Tag: রোগী

  • বালিয়াডাঙ্গীতে জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা ও কম্বল বিতরণ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা ও কম্বল বিতরণ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ক্যান্সার, কিডনি ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্তসহ বিভিন্ন অসহনীয় রোগে ভুগছেন অনেক মানুষ। তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাওয়া এসব অসহায় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদে ৩৩ জন রোগীর মাঝে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকার চেক এবং ১০০ জনের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেওয়া হয়।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি চেক ও কম্বল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার শফিউল আলম সরকার, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা সাহারা বানু, উপজেলা বণিত সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
    স্থানীয় সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩০ জন উপকারভোগীকে ৫০ হাজার টাকার চেক এবং তিনজনকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি শীত নিবারণের জন্য ১০০ জন দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।
    চেক গ্রহণকারী রোগীদের চোখে-মুখে ছিল কৃতজ্ঞতার ছাপ। একাধিক রোগী জানান, এই অর্থ তাদের চিকিৎসার খরচ চালাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।
  • রামপালে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ।

    রামপালে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে ক্যান্সার,কিডনী,লিভার সিরোসিস,স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে রামপাল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যােগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে এ আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিম সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমানের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আর্থিক সহায়তার চেক সুবিধাভোগীেদের হাতে তুলে দেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন,  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।
    এসময় ৫০ হাজার করে মোট ১১ জন নানান রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
  • বাঘায় দুই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত।

    বাঘায় দুই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত।

    রাজশাহীর বাঘায় দুই জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত ৬ জনের ডেঙ্গু এনএসআই পরীক্ষা করে ২ জন আক্রান্ত হয়েছে।গত জুন মাসে ১৬ জনের পরীক্ষায় কেউ শনাক্ত হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আসাদ বুধবার (৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
    জানা যায়, উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবু সাঈদ নামের এক যুবক মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ও ঢাকা চন্দ্রগাথী গ্রামের বাপ্পু রহমান নামের আরেক যুবক রোববার (২ জুলাই) শরীরে ডেঙ্গুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে। বাপ্পু রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আবু সাঈদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    এ বিষয়ে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া আবু সাঈদ বলেন, পাবনায় এক আত্নীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রাতে মশারি ছাড়াই ঘুমিয়েছিলাম। সেখানে মশার উপদ্রব ছিল। কোন ধরনের মশা বুঝতে পারেনি। সেখান থেকে ফিরে আসার পর জ্বর দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে ঔষধ খেয়েও কাজ হচ্ছিলনা। পরে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
    রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাপ্পু রহমানের বাবা সাহেদ আলী বলেন, আমার ছেলে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদুৎ অফিসে কর্মরত ছিল। জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আসাদ বলেন, পরীক্ষা করে ২ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এখানে সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ভর্তি হওয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্য মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
  • রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

    রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

    বাগেরহাটের রামপালে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ চেক বিতরণ করা হয়।

    রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান’র সঞ্চালনায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকার ভোগীদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলজার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নূরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় মাননীয় উপমন্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত ১১ জন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এছাড়া তিনি উপজেলার বেশকিছু পরিবারের মধ্যে পানির ট্যাংক ও ছাগল বিতরণ করেন।

  • ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা দুই গুণ।

    ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা দুই গুণ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    আড়াইশ শয্যার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগীর সংখ্যা। গত চারদিনে দুই শতাধিক শিশু বিভিন্ন অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে জ্বর, ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এক দিনেই হাসপাতালে ৪০/৫০ শিশুরোগী ভর্তি হচ্ছে। পুরো শিশু ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগী দুই গুণ। শয্যা সংকটে হিমশিম রোগী ও স্বজনরা।

    ঠাকুরগাঁও সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী রয়েছে। শয্যা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডেই রোগী আছে দুইশ’র বেশি। এক সপ্তাহ আগে এই ওয়ার্ডে রোগী আরও বেশি ছিল।  হাসপতালটি ২৫০ শয্যার কিন্তু দৈনিক ভর্তি থাকছেন ৪০০ থেকে প্রায় ৪৫০ জন রোগী।

