Tag: রাণীশংকৈল

  • রানীশংকৈলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে-অভিযোগ অভিভাবকের।

    রানীশংকৈলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে-অভিযোগ অভিভাবকের।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রানীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাসে ঘটেছে। শিক্ষার্থীর শারীরিক আঘাতের পাশাপাশি মুখে ও ঠোঁটে ক্ষত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    জানা গেছে, মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাহসিন আলীসহ সকল শিক্ষার্থীকে রুমে এসে শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ দাড়াতে বলেন। শিক্ষার্থী তাহসিন বে-খেয়ালে দাড়াতে না পারায় তাকে অতর্কিতভাবে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ রায়।
    শিক্ষার্থী তাহসিন জানায়, তাকে ডাস্টার দিয়ে মারার পর সে চরম ভয় পায়। পরে ক্লাস শেষে বাড়ীতে ফিরলে মুখে ঠোট রক্তাক্ত দেখে পরিবারের লোকেরা তার কাছে জানতে চাই। কেন এমন হয়েছে?
    পরে সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
    তাহসিনের চাচা মঞ্জুর আলম বলেন, তার ঠোঁটে ও মুখে রক্তাক্ত দেখে আমরা অবাক হয়েছি। তাকে এ কারণ জিজ্ঞেস করতেই সে কান্না শুরু করে দিয়ে, ঘটনার বিবরণ জানাই। তাহসিনের চাচা বলেন, সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ রায় পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাশ নিতে এসে সকলকে দাড়াতে বলেন, কিন্তু তাহসিন তা খেয়াল না করায়, সে দাড়ায়নি। এ কারণে শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ তাকে প্রথমে পিঠে পরে মুখে ও ঠোটেঁ ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন। সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথের এমন অনেক ঘটনার অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রযোজনীয় ব্যবস্থা না হওয়ায়, সে বেপোরায়া হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের প্রায় সময় এমন মারপিট দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।
    রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা চিকিৎসক ফিরোজ আলম বলেন, শিশু শিক্ষার্থী তাহসিনের মুখের থুতনি ও ঠোটেঁ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাণীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে বলেন, এমন কোন ঘটনা তিনি ঘটনানি। যদি ঘটতো তাহলে তো বিদ্যালয়ের প্রধানরাসহ অন্যরা জানতো, অভিযোগ হতো। এই ঘটনাকে তিনি পূর্ব শুত্রুতার জেরে সাজানো বলে দাবী করেছেন।
    রাণীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) ছেলিমা সিদ্দিকার মন্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।
    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাত করা যাবে না। এমন পরিপত্র রয়েছে। তারপরেও কেউ যদি অহেতুক আঘাত করে তাহলে এটি ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান(ইউএনও) অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি থানায় বলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
  • রাণীশংকৈল টংকনাথ জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজের উদ্বোধন:স্বস্তির হাসি মানুষের মুখে।

    রাণীশংকৈল টংকনাথ জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজের উদ্বোধন:স্বস্তির হাসি মানুষের মুখে।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কুলিক নদীর পাশে অবস্থিত রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়ি। অযত্ম-অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে রাজবাড়িটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছিলো এটি। তবে সম্প্রতি জমিদার বাড়ি পরিদর্শন শেষে এর সংস্কার
    ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের শুভ উদ্বোধন
    করা হয়েছে।
    সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন।
    সেইসঙ্গে এটিকে পর্যটন স্পট করার ঘোষণা দেন। এমন খবরে স্বস্তির হাসি ফুটেছে সর্বস্তরের মানুষের মুখে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন প্রমুখ।
    ২০১৯ সালে গেজেট হওয়ার পরও রাজবাড়ির সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, এটি সরকারি গেজেটেড একটি স্থাপনা। এর মাধ্যমে সরকার আয় করতে পারেন। সংস্কার না হওয়ার কারণে এটি বিলীন হয়ে যাচ্ছিলো। আর এটি সংস্কারের পাশাপাশি একটি পর্যটন কেন্দ্র হলে বিনোদন মিলবে।
    তিনি আরও বলেন, গেজেটেড হওয়ার পর কাজ শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের করি। পরে ২৯/০৮/২০২২ তারিখে শুনানি হলে বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ‘রাজবাড়ি কেন সংস্কার, সংরক্ষণ, মেরামত ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে না’ মর্মে আঞ্চলিক পরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বগুড়াকে রুল এবং ডিরেকশন দেন। এই নির্দেশনার প্রেক্ষাপটে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে আজ জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হল।
    হাইকোর্টের নির্দেশে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ জমিদার বাড়িটি প্রাথমিক সংস্কারের জন্য ১০ লাখ টাকা দরপত্র আহ্বান করেন। চুক্তি বদ্ধ হয়ে সংস্কারের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার মেসার্স বকুল ট্রেডার্স।
    সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, পুরোনো ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চিন্তা থেকেই হাইকোর্টের নজরে জরাজীর্ণ রাজবাড়ীটির সংস্কারের বিষয়টি তোলা হয়েছিল।
    রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার বয়স ৭০ বছরের বেশি। ছোটবেলা থেকে রাজবাড়িটি দেখে আসছি।  ধীরে ধীরে এটি ভঙ্গুর থেকে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শুনলাম প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের লোকজন রাজবাড় কাজ শুরু করেছেন তারা। এটি জেনে খুব ভালো লাগছে।
    স্কুলশিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ি সংস্কারের জন্য আমরা বার বার দাবি তুলেছি। মাদকসেবনের জন্য এটি একটি অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছিলো। অবশেষে একটি সুখবর পেলাম। আমরা এর সুবিধা না পেলেও পরবর্তী প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করবে বলে আমরা আশা করছি।
  • রাণীশংকৈলে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য ওয়াসিম সহ ও গ্রেপ্তার-২।

