Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলে বীরাঙ্গনা হুনুফা’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন।

    রাণীশংকৈলে বীরাঙ্গনা হুনুফা’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন।

    রাণীশংকৈলে বীরাঙ্গনা হুনুফা’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন।


    ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈল উপজেলার বীরাঙ্গনা হুনুফা বেগম (৭৫) রবিবার (২০ মার্চ) বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে সকালে  ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী।

    আজ দুপুরে নিজ বাড়িতে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানো হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রব্বানী, থানা পুলিশ, বীরাঙ্গনা, মুক্তিযোদ্ধারাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

    তিনি দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

  • রাণীশংকৈলে ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়র গ্রেপ্তার। 

    রাণীশংকৈলে ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়র গ্রেপ্তার। 

    রাণীশংকৈলে ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়র গ্রেপ্তার। 


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়  মাদকদ্রব্য ৪৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

    শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার নেকমরদ পুরাতন গরুহাটিতে আমির হোসেন নামে ৪৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

    ইয়াবাসহ আটক  আমির হোসেন (৩৬)উপজেলার নেকমরদ পুরাতন গরুহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

    রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি)এস এম জাহিদ ইকবাল এর নেতৃত্বে এসআই/ এরশাদ আলী, এএসআই নুরে আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযানে আটক আমিরের কাছ থেকে এসময় ৪৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।

    আটক আমিরের থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করে তাকে জেলা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    থানা পরিদর্শক (ওসি)এসএম জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪৭৫টি ইয়াবা ট্যবালেট একজনকে গ্রেপ্তার  করা হয়েছে। এবং আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু।

    রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু।

    রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু।


    ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে নদী দেখতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাস্টার বলেন, শবেবরাত এর ছুটিতে ঢাকা থেকে দাদির সঙ্গে গ্রামে বেড়াতে আসে দুই বোন।

    নিহতরা হলেন- সানজিদা আক্তার (১০) ও সুমনা আক্তার (৬)। নিহতরা রানীশংকৈল উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে শাহজাহান আলী মেয়ে। শাহাজান আলী ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্য শিশুদের সঙ্গে তারা কুলিক নদী দেখতে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায় ছোটবোন। এসময় বড়বোন তাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও নদীতে ডুবে যায়। সঙ্গে থাকা শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে নিহতদের চাচা তাদের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেন।

    এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এম এস জাহিদ ইকবাল বলেন খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পোঁছেছি। পরে মরদেহ উদ্ধার করে মৃত দুই বোনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    ওসি আরও জানান পারিবারিক ভাবে কোন অভিযোগ না থাকা মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

  • রাণীশংকৈল রামরাই দিঘী বিনোদন পার্কের উদ্ধোধন।

    রাণীশংকৈল রামরাই দিঘী বিনোদন পার্কের উদ্ধোধন।

    রাণীশংকৈল রামরাই দিঘী বিনোদন পার্কের উদ্ধোধন।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের ঐতিহ্যবাহী রামরাই দিঘীতে নতুনভাবে গড়ে তোলা বিনোদন পার্কের উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রশাসন।

    সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ’র সভাপতিত্বে বিনোদন পার্ক উদ্ধোধনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রভাষক প্রশান্ত বসাকের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্কের শুভ উদ্বোধন করেন রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার সম্পাদক মহাদেব বসাক উপজেলা বরেন্দ্র সহকারী প্রকৌশলী তিতুমীর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন, জমিরুল ইসলাম ঠিকাদার আব্দুল্লাহ আল তারেক লিপু  ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মী প্রমূখ।

    বক্তব্য প্রদানকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, রামরাই দিঘীকে নতুন ভাবে সৌন্দর্য বর্ধন করে এটি বিনোদন পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।  ইতিমধ্যে আমরা দুইটি ঘর নির্মাণ করেছি এখানে পিকনিকে আসা অতিথিরা এটি অগ্রিম বরাদ্দের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এখানে আরাম আয়েশ বিশ্রাম করতে পারবেন। যা এর আগে অথিতিদের জন্য কোনরকম এসবের ব্যবস্থা ছিল না।

    অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না বলেন রামরাই দিঘীকে বিনোদন পার্ক হিসেবে এটিকে আমরা নতুন ভাবে সাজাতে চাই।  এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে আসা সকল অতিথিরা নতুন ভাবে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।

