Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ ফজলুল হক।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ ফজলুল হক।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরস্কৃত হলেন চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক। নভেম্বর মাসে থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, চোরাই মালামাল উদ্ধার, অপহরণের ভিকটিম উদ্ধার, কিশোর গ্যাঙ্গ নিমূল, পেশাদারিত্বের অবদান রাখা, বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন গুরুত্বরপূর্ণ কাজে স্বীকৃতি স্বরূপ হিসেবে তাকে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এই ছাড়া শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে মোঃ দুলাল মিয়াকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

    রবিবার (৫ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ লাইন্সে মাসিক কল্যান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার জনাব ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এই সময় তিনি শ্রেষ্ঠ এ দুই অফিসারের হাতে শ্রেষ্ঠত্ব সনদ ও ক্রেষ্ঠ প্রদান করেন

  • সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন।

    সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নে তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে এসএ টিভির সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা,ক্যামেরা ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে ৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১ টার সময় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন পালন করা হয় ।

    মানববন্ধন থেকে বক্তরা ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন লক্ষ্মীপুরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

    এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির প্রধান মোঃ কামাল হোসেন, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি সেলিম উদ্দিন নিজামী, এসএ টিভি লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুস শহিদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রতিনিধি আব্বাস হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশন প্রতিনিধি অ আ আবীর আকাশ, মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি মোঃ মনির হোসেন।

    উল্লেখ্য  সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও এ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে সাংবাদিকগন ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

  • লক্ষ্মীপুরের নিউ আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু।

    লক্ষ্মীপুরের নিউ আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ছাড়াই এক প্রসূতির অপারেশন করায় মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।শনিবার বিকেলে শহরের নিউ আধুনিক হাসপাতালে (প্রাইভেট) এ ঘটনা ঘটে।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও সিভিল সার্জন আব্দুল গাফফারের অবহেলাই এ প্রসূতির মৃত্যু কারণ বলে মৃত প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ। প্রসূতির মৃত্যুর পর সন্ধ্যার তার বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালের দরজা জানালা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    মৃত প্রসূতির নাম শিমু আক্তার। তিনি সদর উপজেলার শাকচর গ্রামের সরকারি কর্মচারী লাভলুর স্ত্রী। তবে তার সন্তান সুস্থ আছে বলে জানা যায়।
    স্বজনরা জানান, শিমুর প্রসব ব্যাথা উঠলে প্রথমে তাকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে শিশুর অবস্থান উল্টো থাকায় তাকে দালালের মাধ্যমে নিউ আধুনিক প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার তার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচার শেষে নবজাতককে স্বজনদের কোলে দিয়ে গেলেও প্রসূতির ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে শিমু স্ট্রোক করেছে বলে তাদের জানানো হয়। বিকেল ৫টার দিকে তাকে কুমিল্লায় রেফার্ড করা হলে, শিমুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন তার পরিবার। খবর পেয়ে শিমুর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর (দরজা-জানালা) করে। পরে শহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    ঘটনার পর হাসপাতালের একটি কক্ষে তালা লাগিয়ে স্বজন পরিচয়ে রাশেদসহ একাধিক লোক সমঝোতা বৈঠকে বসেন।
    শিমুর মা জেসমিন জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসকের অবহেলায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
    এই অভিযোগ অস্বীকার করে সিভিল সার্জন বলেন, ‘প্রেসার বেড়ে রোগী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। অপারেশন থিয়েটারে ইকবাল ও নাছিম নামে দুইজন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ছিলেন। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৩ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
    তবে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ইকবাল জানান, ওই অপারেশনের সময় তিনি ছিলেন না। তিনি ওই সময় সদর হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
    অপর তদন্ত কমিটির প্রধান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসন এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।

  • লক্ষ্মীপুরের জেল কারাগারে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে অস্ত্র মামলার আসামি।