    শিশু রোগীর মধ্যে এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সির সংখ্যা বেশি। ঠান্ডাজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়েছে হচ্ছে তারা। জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে হঠাৎ প্রচণ্ড শীত পড়ায় গত কয়েক দিনে বৃদ্ধসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে এমন রোগীর সংখ্যা দুইশ’র বেশি। দেখা গেছে, রোগীর চাপে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ণ হয়ে মেঝেতেও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগী জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা শেষে শিশুদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। একইভাবে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বয়স্করাও।

    ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে ফারুক ইসলাম ও তার স্ত্রী এসেছেন ১৫ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে। ফারুক ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বেশ কয়েকদিন থেকে বাচ্চাটা অসুস্থ তাই গত ১৫ জানুয়ারি এই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। এখন সে কিছুটা সুস্থ্য।’

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়ন থেকে অসুস্থতার জন্য শাহিনা তার  ১৫ দিন বয়সি কন্যা খাদিজাকে ভর্তি করান। তিনি বলেন, ‘আমি কাশ ও সর্দিতে আক্রান্ত ও আমার কন্যা নিউমোনিয়া আক্রান্ত। গত ১০ জানুয়ারিতে হাসপাতলে শিশু ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করি কিন্তু রোগির অতিরিক্ত চাপ থাকায় বেড পাইনি। তাই ফ্লোরে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’

    দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার গণপূত গ্রামের সাজেদুল করিম বলেন, আমার আড়াই মাসের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। ঠান্ডার কারণে সর্দি ও এলার্জি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে দুইদিন থেকে ভর্তি আছি।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের শাহানাজ পারভিন নামে এক গৃহবধু বলেন, ‘৩ দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি আমার ছেলেকে নিয়ে। আগে যদিও শুনেছি এখানকার বেখিয়ালির কথা। তবে এখন আগের থেকে এখানকার চিকিৎসা অনেক ভালো ও উন্নত হয়েছে। তার পরেও এখানে বেডের সমস্যা রয়েই গেছে। বেডের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। যদি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতো তাহলে আমাদের জন্য আরো ভালো হতো।’

    হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সাজ্জাত হায়দার শাহিন বলেন, ‘ কয়েক দিনে হাসপাতালে শিশুরোগীর চাপ বেড়েছে।  আমাদের এখানে শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৪৫ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু ভর্তি থাকছে। শীতের সময় বিশেষ করে শিশু ও নবজাতকের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার ফলে এধরণের সমস্যা হয়ে থাকে।

    আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাঈম মোঃ মিনহাজ কৌশিক বলেন, ‘হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২৫০ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ জনের মত রোগী ভর্তি থাকছেন।  রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে জনবল সংকট থাকার কারনে। আগে ১০০ শয্যার হাসপতালে যে জনবল ছিল এখন এটি ২৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও শুধু কিছু সংখ্যক আউটসোশিং জনবল বৃদ্ধি করার মধ্য দিয়ে এখানকার কার্যক্রম চলছে। সীমিত সামর্থের মধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

  • সিজারের রোগী রক্তক্ষরণে মৃত্যু মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা।

    সিজারের রোগী রক্তক্ষরণে মৃত্যু মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা।

    সিজারের রোগী রক্তক্ষরণে মৃত্যু মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা।


    হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রাইম হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে ডাক্তারের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে এসে প্রতিবাদ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মোট অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে মৃত্যুর বিষয়টি রফাদফা করেছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে।

    রোগীর স্বজনরা জানান, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার গর্ভবতি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মাধবপুর প্রাইম হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। বিকেলে হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার শাহরীন হক খাদিজার সিজার করান। এতে খাদিজার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

    সিজারের পর থেকেই খাদিজার অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হয়। অবস্থা খারাপ দেখে আজ (বুধবার) সকালে খাদিজাকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খাদিজা কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে খাদিজার স্বজনরা হাসপাতালে মৃত্যুর প্রতিবাদ শুরু করে।

    এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এই প্রাইম হাসপাতালের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সম্প্রতি প্রশাসন হাসপাতালটিকে বন্ধ করে দিয়েছিল, কিছুদিনের মধ্যেই আবার চালু হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ জানান, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই হাসপাতালের অনুমোদন রয়েছে। তবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি উনার জানা নেই।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে রোগী ফেলে দেয়ার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে রোগী ফেলে দেয়ার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে রোগী ফেলে দেয়ার অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মানারুল হক (৩৮) নামে এক রোগীকে হাসপাতালের দুই তলা ভবন থেকে নিচতলায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহেল রানা (২৬) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

