Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৭৬ জন শিক্ষার্থী  অনুপস্থিত।

    রাণীশংকৈলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৭৬ জন শিক্ষার্থী  অনুপস্থিত।

     ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে ৭৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। তবে কোনো কেন্দ্রে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি।বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
    রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোবারক হোসেন জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাণীশংকৈল উপজেলার ৭টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৪৮৭ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৬ পরীক্ষার্থী।এরমধ্যে এসএসসিতে ২৯ জন, দাখিলে ২৩ জন ও ভোকেশনালে ২৪ জন পরীক্ষার্থী।
    তিনি আরও জানান, কোন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী অথবা কেন্দ্র পরিদর্শক বহিষ্কারের কোন ঘটনা ঘটেনি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো:রকিবুল হাসান বলেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অত্যন্ত সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র গুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম অভিযোগের ঘটনা ঘটেনি। আশা করা যাচ্ছে বাকি পরীক্ষা গুলো সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
  • রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর, গুরুতর আহত -১।

    রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর, গুরুতর আহত -১।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় রিসাদ হোসেন (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী তার বন্ধু স্বন্দীপ।
    মঙ্গলবার (১৩ ফ্রেরুয়ারী) বিকালে রাণীশংকৈল-নেকমরদ  সড়কের কুমারগন্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    নিহত রিসাদ রাণীশংকৈল উপজেলার পৌরশহরের ভান্ডারা এলাকার টিন ব্যবসায়ী  দবিরুল ইসলামের ছেলে। আহত বন্ধু স্বন্দীপ (১৯) একই এলাকার সুভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে। রিসাদ বগুড়ার একটি কলেজের  দ্বাদশ এবং সন্দীপ একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
    বিষয়টি রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকালবেলা মোটরসাইকেল যোগে দুইবন্ধু রাণীশংকৈল-নেকমরদ পাকা সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে কুমারগঞ্জ এলাকায় গেলে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় তাদের মাথা ও মুখে প্রচন্ড আঘাত পায়। এতে ঘটনাস্থলেই রিসাদ মারা যায়।
    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত স্বন্দীপকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্মরত চিকিৎসকরা।
    রাণীশংকৈল সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রেজাউল হক  বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে নিহত রিসাদের লাশ ও তার মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে রাণীশংকৈল থানায় নিয়ে আসে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হবে।
  • আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ- কমিটিতে রাণীশংকৈলের শাহারিয়ার আজম মুন্না।

    আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ- কমিটিতে রাণীশংকৈলের শাহারিয়ার আজম মুন্না।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয়  নির্বাহী সংসদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে দ্বায়িত্ত্ব পালন করেন। তিনি তিনি রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ং নন্দুয়ার ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য এবং ঠাকুরগাঁও কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
    সাবেক এই ছাত্রনেতা বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনীতিতে সরব ছিলেন। তিনি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি তরুণদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও যুক্ত রয়েছেন তিনি এরপর তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
    শাহারিয়ার আজম মুন্না ২০১৯ সালে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ সালের ঠাকুরগাঁও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
    গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আ’লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বর্ষিয়ান নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টুকে চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশিদকে কো-চেয়ারম্যান করে ১৪০ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এতে আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফী বিন মোর্তজা এমপি’কে সদস্য সচিব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
    এদিকে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সদস্য মনোনীত করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হুইপ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
    শাহারিয়ার আজম মুন্না তার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সততা, নিষ্ঠা, মেধা এবং দক্ষতা দিয়ে আমার ওপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যথাযথভাবে তা পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চান সাবেক এই ছাত্র নেতা।
  • রাণীশংকৈলে টিভি ধার করে মেয়ের ফুটবল খেলা দেখলেন চা-দোকানি বাবা।

