Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি যারা

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি যারা

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স, চরমার্টিন ও চরকাদিরা এই তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এ তফসিল ঘোষণার পর পরই সরগরম হয়ে উঠেছে চেয়ারম্যান ও মেম্বর পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রার্থীরা। নির্বাচন ঘিরে তৎপরতা বেড়েছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীদের। ইউনিয়নগুলোতে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করেছে আওয়ামী লীগ।

    এতে চরলরেন্স ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, চরমার্টিন ইউনিয়নে পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউছুফ আলী মিয়া, চরকাদিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাগরকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করা হয়।

    এদিকে রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান তওহীদুল ইসলামকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. জায়েদুল হোসেন চৌধুরী জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিন।

    ২০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৬ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। ১১ নভেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কমলনগরের ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

  • লক্ষ্মীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামীর ফাঁসি।

    লক্ষ্মীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামীর ফাঁসি।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু নুসরাত জাহান শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় শাহ আলম রুবেল নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলা কুতুবী এ রায় দেন। একইসঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও আরও চার বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।

    একই মামলায় বোরহান উদ্দিন নামের অপর এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
    রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী এডভোকেট মো. আবুল বাশার। এদিকে রায়ের পর আদালতপাড়ায় অপেক্ষমান মামলার বাদি শিশু নুসরাতের মা রেহানা বেগম ও চাচা আকবর হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানান।

  • লক্ষ্মীপুরের চররুহিতে শিকলবন্দি মোরশেদের অস্বাভাবিক আচারণ।

    লক্ষ্মীপুরের চররুহিতে শিকলবন্দি মোরশেদের অস্বাভাবিক আচারণ।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রিকশাচালক আজাদ হোসেনের দুই ছেলে খোরশেদ আলম (৩৪) ও মোরশেদ আলম (২৪)। মাত্র ৭ বছর বয়সেই পাল্টে যায় মোরশেদের জীবনের হিসাবনিকাশ। অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয় তার।

    এরপর তাকে কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়া হলেও কোনো লাভ হয় না। বরং তার পাগলামি বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাকে ৮ বছর ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

    অপরদিকে মোরশেদের বড়ভাই খোরশেদ আলম জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। গত ৩৪ বছর ধরে এক বিছানায় দিন কাটছে তার। এ দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে না। সমাজের বিত্তবান বা সরকারি সহায়তা পেলে দুই ভাইকে চিকিৎসা করিয়ে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চর লামচী গ্রামে শিকলবন্দি জীবন কাটানো মোরশেদ আলমের বয়স এখন ২৪ বছর। তার বড়ভাই খোরশেদ আলমের বয়স ৩৪ বছর।
    পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জন্মের পর ৭ বছর পর্যন্ত ভালো ছিল মোরশেদ। হঠাৎ করে খিঁচুনি উঠে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। মানসিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ বছর থেকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না বলে জানান তার বাবা আমজাদ হোসেন। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী খোরশেদ আলম এখনো হাঁটার স্বপ্ন দেখেন।

    দিনমজুর আজাদ হোসেন জানান, আগে রিকশা চালিয়ে কোনোভাবে তাদের ওষুধপত্রসহ যাবতীয় খরচ চালাতাম। কিন্তু পা ভেঙে যাওয়ায় এখন আর রিকশা চালাতে পারি না। বর্তমানে বাড়ির পাশে পান দোকান দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু এতে হয় না। কোনোদিন খেয়ে আবার কোনোদিন না খেয়ে থাকতে হয়। সরকারিভাবে যদি দুই সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হয় তাহলে ছোট ছেলেটা সুস্থ হতে পারে আর বড় ছেলেটা অন্তত হুইলচেয়ারে বসতে পারলেই কিছুটা দুঃখ লাঘব হবে।

    মা খুরশিদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দুই প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ছয় মাস অন্তর ৪ হাজার ৫’শ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তা দিয়ে কিছুই হচ্ছে না। আরও সরকারি সহযোগিতার দাবি করেন তিনি।

    চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পাটোয়ারী জানান, তারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। তবে হুইল চেয়ারসহ চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মামুনুর রশিদ বলেন,বিষয়টি জানা ছিল না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে বিধবা পরিবার গৃহবন্ধি-মানবেতর জীবন যাপন।