    রাণীশংকৈলে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য ওয়াসিম সহ ও গ্রেপ্তার-২।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউপি সদস্য ওয়াসিম (৩৫) ও সহযোগী শাহীনুর (২৮) কে চাঁদাবাজি ও মোটরসাইকেল চুরির অপরাধে গত শনিবার ৯ মার্চ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
    আজ রবিবার (১০ মার্চ) তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের চোপড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মুনির ইসলাম (২০) গত ৪ মার্চ বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে বাকসা-সুন্দরপুর এলাকা দিয়ে যাবার সময় ইউপি সদস্য ওয়াসিম ও তার লোকজন মুনিরের পথরোধ করে।
    তারা মুনিরকে বেধড়ক মারপিট করে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। তার দুদিন পর, গত ৬ মার্চ ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা মুনিরের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। টাকা না দিলে মোটরসাইকেল ফেরৎ দেওয়া হবেনা বলে তারা জানায়। তারা মুনিরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে মুনির গত ৯ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওইদিনেই পুলিশ ওয়াসিম ও শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
  • রাণীশংকৈলে ‘কুলিক’ নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন।

    রাণীশংকৈলে ‘কুলিক’ নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ‘কুলিক’ নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে হরিপুর উপজেলায় বাংলাদেশ অংশে পড়েছে।
    বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় রয়েছে। এছাড়াও নদীটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। রাজা টংকনাথের রাজপ্রাসাদ এই নদীর তীরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। যার দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ৬.৩৬ কি মি এবং ভারতের অংশে ৭৫.৬৪ কি মি। নদীটি ভুটডাঙ্গী এলাকায় প্রস্থ ১০০ মি এবং সেখানে এর গভীরতা ৩০ মি ও অববাহিকার আয়তন ১৫০ বর্গ কি মি।
    একসময় এই নদীতে নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার চললেও বর্তমানে এগুলো চলাচলের কোন দৃশ্য চোখে পড়ে না। সময়ের আবর্তনে একসময়ের চিরযৌবনা নদীটি হারিয়ে ফেলেছে তার স্বরূপ ও সৌন্দর্য।
    কুলিক নদীর মূল ধারাকে দখলমুক্ত করা এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র রক্ষার দাবিতে শনিবার (৯ মার্চ) সকালে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক রাণীশংকৈল ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, সাবেক পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম (ভিপি) প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সভপতি হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক আরথান আলী, যুগ্ন সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন, ছাত্রলীগ নেতা তামীম হোসেন প্রমুখ।
    এসময় মানববন্ধনে বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ‘কুলিক’ নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননকার্য পরিচালনা করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, নদীর দুই পাড়ের ভাঙ্গন রোধে ব্লকপাথর দিয়ে বাধাঁই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, কুলিক নদীর দুই পাড়ে পর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপন করার মাধ্যমে বনায়ন কার্যক্রম সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা, নদীর দুই পাড়ের দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে নদীর সৌন্দর্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুলিক নদীকে পর্যটক বান্ধব নদীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন, কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ কুলিক নদীতে ফেলা হইতে বিরত রাখতে হবে।
    যেহেতু বাংলাদেশের নদ-নদী সমূহ দেশের জাতীয় সম্পন্ন এবং নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষন, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষন, অবৈধ অবকাঠামো নির্মান ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার ও নদীর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ নিশ্চিতকল্পে বিধি বিধান রয়েছে। এটি এখন রাণীশংকৈল বাসীর জন্য সময়ের দাবী বলেও বক্তারা জানান।
    ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা আরও  বলেন, কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করতে হবে। এবং কুলিক নদীকে অতিথি পাখির নিরাপদ অশ্রয়স্থল অনিশ্চিত করতে হবে।
  • রাণীশংকৈলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু। 

    রাণীশংকৈলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু। 

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    চলন্ত মোটরসাইকেলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে পথচারী এক দলিল লেখক নিহত হয়েছেন।
    শুক্রবার (০৮ মার্চ) দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলার কুমারগঞ্জ বাজারের সামনে বালিয়াডাঙ্গী-রাণীশংকৈল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    মৃত মোটর সাইকেল চালক ইসমাইল হোসেন (৪৫) বালিয়াডাঙ্গী  উপজেলার
    ভানোর ইউনিয়নের  বিশ্রামপুর গ্রামের বাসিন্দা জমিরুলের ছেলে । তিনি লাহীড়ি ভূমি রেজিট্রি অফিসের দলিল লেখক ছিলেন।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    নিহতরে চাচাতো ভাই মকিম উদ্দিন সরকার বলেন, ইসমাইল হোসেন নেকমরদ বাজারে কাজ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে রাণীশংকৈলে তার শ্যালিকার বাড়ি যাচ্ছিলেন। আর কুমারগঞ্জ এলাকায় সড়কের ধারে গাছ কাটছিলেন দুইভাই মিলে। এসময় গাছটি হঠাৎ সড়কে তার মাথার উপরে পরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন তিনি।
    তিনি আরও বলেন, যারা গাছ কাট ছিলেন তাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল ও সড়কে চলাচলকারি যানবাহনদের ব্যরিকেট দিয়ে থামিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। যে গাছটি আগে কাটা শেষ হয়ে পরে যাক তারপরে চলাচলকরিদের যেতে দেওয়া উচিত ছিল। তাদের অসচেতনার জন্য আজকে আমার ভাইকে প্রাণ দিতে হল।
    রাণীশংকৈল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, কুমারগঞ্জ এলাকার মো. কামাল উদ্দিন। বাড়ির পাশে ও সড়কের ধারে একটি নিম গাছ কাটছিলেন। এসময় গাছটি পরে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সড়কের ধারে গাছ অর্থাৎ সেটি সরকারি জায়গার গাছ। সড়ক ও বন অধিদপ্তরের কোন অনুমতি না নিয়ে এভাবে গাছ কেউ কাটতে পারে না। এভাবে গাছ টাকা অন্যায় হয়েছে। তারপরেও আবার অসর্তকতার জন্য প্রাণ দিতে হলো একজন মানুষকে।
    স্থানীয়রা জানায়, কুমারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মৃত রোস্তম আলীর দুই ছেলে কামাল ও শাহজামাল মিলে মহাসড়কের পাশে লাগানো সরকারি একটি গাছ কাটতেছিলো।
    এসময় মোটরসাইকেল চালক ইসমাইল মহাসড়কের ওই এলাকার কাছাকাছি গেলে তার মাথার ওপর হঠাৎ সেই গাছের কাটা ডাল ভেঙে পড়ে। এতে মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাণীশংকৈল  হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, গাছ কাটার সময় অসতর্কতার জন্য এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনিপ্রক্রিয়া চলছে এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • রাণীশংকৈলে সরকারি রাস্তা জবর দখল করায় সাংবাদিক সম্মেলন।

    রাণীশংকৈলে সরকারি রাস্তা জবর দখল করায় সাংবাদিক সম্মেলন।

     ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের গন্ডগ্রাম আমপাথারী নামক গ্রামে আবু হানিফের ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব ইব্রাহীম আলীর সভাপতিত্বে গত ৪মার্চ সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে অভিযোগ পাঠ করে শুনান স্কুল শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।

    প্রকাশ থাকে যে, একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক , আব্দুল মোমিন, ও জুলকার নাইনসহ  সম্মিলিত ভাবে সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৮শতাংশ জমি রাস্তা সম্পূর্ণ রুপে বেড়া দিয়ে জবর দখলে করে রেখেছে।

    উলেখ্য যে, ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাঁহ মাঠে আসা যাওয়া করতো।

    এ ব্যাপারে রাস্তা উদ্ধারের জন্য ১২১জন গ্রামবাসীর গনস্বাক্ষরে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে রাস্তা উদ্ধারে লাল নিশান ও সিমানা পিলার দিয়েছেন।

