হাসান রাসেল নামের একজন কমেন্ট করেন, ধন্যবাদ লক্ষীপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এই প্রথম কোন এমপি নিজ সংসদীয় এলাকায় সরকারি বরাদ্দ কৃত গভীর নলকূপ এর সরকারি ফি নিজস্ব অর্থায়নে পরিশোধ করে জনগণের পানির ব্যবস্থা করলেন।

    সৈয়দ বাপ্পী কমেন্ট করে লেখেন, সদর (আংশিক) এবং রায়পুর উপজেলা বাসীকে কথা দিয়ে কথা রাখলেন এমপি মহোদয়। সফলতা কামনা করি।
    অপরদিকে জেলার অন্য আসনের বাসিন্দা অনেকেই আক্ষেপ করে কমেন্টে জানান, তাদের ভাগ্য খারাপ তাই তারা এমন একজন এমপি পাননি।

    এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই জানান, অন্য আসনগুলোতে এমপির বরাদ্দের গভীর নলকূপ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এমনকি সরকারি নির্ধারিত ফিথর চেয়েও অধিক পরিমান টাকা ওইসব এমপিদের নিজস্ব লোকের কাছে আগাম জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারিত হওয়ার একাধিক ঘটনাও রয়েছে বলে জানা যায়।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রাম এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে গভীর নলকূপ স্থাপন সরকারের একটি দীর্ঘমেয়াদি চলমান প্রকল্প।

    এ প্রকল্পের আওতাধীন মনোনীত উপকারভোগীরা প্রত্যেকে সরকারিভাবে একটি করে গভীর নলকূপ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। অবশ্য এর জন্য নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে ৭ হাজার টাকা করে জমা দিতে হয় প্রত্যেক উপকারভোগীকে। এই টাকা সরকারের কোন একটি ট্রেজারি ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়ন সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পরিশোধ করার নিয়ম। বিনময়ে সরকার একেকজন উপকারভোগীকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি করে গভীর নলকূপ প্রদান করে থাকে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী যা সরকারের নির্দিষ্ট বাস্তবায়ন সংস্থা নিজ দায়িত্বে নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করে দেয়। বিগত কয়েক বছর থেকে সরকার বিভিন্ন মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে চলছে।তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দপ্রাপ্ত হন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এর উপ পরিচালক নাসির উদ্দিন জানান, এমপি নিজেই উপকার ভোগীদের সরকারি ফি জমা দেয়ার বিষয়টি বিরল।

    জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর-২ (সদরের আংশিক ও রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন জানান, প্রশংসা পাওয়ার জন্য নয়। নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের জন্যই তিনি ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে এ টাকা জমা দেন। নিজ এলাকার জনগণের কাছে তিনি বিভিন্নভাবে দায়বদ্ধ বলে জানান।

    নির্বাচনে তিনি গভীর নলকূপ সবসময় বিনামূল্যে বিতরণ করবেন বলে ঘোষণা দেয়ার কথাও স্মরণ করে জানান। এছাড়া নিজের নির্বাচনী এলাকার সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও তিনি জনগণকে দিয়েছেন বলে জানান। সেইসব ক্রমান্বয়ে তিনি নিশ্চিত বাস্তবায়ন করবেন বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।

  • লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না দেয়ায় নারী পরুষকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম।

    লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না দেয়ায় নারী পরুষকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জমিজমা বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালিয়ে নারী পুরুষ সহ ৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

    জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব থেকে চলমান মামলার তদন্ত শেষে হামলাকারীরা অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে তেয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামের কাজিম উদ্দিন খলিফা বাড়িতে

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নূর মোহাম্মদের ছেলে মোঃসেলিম প্রকাশ ইমরান হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একেই বাড়ীর মো: আবদুস সাত্তারের সাথে জমিজমা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা চলমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মো: মামুন পাটোয়ারী ও তার সহায়ক মো: আজম খান বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় সময় তদন্ত করে যাওয়ার পূর্ব থেকে পরিকল্পিত ভাবে আবদুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফ(৩৫) সাইফুল(২৪) শরীফ(৩০) জাকির(৩৭) রাসেল(২৪)রিজন(১৯)কুলসুম বেগম(৩৩) নয়ন বেগম(৪৫) ও আবুল কাশেমের ছেলে রাশেদ(২৪) আরো অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে মোঃ সেলিমের বসত বাড়িতে ঢুকে হামলা করে ঘর ভাংচুর করে।