    লক্ষ্মীপুরের জেল কারাগারে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে অস্ত্র মামলার আসামি।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে অস্ত্র মামলার ৫ আসামি এইচএসসি পরীক্ষা বসছেন। এরমধ্যে জালিস মাহমুদ নামে একজন বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কারাগারেই বসেই পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়েছেন। অপর ৪ পরীক্ষার্থী ৫ ডিসেম্বর যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষায় অংশ নেবেন। জালিস রামগঞ্জের সাউদেরখিল গ্রামের বাসিন্দা ও রামগঞ্জ মডেল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী। অন্যরা হলেন উপজেলার রতনপুর গ্রামের মোহাম্মদ তাইয়ুব, হাতিপুরের ইফতেখার আহমেদ ফয়সাল, দরবেশপুর গ্রামের তাহমুন হোসেন মামুন ও নোয়াগাঁওর ফজলে রাব্বি। তারা একই কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্র।

    এই দিকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুইজন কলেজশিক্ষক জানান, ওই ছাত্রদের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কক্ষে বসে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা এখন কারাগারে পরীক্ষে দিচ্ছে। অসুস্থ রাজনীতি তাদের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিল। তাদের কারাগারে যাওয়ার পেছনের নেতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

    লক্ষ্মীপুর কারাগারের জেলার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৬ জন পরীক্ষার্থীই অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার আসামি। এরমধ্যে একজন সকালে পরীক্ষায় বসেছে। জেল কোড নিয়ম মেনেই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। বাকিদের পরীক্ষা ৫ ডিসেম্বর।

    পুলিশ জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে ২৭ নভেম্বর রাতে র‍্যাব-পুলিশ মধ্যভাদুর গ্রামের যুগী বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এতে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বয়ক শাহ আলম সিদ্দিকী জীবন, ছাত্রলীগ নেতা পিজু ও ওই ৫ পরীক্ষার্থীসহ ৩১ জনকে বিভিন্ন অস্ত্রসহ আটক করা হয়।

    রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, অস্ত্রসহ আটক ৩১ জনের বিরুদ্ধে র‍্যাবের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিল করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

  • লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ  সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

    লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ  সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন অবাঞ্চিত সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক।

    এঘটনায় প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক মুক্তখবর এর জেলা প্রতিনিধি আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ তিনজনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন।

    মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রায়হান চৌধুরীর আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভিস্টিগেশন(পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

    মামলার আইনজীবি মাহাবুবুল করিম টিপু জানান,প্রেসক্লাবের টাকা আর্তসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন। মামলা ও সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ইং সালে প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একেক আধিপত্যা বিস্তার করে আসছিলেন।

    এই ছাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বানিজ্য তদবির, ভূমিহীনদের ভূমি দখল ও সংখ্যালঘু নারীর ৩৩ লাখ টাকা আর্তসাৎ এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে তারা জড়িত রয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সদস্যদের সাথে অশোভন আচরন,নাজেহাল, বহিস্কার মামলা-হামলার হুমকি দেয়া হয়।

    এসকল ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৮ নভেম্বর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের আহবায়ক,ভোরের কাগজ ও দেশটিভির প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিটিভি এবং আমাদের সময়ের প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিরি সদস্য সচিব জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এক বিশেষ সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রেসক্লাবের টাকা আর্তসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম,দুনীর্তির দায়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং হিসাব কমিটির প্রধানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন সদস্যরা।

    সম্প্রতি প্রেসক্লাবের ২৩ মাসের আয়-ব্যায়ের একটি হিসেব বিবরনী সদস্যদের মধ্যে দেয়া হয়। সেখানে স্বাক্ষর করেন হিসেব কমিটির আহবায়ক মোঃকাউছার,সদস্য আতোয়ার রহমান মনির ও নিজাম উদ্দিন। ওই হিসেব বিবরনীতে ১৬টি খাতের আয় দেখানো হয় ৩৮লাখ ৯২ হাজার ২শ ৮০ টাকা। আর ব্যায় দেখানো হয় ২৬টি খাতে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ১০টাকা। অথচ ২৬টি খাতের ১৪টি খাতে কোন ব্যায় প্রেসক্লাবে হয়নি।