    জবর দখলকারীরা রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছি দিব বলে কালক্ষেপণ করেই চলেছেন। জবরদখলকারীরা মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাঁহ এী মুসল্লিদের উপর মিথ্যা মামলা করার হুমকি প্রদান করছে।

    এ প্রসঙ্গে  ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, সরকারি রাস্তা আমরা বের করবো, তাদের নিজস্ব যে জমিজমা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ৫ জন সার্ভেয়ার মাপ যোগ করেছে। কিন্তু আব্দুল মোমিনের লোকজন তা মেনে না নেওয়ায় বিষয়টি ঝুঁলে রয়েছে।

    এব্যপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ আমি পেয়েছি, তাদের দুইপক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    “স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার” এই শ্লোগানে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪।

    এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক পদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদের হলরুমে গিয়ে শেষ হয়।

    পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান।

    এসময় চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, প্রকৌশলী দপ্তরের হিসাব রক্ষক কামরুল জাম্মান কামুসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহন করেন। আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বক্তারা।

  • রাণীশংকৈলে অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি অফিসে উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা।

    রাণীশংকৈলে অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি অফিসে উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া হলেও তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ সরকারি অফিসেই উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। অনেকে বলছেন-জাতীয় দিবসে সরককারি,
    বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার সামিল।
    যার মধ্যে রানীশংকৈলে ৭টি সরকারী দপ্তরে তোলা হয়নি জাতীয় পতাকা। বুধবার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি স্ব-স্ব সরকারী,বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নির্মিতভাবে তোলার নির্দেশনা থাকলেও বিশেষ করে তা মানেননি রানীশংকৈল উপজেলার এই সাতটি দপ্তর।
    দপ্তরগুলো হলো,উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,উপজেলা সমবায় অধিদফতর, উপজেলা হিসাবরক্ষন অধিদফতর, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতর, উপজেলা পরিসংখ্যান অধিদফতর ও উপজেলা তথ্য কেন্দ্র তথ্য আপা দপ্তর। এদিকে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলা নির্বাচন দপ্তর ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদফতরে বেলা সাড়ে ১১টায় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
    এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আবু সায়েম বলেন,বিধি মোতাবেক পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল। ২০১০ সালে সংশোধিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন আইন অনুযায়ী জাতীয় পতাকা অবমাননায় সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত শাস্তি এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নাই।
    সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, শহীদ দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা তোলা হয় না, এটা ভাবা যায়। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক।
    এ বিষয়ে  রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন,দেশে আইন আছে প্রয়োগ নেই। বিজয় দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি এটা মেনে নেয়া যায় না।
    এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রকিবুল হাসান জানান, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব তারা এখন পতাকা উত্তোলন করেছে।
  • রাণীশংকৈলে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।