    রাণীশংকৈলে টিভি ধার করে মেয়ের ফুটবল খেলা দেখলেন চা-দোকানি বাবা।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাগরিকাকে দেখে মনে হচ্ছিল লাজুকলতা! যিনি মাঠে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন নিজের দিকে।
    শুক্রবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে সাগরিকা করেছেন জোড়া গোল। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতানোয় বড় ভূমিকা রেখেছেন।
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের মেয়ে সাগরিকা মাঠে যত সাবলীল, ক্যামেরার সামনে ততটাই জড়সড়!
    রাণীশংকৈল রাঙাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাজুল ইসলামের হাতে গড়া নারী খেলোয়াড় সাগরিকা (লিটা)।
    একটা সময় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাইপলাইন মানেই ছিল ময়মনসিংহের কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর সাতক্ষীরা, রাঙামাটি, কুষ্টিয়া, ঠাঁকুরগাওসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একঝাঁক মেয়ে এসে ফুটবল রাঙাচ্ছেন জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলে। সাগরিকা তাদেরই একজন। উঠে এসেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলামের হাত ধরে।
    বাবাকে ভুল প্রমাণ সাগরিকা লিটার….!
    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তাজুল ইসলাম না থাকলে হয়তো সাগরিকার মতো প্রতিভাবান স্ট্রাইকার পেতো না বাংলাদেশের ফুটবল।
    অথচ সাগরিকাকে খেলতে দিতে চাইতেন না বাবা লিটন আলী! নেপালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক না পাওয়ার কষ্টের চেয়েও সাগরিকার চোখে মুখে তাইতো অন্য রকম রোমাঞ্চ। যেন বলতে চেয়েছেন, “বাবা, দেখো আমি পেরেছি।”
    কোচ সাইফুল বারী টিটুর পাশে বসে সাগরিকা বলছিলেন, “শুরুতে বাবা-মা চাইতেন না ফুটবল খেলি। কিন্তু আমার এক খালা বাবাকে বলেছিলেন, মেয়েকে যদি খেলতে দিতে নাই চাও তাহলে আমাকে দিয়ে দাও। আমার মেয়ের পরিচয়ে ও খেলবে। বাবা-মা তখনও নিষেধ করেন।”
    জার্সি, হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এটা মোটেও ভালো চোখে দেখত না গ্রামবাসী। একই ভাবনা সাগরিকার বাবারও। কিন্তু মেয়ের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে। বাবাকে ভুল প্রমাণ করতে পেরেই খুশি সাগরিকা, “ফুটবল খেলি বলে গ্রামের মানুষ কটু কথা বলতেন। কিন্তু জেদ নিয়ে খেলা শুরু করি। শুধু ভাবতাম, একদিন বাবা-মায়ের ভুল ধারণা ভাঙব। বড় ফুটবলার হয়ে তাদের দেখিয়ে দিব। আজ জাতীয় দলে খেলে সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছি।”
    বাবার চায়ের দোকানে ভিড়, গর্বিত গ্রামবাসী….!
    অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা সাগরিকার। বাবা চায়ের দোকানদার। বড় ভাই সাগর আলীকে টাকার অভাবে পড়ালেখা শেখাতে পারেননি সাগরিকার বাবা। এলাকার একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করছেন সাগর।
    মেয়ের ফুটবল ম্যাচ টেলিভিশনে দেখানো হবে। কিন্তু লিটন আলীর টেলিভিশন নেই! প্রতিবেশীর কাছ থেকে টেলিভিশন চেয়ে আনেন লিটন। সেই টেলিভিশনে মেয়ের খেলা দেখেছেন শুক্রবার রাতে।
    এলাকার যারা এতদিন নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন, তারাই সাগরিকার গোল দেখে গর্বিত। ফোনের অন্য প্রান্তে এসব কথা বলছিলেন আর কাঁদছিলেন লিটন আলী, “মেয়েকে গোল করতে দেখে মনে হচ্ছিল আমি এক গর্বিত পিতা। অথচ এই মেয়েকে ফুটবলে দিতে চাইনি! কত নিষেধ করেছি! কখনও কল্পনাও করতে পারিনি ও এভাবে ফুটবল খেলবে। দোকান তো ভরে গিয়েছিল লোকে। আমি জায়গা দিতে পারছিলাম না। সবাই মেয়ের খেলা দেখে প্রশংসা করছিল।”