    এসব খাতের প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে তারা আর্তসাৎ করেন। কিন্তু প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যায় করেছেন। প্রেসক্লাবের সাধারন সদস্যরা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রেসক্লাবের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • লক্ষ্মীপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি।

    লক্ষ্মীপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রার্থীর চরম ভরাডুবি হয়েছে।

    ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ ইউনিয়েই নৌকার মনোনিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। অবিশ্বস্যভাবে কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামীগের ত্যাগি নেতারা হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিকট। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১০টি ইউনিয়নের ৯৩টিট ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি ছিলো নজিরহীন।

    বিশেষ করে নারী ভোটাদের উপস্থিতি ছিলো চোখ পড়ার মতো। কয়েকটি ইউনিয়নে জাল ভোট, ভোটাদের কেন্দ্রে আসতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘঁনার খবর পাওয়া যায়নি। এয়াড়া অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজন ভোটের আগের রাত ও ভোটের দিনে অস্ত্রসহ গেস্খফতার হওয়ায় সাধারন ভোটাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসায় বেশিরভাগ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানান অনেকেই।

    দিন শেষে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্বাচনি সহিংসতায় ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সজিব (২৬) নামের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সজিব রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মৃত- আব্দুস সাত্তারের ছেলে। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন খানের আনারস মার্কার সমর্থক মাহবুব মিজি, মাসুদ লেনজাসহ একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার আলাদা করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে সিল মারার চেষ্টা করলে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সজিবের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা বাধা দেয়। ফলে দুইপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

    নিদিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহন শেষে গননা করা হয় ১০টি ইউনিয়নের ভোট। এতে বে-সরকারীভাবে ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে মোঃ নাসির উদ্দিন, ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে মোঃ সোহেল পাটওয়ারী, ৩নং ভাদুর ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে জাবেদ হোসেন ও ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রর্তীকে মোঃ মিজানুর রহমান। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানরা হলেন ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নে আনারস প্রর্তীকে আমির হোসেন খান, ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রর্তীকে শামছুল ইসলাম সুমন, ৬নং লামচর ইউনিয়নে আনারস প্রর্তীকে ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটওয়ারী, ৮নং করপাড়া ইউনিয়ন ঘোড়া প্রর্তীকে জাহিদ মির্জা, ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়ন চশমা প্রর্তীকে দেলোয়ার হোসেন দিলু ও ১০নং ভাটরা ইউনিয়ন আনারস প্রর্তীকে শামছুল আলম বুলবুল ।

  • লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জামাইর ঘরে আগুন দিল শ্বশুর।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জামাইর ঘরে আগুন দিল শ্বশুর।

     

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলা রাতের অন্ধকারে রিকশা চালক মো: মমিনের ঘর আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। শ্বশুর বাসু মাঝির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে মমিনের বাবা আবদুল মতিন। শনিবার (২৭ নভেম্বর) জীবনের নিরাপত্তা ও ঘর পোড়ানোর বিচার চেয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। এই দিকে পুড়ে যাওয়া ঘরটি ছাড়া মতিনের থাকার আর কোন ব্যবস্থা নেই। এতে পরিবার নিয়ে তিনি দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।

    এই ছাড়া অভিযুক্তদের হুমকিতে তিনি পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ভূক্তভোগী আবদুল মতিন রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা। ছেলে মো: মমিনসহ তিনি ফেনির দাগনভূঁইয়া এলাকায় রিকশা চালক।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছেলে মমিনের সঙ্গে তার স্ত্রী শিল্পি বেগমের কলহ রয়েছে। এনিয়ে মমিন তার স্ত্রীকে থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ নভেম্বর শিল্পিসহ তার বাবা বাসু মাঝি, মা হোসনেয়ারা বেগম, আত্মীয় শাহিনুর আক্তার, আবদুর রহিম ও জসিম উদ্দিন বাড়িতে এসে মমিনকে পিটিয়ে আহত করে। মমিন চিকিৎসা না নিয়েই ঘটনার দিন দাগনভূঁইয়া চলে যান। সেখানে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। পরদিন আবদুল মতিন বাড়িতে এসে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর তিনি দাগনভূঁইয়া চলে যান।