    উল্লেখ্য..উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁও মৌজায় রামরাই দিঘী অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে ৩ কি:মি: দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। পুকুরটি ১৮.৩৪ একর সু-উচ্চ পাড় ও ২৩.৮২ একর জলভাগ সহ মোট ৪২.২০ একর বিশিষ্ট।

    রামরাই দিঘি বরেন্দ্র ভূমিতে প্রাচীন জলাশয়গুলির মধ্যে আয়তন ২য় বৃহত্তম।পুকুটির দৈর্ঘ্য উত্তর -দক্ষিণে ৯০০মিটার ও প্রস্থ পূর্ব- পশ্চিমে ৪০০মিটার।

    পুকুরটিকে কেন্দ্র করে ২০০৩ সালে রাণীসাগর ফাউন্ডেশন নামে একটি সেচ্ছসেবী প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। উক্ত ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে পুকুরটির পাড়ে ১২০০এর অধিক লিচু গাছ সহ অন্যান্য ফলবান বৃক্ষ ও বিভিন্ন ভেষজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়েছে।

    চারিদিকে সবুজের বিশাল সমারোহ ও দিঘীর টলটলে জলরাশি দেখলে যেকোন প্রকৃতি প্রেমী মুগ্ধ না হয়ে পারে না। পাড়ের লিচু গাছে ও দিঘীর পানিতে বিভিন্ন বর্ণালী পাখির কুজন রামরায়-এর সৌন্দর্যকে আরো অধিক আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

    রাণীশংকৈল রামরাই দিঘী ঠাকুরগাঁও জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ দিঘী।দিঘীটি পাঁচশ থেকে হাজার বছরের পুরাতন হতে পারে। এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি।

    তাছাড়া এবৃহৎ জলাশয়টিকে বিনোদন পার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য উপজেলা প্রসাশন হতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবং শোভা বর্ধনের কাজগুলি সমাপ্ত শেষে আজ এটি বিনোদন পার্ক হিসেবে উদ্ধোধন করা হয়েছে।

    কেউ চাইলে দেশের যেকোন জেলা থেকে এখানে আসতে পারবেন। রাণীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৩ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা।

  • রাণীশংকৈলে ভোজ্যতেলের পাঁচ লিটারের বোতল উধাও।

    রাণীশংকৈলে ভোজ্যতেলের পাঁচ লিটারের বোতল উধাও।

    রাণীশংকৈলে ভোজ্যতেলের পাঁচ লিটারের বোতল উধাও।

    রমজান মাস শুরুর আগেই সয়াবিন আর পেঁয়াজের বাজারে ‘সংযম’ ভেঙে পড়েছে। সয়াবিনের সঙ্গে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। ‘সরবরাহ নেই’ অজুহাত তুলে বাজার থেকে ভোজ্যতেলের পাঁচ ও তিন লিটারের বোতল উধাও হয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটি দেখা গেছে।

    ক্রেতারা বলছেন, তারা পাঁচ লিটার সয়াবিন কিনতে গেলে দুটি দুই লিটার এবং একটি এক লিটার বোতল ধরে দিচ্ছেন দোকানিরা। এতে তাঁদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। এদিকে রোজার আগেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলছেন ক্রেতারা।
    পৌরসভার পাইকারি বাজারে গিয়ে যায়, প্রত্যেক দোকানে এক লিটার ও দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া গেলেও তিন লিটার ও পাঁচ লিটার বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। দু’একটি দোকানে একটি কিংবা দুটি বোতল পাওয়া গেলেও তারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি বোতলে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দাবি করছেন।
    নেকমরদ বাজারের মুদি দোকানদার বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমার কিছু করার নাই। আমি নিজে বেশি দামে কিনেছি। কোম্পানি বেশি দাম নিলে আমি কী করব। সরবরাহ না থাকলেও ক্রেতা ধরে রাখার জন্য আমাকে ম্যানেজ করে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
    আলতাফ নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি প্রতি মাসে ৫ লিটার সয়াবিন কিনলেও আজ কোথাও ৫ লিটার আর তিন লিটার বোতল পাচ্ছেন না। একাধিক বোতল নিলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলার তীর সয়াবিন তেলের ডিলার নিশারউদ্দীন জানান, তারা কোম্পানির অনুকূলে টাকা পাঠিয়েও চাহিদা অনুযায়ী পাঁচ লিটার ও তিন লিটার বোতলের সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। দুই দিন ধরে তাঁদের স্টকে এই পরিমাপের সয়াবিন বোতল নেই। ফলে তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছেন না।
    এদিকে সয়াবিনের সঙ্গে তাল রেখে পেঁয়াজের বাজারও অস্থির হয়ে উঠছে। পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম এক দিনে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার অজুহাত তুলে কেজিতে ৮/৯ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজার আরও চড়া। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং এলসি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
    পাইকারি আড়তদার আমিনুল ইসলাম বলছেন, ‘ঠাকুরগাঁও মোকামে দাম বেড়েছে। আমরা যেমন দামে কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। আর বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের খেতে ক্ষতি হয়েছে। ফলে সরবরাহ কমে গেছে, এ জন্য দাম বাড়ছে।’
    কৃত্রিম সংকট নিরসন ও রমজানকে সামনে রেখে বাজার তদারকি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ শাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বাজার তদারকি বাড়িয়েছি।’
  • রাণীশংকৈলে শিক্ষকের বাসায় শিক্ষার্থীর অনশন; অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!