    লক্ষ্মীপুরে বিধবা পরিবার গৃহবন্ধি-মানবেতর জীবন যাপন।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামে বিধবা পরিবার ১৭দিন যাবত গৃহবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিধবার দেবর অবসর পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারস্থ হয়ে ব্যর্থ হচ্ছে।

    সুত্রে জানায়,উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামের বড় জমদার বাড়ির নুরুল আমিন অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখি বাড়ির বিধবা জাহানারা বেগমের পরিবারকে গৃহবন্ধি করে। নুরুল আমিন সম্পত্তি বিরোধকে কেন্দ্র করে বিধবার বসতঘরে সামনে গর্ত করে মাটি সরিয়ে নেয় এবং বসতঘরের সামনে পিছনে দুইটি গোয়াল ঘর নির্মান করে।

    চলাচলের রাস্তাতে টিন দিয়ে ব্যারিকেট নির্মান করে। বিধবারপুত্র বধু ফাহিমা বেগম বলেন, চলাচলের রাস্তা টিন দিয়ে ব্যারিকেট দেওয়ায় আমার মেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পাচ্ছে না।

    বিধবা জাহানারা বলেন,ব্যারিকেট দেওয়ায় আমরা ঘর থেকে বাহির হতে পারছি না। ফলে নিত্য দিনের বাজার করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্যারিকেট দেওয়ার পুর্বে বসতঘরের সামনে পিছনে দুইটি গোয়ালঘর ও গর্ত করায় মেয়ের জামাতাসহ নিকটাত্মীরা আসতে পারে না। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম বলেন,বিধাব পরিবারকে গৃহবন্ধি থেকে রক্ষা করতে গ্রামের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারস্থ হই। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুল আমিন বলেন,আমার বাবার দেওয়ায় সম্পত্তিতে ব্যারিকেট দিয়েছি,বিধবা আমার সম্পত্তিতে বসতবাস করছে। গ্রাম্য শালিসদাররা ন্যায় বিচার না করায় শালিস মানছি না।

    স্থানীয় ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন কালু ও করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব বলেন,বিধবা পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবত নুরুল আমিন ও তার পরিবার নানা অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। এনিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য বৈঠক বসা হলেও অদৃশ্য কারনে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

  • লক্ষ্মীপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    লক্ষ্মীপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে ১৬ কেজি গাঁজাসহ আন্তঃজেলা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলার সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মতলবপুর কালী বাজার রোড ও পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউয়িননের রাজিবপুর গ্রামের মো. মারফত উল্যার পুত্র মো. কামরুল হাসান (২৮) ও কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত মুক্তল হোসেনের পুত্র মো. মাঈন উদ্দিন (৩৪)।

    রাত ১২ টার দিকে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক দুই স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে ১৬ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়।

    এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তারা দুইজন আন্তঃজেলা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানান তিনি।

  • রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ।

    রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে গ্রাম চর লক্ষী বেপারি বাড়ির মৃত মোঃ ইসমাইল বেপারী ছেলে গিয়াস উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঝরনা বেগম স্বামীর প্রবাসী সাথে মটু ফোনে কথা বলার ভয়েস রেকর্ড করে এলাকায় বাজারে দোকানে পথে-ঘাটে অপপ্রচার করার অভিযোগে এই নিয়ে রায়পুর থানায় প্রবাসীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    একই বাড়ির প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী ঝরনা বেগম অভিযোগ করে বলেন আমি আমার স্বামী মনির হোসেন সাথে আমার বসত ঘরে মোবাইল ফোনে কথা সময় গিয়াস উদ্দিন ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে গোপনে আমার আর স্বামীর কথা ভয়েস রেকর্ড করে এই নিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনে খারাপ কাজের কু-প্রস্তাব দেয় আমি তার কথায় রাজী না হওয়া আমার প্রবাসী স্বামী সাথে কথা বলার গোপনে করা ফোন রেকর্ডিং টা এলাকায় প্রচার করে।

    স্থানীয়,গনি ব্যাপারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, গিয়াস উদ্দিনের একাধিক বার সালিশ করেছি সেই প্রথমে একটি ছাগলের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় সেই সালিশ বৈঠকে ৫০০০/ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এর পর তার নিজের মেয়ে সাথে অনৈতিক কাজে করে এর পরে তার ছেলে বউ সাথে একাধিক বার ধর্ষণ করেন এর পর কবিরের স্ত্রী রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই মামলার ২ বছর সাজা হয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন তিনি জানান,গিয়াসউদ্দিনের একাধিক সালিশ আমি করেছি এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে উভয় পক্ষ আমার অফিসে এসো আমি কথাবার্তা শুনে সমাধান করে দেব এরপর তারা আসেনি।