    কেন মেয়েকে ফুটবলে দিতে চাইতেন না? প্রশ্নটা শুনে বিব্রত লিটন আলী, “এলাকার মানুষ বলত মেয়ে মানুষ ফুটবল খেললে নষ্ট হয়ে যাবে। ভেবেছিলাম মেয়েকে কিছুদিন পর বিয়ে দিয়ে দেব। আজ মেয়ে যেখানে গেছে এজন্য তাজুল স্যারের বড় অবদান।”
    অথচ মেয়ে ‍ফুটবল খেলে বলে এক মাস ধরে সাগরিকার সঙ্গে কথা বলেন না লিটন আলী, “আমি নিষেধ করেছিলাম। মেয়েটা কথা শুনল না। তাই এক মাস কথা বলিনা।” চাপা কান্নায় ভরে ওঠে অভিমানী বাবার কণ্ঠ।
    ভুল বুঝতে পেরে লিটন আলী বলছিলেন, “ওকে বলতাম জীবনেও কিছু করতে পারবি না। এখন মনে হয় আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। মেয়েই সঠিক।”
    রাঙ্গাটুঙ্গী থেকে সিঙ্গাপুরে……….!
    মফস্বলের চা দোকানদার লিটন আলী কখনও ঢাকায় আসেননি। কিন্তু ফুটবলের সুবাদে এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম ঘোরা হয়েছে সাগরিকার।
    ২০২৩ সালের এপ্রিলে সিঙ্গাপুরে হয়েছিল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্ব। নারী ফুটবল লিগে পারফরম্যান্সের সুবাদে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পান সাগরিকা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে উঠলে ভিয়েতনামেও খেলেন।
    এসব প্রসঙ্গ তুলতেই বাবা লিটন আলী বলছিলেন, “কোনোদিন ঢাকায় যাইনি। যেতে পারব কিনা জানি না। আমার বংশের কেউ বিমানে চড়েনি, চড়তেও পারতাম না। কিন্তু মেয়ে বিমানে চড়েছে। এর চেয়ে গর্বের কিছু হয় না।”
    যেভাবে সাফের দলে সাগরিকা………..!
    রাঙ্গাটুঙ্গী একাডেমির ফুটবলার সাগরিকা বিকেএসপিতে সুযোগ পেয়েও যাননি। ২০২২ সালে হওয়া ঘরোয়া নারী ফুটবল লিগের সর্বশেষ আসরে জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের নজর কাড়েন। ওই বছর মেয়েদের লিগে খেলেন এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হয়ে। প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে নজরে পড়েন কোচের।
    সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শাহেদা আক্তার রিপাদের মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে লড়াই করে তাদের সারিতে নাম লেখান। প্রথম অংশ নিয়েই লিগে করেছিলেন ১০ গোল।
    গত বছর কমলাপুর স্টেডিয়ামে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফে খেলেছিল রাশিয়া। যে টুর্নামেন্টে গোল পেতে রীতিমতো লড়াই করতে হয় বাংলাদেশকে। ওই টুর্নামেন্টে ভুটানের বিপক্ষে ১ গোল করেন সাগরিকা। রাশিয়া, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ গোল পায়নি। তবে নেপালের সঙ্গে হারতে বসা ম্যাচে বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট পায় সাগরিকার গোলেই।
    এরপর সাগরিকা খেলেন এএফসির দুটি টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে। সেখানেও গোল পেয়েছেন ভিয়েতনামে। ফিলিপাইনের কাছে ৩-১ গোলে হারের ম্যাচে একমাত্র গোলটি সাগরিকার।
    স্বপ্ন পূরণ তাজুল ইসলামের……….!
    নেপালের বিপক্ষে সাগরিকার খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত তাজুল ইসলাম, “এই মেয়েদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তাতে আমি সফল, স্বার্থক। আমার মত এমন নিধিরাম সর্দারের দেশের বিজয়ে অবদান রাখার এর চেয়ে বেশি ক্ষমতা নেই।”
    তাজুলদের মতো সংগঠক আছেন বলেই হয়তো চা-দোকানির সোনার মেয়েরা উঠে আসে এই পর্যায়ে। অবদান রাখে দেশের ফুটবলে।
  • রাণীশংকৈলে চার চোখ ও দুই মাথার ছাগল ছানার জন্ম।