    রাণীশংকৈলে শিক্ষকের বাসায় শিক্ষার্থীর অনশন; অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!

    রাণীশংকৈলে শিক্ষকের বাসায় শিক্ষার্থীর অনশন; অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার শতবর্ষী সুনামধন্য পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা)’র অপসারণ চেয়ে স্কুলগেট ও উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা।

    তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা) উপজেলার দৌশিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।

    মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও অভিভাবকদের দাবি ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে নিয়মিত শারিরীক সম্পর্কও স্থাপন করেন তিনি।

    ওই ছাত্রীকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন শিক্ষক তৌহিদুল ও তার পরিবার। এই খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ৩ দিন ধরে অনশন শুরু করেন। এসময় তৌহিদুলের পরিবারের লোকজন ঐ ছাত্রীকে নির্যাতন করেন। এসময় সহপাঠীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অনেক নির্যাতন মারধোর করা হয় বলে জানান স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

    পরে নিরুপায় হয়ে বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    এরআগে সকালে পাইলট স্কুলের দক্ষিণ গেটের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের প্রধান সড়ক হয়ে আবার উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন।

    মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তৌহিদুলের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন আমরা মেয়ে শিক্ষার্থীরা সেই শিক্ষকের হাত থেকে নিরাপদ নয়, তাকে অপসারণ করে যেন স্কুল কমিটি আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।

    শতবর্ষী সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভূগছেন।

    শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন এমন শিক্ষক সেই স্কুলে থাকলে আমরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকবো আমাদের সন্তানদের নিয়ে। তাই এমন লম্পট শিক্ষককে চিরতরে অপসারণ না করলে আমারাও আমাদের সন্তানদের সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো না।

    এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুলের মোবাইল ফোনে একাধিকার ফোন দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

    এবিষয়ে পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি আগে জানতাম না এখন জেনেছি এবং শুনেছি। এটির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি।  বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে খতিয়ে দেখা হবে।

  • রাণীশংকৈল নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি আল আমিন সম্পাদক সুমন পাটোয়ারী।

    রাণীশংকৈল নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি আল আমিন সম্পাদক সুমন পাটোয়ারী।

    রাণীশংকৈল নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি আল আমিন সম্পাদক সুমন পাটোয়ারী।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ১১৮৯’র ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    শুক্রবার (৪ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলে। উৎসবমুখর পরিবেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকসহ স্থানীয় প্রশাসন ও সুধীজনরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।

    নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকসহ ৭ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৪টি পদে ভোট গ্রহন হয়। চারটি পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    নির্বাচনে আল আমিন ছাতা প্রতিকে ৮০২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচন হন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুবেল হোসেন চেয়ার প্রতিকে পেয়েছেন ৬৭০ ভোট।

    অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলম সর্দার মিকচার মেশিন প্রতিকে ৮২৭ ভোটে নির্বাচিত হন, প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুজ্জামান হাতুরি প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৫৪৩,প্রচার সম্পাদক পদে মোবারক হোসেন গোলাপ ফুল প্রতিকে ৭১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিরুল ইসলাম মাইক্রোবাস প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৬২৮ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আল আমিন দেওয়াল ঘড়ি প্রতিকে ৮৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, প্রতিদ্বন্দ্বী হেলাল বাদশা ক্রিকেট ব্যাট বল মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৮০।

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন সাধারণ সম্পাদক পদে সুমন পাটোয়ারী, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাজল, সহ-সভাপতি মনির হোসেন, সহ-সম্পাদক মুক্তার হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবুল হোসেন, কার্যকরী সদস্য নিরেন চন্দ্র রায় ও দপ্তর সম্পাদক মো. দুলু।