    এই সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো ছেনি ও লোহার রড নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে এতে মো: কবির হোসেন, জাকিয়া বেগম, সুফিয়া খাতুন, স্বপন ও সোহেল গুরুতর ভাবে রক্তাক্ত জখম হয়।

    তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী মো: নুর করিম,শামসুল আলম শ্যামল, মুনছুর আহমেদ, দুলামিয়া, আবুল খায়ের, দেলোয়ারা বেগম, এগিয়ে এলে আবদুস সাত্তারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী রা কোনভাবে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় না।

    স্থানীয়রা লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে অবস্থার অবনতি হলো কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

    এই বিষয়ে সেলিমের দাবী অভিযুক্ত আবদুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফ আলী তার নিকট থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে দফায় দফায় হামলা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো।

    তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হুছাইন তিনি জানান, প্রকাশ্যে আব্দুস সাত্তারে ও তার ছেলে ইউসুফ সঙ্গবদ্ধ হয়ে ১০/ ১৫,জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করেছেন ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    এর আগে জমিজমা বিষয়ে একাধিকবার ভূমি সহকারী মামুন পাটোয়ারী তার সহায়ক আজম খান ইউপি সদস্য আবু তাহের, কোহিনুর বেগম, রৌশন আক্তার স্থানীয় মান্যগণ্য রাজনীতিবিদ সহ অনেকে ছিল কাগজপত্র দেখে দখল শর্তে তিন বার আবুল খায়ের, ও নূর মোহাম্মদকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর আগে আদালতের রায় পেলেন আবুল খায়ের এই নিয়ে আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফ বলেন,উনারা চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাউকে মানে না।
    আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফকে সমাজের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয়রা চিনেন তারা চেয়ারম্যান মেম্বার গণ্যমান্য কাউকে পরোয়া করে না তাদের একাধিক মামলা আছে।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জসিম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান – ‘আমি মারামারি ঘটনাটি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ এস, আই, মোহাম্মদ হান্নানা মিয়াজী কে পাঠিয়েছি, এই মারামারিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করা হয়েছে আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • লক্ষ্মীপুরে জোয়ারে পানিতে বিবর্ন আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।

    লক্ষ্মীপুরে জোয়ারে পানিতে বিবর্ন আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে উপকূলীয় মেঘনাপাড়ের জনপদ জোয়ারের পানিতে আমন ধানের চারা বিবর্ণ হয়ে গেছে। এতে কৃষকদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ। কৃষি বিভাগের ভাষ্যমতে,জোয়ারে বিবর্ণ চারা সতেজ হবে। জমা পানি নেমে যাওয়াতে আবাদি চারার কোনো ক্ষতি হবে না। আজ সোমবার বিকেলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেনও একই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, সম্প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সময় জোয়ারে রামগতি, কমলনগর ও রায়পুরের উপকূলীয় এলাকার ক্ষেতগুলো প্লাবিত হয়। নদী থেকে দূরের জমির পানি নেমে গেলেও কাছাকাছি নিম্নাঞ্চলের জমিতে পানি জমে থাকে। এতে নদীর নোনা পানিতে বীজতলা ও ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। গত পূর্ণিমাতে বীজতলা নষ্ট হয়ে জমি আবাদ করতে গিয়ে যথেষ্ট চারা পাওয়া যায়নি। এ জন্য অনেক কৃষক জমিতে গেলবারের মতো এবার চারা রোপণ করতে পারেনি। চারা রোপণের পরপরই অমাবস্যার জোয়ারে আমনের ক্ষেতগুলো জোয়ারে প্লাবিত হয়। প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেতে জোয়ারের পানিতে ধানের চারা বিবর্ণ রূপ নিয়েছে। এসব চারা বেড়ে উঠবে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া জোয়ারের পানি ঢুকলে স্রোতের কারণে ধানের চারা ভেসে উঠে আবার ভাটার সময় চারাগুলো ভেসে চলে যায়। অরক্ষিত নদীতীর যেমন ভাঙনে সবাইকে নিঃস্ব করে,তেমনই জোয়ারের পানি কৃষকের স্বপ্ন ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

    কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে এবার ৮১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদরে ২২ হাজার ২০ হেক্টর, রামগঞ্জে ৩ হাজার ৩১০, রামগতিতে ২৪ হাজার ১০, কমলনগর ১৯ হাজার ৭০০, রায়পুরে ১২৬৯৫ হেক্টর।

    আবাদি জমিতে চারা রোপনের জন্য রামগতিতে ১ হাজার ৪৪৫ হেক্টর ও কমলনগরে ১ হাজার ৫৭০ হেক্টরে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে শুধু রামগতি ও কমলনগরের ১৭৭ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এতে ২০০ কৃষক প্রায় ৭ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

    সোমবার দুপুরে রায়পুর উপজেলার চরকাচিয়া, চরজালিয়া, চরবংশী, কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ, চরফলকন ও রামগতির চরগাজী, বড়খেরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারে প্লাবিত ক্ষেতগুলোতে ধানের চারা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে কৃষক আবুল হাশেম, কাশেম মাঝি, আজাদ হোসেন ও নুরুল ইসলাম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। লোকসানের আশঙ্কায় তারা উদ্বিগ্ন রয়েছেন।

    রামগতির চরগাজী এলাকার আবুল হাশেম বলেন, এক একর জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। অধিকাংশ চারাই জোয়ারের পানিতে বিবর্ণ হয়ে গেছে। নোনা পানির কারণে এমন হাল হয়েছে। চারাগুলো স্বাভাবিক না হলে ৪০-৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে। প্রতিবছরই ধান চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

    কমলনগরে দক্ষিণ চরমার্টিন গ্রামের কৃষক আজাদ হোসেন বলেন, ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ২ একর জমিতে চাষাবাদ করেছি। জোয়ারের পানিতে এক তৃতীয়াংশ চারা ভেসে গেছে। নতুন করে আবার চারা লাগাতে হবে। দ্বিগুণ খরচ করে শেষ পর্যন্ত লোকসান হয়। ধারদেনা করে আবাদ করি। কিন্তু ফসল ঘরে আনতে যে পরিমাণ ব্যয় হয়। ধান বিক্রি করে ওই ধারদেনা পরিশোধ করা সম্ভব হয় না।
    কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়েফ উল্যাহ বলেন,নদী পুরো এলাকা গিলে নিচ্ছে। আমার ইউনিয়নের নাছিরগঞ্জ বাজারের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট সব মেঘনার দখলে। কৃষকরা অনেক কষ্টে আমান আবাদ শুরু করেছেন। কিন্তু ভাঙন আর জোয়ারে সব বিলীন হয়ে গেছে। কৃষকের ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে তা বলা মুশকিল।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, জোয়ারে ক্ষেত প্লাবিত হলেও পানি নেমে যায়। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। বিবর্ণ হয়ে যাওয়া আমনের চারাগুলো আবারো সতেজ হয়ে উঠবে। মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছেন, প্রণোদনা এলে সহযোগিতা করা হবে।

    রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মোমিন বলেন, পূর্ণিমা আর অমাবস্যায় পানি উঠে আবার নেমে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কোনো সুযোগ থাকলে কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে

  • লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় শিক্ষার্থী আছে বিদ্যালয় নদীর গর্ভে।

    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় শিক্ষার্থী আছে বিদ্যালয় নদীর গর্ভে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি মেঘনা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। চোখের সামনেই ২০ জুন ভবনটি নদীর পেটে যায়।

    এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলছে এসব প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ভবন না থাকায় কোথায় যাবে চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা- এ নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