    রাণীশংকৈলে চার চোখ ও দুই মাথার ছাগল ছানার জন্ম।

    আনোয়ার হোসেন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    চার চোখ ও দুই মাথাযুক্ত একটি ছাগলের বাচ্চার জন্ম হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলায়। ঘটনাটি উপজেলার পৌর শহরের ভান্ডারা শান্তিপুর এলাকায়  ঘটনা ঘটে।
    সোমবার (০১ ফ্রেরুয়ারী ) বিকালে ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেলের বাড়িতে একটি ছাগল দুই ছানার জন্ম দেয়, তবে এরমধ্যে একটি অদ্ভুত আকৃতির।
    এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আর ওই বাড়িতে ছাগলে বাচ্চাগুলো দেখতে দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয়রা।
    স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকালে সোহেলের বাড়িতে পালিত এক ছাগল এমন বিরল ছানার জন্ম দেয়। ছাগলটির দুইটি ছানারমধ্যে ১টি অদ্ভুত ও একটি স্বাভাবিক ছিল। একটি ছানার দুটি জোড়া লাগানো মাথা। দুটি মুখ ও চারটি চোখ রয়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য শারীরিক গঠন ঠিক রয়েছে। এমন খবর শুনে এলাকার শত শত মানুষ বাড়িতে ছুটে আসছে।
     সেখানে কথা হয় স্থানীয় ফয়জুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে খবরে দেখেছি চার পা, জোড়া মাথা ইত্যাদি ছাগল ছানা জন্মের। এবার নিজ এলাকায় এমন প্রকৃতির ছাগল ছানা দেখলাম।’
    আরেক ব্যক্তি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ছাগলের ছানার যদি দুটি মুখ হয়। তাহলে সে খাবে কোন মুখ দিয়ে।’
    ছাগলের মালিক সোহেল রানা বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গর্ভবতী ছাগলটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রথম বাচ্চা স্বাভাবিক হলেও পরের বাচ্চাটি অস্বাভাবিক প্রকৃতির হয়। এমন ছাগল ছানা হওয়ায় এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।’
    রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক সাইদুর রহমান বলেন,জিনগত ত্রুটির কারণে এমন বিচিত্র বাচ্চার জন্ম হয়ে থাকতে পারে। যখন অ্যাবনরমাল শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন এ ধরনের বিচিত্র আকৃতির জন্ম হতে পারে। দুই মাথা ও চার চোখ যুক্ত ছাগলের বাচ্চাটি সুস্থ রাখতে ওই ছাগলের মালিককে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
  • রাণীশংকৈলে সরিষা ক্ষেতে থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষীরা।