    ভোটগ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং অফিসার সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া ও সদস্য সচিব খুরশিদ আলম শাওন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

    সংগঠনের নির্বাচন কমিশনার রমজান আলী বলেন, মোট ১১ পদের মধ্যে ৭টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে প্রার্থীরা। বাকি চারটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু সুন্দর এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

  • রাণীশংকৈলে অযত্ন অবহেলায় নাথ সাহিত্যের গোরক্ষনাথের মন্দির।

    রাণীশংকৈলে অযত্ন অবহেলায় নাথ সাহিত্যের গোরক্ষনাথের মন্দির।

    রাণীশংকৈলে অযত্ন অবহেলায় নাথ সাহিত্যের গোরক্ষনাথের মন্দির।


    রক্ষণাবেক্ষণে অবেহলা, অযত্ন আর নিয়মিত তদারকির অভাবে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রাচীন গোরকই আশ্রম,দুর্গা ও শিব মন্দির। দায়িত্বে থাকা লোকজনের অবহেলার কারণে মন্দিরটির ভিতরে বছরজুড়ে থাকে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ। সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত মেলার সময় শুধু কদর বাড়ে মন্দিরটির।অন্য সময়ে খোঁজ খবর রাখেন না উপজেলা প্রশাসনের লোকজন কিংবা মন্দির পরিচালনা কমিটির কেউই।

    এবছরে ২ মার্চ বুধবার  মেলা শুরু হয়ে ৮ মার্চ শেষ হবে। মেলার শুরুতেই বিভিন্ন জেলার মানুষের ঢল নেমেছিল।

    স্থানীয়রা বলছেন,দীর্ঘদিন ধরে দেখছি এখানে প্রতিবছর মেলা হয়, তবে গোরক্ষরাথ মন্দিরের তেমন উন্নয়ন হয় না।

    উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে নেকমরদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোরকই গ্রামে অবস্থিত এ প্রাচীন মন্দিরটি। গোরক্ষনাথ নামের সাথে কূপটির নাম যুক্ত হয়ে গোরক্ষকূপ থেকে গোরকই নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়। গোরক্ষনাথের মহিমা প্রচারে নাথ সাহিত্যের কারণে বাংলা সাহিত্যে গোরক্ষনাথ নামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গোরক্ষনাথ এ অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন না। তিনি যে ভ্রমনকারী সিদ্ধপুরুষ সন্ন্যাসী ছিলেন এ ধারণাকে ইতিহাস সমর্থন করেন।

    গোরকই নাথ আশ্রমের মন্দির পাঁচটি কয়েক দফায় সংস্কার করা হয়েছে। সম্ভবত পুরাতন মন্দিরের উপর সর্বশেষ ঊনিবিংশ শতাব্দীতে বর্তমান মন্দিরগুলো নতুন করে নির্মাণ করা হয়। নাথগুরু গোরক্ষনাথের সাথে গ্রামের নামটি স্মৃতি বিজড়িত। এই গ্রামে নাথ আশ্রমে পাঁচটি মন্দির ও একটি ব্যতিক্রমধর্মী অতি প্রাচীন কূপ রয়েছে। গোরক্ষনাথের সময় নির্ধারণ করতে গিয়ে ‘বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত’ ‘গ্রন্থে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন-
    ‘অষ্টম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যে যে-কোন সময়ে তিনি মর্ত্যদেহ ধারণ করে বর্তমান ছিলেন, এমন কথা শোনা যায়’।

    তবে মন্দিরের গেটে লেখা বর্ণনায় দেখা গেছে,”গুপ্ত যুগ থেকে সেন যুগের মধ্যেই কুপ ও মন্দির নির্মিত হয়েছিল এবং নাথ সহজিয়া মতের গুরু গোরক্ষনাথের নামানুসারে কুপ ও স্থানের নাম হয়েছে গোরকই।” গোরকই ফকিরি স্লান বা বারুনীর মেলা হিসেবে আজও সমান ভাবে সমাদৃত। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি একটি তীর্থস্থান। ফাল্গুনের শিব চতুর্দশী তিথীতে পূণ্য স্নানের জন্য আগমন ঘটে অসংখ্য পূণ্যার্থীর।