    উপজেলা শিক্ষা অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই তলা বিশিষ্ট ভবন করা হয়। করোনার আগে এ বিদ্যালয়ে ২৫২ শিক্ষার্থী ছিল। নদীর ভাঙনের কারণে ২০ জুন বিদ্যালয় ভবনটি পুরোপুরি তলিয়ে যায়। এর আগে কয়েকদিন ধরে তা ভাঙছিল। চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও জবির জানায়, তারা আগের দিন গিয়ে ভেঙে যাওয়া অবস্থায় স্কুলটি দেখেছে। পরদিন সকালে গিয়ে দেখে, সেখানে কিছুই নেই। নদী আর নদী। তখন তারা সবাই মিলে অনেক কান্নাকাটি করেছে।

    শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রছাত্রী আছে শুধু আমাদের স্কুলটি নেই। এ কথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায়। রোববার আপাতত আমরা পাশের একটি মক্তবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করবো। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, যে মক্তবে এখন ক্লাস হবে, সেটিও নদী থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে এ ঠিকানাও হয়তো আমাদেরকে হারাতে হবে। এছাড়া লোকজন ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীও কমে যাচ্ছে।

    এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান বলেন, নদীতে ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত পাশের একটি মক্তবে পরিচালিত হবে। ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে আসার জন্য বলা হয়েছে।

    নদী ভাঙনে কয়েকবছরে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে গেছে। একাধিকবার স্কুল, মাদরাসা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে পরিচালনা করলেও পরে আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে সার মজুত রাখার অপরাধে এক পরিবেশককে জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুরে সার মজুত রাখার অপরাধে এক পরিবেশককে জরিমানা।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রামগতি উপজেলায় পরিবেশক বিটুল চন্দ্র সাহা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০ টন ৪’শ বস্তা সার দোকানে মজুত রাখার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমিন এর ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে উল্লেখিত পরিমান টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ওই পরিবেশক বিটুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়। বিটুল উপজেলার রামগতি বাজারের একজন ক্ষুদ্র সার পরিবেশক।

    উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে ৪’শ বস্তা রাসায়নিক সার ভর্তি ট্রাক পরিবেশক বিটুলের দোকানের সামনে আসে। পরে ট্রাক থেকে ১’শ ৩০ বস্তা সার দোকানে রাখলে পরিবেশকের দোকানে একসঙ্গে ৪’শ বস্তা সার মজুত করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।পরে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মোমিনকে বিষয়টি লিখিত ভাবে অবিহিত করে।

    বিষয়টি তদন্তের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় মর্মে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। এমনকি পরিবেশক বিটুলের আনা ট্রাকভর্তি ৪’শ বস্তা রাসায়নিক সারের সঠিক কাগজপত্র পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই পরিবেশককে উপজেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে ট্রাকের বাকি সার দোকানে নামানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

    জানা যায়,বিটুল উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ক্ষুদ্র রাসায়নিক সার পরিবেশক। ওই ইউনিয়নের প্রধান পরিবেশক ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা আহাদুর রহমান। গত ৭ মাস আগে আহাদুর রহমান মারা যান। প্রধান পরিবেশক হলেও তার কোন গুদাম ছিল না চরগাজী ইউনিয়নে। এতে ক্ষুদ্র পরিবেশক বিটুলকে প্রতিনিধি করে সারগুলো তার দোকানে মজুত করা হতো।

    পরিবেশক বিটুল চন্দ্র সাহা বলেন, আমি আহাদুর রহমানের প্রতিনিধি। আমার দোকানে সার ছিল না। এখন সারের মৌসুম। এজন্য আহাদুর রহমানের ভাই ইয়াসিন রহমান মাসুদ চাঁদপুর থেকে সার উঠিয়ে আমার দোকানের জন্য পাঠিয়েছেন।

    উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী বলেন, আমি যাওয়ার আগেই ট্রাক থেকে ১৩০ বস্তা সার নামানো হয়েছে। বাকি ২৭০ বস্তা সার নামাতে নিষেধ করা হয়েছে।

    রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে সার আনায় পরিবেশক বিটুলকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে নোটিশ করা হয়েছে।