    মামলার বিষয়ে জানতে পেরে ২৪ নভেম্বর রাতে বাসু মাঝিসহ অভিযুক্তরা রাতের অন্ধকারে আবদুল মতিনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ঘরটি পুড়ে যায়। ছাই হয়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র। ঘরের চালার টিনগুলো ভিটের ওপর পড়ে আছে। ঘরের বাইরে চালার সঙ্গে ঝুলানো কাঠের খোপে থাকা ৪০ টি কবুতর পুড়ে মারা গেছে। তবে ঘরে কেউ না থাকায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।

    খবর পেয়ে বাড়িতে এসে মতিন রামগতি থানায় বাসু মাঝিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করেন। প্রতিবেশি মাজহারুল ইসলাম বলেন, মতিনের ঘরের পাশেই আমার ঘর। অনেক চেষ্টা করেছি আগুন নেভাতে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। অসহায় মানুষটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আগুন জ্বলতে দেখলেও তখন কাউকে দেখেননি।

    আবদুল মতিনের স্ত্রী আক্তারা বেগম বলেন, বাসু মাঝির লোকজন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এতে ভয়ে ওই রাতে আমি ঘরে ঘুমাইনি। প্রতিবেশিদের ঘরে ঘুমিয়েছে। হঠাৎ ভাঙচুরের শব্দ শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আমার সাজানো সংসার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

    আবদুল মতিন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার একমাত্র শত্রু বেয়াই বাসু মাঝি। আমি নোয়াখালী পাটওয়ারীরহাট এলাকার বাসিন্দা ছিলাম। দুই বছর আগে আমি এ গ্রামে এসে তার (বাসু) কাছ থেকে ২০ শতাংশ জমি কিনি। এর কিছু অংশে টিনের ঘর করে বসবাস করছি। বাকি অংশ এখনো আমাকে তিনি বুঝিয়ে দেননি। এখানে আসার পর তার মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে দিই। ছেলে তার স্ত্রীকে একটি থাপ্পড় দেয়। এতে তারা আমার ছেলেকে মেরে গুরুতর আহত করে। এনিয়ে মামলা করায় তারা আমার ঘর পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বাসু মাঝি বলেন, আগুন লাগানোর ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। শত্রুতা করে অভিযোগ এনে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মতিনের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুজন বলেন,মমিনকে মারধরের ঘটনার অভিযোগটি আদালত আমলে নিয়েছেন।

    তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন,আগুনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে পায়নি। ঘটনাটি তদন্তু চলছে। প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরের অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার।

    লক্ষ্মীপুরের অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানা পুলিশ অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত মো: মিলনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা জেলার লালমোহন থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    মো: মিলন (৪০) ভোলার চর ফ্যাশন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মোশারফ হোসেন। লক্ষ্মীপুরের রামগতি বড়খেরী এলাকায় তার শ্বশুর বাড়ি।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার চরজজব্বার থানার থানায় অস্ত্র আইনে মামলার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ১৭ বছরের সাজার রায় হয়। (মামলা নং-১২, তারিখ-২২/০৩/২০১৪ইং)।

    রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মিলন চিহিৃত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা রামগতি থানায় আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ভোলার লালমোহন থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে

  • লক্ষ্মীপুরে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার ৬নং লামচর ইউনিয়নভুক্ত ২নং ওয়ার্ভের ব‍্যাপারী বাড়ী ও ঠাকুর বাড়ীর মধ‍্যবর্তী একটি বাড়িতে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানাধীন মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ।

    সূত্রমতে, বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আইন-শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে নিয়মিত টহলরত অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত ওয়ার্ডের রফিক উল‍্যাহর ছেলে মেম্বার পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান কামরুলের (৩৫) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ককটেল তৈরিতে ব‍্যবহৃত ৬কার্টুন দিয়াশলাই, প্রায় ৫০০পিস খোলা ম‍্যাচ বা দিয়াশলাই, প্রায় ১কেজি পরিমাণে দিয়াশলাই থেকে সংগৃহিত বারুদ, ৯৬টি জর্দার কৌটা ও ৬০ পিস স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়।