    স্থানীয়দের মাঝে মন্দিরটি সম্পর্কে রূপকথাও প্রচলিত আছে , মন্দিরের দেখাশুনা গোরক্ষনাথ ঠাকুর করলেও মন্দির তিনি নির্মাণ করেননি, রাতারাতি দেবতারা পাথর দিয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মন্দিরটি ছাড়াও এখানে রয়েছে নাথআশ্রম। ৩টি শিবমন্দির, ১টি কালি মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির চত্বরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। তার পিছনেই সেই আকর্ষনীয় কুপ। পাথরের তৈরি একটি চৌবাচ্চার মাঝে ওই কুপের অবস্থান। কুপটি বড় বড় কালো পাথরের খণ্ডদ্বারা নির্মিত। কুপের একেবারে তলা পর্যন্ত ওই পাথর দিয়ে বাঁধানো। কুপের পূর্ব দিকে একটি দরজা এবং পশ্চিম দিকে একটি দরজা। এ দুটো দরজা দিয়ে স্নানের জন্য প্রবেশ করে পূণ্যার্থীরা। এছাড়াও মন্দিরের দক্ষিণ পার্শ্বে দুজন পুজারীর সমাধি রয়েছে। ঠাকুর গোরক্ষনাথের মৃত্যুর পর ওই দুজন পূজারী মন্দিরের দেখাশুনা করাকালীন তাঁদের মৃত্যুহলে মন্দিরের পার্শ্বেই তাঁদের সমাধিস্থ  করা হয়। এ দুজন পূজারীর নামও সঠিক জানা নেই কারো।

    মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাশিনাথ রায় জানায়, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের আমাবশ্যায় এই মন্দিরে ৭ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও মন্দির পরিচালনা কমিটি। মেলার সময় এ কুপের পানিতে স্নান করতে আসে দেশের বিভিন্ন জেলার ভক্তরা। বিভিন্ন মানত করে পরিবার পরিজনসহ তাঁরা আসেন এই মন্দিরে। পূজা ও স্নান শেষে আবার পুনরায় ফিরে যান বাড়িতে। তবে অনেকের আশা পূরণ হলে মন্দিরে এসে পুনরায় পূজা এবং মানত করা ছাগল, হাস, মুরগিসহ নানা জিনিসপত্র দিয়ে যান।

    এই এলাকার শিক্ষক তরণী বর্ম্মন জানান,হাজার হাজার নারী পুরুষ স্নান করার পরও এ কুপের পানি এক ইঞ্চিও কমে না। যা কুপের বৈশিষ্ট্য মনে করে পূর্ণ্যাথীরা। মন্দিরটিতে গ্রানাইট পাথরের ব্যবহার করা হয়েছে। যে পাথরের নমুনাবিশেষ বর্তমানে দিনাজপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। কথিত আছে, গোরক্ষনাথ ছিলেন নাথপন্থীদের ধর্মীয় নেতা মীননাথের শিষ্য।

    মন্দিরটির সামনের দোকানদার সত্যজিত রায় জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মন্দির দর্শনার্থীরা এসে মন্দিরের বেহাল দশা দেখে চলে যান। বসার, খাওয়ার স্থান নেই, এমনকি নেই যাতায়াতের ভাল একটি রাস্তা। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় আসতেই মানুষ ভয় পায়।

    মন্দিরের পার্শ্বের বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দশ বছরে এলাকার দুই সাংসদ যাতায়াতের জন্য রাস্তা পাকা করণের অঙ্গীকার করে গেলেও এ পর্যন্ত একটি ইটও বরাদ্দ দেননি তারা।

    মেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক  অনন্ত কুমার  জানান, মন্দিরটি ২৪ ঘন্টা দেখাশুনা করার জন্য একজন পুজারী ছিল। তিনি চলে গেছেন। খুব শীঘ্রই মন্দির পরিস্কার পরিছন্ন এবং দেখাশুনা করার জন্য একজন পূজারী নিয়োগ দেয়া হবে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মন্দির দর্শনে আসা মানুষ এবং ভক্তদের জন্য বসার স্থান, খাওয়ার জন্য ভালো হোটেল এবং আবাসিক ভবন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

    তিনি আরও জানান, এ মন্দিরের নিজস্ব মালিকানায় প্রায় ২৫ বিঘা জমি, একটি আম ও জাম বাগান এবং একটি বড় পুকুর রয়েছে। যা প্রায় দেড় লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় আসে। দুটো আয় দিয়ে চলতি বছরই সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ মন্দিরে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, মেলা পরিচালনা কমিটি যাবতীয় দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে মন্দিরের। তাছাড়া তাদের দেয়া চাহিদা অনুযায়ী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য একটি পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।