    রাণীশংকৈলে সরিষা ক্ষেতে থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষীরা।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলের মাঠ এখন সরিষা ফুলে হলুদ রঙে সেজেছে। সে এক অপরূপ দৃশ্য। চোখ মেললেই মন জুড়িয়ে যায়। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে হলুদ গালিচায়। সরিষার রূপ আর গন্ধে মাতোয়ারা চারিধার। মৌমাছি, প্রজাপতির অবিরাম খেলা গ্রামীণ জনপদকে আরো মুগ্ধ করে তুলেছে।  চাষিদের পদচারণায় প্রকৃতি যেমন সেজেছে ঠিক সেই সঙ্গে মেতে উঠেছেন মধু সংগ্রহে মৌয়ালরা। মৌমাছিরা সরিষার ফুলে ফুলে ঘুরে ঘুরে তুলে নেয় মধু, আর সেই মধু সংগ্রহ করতেই যেন মৌয়ালরা উৎসবে মেতেছেন।
    রাণীশংকৈল কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে জমিতে সরষের আবাদ করা হয়েছে। এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬০৫০ হেক্টর জমিতে। যা গতবছরের তুলনায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে এই মৌসুমে বেশি সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মৌচাষিরা সাধারণত পছন্দের একটি সরিষা ক্ষেতের পাশে খোলা জায়গায় চাক ভরা বাক্স ফেলে রাখেন। একেকটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়।
    প্রতিটি মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। বাক্সে একটি রানি মৌমাছি রাখা হয়৷ রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। চাকের বাক্সের মাঝখানের নিচে ছিদ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে।
    উপজেলার গোগর এলাকার মৌচাষি নজরুল ইসলাম জানান, সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ খুবই লাভজনক। এতে কৃষক ও মধু চাষি— দু’পক্ষই লাভবান হন৷ বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত দিন। এরপর মধু চাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের মাধ্যমে মধু বের করে নেন। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাড়তি ফলন পান কৃষক, আর মৌচাষিরা পান মধু।
    উপজেলার বলিদ্বারা,গাজিরহাট নন্দুয়ার, বসতপুর  লেহেম্বা, ধুলঝারি ধর্মগড়, মালিবস্তি কাশিপুরসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে সরিষার ফুল ফুটেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগেই। এসব ফুলের মধু আহরণে নেমেছেন পেশাদার মৌয়ালারা। তাদের বাক্স থেকে দলে দলে উড়ে যাচ্ছে পোষা মৌমাছি। ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুলে ফুলে। আর সংগ্রহ করছে মধু। মুখভর্তি মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা ফিরছে বাক্সে রাখা মৌচাকে। সেখানে সংগৃহীত মধু জমা করে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষা ক্ষেতে। এভাবে দিনব্যাপী মৌমাছিরা যেমন মধু সংগ্রহ করে। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে পুরো জমির পরাগায়নেও সহায়তা করে। এ মৌসুমে মৌয়ালরা পোষা মৌমাছি দিয়ে প্রচুর মধু উৎপাদন করে যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় চাষিরাও বাড়তি আয়ের আশা করছেন।
    উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মালিবস্তি এলাকার মাঠে পোষা মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে আসা বীরগঞ্জ বলাকা মোড়ের পেশাদার মৌয়াল আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পোষা মৌমাছির ৫০টি বাক্স নিয়ে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে এসেছেন। তিনি এ বছর প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ মন মধু সংগ্রহ করতে পারছেন।
    উপজেলার নন্দুযার ইউনিয়নের গাজীরহাট এলাকার মাঠে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে আসা ঠাকুরগাও মুরালিপুরের পেশাদার মৌয়াল আলআমিন হোসেন জানান, তিনি ১৫ দিন ধরে পোষা মৌমাছির ৪৫ টি বাক্স নিয়ে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করছেন। এখানে সরিষার ফুল থেকে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করে প্রতিকেজি ৪’শত টাকা দরে বিক্রি করে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি মৌ মাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় স্থানীয় চাষিরাও খুশি হচ্ছেন।
    এদিকে, সরিষা চাষিরা বলছেন, সরিষা ক্ষেতগুলো সাধারণত দেড় মাসের মতো ফুলে ফুলে ভরে থাকে। যতদিন ফুল থাকে, ততদিনই চলে মধু সংগ্রহ।
    রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম বলেন, তৈলবীজ জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা তৈলজাতীয় ফসল বাড়ানোর জন্য সবধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এই তৈলবীজ উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে লাভজনক শস্যবিন্যাস পদ্ধতিতে একই জমিতে বছরে অধিকবার ফসল ফলানোর কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। এসব উদ্ভাবনী কৌশলে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করানোর ফলে এখন অনেক জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ হচ্ছে। সরিষার আবাদ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। আবার ওইসব সরিষার ফুল থেকে পোষা মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে লাভবান হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পেশাদার মৌয়ালরা।
  • রাণীশংকৈলে শীতার্ত মানুষের পাশে “৯৭ব্যাচের” বন্ধুরা।