    সরেজমিনে গেলে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উঠে এসে নানান অভিযোগ অভিযোগ করে এলাকাবাসী মাইনুদ্দিন, রাসেল,জেসমিন আক্তার,নুরজাহান, বেগম হজল গাজী,শাহিনুর, মুরাদ ড্রাইভার, বেগম জান, সহ অনেকেই বলেন,গিয়াস উদ্দিন লোক টা খারাপ সেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজ করায় তার পেশা তার বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগে রয়েছে এলাকায় তার বিরুদ্ধে পাগলী পুত্রবধূ নিজ মেয়ের পিপি এ দিকেও খারাপ দৃষ্টি সহ আরো বহু অনৈতিক কাজের অভিযোগ।

    গিয়াস উদ্দিনের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মোকবির হোসেন বলেন আমি দুটি বিবাহ করেছি আমার প্রথম স্ত্রী আমাকে কিছু না বলে তার বাপের বাড়ি চলে গেছে কেনো গেছে আমি তা জানি না আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমার বাবা কে আর আমাকে জেল খাটিয়েছেন আমার বাবা মা আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করায় কিছু দিন আগে আমরা স্ত্রী বাপের বাড়ি গেছে আমার সাথে যোগাযোগ করে নাএই সব অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী বলেন সব ষড়যন্ত্র
    গিয়াস উদ্দিন কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন অভিযোগগুলো মোটেও সত্য নয় ঝরনার কি ভয়েস রেকর্ডটা দেখতে চাইলে আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন ঝরনা বেগম অভিযোগ করেছেন।

    আমি এগুলো থানায় জমা দিয়ে দিয়েছি ।
    হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ি এই বিষয়ে জানতে চাইলে এস, আই, মিজান তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে জেলে সম্প্রদায় মানুষের অলস সময় কাটে জাল বুনিয়ে।

    লক্ষ্মীপুরে জেলে সম্প্রদায় মানুষের অলস সময় কাটে জাল বুনিয়ে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর জেলাতে সরকারিভাবে ইলিশ ধরা, পরিবহন ও বিক্রিতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের নিবন্ধিত ৫২ হাজার জেলে অলস সময় পার করছে। বিকল্প কাজ খুঁজছে অনেকে। দাদন পরিশোধে চিন্তিত তারা। অলস সময় জাল বুনেই কাটছে জেলেদের।

    অনেকে আবার নৌকা মেরামত করছে। তবে অনিবন্ধিত জেলেরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। একদিকে সরকারি কোন অনুদান পাচ্ছে না। অন্যদিকে দাদনের টাকা পরিশোধ করতে হিমছিমে পড়তে হবে। এরমধ্যে পরিবারের খরচ বহন করতেই হচ্ছে।

    সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রামগতির চর রমিজ, ও কমলনগরের সাহেবের হাট, নবীনগর ও মতির হাটের হাজার হাজার জেলে নৌকা মেঘনার তীরে রেখে জাল বুনে সময় অলস সময় কাটাচ্ছে।
    এদিকে যতদূর চোখ যাচ্ছে নদীতে কোনো মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার দেখা যাচ্ছে না। জেলেরা বর্তমানে তীরে উঠে এসেছেন। তীরে এসেও তাদের কোনো বিরাম নেই। নতুন করে জাল বোনা ও মেরামত করা এবং নৌকা সংস্কার করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

    লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলায় প্রায় ৫২ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এইসময়ে তাদের বেশিরভাগ জেলে চাল পাবে। একসময় ১০ কেজি করে চাল পেত। এখন ২০ কেজি করে ২ কিস্তিতে ৪০ কেজি পায় একেকজন কার্ড ধারী। চাল বিতরণে যেন কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য ব্যাপক তদারকি রয়েছে বলে জানান তিনি।

  • লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক।

    লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ গেল মৌসুমে আমন ধানে ভাল দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ফের আমন ধানে স্বপ্ন দেখছে লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। এবারও কৃষকরা জমিতে আমন ধান বপন করে বেশী লাভের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন।ব্যাস্ত সময় পার করছেন বপন করা আমন ধানের জমি পরিচর্যায়। এখন কেবল দেখার পালা কৃষকের স্বপ্নের আমনে কত বেশী সোনা ফলে।

    জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে ৮১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন।এ পরিসংখ্যান গতবছরের তুলনায় কিছুটা কম। তা সত্বেও কৃষকের স্বপ্ন কম নয় মোটেও।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গেল মৌসুমে জেলাতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮২৮ মেট্রিক টন।লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি.আর ১১, ২২, ২৩, ব্রি ৩০, ৩২, ৩৩, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৬, ৪৯, হরি, স্বর্ণা, বিনা, কালাজিরা, গিগজ জাতের ধান।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে জমিতে ধানের চারা লাগানো হয়ে গেছে। এ মুহুর্তে সার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন আমন চাষীরা। তবে এখনও অনেক জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

    যারা বর্ষার শুরু থেকে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন, তাদের প্রায় জমির ধানগাছ অনেকটা বড় হয়ে গেছে। তারা ধানের জমিতে জমিতে ফসল ভালো ফলনের জন্য ইউরিয়া সার ছিটাচ্ছেন।

    আবার প্রায় জমিতে পোকামাকড় মারতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। বাতাসে দোল খাচ্ছে সবুজ গাছগুলো আর সেই তার সাথে দুলছে যেন আমন চাষিদের স্বপ্ন। বপনের পর থেকে ৩ মাস ১০ দিনের মাথায় কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।

    সদর উপজেলার চর আলী হাসান গ্রামের কৃষক মোঃসফিক উল্যা জানান, তিনি চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে আমন ধানের চারা লাগিয়েছেন। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে ৫০ মনের অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ তার।

    একই এলাকার কৃষক মোঃশাহ আলম বলেন, তিনি প্রায় দেড় একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। জমিতে সার এবং ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। তার জমিতেও অধিক ধান উৎপাদনের প্রত্যাশা করেন তিনি।

    অন্যদিকে, মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকা রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদরের চররমনী মোহন এলাকায় জোয়ারের পানির তোড়ে কয়েক হাজার একর জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে হতভাগ্য কয়েক কৃষকের স্বপ্ন অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। যদিও স্থানীয় কৃষি বিভাগ এটাকে তেমন একটা ক্ষতি হিসেবে দেখছেনা।

    চররমনী মোহন ইউনিয়নের মাতবরহাট এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন বলেন, তার এলাকার বেড়িবাঁধের পাশ্চিম পাশে থাকা নদীর তীরবর্তী কয়েক একর জমির রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে। মেঘনার অতিরিক্ত জোয়ারের পানির তোড়ে ধানের চারা বিনষ্ট হয়েছে এবং ক্ষেতে নোনা পানি জমে থাকার কারণে ধানের চারা পঁচে গেছে।তবে প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের বিভিন্ন প্রনোদনা দেওয়ার কথা জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

    কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলাতে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৬শ জন ধান চাষী রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র দুই হাজার ৮শ জন কৃষককে সরকারীভাবে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আড়াই হাজার জনকে ৫ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ড্যাপ সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। আর বাকী তিনশ জনকে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ও ২০ কেজি ড্যাপ সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন জামায়াত নেতা।

    লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন জামায়াত নেতা।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন ছাত্রের চুল কাঁচি দিয়ে কেটে লাঞ্ছিত করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ছয়জন ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন মঞ্জুরুল কবির নামে এক মাদরাসা শিক্ষক।

    বুধবার ঐ উপজেলার বামনী ইউনিয়নের হামছাদী কাজির দিঘীরপাড় আলিম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল কবির ঐ মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামের আমির। ভুক্তভোগীরা একই মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র।

    এদিকে ঐ ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে ছাত্র ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঐ জামায়াত নেতা।

    ঐ মাদরাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বী জানান,বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। ঐ সময় হঠাৎ সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ক্লাসে ঢুকে কাঁচি দিয়ে ছয়জন ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। ঐ ঘটনার পর ছাত্ররা ক্লাস না করে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ছাত্ররা তাদের ক্লাসে ফেরে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্র বলেন, মঞ্জুরুল স্যার আমাদের ক শাখার ছয়জনের চুল কেটে দিয়েছেন। কিন্তু খ শাখার কারো চুল কাটেননি। আমি মাথা ন্যাড়া করার কারণে চারদিন মাদরাসায় যাইনি। পরে স্যার দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন।