    শুক্রবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই অভিযুক্ত সোহেল রানা হাসপাতাল ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

    আহত মানারুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী জুগিহার গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা বিআরডিবি কার্যালয়ের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সোহেল রানা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বাগানবাড়ী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।

    দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা জানিয়েছে, নিচতলায় পড়ে রোগী মানারুল ইসলামের কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে, মাথায় ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩য় তলায় ১০নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    মানারুল ইসলামের শ্বশুড় রবিউল আলম জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় আমার জামাইয়ের বাড়িতে বসতভিটার জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে আমার জামাই মানারুল ইসলামহ তার পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় তলায় থাকা সোহেলসহ তাদের লোকজন দোতলায় পুনরায় মারধর শুরু করে। সোহেল রানা আমার জামাই মানারুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দিয়ে দোতলা থেকে নিচতলার সিঁড়িতে ফেলে দেয়। এতে জামাইয়ের কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে, মাথায় ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, জামাই ও মেয়ে চিকিৎসার কাজে দিনাজপুরে থাকার কারণে আমি বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় শুক্রবার রাতে সোহেলসহ আরও ৯ জনকে আসামি করে এজাহার জমা দিয়েছি। সরকারি হাসপাতাল একটি নিরাপদ জায়গা, সেখানেও হামলার শিকার আমার জামাই। আমি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার চাই।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মিঠুন দেবনাথ মুঠোফোনে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত মারপিটের আহত রোগীদের মধ্যে গলোযোগ শুরু হলে মানারুল ইসলামকে দোতলা থেকে ফেলে দেয় সোহেল ও তার লোকজন। আমি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই সোহেল ও তার লোকজন হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমাস মুঠোফোনে বলেন, ছুটির দিন থাকায় আমি ছিলাম না। ঘটনাটি শুনেছি। রোগীর অবস্থা বেশি ভালো না, দিনাজপুর মেডিকেলে রেফার্ড হয়েছে। হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনার জন্য আমরাও আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

    এদিকে, অভিযোগ উঠা সোহেল রানাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই জয়নাল আবেদিন শনিবার রাতে মুঠোফোনে জানান, একটা ঘটনা হাসপাতালে ঘটেছে। আপনি যতটা বলছেন ততটা না। সোহেলের সাথে যোগাযোগের জন্য নম্বর চাইলে সোহেল ওই ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না, তার মোবাইলটিও তার কাছে নেই বলে জানান তিনি।

    বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, সকালে হাসপাতাল থেকে গন্ডগোলের কথা জানালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল ঘটনাস্থলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখন পর্যন্ত রোগী কিংবা তাদের স্বজনরো কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

  • বড়লেখায় মরণব্যাধী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    বড়লেখায় মরণব্যাধী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    বড়লেখায় মরণব্যাধী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


    মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মারাত্মকভাবে মরণব্যাধী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামে সম্প্রতি সময়ে অনেকেই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূবরণ করেছেন।

    গত এক বছরে মোহাম্মদনগর গ্রামের সাহেল আহমদ (২৩) কামাল হোসেন (৪০) এনু মিয়া (৪৫) ফারুক উদ্দিন (৫০) সহ আরও অনেকে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূবরণ করেছেন।গতকাল মোহাম্মদনগর ইয়োথ সোসাইটির সভাপতি লন্ডন প্রবাসী তানভীর হোসাইন সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন এবং সামাজীক সংগঠনগুলোকে ক্যান্সারের কারন ও প্রতিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির অনুরোধ জানান।এছাড়াও তিনি সম্প্রতি সময়ে মারাত্মকভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের অনুরোধ জানান।

    উল্লেখ্য সম্প্রতি বড়লেখা ডিগ্রি কলেজের মেধাবী ছাত্র তালিমপুর নিবাসী সাদেক আহমদ (২৭) ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূবরন করেছেন।এছাড়াও বড়লেখা উপজেলায় প্রতিনিয়ত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বজন হারানোর আহাজারী।

  • সিলেটে করোনা শনাক্ত ৭৬৯ জন ও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

    সিলেটে করোনা শনাক্ত ৭৬৯ জন ও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

     সিলেটের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জ্বরের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।দেখা যায় ঘরে-ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে পড়ছেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
    সিলেট বিভাগে গত বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি ২০২২ইং, পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৬৯ জনের। শনাক্তের হার ৩৮ দশমকি ১৩ শতাংশ। এনিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট জেলার ১ জনের মৃত্যুহয়েছে।এছাড়া, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন।
     বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
    স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত ৭৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলার ৪৭০ জন, ওসমানী হাসপাতালের ৫০ জন, সুনামগঞ্জ  জেলার ৩৬ জন, হবিগঞ্জ জেলার ৭১ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১৪২ জন। সিলেট জেলায় শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, হবিগঞ্জ জেলায় ৪৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও মৌলভীবাজার জেলায় ৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
    ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩২ জনের মধ্যে ২১ জন সিলেট জেলার, সুনামগঞ্জ জেলার ৮ জন, হবিগঞ্জ জেলার ২ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১ জন। সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ২৮ জন সিলেট জেলার, ৮০ জন হবিগঞ্জ জেলার ও ৭ জন মৌলভীবাজার জেলার।
    বর্তমানে চার জেলার হাসপাতালে ভর্তি ১৯২ জনের মধ্যে সিলেট জেলার ১৩৬ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ২৬ জন,হবিগঞ্জ জেলার ৩ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ২৭ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১১ জন।
    এছাড়া, সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি ১৪ জন রোগীর মধ্যে করোনা সন্দেহজনক ৪ জন ও পজিটিভ ১০ জন।
    এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে সিলেট  জেলায় সর্বোচ্চ ৮৮০ জন মারা গেছেন, ওসমানী হাসপাতালে ১১৮ জন, সুনামগঞ্জে ৭৫ জন, হবিগঞ্জের ৪৯ জন ও মৌলভীবাজারের ৭২ জন। এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ৬০ হাজার ৭৪৬ জন।
    এর মধ্যে সর্বোচ্চ সিলেট জেলায় ৩২ হাজার ৪২৩ জন, ওসমানী হাসপাতালে ৫হাজার ৪০৫ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ৬ হাজার ৫৬৪ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৭ হাজার ২১২ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৯ হাজার ১৪২ জন। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৯৪৪ জন।
  • সিরাজগঞ্জে করোনা রোগী ফোন করলে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে অক্সিজেন।

    সিরাজগঞ্জে করোনা রোগী ফোন করলে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে অক্সিজেন।

    সিরাজগঞ্জে করোন রোগী ফোন করলে বাড়িতে পৌছে দিচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের অক্সিজেন কনসেন্টর। করোনায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীকে অক্সিজেন দেবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিম। রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত এ সেবা দেয়া হবে।

    মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জে করোনাকালীন এ অক্সিজেন সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাঃ মিল্লাত মুন্না এমপি বলেন, ০১৫৩৩-১৯৯৪৩৯ ও ০১৭২৫-৭১৩৪৬৮ নম্বরে ফোন দিলে বাসায় থাকা শ্বাসকষ্টের করোনা রোগীর কাছে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন কনসেন্টর। বৈদ্যুতিক কানেকশনের মাধ্যমে বাতাস থেকে নিজেই অক্সিজেন তৈরি করবে এটি। এ ধরণের ১০টি অক্সিজেন কনসেন্টর আজ হস্তান্তর করা হলো। অক্সিজেন পেতে একটি রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে রোগীকে।

    এটি পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। দুটি হটলাইন নম্বরে ফোন দিলে ২৪ ঘন্টায় এ অক্সিজেন সহায়তায় নিযুক্ত থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

    সিরাজগঞ্জে হাইপ্রো অক্সিজেন ক্যানোলা আনার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ডা. মিল্লাত বলেন, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে করোনা বেড ৫০ থেকে ১শটিতে উন্নীত করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়েও করোনা বেড বাড়ানো হচ্ছে। ডা. মিল্লাত এমপি আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পড়তে হবে, অক্সিজেন প্রস্তুত রাখতে হবে ও অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি থেকে রক্ষায় ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই।

    শহরের এস এস রোডস্থ নিজ বাসভবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত এ অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি সিরাজগঞ্জের ৫শ ছিন্নমূল মানুষকে একবেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন। গত ২৩ জুলাই থেকে শহরের বাজার স্টেশন ও যমুনা নদীর মতি সাহেবের ঘাট এলাকায় এ কার্যক্রম চলছে। আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত এ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।