    রাণীশংকৈলে শীতার্ত মানুষের পাশে “৯৭ব্যাচের” বন্ধুরা।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁয়ে বেড়েছে শীতের দাপট, কাবু হয়ে পড়ছেন সকল বয়সের নারী ও পুরুষ, অসহায় হয়ে পড়ছেন দরিদ্র ও ছিন্নমুল পরিবারের লোকজন।এবারও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে’৯৭ব্যাচের’  রংপুর ডিভিশন এর বন্ধুরা।
    তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে কাভারসহ লেপ।
    এরই অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় (১৭ই জানুয়ারী) ৯৭ব্যাচের রংপুর ডিভিশন এর বন্ধুদের এর উদ্যোগে রাণীশংকৈল উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে একটি করে লেপ বিতরণ করা হয়।আর মাঘ মাসের কনকনে এই শীতে লেপ পেয়ে উচ্ছ্বসিত শীতার্ত মানুষগুলো।
    রাণীশংকৈল উপজেলার মহল বাড়ী গ্রামের কালাম মিয়া অন্যের জমিতে স্ত্রী-এক কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করেন একটি ছোট কুটিরে।
    ওই গ্রামের চানমিয়া ৯৭ ব্যাচের বন্ধুদের খবর দেয় শীতে প্রচন্ড কষ্টে বসবাস করছে কালামের পরিবার স্ত্রী এক কন্যা নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের জীবন। কথা শুনে ৯৭ব্যাচ সত্যতা যাচাই করে রংপুর ডিভিশন বন্ধু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।
    লেপ পেয়ে কালামের স্ত্রী হাসিনা বলেন- এমন সময় লেপ পামু আশাও করতে পারি নাই কা- তার ছোট মেয়ে কাজল রেখা বলেন- রাতে ভালো করে ঘুমামু আমার বাবা মায়ে তোমাগরের জন্য দোয়া করবো।
    তার পাশের বাড়িতে আফসার চাচা কমোরে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছে একমাত্র কর্মক্ষম মানুষ ঔষধ কেনার টাকা নেই। রাণীশংকৈলের বন্ধুরা তাকে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা দিলে আফসার চাচা বলেন- আসলে তোমাগোরে আল্লাহ ভালই রাখবো।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন-খালিদ ওয়ালীউল্লাহ,ব্যাবস্থাপক ইউনাইটেড কর্মাসিয়াল ব্যাংক,মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ব্যাবস্থাপক এনআরসিবি ব্যাংক,এমএন কবির এনএসআই-, জাহিদুল ইসলাম ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নিউরণ হাসপাতাল ঠাকুরগাঁও, ফিরোজ আহম্মেদ রুপা, রাণীশংকৈল ট্যুরস পরিচালক জিয়াউর রহমান জিয়া,টিপু,মোমিন, খাদেমূল,রহিম,জিয়া প্রমূখ।
    রংপুর ভিভিশনের ৯৭ এসএসসি, ৯৯ এইচএসসির প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ জানায়- রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের মাঝে লেপ বিতরন চলমান রয়েছে।
    তারা আরও বলেন, শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিবছর পাশে থাকবে এই সংগঠন। শুধু শীতবস্ত্র বিতরণ নয়, পাশাপাশি সামাজিক ও বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে রংপুর ভিভিশনের ৯৭ এসএসসি, ৯৯ এইচএসসির বন্ধরা।
  • রাণীশংকৈলে চুরি হওয়া গরু পাওয়া গেল ভুট্টা খেতে।

    রাণীশংকৈলে চুরি হওয়া গরু পাওয়া গেল ভুট্টা খেতে।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার  রাউতনগর ভবানীডাঙ্গী এলাকার বানু নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে চুরি যাওয়া দু’টি গরু উদ্ধার  করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।
    জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে ওই কৃষকের গরু চুরি হলে বাড়ির লোকজন ভোর সকালে টের পায়। তারা চুরি যাওয়া গরু  বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেতে থাকে। পরে
    তারা জানতে পারেন যে তাদের চুরি যাওয়া গরু মধ্য ভান্ডারার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
    পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  সোমবার উপজেলার মধ্যভান্ডারা গ্রামের মাঠের একটিভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে গরু গুলোকে দেখে স্থানীয় লোকজন সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়।
    এসময় রানীশংকৈল থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুটি লাল রঙের গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গরু দুটির মধ্যে একটি বলদ ও বকনা বলে জানান ওই এসআই আশরাফুল ইসলাম।
    রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে ওই কৃষকের অভিযোগ থাকলে থানায় মামলা নেওয়া হবে। অন্যথায় যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মালিককে গরুগুলো দিয়ে দেয়া হবে।
  • হাড় কাঁপানো শীতে কাবু রাণীশংকৈলের জনজীবন।

    হাড় কাঁপানো শীতে কাবু রাণীশংকৈলের জনজীবন।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন রাণীশংকৈল উপজেলার
    দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। হিমেল হাওয়া, কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার কারণে ঘরের বাইরে কেউ তেমন বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
    শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাণীশংকৈলে।
    রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
    শীতল সমীরণ, যা হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় এই সপ্তাহে শীতের অনুভূতিও বেশি ছিল। কনকনে শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
    বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। শীত নিবারণে মানুষকে বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, শাল-চাদর, মাফলার-কানটুপিসহ গরম জামা-কাপড়ের কদর। ফলে বাজারে গরম পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।
    উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। দিনভর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বেড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুদের জ্বর, সর্দি ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ।
    নেকমরদ এলাকার খোকা মিয়া বলেন, ‘ঠান্ডা গাওত কাটি বইসোছে। ঘরোত একটা কম্বলও নাই। রাইতোত খুব কষ্ট হয়। নদী থাকি হু-হু করি ঠান্ডা বাতাস আইসে। এই ঠান্ডা শুরু হইলে হামার গরিবের কামাই কমে, কষ্ট বাড়ে।’
    পৌরশহরের রিকশাচালক আব্দুল মালেক বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে সকাল সকাল দোকানপাট খুলছে না। যেখানে দুপুরের আগে আমি দেড়-দুই শ টাকা ভাড়া পাই, এখন পঞ্চাশ টাকাও হাতে
    আসছে না।’
    এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। শীতে কাতর মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে; বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে।
    কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর শিশু ও বৃদ্ধদের। বাজার ও বাস টার্মিনালে ছিন্নমূল মানুষ অতিকষ্টে শীত নিবারণ করছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে বেশি আসছেন।’যার অধিকাংশ শিশু।
    চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুদের বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখা বাড়বে।
    তবে শীতকালীন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলা শীত বা কুয়াশায় থেকে রক্ষা পেতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও লিফলেট দেওয়ার কথা জানান রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
    ধর্মগড় এলাকার সহিদুল ইসলাম  বলেন, ‘ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা পাইনি। কুয়াশায় চারদিক অন্ধকার হয়ে আছে। এত ঠান্ডা যে, ঘরে থাকা যায় না। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।’
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)রকিবুল হাসান জানান, ‘দরিদ্র শীতার্তদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া সাড়ে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। আরও বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’
  • রাণীশংকৈলে শ্মশান কালী মন্দির ভেঙে দিলেন দুর্বৃত্তরা।

    রাণীশংকৈলে শ্মশান কালী মন্দির ভেঙে দিলেন দুর্বৃত্তরা।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের গন্ডাবাড়ি ঝাঁবোর গ্রামের নালিশী জমিতে শ্মশান কালীসহ মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।

    শ্মশান কালী মন্দিরের সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খগেন রায় জানান, এ এলাকার লোকজন আজ সকালে শ্মশান কালী মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাটি আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে অবগত করি। এবং ট্রিপল নাইন এ ফোন দিয়েছি । কালী মন্দিরটি সরকারের খাস জমিতে থাকায় কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক এ জমি দখল করার জন্য এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে । আমি শ্মশান কালী মন্দির ভাঙ্গার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের শাস্তি দাবী করছি।

    শ্মশান কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ রায় বলেন, ‘এই মন্দিরের ছয়টি ধাম ছিল, ধাম গুলো ভাঙছে  এবং প্রায় ১শ গাছ ছিল এ গাছগুলোও কাটছে।’ তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, ‘ আমরা প্রশাসনের কাছে যেনো সুবিচার পাই।’

    এ বিষয়ে উপজেলার বাচোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ বুধবার সকালে জানতে পারি যে মাঠের মধ্যে থাকা শ্মশান কালী মন্দিরের মূর্তিসহ ঘরের বেড়া ভেঙে ফেলে  যায় দুর্বৃত্তরা। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা এসে পরিদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ  ঘটনা ঘটতে পারে।’

    এলাকা সূত্রে জানা যায়, শ্মশানকালী মন্দিরের এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দুটি পক্ষের মধ্যে মামলা বিবাদ হয়ে আসছে । যার মৌজা- বাচোর, জে,এল নং- ৬১,খতিয়ান নং দাগ নং ০১ (লায়েক জঙ্গল) ৮৮ পরিমান ১.৫৮ একর জমি।

    রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,’ বিষয়টি ওভাবেই রয়েছে, থানায় এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