    উক্ত বিষয়টির সত‍্যেতা নিশ্চিত করে মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এই ব‍্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা ও অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে ভুমিদস্যুর পক্ষে কাজ না করায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    লক্ষ্মীপুরে ভুমিদস্যুর পক্ষে কাজ না করায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমরান হোসেন ও পুলিশ প্রশাসন ভূমিদস্যুদের পক্ষে কাজ না করায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ ও প্রতারক চক্রের হোতা হোসাইন আহম্মদ হেলাল সহ কয়েকজন মিলে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর লক্ষ্মীপুর সম্পাদক ও প্রকাশক পরিষদের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের এক জরুরী সভা করা হয়েছে।

    লক্ষ্মীপুরের চররমনীতে হেল্লাইল্ল্যার চরে জবর দখলকৃত হেলাল বাহিনীর কবল থেকে দিনভর সরকারি বিপুল পরিমানের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ এবং তাতে অবৈধ সহায়তা না পেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

    এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের বিপুল পরিমানের টাকা আত্মসাৎ, সদস্যদের সাথে ক্ষমতার অপব্যাবহার,অসদাচরন সহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়ে (হেলাল, মালেক ও কাউসার) সহ তিনজনকে নাজেহাল এবং অবাঞ্চিত করায় প্রচন্ড তোপের মুখে পড়ে তারা।

    অদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যাবহারে ব্যার্থ চেষ্টা সহ এ সব বিভ্রান্তিতে ক্ষুব্ধ হয় সাংবাদিক সমাজ। ফলে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদ।

    লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের আহব্বায়ক ও দেশ টিভি, ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিক এ সভায় প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিক ও সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদের নেতা, সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বিপুল পরিমানের সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন। সভার সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জহির উদ্দিন।

    সভায় সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদের আহব্বায়ক,দৈনিক রবের সম্পাদক ও এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ সহিদুল ইসলাম, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি জেলা আব্বাস হোসেন সহ সাংবাদিক নেতাদের দাবী, চাঁদাবাজ ও ভুমিদস্যূ হোসাইন আহম্মদ হেলাল সহ তার কতিপয় সহযোগীরা এবার অবৈধ সুবিধা না পেয়ে উপজেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানো সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ফলে সাংবাদিক নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার বিরোধীমনা হয়ে ও ভুমিদস্যূ হোসাইন আহম্মদ হেলাল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার চররমনীতে ভুমিহীনদের বরাদ্ধ দেয়া এবং সরকারে প্রায় কোটি কোটি টাকার ২শ একর সম্পত্তি প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে দখলে নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের এক সাধারন সভায় সদস্যদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হয়রানি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ,নানা কেলেংকারী সহ বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়ে হেলাল ও তার সহযোগী সহ তিনজনকে অবাঞ্চিত ঘোষনা দেয় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।

    এই সব ঘটনায় স্থানীয় ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনকে ব্যাবহারে ব্যার্থ চেষ্টা চালায়। ফলে প্রশাসনের কাছে অন্যায় ও অবৈধ সুবিধা না পেয়ে হেলালের কতিপয় অনুসারী বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,হেলাল,মালেক ও কাউসারের প্রতারণায় সংখ্যালুঘু হিন্দু নারী-পুরুষ,ব্যাবসায়ী সহ অর্ধশতাধিক মানুষ কোটি কোটি টাকার প্রতারণার স্বীকার হয়ে এখন প্রায় নিঃস্ব।

    এই টাকার জন্য অনেক নারীর পরিবারে বিচ্ছেদ সহ অশান্তির আগুনে পুড়ে ছাই। এই সব ঘটনা সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

    ফলে বিতর্কিত এসব ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন সহ স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করার দায়ে এদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসুচী গ্রহন করবে বলে জানায় প্রতিবাদ সমাবেশে।