    বয়স যদি আঠারো হয়, ভোটার হতে দেরি নয়, এই শ্লোগানে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নানা আয়োজনে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ।

    প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম‍্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব‍্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নুর-ই-আলম।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম , বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, আব্দুল মালেক, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মেদ সরকার প্রমুখ।

    এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে এসময় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরাসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভোটার হওয়া একজন ব্যক্তির নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য। তাই আঠারো বছর বয়স পুর্ণ হলেই প্রত্যেক নাগরিককে ভোটার হতে হবে। ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত না হলে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও অনেকে বাদ পড়েছেন। ভোটার দিবস পালিত হলে ভোট বিষয়ে সচেতনতাসহ ভোটদানে এ দেশে তরুণদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, সারা দেশেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

  • রাণীশংকৈলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস।

    রাণীশংকৈলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস।

    রাণীশংকৈলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস।


     ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের হাটবাজার গুলোতে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ডাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্য-তেল সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। বেশিদরে বিক্রি হচ্ছে সবজি; ঝাল বেশি কাঁচামরিচেরও। দাম বাড়তির কারণে এসব নিত্যপণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের।

    ক্রেতাদের অভিযোগ, মোটা চাল থেকে শুরু করে বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দরই বাড়তির দিকে। আর সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না।

    সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদফা বন্যার কারণে এ বছর মৌসুমি সবজির ফলন ভালো হয়নি। এ কারণে আড়তে সবজি আসছে কম। ফলে দামও বেশি।

    বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে চরম সংকটে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধ্বগতিকে কেউ কেউ দাবানলের সঙ্গে তুলনা করছেন। আগে যেখানে প্রচলিত বাক্য ছিল ‘নিত্যপণ্যের বাজারে আগুণ’। চাল-ডাল-তেল থেকে শুরু করে অতি প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দামের একই অবস্থা। নিত্যপণ্যের দামের এমন ঊর্ধ্বগতিতে  প্রবণতার জন্য করোনা মহামারিতে উৎপাদন কমে যাওয়া, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতা ও সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আবার কেউ কেউ অভ্যন্তরীণ বাজারের সুশাসনের অভাবকেও দায়ী করছেন।

    সরেজমিনে উপজেলার শিবদীঘি, নেকমরদ, কাতিহারসহ একাধিক সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, মটরশুঁটি, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, পাতাকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, পালংশাক, লালশাক, পুঁইশাক, লাউয়ের ডগাসহ বিভিন্ন প্রকারের শাক পাওয়া যাচ্ছে।

    বাজারে কাঁচামরিচ ৬০-৮০টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৪৫ টাকা, গোল বেগুন ৪০টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০- ৬৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবু এবং ৪০ টাকা। দাম বেড়েছে  সয়াবিন তেল, খোলা লবণ,  গোখাদ্য, ও মাছের।

    পাতাকপির দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ফুলকপি ও ব্রোকলির। পাতাকপি আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হলেও ফুলকপি ও ব্রোকলি ৫০-৫৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা।

    ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কোয়েল পাখি পিসপ্রতি ২৫ থেকে ৫০ টাকা, লেয়ার মুগরি পিসপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে মিলছে। অবশ্য দেশি মুরগির ডিম কিনতে প্রতি হালিতে খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি।

    এদিকে লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাক, পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা আঁটি দরে। মসলার মধ্যে পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, রসুন ১৩০-১৪০ টাকা, দেশি আদা ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    নেকমরদ বাজারে নিত্যপণ্য এবং সবজি কিনতে আসা লুতফর রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি।
    এ কারণে বাজারের হিসেবে টান পড়েছে। কোনোরকমে বাজার করে মাস চালাতে হবে।

    শ্রমজীবী নাসিম জানান, তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। এখন কাজ তেমন নেই। তাই আয়ও কম। কিন্তু বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি। বিশেষ করে চাল ডাল ও তৈলের দাম বাড়ায় কষ্ট বেশি হচ্ছে তার। কারণ চাল কিনতে পারলে কোনোরকমে ডাল-ভাত খেয়ে দিন কাটানো যায়। দাম বাড়ার কারণে তিনি বিপাকে পড়েছেন।

    রাণীশংকৈল উপজেলার সবকটি  বাজারেও নিত্যপণ্যের দর বেড়েছে। প্রশাসন বলছে, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাৎক্ষণিক দণ্ড দেওয়া হচ্ছে। আর তা অব্যাহত থাকবে