    রাণীশংকৈলে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।
    তাই ২১শে ফ্রেরুয়ারী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যেতে হয় আশপাশের কোনো শহীদ মিনারে। অনেকে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে শ্রদ্ধা জানায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, নিজ প্রতিষ্ঠানে একটি শহীদ মিনারের। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর।
    এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্বাধীনতাকামী মানুষেরা। তারা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা জানবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই। ভাষা আন্দোলনের প্রতিক শহীদ মিনার দেখে তারা পাঠ্য বইয়ের সাথে মিলিয়ে সংগ্রামী ইতিহাস মনে ধারণ করবে। অথচ সে ধারণ থেকে অনেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকার কারণে বলে মনে করছেন স্বাধীনতাকামী মানুষেরা।
    উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ২৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারমধ্যে ১২টি কলেজ, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। ২৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলেও বাকিগুলোতে নেই।
    ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারের মধ্যে মাত্র ৪টি কলেজে,১৮টি মাধ্যমিকে ও ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে ১টিতেও নেই শহীদ মিনারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
    এ ছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক কিন্ডার গার্টেন। এগুলোর একটিতেও নেই কোনো শহীদ মিনার, বেশিরভাগ এসব কিন্ডারগার্টেনে থাকে না একুশে ফেব্রুয়ারির কোন কর্মসুচি।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও রয়েছে অযত্ন-অবহেলায়।
    সপ্তাহব্যাপী ঘুরে দেখা যায়, ১৫৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুদ্বিজীবি স্মৃতিস্তম্ভ ছাড়া ১৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনটিতেও নেই শহীদ মিনার। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রাণীশংকৈল সরকারী বালিকা, নেকমরদ সরকারী আলিমুদ্দিন, পাইলট, রাউতনগর, কাতিহার, মীরডাঙ্গী, গোগর আব্দুল জব্বার, গাজীরহাট, রাতোর, মহারাজা, ভরনিয়া, হাজী দবির উদ্দীন চৌধুরী, ধুলঝাড়ী, চোপড়া দোশিয়া সিডিও কাশিপুর বটতলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ১৫টি বিদ্যালয়ের ছাড়া ৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭ টি বিদ্যালয়ে এবং ১২টি কলেজের মধ্যে ডিকে মহাবিদ্যালয়, রাণীশংকৈল ডিগ্রী ও নেকমরদ বঙ্গবন্ধু কলেজে ছাড়া বাকী ৯টি কলেজ নেই শহীদ মিনার এবং উপজেলা জুড়ে মোট ১৯টি মাদ্রাসার একটিতেও নেই শহীদ মিনার নেই। এছাড়াও কিন্ডারগার্ডেন গুলোতেও নেই ভাষা শহীদদের স্মৃতি সম্বন্বিত প্রতিক শহীদ মিনার।
    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তা-ও করা হয় না বলে জানা গেছে।
    বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককসিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা। শহিদদের স্মরণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তাদের।
    প্রশাসন বলছে সরকারি বরাদ্দের কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শহীদ মিনার করতেই হবে, তাই নিজ উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হচ্ছে তাদের।
    শহীদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন হয় না।’
    রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’
    রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি  আনোয়ার হোসেন আকাশ বলেন, শহীদ মিনার দেখে নতুন প্রজন্মের কৌতুহুল জাগবে । সেই কৌতুহুল থেকে তারা জানবে বাংলা ভাষার ইতিহাস সংগ্রামের কথা। অথচ দেশ উন্নয়ন হলেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার না হওয়া দুঃখজনক। অবিলম্বে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের প্রতি ছড়িয়ে দিতে এবং বাংলা ভাষার গুরত্ব বুঝাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার স্থাপন করার দাবী জানান
    মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. তোবারক হোসেন বলেন,স্থানীয়ভাবে অর্থ ব্যয় করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব না। সরকারীভাবে বরাদ্দ হলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন বলেন, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। সরকারীভাবে সহযোগিতা পেলে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে বলে।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রকিবুল হাসান বলেন,প্রতিটি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের প্রধান ও স্কুল পরিচালনা কমিটিকে আলোচনা করে উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গ্রেফতার।

    রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গ্রেফতার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক গ্রাম পুলিশকে বেদড়ক মারপিট করার অপরাধে ইউপি সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ ।
    জানা যায়, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে নেকমরদ বাজারে  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামসহ তার ছেলে রুবেল ইসলাম ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায়কে অতর্কিত ভাবে বেদড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
    এঘটনায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বাদি হয়ে দবিরুল ইসলাম সহ তার ছেলেকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
    অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায় ইকো সোশ্যাল অর্গানাইজেশন(ইএসডিও) বে-সরকারী ঋণ বিতরণ এনজিও থেকে ১ বছর আগে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সে টাকার কিন্তি পরিশোধের সময় অতিবাহিত হয়ে পড়ে। এনজিও কর্মকর্তাদের চাপের মুখে সে ইউপি সদস্য দবিরুলের মধ্যস্থতায় ইএসডিও এনজিও’র সর্বশেষ ৯ হাজার পাওনা টাকা ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দেন।
    ইএসডিও’র ব্যবস্থাপক সে টাকা জমা না করে, অন্যত্রে বদলি হয়ে পড়েন। ব্যবস্থাপকের কাছে কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার কোন  প্রমাণ না থাকায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথকে আবারো ৯ হাজার টাকা ইউএসডিও কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়। এদিকে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদে এক সভায় ওই ব্যবস্থাপককে দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ। এবং সেদিন লোকজনের উপস্থিতি বেশি থাকায় তিনি তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেননি বলে জানান ইউপি সদস্য দবিরুলকে।
    গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়ের এমন কথায় ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে বেধরক মারপিট করে । এসময় গ্রাম পুলিশের পোষাক পরিহিত ছিল। তার পোষাকের বিভিন্ন অংশেও ছিড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে।এবং সাথে থাকা টাকাও ছিড়ে দেন।
    সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে  ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি একটি মাত্র থাপ্পড়  দিয়েছেন।
    সংশ্লিষ্ট নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি দু:খ জনক। গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হওয়ার তা হবে।
    থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।