    অভিযুক্ত মঞ্জুরুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদরাসায় আসতে বলেছি। তারা আমার কথা না শোনায় কয়েকজনের চুল কেটে দিয়েছি। তবে কাউকে হুমকি দেইনি।

    রায়পুর ৭নং বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, মাদরাসার শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামের আমির। তিনি প্রায়ই ছাত্রদের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। তার ভয়ে ছাত্র তো দূরের কথা অন্য শিক্ষকরাও নিরুপায়।

    রায়পুরের ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

  • রামগতি স্কুলের অফিস কক্ষে শিক্ষক দম্পত্তির বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন।

    রামগতি স্কুলের অফিস কক্ষে শিক্ষক দম্পত্তির বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রামগতি উপজেলার রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে শিক্ষক দম্পত্তির বিবাহ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গত রবিবার দুপুরে উপজেলার রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ওই বিদ্যালয়ের চলমান শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার রুবিনা তার স্বামীকে নিয়ে বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন।

    রুবিনার স্বামী বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিন।
    এ সময় একেএম কামাল উদ্দিনসহ উপজেলার চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রেখে প্রধান শিক্ষকগণ ওই বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। তাহমিনা আক্তার রুবিনা ও অনুষ্ঠানে যোগদান করা অতিথি চর হাসান হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল সামাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নিজ নিজ আইডিতে অনুষ্ঠানের ছরি পোষ্ট করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
    মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার রুবিনা ও বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিন দম্পত্তির ৩২তম বিবাহ বার্ষিকী ছিল গত শনিবার (২ অক্টোবর)। এই উপলক্ষে তাহমিনা আক্তার রুবিনা রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার সময় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ আরও অংশগ্রহন করেন রুবিনার স্বামী বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিন, চর হাসান হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল সামাদ, রামগতি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন এবং রামগতি ষ্টেশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌস।
    এই সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের বাইরে হইছই করছিল।

    ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ওই চারজন প্রধান শিক্ষক বিবাহ বার্ষিকীর কেক কেটে একে অপরকে খাওয়াচ্ছেন। অফিস কক্ষের টেবিলে পোলাও, রোষ্ট, শসা, কোকসহ খাবার প্লেটে সাজিয়ে রেখেছেন।

    প্রধান শিক্ষক সোহেল সামাদের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে তার মোবাইল দিয়ে তিনি একটি সেলফি তুলেছেন। ছবিতে মাসের নাম ৩ অক্টোবর ২০২১ এবং সময় ১৪:৩৫ (২:৩৫ মিনিট) মিনিট দেখা যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী বিদ্যালয় চলাকালিন সময় সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সোয়া ৪ টা পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে পৌনে ৪ টা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা মধ্যহ্ন বিরতি রয়েছে। কিন্তু ছবিতে দেখা যাচ্ছে ২:৩৫ মিনিটি অনুষ্ঠান চলমান।

    চারজন প্রধান শিক্ষক তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালিন সময়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করে অন্য বিদ্যালয়ে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছেন।
    এ নিয়ে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
    প্রতিক্রিয়া জানতে কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিদ্যালয় শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালিন সময়ে অন্য কোন ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান করতে পারেন না। নিজ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালিন সময়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করে অন্য কোথায়ও শিক্ষকরা যেতে পারেন না। বিদ্যালয়ে কার্যক্রম চলাকালিন সময়ে সার্বক্ষনিক প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে সরকারি নিদের্শনা রয়েছে।

    এই ছাড়াও কয়েকজন শিক্ষক জানান, তাহমিনা আক্তার রুবিনা রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে নামের সীল ব্যবহার করে অনিয়ম করছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত রামগতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার রুবিনার বক্তব্য জানতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয়ে শুনে তার বাসার আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

    রুবিনার স্বামী ও বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিনের কাছে বক্তব্য জানতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয়ে শুনে তিনিও তার বাসার আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন কেটে দেন চরহাসান হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল সামাদ বলেন, ঐদিন ঐ স্কুলে একটা বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রয়োজনে সাংবাদিকদেরকেও তার বাসায় দাওয়াত খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

    উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আহসান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তিনি এমন ঘটনা শুনেছেন।খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃমুনছুর আলী বলেন,স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায়না।বিষয়টি বিষয়টি তিনি এখুনি তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান